× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The Awami League is formulating electoral strategy
google_news print-icon

ভোটের প্রস্তুতি: দল ও সরকারে পরিবর্তন আনছে আওয়ামী লীগ

ভোটের-প্রস্তুতি-দল-ও-সরকারে-পরিবর্তন-আনছে-আওয়ামী-লীগ
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে পরিবর্তনের পাশাপাশি গুঞ্জন আছে মন্ত্রিসভা থেকে বিতর্কিতদের বাদ দেয়ার। বিতর্কিত আমলাদেরও গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আসন্ন জেলা প্রশাসক সম্মেলনেও বার্তা থাকছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এর অংশ হিসেবে প্রথমেই দলের বিতর্কিতদের ছেঁটে ফেলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দলকে অধিক সক্রিয় করে তুলতে পরিবর্তন আসছে সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে। একই সঙ্গে দলের ত্যাগী ও সুবিধাবঞ্চিতদের সামনে আনার কথা ভাবা হচ্ছে।

গুঞ্জন আছে মন্ত্রিসভা থেকে বিতর্কিতদের বাদ দেয়ারও। বিতর্কিত আমলাদেরও গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। তৃণমূল পর্যায়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আসন্ন জেলা প্রশাসক সম্মেলনেও বার্তা থাকছে।

সরকারের একাধিক নীতিনির্ধারক সূত্র, সিনিয়র মন্ত্রী, দায়িত্বশীল সিনিয়র আমলা ও আওয়ামী লীগ নেতা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ার তালিকায় রয়েছেন কমপক্ষে চারজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী। মন্ত্রিত্ব হারানোর পাশাপাশি তারা দলীয় পদ থেকেও বাদ পড়তে পারেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব বিষয়ে দ্রুতই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। ইতিমধ্যে তিনি কয়েকজন মন্ত্রী ও সচিবকে মন্ত্রিসভা ও একনেক বৈঠকে সতর্ক করেছেন। তাতেও সংবিত না ফেরায় তারা বাদ পড়ছেন দায়িত্বশীল পদ থেকে।

সূত্র মতে, বাদ পড়াদের তালিকায় রয়েছেন কমপক্ষে চারজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী। মন্ত্রিত্ব হারানোর পাশাপাশি তারা দলীয় পদ থেকেও বাদ পড়তে পারেন।

মন্ত্রিসভায় রদবদলের গুঞ্জন

ভোটের প্রস্তুতি: দল ও সরকারে পরিবর্তন আনছে আওয়ামী লীগ
প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো মুরাদ হাসান। ফাইল ছবি

সম্প্রতি মন্ত্রিসভা থেকে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ বাদ পড়ার পর নতুন করে মন্ত্রিসভায় রদবদলের গুঞ্জন শুরু হয়।

বর্তমান মন্ত্রিসভা গঠিত হয় ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি। ইতিমধ্যে তিন বছর পার করেছে এই মন্ত্রিসভা। এরপর থেকে এতে খুব বড় ধরনের রদবদল আসেনি। এক দফায় কেবল কয়েকজন মন্ত্রীর দপ্তর পরিবর্তন হয়েছিল। সেই রদবদলে অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিমকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।

দ্বিতীয় দফায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর মৃত্যুর পর ওই মন্ত্রণালয়ে নতুন প্রতিমন্ত্রী দেয়া হয়েছিল। আর শেষ পর্যায়ে মন্ত্রিসভায় ড. শামসুল আলমকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে।

বাস্তবতা হলো, বিভিন্ন সময় মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদলের কথা আলোচনায় এলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রীদেরকে সুযোগ দিয়ে তাদের সক্ষমতা বাড়ানোর প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছেন।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মুরাদের ঘটনার পর যেসব তথ্য বেরিয়ে আসছে তাতে মন্ত্রিসভার রদবদল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচনের আগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের যে নির্বাচনি অঙ্গীকার তা পূরণের তাগিদ অনুভব করছে সরকার। অনেক মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা বিরাজ করছে। অনেক মন্ত্রী রুটিন কাজও ঠিকমতো করতে পারছেন না। সবাই তাকিয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রীর দিকে।

সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন!

