× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The throne of the A League government is being toppled Rizvi
google_news print-icon

আ.লীগ সরকারের সিংহাসন টলোমলো করছে: রিজভী

আলীগ-সরকারের-সিংহাসন-টলোমলো-করছে-রিজভী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক তাজমেরী ইসলামের মুক্তি দাবিতে মানববন্ধনে বক্তব্য দিচ্ছেন রুহুল কবির রিজভী। ছবি: নিউজবাংলা
রিজভী বলেন, ‘সবাই আজ সরকারকে ধিক্কার দিচ্ছে, চারিদিকে সমালোচনার ঝড় বইছে। আপনি যত বাঁশ দিয়ে, কাঠ দিয়ে, আপনার সিংহাসন ধরে রাখতে চেষ্টা করেন না কেন, পতন আসন্ন। এই পতনকে কেউ ঠেকাতে পারবে না।’

আওয়ামী লীগ সরকারের সিংহাসন টলোমলো করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বলেছেন, ক্ষমতাসীনদের পতন আসন্ন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তাজমেরী এস ইসলামের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী টিভিতে কথায় কথায় চোখের পানি ফেলেন। আসলে সেটা হচ্ছে তার মায়াকান্না। অন্যের কষ্টে তিনি অশ্রু ঝরান না।

‘বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক তাজমেরীকে এই অবৈধ সরকারের নির্দেশে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর আমরা বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করি। আগামীতে আমরা ১৪ ডিসেম্বর ‘বুদ্ধিজীবী নির্যাতন দিবস’ পালন করব।’

বিএনপি নেতাকর্মীদের গুম করার অভিযোগ তুলে রিজভী বলেন, ‘এখন যারা গুম হয়েছেন তাদের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্টেটমেন্ট লিখছে। আর ওখানে (স্টেটমেন্টে) সই করতে বলছে পরিবারের সদস্যদের। পুলিশের হুমকির মুখে কয়জন টিকবে? এসব করে সরকার বিশ্ববিবেককে বিভ্রান্ত করছে।’

তিনি বলেন, ‘সবাই আজ সরকারকে ধিক্কার দিচ্ছে, চারিদিকে সমালোচনার ঝড় বইছে। আপনি যত বাঁশ দিয়ে, কাঠ দিয়ে, আপনার সিংহাসন ধরে রাখতে চেষ্টা করেন না কেন, পতন আসন্ন। এই পতনকে কেউ ঠেকাতে পারবে না।

‘আপনার (প্রধানমন্ত্রী) সিংহাসন এখন টলোমলো করা শুরু হয়েছে। লাস্ট পেরেকটা সরকারের কফিনে আপনিই মেরেছেন তাজমেরী ইসলামের মতো একজন শিক্ষাবিদকে কারাগারে পাঠিয়ে। এতে আমরা বিচলিত নই। বরং আমরা উজ্জীবিত।’

সরকারের পতন আসন্ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান বলেছেন, ফয়সালা হবে রাজপথে। এই ফয়সালা গণতন্ত্রের ফয়সালা। এই জয়যাত্রা খুব কাছে। আপনার ফ্যাসিবাদী সরকার বাংলাদেশ থেকে নিঃশেষ হয়ে যাবে।’

রিজভী বলেন, ‘আমি তাজমেরী ইসলামের এই মুহূর্তে মুক্তি দাবি করছি। তা না হলে আন্দোলনের এমন দাবানল তৈরি হবে, সেই দাবানলে প্রধানমন্ত্রী আপনাকে যারা পাহারা দেয় তাদের কেউ রেহাই পাবে না। আপনার পতন হবেই।’

২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর উত্তরা পশ্চিম থানায় করা এক মামলায় ১৩ জানুয়ারি তাজমেরী ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন:
ন্যায়বিচারে বাধা তৈরি করতে চক্রান্ত হচ্ছে: রিজভী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Agitation until an elected government is established Salahuddin
চট্টগ্রামে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ

নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন: সালাউদ্দীন

নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন: সালাউদ্দীন বিশ্ব গণতন্ত্র দিবসে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীতে মিছিল বের করে বিএনপি। ছবি: নিউজবাংলা
জয়নাল আবদীন ফারুক বলেন, ‘রাষ্ট্রের অতি জরুরি কিছু সংস্কার করে দ্রুত নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সংসদ ও সরকার গঠন করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। উন্নয়ন যেমন গণতন্ত্রের বিকল্প নয়, তেমনই সংস্কারও ভোটের বিকল্প নয়।’

নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন জারি রাখার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দীন আহমেদ।

বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর আলমাস মোড়ে গণতন্ত্রের শোভাযাত্রা-পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান। কেন্দ্রীয়ভাবে ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই সমাবেশ ও শোভাযাত্রার আয়োজন করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপি।

সালাউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি আলমাস মোড় হয়ে কাজীর দেউরী, লাভ লেইন, জুবলী রোড, নিউমার্কেট, কোতোয়ালি হয়ে লালদিঘি পাড়ে গিয়ে শেষ হয়।

নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন: সালাউদ্দীন
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর আলমাস মোড়ে শোভাযাত্রা-পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন সালাউদ্দীন আহমেদ। ছবি: নিউজবাংলা

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে সমাবেশটি পরিচালনা করেন সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।

কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, জয়নাল আবদীন ফারুক, গোলাম আকবর খোন্দকার, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় শোভাযাত্রার সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীম ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন।

সালাউদ্দীন আহমেদ বলেন, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রবর্তন আমরা করেছিলাম। তা হয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বে, বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে। সেই কেয়ারটেকার সরকার বিলুপ্ত করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নতুনভাবে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনের প্রবর্তন করেন।

‘অন্তহীন সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষা, রক্ত, শ্রম আর প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশের মানুষ পুনরায় স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এই স্বাধীনতা, এই গণতন্ত্রের জন্য যারা যুদ্ধ করেছে, বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য যারা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে, তাদের মধ্যে বাংলাদেশে প্রথম শহীদ রংপুরের সাঈদ। দ্বিতীয় শহীদ চকরিয়ার পেকুয়ার সন্তান, আমার সন্তান ওয়াসিম।’

তিনি বলেন, ‘সব গণতান্ত্রিক সংগ্রামে-আন্দোলনে, যুদ্ধে চট্টগ্রাম সবসময় নেতৃত্ব দিয়েছে। আপনারা যদি মনে করেন যে সবকিছু এমনি এমনি এসেছে, তাহলে এটা ভুল কথা। এই গণঅভ্যুত্থানে, এই গণবিপ্লবে শহীদদের মধ্যে ৪২২ জন বিএনপির নেতাকর্মী। ১১৩ জনের বেশি ছাত্রদলের নেতাকর্মী।

‘এই আন্দোলন সংগ্রামে সাতশ’র বেশি মানুষ গুম-খুনের শিকার হয়েছে, যার মধ্যে ৪২৩ জন শুধু বিএনপির নেতাকর্মী। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে দুই হাজার ৭০০ মানুষ বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে, বিচারবর্হিভূত হত্যার শিকার হয়েছে। তাদের মধ্যে শত শত মানুষ বিএনপির নেতাকর্মী।

তিনি বলেন, ‘এত রক্ত, এত ঘাম, এত প্রাণ, এত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা অর্জন করেছি বাংলাদেশে নতুন স্বাধীনতা দিবস, বাংলাদেশের নতুন গণতন্ত্র দিবস। বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রকে ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে।

‘কিন্তু গণতন্ত্র, এই নতুন স্বাধীনতা, এই বিজয়কে যদি আপনারা অর্থবহ করতে চান, তাহলে ধৈর্য্য ধরতে হবে। আন্দোলন জারি রাখতে হবে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করতে হবে। প্রকৃত গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যতদিন পর্যন্ত একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হবে, সংসদ প্রতিষ্ঠিত না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা রাজপথে এই আন্দোলন অব্যাহত রাখবো।’

বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশে গণহত্যাকারীদের আর কোনোদিন জায়গা হবে না। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের, গণহত্যাকারীদের কোনো রাজনীতি চলবে না। যদি গণহত্যাকারীদের রাজনীতি চলে, তাহলে বাংলাদেশ আবার পরাধীন হবে। কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের এখানে তাঁবেদারি চলবে না।

