× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Inflation is running at the same pace as wage growth
google_news print-icon

মজুরি বৃদ্ধির সমানতালে ছুটছে মূল্যস্ফীতি

মজুরি-বৃদ্ধির-সমানতালে-ছুটছে-মূল্যস্ফীতি
দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোয় মানুষের আয় বেড়েছে। তবে বাড়তি মজুরির টাকা খেয়ে ফেলছে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। ফাইল ছবি/নিউজবাংলা
ডিসেম্বর শেষে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। আর ওই মাসে মজুরি বেড়েছে ৬ দশমিক ১১ শতাংশ। অর্থাৎ এখন জাতীয় পর্যায়ে মজুরি বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির হার প্রায় সমান হয়ে গেছে।

মোহাম্মদ সেলিম। রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় এভারগ্রিন নামের একটি সেলুনে নরসুন্দরের কাজ করেন পাঁচ বছর ধরে। করোনার আগে প্রতিদিনের মজুরি এবং বকশিশ মিলিয়ে মাসে ২৩ থেকে ২৪ হাজার টাকা উপার্জন করতেন। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে মোটামুটি চলে যেত। সামান্য কিছু হলেও সঞ্চয় করতেন। করোনার প্রকোপ কমলেও এখন আগের মতো আর কাজ নেই, উপার্জন নেমে এসেছে অর্ধেকে।

৩০ বছর বয়সী সেলিম তার কষ্টের কথা নিউজবাংলাকে বললেন এভাবে, ‘খুব কষ্ট হচ্ছে স্যার এখন। করোনার ভয়ে মানুষ আর আগের মতো চুল কাটাতে, শেভ করতে, ফেসিয়াল করতে আসে না। মাসে ১৫ হাজার টাকাই হয় না এখন। বাজারে সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। খুব কষ্ট হচ্ছে সংসার চালাতে। আগে যে কিছু সঞ্চয় করেছিলাম, তা-ই ভেঙে খাচ্ছি। কী আর করব বলেন।’

সেলিমের মতো দেশের সব দিনমজুর ও শ্রমিকই এখন কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। করোনায় যারা কাজ হারিয়েছিলেন, তাদের অনেকেই আর কাজ ফেরত পাননি। কেউ কাজ ফিরে পেলেও মজুরি কম পাচ্ছেন। এর ওপর জিনিসপত্রের বাড়তি দাম ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে। সঞ্চয় করা বা জীবনযাত্রার বাড়তি চাহিদা মেটানো তো দূরে থাক, জীবন চালানোই দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবও তাই বলছে। সংস্থাটির সবশেষ হিসাবে দেখা যায়, গত ডিসেম্বর শেষে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। আর ওই মাসে মজুরি বেড়েছে ৬ দশমিক ১১ শতাংশ। অর্থাৎ এখন জাতীয় পর্যায়ে মজুরি বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির হার প্রায় সমান হয়ে গেছে। সাধারণত মজুরি বৃদ্ধির হার মূল্যস্ফীতির কিছুটা বেশি থাকে। তবে দুই মাস ধরে সেই চিরায়ত প্রবণতায় টান পড়েছে।

করোনার কারণে সংকটে থাকা ব্যবসা-বাণিজ্যসহ পুরো অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। ব্যবসা-বাণিজ্য চাঙা করার এই প্রক্রিয়ায় মজুরিও বেড়েছে বলে দাবি করছে বিবিএস। তবে সেই বাড়তি মজুরির টাকা খেয়ে ফেলছে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি।

বিষয়টি এভাবে বলা যায়, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে একজন মানুষ ১০০ টাকায় যত জিনিসপত্র কিনেছেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ওই টাকা দিয়ে সেই জিনিসপত্র পাবেন না। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় আপনাকে ওই একই দ্রব্য কিনতে ১০৬ টাকা ৫ পয়সা খরচ করতে হবে। ৬ টাকা ৫ পয়সা হলো মূল্যস্ফীতি। গত ডিসেম্বর মাসের মূল্যস্ফীতির হার ছিল এটাই।

পরিসংখ্যান ব্যুরো হিসাব বলছে, মূল্যস্ফীতির সঙ্গে মানুষের মজুরিও বেড়েছে। মজুরি বেশি বৃদ্ধি পেলে মূল্যস্ফীতির আঁচ টের পান না তারা। সমান হলে দুশ্চিন্তা বাড়ে। গত ডিসেম্বর মাসে মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ১১। এর মানে মজুরি বৃদ্ধির বাড়তি টাকা পুরোটাই চলে গেছে জিনিসপত্রের বাড়তি দামে। ফলে সঞ্চয় করা বা জীবনযাত্রার বাড়তি চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না।

