দেশে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের বিস্তার রোধে নতুন করে জারি করা বিধিনিষেধে রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খেতে চাইলে ভোক্তাকে অবশ্যই করোনা টিকা গ্রহণের সনদ দেখাতে হবে। তবে সরকারের এই নির্দেশনা রাজধানীর রেস্তোরাঁগুলো মানছে না।
সরকারের নির্দেশনা কার্যকরের প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার ২০ থেকে ৩০টি রেস্তোরাঁ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এমনকি টিকা সনদ ছাড়া রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খেতে দেয়া যাবে না- এমন নির্দেশনাও পায়নি রেস্তোরাঁ মালিক-কর্তৃপক্ষ।
খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খেতে চাইলে ভোক্তাকে করোনা টিকা গ্রহণের সনদ দেখাতে হবে- এমন নির্দেশ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।
রাজধানীর বাটা সিগনাল স্টার কাবাব ও রেস্টুরেন্টে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, খাবার খেতে আসা অধিকাংশ ভোক্তার টিকা সনদ নেই। রেস্টুরেন্ট থেকেও জানতে চাওয়া হচ্ছে না-সংশ্লিষ্ট ভোক্তার টিকার সনদ আছে কি না।
স্টার কাবাব ও রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বললেন, ‘করোনার মধ্যে দীর্ঘদিন আমাদের ব্যবসা বন্ধ ছিল। কিছুদিন হলো রেস্তোরাঁয় ক্রেতা আসা শুরু হয়েছে। এখন নতুন করে সরকার যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে সেটা আমাদের ব্যবসায় ধস নামাবে। সরকারের উচিত আগে সবার টিকা নিশ্চিত করা। তারপর এ ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা। তা না হলে শুধু শুধুই ভোগান্তি বাড়বে।’
দুপুর সাড়ে ১২টায় কাঁটাবন গ্লোরিয়াস রেস্টুরেন্টে গিয়েও অভিন্ন চিত্র দেখা যায়। এই রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে আসা এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। টিকা নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘টিকার জন্য নিবন্ধন করেছি কিন্তু এখনও টিকা পায়নি। তাই বলে কি আমি হোটেলে খাওয়া বন্ধ করে দেব?’
স্টার কাবাব ও রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বললেন, ‘করোনার মধ্যে দীর্ঘদিন আমাদের ব্যবসা বন্ধ ছিল। কিছুদিন হলো রেস্তোরাঁয় ক্রেতা আসা শুরু হয়েছে। এখন নতুন করে সরকার যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে সেটা আমাদের ব্যবসায় ধস নামাবে। সরকারের উচিত আগে সবার টিকা নিশ্চিত করা। তারপর এ ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা। তা না হলে শুধু শুধুই ভোগান্তি বাড়বে।’
গ্লোরিয়াস রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপক এনামুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের জায়গা থেকে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। আমাদের ২০ জন কর্মচারী রয়েছে যাদেরা অধিকাংশই এখনও টিকা পায়নি। তবু সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে সেটা মানার চেষ্টা করছি। যারা খাবার খেতে আসছেন তারা টিকা নিয়েছেন কীনা জিজ্ঞাসা করছি। এই প্রশ্নটা সবাইকে এমন প্রশ্ন করাটাও কেমন যেন লাগে!
‘আমাদের রেস্টুরেন্টের কর্মচারীদের বলে দেয়া হয়েছে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী টিকা নিতে। গ্লোরিয়াস রেস্টুরেন্ট মালিক বলেন, ‘টিকা সনদ ছাড়া রেস্টুরেন্টে ক্রেতা খাবার খেতে পারবে না এমন কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি।’
নিউ চিংড়ি চাইনিজ রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক হজরত আলী মিন্টু বলেন, করোনা শুধু কি রেস্টুরেন্টগুলোতে? অন্য কোথাও নেই? অধিকাংশ জায়গায় মানুষ করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে না। তাহলে টিকা সনদ দেখানোর বিষয় শুধু রেস্তোরাঁয় থাকবে কেন? এটা রেস্টুরেন্ট ব্যবসাকে শেষ করে দেয়া ছাড়া আর কিছু না।’
একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর তোপখানা, পল্টন ও মতিঝিল এলাকার বেশকিছু রেস্তোরাঁয়।
বেলা ২টার দিকে তোপখানা রোডে রোজ ক্যাফে বৈশাখী রেস্তোরাঁয় গিয়ে দেখা যায় একসঙ্গে ২০ জনের বেশি মানুষ খাওয়া-দাওয়া করছে। তাদের অধিকাংশই টিকা সনদ সঙ্গে নিয়ে আসেনি। রহমান নামের এক ভোক্তা বললেন, ‘বাইরে বের হওয়ার সময় টিকার সনদ নিতে মনে নাই। তাছাড়া এই সনদ কি সব সময় সঙ্গে রাখা যায়!’