নির্বাচন সামনে রেখে দল গোছানোর প্রক্রিয়ায় সাধারণ সম্পাদক পদেও পরিবর্তন আসার খবর ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ওই দায়িত্ব কে পাচ্ছেন তা নিয়েও চলছে আলোচনা।

২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর অষ্টমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেবার সভাপতি পদে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। সমর্থন করেন সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য মোশাররফ হোসেন। পরে কাউন্সিলররা তা গ্রহণ করেন।

সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন বিগত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তা সমর্থন করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর গঠিত কমিটিতেও দলের শীর্ষ দুই পদে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

তবে এবার সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন দেখছেন দল ও সরকারের অনেকেই। এ জন্য বর্তমান সাধারণ সম্পাদকের শারীরিক অসুস্থতাকে বড় কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

অন্যান্য পদেও পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ হিসেবে করোনা মহামারিতে অনেক দায়িত্বশীল নেতা ও সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে পদ শূন্য হওয়া এবং অভিজ্ঞদের মধ্যে বয়সজনিত নিয়মিত অসুস্থতাকে কারণ হিসেবে তুলে ধরছেন তারা।

অন্যদিকে দলে বিতর্কিত ভূমিকার কারণে বড় বড় পদে থাকা বেশকিছু নেতাকে সরিয়ে ত্যাগী ও সুবিধাবঞ্চিতদের সামনে আনার কথা বলছেন অনেকে। আওয়ামী লীগ সভাপতিরও তেমনটাই ইচ্ছা বলে জানাচ্ছে দলীয় সূত্র।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সুশাসন নিশ্চিত করতে দুর্নীতিবিরোধী যে সংগ্রাম করছি আমরা তা বাস্তবায়নের পথে আছি। দুর্নীতি-সংশ্লিষ্ট কেউ যেন আমাদের দলে ঢুকতে না পারেন এবং যারা ঢুকে পড়েছেন তাদের বের করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ‘রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই আমরা এটা করছি। যারা বিতর্কিত, অজনপ্রিয়, মাদক-সম্রাট ও মাদকসেবী, যারা জনগণের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়, গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়, আইন ও দেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়, যারা সাম্প্রদায়িক তাদেরও আমরা দল থেকে বের করে দেয়ার কাজ শুরু করেছি।’

তৃণমূলে সুশাসনের নির্দেশনা আসছে

ভোটের প্রস্তুতি: দল ও সরকারে পরিবর্তন আনছে আওয়ামী লীগ
সম্মেলনে বিভিন্ন জেলার প্রশাসকরা। ফাইল ছবি

ঢাকায় আগামী ১৮ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলন। করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ আড়াই বছর পর এই সম্মেলন হচ্ছে। এবারের সম্মেলনে জেলা প্রশাসকদের ওপর তৃণমূলে সুশাসন প্রতিষ্ঠার কঠোর নির্দেশনা আসতে যাচ্ছে।

সচিবালয় সূত্র জানায়, ডিসি সম্মেলনের যাবতীয় নথিপত্র ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে। সম্মেলনে জেলা প্রশাসকদের প্রতি সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কঠোর মনোভাব প্রদর্শনের নির্দেশনা থাকছে।

সম্মেলনে চলমান চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় সক্ষমতা অর্জনেও দিকনির্দেশনা থাকবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন সরকার-সংশ্লিষ্টরা।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকারের এই সিদ্ধান্ত ভালো। আমরা এটাকে স্বাগত জানাই। তবে এটা যেন কেবল কথার কথা না হয়। কেবল যেন স্লোগানে আবদ্ধ না থাকে।

‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স- স্লোগানটা বাস্তবায়নে সুশাসন অত্যন্ত জরুরি। এ জন্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মানবাধিকার সংরক্ষণ করতে হবে। মানুষের রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি কার্যক্রমে মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা যাবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের (সিজিএস) পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘র‌্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধকে নির্বাচনি চাপ হিসেবে দেখা ঠিক হবে না। বাংলাদেশের রাজনীতি বা নির্বাচনে আমাদেরকে সবার আগে দেশের জনগণের ওপরই নির্ভর করা উচিত।’

