× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Two and a half crore rupees of City Corporation in Jahangirs pocket
google_news print-icon

সিটি করপোরেশনের আড়াই কোটি টাকা জাহাঙ্গীরের পকেটে

সিটি-করপোরেশনের-আড়াই-কোটি-টাকা-জাহাঙ্গীরের-পকেটে
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। ফাইল ছবি
প্রয়োজনীয় নথিপত্র ছাড়াই গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নামে ব্যাংক হিসাব খোলা হয়। তাতে পে-অর্ডারের মাধ্যমে ২ কোটি ৬০ লাখ ২৪ হাজার ৯৯৫ টাকা জমা হয়। এরপর ছয়টি চেকের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেয়া হয় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এর কোনো হিসাবই সিটি করপোরেশনের রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করা হয়নি।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সদ্য বহিষ্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে।

২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রিমিয়ার ব্যাংকের কোনাবাড়ি শাখায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নামে একটি চলতি হিসাব খোলেন জাহাঙ্গীর আলম। যার হিসাব নম্বর: ০৩৫১১১০০০০০৫৭৮।

নথিপত্র অনুযায়ী সিটি করপোরেশনে যে টাকা জমা পড়ার কথা, সেই টাকা জমা পড়েছে এই ব্যাংক হিসাবে। সেই টাকা তুলে নেয়া হয়েছে, যার একটি পয়সাও করপোরেশনের নথিতে তোলা হয়নি।

বিভিন্ন সময় অ্যাকাউন্টটিতে পে-অর্ডারের মাধ্যমে ২ কোটি ৬০ লাখ ২৪ হাজার ৯৯৫ টাকা জমা হয়। এরপর ছয়টি চেকের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেয়া হয় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এর কোনো হিসাবই সিটি করপোরেশনের রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করা হয়নি।

এই ব্যাংক হিসাব খুলতে প্রয়োজনীয় নথিপত্র দেননি জাহাঙ্গীর। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বারবার তাগাদা দিলে তিনি করোনার অজুহাত দেখান। পরে ব্যাংক নিজে থেকে ব্যাংক হিসাবটি বন্ধ করে দিয়ে সাড়ে আট হাজার টাকা তাকে দিয়ে দেয়।

নিউজবাংলার অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য।

নথিপত্রে দেখা যায়, ব্যাংক হিসাবে মোবাইল নম্বর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে জাহাঙ্গীরের ব্যক্তিগত নম্বর। ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের। এক বছর তিন দিন চালু ছিল হিসাবটি।

তবে জাহাঙ্গীর আলমের দাবি, এই হিসাব তিনি খোলেননি। তাকে ফাঁদে ফেলতে একটি চক্রের কাজ। তিনি কাউকে চেক দেননি। কাউকে ব্যাংকে পাঠাননি।

যদিও ব্যাংক ম্যানেজার বলেছেন উল্টো কথা। তিনি জানান, টাকা ছাড় করানোর আগে যার নামে ব্যাংক হিসাব, তাকে ফোনও করা হয়েছে। তবে জাহাঙ্গীর ফোন পাওয়ার কথাও স্বীকার করতে চাননি।

ঘরোয়া আলোচনায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার পর গত ১৯ নভেম্বর মেয়রের পদ হারান জাহাঙ্গীর। এরপর সিটি করপোরেশনে তার নানা অনিয়মের খবর আসতে থাকে গণমাধ্যমে।

কবে কত লেনদেন

হিসাবটি চালুর দিনই মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের পে-অর্ডারের মাধ্যমে ৪০ লাখ ২৫ হাজার টাকা জমা দেয় নগরীর কোনাবাড়িতে অবস্থিত ইস্পাহানি ফুডস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

কারখানা কর্তৃপক্ষ লে-আউট প্ল্যান অনুমোদনের ফি ও জরিমানা বাবদ ওই টাকা জমা দেয়। একই দিন অপর একটি পে-অর্ডারে জমা হয় আরও ৫০ লাখ টাকা।

ইস্পাহানি ফুডস লিমিটেডের মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা অবশ্যই গাজীপুর সিটি করপোরেশনকে পে-অর্ডার দিয়েছি। পে-অর্ডার না দিলে তো আমরা লে-আউট প্ল্যান পেতাম না। আমাদেরকে পে-অর্ডার ফি ও জরিমানা বাবদ সিটি করপোরেশন থেকে যেভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেভাবেই দিয়েছি। আমরা মেয়র গাজীপুর সিটি করপোরেশন বরাবর পে-অর্ডার দিয়েছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘নগর ভবনে গিয়ে মেয়রের কাছে পে-অর্ডারটি জমা দিই। পরে তিনি (মেয়র) একজন কর্মকর্তাকে ডেকে নিয়ে পে-অর্ডারটি জমা নিতে বলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমাদেরকে একটি রিসিভ কপিও দেয়া হয়।

