জনস্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিতে জনপ্রতিনিধিদের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠদশ ও চলতি বছরের প্রথম অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিকেল চারটায় স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয় সংসদ অধিবেশন। রীতি অনুযায়ী শুরুতেই আনা হয় শোক প্রস্তাব। শোক প্রস্তাবের পর এক মিনিটের নিরবতা পালন করা হয়। এরপর বক্তব্য দেন রাষ্ট্র প্রধান।
বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস এবং তাদের সকল প্রত্যাশার কেন্দ্রবিন্দু জাতীয় সংসদ। জনপ্রতিনিধি হিসাবে জনস্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিতে হবে। আমি সরকারি দল ও বিরোধী দলের সকল সংসদ সদস্যদের এ মহান জাতীয় সংসদে যথাযথ ও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই।
‘নতুন প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেয়া আমাদের পবিত্র কর্তব্য। এ লক্ষ্যে গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং উন্নয়নের মত মৌলিক প্রশ্নে দল-মত, শ্রেণি ও পেশা নির্বিশেষে আপামর জনগণকে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আমি উদাত্ত আহ্বান জানাই।’
রাষ্ট্রপতির ভাষণে গুরুত্বের সঙ্গে উঠে আসে করোনা প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংক্রমণের কারণে বিগত দুবছর জনসাধারণের জীবন-জীবিকা হুমকির সম্মুখীন হয়। এ সময়ে জীবন রক্ষার পাশাপাশি আর্থসামাজিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাই ছিল সরকারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। আর্থসামাজিক এ সংকট মোকাবিলায় সরকার নিয়েছে হোল অব দ্যা গভর্নমেন্ট এ্যাপরোচ।
‘করোনা সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন প্রকার বিধি-নিষেধ আরোপ ও প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি ১৫৬টি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। এছাড়া করোনা পরীক্ষার জন্য ১৫১টি আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়। স্বাস্থ্যসেবা খাতে গত অর্থবছরের তুলনায় বাজেট বৃদ্ধি করা হয়েছে ১৩ শতাংশ। ইতোমধ্যে প্রায় ৭ কোটির অধিক জনগণকে টিকা দেয়া হয়েছে। শিগগিরই দেশের অধিকাংশ জনগণকে টিকার আওতায় আনা হবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে পৃথিবীর অন্যান্য যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ এবং সংক্রমণজনিত মৃত্যুর হার অপেক্ষাকৃত কম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাহসী, দূরদর্শী নেতৃত্ব ও অনুপ্রেরণায় আমরা এখন পর্যন্ত করোনা এবং এর অভিঘাত সফলভাবে মোকাবিলা করে যাচ্ছি।
‘তবে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন যাতে আমাদের দেশে সংক্রমণ ছড়াতে না পারে সেজন্য সরকারকে সতর্কতা অবলম্বনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রণোদনা দেয়ার তথ্য তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘করোনার কারণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক ঝুঁকি বৃদ্ধির পাশাপাশি বেসরকারি খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সংকট মোকাবিলায় বৃহৎ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহে আর্থিক সহায়তাসহ বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকার দেশের আপামর জনসাধারণকে সুখ-স্বাচ্ছন্দে রাখতে সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে।’
‘এ লক্ষ্যে সরকার প্রদত্ত ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে ৬ কোটি ৭৪ লাখ ৬৩ হাজারের অধিক জনগণ এবং ১ লাখ ১৭ হাজারের অধিক প্রতিষ্ঠান উপকৃত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘করোনা সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করে ইতিবাচক অর্থনৈতিক অগ্রগতি অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়েছে, যা সামষ্টিক অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামকসমূহ ও সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি বিশ্লেষণে প্রতিফলিত হয়। করোনা মহামারি শুরুর পূর্বে ২০১৫-১৬ অর্থবছর হতে ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, যা করোনাকালীন হ্রাস পায়।
‘তবে সরকারের বিভিন্ন টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে নানামুখী আর্থসামাজিক ও বিনিয়োগধর্মী প্রকল্প, কর্মসূচি এবং কার্যক্রম গ্রহণের ফলে ইতোমধ্যে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের জিডিপির ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধির তুলনায় সাময়িক হিসাব অনুযায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক চার-তিন শতাংশে, যা আশাব্যাঞ্জক।’
চিকিৎসাখাতে গবেষণা বৃদ্ধির উদ্দেশে চার বিভাগে চারটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হচ্ছে বলেও জানান রাষ্ট্রপ্রধান। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা-শিক্ষার সম্প্রসারণ ও গুণগত মান-উন্নয়নে দেশে ৩৭টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করা হয়েছে। উচ্চতর চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণার উদ্দেশে ৪টি বিভাগে ৪টি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