‘যদি সত্যিকারভাবে স্বাধীন-সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, সাম্যভিত্তিক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চাইলে শহীদদের রক্তের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আমাদের পরস্পরের অধিকারকে স্বীকৃতি দিতে হবে। কেউ আইনের চেয়ে বড় নন।’

সালাউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং উপদেষ্টাবৃন্দকে আহ্বান জানাই, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনমুখী সংস্কার সাধন করুন এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করুন।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, বিগত ১৭ বছর নির্যাতনের পরও বিএনপিকে স্তব্ধ করতে পারেনি। আগামী ১৭ বছর চেষ্টা করলেও পারবে না। রাত যত গভীর হয় ভোর তত নিকটে আসে।

‘আওয়ামী লীগ মনে করেছিল ভোর বুঝি আর হবে না। কিন্তু সকাল ঠিকই হয়েছে। শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। হাসিনার মত স্বৈরশাসক ইতিহাসেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে তাই বলে আমাদের নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় আওয়ামী লীগের কেউ যেন আশ্রয় না পায়। আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেক টাকা। তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’

আবুল খায়ের ভূইয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশকে ভঙ্গুর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়ে জবরদস্তির শাসন কায়েম করেছিল। জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিতদের শাসন ফিরিয়ে আনাই হবে রাষ্ট্রের বড় সংস্কার।’

জয়নাল আবদীন ফারুক বলেন, ‘স্বৈরাচারের পতনের পর গণতন্ত্রের পথে নতুন করে অভিযাত্রা শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রের অতি জরুরি কিছু সংস্কার করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সংসদ ও সরকার গঠন করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। উন্নয়ন যেমন গণতন্ত্রের বিকল্প নয়, তেমনই সংস্কারও ভোটের বিকল্প নয়।’

আরও পড়ুন:
সংস্কারের নামে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করবেন না: গয়েশ্বর
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে সমাবেশ বিএনপির
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিএনপির ৪২২ জন নিহত: ফখরুল
সিলেটে এবার মাঠের শক্তি দেখাতে নামছে বিএনপি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dont create new Vaishyam in the name of reforms Gayeshwar
খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ

সংস্কারের নামে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করবেন না: গয়েশ্বর

সংস্কারের নামে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করবেন না: গয়েশ্বর নগরীর শিববাড়ী মোড়ে মঙ্গলবার বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন গয়েশ্বর রায়। ছবি: নিউজবাংলা
বিএনপি ও তারেক রহমান সম্পর্কে দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা না বলার হুশিয়ারি উচ্চারণ করে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘আমাদেরকে বিরোধী দলে ঠেলে দেবেন না। উস্কানিমূলক মন্তব্য করলে দলের নেতাকর্মীরা চুপ করে বসে থাকবে না।’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য যেসব সংস্কারের পদক্ষেপ নিতে হবে এবং যতটুকু সময় প্রয়োজন সে পর্যন্ত অন্তর্বতীকালীন সরকারকে বিএনপি সমর্থন দেবে।

বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত শোভাযাত্রা-পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর রায় এসব কথা বলেন।

সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার না হওয়ার সমালোচনা করেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম এই সদস্য।

তিনি বলেন, ‘আপনাদের নামের মামলাগুলো তো প্রত্যাহার করে নিলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধের মামলাগুলো কেন এতোদিনেও প্রত্যাহার করে নিলেন না।

‘গত ১৬ বছরে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পতন আন্দোলনে কি আমরা রক্ত দেইনি? আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী খুন হয়েছে, গুম হয়েছে। বৈষম্যহীন সংস্কারের নামে নতুন করে বৈষম্যের সৃষ্টি করবেন না।’

সংস্কারের নামে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করবেন না: গয়েশ্বর

