সময়ের আগেই রংপুর বিভাগীয় কমপ্লেক্স নির্মাণ করা ও প্রকল্পে ২৫ কোটি টাকা অর্থ সাশ্রয় করায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্তদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নবনির্মিত রংপুর বিভাগীয় কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি তাদের ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন সরকারপ্রধান। এ সময় তিনি বলেন, ‘অন্য প্রকল্পগুলোতেও অর্থ সাশ্রয় হলে ধন্যবাদ পাওয়া যাবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা সময়ের আগেই এটার নির্মাণ শেষ হয়েছে এবং টাকাও সাশ্রয় হয়েছে। সাধারণত দেখা যায়, একটি প্রকল্প নিলে টাকা সাশ্রয় হয় না, বরং আরও চায়। কিন্তু এখানে প্রায় ২৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
‘আমরা তো প্রকল্পে কখনো বাঁচাতে দেখি না, ২৫ কোটি টাকা সেভ করা হয়েছে এ জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই। আমি আশা করি ভবিষ্যতেও যারা অন্যান্য কমপ্লেক্সগুলো করবে তারাও যেন এটা মাথায় রাখে, একটু কমালে পরে আমাদের একটা ধন্যবাদ পাবে তারা।’
বিভাগীয় কমপ্লেক্সের কার্যকারিতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘রংপুর বিভাগ করে দেয়ার পর এটাকে মেট্রোপলিটন করা হয়েছে। সব ধরনের ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। আমরা চেয়েছি এমন একটা জায়গায় এই কমপ্লেক্স ভবনটা করে দেয়া যেন সব জেলাগুলোর একটি সেন্টার পয়েন্ট হয়।
‘সেখানে গিয়ে যেনো সহজে কাজ করতে পারে বা সেবাটা নিতে পারে এটা চিন্তা করেই রংপুর বিভাগীয় কমপ্লেক্স আমরা নির্মাণ করেছি। এটা খুব চমৎকারভাবে তৈরি করা হয়েছে। যারা এটা তৈরি করেছেন তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই এ কারণে যে, ঠিক আধুনিক চিন্তাভাবনা নিয়েই ১০ তলা ভবনটা নির্মাণ করা হয়েছে।’
নৌকায় ভোট দেয়াতেই রংপুরের উন্নয়ন
নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার কারণেই রংপুর অঞ্চল উন্নত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা আর কখনো কেউ থামতে পারবে না। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েই কিন্তু রংপুরবাসী সব সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন, এটা ভুললে কিন্তু চলবে না।
‘রংপুরে এই ১৩ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর যত উন্নত হয়েছে। এর আগেও তো রংপুরের লোকই ক্ষমতায় ছিল, কিন্তু কোনো উন্নয়ন হয়নি। তারা নিজেদের ভাগ্য করেছে কিন্তু সাধারণ মানুষের ভাগ্য বদলায়নি। এই অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন আমাদের লক্ষ্য ছিল সেটা আমরা করতে পেরেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই অঞ্চলে শিক্ষার হার কম ছিল, কিন্তু এখানে মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। সে দিকে হিসেব করে আমরা এখন পদক্ষেপ নিয়েছি। কুড়িগ্রামে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি, লালমনিরহাটে এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি করে দিচ্ছি। আমরা রংপুরে বেগম রোকেয়ার জন্মস্থান পায়রাবন্দ সেখানে তার নামে একটি কমপ্লেক্স ও ট্রেনিং সেন্টার করা হয়েছে এবং রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় বেগম রোকেয়ার নামেই আমরা করে দিয়েছি কারণ তিনিই তো প্রথম শিক্ষার উদ্যোগ নিয়েছিলেন বলেই আমরা কিছু লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছি।
‘ঠিক একইভাবে এই অঞ্চলের প্রত্যেক জেলা মেডিক্যাল কলেজ হচ্ছে। প্রতিটি জেলা হাসপাতালকে আমরা আড়াইশ বেড উন্নীত করেছি। প্রত্যেকটা এলাকায় আমরা উন্নতি করে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘নীলফামারিতে প্রথম ইপিজেড আমি করে দিই। সেখানে আমাদের সৈয়দপুর বিমানবন্দর উন্নত করে দেই, এখন এটা আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে উন্নীত করে দিচ্ছি। যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রতিটি জায়গায় ব্রিজ তৈরি করে দিয়েছি। অনেকগুলো কর্মসূচি আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি এতে করে হেডকোয়ার্টারের সাথে প্রতিটি উপজেলার যোগাযোগ হবে। প্রতিটি ইউনিয়নের সাথে উপজেলার যোগাযোগ হবে।
‘চিকিৎসা সেবাও আমরা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছি। আমরা ইতিমধ্যে আপনারা জানেন রংপুর মেডিক্যাল কলেজের সিট বাড়ানো হয়েছে। ওপেন হার্ট সার্জারির ব্যবস্থা করা হয়েছে, বার্ন ইউনিট করা হয়েছে। কিডনি এবং হৃদরোগ চিকিৎসার জন্য আমরা ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি।’