‘চিকিৎসা শিক্ষা প্রদানকারীদের মান তদারকি ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন আইন, ২০২০’ প্রণয়নের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর নেয়া গৃহহীনকে ঘর দেয়া কর্মসূচির বিষয়টিও উঠে আসে রাষ্ট্রপতির বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষে দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৯৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতক সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সেমি-পাকা গৃহ নির্মাণ করে বিনামূল্যে উপকারভোগী স্বামী-স্ত্রীকে এর যৌথ মালিকানা প্রদান করা হয়েছে।
‘সকলের জন্য পরিকল্পিত আবাসন সুনিশ্চিতকরণে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে বস্তিবাসীদের জন্য ৩০০টি ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ৫০০টি গৃহনির্মাণে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের অনুকূলে ৮ কোটি ৯৩ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘উদ্যাপন উপলক্ষ্যে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে ৪ হাজার ১২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার বাসস্থান প্রদান করা হবে। এ সকল কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসন বিশ্বে সর্ববৃহৎ ও সর্বপ্রথম।
‘দেশের ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের দারিদ্র্য বিমোচনের ধারণা মানবিকতার নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ ধারণা ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের শেখ হাসিনা মডেল’ হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। এজন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি,’ যোগ করেন তিনি।
দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সমুন্নত রাখতে সরকারের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ‘নিরবচ্ছিন্ন, নিরাপদ ও সময়-সাশ্রয়ী সড়ক যোগাযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নিরবচ্ছিন্ন মহাসড়ক নেটওয়ার্ক ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে ২৬টি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
‘২০২০-২১ অর্থবছরে ৯৬২ কিলোমিটারের অধিক মহাসড়ক মজবুতিকরণ, ১ হাজার ১০৭ কিলোমিটার মহাসড়ক প্রশস্তকরণ, ৭৪ কিলোমিটার মহাসড়কে রিজিড পেভমেণ্ট নির্মাণ, ১৯২টি সেতু ও ৭৭৯টি কালভার্ট নির্মাণ এবং প্রায় ৩ হাজার ১৪৫ কিলোমিটার মহাসড়ক সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। সরকার ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত ৪৫৮ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক চার বা তদূর্ধ্ব লেনে উন্নীত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সার্ভিস লেনসহ ৭১৯ কিলোমিটার এবং সার্ভিস লেন ব্যতীত ১৬৮ কিলোমিটার মহাসড়ক ৪-লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলমান রয়েছে। ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসন এবং পরিবেশ উন্নয়নে ছয়টি এমআরটি লাইন নির্মাণের লক্ষ্যে সরকার সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা-২০৩০ গ্রহণ করেছে।
‘এর মধ্যে এমআরটি লাইন ছয়-এর নির্মাণকাজ ৭৪ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে এবং দশ সেট মেট্রো ট্রেন বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশে প্রথম মেট্রোরেল চলাচল শুরু করবে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে অন্যান্য অঞ্চলের সুষ্ঠু এবং সমম্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিজস্ব অর্থায়নে ৯ দশমিক আট-তিন কিলোমিটার দীর্ঘ আইকনিক পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে যা ২০২২ সালের জুন নাগাদ সম্পন্ন হবে।
‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ জুন ২০২৩ সাল নাগাদ সম্পন্ন হবে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে তিন দশমিক চার কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বহু-লেন টানেলের দ্বিতীয় টানেলের নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সাভার ইপিজেড পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’ প্রকল্পের নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের সকল জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। রেলওয়েকে আধুনিক, যুগোপযোগী গণপরিবহন হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান অর্থবছরে প্রায় ১৩ হাজার ৩৭১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মোট ৩৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।
‘ঢাকা শহরের চতুর্দিকে সার্কুলার রেললাইন নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলছে। পদ্মা সেতুর সঙ্গে পদ্মা সেতু রেল লিংকের ভায়াডাক্ট সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের রোলিং-স্টক সংকট নিরসনে ১৪০টি লোকোমোটিভ, ৯০০ যাত্রীবাহী কোচ সংগ্রহ এবং ১০৩টি স্টেশনের সিগন্যালিং ও ইন্টারলকিং ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ করা হয়েছে।’
