× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Two and a half crore rupees of City Corporation in Jahangirs pocket
google_news print-icon

সিটি করপোরেশনের আড়াই কোটি টাকা জাহাঙ্গীরের পকেটে

সিটি-করপোরেশনের-আড়াই-কোটি-টাকা-জাহাঙ্গীরের-পকেটে
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। ফাইল ছবি
প্রয়োজনীয় নথিপত্র ছাড়াই গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নামে ব্যাংক হিসাব খোলা হয়। তাতে পে-অর্ডারের মাধ্যমে ২ কোটি ৬০ লাখ ২৪ হাজার ৯৯৫ টাকা জমা হয়। এরপর ছয়টি চেকের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেয়া হয় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এর কোনো হিসাবই সিটি করপোরেশনের রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করা হয়নি।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সদ্য বহিষ্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে।

২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রিমিয়ার ব্যাংকের কোনাবাড়ি শাখায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নামে একটি চলতি হিসাব খোলেন জাহাঙ্গীর আলম। যার হিসাব নম্বর: ০৩৫১১১০০০০০৫৭৮।

নথিপত্র অনুযায়ী সিটি করপোরেশনে যে টাকা জমা পড়ার কথা, সেই টাকা জমা পড়েছে এই ব্যাংক হিসাবে। সেই টাকা তুলে নেয়া হয়েছে, যার একটি পয়সাও করপোরেশনের নথিতে তোলা হয়নি।

বিভিন্ন সময় অ্যাকাউন্টটিতে পে-অর্ডারের মাধ্যমে ২ কোটি ৬০ লাখ ২৪ হাজার ৯৯৫ টাকা জমা হয়। এরপর ছয়টি চেকের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেয়া হয় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এর কোনো হিসাবই সিটি করপোরেশনের রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করা হয়নি।

এই ব্যাংক হিসাব খুলতে প্রয়োজনীয় নথিপত্র দেননি জাহাঙ্গীর। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বারবার তাগাদা দিলে তিনি করোনার অজুহাত দেখান। পরে ব্যাংক নিজে থেকে ব্যাংক হিসাবটি বন্ধ করে দিয়ে সাড়ে আট হাজার টাকা তাকে দিয়ে দেয়।

নিউজবাংলার অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য।

নথিপত্রে দেখা যায়, ব্যাংক হিসাবে মোবাইল নম্বর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে জাহাঙ্গীরের ব্যক্তিগত নম্বর। ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের। এক বছর তিন দিন চালু ছিল হিসাবটি।

তবে জাহাঙ্গীর আলমের দাবি, এই হিসাব তিনি খোলেননি। তাকে ফাঁদে ফেলতে একটি চক্রের কাজ। তিনি কাউকে চেক দেননি। কাউকে ব্যাংকে পাঠাননি।

যদিও ব্যাংক ম্যানেজার বলেছেন উল্টো কথা। তিনি জানান, টাকা ছাড় করানোর আগে যার নামে ব্যাংক হিসাব, তাকে ফোনও করা হয়েছে। তবে জাহাঙ্গীর ফোন পাওয়ার কথাও স্বীকার করতে চাননি।

ঘরোয়া আলোচনায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার পর গত ১৯ নভেম্বর মেয়রের পদ হারান জাহাঙ্গীর। এরপর সিটি করপোরেশনে তার নানা অনিয়মের খবর আসতে থাকে গণমাধ্যমে।

কবে কত লেনদেন

হিসাবটি চালুর দিনই মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের পে-অর্ডারের মাধ্যমে ৪০ লাখ ২৫ হাজার টাকা জমা দেয় নগরীর কোনাবাড়িতে অবস্থিত ইস্পাহানি ফুডস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

কারখানা কর্তৃপক্ষ লে-আউট প্ল্যান অনুমোদনের ফি ও জরিমানা বাবদ ওই টাকা জমা দেয়। একই দিন অপর একটি পে-অর্ডারে জমা হয় আরও ৫০ লাখ টাকা।

