দুই দিন অস্বাভাবিক উত্থানের পর সরকারি খাতের কোম্পানিগুলোর দাপট থামল। আগের দিন সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধির তালিকায় যেখানে এই কোম্পানিগুলোর প্রাধান্য ছিল, সেখানে পরের দিন দর পতনের শীর্ষ তালিকায় দেখা গেছে কোম্পানিগুলোকে।
সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবস বুধবার বহুজাতিক বড় মূলধনি কোম্পানি রবির শেয়ারদরে উত্থানে সূচকে ৪৩ পয়েন্ট যোগ হলেও সার্বিকভাবে সূচক কমল ৫৩ পয়েন্ট, যেখানে আগের দিন বেড়েছিল ৫৪ পয়েন্ট।
সূচক কমিয়েছে যেসব কোম্পানির, তার শীর্ষ ১০টির মধ্যে ৬টিই সরকারি খাতের, যেগুলোর দর গত কয়েক দিন ধরেই টানা বাড়ছিল।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ৭টি, প্রকৌশল খাতের ৪টি, খাদ্য এবং বিবিধ খাতে দুটি করে, ব্রাংক, আর্থিক ও টেলিকমিউনিকেশন খাতের একটি করে কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। এর প্রতিটিই দর হারিয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি দর হারিয়ে দিনের সর্বনিম্ন দর হারানোর প্রান্তসীমা ছুঁয়েছে।
দুই দিনে ১১৫ পয়েন্ট সূচক বেড়ে ৭ ডিসেম্বরের পর প্রথমবারের মতো ৭ হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে গেলেও সেটি আবার এই ধাপের নিচে নেমে গেছে। কমেছে লেনদেনও। আগের দিন দুই হাজার কোটি টাকার বেশি হাতবদল হলেও আজ দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে কোনো রকমে।
টানা প্রায় চার মাসের সংশোধনের পর চলতি বছরের শুরুতেই উত্থানের ইঙ্গিত দিয়ে আসছে। এই সময়ে নয় দিনের লেনদেনে দুইদিন কমেছে সূচক। বাকি সাতদিনই বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনার আগ্রহে বেড়েছে সূচক।
দিন শেষে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে মাত্র ৮৮টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। মঙ্গলবার বেড়েছিল ১৮৯টি কোম্পানির। বিপরীতে দর কমেছে ২৪৩টি কোম্পানির।
লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৭৬ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।
যেসব কোম্পানির কারণে এই পতন
সূচক পতনে প্রধান ভূমিকায় ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি পাওয়ার গ্রিড। কোম্পানিটির ৬.৩৭ শতাংশ দর পতনের সূচক কমেছে ৯.৬ পয়েন্ট।
এই তালিকায় শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে সরকারি কোম্পানি ছিল আরও ৫টিল এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবির শেয়ার দর ২.৮৩ শতাংশ কমায় সূচক ৮.৫৯ পয়েন্ট, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির দর ৬.০২ শতাংশ কমায় সূচক ৬.৫৮ পয়েন্ট, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের দর ৯.৯৮ শতাংশ কমায় সূচক ৫.৪১ পয়েন্ট, তিতাস গ্যাসের দর ৩.৬৩ শতাংশ কমায় সূচক ৪.৯৭ পয়েন্ট এবং ডেসকোর দর ৭.৬৯ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৩.৯৯ পয়েন্ট।
অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট ৯.০৭ পয়েন্ট, বেক্মিমকো ৭.০৯, ইউনাইটেড পাওয়ার ৬.১৫ পয়েন্ট এবং বেক্মিমকো ফার্মা ৪.৩৬ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে।
অর্থাৎ এই ১০টি কোম্পানির কারণেই সূচক কমেছে ৬৫.৭১ পয়েন্ট, যার মধ্যে সরকারি ৬ কোম্পানি কমিয়েছে ৩৫.০৫ পয়েন্ট।
বিপরীতে কেবল রবি সূচকে যোগ করেছে ৪৩.৮৪ পয়েন্ট। কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৭.৮৫ শতাংশ। গ্রামীণ ফোনের দর ১.০৫ শতাংশ বাড়ার কারণেও সূচকে যোগ হয়েছে ১৩.৯৪ পয়েন্ট।
