দেশের সবচেয়ে বড় অনলাইনভিত্তিক শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম টেন মিনিট স্কুল ১৭ কোটি টাকা বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রথমবারের মতো প্রাতিষ্ঠানিক এ বিনিয়োগ পেয়েছে। ভারতের সেকোয়া ক্যাপিটাল এই বিনিয়োগ করেছে। এ বিনিয়োগের বিপরীতে সেকোয়া ক্যাপিটাল টেন মিনিট স্কুলের মালিকানার সঙ্গে যুক্ত হবে।
বিশ্বের শীর্ষ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানির একটি ভারতের সেকোয়া ক্যাপিটাল। প্রতিষ্ঠানটি তাদের 'সার্জ' প্রোগ্রামের মাধ্যমে অনলাইনে জনপ্রিয় শিক্ষা প্ল্যাটফর্মটিতে এই বিনিয়োগ নিয়ে এসেছে বলে রোববার টেন মিনিট স্কুলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতদিন শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে টেন মিনিট স্কুল প্রকল্পভিত্তিক স্পনসরশিপে পরিচালিত হয়ে আসছিল। আর শুরু থেকে এটির মালিকানার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির দুই উদ্যোক্তা আয়মান সাদিক ও আবদুল্লাহ আবইয়াদ।
টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালক আয়মান সাদিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত ৬-৭ বছরে টেন মিনিট স্কুল বাদে আর কিছু নিয়ে চিন্তা করিনি আমি। অনেক কিছু করার ইচ্ছা থাকলেও অনেক সময় করা হয়ে ওঠেনি, কারণ টাকা ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘অনেক পরিকল্পনা অর্ধেক রাস্তায় গিয়ে থেমে যেত। সব সময় মনে হতো আর কিছু টাকা থাকলেই এসব করে ফেলা যেত। সেই অপূর্ণ ইচ্ছাগুলো মেটাতেই ফান্ডরেইজিংইয়ের পেছনে গত এক বছর সময় দেয়া। এই পুরো সময়টা আমি আসলে অনেক কিছু থেকেই একটু বিচ্ছিন্ন ছিলাম। অনেক জায়গায় সময় দিতে পারিনি বলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সবার সহযোগিতায় এখন যেহেতু টাকার একটা ব্যবস্থা হয়ে গেছে, এখন সময় সেই অপূর্ণ স্বপ্নগুলোকে বাস্তবে রূপদান করার। আশা করছি সফল হব।’
এই টাকা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে নতুন করে কীভাবে সাজাবেন- এ প্রশ্নের উত্তরে আয়মান সাদিক বলেন, ‘বিনিয়োগ পাওয়ার পরপরই আমি একটা লিস্ট করে ফেলেছি। সে অনুযায়ীই এখন নতুন সাজে সাজাব আমার স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানটিকে। এতদিন থ্রিডি ভিডিও বানাতে পারিনি। এখন সব কঠিন টপিকের থ্রিডি ভিডিও বানাব। সার্ভারের খরচের ভয়ে আমাদের অ্যাপে লাইভ ক্লাস না নিয়ে সব সময় ফেসবুক আর ইউটিউবে নিয়েছি। এখন আমাদের নিজেদের অ্যাপে লাইভ ক্লাসগুলো নেব। যেন স্বল্প ব্যান্ডউইডথেও আমাদের শিক্ষার্থীরা সহজেই ক্লাস করতে পারে।’
‘অনেক ট্যালেন্টেড আর এক্সপেরিয়েন্সড মানুষের সাথে কাজ করার ইচ্ছা ছিল। এখন একটু সাহস করে টেন মিনিট স্কুলে জয়েন করার জন্য বলতে চাই। নিজেদের অনেকগুলো স্টুডিও তৈরির ইচ্ছা ছিল। ভিডিও কোয়ালিটি আরো অনেক ভালো করতে চাই। সায়েন্স ল্যাব করার ইচ্ছা ছিল, সেটা করব। যেখানে সব সময় এক্সপেরিমেন্টগুলোর ভিডিও করা যাবে।’
তিনি বলেন, ‘রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ল্যাব বানাব। যেখানে সব সময় নতুন নতুন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ চলতে থাকবে। কয়েক শ ট্যালেন্টেড টিচারের সাথে কাজ করতে চাই। বাংলাদেশের বেস্ট টিচারদের সারা দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। কয়েক হাজার নতুন অনলাইন টিচারকে ট্রেইন করতে চাই, যেন তারা পরবর্তী প্রজন্মকে আরো ভালো কনটেন্ট উপহার দিতে পারে।’