এই রেস্তোরাঁর স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ক্রেতাদের চাপ দিয়ে টিকার সনদের বিষয় বলা যায় না। এলে জানতে চাচ্ছি। কেউ জানান টিকা নিয়েছেন। কেউ জানান যে নিতে পারেননি। আবার অনেকে জানান যে টিকা নিতে পারেননি। অনেকেই বলছেন নিবন্ধন করে টিকা পাননি। কী করব বলেন? ব্যবসা তো বাঁচিয়ে রাখতে হবে।’
বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকারের এই নির্দেশনা আসলে বাস্তবসম্মত নয়। তবে যেহেতু সরকার একটি নির্দেশনা দিয়েছে তা মানতে আমরা বাধ্য। একইসঙ্গে সরকারের কাছে আমরা আবেদন জানাই এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ব্যবসা করতে চাই। রেস্তোরাঁগুলোতে শ্রমজীবী মানুষ বসে খাওয়া–দাওয়া করেন। তাদের টিকার সনদ যাচাই করতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘শুরুর দিকে একটু চ্যালেঞ্জিং হবে। আস্তে আস্তে এটা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। তবে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এটি আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে।’
অনেক রেস্তোরা মালিক সরকারের এই নির্দেশনা এখনও হাতে পাননি কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব রেস্তোরাঁ ও হোটেল আমাদের সদস্য নয়। সদস্যরা গতকালই নির্দেশনা পেয়ে গেছে। তবে বাকিগুলোতেও নির্দেশনা পৌঁছে দিতে কাজ করছি।’
টিকার সনদ ছাড়া রেস্টুরেন্টে না যাওয়ার নির্দেশনা বাস্তবায়ন শুরুতে চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যারা টিকা নিচ্ছেন তাদের আমরা কাগজের একটি কার্ড দিচ্ছি যেটা ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যাচ্ছে। কার্ডটি নিজেদের কাছে রাখতে হবে। প্রমাণ হিসেবে কার্ডটি সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।’
রেস্টুরেন্টে প্রবেশের আগে ভোক্তার টিকা কার্ড আছে কি না তা কতটা নিশ্চিত করা যাবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শুরুর দিকে একটু চ্যালেঞ্জিং হবে। আস্তে আস্তে এটা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। তবে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এটি আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে।’
রাজধানীর সদরঘাটের শ্যামবাজার ঘাটে একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ওই আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এমভি বাঙালি নামের লঞ্চটিতে কোনো যাত্রী ছিল না।
ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানিয়েছেন, দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চারটি ইউনিট। পরে যোগ দেয় আরও একটি ইউনিট।
তিনি জানান, দুপুর পৌনে ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। লঞ্চটির তৃতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত। আগুনের কারণ ও বিস্তারিত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, লঞ্চটি নোঙর করা ছিল। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) গেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে শেখ হাসিনা আমিরকে টাইগার গেটে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান। খবর বাসসের
তারা সেখানে একান্ত বৈঠকেও মিলিত হবেন। পরে তারা দুই দেশের মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করবেন।
পিএমও ত্যাগের আগে আমির টাইগার গেটে রক্ষিত ভিজিটরস বুকেও সই করবেন। এরপর তিনি বঙ্গভবনে যাবেন যেখানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কাতার আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছেন।
সন্ধ্যায় আমির একটি বিশেষ বিমানে কাতারের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে কাতারের আমির সোমবার দু দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা এসেছেন।
আগামী ২৬ এপ্রিলের (শুক্রবার) শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ স্থগিত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু অনুমতি দেয়া হয়নি। ফলে সমাবেশ আপাতত স্থগিত। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।’
প্রসঙ্গতঃ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
রোববার (২১ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের ঘোষণা দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ৩টা থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করা হবে।
অবশ্য এর আগে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে ২৬ এপ্রিল বিকেলে নয়াপল্টনে সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। পরে তাপপ্রবাহের কারণ দেখিয়ে সোমবার তা স্থগিত করে দলটি।
রাজধানীর গুলিস্তানে গোলাপ শাহ মাজারের সামনে থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে পাঠানো হয়।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আরিফ নেওয়াজ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গোলাপ শাহ মাজার সংলগ্ন ফুটপাত থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করি,পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, আশেপাশের লোকদের সাথে কথা বলে জানতে পারি, মৃত ব্যক্তি ভবঘুরে প্রকৃতির ছিলেন। ভিক্ষাবৃত্তি করতেন এবং সেখানে ঘুমাতেন। তার পরিচয় এখনো জানা যায়নি তবে জানার চেষ্টা চলছে।