তবে বিবিএসের মজুরি বৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতির এই হারকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতির গবেষকরা। তারা বলেছেন, করোনার ধাক্কা পুরোপুরি সামলে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। এর মধ্যে দিনমজুর-শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি পায় কী করে? একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতির তথ্য দেয়া হচ্ছে, সেটার সঙ্গে বাজারের চড়া দামের প্রতিফলন নেই।

প্রায় দুই বছরের করোনার কারণে বহু লোকের চাকরি গেছে, অনেকে কাজও হারিয়েছেন। অনেকেই আবার কাজে ফিরেছেন, কিন্তু আগের মজুরি পান না। অনেকে চাকরি বা কাজ হারিয়ে শহর থেকে গ্রামে ফিরে গেছেন। এমন অবস্থায় মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে তারা বেশি হিমশিম খাচ্ছেন। মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে অনেকেই বাড়তি কাজ করছেন।

দেশে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের জুন মাসে মূল্যস্ফীতির চেয়ে মজুরি বৃদ্ধির হার কম ছিল। ওই মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, আর মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ। গত এক দশকের মধ্যে সেটিই ছিল ব্যতিক্রম ঘটনা।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর কর্মকর্তারা বলছেন, সাধারণত মূল্যস্ফীতি ও মজুরি হার বৃদ্ধির মধ্যে পার্থক্য ১ শতাংশের মতো হয়। কয়েক মাস ধরে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। এখন তা ৬ শতাংশ পেরিয়ে গেছে। তবে মজুরি সেই হারে বাড়ছে না। নভেম্বর ও ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ও মজুরি সূচক প্রায় সমান্তরালে চলেছে। গত নভেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ। আর মজুরি বৃদ্ধির হার ৬ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।

অর্থনীতির গবেষক বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের পরিসংখ্যান ব্যুরোর মূল্যস্ফীতির তথ্য নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন আছে। এখন সেই প্রশ্নটা আরও মোটা দাগে চোখে পড়ছে। বিবিএস ডিসেম্বরের মূল্যস্ফীতির যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তার সঙ্গে বাজারের পণ্যমূল্যের বাস্তব প্রতিফলনের যথেষ্ট ঘাটতি যে কারোরই চোখে পড়বে।

‘৫০ টাকার কমে কোনো চাল পাওয়া যায় না বাজারে। ভোজ্যতেল, চিনি, ডালসহ সব জিনিসের দামই চড়া। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে পণ্যমূল্যে। বেড়েছে মানুষের পরিবহন খরচ। এ অবস্থায় ৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠাটা স্বাভাবিক নয় কী?’

তিনি বলেন, ‘বাজারের পণ্যমূল্য এবং পরিবহনসহ অন্যান্য খরচ যেভাবে বাড়ে, বিবিএসের তথ্যের সঙ্গে তার বাস্তব প্রতিফলন দেখা যায় না। সে কারণেই প্রশ্ন ওঠে। এ ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য বিবিএসের বাস্তবভিত্তিক তথ্য প্রকাশের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

‘পৃথিবীর সব দেশেই তো এখন মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। বাংলাদেশেও বাড়বে- এটাই স্বাভাবিক। সে ক্ষেত্রে প্রকৃত তথ্য উঠে আসা উচিত বলে আমি মনে করি। একই সঙ্গে মহামারির মধ্যে মজুরি বাড়াটাও কিন্তু অনেকের কাছে অবাক লাগছে।’

এই বিষয়ে অর্থনীতির আরেক গবেষক সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই সময়ে মজুরি হার বৃদ্ধির কোনো কারণ আমি খুঁজে পাই না। সাধারণত যখন শ্রমিকের চাহিদা বাড়ে, সরবরাহ কম থাকে, তখন মজুরি বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এই মহামারির সময়ে শ্রমিকের চাহিদা বেশ কমেছে। অনানুষ্ঠানিক খাতে বেকারের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। তাহলে মজুরি বাড়ল কোন ভিত্তিতে?’