‘আমাদের ৩০০ জনের টিমকে ১ হাজার জনের টিম বানাতে চাই; যারা সার্বক্ষণিক নতুন কী কী কনটেন্ট বানানো যায় সেটা নিয়ে চিন্তা করতে থাকবে। প্রতিটা কোর্সের জন্যে আলাদা আলাদা সেট ডিজাইন করে একদম মুভি লেভেলের টিউটোরিয়াল বানাতে চাই।’
‘২-৮ বছর বয়সী বাচ্চাদের জন্য বাংলায় সবকিছু শেখার একটি পরিপূর্ণ অ্যাপ বানাতে চাই। এমন আরও অনেক অনেক কিছু করতে চাই,’ বলেন আয়মান সাদিক।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদায়ী বছরে প্ল্যাটফর্মটিতে আগের বছরের চেয়ে ১২ গুণ বেশি ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। সেকোয়া ক্যাপিটালের এই বিনিয়োগ টেন মিনিট স্কুলের পণ্য, প্রযুক্তি, দক্ষ জনবল এবং কার্যক্রমের বিস্তার ঘটাতে সাহায্য করবে। এই বিনিয়োগের মাধ্যমে নতুন বছরে টেন মিনিট স্কুলের কার্যক্রম আরও বিকশিত হবে। মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরিতে এই বিনিয়োগ ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
আয়মান সাদিক ও আবদুল্লাহ আবইয়াদের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান টেন মিনিট স্কুল শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার কার্যক্রম শুরু করে ২০১৫ সালে। শুরু থেকে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের অনলাইন পড়াশোনাকে সহজ করতে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। টেন মিনিট স্কুল অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির যেকোনো বিষয় অধ্যায়ভিত্তিক ভিডিও লেকচারের মাধ্যমে শিখতে পারছে। পাশাপাশি নিজেকে যাচাই করার জন্য রয়েছে কুইজ এবং অনুশীলনের ব্যবস্থা। ফলে শিক্ষার্থীদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে টেন মিনিট স্কুল অ্যাপ।
আয়মান সাদিক বলেন, ‘শুরুতে আমরা প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলতে এক কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছিলাম। ২০১৬ সালে আমাদের এ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয় টেলিকম অপারেটর রবি। এ ছাড়া আমরা বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে স্পনসর নিতাম। এখন এসে শিক্ষা কার্যক্রমকে আরও বিস্তৃত করতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীকে যুক্ত করলাম।’
দেশসেরা শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে তৈরি প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির যেকোনো বিষয়ের ২৫ হাজারের বেশি অধ্যায়ভিত্তিক ভিডিও লেকচার তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এই লার্নিং অ্যাপ ব্যবহার করছে ৩০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী।
২০২০ সালে ৯০ লাখ নতুন শিক্ষার্থী যুক্ত হয় প্ল্যাটফর্মটিতে। এই সংখ্যা আরও বাড়িয়ে নিয়ে যেতে কাজ করছে টেন মিনিট স্কুল।
আয়মান সাদিক বলেন, ‘গত এক বছর আমাদের পুরো টিম এই ফান্ডরেইজিংয়ের জন্য দিনরাত কষ্ট করেছে। সত্যি বলতে এখন আর আমি না থাকলেও আমাদের টিম পুরোটা চালিয়ে নিতে পারবে। এমন একটা টিমের সাথে কাজ করতে পারা আসলে একটা বিশাল পাওয়া।’
‘আমাদের এই স্বপ্নের সাথে থাকার জন্য আমাদের ছাত্র-ছাত্রী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন:সারা দেশে গত পাঁচ দিন ধরে ইন্টারনেটে ধীরগতি পাচ্ছেন গ্রাহকরা। পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় স্থাপিত সাবমেরিন ক্যাবলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগে এই বিভ্রাট দেখা দিয়েছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি)। তবে সহসাই ইন্টারনেটের স্বাভাবিক গতি ফিরছে না। ধীরগতির এই পরিস্থিতি চলতে পারে আরও এক মাস।