ইস্পাহানি ফুডস লিমিটেডের মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা অবশ্যই গাজীপুর সিটি করপোরেশনকে পে-অর্ডার দিয়েছি। পে-অর্ডার না দিলে তো আমরা লে-আউট প্ল্যান পেতাম না। আমাদেরকে পে-অর্ডার ফি ও জরিমানা বাবদ সিটি করপোরেশন থেকে যেভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেভাবেই দিয়েছি। আমরা মেয়র গাজীপুর সিটি করপোরেশন বরাবর পে-অর্ডার দিয়েছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘নগর ভবনে গিয়ে মেয়রের কাছে পে-অর্ডারটি জমা দিই। পরে তিনি (মেয়র) একজন কর্মকর্তাকে ডেকে নিয়ে পে-অর্ডারটি জমা নিতে বলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমাদেরকে একটি রিসিভ কপিও দেয়া হয়।

‘মেয়র যদি পে-অর্ডারটি রিসিভ না করতেন, তাহলে তো আমরা অনুমোদন পেতাম না। ফি জমা দেয়ার কিছুদিন পর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ি জোন থেকে ফোন করে লে-আউট অর্ডার অনুমোদন হয়েছে জানিয়ে সেটি নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়।’

একই বছরের ৫ মার্চ ১৭ লাখ ৫৫ হাজার ৪০৫ টাকার, ২৯ জুলাই ৮৫ লাখ ও ৬৭ লাখ ৪৪ হাজার ৫৯০ টাকার দুটি পে-অর্ডার জমা হয়।



সিটি করপোরেশনের আড়াই কোটি টাকা জাহাঙ্গীরের পকেটে


এই হিসাব থেকে ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ৯৩৩২৮২৭ নম্বর চেকের মাধ্যমে শামীম হোসেন নামে একজনকে ৫০ লাখ টাকা দেন জাহাঙ্গীর আলম।

একই বছরের ৫ মার্চ ৯৩৩২৮২৮ নম্বর চেকের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা তোলেন জাহাঙ্গীর। ৬ আগস্ট ব্যক্তিগত কর্মচারী শহীদুলের মাধ্যমে ৫০৬১৯২ নম্বর চেকের মাধ্যমে এক কোটি টাকা, ১০ আগস্ট বাসার ব্যক্তিগত কর্মচারী প্লটু চাকমাকে দিয়ে ৫০৬১৯১ নম্বর চেকের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা এবং ১৮ ও ২০ আগস্ট ব্যক্তিগত কর্মচারী শহীদুলকে দিয়ে ৫০৬১৯৩ ও ৫০৬১৯৪ নম্বর চেকের মাধ্যমে যথাক্রমে ৩০ লাখ ও ২০ লাখ টাকা তোলা হয়।

সর্বশেষ লেনদেনের প্রায় ৭ মাস পর প্রয়োজনীয় নথিপত্র না থাকার কারণ দেখিয়ে ২০২১ সালে ৩ মার্চ হিসাবটি বন্ধ করে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

তখন হিসাবটিতে জমা ছিল আট হাজার ২৩৫ টাকা। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আট হাজার পাঁচ টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে জাহাঙ্গীর আলমকে ফেরত দিয়ে বাকি ২৩০ টাকা অ্যাকাউন্ট বন্ধের ফি হিসেবে কেটে নেয়।


হিসাব
খোলায় মানা হয়নি নিয়ম

নিয়ম অনুযায়ী সিটি করপোরেশনের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে পরিষদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তাছাড়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কারও ব্যক্তিগত নম্বর ব্যবহারের বিধান নেই। হিসাবটি এককভাবে পরিচালনা করতে হলে পর্ষদ সদস্যদের নিয়ে মাসিক সভা ডেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে রেজ্যুলেশনের কপি ব্যাংককে জমা দিতে হয়। কিন্তু অ্যাকাউন্টটি খোলা ও পরিচালনার ক্ষেত্রে এসব নিয়মের কোনোটাই মানা হয়নি।