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘দেশীয় পর্যটন শিল্পের সার্বিক উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে একটি স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দেশের ক্রমবর্ধমান যাত্রী চাহিদা ও পর্যটন শিল্পের উন্নয়নকল্পে প্রায় ২১ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
‘কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার লক্ষ্যে এর রানওয়ে সম্প্রসারণের পাশাপাশি একটি আন্তর্জাতিক মানের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবনের নির্মাণকাজ চলছে। নতুন প্রজন্মের ১৬টি উড়োজাহাজ সংযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে ও সেই সঙ্গে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দিয়েছে।
পূর্বাভাসে সিনপটিক অস্থান নিয়ে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
শনিবারের তাপমাত্রা নিয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।
তাপপ্রবাহ নিয়ে বলা আছে, রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশালের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে যা অব্যাহত থাকতে পারে।
বৃষ্টিপাত নিয়ে বলা আছে, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্য স্থানে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আরও পড়ুন:কদিন ধরেই তীব্র গরম। দেশের কোথাও মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে, তবে গরম অবশ্য কমছে না। আবহাওয়া আপাতত এমনই থাকবে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এতে বলা হয়, একই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
অধিদপ্তর বলছে, রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়ার সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আগামী পাঁচ দিনের পূর্বভাসে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহ প্রায় একই রকম থাকতে পারে। আবহাওয়ায় তেমন পরিবতর্তন আসবে না।
দেশে চলমান দাবদাহ শুক্রবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি শুক্রবার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় এ কথা জানায়।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল, ২০২৪) হতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
‘জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।’
৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস
আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলেছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে রয়েছে।
তাপপ্রবাহ বা দাবদাহের বিষয়ে বলা হয়, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা এবং ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন:প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়িয়েছে এক হাজর ৭৮৬ জন। মাঠ পর্যায় থেকে পাঠনো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল, আর বৈধতা পেয়েছে এক হাজার ৭৮৬ প্রার্থীর।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আপিল করা যাবে। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। এরপর প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল এবং ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৮ মে।
অপপ্রচার রোধে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরাফাত বলেন, ‘অপপ্রচার রোধে ভারতের কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ করে। তারা কীভাবে কাজ করে, তাদের অভিজ্ঞতা এবং প্রক্রিয়া-পদ্ধতি বিনিময় জানা-বোঝার চেষ্টা করব। এক্ষেত্রে কোনো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে আমরা তাদের কাছ থেকে সহায়তা নেব।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যেসব কো-অপারেশন আছে, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে বিটিভিতে দুই ঘণ্টার একটি চাংক নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণ, চলমান ঘটনাপ্রবাহ এবং সংবাদ উপস্থাপনা শুরু করতে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে ভারতের যে সংবাদ সংস্থাগুলো আছে, বিশেষ করে এএনআইয়ের সঙ্গে কোলাবরেশন করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
‘যেহেতু বিটিভি ইন্ডিয়াতে দেখানো হয়, সেহেতু দুই ঘণ্টার এ চাংক আমরা ধীরে ধীরে দুই, তিন, চার ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়াব। আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী করতে চাচ্ছি, যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের খবর থাকবে। এর বাইরেও বিভিন্ন দেশের খবর থাকবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব ভারতীয় দর্শকদের আকৃষ্ট করতে। এ ছাড়া ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন নিয়ে ইনস্টিটিউশন আছে, তাদের সঙ্গে কোলাবরেশন করা, বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম ও ট্রেনিং করা।’
‘সম্প্রতি মুজিব শিরোনামের যে সিনেমাটি সহ-প্রযোজনা হয়েছে, এমন অন্য কোনো সিনেমায় সহ-প্রযোজনার সুযোগ আছে কি না তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে’- যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