বিএসসিপিএলসি বলছে, ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় সমুদ্রের তলদেশে ফাইবার ক্যাবল কাটা পড়েছে। সেখানে মেরামতের কাজ চলছে। মেরামত শেষ হতে পাঁচ সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে মে মাসের শেষ নাগাদ সংযোগ স্বাভাবিক হতে পারে।
জানা গেছে, ১৯ এপ্রিল রাত ১২টা থেকে সারা দেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি দেখা দেয়। বিএসসিপিএলসি জানতে পারে সিঙ্গাপুরে জলসীমায় কোথাও ফাইবার ক্যাবল কাটা পড়েছে।
পরে আরও অনুসন্ধানে জানা যায় সিঙ্গাপুর নয়, ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় সমুদ্রের তলদেশে ক্যাবল ‘ব্রেক’ করেছে। এতে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের (সিমিউই-৫) সংযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
বিএসসিপিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহমেদ জানান, সিমিউই-৫ (দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল) দিয়ে বাংলাদেশে প্রায় ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথড সরবরাহ হয়। সেটা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণ) সাইদুর রহমান জানান, মূলত ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র এলাকায় সিমিউই-৫ ক্যাবলটি ব্রেক করেছে। তারা এটা মেরামতে কাজ করছে। আগামী মাস অর্থাৎ, মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহের শেষ অথবা চতুর্থ সপ্তাহ নাগাদ কাজ শেষ হতে পারে।
ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) মহাসচিব নাজমুল করিম ভুঁইয়া চাহিদা অনযায়ী ব্যান্ডউইথড সরবরাহে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা যতদূর জেনেছি, এখনও কাজ শুরুই হয়নি। কনসোর্টিয়ামের কোনো জাহাজ না পাওয়ায় কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে। জাহাজ পাওয়ার পর হয়তো কাজ শুরু হবে। তার মানে আমরা একটা বড় সমস্যায় পড়তে যাচ্ছি।’
নাজমুল করিম আরও বলেন, ‘গত ৪-৫ দিন ধরে গ্রাহকরা আমাদের অনবরত ফোন করছেন, খোঁজ নিচ্ছেন। ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে সফটওয়্যার নিয়ে যারা কাজ করেন, তারা বিপাকে পড়েছেন। ফ্রিল্যান্সাররাও এ নিয়ে আতঙ্কিত। সরকার এ সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে বলে প্রত্যাশা আমাদের।’
এক হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথড সরবরাহ করা দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সংযোগ এখন পুরোপুরি বন্ধ। শুধু প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে ৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথড সরবরাহে রয়েছে। এত বিশালসংখ্যক গ্রাহকের ইন্টারনেট সেবা তাহলে কীভাবে চলছে- এমন প্রশ্ন অনেকের।
বিএসসিপিএলসি সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে মোট ব্যান্ডউইথডের ব্যবহার পাঁচ হাজার জিবিপিএসের বেশি। এর অর্ধেকেরও বেশি প্রায় ২ হাজার ৭০০ জিবিপিএস আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল (আইটিসি) লাইসেন্সের মাধ্যমে আসে, যা ভারত থেকে স্থলপথে ব্যান্ডউইথড আমদানি করতে ব্যবহৃত হয়।
বাকি দু’হাজার ৪০০ জিবিপিএসের মতো ব্যান্ডউইথড সরবরাহ করে বিএসসিপিএলসি। দুটি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে এই ব্যান্ডউইথড সরবরাহ করা হয়। বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য-পশ্চিম ইউরোপ-৪ (সিমিউই-৪) কনসোর্টিয়ামের সদস্য। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হয়েছিল। এর ল্যান্ডিং স্টেশন কক্সবাজারে। এটি প্রায় ৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথড সরবরাহ করে থাকে।