কারা নেতৃত্ব দেবেন নির্বাচনি মাঠে

ভোটের প্রস্তুতি: দল ও সরকারে পরিবর্তন আনছে আওয়ামী লীগ
প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াত রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। ছবি: ফেসবুক

প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এইচ টি ইমামকে বলা হতো আওয়ামী লীগের নির্বাচনি কৌশল নির্ধারণের প্রাণভোমরা। প্রচলিত আছে, নির্বাচন সামনে রেখে মাঠ প্রশাসন সাজানো থেকে শুরু করে জয়ের কৌশল ঠিক করতেন তিনি। সাবেক এই আমলার মৃত্যু দলের মধ্যে এক ধরনের শূন্যতা তৈরি করেছে বলে মনে করেন অনেকে।

তবে একাধিক সূত্র জানায়, আগামীতে এইচ টি ইমামের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে তূলনামূলক কম আলোচিত একজনকে। তিনি দায়িত্ব সামলাবেন একটি টিম হিসেবে। ফলে নির্বাচনের মাঠে কৌশল নির্ধারণ ও জয় বের আনতে খুব একটা বেগ পেতে হবে না বলে মনে করছেন ক্ষমতাসীন দলটির দায়িত্বশীলরা।

সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায়-সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এবার গভর্নমেন্ট নয়, গভর্নেন্সকে গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচনি কৌশল ঠিক করছে সরকার। ফলে কে এতে লিড দেবে সেটা বড় কিছু নয়। হয়তো ছোটখাটো অবয়বের কেউই নেতৃত্ব দেবেন। তবে ফলটা খারাপ হবে না।

‘ইতিমধ্যে প্রশাসন ও সচিবালয় গোছানোর কাজ শুরু হয়েছে। বিতর্কিত, কর্তৃত্ববাদী, আত্মপ্রচারমুখী ও স্বার্থপর শ্রেণির কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দায়িত্বে আনা হবে।’

বিদেশি শক্তির প্রভাব বলয় ভেঙে নির্বাচন

নির্বাচন সামনে রেখে সরকার যে কাজ শুরু করছে তার ইঙ্গিত পাওয়া যায় নতুন বছর ও বর্তমান মেয়াদের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে। প্রধানমন্ত্রী দেশের সার্বিক উন্নয়নে টানা ১৩ বছর ক্ষমতায় থাকার কথা উল্লেখ করে আরো সমর্থন প্রত্যাশা করেন।

তবে আগামী নির্বাচন অতটা সহজ হবে না বলে মনে করে সংশ্লিষ্ট একটি মহল। তারা এ ক্ষেত্রে বিদেশি শক্তির প্রতিবন্ধকতার কথা বলেন। সম্প্রতি পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া নিষেধাজ্ঞাকে এর উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন তারা।

সরকারও বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাবলিক ডিপ্লোমেসি উইং ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছে। সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনালাপ এরই অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন তুলে ধরার নির্দেশনাও একটি কৌশল বলে মনে করছেন অনেকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের (সিজিএস) পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ অবশ্য এ বিষয়ে পুরোপুরি একমত নন। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘র‌্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধকে নির্বাচনি চাপ হিসেবে দেখা ঠিক হবে না। কারণ ওরা বলুক আর না-ই বলুক, আমরা নিজেরাই তো জানি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড গ্রহণযোগ্য নয়। এতে আমেরিকা কী বলল, তাতে কী আসে যায়! তাদের বলায় সব হলে তো এতদিনে অনেক কিছুই হতো; বা বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রের জন্ম হতো না।’

ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি বা নির্বাচনে আমাদেরকে সবার আগে দেশের জনগণের ওপরই নির্ভর করা উচিত। আর জনগণ বলতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন বাহিনী, সংগঠন, দল-উপদল যা আছে, তারাই নির্বাচন সম্পর্কে ভালো জানে। এই স্টেক হোল্ডাররাই ঠিক করবে নির্বাচন কেমন হবে। কারা ক্ষমতায় আসবে।