‘মেয়র যদি পে-অর্ডারটি রিসিভ না করতেন, তাহলে তো আমরা অনুমোদন পেতাম না। ফি জমা দেয়ার কিছুদিন পর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ি জোন থেকে ফোন করে লে-আউট অর্ডার অনুমোদন হয়েছে জানিয়ে সেটি নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়।’

একই বছরের ৫ মার্চ ১৭ লাখ ৫৫ হাজার ৪০৫ টাকার, ২৯ জুলাই ৮৫ লাখ ও ৬৭ লাখ ৪৪ হাজার ৫৯০ টাকার দুটি পে-অর্ডার জমা হয়।



সিটি করপোরেশনের আড়াই কোটি টাকা জাহাঙ্গীরের পকেটে


এই হিসাব থেকে ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ৯৩৩২৮২৭ নম্বর চেকের মাধ্যমে শামীম হোসেন নামে একজনকে ৫০ লাখ টাকা দেন জাহাঙ্গীর আলম।

একই বছরের ৫ মার্চ ৯৩৩২৮২৮ নম্বর চেকের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা তোলেন জাহাঙ্গীর। ৬ আগস্ট ব্যক্তিগত কর্মচারী শহীদুলের মাধ্যমে ৫০৬১৯২ নম্বর চেকের মাধ্যমে এক কোটি টাকা, ১০ আগস্ট বাসার ব্যক্তিগত কর্মচারী প্লটু চাকমাকে দিয়ে ৫০৬১৯১ নম্বর চেকের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা এবং ১৮ ও ২০ আগস্ট ব্যক্তিগত কর্মচারী শহীদুলকে দিয়ে ৫০৬১৯৩ ও ৫০৬১৯৪ নম্বর চেকের মাধ্যমে যথাক্রমে ৩০ লাখ ও ২০ লাখ টাকা তোলা হয়।

সর্বশেষ লেনদেনের প্রায় ৭ মাস পর প্রয়োজনীয় নথিপত্র না থাকার কারণ দেখিয়ে ২০২১ সালে ৩ মার্চ হিসাবটি বন্ধ করে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

তখন হিসাবটিতে জমা ছিল আট হাজার ২৩৫ টাকা। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আট হাজার পাঁচ টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে জাহাঙ্গীর আলমকে ফেরত দিয়ে বাকি ২৩০ টাকা অ্যাকাউন্ট বন্ধের ফি হিসেবে কেটে নেয়।


হিসাব
খোলায় মানা হয়নি নিয়ম

নিয়ম অনুযায়ী সিটি করপোরেশনের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে পরিষদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তাছাড়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কারও ব্যক্তিগত নম্বর ব্যবহারের বিধান নেই। হিসাবটি এককভাবে পরিচালনা করতে হলে পর্ষদ সদস্যদের নিয়ে মাসিক সভা ডেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে রেজ্যুলেশনের কপি ব্যাংককে জমা দিতে হয়। কিন্তু অ্যাকাউন্টটি খোলা ও পরিচালনার ক্ষেত্রে এসব নিয়মের কোনোটাই মানা হয়নি।

এ বিষয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আমিনুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি এসেছে। তারা বিভিন্ন বিষয় তদন্ত করে দেখছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে কথা বলব।’

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ বলেন, ‘আমি দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে বহিষ্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের অসংখ্য অনিয়মের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়গুলো যেহেতু মন্ত্রণালয় তদন্ত করছে, তাই এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না।’



সিটি করপোরেশনের আড়াই কোটি টাকা জাহাঙ্গীরের পকেটে


প্রিমিয়ার ব্যাংকের কোনাবাড়ি শাখার ব্যবস্থাপক এম মোর্শেদ খান বলেন, ‘হিসাবটি চালু ও বন্ধের সময় আমি এ শাখায় ছিলাম না। যেকোনো করপোরেশনের অ্যাকাউন্টে অবশ্যই দুজন অভিভাবক থাকতে হয়, এককভাবে হয় না। তবে পুরো বিষয়টি নির্ভর করে তাদের রেজ্যুলেশনের ওপর। তাদের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় যেই সিদ্ধান্ত হয় তার ওপর। আমরা সেই সিদ্ধান্তের রেজ্যুলেশনের কপিও পাইনি। মূলত এই কারণেই অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’