ভারতের সিনেমা যেহেতু বাংলাদেশের বাজারে চলে সেহেতু বাংলাদেশেরও ভালো মানের সিনেমা ভারতে চালানোর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দর্শককে জোর করে কিছু দেখানো যায় না। বাজারে কোনো জিনিসের চাহিদা থাকলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাবে-আসবে। সিনেমা যেহেতু প্রোডাক্ট, সেহেতু ভারতের বাজারে দর্শক থাকলে অবশ্যই যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আরও কো-অপারেশনের সুযোগ আছে, সেসব নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমি মনে করি- বাংলাদেশ এ বিষয়ে বেশি লাভবান হবে। কারণ ভারতের ফিল্মে, টেলিভিশনে বা অন্যান্য জায়গায় যে অভিজ্ঞতা আছে, তা আমরা যত বেশি নেয়ার চেষ্টা করা যায়। দেশের উন্নয়নের জন্য এসব জরুরি।’
আরও পড়ুন:সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি অর্জনে অবদান রাখতে এবং দেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করায় অবদান রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবকিছু করছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে ‘ডিফেন্স ডিপ্লোমেসি: স্ট্র্যাটেজি ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সূত্র: ইউএনবি
সেনাপ্রধান বলেন, ‘মাতৃভূমিকে রক্ষা করা, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য এবং আমরা তার জন্য প্রস্তুত আছি। আমরা সবকিছুই করছি।’
বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতির বাণী ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নে আমরা সবকিছু করছি।’
জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রেখে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘কূটনীতি যেকোনো ধরনের জাতীয় স্বার্থ অর্জনের প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।’
বেসামরিক শক্তির সহায়তায় সেনাবাহিনী কীভাবে দেশে গঠনমূলক কর্মকাণ্ড, দেশ-বিদেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
সেনাপ্রধান বলেন, ‘যেখানেই সুযোগ আছে, তা প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষ, আমরা সুযোগ গ্রহণ করি এবং বাংলাদেশের স্বার্থে সবকিছু করি।’
সামরিক কূটনীতির কথা বলতে গিয়ে জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আরও সম্পদ ও বাজেট বরাদ্দ করে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। আমরা জানি কীভাবে এটা করতে হয়। কিন্তু আমাদের এটা করার সামর্থ্য থাকা উচিত।’
মিয়ানমার ইস্যু প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের কেউ কেউ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হচ্ছেন এবং এখানে নিজেদের সমস্যায় ফেলার ঝুঁকি রয়েছে।
‘এক বন্ধুকে খুশি করার জন্য আমরা আরেক বন্ধুর বিরোধিতা করতে পারি না। বেশকিছু বিষয় রয়েছে যা আমাদের খেয়াল করতে হবে। এসব ঘটনার প্রভাবও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এবং আমরা সঠিক পথেই রয়েছি।’
জেনারেল শফিউদ্দিন বলেন, দূর থেকে চালানো যায় এমন কিছু যানবাহন দেশেই তৈরি হচ্ছে যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য বেশ উপকারে আসবে। আগে এসব যন্ত্রপাতি আমদানি করতে হতো। তাই এখন আমাদের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে।’
সেনাপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কেবল যুদ্ধে লড়াই করাই শেখে না, বরং জাতীয় স্বার্থে কীভাবে যুদ্ধ প্রতিরোধ বা এড়াতে হয় তা-ও জানে। আমরা সঠিক পথেই আছি এবং আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবো না।’
একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা সামরিক বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব। এটি তারা কখনও ভুলে যায় না এবং এ কাজে সবসময় তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
‘উদ্দেশ্য রাতারাতি পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু সক্ষমতা রাতারাতি পরিবর্তন হয় না। আজ আপনি আমার বন্ধু, আগামীকাল বন্ধু না-ও হতে পারেন। কিন্তু জাতীয় স্বার্থ, মাতৃভূমি রক্ষায় আমাদের সক্ষমতা থাকতে হবে- পররাষ্ট্রনীতির এই আদেশ আমাদের সবার জন্য সমান।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকার ও মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক খান।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
বিজিবি মহাপরিচালক বৃহস্পতিবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের কোয়ার্টার গার্ড পরিদর্শন শেষে বিজিবি কার্যালয় পরিদর্শন করেন। দুপুরে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়া প্রতিবেশী দেশটির জান্তা বাহিনীর সদস্যদের খোঁজখবর নেন তিনি।
পরে তিনি ১১ বিজিবির অধীন চাকঢালা বিওপি (বর্ডার অবজারবেশন পোস্ট) পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি মিয়ানমার থেকে জান্তা বাহিনীর সদস্যদের পালিয়ে আসার স্পটগুলো সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। সীমান্তে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন।
পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে ছিলেন কক্সবাজার রিজিয়ন কমন্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোরশেদ আলমসহ বিজিবি রামুর সেক্টর ও অধীনস্ত বিজিবি ব্যাটালিয়নে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি’র জোন কমন্ডার ও অধিনায়ক লে. কর্নেল সাহল আহমদ এসিসহ বিজিবির কর্মকর্তারা।
মন্তব্য