বিএনপি ও তারেক রহমান সম্পর্কে দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা না বলার হুশিয়ারি উচ্চারণ করে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘আমাদেরকে বিরোধী দলে ঠেলে দেবেন না। উস্কানিমূলক মন্তব্য করলে দলের নেতাকর্মীরা চুপ করে বসে থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা ১৬ বছর ধরে আন্দোলন করেছে। তাকে ১৬ দিনের হিসাবে বিচার করলে চলবে না। সরকারের পতন হয়েছে, কিন্তু জনগণ এখনও গণতন্ত্র ফেরত পায়নি।

‘ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট নিজের হাতে না দেয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না। এতোদিন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসরদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেছি। এখন অদৃশ্য ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবেলা করতে বিএনপি নেতাকর্মী-সমর্থকরা প্রস্তুত।’

আইন উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে অবিলম্বে সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাজনৈতিক মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

বিএনপির বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘জনপ্রশাসন উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার সূক্ষ্মভাবে আওয়ামী দোসরদের দিয়ে প্রশাসন সাজাচ্ছেন। এর ফল ভালো হবে না।

‘শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী দোসরদের জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলকে ধূলিসাৎ করে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করে গণহত্যাকারীদের ফিরে আসার পথ সুগম করছেন।’

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের গেল ১৬ বছরে খুলনার খালিশপুরে বন্ধ সব পাটকল চালুর উদ্যোগ নিতে হবে। আওয়ামী স্বৈরাচার ও তাদের দোসরদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

‘বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী-সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে- যেন স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা দেশে আবারও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ও গণহত্যা চালাতে না পারে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির জাতীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেন, ‘সংগ্রাম কিন্তু শেষ হয়নি। সব ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে।

‘ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করি। এই সরকারের ব্যর্থতা মানে বাংলাদেশের ব্যর্থতা। এই সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠনের দিকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

নগরীর শিববাড়ী মোড়ে জিয়া হলের সামনে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শিববাড়ী মোড় থেকে লোয়ার যশোর (খান এ সবুর) রোড হয়ে পাওয়ার হাউজ মোড়, ফেরিঘাট মোড়, ডাকবাংলো মোড়, পিকচার প্যালেস মোড় হয়ে খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দান, খুলনা জিলা স্কুলের সামনে ঘুরে কে.ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

দুপুর গড়াতেই বিভাগের ১০ জেলার বিভিন্ন ইউনিট থেকে আসা বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এতে অংশ নেন।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবীব, খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে সমাবেশ বিএনপির
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিএনপির ৪২২ জন নিহত: ফখরুল
সিলেটে এবার মাঠের শক্তি দেখাতে নামছে বিএনপি
খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিখোঁজ কর্মীকে উদ্ধার
হাসিনার প্রেতাত্মারা দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র করছে: ডা. জাহিদ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The mass solidarity movement got EC registration

ইসির নিবন্ধন পেল গণসংহতি আন্দোলন

ইসির নিবন্ধন পেল গণসংহতি আন্দোলন
নির্বাচন কমিশনের সচিব শফিউল আজিম মঙ্গলবার গণসংহতি আন্দোলনের একটি প্রতিনিধি দলের কাছে দলটির নিবন্ধন সনদ হস্তান্তর করেন। দলটির প্রতীক ‘মাথাল’। নিবন্ধন নম্বর ৫৩।

রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেল জুনায়েদ সাকির নেতৃত্বাধীন ‘গণসংহতি আন্দোলন’। দলটিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর (চ্যাপটার ৬এ) বিধানবলে নিবন্ধন দেয়া হয়েছে। দলটির প্রতীক ‘মাথাল’। নিবন্ধন নম্বর ৫৩।

নির্বাচন কমিশনের সচিব শফিউল আজিম মঙ্গলবার গণসংহতি আন্দোলনের একটি প্রতিনিধি দলের কাছে দলটির নিবন্ধন সনদ হস্তান্তর করেন।

নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম স্বাক্ষরিত নিবন্ধন সংক্রান্ত গেজেটে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশনে দেয়া রায় ও আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ‘দ্য রিপ্রেজেন্টেশন অফ দ্য পিপল অর্ডার, ১৯৭২ চ্যাপ্টার ৬এ-এর বিধান অনুযায়ী গণসংহতি আন্দোলনকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করেছে।