অন্যদিকে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিমিউই-৫ ঢুকেছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা হয়ে। দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয় হাজার ৬০০ জিবিপিএস। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ব্যান্ডউইথড প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে শিফটিং হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বিএসসিপিএলসির মহাব্যবস্থাপক সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের বিকল্প অনেক উপায় রয়েছে। সেগুলো কার্যকর করা হচ্ছে। যদিও সব বিকল্প উপায় পুরোপুরি এখনও কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। এমনকি প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল যেটি সিমিউই-৪ নামে পরিচিত, সেটির পুরো ব্যান্ডউইথড বহনের সক্ষমতা রয়েছে। তবে এজন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে বাড়তি খরচ দিতে হবে। এটা ছাড়া আরও কিছু বিকল্প রয়েছে। সেগুলো নিয়েও কাজ চলছে।’
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের বাজারে গত বছর প্রথমবারের মতো ল্যাপটপ নিয়ে আসে ট্রেন্ডি প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। ইনবুক ওয়াইটু প্লাস নামের ল্যাপটপটি দিচ্ছে চমৎকার ডিজাইন, শক্তিশালী পারফরম্যান্স ও সাশ্রয়ী দামের প্রতিশ্রুতি। অল্প সময়ের মধ্যেই প্রযুক্তিপ্রেমী শিক্ষার্থী ও এক্সিকিউটিভদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে এ ল্যাপটপ।
দেখে নেওয়া যাক কী আছে ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাস ল্যাপটপটিতে। এর ফিচার, পারফরম্যান্স ও ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাই বা কেমন।
ডিজাইন ও গঠন
স্লিক ও হালকা ডিজাইনের ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাস সহজেই সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। শিক্ষার্থী ও ব্যস্ত এক্সিকিউটিভদের জন্য এ ল্যাপটপ যথার্থ। এর পরিচ্ছন্ন ও আধুনিক মেটালিক ডিজাইন স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। একই সঙ্গে দেয় প্রিমিয়াম অনুভূতি। স্লিক প্রোফাইল ও প্রাণবন্ত ডিসপ্লের সঙ্গে যুক্ত সরু বেজেল ল্যাপটপটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে। ফলে বাজারের একই ধরনের দামি ল্যাপটপের সমকক্ষ হয়ে ওঠে ওয়াইটু প্লাস।
তা ছাড়া এর মসৃণ এজি গ্লাস টাচ প্যানেলের কারণে সিল্কি-স্মুথ ও স্থায়ী টাচের অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। ১.৫ মিলিমিটার কি ট্র্যাভেল এবং ব্যাকলাইটিংযুক্ত রেসপনসিভ কি-বোর্ড টাইপিংকে করে তোলে সহজ ও আরামদায়ক। তাই কম আলোতেও টাইপ করতে কোনো সমস্যা হয় না।
পারফরম্যান্স ও প্রোডাক্টিভিটি
১১তম প্রজন্মের কোর আই৫ প্রসেসর ও ৮ জিবি র্যাম রয়েছে ইনফিনিক্স ওয়াইটু প্লাসে। স্টোরেজের প্রয়োজন মেটাতে এতে আছে ৫১২ জিবি এনভিএমই পিসিআইই এসএসডি। প্রোডাক্টিভিটি সফটওয়্যার, ওয়েব ব্রাউজ করা কিংবা কনটেন্ট স্ট্রিম করাসহ সব ধরনের উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন অ্যাপ্লিকেশন চালানো যায় খুব সহজেই। এর ইন্টিগ্রেটেড ইন্টেল ইউএইচডি গ্রাফিকস সাধারণ গেমিং ও মাল্টিমিডিয়া এডিটিংয়ের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যময় গ্রাফিকস পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। উইন্ডোজ ১১ পরিচালিত ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাসের অপারেটিং সিস্টেম সবার পরিচিত ও ব্যবহার করা সহজ।