আর এ কে সিরামিকস, বিকন ফার্মা, এসআইবিএল, ফরচুর সুজ, ইবিএল, লিনডে বিডি, আল আরাফাহ ব্যাংক, ও লাভেলো আইসক্রিমও পয়েন্ট যোগ করেছে সূচকে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচকে যোগ করেছে ৮০.০২ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধিতে সেরা ১০
সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে লাভেলো আইসক্রিমের দর ৯.৯৫ শতাংশ। কোম্পানিটির দর ৪৫ টাকা ২০ পয়সা দর থেকে পৌঁছেছে ৪৯ টাকা ৭০ পয়সায়।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা তাল্লু স্পিনিংয়ের দর বেড়েছে ৯.৯১ শতাংশ। ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার ১১ লাখ ৬ হাজার ৮১৬টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
দর বৃদ্ধিতে তৃতীয় স্থানে ছিল আর এ কে সিরামিক, যার দর বেড়েছে ৯.৮২ শতাংশ।
আট শতাংশের বেশি দর বেড়েছে এএমসিএল (প্রাণ) এর। শেয়ার দর ৩০৯ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৮.৭২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩৩৬ টাকা ৩০ পয়সা।
এছাড়া রবির দর ৭.৮৫ শতাংশ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৭.৭২ শতাংশ, মিথুন নিটিংয়ের দর ৭.৬৩ শতাংশ, মুন্নু অ্যাগ্রোর দর৭.৪৯ শতাংশ সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের দর ৬.৫০ শতাংশ বেড়েছে।
আরও ২টি কোম্পানির দর ৫ শতাংশের বেশি, ২টির দর ৪ শতাংশের বেশি, ৬টির দর ৩ শতাংশের বেশি, ১২টির দর ২ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
এই খাতের শীর্ষ অবস্থানে দেখা গেছে সরকারি কোম্পানি। এর মধ্যে শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, যার দর কমেছে ৯.৯৮ শতাংশ।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ডেসকোর শেয়ার দর কমেছে ৭.৬৯ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ন্যাশনাল টিউবের দর কমেছে ৬.৫৭ শতাংশ। চতুর্থ অবস্থানে থাকা পাওয়ার গ্রিডের শেয়ার দর কমেছে ৬.৩৬ শতাংশ।
দর পতনের শীর্ষে দশে আরও ছিল বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি, ন্যাশনাল হাউজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, এলটাস বাংলাদেশ, পেনিনসুলা, ইনফরমেশন সার্ভিসেস, ডেফোডেল কম্পিউটার ও কেডিএস এক্সেসরিজ ছিল দরপতনের শীর্ষ তালিকায়।
লেনদেনে সেরা দশ
লেনদেনে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল ফরচুন সুজ। ১০১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা লেনদেনে হাতবদল হয়েছে ৮২ লাখ ৬২ হাজার ৪৮১টি শেয়ার।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৮ কোটি ১৯ লাখ টাকার। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৬৫ লাখ ২৫ হাজার ৭১৯টি শেয়ার।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। পাওয়ার গ্রিডের ৭৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, আরএকে সিরামিকের ৬৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
এছাড়া তিতাস গ্যাসে লেনদেন হয়েছে ৫৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ১৩ লাখ ২৭ হাজার ৯৪৩টি শেয়ার।
রবির শেয়ার ৫৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা, ফারইস্ট লাইফের ৪১ কোটি ৪১ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।
এছাড়া লেনদেনে এগিয়ে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ছিল বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, বসুন্ধরা পেপার মিলস ও লাফার্জ হোলসিম।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য