জানা গেছে, রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করে গণসংহতি আন্দোলন। তবে ইসি থেকে তা অগ্রাহ্য হওয়ায় গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক মো. জোনায়েদ সাকি হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন দিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল আবেদন করেন। তবে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের পর কমিশন তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে।

জানা গেছে, গত ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগের আগে বিদায়ী হাবিবুল আওয়াল কমিশন আপিল না চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে নির্বাচন কমিশনের করা আবেদন প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। একই দিনে দলটির বিষয়ে কারও কোনও দাবি-আপত্তি রয়েছে কিনা, সেজন্য ছয় দিনের সময় দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব। গত রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ছিল তার শেষ সময়।

আরও পড়ুন:
রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে ইসি গঠন হওয়া উচিত: বদিউল আলম
সিইসিসহ ৫ কমিশনারের পদত্যাগপত্র গ্রহণ রাষ্ট্রপতির
সিইসি হাবিবুল আউয়ালসহ কমিশনারদের পদত্যাগ
পদত্যাগের ঘোষণা দিতে যাচ্ছে আউয়াল কমিশন! 
সালমান রহমানমুক্ত আইএফআইসি ব্যাংকে নতুন পর্ষদ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP rally in Nayapaltan on the occasion of International Democracy Day

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে সমাবেশ বিএনপির

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে সমাবেশ বিএনপির আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে উপস্থিত বিএনপি নেতা-কর্মীদের একাংশ। ছবি: বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ
সমাবেশে যোগ দিতে দুপুর ১২টা থেকেই স্লোগান দিতে দিতে দলীয় পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেছে বিএনপি।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে দুপুর বেড়া আড়াইটার দিকে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

সমাবেশে যোগ দিতে দুপুর ১২টা থেকেই স্লোগান দিতে দিতে দলীয় পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

এর আগে বুধবার আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে গত ১৭ বছরে কর্তৃত্ববাদী শাসনবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ও আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল বিএনপি। পরে সমাবেশের তারিখ পিছিয়ে মঙ্গলবার নির্ধারণ করা হয়।

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়াপল্টনের সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন, যেখানে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আরও পড়ুন:
নেত্রকোণায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি নেতা বহিষ্কার
হাসিনার প্রেতাত্মারা দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র করছে: ডা. জাহিদ
নির্বাচন কমিশন ও দুদক পুনর্গঠনের দাবি বিএনপির
মানহানির পাঁচ মামলায় খালেদা জিয়াকে খালাস
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠার শপথ নিয়েছে বিএনপি: ফখরুল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The people will not accept if the interim government lasts long

অন্তর্বর্তী সরকার বেশিদিন থাকলে জনগণ মেনে নেবে না: ফখরুল

অন্তর্বর্তী সরকার বেশিদিন থাকলে জনগণ মেনে নেবে না: ফখরুল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। ফাইল ছবি
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাখতে বেশ কিছু সংগঠন ও গোষ্ঠী ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) একেবারেই পরিবর্তন করে দেবে। সব সংস্কার তারাই করে দেবে। তাহলে তো জনগণের দরকার নেই, পার্লামেন্টের দরকার নেই।’

অন্তর্বর্তী সরকার বেশিদিন থাকলে জনগণ তা মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘একটি জরিপে বলা হয়েছে- ৮০ শতাংশ লোক চায় যে যতদিন খুশি এই সরকার থাকবে। জানি না এই কথা তারা কোথা থেকে পেল, কীভাবে পেল। কিন্তু জনগণ এটা কোনোদিনই মেনে নেবে না।’

পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এই আলোচনা সভা আয়োজন করে।

ওই জরিপের প্রসঙ্গ তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি পত্রিকার নাম বলছি না। একটা জরিপের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি লিখেছে। এই জরিপ কারা করেছে আমি ঠিক বলতে পারব না। এ ধরনের কথা, রিপোর্ট আমার মনে হয় ভেবেচিন্তে করা উচিত। যেন বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয় সে বিষয়টি আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাখতে বেশ কিছু সংগঠন ও গোষ্ঠী ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) একেবারেই পরিবর্তন করে দেবে। সব সংস্কার তারাই করে দেবে। তাহলে তো জনগণের দরকার নেই, পার্লামেন্টের দরকার নেই।’

নতুন দল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে সুযোগ তৈরি করেছে সামনে এগিয়ে যাওয়ার, আমাদের ব্যবস্থাকে জনগণ যেভাবে চায় সেভাবে নিয়ে আসার। সেটা কি নস্যাৎ করার জন্য ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে?