এ বিষয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আমিনুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি এসেছে। তারা বিভিন্ন বিষয় তদন্ত করে দেখছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে কথা বলব।’

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ বলেন, ‘আমি দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে বহিষ্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের অসংখ্য অনিয়মের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়গুলো যেহেতু মন্ত্রণালয় তদন্ত করছে, তাই এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না।’



সিটি করপোরেশনের আড়াই কোটি টাকা জাহাঙ্গীরের পকেটে


প্রিমিয়ার ব্যাংকের কোনাবাড়ি শাখার ব্যবস্থাপক এম মোর্শেদ খান বলেন, ‘হিসাবটি চালু ও বন্ধের সময় আমি এ শাখায় ছিলাম না। যেকোনো করপোরেশনের অ্যাকাউন্টে অবশ্যই দুজন অভিভাবক থাকতে হয়, এককভাবে হয় না। তবে পুরো বিষয়টি নির্ভর করে তাদের রেজ্যুলেশনের ওপর। তাদের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় যেই সিদ্ধান্ত হয় তার ওপর। আমরা সেই সিদ্ধান্তের রেজ্যুলেশনের কপিও পাইনি। মূলত এই কারণেই অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’

এই ব্যাংক হিসাবে টাকা লেনদেন নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে এক টাকা পেমেন্ট দিতে হলেও কাস্টমারের অনুমতি নিয়ে দিতে হয়। এই অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেও গ্রাহকের মোবাইল নম্বরে ফোন করে অনুমতি নিয়েই পেমেন্ট করা হয়েছে।’

জাহাঙ্গীরের দাবি, ফাঁদে পড়েছেন তিনি

নিউজবাংলার কাছে ব্যাংক হিসাব, লেনদেনের নথিপত্র থাকলেও এর সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ‘অ্যাকাউন্টটি আমার না। আমার নাম ব্যবহার করে, আমার ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে অ্যাকাউন্ট করে আমাকে ফাঁসানোর জন্য এটা করেছে।

‘যাদেরকে বলা হচ্ছে আমার ব্যক্তিগত কর্মচারী, তারাও আমার ব্যক্তিগত না। অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে রেজ্যুলেশন লাগে। আমার সরকারি স্বাক্ষর ও রেজ্যুলেশন না। আমি কোনো দিন ওই প্রতিষ্ঠানে (ব্যাংকে) যাইনি, ওই প্রতিষ্ঠানের কেউও আমার কাছে আসেনি।’

‘ব্যাংক অ্যাকাউন্টটিতে আপনার ব্যক্তিগত নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে’- এমন কথা শুনে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘যেকোনো মানুষ আমাদের নম্বর নেয়। ভোটার অফিসে আমার আইডি আছে, ইন্টারনেটে ছবি আছে। যে কেউ ইচ্ছে করলে এসব ব্যবহার করতে পারছে। বেকায়দায় পড়ে গেছি তো তাই সবাই বিপদে ফেলার চেষ্টা করছে।’

ব্যাংক হিসাবে নম্বর দেয়া থাকায় টাকা পরিশোধের সময় তো ফোন দেয়ার কথা- এমন মন্তব্যে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমার সঙ্গে এ ব্যাপারে কোনো কথা হয়নি। আমার রেকর্ডিংটা নাকি দুই বছর আগেই করা হয়েছে। আমাকে ফাঁসিয়ে দেয়ার জন্য একটা চক্র পূর্ব থেকেই কাজ করছে। আমি তাদের ফাঁন্দে পড়েছি।’