ডিসপ্লে ও মাল্টিমিডিয়া অভিজ্ঞতা
উজ্জ্বল রং ও ওয়াইড অ্যাঙ্গেলের সঙ্গে স্পষ্ট ও পরিষ্কার ভিজ্যুয়াল দেয় ১৫.৬ ইঞ্চি ফুল এইচডি আইপিএস ডিসপ্লেযুক্ত ইনবুক ওয়াইটু প্লাস। ৮৫ শতাংশ স্ক্রিন-টু-বডি রেশিওর সঙ্গে চমৎকার মাল্টিমিডিয়া অভিজ্ঞতার জন্য ডিসপ্লেটি দারুণ। কাজেই আপনার প্রিয় নেটফ্লিক্স সিরিজ দেখা কিংবা ফটো এডিট করা— সবই হবে স্বাচ্ছন্দ্যে।
ল্যাপটপটিতে আছে ডুয়েল এলইডি ফ্ল্যাশ ও এআই নয়েজ ক্যান্সেলেশন প্রযুক্তিযুক্ত ১ হাজার ৮০ পিক্সেলের ফুল এইচডি+ ক্যামেরা। এর ফলে ভিডিও কলের অভিজ্ঞতা হবে আরও উন্নত।
ব্যাটারি লাইফ ও চার্জিং
ইনবুক ওয়াইটু প্লাসের ৫০ ওয়াট-আওয়ার ব্যাটারি ক্যাপাসিটি কোনো চার্জ ছাড়াই প্রতিদিনের কাজে আট ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। পাশাপাশি এর ৪৫ ওয়াট টাইপ-সি পোর্টযুক্ত চার্জারে ডিভাইসটি দ্রুত ও সহজেই চার্জ করা যায়। ফলে ভারী চার্জার বহনের প্রয়োজন হয় না।
দাম
ল্যাপটপটির বর্তমান বাজারমূল্য ৫৮ হাজার ৯৯০ টাকা। অনুমোদিত ইনফিনিক্স রিটেইলার থেকে ল্যাপটপটি কেনা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:শীর্ষস্থানীয় রাইড শেয়ারিং অ্যাপ উবারের লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড ইনডেক্স-এর অষ্টম সংস্করণ প্রকাশ হয়েছে রোববার।
উবার ব্যবহারকারীরা কোন জিনিসগুলো গাড়িতে সবচেয়ে বেশি ফেলে রেখে গেছেন এবং দিনের কোন সময়ে, সপ্তাহের কোন দিনে ও বছরের কোন সময়ে হারানো জিনিস রিপোর্ট করেছেন, এসব তথ্যের একটি স্ন্যাপশট হলো এ ইনডেক্স।
গত এক বছরের মে ও জুন মাসে বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি জিনিসপত্র ভুলে ফেলে রেখে গেছেন। বেশির ভাগ জিনিসপত্র ফেলে রেখে আসার ঘটনাটি ঘটেছে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে।
গত বছর বাংলাদেশজুড়ে যাত্রীদের ভুলে যাওয়া জিনিসের তালিকায় প্রথম দুটি স্থানে ছিল পোশাক ও ছাতা। তালিকায় এর পরেই ছিল ওয়ালেট, বালিশ ও হেডফোন।
বাংলাদেশিরা উবারে এ রকম সাধারণ জিনিসপত্র যেমন ভুলে ফেলে রেখে গেছেন, স্পিকারের মতো অপ্রত্যাশিত জিনিসও তেমনি ভুলে রেখে গেছেন।
উবার বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড নাশিদ ফেরদৌস কামাল লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড ইনডেক্স সম্পর্কে বলেন, ‘যাত্রীদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য উবারের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ট্রিপের সময় যাত্রীদের ফেলে যাওয়া জিনিস নিরাপদে তাদের কাছে ফিরিয়ে দেয়াও এর অন্তর্ভুক্ত। হারানো জিনিস খুঁজে পেতে উবারের কিছু ইন-অ্যাপ অপশন আছে।
‘এ ব্যাপারে যাত্রীদের জানানোর জন্য লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড ইনডেক্স একটি চমৎকার শিক্ষণীয় উপায়। যাত্রীদের আমরা জানাতে চাই যে, রাইডের সময় তারা কিছু ভুলে ফেলে গেলে তাদের সাহায্য করার জন্য আমরা প্রস্তুত।’
ফেলে যাওয়া জিনিস উদ্ধারের উপায়
গাড়িতে ফেলে যাওয়া কোনো জিনিস উদ্ধারের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো চালককে কল করা। কীভাবে করবেন জেনে নিন।
১. ‘ইয়োর ট্রিপস’ অপশনে ট্যাপ করুন এবং যে ট্রিপে আপনার জিনিসটি হারিয়ে গেছে, তা সিলেক্ট করুন
২. নিচে স্ক্রল করে ‘ফাইন্ড লস্ট আইটেম’ অপশনে ট্যাপ করুন
৩. ‘কনটাক্ট ড্রাইভার অ্যাবাউট আ লস্ট আইটেম’ অপশনে ট্যাপ করুন
৪. স্ক্রল করে নিচে নামুন এবং আপনার সঙ্গে যোগযোগ করা যাবে এমন একটি ফোন নম্বর লিখুন। সাবমিট অপশনে ট্যাপ করুন
