বেক্সিমকো লিমিটেডের বহুল আলোচিত তিন হাজার কোটি টাকার গ্রিন সুকুকের লেনদেন শুরুর দিন পুঁজিবাজারে সূচক কিছুটা বাড়লেও লেনদেন কমে গেছে। সুকুকেও খুব একটা লেনদেন হয়েছে এমন নয়, দিন শেষে হাতবদল হয়েছে ৩৩ কোটি টাকার বন্ড।
নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে পাঁচ কর্মদিবসই পুঁজিবাজারে সূচক বাড়লেও দ্বিতীয় সপ্তাহে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। প্রথম দিন বড় পতন, তার পরদিন বড় উত্থান, এরপর আবার বড় পতন, শেষ দিনে আবার সূচক বৃদ্ধি।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ওঠানামা করতে করতে সূচকে যোগ হয়েছে ২১ পয়েন্ট। তবে লেনদেন কমে গেছে ৪০০ কোটি টাকার বেশি।
এদিন লেনদেনে প্রধান আকর্ষণ ছিল সুকুক বন্ড। গত এক বছর ধরেই এই বন্ডটি নিয়ে তুমুল আলোচনা হচ্ছে। বন্ডটি যে লভ্যাংশের নিশ্চয়তা দিয়েছে, তা যেকোনো বিবেচনায় আকর্ষণীয়। তারপরেও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের এটি খুব একটা আকৃষ্ট করতে পেরেছে এমন নয়। পরে মূলত ব্যাংকগুলো এই বন্ডের ইউনিট কিনেছে।
বন্ডটি প্রতি বছর ন্যূনতম ৯ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে, যার পুরোটাই করমুক্ত। আবার বেক্সিমকো লিমিটেডের লভ্যাংশ ১০ শতাংশের বেশি যতটুকু হবে, তার ১০ শতাংশ সুকুকের লভ্যাংশে যোগ হবে। প্রতি বছর সুকুকের ২০ শতাংশ টাকা তুলে নেয়া যাবে। অথবা এই টাকার বিনিময়ে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার নেয়া যাবে। সেই শেয়ার দেয়া হবে বাজারদরের ২৫ শতাংশ কম দামে। ফলে সেখানে ৩৩ শতাংশ বেশি মুনাফা হবে। এই বিষয়টি বিবেচনায় নিলে বছরে মুনাফা ১৬ থেকে ১৭ শতাংশ হবে নিশ্চিতভাবেই। এর চেয়ে বেশিও হতে পারে।
পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরুর আগে সুকুকের লেনদেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন বেক্সিমকো লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান। তিনি দেখান ব্যাংকে টাকা রাখার চেয়ে সুকুকে বিনিয়োগ করা লাভজনক।
পরে ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি বন্ডের লেনদেন শুরু হয় ১১০ টাকায়। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দাম কমতে থাকে। দিন শেষে ১০১ টাকায় শেষ হয় এটি।
এই দিনটি বিনিয়োগকারীদের দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বেড়েছে ১৫৬টির কোম্পানির শেয়ারদর, কমেছে ১৭১টির। অপরিবর্তিত ছিল ৫৫টির।
বছরের প্রথম কর্মদিবস ২ জানুয়ারি লেনদেন ছিল ৮৯৪ কোটি ১৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। সেটি বাড়তে বাড়তে ১১ জানুয়ারি হয় ১ হাজার ৯৭৬ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।
তবে এর পরের দুই দিনে কমতে কমতে সপ্তাহের শেষ দিন দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৪২ কোটি ৮৪ লাখ ১১ হাজার টাকা।
দিনটিতে সূচক এক দিনের ব্যবধানে আবার ৭ হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়েছে। গত ৭ ডিসেম্বরের পর প্রথমবারের মতো তা এই ধাপ অতিক্রম করে ১১ জানুয়ারি। পর দিন আবার তা নিচে নেমে আসে। তার পরদিন তা ২১ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ১৭ পয়েন্টে।
সূচক বাড়াল যেসব কোম্পানি
দিনভর টানাপড়েনের মধ্যে শেষ পর্যন্ত সূচক বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকায় ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি পাওয়ার গ্রিডের। আগের দিন দর হারানো কোম্পানিটির দর এদিন বেড়েছে ৬.৮ শতাংশ। কোম্পানিটি সূচকে যোগ করেছে ৪.৯৭ পয়েন্ট।
টেলিকম খাতের গ্রামীণফোনের শেয়ারদর বেড়েছে পরপর দুই দিন। ০.৬২ শতাংশ দর বৃদ্ধিতে কোম্পানিটি সূচকে যোগ করেছে ৪.৩১ পয়েন্টে।
আগের দিন দর হারানো সরকারি কোম্পানি তিতাস গ্যাসের দর এদিন বেড়েছে ৩.৭৭ পয়েন্ট, কোম্পানিটি সূচক বাড়িয়েছে ২.৫৯ পয়েন্ট।
আগের দিন দর হারানোর সর্বোচ্চ সীমায় লেনদেন হওয়া বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ারদর এক দিনের ব্যবধানে লেনদেন হয়েছে দিনের সর্বোচ্চ সীমায়। ৯.৯৫ শতাংশ দর বৃদ্ধিতে সূচকে যোগ হয়েছে ২.৫২ পয়েন্ট।
