গত বছরের সেপ্টেম্বরের আগের পুঁজিবাজারে স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর যে চাঙ্গাবস্থা ছিল সেটি চার মাসের ব্যবধানে আবারও হাতছানি দিচ্ছে।
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৯ শতাংশের বেশি দর বৃদ্ধি পেয়েছে ছয়টি। আর ৮ শতাংশের বেশি বেড়েছে চারটি।
পুঁজিাবজারে মূলত ৩০ কোটি টাকার নীচে যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন সেসব কোম্পানিকে স্বল্পমূলধনি কোম্পানি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
গত বছরের শুরুতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি মূলত পুঁজিবাজারে স্বল্প পরিশোধিত মূলধন ও লোকসানি কোম্পানিগুলোকে মূল ব্যবসায় ফেরানোর উদ্যোগ গ্রহণ করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বোর্ড ভেঙে দেয়াসহ বোর্ডে নতুন স্বাধীন পরিচালক নিয়োগের কার্যক্রম গ্রহণ করে।
এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আগ্রহ আগে স্বল্পমূলধনী কোম্পানিগুলোর প্রতি। এসব কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা কম থাকায় বিএসইসির উদ্যোগের খবরে শেয়ার বিক্রেতা কম যায় এবং শেয়ার কেনার আগ্রহ বাড়ায় হু হু করে বাড়তে থাকে দর।
যদিও সেপ্টেম্বরের পর স্বল্প মূলধনি এসব কোম্পানির উত্থান খুব বেশি নজরে আসেনি। তবে রোববার দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির স্বল্পমূলধনি হওয়ায় আগ্রহের নতুন মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে এসব কোম্পানিকে।
রোববার লেনদেনের শুরুতে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনার আগ্রহ যে মাত্রায় ছিল বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে থাকে। বিশেষ করে বেলা ১টা ২৫ মিনিটের পর শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান যেভাবে হয়েছিল শেষ দিকে সে গতি কমে আসে।
দিনে শেষে সূচক দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ১৯ পয়েন্টে। নতুন বছরের এখন পর্যন্ত ১১ দিন লেনদেন হয়েছে। বছরের শুরু হয়েছিল ৬ হাজার ৮৫৩ পয়েন্ট দিয়ে। সেখান থেকে অল্প অল্প করে সূচক বেড়ে ১১ জানুয়ারি ৭ হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করে।
১২ জানুয়ারি আবারও সূচক ৬ হাজার ৯৯৬ পয়েন্টে নেমে আসে। সবশেষ বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭ হাজার ১৭ পয়েন্টে দাঁড়ায়। রোবাবর এই সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট।
এ ছাড়া শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস দশমিক ২৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫০২ পয়েন্টে। বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ১৭ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট।
রোববার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো লেনদেন শেষে সূচক ৭ হাজারে শেষ হয়েছে। এর আগের ১৬ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর টানা সাত হাজারে ছিল সূচক। এরপর ছয় হাজারে ছিল সূচক। এদিন লেনদেন হয়েছে মোট ১ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৪২ কোটি টাকা।
লেনদেনে ১৮২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে। কমেছে ১৫১টির। দর পাল্টায়নি ৪৫টির।
সূচক বাড়িয়েছে যেসব কোম্পানি
রোরবার সূচক বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল সিরামিক খাতের আরএকে সিরামিকের ৯১০ দশমিক ৪১ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৩৪ শতাংশ।
এ ছাড়া, দর বৃদ্ধিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবদান ছিল জিপিএইচ ইস্পাতের ৫৫৩.৯৬ পয়েন্ট।
ইউনিক হোটেলের অবদান ছিল ৪৮১.৭৫ পয়েন্ট। স্কয়ার টেক্সটাইলের শেয়ার দর এদিন বেড়েছে ৯.৮৪ শতাংশ। এতে সূচক বাড়তে সহায়ক ছিল ৪৫১.৮৯ পয়েন্ট।