৫. যদি নিজের ফোন হারিয়ে যায়, তাহলে আপনার বন্ধুর ফোন নম্বর ব্যবহার করুন (এর জন্য আপনাকে কম্পিউটার বা বন্ধুর ফোন থেকে নিজের অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে হবে)
৬. আপনার ফোন বেজে উঠবে এবং আপনার চালকের মোবাইল নম্বরের সঙ্গে আপনাকে সরাসরি যুক্ত করে দেয়া হবে
৭. যদি চালক ফোন ধরেন এবং নিশ্চিত করেন যে আপনার জিনিসটি পাওয়া গেছে, সেটি ফিরিয়ে নিতে উভয়ের জন্য সুবিধাজনক একটি সময় ও স্থান নির্বাচন করুন
৮. যদি চালকের সাথে যোগাযোগ করতে না পারেন, আপনার হারানো জিনিসটির বিস্তারিত বর্ণনা এবং আপনার সঙ্গে যোগাযোগের উপায় জানিয়ে চালককে একটি ভয়ে সমেইল পাঠিয়ে রাখুন
উবারে কিছু হারিয়ে ফেললে সহজে কীভাবে তা ফিরে পেতে পারেন, এই ভিডিও থেকে তা দেখে নিন।
উবার যাত্রীরা যেসব জিনিস সবচেয়ে বেশি ভুলে ফেলে রেখে গেছেন, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পোশাক। এরপরই রয়েছে ছাতা, ওয়ালেট, নেক-পিলো, হেডফোন ও স্পিকার।
যে শহরগুলোতে যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি জিনিস হারিয়েছেন, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা। এরপরের স্থানগুলো যথাক্রমে চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল।
বছরের যে দিনগুলোতে যাত্রীরা সবচেয়ে বেশিসংখ্যক জিনিস ভুলে রেখে গেছেন তার মধ্যে রয়েছে ১৩ মে, ২০২৩। এ ছাড়া ৯ জুন এবং ১৬ জুন, ২০২৩ বেশি ভুল করেছেন যাত্রীরা।
সপ্তাহের শুক্র, শনি ও রোববার সবচেয়ে বেশি জিনিস হারিয়েছে।
দিনের যে সময়ে যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি জিনিস ফেলে রেখে যান, তার সময় রাত আটটা। এরপরই সন্ধ্যা সাতটা ও রাত ৯টায় বেশি জিনিস ফেলে রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন:দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের (সিমিউই-৫) সংযোগ সরবরাহ বন্ধ থাকার কারণে সারাদেশে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
শুক্রবার রাত ১২টার পর এই সমস্যা শুরু হয়েছে। এর ফলে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানসহ গ্রাহকেরা ইন্টারনেটে ধীরগতি পাচ্ছেন।
এর আগে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল এক ঘণ্টা বন্ধ থাকার কথা বলেছিল বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল পিএলসি।
বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, শুক্রবার রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল (সিমিউই-৫) রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলবে। এ সময় দেশের ইন্টারসেবায় বিঘ্ন ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যান্ডউইডথ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরে ফাইবার কেবল ‘ব্রেক’ করায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহমেদ বলেন, সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ হয়। কিন্তু এর পুরোটাই এখন বন্ধ আছে। আমরা চেষ্টা করছি, সিমিউই-৪ (প্রথম সাবমেরিন কেবল) দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করতে। সিঙ্গাপুরে ফাইবার কেবল ব্রেক করায় বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশে একই অবস্থা তৈরি হয়েছে।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, ‘গ্রাহকেরা ফোন করে ইন্টারনেট সেবায় ধীরগতির অভিযোগ করছেন।’