সিটি করপোরেশনের আড়াই কোটি টাকা জাহাঙ্গীরের পকেটে


ব্যাংক নথি অনুযায়ী অ্যাকাউন্ট থেকে ৩০ লাখ টাকা আপনি নিজে উত্তোলন করেছেন- এই বিষয়টি বললে বহিষ্কৃত মেয়র বলেন, ‘ওই ব্যাংকে সিসি ক্যামেরা আছে। দেখেন আমি গেছি কি না সেখানে। আমি নিজে যদি টাকা উঠিয়ে থাকি তাহলে নিশ্চয়ই সিসি ক্যামেরার ফুটেজে আমাকে দেখা যাবে।’

জাহাঙ্গীরের বক্তব্য নিয়ে প্রিমিয়ার ব্যাংকের কোনাবাড়ি শাখার সে সময়ের ব্যবস্থাপক (বর্তমানে আশুলিয়া শাখায় কর্মরত) মোতালেব হোসেনের সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা।

তিনি বলেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নামে অ্যাকাউন্টটি সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম খুলেছিলেন। অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে তার স্বাক্ষর, ছবি ও ন্যাশনাল আইডি কার্ড জমা নেয়া হয়। অ্যাকাউন্ট খোলার সময় রেজ্যুলেশনের কপি চাওয়া হয়। কিন্তু কিছুদিন পরেই দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়। এর ভেতর বেশ কয়েকটি লেনদেন হয়ে যায়। পরে ডকুমেন্ট ত্রুটির কারণে আমরা অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দিই।’

তিনি জানান, এই ব্যাংক হিসাব নিয়ে সে সময় জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে তাদের একাধিক কথা হয়েছে।

তিনি বলেন, “তিনি (জাহাঙ্গীর) কখনো ‘করোনা পরিস্থিতিতে মিটিং হয় না’, ‘মিটিং হবে’, ‘রেজ্যুলেশন দিচ্ছি-দেব’ বলে কালক্ষেপণ করেন। এরপরে আমরা আর কোন পে-অর্ডার জমা নিইনি।

“তারা অনেক চেষ্টা করেছিলেন পে-অর্ডার জমা দেয়ার। কিন্তু আমরা নিইনি। পরবর্তীতে এক প্রকার জোরপূর্বক ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দিই।”

অ্যাকাউন্টটি খোলেনি বলে বহিষ্কৃত মেয়র যে দাবি করেছেন- সেই প্রশ্নে মোতালেব হোসেন বলেন, ‘পে-অর্ডারের মালিক কি আমি? আমার কাছে পে-অর্ডার আসবে কোথা থেকে। সে সময় তার লোকজনই ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়ে গেছে। এখন যদি তিনি অস্বীকার করেন তাহলে সেটা চ্যালেঞ্জ করা হবে। তদন্ত করলেই আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে। সে সময় আমরা ব্যাংক থেকে তার ব্যক্তিগত মুঠোফোনে যোগাযোগ করেছিলাম, সেসব তো জানা যাবে।’

ব্যাংক ব্যবস্থাপক এও জানান, প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিতে জাহাঙ্গীর আলমের বাসায়ও গেছেন তিনি।

তিনি বলেন, “করোনা পরিস্থিতির সময় অন্তত ১০ দিন নগর ভবনে গিয়ে রেজ্যুলেশন হয়েছে কি না খবর নিয়েছি। মেয়রের বাসভবনে একাধিকবার গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে ছিলাম। দোতলায় বসে থাকতাম দেখা করতেন না। অনেক সময় দেখা হলে বলতাম, ‘আমরা অনেক সমস্যায় আছি, ডকুমেন্টগুলো জমা দেন।'”

আরও পড়ুন:
জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা
তোপের মুখে জাহাঙ্গীর সমর্থক নেতারা
বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
জাহাঙ্গীরের নামে মামলা পঞ্চগড়েও
এবার জাহাঙ্গীরের নামে মাদারীপুরে মামলা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The temperature in Pabna has exceeded 42 degrees

৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে পাবনার তাপমাত্রা

৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে পাবনার তাপমাত্রা ছবি: নিউজবাংলা
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তীব্র থেকে অতি তীব্র মাত্রায় পাবনা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। অসহনীয় দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত তিন-চার দিন তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও শুক্রবার চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।