তিনি বলেন, ‘মহামারির ধকল কিন্তু এখনও পুরোপুরি সামলে ওঠেনি বাংলাদেশ। এর মধ্যে কোনো শ্রমিক-দিনমজুরেরই মজুরি বাড়ার কথা নয়। এ বিষয়গুলো বিবিএসের বিচেনায় নেয়া উচিত বলে আমি মনে করি।’

সেলিম রায়হান বলেন, ‘তারপরও বিবিএসের বর্তমান মূল্যস্ফীতি ও মজুরি সূচকের তথ্য নিয়েই যদি আমরা বিশ্লেষণ করি, তাহলেও কিন্তু আমরা উদ্বেগজনক একটি তথ্য দেখতে পাচ্ছি। আর সেটি হচ্ছে মূল্যস্ফীতি প্রকৃত মজুরির ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করেছে। অর্থাৎ বাস্তবে আয় বাড়লেও মূল্যস্ফীতি তা খেয়ে ফেলেছে।’

বর্তমান মূল্যস্ফীতি ও মজুরি সূচকের হার প্রসঙ্গে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মাঠপর্যায় থেকে যে তথ্য পাই, সেটাই প্রকাশ করি।’

বিবিএস প্রতি মাসে কৃষিশ্রমিক, পরিবহনকর্মী, বিড়িশ্রমিক, জেলে, দিনমজুর, নির্মাণশ্রমিকসহ ৪৪ ধরনের পেশাজীবীর মজুরির তথ্য সংগ্রহ করে মজুরির হার সূচক তৈরি করে। এসব পেশাজীবীর মজুরি খুব কম এবং দক্ষতাও কম। শুধু দৈনিক ভিত্তিতে মজুরি পান বা নগদ টাকার পরিবর্তে অন্য সহায়তা পান, তার ভিত্তিতে কোন মাসে মজুরি হার কত বাড়ল, তা প্রকাশ করে বিবিএস।

পরিসংখ্যান ব্যুরো যে ৪৪ ধরনের পেশাজীবীর মজুরির তথ্য নেয়, তার মধ্যে ২২টি শিল্প খাতের এবং ১১টি করে কৃষি ও সেবা খাতের পেশা। বেতনভোগী কিংবা উচ্চ আয়ের পেশাজীবীদের বিবিএসের মজুরি সূচকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৬-১৭ সালের শ্রমশক্তি জরিপের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের কর্মসংস্থানের বড় অংশই হচ্ছে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে। মোট শ্রমশক্তির ৮৫ দশমিক ১ শতাংশই এ খাতে নিয়োজিত। আর ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করে।

অন্যদিকে কৃষিক্ষেত্রে নিয়োজিত মোট শ্রমশক্তির ৯৫ দশমিক ৪ শতাংশই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত। শিল্প খাতের ৮৯ দশমিক ৯ শতাংশ, সেবা খাতের ৭১ দশমিক ৮ শতাংশ শ্রমিক অপ্রাতিষ্ঠানিক কাজে নিয়োজিত।

আরও পড়ুন:
মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশ ছাড়াল
দেশে মূল্যস্ফীতি নেই: অর্থমন্ত্রী
আরও বেড়ে মূল্যস্ফীতি ৬ ছুঁইছুঁই
টানা চার মাস ধরে বাড়ছে মূল্যস্ফীতি
বৈশ্বিক মন্দা উত্তরণে বাধা মূল্যস্ফীতি: বিশ্বব্যাংক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Southeast Bank Entrepreneur Director Mr Azim Uddin Ahmed has died "
শোকবার্তা

"সাউথইস্ট ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক জনাব আজিম উদ্দিন আহমেদ ইন্তেকাল করেছেন”

সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি গভীর শোকের সঙ্গে জানাচ্ছে যে, ব্যাংকের সম্মানিত স্পনসর পরিচালক ও সাবেক চেয়ারম্যান জনাব আজিম উদ্দিন আহমেদ ০১ আগস্ট ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুতে সাউথইস্ট ব্যাংক পরিবার গভীরভাবে শোকাহত।

জনাব আজিম উদ্দিন আহমেদ ১৯৪০ সালের ৩০ জুন এক সম্মানিত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের একজন সম্মানিত সদস্য এবং পর্ষদের রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান।

তিনি বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য জগতে একজন খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি মিউচুয়াল গ্রুপ এবং এডি হোল্ডিংস লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও, তিনি আর্লা ফুডস বাংলাদেশ লিমিটেড-এর পরিচালক ও সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।

শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়নে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ-এর একজন প্রতিষ্ঠাতা আজীবন সদস্য ছিলেন। তিনি এই বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ফাউন্ডেশনেরও একজন প্রতিষ্ঠাতা আজীবন সদস্য ছিলেন।

শিক্ষা ও সমাজসেবায়ও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি নিজ জিলা ফেনীতে প্রতিষ্ঠা করেছেন মসজিদ,মাদ্রাসা | এছাড়াও বিভিন্ন সমাজ হিতৈষী কাজে জড়িত ছিলেন তার উদার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে |

সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি. পরিবার জনাব আজিম উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছে এবং তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Singer Bangladesh Limited gains a new milestone by exporting the first wire harness from home appliance plant

হোম অ্যাপ্লায়েন্স প্ল্যান্ট থেকে প্রথম ওয়্যার হারনেস রপ্তানির মাধ্যমে সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের নতুন মাইলফলক অর্জন

হোম অ্যাপ্লায়েন্স প্ল্যান্ট থেকে প্রথম ওয়্যার হারনেস রপ্তানির মাধ্যমে সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের নতুন মাইলফলক অর্জন

তুরস্কের কোচ হোল্ডিং -এর ফ্ল্যাগশিপ প্রতিষ্ঠান বেকোর সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড গর্বের সঙ্গে তাদের অত্যাধুনিক হোম অ্যাপ্লায়েন্স প্ল্যান্ট (যা বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনোমিক জোন - BSEZ-এ অবস্থিত) থেকে প্রথম ওয়্যার হারনেস কম্পোনেন্ট রপ্তানি চালান উদ্বোধন করেছে, যা দেশের উৎপাদন ও রপ্তানি সক্ষমতার এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি নির্দেশ করে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব ও বেজার নির্বাহী সদস্য (বিনিয়োগ প্রচার) জনাব সালেহ আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জনাব মোস্তাফিজুর রহমান, সিঙ্গার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব এমএইচএম ফাইরোজ, ফ্যাক্টরি ডিরেক্টর জনাব হাকান আলতিনিশিক এবং সিঙ্গার বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ।

প্রথম রপ্তানি চালানটি একটি বৃহৎ পরিসরের কৌশলগত সাপ্লাই উদ্যোগের সূচনা, যা হোম অ্যাপ্লায়েন্স শিল্পে বৈশ্বিক মূল্য শৃঙ্খলে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণকে আরও সুদৃঢ় করে। সরকারী কর্মকর্তারা এই উদ্যোগকে কৌশলগত শিল্প বিনিয়োগের একটি সফল উদাহরণ হিসেবে প্রশংসা করেছেন এবং বৈশ্বিক হোম অ্যাপ্লায়েন্স কম্পোনেন্ট সাপ্লাই নেটওয়ার্কে বাংলাদেশকে একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচনের জন্য বেকোকে সাধুবাদ জানান।

“আমাদের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশকে বৈশ্বিক উৎপাদন মানচিত্রে একটি নির্ভরযোগ্য কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা,” বলেছেন সিঙ্গার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব এমএইচএম ফাইরোজ। “এই প্রকল্প আমাদের দীর্ঘমেয়াদী টেকসই উন্নয়ন, প্রযুক্তি স্থানান্তর, রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ ও শিল্প উৎকর্ষতায় প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”

“এই অর্জন বৈশ্বিক মানের সুনির্দিষ্ট উৎপাদন সক্ষমতায় আমাদের দক্ষতাকে তুলে ধরে,” বলেন ফ্যাক্টরি ডিরেক্টর জনাব হাকান আলতিনিশিক। “উৎপাদন শুরু করার মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই ওয়্যার হারনেস কম্পোনেন্ট রপ্তানি করতে পারা আমাদের টিমের জন্য যেমন গর্বের, তেমনি এটি বাংলাদেশের উচ্চ-মূল্যের উৎপাদন সক্ষমতার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।”