‘এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা দুর্বল। একটি দেশের বয়স ৫০, রাতারাতি এখানে নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তন হবে না। আমরা কিন্তু ভারত বা আমেরিকায়ও খারাপ নির্বাচন দেখি। আমাদের এখানে যত পরিবর্তন এসেছে, তা জনগণের হাতেই হয়েছে। শুনতে হয়তো ভালো লাগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, কিন্তু এ দেশের সব পরিবর্তন কিন্তু এসেছে জনগণের হাত ধরে। এখানে কিন্তু ওয়াশিংটন বা দিল্লি কোনো প্রভাব ফেলতে পারে না।’

আরও পড়ুন:
সেই পিস্তলধারী গ্রেপ্তার, বোমা উদ্ধার
সব সমস্যার সমাধান হবে সংলাপে: কাদের
রাজধানীতে আওয়ামী লীগের শীতবস্ত্র বিতরণ
উন্নয়ন সহযোগীদের ভুল বোঝানোর অপচেষ্টা হচ্ছে: শেখ হাসিনা
নৌকাবিরোধী এমপি-মন্ত্রীদের তালিকা হচ্ছে: নাছিম

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Domestic and foreign powers plotting to topple elected government Quader

নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের চক্রান্তে দেশি-বিদেশি শক্তি: কাদের

নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের চক্রান্তে দেশি-বিদেশি শক্তি: কাদের অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি: নিউজবাংলা
ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি চিহ্নিত অপশক্তি দেশের গণতন্ত্র এবং জনগণের ভোটাধিকার নস্যাৎ করতে নির্বাচনবিরোধী অপতৎরতায় লিপ্ত রয়েছে। গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এবারের জাতীয় নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক থাকার পরও দেশি-বিদেশি চক্র অপপ্রচার মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরে তো বটেই বাইরেও নির্বাচিত সরকারকে হটানোর চক্রান্ত দীর্ঘদিন ধরে দেখছি।

মঙ্গলবার সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি চিহ্নিত অপশক্তি দেশের গণতন্ত্র এবং জনগণের ভোটাধিকার নস্যাৎ করতে নির্বাচনবিরোধী অপতৎরতায় লিপ্ত রয়েছে। গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেণ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস।

তিনি বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ট করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Awami League rally was also suspended on Friday

শুক্রবার আওয়ামী লীগের সমাবেশও স্থগিত

শুক্রবার আওয়ামী লীগের সমাবেশও স্থগিত ফাইল ছবি
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ বলেছেন, ‘সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু অনুমতি দেয়া হয়নি। ফলে সমাবেশ আপাতত স্থগিত। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।’

আগামী ২৬ এপ্রিলের (শুক্রবার) শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ স্থগিত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু অনুমতি দেয়া হয়নি। ফলে সমাবেশ আপাতত স্থগিত। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।’

প্রসঙ্গতঃ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

রোববার (২১ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের ঘোষণা দেয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ৩টা থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করা হবে।

অবশ্য এর আগে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে ২৬ এপ্রিল বিকেলে নয়াপল্টনে সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। পরে তাপপ্রবাহের কারণ দেখিয়ে সোমবার তা স্থগিত করে দলটি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Life imprisonment of 14 people in Comilla for Chhatra Dal leaders murder

ছাত্রদল নেতা হত্যায় কুমিল্লায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন

ছাত্রদল নেতা হত্যায় কুমিল্লায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন ফাইল ছবি
২০২০ সালের ১০ জুন সন্ধ্যায় কমলাপুর বাজারের দক্ষিণ পাশে পারভেজকে আটক করেন সিকান্দার চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত তাকে এলোপাতাড়ি মারধরে গুরুতর আহত করা হয়। মারধরে গুরুতর আহত হয়ে পারভেজের মৃত্যু হয়।

কুমিল্লায় ছাত্রদল নেতাকে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৫ মাসের সাজার রায় ঘোষণা করা হয়।

সোমবার কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক নাসরিন জাহান এ রায় দেন।

রায় ঘোষণার সময় ১১ জন আসামি উপস্থিত থাকলেও পলাতক ছিলেন তিনজন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শরীফুল ইসলাম।