এদিন পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যা জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত রবিবার (২১ এপ্রিল) ঈশ্বরদীতে প্রথমবার ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

অতি তীব্র তাপদাহে পাবনার মানুষের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে কৃষক, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ইটভাটার শ্রমিকসহ দিনমজুরদের জন্য অসহ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়াও তীব্র গরমে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ সব বয়সের মানুষ।

আরও পড়ুন:
তাপপ্রবাহ থাকছেই, বৃষ্টি হলেও হতে পারে
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি, মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The robber who killed the driver to rob a rickshaw is in jail

রিকশা ছিনতাই করতে চালককে খুন, ছিনতাইকারী কারাগারে

রিকশা ছিনতাই করতে চালককে খুন, ছিনতাইকারী কারাগারে ফাইল ছবি
বৃহস্পতিবার রাতে রিকশা নিয়ে আশরাফ আলী কুপতলা এলাকার ৭৫ নম্বর রেলগেটে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সাদেকুল ইসলাম তার পথ রোধ করে ছুরি ধরে রিকশা এবং চাবি কেড়ে নিয়ে তাকে চলে যেতে বলেন। তিনি এতে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রথমে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত সাদেকুল আশরাফ আলীর পেটে ছুরিকাঘাত করেন।

গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন আশরাফ আলী নামের এক রিকশাচালক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার সুন্দরগঞ্জ-কুপতলা সড়কের ৭৫ নম্বর রেলগেট নামক এলাকায় এ ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে সাদেকুলকে কারাগারে পাঠানো হয়।

৫০ বছর বয়সী রিকশাচালক আশরাফ আলী সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের সাহার ভিটার গ্রামের মৃত ফয়জার রহমানের ছেলে। অন্যদিকে ছিনতাই ও হত্যায় অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলাম কুপতলা ইউনিয়নের রামপ্রসাদ গ্রামের বাসিন্দা।

নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদ রানা।

ওসি জানান, প্রতিদিনের মতোই বৃহস্পতিবার রাতে রিকশা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আশরাফ আলী। তিনি কুপতলা এলাকার ৭৫ নম্বর রেলগেটে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সাদেকুল ইসলাম তার পথ রোধ করে ছুরি ধরে রিকশা এবং চাবি কেড়ে নিয়ে তাকে চলে যেতে বলেন। আশরাফ আলী এতে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রথমে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত সাদেকুল আশরাফ আলীর পেটে ছুরিকাঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি বলেন, ‘এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ওই রাতেই অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামকে আটক করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে রিকশাটিও উদ্ধার করা হয়। পরে আজ (শুক্রবার) দুপুরে সাদেকুলকে একমাত্র আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
3 bank officials in jail on charges of irregularities of Tk 10 crores

দশ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

দশ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে ছবি: নিউজবাংলা
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী বিভাগীয় অফিস থেকে ৫ সদস্যবিশিষ্ট অডিট টিম কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসে। দিনভর অডিট করে তারা ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আর্থিক অনিয়ম পান। এ বিষয়ে ওই শাখার তিন কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ সেদিন রাতেই তাদের তিনজনকে আটক করে।

