গত বছরের সেপ্টেম্বরের আগের পুঁজিবাজারে স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর যে চাঙ্গাবস্থা ছিল সেটি চার মাসের ব্যবধানে আবারও হাতছানি দিচ্ছে।
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৯ শতাংশের বেশি দর বৃদ্ধি পেয়েছে ছয়টি। আর ৮ শতাংশের বেশি বেড়েছে চারটি।
পুঁজিাবজারে মূলত ৩০ কোটি টাকার নীচে যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন সেসব কোম্পানিকে স্বল্পমূলধনি কোম্পানি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
গত বছরের শুরুতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি মূলত পুঁজিবাজারে স্বল্প পরিশোধিত মূলধন ও লোকসানি কোম্পানিগুলোকে মূল ব্যবসায় ফেরানোর উদ্যোগ গ্রহণ করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বোর্ড ভেঙে দেয়াসহ বোর্ডে নতুন স্বাধীন পরিচালক নিয়োগের কার্যক্রম গ্রহণ করে।
এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আগ্রহ আগে স্বল্পমূলধনী কোম্পানিগুলোর প্রতি। এসব কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা কম থাকায় বিএসইসির উদ্যোগের খবরে শেয়ার বিক্রেতা কম যায় এবং শেয়ার কেনার আগ্রহ বাড়ায় হু হু করে বাড়তে থাকে দর।
যদিও সেপ্টেম্বরের পর স্বল্প মূলধনি এসব কোম্পানির উত্থান খুব বেশি নজরে আসেনি। তবে রোববার দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির স্বল্পমূলধনি হওয়ায় আগ্রহের নতুন মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে এসব কোম্পানিকে।
রোববার লেনদেনের শুরুতে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনার আগ্রহ যে মাত্রায় ছিল বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে থাকে। বিশেষ করে বেলা ১টা ২৫ মিনিটের পর শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান যেভাবে হয়েছিল শেষ দিকে সে গতি কমে আসে।
দিনে শেষে সূচক দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ১৯ পয়েন্টে। নতুন বছরের এখন পর্যন্ত ১১ দিন লেনদেন হয়েছে। বছরের শুরু হয়েছিল ৬ হাজার ৮৫৩ পয়েন্ট দিয়ে। সেখান থেকে অল্প অল্প করে সূচক বেড়ে ১১ জানুয়ারি ৭ হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করে।
১২ জানুয়ারি আবারও সূচক ৬ হাজার ৯৯৬ পয়েন্টে নেমে আসে। সবশেষ বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭ হাজার ১৭ পয়েন্টে দাঁড়ায়। রোবাবর এই সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট।
এ ছাড়া শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস দশমিক ২৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫০২ পয়েন্টে। বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ১৭ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট।
রোববার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো লেনদেন শেষে সূচক ৭ হাজারে শেষ হয়েছে। এর আগের ১৬ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর টানা সাত হাজারে ছিল সূচক। এরপর ছয় হাজারে ছিল সূচক। এদিন লেনদেন হয়েছে মোট ১ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৪২ কোটি টাকা।
লেনদেনে ১৮২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে। কমেছে ১৫১টির। দর পাল্টায়নি ৪৫টির।
সূচক বাড়িয়েছে যেসব কোম্পানি
রোরবার সূচক বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল সিরামিক খাতের আরএকে সিরামিকের ৯১০ দশমিক ৪১ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৩৪ শতাংশ।
এ ছাড়া, দর বৃদ্ধিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবদান ছিল জিপিএইচ ইস্পাতের ৫৫৩.৯৬ পয়েন্ট।
ইউনিক হোটেলের অবদান ছিল ৪৮১.৭৫ পয়েন্ট। স্কয়ার টেক্সটাইলের শেয়ার দর এদিন বেড়েছে ৯.৮৪ শতাংশ। এতে সূচক বাড়তে সহায়ক ছিল ৪৫১.৮৯ পয়েন্ট।