এসআই বলেন, সিআইডির ক্রাইম সিনকে খবর দেয়া হয়েছে। ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে হয়তো তার পরিচয় জানা যেতে পারে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ মর্গে রাখা হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে নিম্ন মানে শীর্ষে না থাকলেও অস্বাস্থ্যকরই রয়ে গেছে ঢাকার বাতাস।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানি আইকিউ এয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল ৯টা ৫৯ মিনিটে ১২০ স্কোর নিয়ে ১২২টি শহরের মধ্যে বায়ুর নিম্ন মানে অষ্টম ছিল ঢাকা।
একই সময়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল নেপালের কাঠমান্ডু, চীনের বেইজিং, ও থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই।
আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ দিনের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ৮ দশমিক ৭ গুণ বেশি।
নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।
কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।
আইকিউএয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।
১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।
র্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।
আজ সকাল ৯টা ৫৯ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১২০। এর মানে হলো ওই সময়টাতে সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ছিল ঢাকার বাতাস।
আরও পড়ুন:রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেটে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে আহত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের বাম পায়ের কোনো আঙুলই রাখার সম্ভবনা নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
রোববার ঢাকা মেডিক্যাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রধান অধ্যাপক ডা. বিধান সরকার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আহত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের বাম পায়ের আঙুল যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাতে পাঁচটা আঙুলের কোনটাই রাখা সম্ভব না। এছাড়া ডান পায়ের বুড়ো আঙুল ও হালকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
ডা. বিধান সরকার বলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অর্থপেডিক্স বিভাগ, বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ ও ক্যাজুয়ালটি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে দেখছেন। বর্তমানে তিনি অপারেশন থিয়েটারে আছেন। তবে তার অবস্থা স্ট্র্যাবল। এ ছাড়া বাম পায়ের পাতার টিস্যুগুলো নষ্ট হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, রোববার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেটে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে পায়ের আঙুল কাটা পড়ে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের (৬০)।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যাপক (মেডিসিন) ডা. মো. হারুন অর রশিদ জানান, দিনাজপুর ফুলবাড়িয়া গিয়েছিলেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। বিভিন্ন সময় কয়লা খনির শ্রমিকদের মৃত্যুতে দিনাজপুরে শনিবার একটি শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় অংশ নিতে গিয়েছিলেন তিনি। রোববার দিনাজপুরের ফুলবাড়ী থেকে থেকে ট্রেনে করে ঢাকায় ফিরছিলেন।
আনু মুহাম্মদের সাথে থাকা মো. মাহাতাব বলেন,‘ট্রেনটি খিলগাঁও ক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে গতি কমিয়ে দেয়। তখন সেখানে ট্রেন থেকে নামছিলেন তিনি। তবে নামার সময় তার পা পিছলে মাজা পর্যন্ত চাকার নিচে চলে যায়। এমন সময় ট্রেনটি চলতে শুরু করে। দেখতে পেয়ে দ্রুত ট্রেনের নিচ থেকে বের করতে করতে চাকার নিচে পায়ের আঙুলগুলো কাটা পরে।
দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল ক্যায়াজুয়ালিটি বিভাগের ১০৫ নম্বর কক্ষে আহত আনু মুহাম্মদকে অপারেশন থিয়েটার (ওটিতে) নেয়া হয়। দুই ঘণ্টা অস্ত্রোপচার শেষে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে পোস্ট অপারেটিভ নেয়া হয় তাকে। তিনি বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন।
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ট্রেনে উঠতে গিয়ে বাম পায়ের আঙুল কাটা পড়েছে তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের।
কমলাপুর যাওয়ার জন্য ট্রেনে ওঠার সময় রোববার বেলা ১১টার দিকে অসাবধানতাবশত পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক এ শিক্ষক।
পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয় তাকে, যেখানে এই মুহূর্তে চিকিৎসা চলছে তার।
আনু মুহাম্মদকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থী মাহতাব বলেন, ‘খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় ধীরগতিতে চলা একটি ট্রেন কমলাপুরের দিকে যাওয়ার সময় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ওই ট্রেনে উঠতে যান। ওই সময় পা পিছলে চাকার নিচে পা চলে যায়। এতে তার বাম পায়ের আঙুল থেঁতলে যায় এবং কাটা পড়ে।’
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ সহকারী উপপরিদর্শক মাসুদ মিয়া বলেন, ‘খিলগাঁও রেলগেট থেকে ট্রেনে পায়ের আঙুল কাটা অবস্থায় আনু মুহাম্মদকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
মন্তব্য