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার অগ্রণী ব্যাংকের কাশিনাথপুর শাখায় প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে শাখা ম্যানেজারসহ ৩ কর্মকর্তাকে আটকের পর কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আনোয়ার হোসেন সাগর। এদিন দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করে সাঁথিয়া থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের জিআরও এএসআই মাহবুবুর রহমান জানান, বিকেলে সাঁথিয়া থানা থেকে এনে তাদের আদালতে তোলা হয়। এ সময় কেউ তাদের জন্য জামিন আবেদন করেননি। ফলে আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আটককৃতরা হলেন- অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার ব্যবস্থাপক (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) সুজানগর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা হারুন বিন সালাম, সিনিয়র অফিসার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার বাসিন্দা আবু জাফর এবং ক্যাশিয়ার বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত চক্রবর্তী।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী বিভাগীয় অফিস থেকে ৫ সদস্যবিশিষ্ট অডিট টিম কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসে। দিনভর অডিট করে তারা ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আর্থিক অনিয়ম পান। এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানায় ওই শাখার ম্যানেজার (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) হারুন বিন সালাম, ক্যাশ অফিসার সুব্রত চক্রবর্তী ও সিনিয়র অফিসার আবু জাফরকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দিলে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে তাদের তিনজনকে আটক করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অডিটে অনিয়ম ধরা পড়লে তাদের আটক করে সাঁথিয়া থানা পুলিশকে খবর দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আজ (শুক্রবার) দুপুরে জিডির ভিত্তিতে আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে দুদক আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’

আরও পড়ুন:
পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
After an age buses are running again on Patrakhola road

এক যুগ পর পাত্রখোলা সড়কে ফের চলছে বাস

এক যুগ পর পাত্রখোলা সড়কে ফের চলছে বাস ছবি: নিউজবাংলা
সিএনজি থেকে ভাড়া কম করে বাস সার্ভিস চালু হওয়ায় যাত্রীসহ স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীরা বেজায় খুশি।

দীর্ঘ এক যুগ বন্ধ থাকার পর পুনরায় শ্রীমঙ্গল-পাত্রখোলা সড়কে বাস পরিষেবা চালু করেছে শ্রীমঙ্গল-শমশেরনগর-কুলাউড়া বাস মালিক সমিতি।

বৃহস্পতিবার সকালে কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসিদ আলী ও ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোলেমান মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে বাস সার্ভিস উদ্বোধন করেন শ্রীমঙ্গল বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।

প্রাথমিক পর্যায়ে এই রুটে ৫০ মিনিট পরপর ২৪টি বাস চলাচল করবে বলে সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল থেকে ভানুগাছ মাধবপুর সড়ক দিয়ে ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা চা বাগান পর্যন্ত এ বাস চলাচল করবে।

কুরমা থেকে শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত বাসভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ টাকা। এছাড়া পাত্রখোলা থেকে শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত ৫০ টাকা, মাধবপুর থেকে শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত ৪০ টাকা, কুরমা থেকে ভানুগাছ পর্যন্ত ৪০ টাকা, পাত্রখোলা থেকে ভানুগাছ পর্যন্ত ২৫ টাকা, মাধবপুর থেকে ভানুগাছ পর্যন্ত ১৫ টাকা এবং ভানুগাছ থেকে শ্রীমঙ্গল ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ টাকা।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কুরমা নতুন বাস স্ট্যান্ডে বাস চলাচলের উদ্বোধন শেষে মতবিনিময় সভায় শ্রীমঙ্গল-শমসেরনগর-কুলাউড়া বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. তসলিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রকৌশলী যোগেশ্বর চন্দ্র সিংহের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান সোলেমান মিয়া, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান শাওন, ইউপি সদস্য আব্দুল্লাহ, নুরুল হক, বাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলাল, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, গ্রুপ সভাপতি কাসেম মিয়া ও আব্দুস সালাম প্রমুখ।

এর আগে মাধবপুর বাজারে বাস প্রবেশ করলে এলাকাবাসী বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় যাত্রীদের মানসম্পন্ন সেবা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।

এদিকে সিএনজি থেকে ভাড়া কম করে বাস সার্ভিস চালু হওয়ায় যাত্রীসহ স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীরা বেজায় খুশি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two children drowned in Chawai river

চাওয়াই নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

চাওয়াই নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু ফাইল ছবি
পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক পলাশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘দুই শিশুর মধ্যে একজন সাঁতার জানত, আরেকজন জানত না। একজন আরেকজনকে বাঁচাতে গিয়ে দুজনেই একসঙ্গে ডুবে মারা গেছে বলে জানিয়েছে স্থনীয়রা।’