নিহত মো. পারভেজ হোসেন সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কালিবাজার এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সেকান্দর আলী, যুবলীগ নেতা মো. শাহীন, স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো. সাদ্দাম হোসেন, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, মফিজ ভান্ডারী, মো. কামাল হোসেন, আব্দুল কাদের, মো. ইব্রাহীম খলিল, আনোয়ার, মো. মেহেদী হাসান রুবেল ও জয়নাল আবেদীন। এবং পলাতক তিন আসামী হলেন- মো. কাওছার, মো. রিয়াজ রিয়াদ ও বিল্লাল।

আইনজীবী অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম জানান, ২০২০ সালের ১০ জুন সন্ধ্যায় কমলাপুর বাজারের দক্ষিণ পাশে পারভেজকে আটক করেন সিকান্দার চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত তাকে এলোপাতাড়ি মারধরে গুরুতর আহত করা হয়। মারধরে গুরুতর আহত হয়ে পারভেজের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে ১৫০ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। পরে পারভেজের মাও বাদী হয়ে মামলা করেন। এ ঘটনায় তদন্ত করে সিআইডি ১৪ জনকে আসামি করে প্রতিবেদন দাখিল করে। পরে একজন আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি ও ৩০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেয়।

আরও পড়ুন:
মাথায় গুলি করে ইউএনও’র দেহরক্ষীর ‘আত্মহত্যা’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP postponed the rally due to heat wave

তাপপ্রবাহের কারণে সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি

তাপপ্রবাহের কারণে সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি
বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, পহেলা মে শ্রমিক দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করবে বিএনপি। এরপর সুবিধামতো একটি দিন ঠিক করা হবে সমাবেশের জন্য।

গ্রীষ্মের চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশে। আবহাওয়ার এই প্রতিকূলতার কারণে রাজধানীতে পূর্বঘোষিত সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান মিন্টু সোমবার এই তথ্য জানান।

আগামী ২৬ এপ্রিল (শুক্রবার) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। ২০ এপ্রিল এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে অবহিত করে চিঠিও দেয় দলটি।

গ্রীষ্মের উত্তাপে পুড়ছে দেশ। এর মধ্যে বিএনপির ২৬ এপ্রিলের সমাবেশের ঘোষণায় রাজনৈতিক অঙ্গনেও উত্তাপ ছড়ায়। বিএনপির এই ঘোষণার পর একই দিন রাজধানীতে সমাবেশের ডাক দেয় আওয়ামী লীগও।

তবে তীব্র গরমের কারণে ১৯ এপ্রিল সারা দেশে তিনদিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অফিস। হিট অ্যালার্ট সোমবার (২২ এপ্রিল) থেকে আরও তিন দিন বাড়ানো হয়েছে।

সাইদুর রহমান মিন্টু জানান, গরমে সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্টের সময় বাড়ানোর কারণে সমাবেশ পেছানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

কবে নাগাদ এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে দলটির একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী পহেলা মে শ্রমিক দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করবে বিএনপি। এরপর সুবিধামতো একটি দিন ঠিক করা হবে সমাবেশের জন্য।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The candidate is the cousin of former minister Zahid Malek ignoring the party decision
উপজেলা নির্বাচন

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রার্থী হলেন সাবেক মন্ত্রী জাহিদ মালেকের ফুফাতো ভাই

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রার্থী হলেন সাবেক মন্ত্রী জাহিদ মালেকের ফুফাতো ভাই ফাইল ছবি
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ফুফাতো ভাই ইসরাফিল হোসেন এবং ইসরাফিল হোসেনের মামাতো ভাই হচ্ছেন বর্তমান সংসদ সদস্য জাহিদ মালেক।

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ মালেকের আপন ফুফাতো ভাই মো. ইসরাফিল হোসেন।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসরাফিল এরই মধ্যে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, ইসরফিল হোসেনের মা মৃত রাহেলা বেগম সাবেক বস্ত্রমন্ত্রী ও ঢাকা সিটি করপোরশনের সাবেক মেয়র কর্নেল (অব.) আব্দুল মালেকের আপন বোন। আর কর্নেল মালেকের ছেলে হচ্ছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বর্তমান মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সদস সদস্য জাহিদ মালেক।