দেশে নির্মিতব্য একশ অর্থনৈতিক অঞ্চলে আঞ্চলিক পণ্য উৎপাদনের তাগিদ দেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, ‘এ অঞ্চলে তরি-তরকারি ভালো উৎপাদন হয়, সেগুলো প্রক্রিয়াজাত যেন করা যায়। প্রক্রিয়াজাত করে সেগুলো বিদেশে রপ্তানি যাতে করতে পারি সেদিকে আমরা লক্ষ্য দিচ্ছি।
‘সারা বাংলাদেশে যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি, সেখানে শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠবে, যত্রতত্র না। আমার কৃষি জমি রক্ষা করতে হবে কারণ এ অঞ্চলের জমি খুব উর্বর। কৃষি জমি আমরা রক্ষা করব। এই এক শ অঞ্চলে যে শিল্প গড়ে উঠবে সেটি গড়ে ওঠার সময় যারা বিনিয়োগ করবেন তাদের লক্ষ্য রাখতে হবে, ওই অঞ্চল ভিত্তিক যে সব পণ্য উৎপাদন হয় সেগুলো প্রক্রিয়াজাত করা এবং সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া।’
তিনি বলেন, ‘আর খাদ্য উৎপাদনে আমরা এমনভাবে সাইলো নির্মাণ করে দিচ্ছি যেন খাদ্য আমরা দুই তিন বছর যাতে রাখতে পারি, নষ্ট না হয়। একবার, দুবার যদি ফসল নষ্টও হয় আমাদের যাতে কারো কাছে হাত পাততে না হয়। পরমুখাপেক্ষি না হয়ে আমরা যাতে নিজেদের খাদ্য দিয়েই আমাদের চাহিদা পূরণ করতে পারি সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা এ পদক্ষেপটা গ্রহণ করেছি।
‘খামার এখন সবচেয়ে লাভজনক। আমরা বিদেশে রপ্তানিরও ব্যবস্থা করছি। রপ্তানি করতে গেলে যে টেস্টিং ল্যাবরেটরি সেটিও আমরা প্রত্যেক বিভাগে করে দেব, যাতে সেই পণ্যগুলো সরাসরি যেতে পারে। রেল যোগাযোগে উন্নত করছি, সব অঞ্চলেই দ্রুত রেল করা হয়েছে। বিভাগীয় আঞ্চলিক সড়কগুলো আমরা চার লেনে করে দিচ্ছি, আর হাইওয়ে ছয় লেন করে দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন:দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে।
সোমবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৪ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান নিয়ে বলা হয়, দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
এতে বলা হয়, এটি সোমবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৯০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের আশপাশে বাতাসের গতিবেগ নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
বন্দরে সতর্ক সংকেত নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে নিরপেক্ষতা অক্ষুণ্ণ রাখতে রিটার্নিং অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি রোববার এক পরিপত্রে এ নির্দেশ দেয়।
পরিপত্রে রিটার্নিং অফিসারদের ছয়টি নির্দেশনা দেয়া হয়। এতে বলা হয়, ‘নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা সকলের নিকট সমুজ্জ্বল ও সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিম্নরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে:
(১) বিশেষ কোনো মহলের কোনো প্রকার প্রভাব বা হস্তক্ষেপ নির্বাচনের নিরপেক্ষতা যাতে ক্ষুণ্ণ না করতে পারে, তা আইন, বিধিমালা ও আচরণ বিধিমালার আলোকে নিশ্চিত করতে হবে।
(২) নির্বাচনের ন্যায় একটি সংবেদনশীল, স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এমন কোনো কাজ করবেন না, যারা দ্বারা তাদেরকে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় জনগণের নিকট হেয় প্রতিপন্ন হতে হয় এবং তারা যে পক্ষপাতদুষ্ট এমন ধারণা যাতে সৃষ্টি না হয়, তার নিশ্চয়তা বিধানকল্পে প্রতিটি কাজে আইন ও বিধির যথার্থ প্রয়োগ ও অনুসরণ করতে হবে।
(৩) জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে এলাকার জনগণের যৌথসভা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সকলকে ভোটদানে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
(৪) ভোটদানের জন্য ভোটারগণ যাতে নির্বিঘ্নে ও স্বাচ্ছন্দ্যে ভোটকেন্দ্রে আসিতে পারেন, সেই উদ্দেশ্য নিশ্চয়তামূলক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ভ্রাম্যমাণ ইউনিটসমূহ কর্তৃক নিবিড় টহলদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
(৫) ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে এবং যেকোনো প্রকার অশুভ কার্যকলাপ প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে সদা সতর্ক থাকিবার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশ প্রদান করতে হবে