পঞ্চগড় সদর উপজেলায় চাওয়াই নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে আলমি আক্তার ও ইসরাত জাহান সিফাত নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে জেলার সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের চাওয়াই নদীর চৈতন্যপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

১২ বছরের আলমি ওই এলাকার আব্দুল আজিজের মেয়ে এবং ৯ বছরের সিফাত সাইফুল ইসলামের মেয়ে। তারা দুজনে সম্পর্কে ফুফু-ভাতিজি।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে আলমি ও সিফাত বাড়ির পাশে চাওয়াই নদীতে গোসল করতে যায়৷ গোসল করতে গিয়ে সিফাত পানিতে ডুবে যেতে থাকলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যায় আলমি৷ পরে দুজনেই পানিতে ডুবে যায়। এ সময় নদীর পাড়ে থাকা অন্য আরেক শিশু ঘটনাটি দেখে দৌড়ে তাদের পরিবারের লোকজনকে খবর দিলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মৃত অবস্থায় নদী থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে।

খবর পেয়ে পুলিশ দুই শিশুর মরদেহের সুরতহাল করে।

পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক পলাশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘দুই শিশুর মধ্যে একজন সাঁতার জানত, আরেকজন জানত না। একজন আরেকজনকে বাঁচাতে গিয়ে দুজনেই একসঙ্গে ডুবে মারা গেছে বলে জানিয়েছে স্থনীয়রা।’

মরদেহের সুরতহাল শেষে ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপে পড়ে যাওয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sixth and seventh wives quarrel with their husbands

স্বামীকে নিয়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম স্ত্রীর কাড়াকাড়ি

স্বামীকে নিয়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম স্ত্রীর কাড়াকাড়ি কোলাজ: নিউজবাংলা
সাথী জানান, ঢাকায় বদলি হওয়ার পর থেকে তার ও তাদের সন্তানের কোনো খরচ পাঠাতেন না তরিকুল। এরই মধ্যে সেঁজুতির সঙ্গে তার ইমোতে পরিচয় হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে সেঁজুতিকে বিয়ে করেন তিনি।

আনসার সদস্য তরিকুল ইসলাম। বাড়ি তার বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর গ্রামে। বর্তমানে ঢাকার সুত্রাপুর থানায় কর্মরত।

৩৮ বছর বয়সী এ যুবকের নেশা বিয়ে করা। যেখানেই যান সেখানেই তিনি বিয়ে করেন। এ পর্যন্ত ৭টি বিয়ে করেছেন।

সর্বশেষ তিনি বিয়ে করেন ঝিনাইদহ শহরের পবহাটি এলাকার। ঢাকায় থাকাকালে সেঁজুতি নামের পবহাটির একটি মেয়ের সঙ্গে সপ্তমবারের মতো সংসার শুরু করেন তিনি।

তবে এর মানে এই নয় যে, তার আগের সব স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে। বর্তমানে তৃতীয় স্ত্রী পারভীন তার গ্রামের বাড়িতে এবং ষষ্ঠ স্ত্রী রয়েছেন যশোরের বেনাপোলে। ২ স্ত্রীর ঘরে ২টি সন্তানও রয়েছে তরিকুলের।

সম্প্রতি সংসার জীবন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এই যুবক। স্বামীকে ফিরে পেতে আড়াই বছরের মেয়েকে নিয়ে ঝিনাইদহের পবহাটিতে আসেন ষষ্ঠ স্ত্রী হোসনে আরা আক্তার সাথী। তরিকুলকে স্বামী দাবি করলে সেখানে বেঁধে যায় রণক্ষেত্র। স্বামীকে নিয়ে সেঁজুতির সঙ্গে শুরু হয় তার কাড়াকাড়ি। কোনো উপায় না পেয়ে পালিয়ে যান আনসার সদস্য তরিকুল ইসলাম।