ওয়্যার হারনেস রপ্তানি প্রকল্পের আওতায়, এই প্ল্যান্ট বেকোর নেটওয়ার্কভুক্ত ১৪টি বৈশ্বিক উৎপাদন কেন্দ্রকে সাপোর্ট প্রদান করবে, ৫টি আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করবে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে ১,০০০ নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। মাত্র ১৮ মাসে নির্মিত এবং গ্রাউন্ড ব্রেকিংয়ের ৮ মাসের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করা সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড-এর হোম অ্যাপ্লায়েন্স প্ল্যান্টটি LEED Gold স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী নির্মিত, যেখানে সৌরশক্তি ব্যবহারের প্রস্তুতি এবং জিরো-ওয়েস্ট দর্শন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি বেকোর টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি এবং ২০৫০ সালের মধ্যে নিট-জিরো নিঃসরণ অর্জনের লক্ষ্যের প্রতিফলন। ওয়্যার হারনেস প্রকল্প ব্যতীত মোট ৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগে স্থাপিত এই প্ল্যান্টটি ১,৩৫,০০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এবং বর্তমানে রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার ও ওয়াশিং মেশিন উৎপাদন করছে—এবং এবার যুক্ত হলো ওয়্যার হারনেস সিস্টেমও। দেশীয়ভাবে ৯০% এর বেশি পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে এটি একদিকে বাংলাদেশের বাজারে সেবা দিচ্ছে, অন্যদিকে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশকে কনজ্যুমার ডিউরেবলস পণ্যের একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলছে। এছাড়াও এটি একটি শক্তিশালী স্থানীয় সাপ্লায়ার ইকোসিস্টেম তৈরি করবে, যা এই খাতে আমদানি নির্ভরতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে।

সিঙ্গার বাংলাদেশ সম্পর্কে

সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ কনজ্যুমার ডিউরেবলস রিটেলার্স, যার রয়েছে সারাদেশে ৪৬৩টি রিটেইল স্টোর এবং ১,০০০-এর বেশি ডিলার স্টোর । সিঙ্গার এই অঞ্চলে তাদের কার্যক্রম শুরু করে ১৯০৫ সালে। বর্তমানে সিঙ্গার, বেকো এবং অন্যান্য ব্র্যান্ডের অধীনে সিঙ্গার বাংলাদেশ ঘরোয়া ব্যবহারের সব ধরনের কনজ্যুমার ডিউরেবলস পণ্য বিক্রি করে থাকে। সিঙ্গার বাংলাদেশের ৫৭% মালিকানায় রয়েছে বেকো, আর বাকি শেয়ারগুলো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (DSE) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (CSE) পাবলিকলি লেনদেনযোগ্য।

বেকো সম্পর্কে

বেকো হলো একটি আন্তর্জাতিক হোম অ্যাপ্লায়েন্স কোম্পানি, যার শক্তিশালী বৈশ্বিক উপস্থিতি রয়েছে। এটি ৫৫টির বেশি দেশে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজ করে, যেখানে ৫০,০০০ এর বেশি কর্মী এবং ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন অঞ্চলে উৎপাদন সুবিধা রয়েছে। বেকোর মালিকানাধীন বা সীমিত লাইসেন্সে ব্যবহৃত ২২টি ব্র্যান্ড রয়েছে, যেমন: Arçelik, Beko, Whirlpool*, Grundig, Hotpoint, Arctic, Ariston*, Leisure, Indesit, Blomberg, Defy, Dawlance, Hitachi*, Voltas Beko, Singer*, ElektraBregenz, Flavel, Bauknecht, Privileg, Altus, Ignis, Polar. ২০২৪ সালে ভলিউম ভিত্তিক বাজার শেয়ারে বেকো ইউরোপের সবচেয়ে বড় হোয়াইট গুডস কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১০.৬ বিলিয়ন ইউরো সংযুক্ত বার্ষিক রাজস্ব অর্জন করে। বেকো বিশ্বব্যাপী ২৯টি গবেষণা ও ডিজাইন সেন্টার ও অফিস রয়েছে, যেখানে ২,৩০০ এর বেশি গবেষক কর্মরত এবং এ পর্যন্ত ৩,৫০০ -এরও বেশি আন্তর্জাতিক নিবন্ধিত পেটেন্ট আবেদন রয়েছে। কোম্পানিটি হাউসহোল্ড ডিউরেবলস শিল্পে S&P Global Corporate Sustainability Assessment (CSA) -তে ২০২৪ সালের ২২ নভেম্বরের ফলাফলের ভিত্তিতে ধারাবাহিক ছয় বছর সর্বোচ্চ স্কোর অর্জন করেছে এবং ধারাবাহিক আট বছর ধরে Dow Jones Sustainability Indices -এ অন্তর্ভুক্ত। TIME ম্যাগাজিন এবং Statista -এর ২০২৫ সালের বিশ্বের সর্বাধিক টেকসই কোম্পানির তালিকায় বেকো ১৭তম স্থান লাভ করেছে।