এ ছাড়া, এদিন সূচকে ওয়ালটন হাইকেট ইন্ডাস্ট্রিস, ফরচুন, লিন্ডা বিডি, ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল ও এনভয় টেক্সটাইলের অবদান ছিল মোট ১৯১৪.৫২ পয়েন্ট।
রবি, বেক্সিমকো, বেক্সিমকোফার্মা, স্কয়ালফার্মা, লাফার্জ হোলসিম, তিতাস গ্যাস, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি, বার্জার বাংলাদেশ, বসুন্ধরা পেপারের শেয়ার দর কমায় সূচক পতনে ত্বরান্বিত করেছিল।
দর বৃ্দ্ধিতে ১০ কোম্পানি
রোববার দিনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে ১৫টি কোম্পানির। এর মধ্যে দুটি কোম্পানি আছে যাদের শেয়ার দর বেড়েছে ১০ শতাংশ।
এর মধ্যে স্বল্প মূলধনি কোম্পানি আজিজ পাইপ ও বিমা খাতের ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স রয়েছে। এদিন উভয় কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। এ ছাড়া, বিডি অটোসের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯৯ শতাংশ, যা পুঁজিবাজারে স্বল্পমূলধনি একটি কোম্পানি। ৯.৯৭ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্সের।
৯.৯৫ শতাংশ দর বেড়েছে এপেক্স ফুডের। এটিও পুঁজিবাজার স্বল্পমূলধনি একটি কোম্পানি। এ ছাড়া, ৯.৯৪ শতাংশ দর বেড়েছে মতিন স্পিনিংয়ের। ৩০ কোটি টাকার নিচে পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি শমরিতা হসপিটাল, রোববার যার শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯২ শতাংশ।
এ ছাড়া ফাইন ফুড, স্কয়ার ফার্মা, ফু ওয়াং ফুড, ফারইস্ট লাইফ, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স, তাল্লু স্পিনিংয়ের শেয়ার দর বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি। এরমধ্যে ফাইনফুড স্বল্পমূলধনি কোম্পানি।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
রোববার সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর কমেছে ডেফোডিল কম্পিউটারের ৫.৯৭ শতাংশ। এদিন আরও একটি কোম্পানির শেয়ার দর ৫ শতাংশের বেশি কমেছে। বসুন্ধরা পেপার কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে ৫.১৭ শতাংশ।
টেলিকম খাতের রবির শেয়ার দর রোববার কমেছে ৩.৬৭ শতাংশ। এ ছাড়া, ইস্টার্ন ক্যাবল, রানার অটোমোবাইল, বিচ হ্যাচারি, লাভেলো, ফনিক্স ফিন্যান্সের শেয়ার দর কমেছে ৩ শতাংশের বেশি। প্রিমিয়ার ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, ডেসকোও ছিল এই তালিকায়।
২ শতাংশের বেশি দর পতন হয়েছে রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের। এদিন কোম্পানির ২.৯৭ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে। এ ছাড়া, মীর আক্তার হোসাইনের শেয়ার দর কমেছে ২.৮৯ শতাংশ।
লেনদেনে সেরা ১০
লেনদেনে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। শেয়ার দর পতনে এদিন কোম্পানির শেয়ার প্রতি হারিয়েছে ৪ টাকা। ফলে ১৪৯ টাকার শেয়ার নেমে এসেছে ১৪৫ টাকায়। রোববার কোম্পানির ৮৭ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। হাতবদল হয়েছে ৫৯ লাখ ৬০ হাজার ৫৮৯টি শেয়ার।
এ ছাড়া, ফরচুন সুজের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৫৯ লাখ ১১ হাজার ৯৯টি।
আরএকে সিরামিকের ৭১ কোটি ৮০ লাখ, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ৬৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা, পাওয়ার গ্রিডের ৫৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা, ফারইস্ট লাইফের ৪৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ ছাড়া জিপিএইচ ইস্পাতের ৩৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। হাতবদল হয়েছে ৬১ লাখ ৩২ হাজার ৩২টি শেয়ার।
পেনিনসোলের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ২৫ লাখ টাকার, লাভেলোর ৩০ কোটি ৬৩ লাখ টাকার, তিতাস গ্যাসের ২৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য