নিউজবাংলাকে সাথী জানান, বেনাপোল বন্দরে কর্মরত থাকা অবস্থায় নিজেকে এতিম পরিচয় দিয়ে তাকে বিয়ে করেন তরিকুল। ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তাদের বিয়ের পর থেকে একসঙ্গেই ছিলেন দুজন। তবে ২০২২ সালে বদলি হয়ে ঢাকায় চলে যান তরিকুল। তার কিছুদিন পর থেকে সাথীর সঙ্গে তার সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ।

তিনি জানান, ঢাকায় বদলি হওয়ার পর থেকে তার ও তাদের সন্তানের কোনো খরচ পাঠাতেন না তরিকুল। এরই মধ্যে সেঁজুতির সঙ্গে তার ইমোতে পরিচয় হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে সেঁজুতিকে বিয়ে করেন তিনি।

সাথী বলেন, ‘গত ঈদে আমার কাছে গিয়ে ৬ দিন ছিল। সেখানে আমাকে ভুলিয়ে আমার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে চলে আসে। তারপর আবার সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। আমার আড়াই বছরের মেয়েটি বাবার জন্য সব সময় কান্নাকাটি করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামী ঝিনাইদহ আছে- এমন খবর পেয়ে আমরা ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আর এর মধ্যে আবার পালিয়েছে সে (তরিকুল)। আমি তরিকুল ও সেঁজুতির বিচার চাই।’

এ ব্যাপারে জানতে আনসার সদস্য তরিকুলের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন:
বর এলো ঘোড়ায় চড়ে, কনে গেল পালকিতে করে
মায়ের অন্যত্র বিয়ে, শিশুপুত্রকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা বাবার
দ্বিতীয় বিয়ে, অশান্তিতে ছোট বউকে নিয়ে স্বামীর আত্মহত্যা
দ্বিতীয় বিয়েতে কর ৫ হাজার, চতুর্থ বিয়ে করলে ৫০ হাজার
বিয়ের দিন বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে কনের মৃত্যু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The body of a young man who fell into the pipe of an abandoned tubewell was recovered

পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপে পড়ে যাওয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার

পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপে পড়ে যাওয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার তৎপরতা। ছবি: নিউজবাংলা
স্থানীয়রা জানান, বিএমডিএর গভীর নলকূপটির পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায়, নতুন করে আরেকটি গভীর নলকূপ কিছুদিন আগে বসানো হয়, ফলে আগেরটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে ছিল। ওই পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপের মধ্যেই পড়ে যান রনি বর্মন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে একটি পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের পাইপের মধ্যে পড়ে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ১১টার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের পূর্ব নেমাজপুর গ্রামে মাঠের মধ্যে থাকা ওই পাইপ থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন।

বিকেল সোয়া ৪টার দিকে মানসিক প্রতিবন্ধী রনি বর্মনকে (২৩) অবশেষে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, বিএমডিএর গভীর নলকূপটির পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায়, নতুন করে আরেকটি গভীর নলকূপ কিছুদিন আগে বসানো হয়, ফলে আগেরটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে ছিল। ওই পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপের মধ্যেই পড়ে যান রনি বর্মন।

নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারেকুর রহমান জানান, প্রায় ৫ ঘণ্টার বেশি সময়ের চেষ্টায় বিকেলে সোয়া ৪টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রনি বর্মনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এখন আইনি প্রক্রিয়া শেষে পুলিশ মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।

স্থানীয়রা জানান, রনি বর্মন গভীর নলকূপের ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করতেন। সকালে পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের পাইপের কাছে গেলে,পড়ে যান। এ সময় মাঠের কয়েকজন কৃষক ওই নলকূপের কাছে পানি খাওয়ার জন্য এসেছিলেন, তারা ছেলেটির কান্নার আওয়াজ শুনে সবাইকে জানান, খবর দেয়া হয় ফায়ার সার্ভিসকে।

মন্তব্য

p
উপরে