বেকোর ভিশন হলো: বিশ্বকে সম্মান করা, বিশ্বজুড়ে সম্মানিত হওয়া।”

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladesh Bank will announce the monetary policy on Thursday

বৃহস্পতিবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক

বৃহস্পতিবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক

বৃহস্পতিবার চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথমার্ধের জন্য মুদ্রানীতি বিবৃতি (এমপিএস) ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।

এদিন ঢাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আনুষ্ঠানিকভাবে এই এমপিএস ঘোষণা করবেন। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এসময় গভর্নর বর্তমান মুদ্রানীতির আওতায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে গতিশীল করতে বর্তমান এমপিএস এর ফলাফল সম্পর্কে অবহিত করবেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখ্য অর্থনীতিবিদসহ ব্যাংকের অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Transaction is going on in the capital market of Dhaka Chittagong

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Decision to increase tariffs on import and export at Chittagong port by 5 percent

চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানিতে ৩০ শতাংশ শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত

চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানিতে ৩০ শতাংশ শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত

আমদানি-রপ্তানিতে ৩০ শতাংশ শুল্ক (ট্যারিফ) বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। আন্তঃমন্ত্রণালয় ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই শুল্ক বাড়ানো হয়েছে বলে জানান নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. এম শাখাওয়াত হোসেন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যেতে আন্তর্জাতিক অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হবে। এ নিয়ে প্রচারণা (প্রোপাগান্ডা) চালানোর কিছু নেই।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল-এনসিটিতে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘১৯৮৬ সালের পর এবারই প্রথম ট্যারিফ বাড়ানো হয়েছে। এতে রাজস্ব আয় বাড়বে, তবে আমদানি-রপ্তানিতে খরচ বাড়বে ব্যবসায়ীদের।’

নৌ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সরকার চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা আরও বাড়াতে চায়। এ বন্দরকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়ে যেতে হলে বিদেশি অপারেটরকে পরিচালনার ভার দিতে হবে। এ নিয়ে প্রোপাগান্ডা না ছড়াতে সবাইকে পরামর্শ দেন তিনি।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘বিদেশিদের হাতে বন্দরের পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হবে, বন্দরের সার্বিক কার্যক্রম ও নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতেই থাকবে। গত ৭ জুলাই সাইপ পাওয়ার টেক থেকে নিয়ে বন্দরের এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব নৌবাহিনীকে দেওয়া হয়।’

এরপর নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে কনটেইনার হ্যান্ডেলিং বেড়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ। প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজার ২০০ একক কনটেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে বলে জানান বন্দর কর্তৃপক্ষ।

১৬ বছর পর চলতি বছরে ৭ জুলাই থেকে এনসিটিতে পরিচালনা করছে নতুন অপারেটর চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেড।

মূলত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত বন্দরের অত্যাধুনিক নিউমুরিং টার্মিনালটি সুপার স্ট্রাকচার সমৃদ্ধ একটি আন্তর্জাতিকমানের এ টার্মিনালে এসেছে ব্যাপক অগ্রগতি।

তবে আগে যে প্রতিষ্ঠান এনসিটি পরিচালনা করেছে তারাও ভালোভাবে কাজ করেছে বলে জানান নৌ পরিবহন উপদেষ্টা।

চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে নৌপরিবহন উপদেষ্টা এনসিটিতে জাহাজে কন্টেইনার উঠা নামা কার্যক্রম পরিদর্শন এবং এর অগ্রগতি বিষয়ে অবগত হন।

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি চট্টগ্রাম বন্দর বিষয়ে বর্তমান সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।

নৌবাহিনী চট্টগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডার রিয়াল অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী বলেন, আগের অপারেটরের তুলনায় ড্রাইডক পরিচালিত এনসিটিতে ৭ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ১৭ দিনে বিশ ফুট সমতুল্য কন্টেইনার দৈনিক গড় হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩ হাজার ২৫০ টিইইউএস, যা পূর্ববর্তী মাসে একই সময়ের চেয়ে ১২ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।