এ ছাড়া বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল কোম্পানি ২.০৬ পয়েন্ট, স্কয়ার ফার্মা ১.৬৭ পয়েন্ট, ব্র্যাক ব্যাংক ১.৬২ পয়েন্ট, লাফার্জ হোলসিম ১.৩৫ পয়েন্ট, ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স ০.৯৭ পয়েন্ট ও লিনডে বিডি ০.৯৫ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে।
সব মিলিয়ে এই ২০টি কোম্পানিই সূচক বাড়িয়েছে ২৩.০১ পয়েন্ট।
অন্যদিকে সূচক সবচেয়ে বেশি পতন হয়েছে রবির দরপতনের কারণে। আগের দিন সূচকে ৪৩ পয়েন্ট যোগ করা কোম্পানিটি পরদিন সূচক কমিয়েছে ৩.০৪ পয়েন্ট।
এ ছাড়া সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, এক্সিম ব্যাংক, আইসিবি, বিএসআরএম, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, পদ্মা অয়েল, ব্যাংক এশিয়া ও প্রাইম ব্যাংকও সূচক কিছুটা কমিয়েছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানির কারণে সূচক কমেছে ৯.১৭ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির ১০ কোম্পানি
বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে রংপুর ফাউন্ডির, ৯.৯৮ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৮৮ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২০৭ টাকা ১০ পয়সা।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ারদর বেড়েছে ৯.৯৫ শতাংশ। ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও এপেক্স ফুডের দর বেড়েছে একই হারে। পঞ্চম স্থানে থাকা পেনিনসুল চিটাগাং কোম্পানির দর বেড়েছে ৯.৯২ শতাংশ।
আট শতাংশের বেশি শেয়ারদর বেড়েছে তিনটি কোম্পানির। এর মধ্যে জেমিনি সি ফুডের দর ৮.৭৪ শতাংশ, এএমসিএল (প্রাণ) ৮.৭৪ শতাংশ ও এপেক্স ফুটওয়ারের ৮.৬৯ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।
সাত শতাংশের বেশি শেয়ারদর বেড়েছে দুটি কোম্পানির। একটি ওয়াটা কেমিক্যাল, যার শেয়ারদর বেড়েছে ৭.৯১ শতাংশ, আরেকটি বিডি অটোস, যার শেয়ারদর বেড়েছে ৭.২২ শতাংশ।
পাওয়ার গ্রিড, মুন্নু ফেব্রিক্স ও পদ্মা লাইফের দর বেড়েছে ছয় শতাংশের বেশি।
দরপতনের ১০ কোম্পানি
লেনদেনে সবচেয়ে বেশি ৮.৬৬ শতাংশ দর হারিয়েছে শ্যামপুর সুগার। ৩০ লাখ ৫ হাজার টাকার মোট ৩৫ হাজার ৭৮২টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের দর কমেছে ৫ শতাংশ।
তিন শতাংশের বেশি দর কমেছে চারটি কোম্পানির। এগুলোর মধ্যে ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩.৬৫ শতাংশ, আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩.৪৪ শতাংশ, এসইএমএল এফবিএসএল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩.৪০ শতাংশ এবং আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩.১৫ শতাংশ দর কমেছে।
দুই শতাংশের বেশি শেয়ারের দরপতন হয়েছে ১৬টি কোম্পানির। এর মধ্যে পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ২.৯৫ শতাংশ, বিডি ফিন্যান্সের ২.৮৬ শতাংশ, ইনটেকের ২.৬২ শতাংশ, এস আলম কোল্ডরোল স্টিলের দর ২.৪৫ শতাংশ ও সোনালী পেপারের ২.৪৪ দর শতাংশ কমেছে।
লেনদেনের এগিয়ে থাকা ১০ কোম্পানি
বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ৮০ কোটি ৭৫ লাখ টাকার। ৬৬ লাখ ৬২ হাজার ৬৫০টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা পাওয়ার গ্রিডে লেনদেন হয়েছে ৬০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ৮৩ লাখ ১২ হাজার ৪৮১টি শেয়ার।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেডে ৫৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলে ৪০ কোটি ১৪ লাখ টাকা, আরএকে সিরামিকসে ৩৮ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এদিন ৩৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ফরচুন সুজে। তিতাস গ্যাসের শেয়া লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ৮০ লাখ টাকার। ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সে লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
এ ছাড়া লাভেলো আইসক্রিমে ২৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা, দ্য পেনিনসুলায় ২৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য