এ ছাড়া, এদিন সূচকে ওয়ালটন হাইকেট ইন্ডাস্ট্রিস, ফরচুন, লিন্ডা বিডি, ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল ও এনভয় টেক্সটাইলের অবদান ছিল মোট ১৯১৪.৫২ পয়েন্ট।
রবি, বেক্সিমকো, বেক্সিমকোফার্মা, স্কয়ালফার্মা, লাফার্জ হোলসিম, তিতাস গ্যাস, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি, বার্জার বাংলাদেশ, বসুন্ধরা পেপারের শেয়ার দর কমায় সূচক পতনে ত্বরান্বিত করেছিল।
দর বৃ্দ্ধিতে ১০ কোম্পানি
রোববার দিনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে ১৫টি কোম্পানির। এর মধ্যে দুটি কোম্পানি আছে যাদের শেয়ার দর বেড়েছে ১০ শতাংশ।
এর মধ্যে স্বল্প মূলধনি কোম্পানি আজিজ পাইপ ও বিমা খাতের ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স রয়েছে। এদিন উভয় কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। এ ছাড়া, বিডি অটোসের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯৯ শতাংশ, যা পুঁজিবাজারে স্বল্পমূলধনি একটি কোম্পানি। ৯.৯৭ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্সের।
৯.৯৫ শতাংশ দর বেড়েছে এপেক্স ফুডের। এটিও পুঁজিবাজার স্বল্পমূলধনি একটি কোম্পানি। এ ছাড়া, ৯.৯৪ শতাংশ দর বেড়েছে মতিন স্পিনিংয়ের। ৩০ কোটি টাকার নিচে পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি শমরিতা হসপিটাল, রোববার যার শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯২ শতাংশ।
এ ছাড়া ফাইন ফুড, স্কয়ার ফার্মা, ফু ওয়াং ফুড, ফারইস্ট লাইফ, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স, তাল্লু স্পিনিংয়ের শেয়ার দর বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি। এরমধ্যে ফাইনফুড স্বল্পমূলধনি কোম্পানি।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
রোববার সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর কমেছে ডেফোডিল কম্পিউটারের ৫.৯৭ শতাংশ। এদিন আরও একটি কোম্পানির শেয়ার দর ৫ শতাংশের বেশি কমেছে। বসুন্ধরা পেপার কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে ৫.১৭ শতাংশ।
টেলিকম খাতের রবির শেয়ার দর রোববার কমেছে ৩.৬৭ শতাংশ। এ ছাড়া, ইস্টার্ন ক্যাবল, রানার অটোমোবাইল, বিচ হ্যাচারি, লাভেলো, ফনিক্স ফিন্যান্সের শেয়ার দর কমেছে ৩ শতাংশের বেশি। প্রিমিয়ার ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, ডেসকোও ছিল এই তালিকায়।
২ শতাংশের বেশি দর পতন হয়েছে রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের। এদিন কোম্পানির ২.৯৭ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে। এ ছাড়া, মীর আক্তার হোসাইনের শেয়ার দর কমেছে ২.৮৯ শতাংশ।
লেনদেনে সেরা ১০
লেনদেনে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। শেয়ার দর পতনে এদিন কোম্পানির শেয়ার প্রতি হারিয়েছে ৪ টাকা। ফলে ১৪৯ টাকার শেয়ার নেমে এসেছে ১৪৫ টাকায়। রোববার কোম্পানির ৮৭ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। হাতবদল হয়েছে ৫৯ লাখ ৬০ হাজার ৫৮৯টি শেয়ার।
এ ছাড়া, ফরচুন সুজের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৫৯ লাখ ১১ হাজার ৯৯টি।
আরএকে সিরামিকের ৭১ কোটি ৮০ লাখ, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ৬৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা, পাওয়ার গ্রিডের ৫৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা, ফারইস্ট লাইফের ৪৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ ছাড়া জিপিএইচ ইস্পাতের ৩৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। হাতবদল হয়েছে ৬১ লাখ ৩২ হাজার ৩২টি শেয়ার।
পেনিনসোলের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ২৫ লাখ টাকার, লাভেলোর ৩০ কোটি ৬৩ লাখ টাকার, তিতাস গ্যাসের ২৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
মন্তব্য