‘যারা দায়িত্ব পেয়েছেন, এই সরকার যাদের দায়িত্ব দিয়েছে, তাদের মধ্য থেকে যখন বলেন নতুন দল তৈরি করতে হবে, তখন বিস্মিত না হয়ে পারা যায় না। যদি বলেন নতুন দল তৈরি করতে হবে, তাহলে জনগণ কী করে বুঝবে যে তারা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছেন?’

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। এ সময় আরও বক্তব্য দেন জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, কে এম জাবির, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব আবু ইউসুফ সেলিম ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম।

আরও পড়ুন:
ভারত প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আধিপত্যের রাজনীতি করে যাচ্ছে: ফখরুল
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠার শপথ নিয়েছে বিএনপি: ফখরুল
বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করতে এলে পুলিশে দিন: ফখরুল
১৫ বছরে সব গুমের ঘটনা জাতিসংঘের অধীনে তদন্ত চাই: ফখরুল
প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দেবে: ফখরুল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Illegal weapons in the hands of Awami League are being used against people Rizvi

আওয়ামী লীগের হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্র জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার হচ্ছে: রিজভী

আওয়ামী লীগের হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্র জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার হচ্ছে: রিজভী বগুড়া সদরের চক আকাশতারা গ্রামে সোমবার অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘কয়েকদিন আগে শুনলাম শেখ হাসিনা সীমান্তের কাছাকাছি আছেন। তিনি দেশে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর এ খবর পেয়ে তার সন্ত্রাসী বাহিনী আবারও রক্তাক্ত পথ বেছে নিয়েছে।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হাতে হাতে এখনও বিপুলসংখ্যক অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। আর সেসব অস্ত্র এখন জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে।

বগুড়া সদরের সাবগ্রাম ইউনিয়নের চক আকাশতারা গ্রামে সোমবার ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বগুড়ায় শহীদ কমর উদ্দিন খান, শাকিল হোসেন ও জিল্লুর রহমানের পরিবারের হাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে এই অনুদান হস্তান্তর করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, সংগঠনের আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জমান তালুকদার লালু, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, জাসাস নেতা জাহেদুল আলম হিটু, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আরিফুর রহমান তুষার প্রমুখ।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। অন্যান্য জেলায়ও অস্ত্র ব্যবহারের খবর পাচ্ছি।

‘গণম্যধমে খবর এসেছে যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনও লাইসেন্স বাতিল হওয়া এক হাজার ৮৮৮টি অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি। কেন এখনও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হয়নি?’

তিনি বলেন, ‘এছাড়া গণভবন থেকে এসএসএফের অনেক আধুনিক অস্ত্র খোয়া গেছে। এগুলো উদ্ধার করতে না পারলে জনগণ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবে না।’

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লোকেরা লাখ লাখ কোটি কালো টাকা নিয়ে বসে আছে। দেশের নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যমে খবর এসেছে যে বিগত ১৫ বছরে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার ১৮.৩৫ লাখ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এর মধ্যে ১৭.৬০ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। বাকি টাকা আছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হাতে; তাদের ব্যবসায়ীদের হাতে। এ টাকা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হচ্ছে, যেটি আমরা গোপালগঞ্জে দেখলাম।’

তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে শুনলাম শেখ হাসিনা সীমান্তের কাছাকাছি আছেন। তিনি দেশে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর এ খবর পেয়ে তার সন্ত্রাসী বাহিনী আবারও রক্তাক্ত পথ বেছে নিয়েছে। তার প্রভুরা বাংলাদেশে অন্তর্ঘাত সৃষ্টির জন্য বসে আছে। শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে আর‌ো রক্ত ঝরবে, আরও গণহত্যা হবে।’