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিএল) টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট (টিআরপি) সেবার বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউতে বিএসসিএলের প্রধান কার্যালয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে সঙ্গে নিয়ে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী আরাফাত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, বিএসসিএলের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শাহজাহান মাহমুদ, একাত্তর মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু এবং বিএসসিসিএলের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিআরপি সেবার বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধনের মাধ্যমে চমৎকার একটি কাজের সূচনা হয়েছে। সরকারের একটি প্রতিষ্ঠান একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে, যা অত্যন্ত গর্বের। প্রযুক্তিটি আরও উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে। এ প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে সরকার বেসরকারি খাত বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে প্রযুক্তিপণ্য তৈরি করতে পারে, যেটি বাণিজ্যিকভাবে লাভবান করা সম্ভব।
সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের উদ্যোগ ও সহযোগিতা ছাড়া বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সহযোগিতা ছাড়া এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন সম্ভব হতো না।’
আরও পড়ুন:দেশের বাজারে সম্প্রতি নতুন স্মার্টফোন সিরিজ নোট ৪০ নিয়ে এসেছে তরুণদের প্রিয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স।
এ সিরিজের দুটি স্মার্টফোন নোট ৪০ ও নোট ৪০ প্রো এখন দেশজুড়ে পাওয়া যাচ্ছে।
আধুনিক চার্জিং প্রযুক্তি, আশাব্যাঞ্জক পারফরম্যান্স ও শক্তিশালী গড়নের স্মার্টফোনগুলোতে আছে সফটওয়্যার আপডেটের প্রতিশ্রুতি। নোট ৪০ সিরিজের ফোনগুলোতে অ্যান্ড্রয়েড ১৪ অপারেটিং সিস্টেম থাকছে. তবে আপগ্রেড পাওয়া যাবে অ্যান্ড্রয়েড ১৬ পর্যন্ত।
নোট ৪০ সিরিজের এ প্রতিশ্রুতি মিড-রেঞ্জের বাজারে চমক নিয়ে এসেছে। দুই বছরের অ্যান্ড্রয়েড আপডেটসহ ৩৬ মাসের সিকিউরিটি প্যাচ পাবেন গ্রাহকরা। ফলে ব্যবহারকারীরা সমস্যা ছাড়াই আপডেটগুলো পাবেন যথাসময়ে।
ইনফিনিক্সের ভাষ্য, অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের বাজারে যুগান্তকারী ফিচার নিয়ে এসেছে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজ। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে যুক্ত হয়েছে ওয়্যারলেস ম্যাগনেটিক চার্জিং প্রযুক্তি ‘ম্যাগচার্জ’। একই সঙ্গে আরও আছে অল-রাউন্ড ফাস্টচার্জ ২.০। উদ্ভাবনটি সব পরিস্থিতিতে চার্জিংকে সুবিধাজনক করে তুলবে।
সিরিজের দুটি ফোনেই আছে ২০ ওয়াটের ওয়্যারলেস ম্যাগচার্জ ও রিভার্স চার্জিংয়ের সুবিধা। ফলে ব্যবহারকারীরা ঘরে ও বাইরে যেকোনো সময় ফোনে চার্জ দিতে পারবেন।
ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে নোট ৪০ সিরিজে যুক্ত করা হয়েছে ম্যাগনেটিক ফোন কেস (ম্যাগকেস), ম্যাগনেটিক চার্জিং প্যাড (ম্যাগপ্যাড) এবং ম্যাগনেটিক পাওয়ার ব্যাংকের (ম্যাগপাওয়ার) মতো অ্যাক্সেসরিজ।
দুর্দান্ত ব্যাটারি পারফরম্যান্সের জন্য সিরিজটিতে পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট চিপ-চিতা এক্স১ যুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে ইনফিনিক্স বলেছে, সঙ্গে রয়েছে মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৯ আল্টিমেট প্রসেসর। ফলে ফোনের কার্যকারিতা আরও বাড়বে। দিনজুড়ে ব্যাকআপ দিতে রয়েছে শক্তিশালী ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি।