এ হিসেবে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ফুফাতো ভাই ইসরাফিল হোসেন এবং ইসরাফিল হোসেনের মামাতো ভাই হচ্ছেন বর্তমান সংসদ সদস্য জাহিদ মালেক।

মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে- সম্প্রতি এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর জন্য সাংগঠনিক সম্পাদকদের সারা দেশ থেকে তথ্য নিয়ে তালিকা তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইসরাফিল হোসেন টানা তৃতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ইসরফিল হোসেন ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এর আগে ২০১৪ সালে ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৎকালীন যুবদলের সাবেক সভাপতি মো.আতাউর রহমান আতাকে পরাজিত করে প্রথম বারের মতো মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।

এরপর ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২য় বারের মতো মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসরাফিল হোসেন বলেন, আমি নির্বাচন করব। কারণ উপজেলা নির্বাচনে দল বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সিদ্বান্ত নিয়েছে,আমি সেই ক্যাটাগরিতে পড়ি না। সুতরাং আমার ক্ষেত্রে দলীয় সিদ্বান্তের প্রভাব পরবে না এবং নির্বাচনে কোনো বাধার হবে না।

তিনি বলেন, বরং আমি নির্বাচন না করলে আমাদের তৃণমূলে বিভেদ ও বিশৃঙাখলা বাড়বে। তাছাড়া আমি নির্বাচন না করলে, কলাগাছ দাঁড়ালেও জিতবে। দীর্ঘদিন ধরে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি এবং প্রায় ৪০-৪২ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আর আমার আত্মীয়স্বজন আমার অনেক (জাহিদ মালেক) মহদয় রাজনীতি আসছেন।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী দীপক কুমার ঘোষ বলেন, যারা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন, তাদের প্রত্যেককে দলীয় সিদ্বান্ত মেনে নেয়া উচিত। আর যদি কেউ দলীয় সিদ্বান্ত অমান্য করে, তাহলে দলীয় সিদ্বান্ত অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

নাম প্রকাশে একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী জানান, ইসরাফিল হোসেন যে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের আপন ফুফাতো ভাই এটা মানিকগঞ্জের প্রত্যেক নেতা-কর্মীরজানা আছে। দলীয় সিদ্বান্তের আগে দিনও সম্ভাব্য উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাথে আলোচনা করেছিলেন জাহিদ মালেক। ইসরাফিল হোসেনের জন্য অনেক প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরে যেতেও বলেছিলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তারা জানান, নির্বাচনে যতই দলীয় সিদ্বান্ত বা নির্দেশনা থাকুক না কেন, গোপনে তো এমপি (জাহিদ মালেক) ইসরাফিলের জন্য কাজ করবেই। কারণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাহিদ মালেকের প্রার্থী হচ্ছে ইসরাফিল হোসেন।

তবে এ বিষয়ে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ মালেকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

নির্বাচন কমিশনার মো.আলমগীর জানান, সংশ্লিষ্ট উপজেলার ভোটাররা, নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচনে কোনো বাধা নেই এবং এই নির্বাচনে দলীয় কোনো পরিচয়ের প্রয়োজনও নেই। তবে নির্বাচনীয় আইনে বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপি আছে, ক্রিমিনাল মামলা ২-৩বছর সাজা খেটেছেন। অথবা যারা নাগরিত্ব হারান, তাহলে তারা নির্বাচন করতে পারবেন না।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The condition of BNP is in turmoil Kader

বিএনপির অবস্থা টালমাটাল: কাদের

বিএনপির অবস্থা টালমাটাল: কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম জনগণের কাছে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ঝাঁকুনি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। অথচ বিএনপি নিজেই রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। ব্যর্থ রাজনীতির ধারায় হাঁটায় হোঁচট আর ঝাঁকুনির প্রকোপে পর্যুদস্ত বিএনপি।

বিএনপি রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দলটি ব্যর্থ রাজনীতির ধারায় হাঁটায় হোঁচট আর ঝাঁকুনির প্রকোপে পর্যুদস্ত।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম জনগণের কাছে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ঝাঁকুনি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। অথচ বিএনপি নিজেই রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। ব্যর্থ রাজনীতির ধারায় হাঁটায় হোঁচট আর ঝাঁকুনির প্রকোপে পর্যুদস্ত বিএনপি।