আরও পড়ুন:
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য ইঙ্গিতপূর্ণ ও উসকানিমূলক: রিজভী
স্বৈরাচারের দোসররা প্রশাসনে সর্বত্র ঘাপটি মেরে আছে: রিজভী
শেখ হাসিনা চীন থেকে শূন্য হাতে ফিরেছেন: রিজভী
দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবস্থান ‘জাতীয় তামাশা’: রিজভী
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় রোববার সারা দেশে বিএনপির দোয়া মাহফিল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Awami League people are provoking Hindus Jamaat Secretary

আওয়ামী লীগের লোকেরা হিন্দুদের উস্কানি দিচ্ছে: জামায়াত সেক্রেটারি

আওয়ামী লীগের লোকেরা হিন্দুদের উস্কানি দিচ্ছে: জামায়াত সেক্রেটারি সোমবার মুন্সীগঞ্জে জামায়াতের ইউনিয়ন সম্মেলন এবং গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারকে অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মিয়া গোলাম পরওয়ার। ছবি: নিউজবাংলা
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে জামায়াত যৌক্তিক সময় দিতে রাজি। একটা নির্বাচন দিতে ন্যূনতম যতটুকু সংস্কার দরকার তা করতে হবে।’

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘জুডিশিয়াল ক্যু করে অন্তর্বর্তী সরকারকে সরানোর ষড়যন্ত্র থেকে ছাত্র-জনতা রক্ষা করেছে। ফ্যাসিবাদের বিদেশি বন্ধুরা প্রতি-বিপ্লবের ইন্ধন দিচ্ছে।’

সোমবার মুন্সীগঞ্জ শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে ইউনিয়ন সম্মেলন এবং গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারকে অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর নানা দাবি তোলা হচ্ছে। আমার প্রশ্ন, ১৫ বছর আপনারা কোথায় ছিলেন? দেশের মানুষ হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও তাদের মন্দির পাহারা দিচ্ছে। হিন্দু ভাইদের আন্দোলনে উস্কানি দিচ্ছে আওয়ামী লীগের লোকেরা।’

নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে জামায়াত যৌক্তিক সময় দিতে রাজি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সংস্কার করে অতি দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে তা না খুব শর্ট না খুব লং। ফ্যাসিবাদের পেতাত্মারা অনেক ক্ষেত্রে এখনও রয়েছে। তাই একটা নির্বাচন দিতে ন্যূনতম যতটুকু সংস্কার দরকার তা করতে হবে। রাতের ভোট দিনে আর হতে দেবে না বাংলাদেশের মানুষ।’

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের উল্লেখ করে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘তাদের কথা ইতিহাসে লেখা থাকবে। স্বৈরশাসক থেকে মুক্ত হয়ে মানুষ ঈদের আনন্দ করেছে। কিন্তু শহীদদের পরিবারগুলো ঘরের কোণায় কান্নায় জর্জরিত ছিলো।

‘অনেকে আহত হয়েছে। কে হাত-কেউ কেউ চোখ হারিয়েছে। প্রয়োজনে বিদেশে নিয়ে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারের ঘোষণা যেন মিডিয়ায় সীমাবদ্ধ না থাকে। শহীদের কাছে আমরা ঋণী। সেই ঋণ আমাদেরকে শোধ করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত সাতজনের পরিবারকে জামায়াতের পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা করে অনুদান দেয়া হয়।

মুন্সীগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আ. জ. ম রুহুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মো. সাইফুল আলম খান, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল জব্বার ও ইসলামী ছাত্রশিবির মুন্সীগঞ্জ জেলার সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশে ঘৃণা-বিভাজনের রাজনীতি কবর দিন: জামায়াত আমির
জামায়াত শিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন বাতিল
দাবি-দাওয়া নিয়ে এতদিন কেন কথা বলেননি: জামায়াতের আমির
জামায়াত নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার হচ্ছে মঙ্গলবার
জনগণ আর কোনো জালিম সরকার দেখতে চায় না: শফিকুর রহমান

মন্তব্য

p
উপরে