(৬) ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর ভোটকেন্দ্রের অবস্থান সম্পর্কে নির্বাচনের পূর্বে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।’
আরও পড়ুন:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে রোববার এশিয়া ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড তুলে দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বাসসকে বলেন, ‘তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ডা. হাছান মাহমুদ আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে গণভবনে এশিয়া ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড হস্তান্তর করেন।’
এর আগে তথ্যমন্ত্রী ও কপ২৮ উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের প্রধান ড. হাছান মাহমুদ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন।
এ পুরস্কার জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ও বিশ্বব্যাপী ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়ের পক্ষে তার সোচ্চার নেতৃত্বের স্বীকৃতি।
গত ১ ডিসেম্বর দুবাইতে কপ২৮-এর ফাঁকে উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল চলাকালে আইওএম ও জাতিসংঘ সিস্টেম সমর্থিত গ্লোবাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট মোবিলিটি এ পুরস্কার প্রদান করে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি, রাষ্ট্রদূত ডেনিস ফ্রান্সিস ও আইওএমের মহাপরিচালক অ্যামি পোপ উচ্চ পর্যায়ের প্যানেলটির সহ-আয়োজক ছিলেন।
ইউএনজিএ৭৮ ক্লাইমেট মোবিলিটি সামিট চলাকালে প্রধানমন্ত্রী জলবায়ুজনিত অভিবাসন ও বাস্তুচ্যুতির দিকে বিশ্বনেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
পুরস্কারটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের জলবায়ু গতিশীলতা ও উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। আফ্রিকা ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে বতসোয়ানা, সুরিনাম ও পালাউ এ পুরস্কার পেয়েছে।
কপ২৭ চলাকালে ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার হিসেবে আফ্রিকার পাঁচ রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানকে পুরস্কার দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঘোষিত তফসিল স্থগিত চেয়ে করা রিট শুনানির জন্য আইনজীবীকে আরও প্রস্তুতি নিয়ে যেতে বলেছে হাইকোর্ট।
এ রিটের বিষয়ে রোববার প্রাথমিক শুনানি হয়েছে। পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য সোমবার দিন ঠিক করে দিয়েছে আদালত।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ঠিক করে দেয়।
আদালতে রিটের পক্ষে রিটকারী আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ শুনানি করেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন।
শুনানি শুরু হলে আদালত রিটকারী আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দকে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করে। সেসব প্রশ্নের যথাযথ জবাব না পাওয়ায় সোমবার তাকে আরও প্রস্তুতি নিয়ে যেতে বলেছে আদালত।
বর্তমানে সংসদ বহাল অবস্থায় আরেকটি সংসদ নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয় রিট আবেদনে। এর আগে গত মঙ্গলবার আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন এ আইনজীবী।
নোটিশে বর্তমানে রাজনৈতিক সংকট চলছে উল্লেখ করে বলা হয়, দেশে হরতাল-অবরোধ চলছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ভোট করা সম্ভব নয়। তা ছাড়া মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীর ট্যাক্স রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ ট্যাক্স রিটার্ন জমার শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। আবার নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ৩০ নভেম্বর।
এমন বাস্তবতায় ট্যাক্স রিটার্নের নথি মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা কীভাবে সম্ভব হবে, সে প্রশ্ন করা হয় নোটিশে।
এতে উল্লেখ করা হয়, হরতাল-অবরোধের ফলে দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত নন।
নোটিশে নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে ফের তফসিল ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানানো হয়।
আরও পড়ুন:পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরোক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে হাবিবুর রহমান ছুটু নামের বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন।
উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় শনিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। রোববার সকালে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত হাবিবুর রহমান ছুটু বোদা উপজেলার নুরপাড়া গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বড়শশী সীমান্ত এলাকায় ভারত থেকে গরু পাচার করতে গেলে বিএসএফ ছুটুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ওই সময় একটি গুলি তার বাম পায়ের ঊরুতে লাগলে আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যান তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে থানা পুলিশের সহায়তায় রোববার সকালে প্রথমে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয় বিজিবি। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় তাকে।
বোদা থানার ওসি সুজয় কুমার রায় গুলিতে যুবক আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি রোববার আবহাওয়ার ১১ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান নিয়ে বলা হয়, “দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ (রোববার) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৪০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।”
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের আশপাশে বাতাসের গতিবেগ নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।’
বন্দরে সতর্ক সংকেত নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
‘উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:শিক্ষাক্রমে ত্রুটিবিচ্যুতি থাকলে তা সংশোধন করা হবে জানিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানিয়েছে, এ নিয়ে যেকোনো ধরনের অপপ্রচার করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি রোববার এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে।
এনসিটিবির সচিব নাজমা আখতার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সংশ্লিষ্ট সকলকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রাক প্রাথমিক হতে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের একমাত্র জাতীয় প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের মানসম্পন্ন শিক্ষা উন্নয়ন ও প্রসারে এই প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমরা লক্ষ করছি স্বার্থান্বেষী একটি গোষ্ঠী সম্প্রতি নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন ও ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জনমনে বিরূপ মনোভাব সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে বা আমাদের জাতীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের পরিপন্থি কাজকে শিক্ষাক্রমের কাজ বলে প্রচার করা হচ্ছে।
‘নবীর ছবি আঁকতে বলা হয়েছে লিখে মিথ্যাচার করছে। হিন্দি গানের সাথে স্কুলের পোশাক পরা কিছু ছেলেমেয়ে ও ব্যক্তির অশ্লীল নাচ আপলোড করে বলা হচ্ছে শিক্ষাক্রমের নির্দেশনা, যা সর্বৈব মিথ্যা। কিছু লোক ব্যাঙের লাফ বা হাঁসের ডাক দিচ্ছে, এমন ভিডিও আপলোড করে বলা হচ্ছে এটা নতুন শিক্ষাক্রমের শিক্ষক প্রশিক্ষণের অংশ, যা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। নতুন শিক্ষাক্রমে সকল ধর্ম বর্ণের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শনের কথা বলা হয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে সতর্ক করে বলা হয়, ‘আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে বিকশিত করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মিথ্যা অপপ্রচারের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমকে বিপন্ন করার প্রচেষ্টা যারা করছেন, তাদের এরূপ কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে।
‘শিক্ষাক্রমের কোনো ত্রটিবিচ্যুতি থাকলে তা আমাদের জানালে আমরা অবশ্যই তা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন, পরিমার্জন করব, কিন্তু অপপ্রচার করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমতাবস্থায় সর্বসাধারণকে মিথ্যা প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য এনসিটিবি অনুরোধ জানাচ্ছে এবং এরূপ মিথ্যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড, শেয়ার বা কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য