দুই দিন অস্বাভাবিক উত্থানের পর সরকারি খাতের কোম্পানিগুলোর দাপট থামল। আগের দিন সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধির তালিকায় যেখানে এই কোম্পানিগুলোর প্রাধান্য ছিল, সেখানে পরের দিন দর পতনের শীর্ষ তালিকায় দেখা গেছে কোম্পানিগুলোকে।
সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবস বুধবার বহুজাতিক বড় মূলধনি কোম্পানি রবির শেয়ারদরে উত্থানে সূচকে ৪৩ পয়েন্ট যোগ হলেও সার্বিকভাবে সূচক কমল ৫৩ পয়েন্ট, যেখানে আগের দিন বেড়েছিল ৫৪ পয়েন্ট।
সূচক কমিয়েছে যেসব কোম্পানির, তার শীর্ষ ১০টির মধ্যে ৬টিই সরকারি খাতের, যেগুলোর দর গত কয়েক দিন ধরেই টানা বাড়ছিল।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ৭টি, প্রকৌশল খাতের ৪টি, খাদ্য এবং বিবিধ খাতে দুটি করে, ব্রাংক, আর্থিক ও টেলিকমিউনিকেশন খাতের একটি করে কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। এর প্রতিটিই দর হারিয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি দর হারিয়ে দিনের সর্বনিম্ন দর হারানোর প্রান্তসীমা ছুঁয়েছে।
দুই দিনে ১১৫ পয়েন্ট সূচক বেড়ে ৭ ডিসেম্বরের পর প্রথমবারের মতো ৭ হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে গেলেও সেটি আবার এই ধাপের নিচে নেমে গেছে। কমেছে লেনদেনও। আগের দিন দুই হাজার কোটি টাকার বেশি হাতবদল হলেও আজ দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে কোনো রকমে।
টানা প্রায় চার মাসের সংশোধনের পর চলতি বছরের শুরুতেই উত্থানের ইঙ্গিত দিয়ে আসছে। এই সময়ে নয় দিনের লেনদেনে দুইদিন কমেছে সূচক। বাকি সাতদিনই বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনার আগ্রহে বেড়েছে সূচক।
দিন শেষে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে মাত্র ৮৮টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। মঙ্গলবার বেড়েছিল ১৮৯টি কোম্পানির। বিপরীতে দর কমেছে ২৪৩টি কোম্পানির।
লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৭৬ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।
যেসব কোম্পানির কারণে এই পতন
সূচক পতনে প্রধান ভূমিকায় ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি পাওয়ার গ্রিড। কোম্পানিটির ৬.৩৭ শতাংশ দর পতনের সূচক কমেছে ৯.৬ পয়েন্ট।
এই তালিকায় শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে সরকারি কোম্পানি ছিল আরও ৫টিল এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবির শেয়ার দর ২.৮৩ শতাংশ কমায় সূচক ৮.৫৯ পয়েন্ট, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির দর ৬.০২ শতাংশ কমায় সূচক ৬.৫৮ পয়েন্ট, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের দর ৯.৯৮ শতাংশ কমায় সূচক ৫.৪১ পয়েন্ট, তিতাস গ্যাসের দর ৩.৬৩ শতাংশ কমায় সূচক ৪.৯৭ পয়েন্ট এবং ডেসকোর দর ৭.৬৯ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৩.৯৯ পয়েন্ট।
অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট ৯.০৭ পয়েন্ট, বেক্মিমকো ৭.০৯, ইউনাইটেড পাওয়ার ৬.১৫ পয়েন্ট এবং বেক্মিমকো ফার্মা ৪.৩৬ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে।
অর্থাৎ এই ১০টি কোম্পানির কারণেই সূচক কমেছে ৬৫.৭১ পয়েন্ট, যার মধ্যে সরকারি ৬ কোম্পানি কমিয়েছে ৩৫.০৫ পয়েন্ট।
বিপরীতে কেবল রবি সূচকে যোগ করেছে ৪৩.৮৪ পয়েন্ট। কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৭.৮৫ শতাংশ। গ্রামীণ ফোনের দর ১.০৫ শতাংশ বাড়ার কারণেও সূচকে যোগ হয়েছে ১৩.৯৪ পয়েন্ট।