একই সময়ে মোট ৩০টি জাহাজের কনটেইনার লোডিং ও আনলোডিং সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। ১০ ঘণ্টা জাহাজের সময় কমিয়ে আনা হযেছে। বর্তমানে এনসিটির ২, ৩, ৪ ও ৫ নম্বর জেটিতে একযোগে ৪টি জাহাজে পণ্য ওঠানামার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।

চট্টগ্রাম ড্রাই ডকের এ কার্যকর ভূমিকা বন্দরের সার্বিক কর্মকাণ্ডে গতি এনেছে, যা দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বন্দর ব্যবহারকারী ও ব্যবসায়ীরা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The capital market of Dhaka Chittagong is underway with a large uprising

বড় উত্থানে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে

বড় উত্থানে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে

সূচকের বড় উত্থানে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সারাদিনের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৬২ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৮ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৩৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০৭ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১১২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ৫০০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২০২ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮২ কোম্পানির মধ্যে ১০৫ কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে ৫৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ২০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
MOU signature between NBR and BARA on BSW use

বিএসডব্লিউ ব্যবহারে এনবিআর ও বিএইআরএ- এর মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষর

বিএসডব্লিউ ব্যবহারে এনবিআর ও বিএইআরএ- এর মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষর

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (বিএইআরএ) আজ বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো (বিএসডব্লিউ) সিস্টেম ব্যবহারের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।

বাণিজ্য সুবিধা আরও সহজ করা এবং আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়। এনবিআর-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের আওতায় বিএসডব্লিউ সিস্টেম ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে। বিএসডব্লিউ মূলত একটি অনলাইন প্লাটফর্ম, যা ব্যবহার করে একজন আমদানিকারক-রপ্তানিকারক পণ্য খালাসের জন্য প্রযোজ্য সব ধরনের সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট (সিএলপি) এর জন্য অনলাইনে আবেদন করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিএলপি সংগ্রহ করতে পারবেন।

সিএলপি গ্রহণের পূর্বে ব্যবহারকারীদের তাদের ব্যবসায়িক শনাক্তকরণ নম্বর (বিআইএন) ব্যবহার করে বিএসডব্লিউ সিস্টেমে (Website: bswnbr.gov.bd) নিবন্ধন করতে হবে।

এই সিস্টেম ব্যবহারের ফলে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে যে সকল সুবিধা পাওয়া যাবে সেগুলো হলো: একটি কমন প্ল্যাটফর্মে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের জন্য প্রযোজ্য সিএলপি সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা কর্তৃক যুগপৎভাবে অনলাইনে সম্পন্ন করা হবে, সরকারি কাজে ব্যক্তিগত যোগাযোগ (হিউম্যান ইন্টারেকশন) না থাকায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে, পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে সময় ও ব্যয় হ্রাস পাবে, দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বিএসডব্লিউ সিস্টেম হতে ইতোমধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইস্যুকৃত সিএলপির সংখ্যা আজ ২০ জুলাই পর্যন্ত ৪ লাখ ৩১ হাজার ১৬৯টি।

সিএলপি সমূহের ৮৫.৩০ শতাংশ এক ঘণ্টার কম সময়ে এবং ৯৪.১৪ শতাংশ এক দিনের কম সময়ে স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় ইস্যু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সিএলপি ইস্যুকারী ১৯টি সংস্থার (ডিজিডিএ, ইপিবি, ডিওইএক্স, বিএনএসিডব্লিউসি, বেজা, বেপজা, ডিওই, বিএসটিআই, বিএইআরএ, বিএইসি, সিএএবি, বিটিআরসি, ডিওএফ, ডিএলএস, পিকিউডব্লিউ, বিডা, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং সিসিআই এন্ড ই) ক্ষেত্রে ইস্যুকৃত সিএলপি বিএসডব্লিউ সিস্টেমের মাধ্যমে দাখিল করার নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এই ১৯টি সংস্থা বিএসডব্লিউ পোর্টালে ইতোমধ্যে যুক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাথে ৩৮টি দপ্তর/সংস্থা/মন্ত্রণালয়ের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে।

আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে যুক্ত সকল অংশীজনকে বিএসডব্লিউ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছে এনবিআর।

যেকোনো প্রয়োজনে কল সেন্টার এ (হটলাইন: ১৬১৩৯) ফোন করে এবং ওয়েবসাইট (www.bswnbr.gov.bd) থেকে বিএসডব্লিউ সংক্রান্ত সকল সেবা গ্রহণ করা যাবে।­

মন্তব্য

p
উপরে