‘এই ঝাঁকুনি হলো বার বার পরাজয়ের ঝাঁকুনি। হতাশার গভীরে নিমজ্জিত হয়ে বিএনপির নেতাদের বোধশক্তি লোপ পেয়েছে। দিন দিন তারা দেশ, রাষ্ট্র ও জনগণকে শত্রুতে পরিণত করে চলেছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিভিন্ন সময় বিএনপি ও তার দোসরদের যৌথ উদ্যোগে প্রযোজিত ও পরিচালিত সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ায় তারা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে এবং দেশের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে উসকানি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণ দ্বারা বর্জিত বিএনপি কখনোই ইতিবাচক কিছু অর্জন করতে পারবে না। দেশের স্বার্থ আর জনগণের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার।

‘আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক সংগঠন। তাই যে অপশক্তি দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আওয়ামী লীগের প্রবল প্রতিপক্ষ বা শত্রু হিসেবে গণ্য হবে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Will not allow anyone to undermine freedom sovereignty PM

কাউকে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করতে দেব না: প্রধানমন্ত্রী

কাউকে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করতে দেব না: প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের হালিশহর সেনানিবাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাসবাংলা
শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে যুদ্ধও ডিজিটাল মাধ্যমে করা হচ্ছে। এজন্য দেশে আধুনিক, জ্ঞানভিত্তিক উচ্চ প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা দরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে চায়, তবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যা যা করা দরকার তাই করা হবে।

তিনি বলেন, ‘কেউ আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করুক তা আমরা চাই না। আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলতে চাই, কিন্তু আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যা যা করা দরকার আমরা তা করব। আমাদের এটি সর্বদা মনে রাখতে হবে।’

রোববার সকালে চট্টগ্রামের হালিশহর সেনানিবাসে আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে নবনির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স’ উদ্বোধন শেষে দরবারে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। খবর ইউএনবির

তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় শান্তি চাই। আমাদের দেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম। আমরা যুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করেছি। যুদ্ধে জয়ী হয়ে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি তা আমাদের ধরে রাখতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে যুদ্ধও ডিজিটাল মাধ্যমে করা হচ্ছে। এজন্য দেশে আধুনিক, জ্ঞানভিত্তিক উচ্চ প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা দরকার।

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আরও উন্নত, আরও দক্ষ এবং আরও প্রশিক্ষিত হবে এবং আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যেহেতু প্রয়োজনে সবসময় জনগণের পাশে রয়েছে, তাই এখন তারা জাতির কাছে আস্থার প্রতীক।

তিনি বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনী পেশাগত দক্ষতা, কর্তব্যপরায়ণতা, অনুশীলন, প্রশিক্ষণ ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দায়িত্ব পালন করবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘এজন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন চৌকস হতে হবে।’

সেনাবাহিনীর সদস্যদের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা ও আনুগত্য বজায় রেখে কর্তব্যপরায়ণতা, পেশাগত দক্ষতা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে দেশের গৌরব বজায় রাখতে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

সেনাবাহিনীর সার্বিক উন্নয়নে তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সংক্ষেপে বর্ণনা করেন তিনি।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীতে অত্যাধুনিক বিমান, হেলিকপ্টার, ইউএভি, চতুর্থ প্রজন্মের ট্যাংক, এপিসি, ট্যাংক ধ্বংসের ক্ষেপণাস্ত্রসহ অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র সংযোজন করা হয়েছে।

দেশের কল্যাণে সেনাবাহিনীর সার্বিক কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের আস্থার প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজের দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের জন্য দেশে-বিদেশে ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ মিশনগুলোতে অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর জন্য অত্যাধুনিক হালকা সাঁজোয়া যান এবং মাইন প্রতিরোধী অ্যামবুশ সুরক্ষিত যানবাহন কেনা হয়েছে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তাকে স্বাগত জানান।

অনুষ্ঠানে মুজিব ব্যাটারির ওপর একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

মন্তব্য

p
উপরে