দ্রুত চার্জিংয়ের জন্য নোট ৪০ প্রো-তে আছে ৭০ ওয়াটের মাল্টি-স্পিড ফাস্ট চার্জার এবং নোট ৪০-তে আছে ৪৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার। ডিভাইসগুলোতে আরও রয়েছে ৬.৭৮ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস ১২০ হার্টজের অ্যামোলেড ডিসপ্লে।
প্রধান ক্যামেরা হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেলের সুপার-জুম ক্যামেরা এবং আছে ৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা। জেবিএলের টিউন করা ডুয়েল স্পিকার আছে নোট ৪০ সিরিজে।
নোট ৪০ প্রো-এর ৮ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতা এবং ১২ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার সংস্করণ দুটির বাজারমূল্য যথাক্রমে ৩০ হাজার ৯৯৯ এবং ৩৪ হাজার ৯৯৯ টাকা। ভিনটেজ গ্রিন ও টাইটান গোল্ড রঙে পাওয়া যাচ্ছে ফোনটি।
অন্যাদিকে ৮ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার নোট ৪০ ফোনটির বাজারমূল্য ২৬ হাজার ৯৯৯ টাকা। পাওয়া যাচ্ছে টাইটান গোল্ড ও অবসিডিয়ান ব্ল্যাক রঙে।
সিরিজটির সঙ্গে ক্রেতারা পাবেন একটি ম্যাগকেস। নোট ৪০-এর সঙ্গে ম্যাগপ্যাড এবং নোট ৪০ প্রো-এর সাথে ২ হাজার ৯৯৯ টাকা সমমূল্যের একটি ম্যাগপাওয়ার মিলবে।
আরও পড়ুন:সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলের ফিড কেবলমাত্র বৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটররা গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। এতে করে কপাল পুড়তে চলেছে অবৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটরদের।
মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দেশি-বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচার বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ-সংক্রান্ত এক সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড কেবলমাত্র বৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটররা গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারবে। তাদের বাইরে অন্য কেউ এ কাজ করলে তা বেআইনি ও অবৈধ। এ বেআইনি কাজ বন্ধে সরকার আইনগত ব্যবস্থা নেবে। এ বেআইনি কাজের কারণে সরকার রাজস্ব হারায় এবং বিভিন্নভাবে বিদেশে অর্থ পাচার হয়। একইসঙ্গে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।’
তিনি বলেন, ‘বিদেশি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচারের মাধ্যমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে যে ক্লিনফিডের ব্যবস্থা করা হয়েছে, তার বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে এ-সংক্রান্ত আইনের বাস্তবায়ন করা হবে।
‘যারা অবৈধ সেট টপ বক্সের মাধ্যমে অবৈধভাবে চ্যানেলগুলো দেখাচ্ছে, ক্লিনফিডের ব্যবস্থা না করে ইচ্ছেমতো বিজ্ঞাপনসহ চ্যানেল দেখাচ্ছে, তাদের কারণে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘অবৈধ সেট টপ বক্স যেগুলো বাজারজাত ও আমদানি করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন অভিযান আরও জোরদার করবে। আমরা একটা কঠোর বার্তা দিতে চাই- কেউ যেন কোনোভাবে সেট টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি না করে এবং সেটা বাজারজাত না করে।
‘বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং আমাদের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে আমরা এ অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে যাচ্ছি।’
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় একসঙ্গে মিলে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করছে বলে তিনি জানান।
মন্তব্য