আর এ কে সিরামিকস, বিকন ফার্মা, এসআইবিএল, ফরচুর সুজ, ইবিএল, লিনডে বিডি, আল আরাফাহ ব্যাংক, ও লাভেলো আইসক্রিমও পয়েন্ট যোগ করেছে সূচকে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচকে যোগ করেছে ৮০.০২ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধিতে সেরা ১০
সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে লাভেলো আইসক্রিমের দর ৯.৯৫ শতাংশ। কোম্পানিটির দর ৪৫ টাকা ২০ পয়সা দর থেকে পৌঁছেছে ৪৯ টাকা ৭০ পয়সায়।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা তাল্লু স্পিনিংয়ের দর বেড়েছে ৯.৯১ শতাংশ। ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার ১১ লাখ ৬ হাজার ৮১৬টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
দর বৃদ্ধিতে তৃতীয় স্থানে ছিল আর এ কে সিরামিক, যার দর বেড়েছে ৯.৮২ শতাংশ।
আট শতাংশের বেশি দর বেড়েছে এএমসিএল (প্রাণ) এর। শেয়ার দর ৩০৯ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৮.৭২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩৩৬ টাকা ৩০ পয়সা।
এছাড়া রবির দর ৭.৮৫ শতাংশ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৭.৭২ শতাংশ, মিথুন নিটিংয়ের দর ৭.৬৩ শতাংশ, মুন্নু অ্যাগ্রোর দর৭.৪৯ শতাংশ সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের দর ৬.৫০ শতাংশ বেড়েছে।
আরও ২টি কোম্পানির দর ৫ শতাংশের বেশি, ২টির দর ৪ শতাংশের বেশি, ৬টির দর ৩ শতাংশের বেশি, ১২টির দর ২ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
এই খাতের শীর্ষ অবস্থানে দেখা গেছে সরকারি কোম্পানি। এর মধ্যে শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, যার দর কমেছে ৯.৯৮ শতাংশ।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ডেসকোর শেয়ার দর কমেছে ৭.৬৯ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ন্যাশনাল টিউবের দর কমেছে ৬.৫৭ শতাংশ। চতুর্থ অবস্থানে থাকা পাওয়ার গ্রিডের শেয়ার দর কমেছে ৬.৩৬ শতাংশ।
দর পতনের শীর্ষে দশে আরও ছিল বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি, ন্যাশনাল হাউজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, এলটাস বাংলাদেশ, পেনিনসুলা, ইনফরমেশন সার্ভিসেস, ডেফোডেল কম্পিউটার ও কেডিএস এক্সেসরিজ ছিল দরপতনের শীর্ষ তালিকায়।
লেনদেনে সেরা দশ
লেনদেনে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল ফরচুন সুজ। ১০১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা লেনদেনে হাতবদল হয়েছে ৮২ লাখ ৬২ হাজার ৪৮১টি শেয়ার।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৮ কোটি ১৯ লাখ টাকার। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৬৫ লাখ ২৫ হাজার ৭১৯টি শেয়ার।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। পাওয়ার গ্রিডের ৭৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, আরএকে সিরামিকের ৬৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
এছাড়া তিতাস গ্যাসে লেনদেন হয়েছে ৫৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ১৩ লাখ ২৭ হাজার ৯৪৩টি শেয়ার।
রবির শেয়ার ৫৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা, ফারইস্ট লাইফের ৪১ কোটি ৪১ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।
এছাড়া লেনদেনে এগিয়ে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ছিল বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, বসুন্ধরা পেপার মিলস ও লাফার্জ হোলসিম।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য