এই ব্যাংক হিসাবে টাকা লেনদেন নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে এক টাকা পেমেন্ট দিতে হলেও কাস্টমারের অনুমতি নিয়ে দিতে হয়। এই অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেও গ্রাহকের মোবাইল নম্বরে ফোন করে অনুমতি নিয়েই পেমেন্ট করা হয়েছে।’

জাহাঙ্গীরের দাবি, ফাঁদে পড়েছেন তিনি

নিউজবাংলার কাছে ব্যাংক হিসাব, লেনদেনের নথিপত্র থাকলেও এর সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ‘অ্যাকাউন্টটি আমার না। আমার নাম ব্যবহার করে, আমার ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে অ্যাকাউন্ট করে আমাকে ফাঁসানোর জন্য এটা করেছে।

‘যাদেরকে বলা হচ্ছে আমার ব্যক্তিগত কর্মচারী, তারাও আমার ব্যক্তিগত না। অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে রেজ্যুলেশন লাগে। আমার সরকারি স্বাক্ষর ও রেজ্যুলেশন না। আমি কোনো দিন ওই প্রতিষ্ঠানে (ব্যাংকে) যাইনি, ওই প্রতিষ্ঠানের কেউও আমার কাছে আসেনি।’

‘ব্যাংক অ্যাকাউন্টটিতে আপনার ব্যক্তিগত নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে’- এমন কথা শুনে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘যেকোনো মানুষ আমাদের নম্বর নেয়। ভোটার অফিসে আমার আইডি আছে, ইন্টারনেটে ছবি আছে। যে কেউ ইচ্ছে করলে এসব ব্যবহার করতে পারছে। বেকায়দায় পড়ে গেছি তো তাই সবাই বিপদে ফেলার চেষ্টা করছে।’

ব্যাংক হিসাবে নম্বর দেয়া থাকায় টাকা পরিশোধের সময় তো ফোন দেয়ার কথা- এমন মন্তব্যে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমার সঙ্গে এ ব্যাপারে কোনো কথা হয়নি। আমার রেকর্ডিংটা নাকি দুই বছর আগেই করা হয়েছে। আমাকে ফাঁসিয়ে দেয়ার জন্য একটা চক্র পূর্ব থেকেই কাজ করছে। আমি তাদের ফাঁন্দে পড়েছি।’



সিটি করপোরেশনের আড়াই কোটি টাকা জাহাঙ্গীরের পকেটে


ব্যাংক নথি অনুযায়ী অ্যাকাউন্ট থেকে ৩০ লাখ টাকা আপনি নিজে উত্তোলন করেছেন- এই বিষয়টি বললে বহিষ্কৃত মেয়র বলেন, ‘ওই ব্যাংকে সিসি ক্যামেরা আছে। দেখেন আমি গেছি কি না সেখানে। আমি নিজে যদি টাকা উঠিয়ে থাকি তাহলে নিশ্চয়ই সিসি ক্যামেরার ফুটেজে আমাকে দেখা যাবে।’

জাহাঙ্গীরের বক্তব্য নিয়ে প্রিমিয়ার ব্যাংকের কোনাবাড়ি শাখার সে সময়ের ব্যবস্থাপক (বর্তমানে আশুলিয়া শাখায় কর্মরত) মোতালেব হোসেনের সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা।

তিনি বলেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নামে অ্যাকাউন্টটি সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম খুলেছিলেন। অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে তার স্বাক্ষর, ছবি ও ন্যাশনাল আইডি কার্ড জমা নেয়া হয়। অ্যাকাউন্ট খোলার সময় রেজ্যুলেশনের কপি চাওয়া হয়। কিন্তু কিছুদিন পরেই দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়। এর ভেতর বেশ কয়েকটি লেনদেন হয়ে যায়। পরে ডকুমেন্ট ত্রুটির কারণে আমরা অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দিই।’

তিনি জানান, এই ব্যাংক হিসাব নিয়ে সে সময় জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে তাদের একাধিক কথা হয়েছে।

তিনি বলেন, “তিনি (জাহাঙ্গীর) কখনো ‘করোনা পরিস্থিতিতে মিটিং হয় না’, ‘মিটিং হবে’, ‘রেজ্যুলেশন দিচ্ছি-দেব’ বলে কালক্ষেপণ করেন। এরপরে আমরা আর কোন পে-অর্ডার জমা নিইনি।

“তারা অনেক চেষ্টা করেছিলেন পে-অর্ডার জমা দেয়ার। কিন্তু আমরা নিইনি। পরবর্তীতে এক প্রকার জোরপূর্বক ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দিই।”

অ্যাকাউন্টটি খোলেনি বলে বহিষ্কৃত মেয়র যে দাবি করেছেন- সেই প্রশ্নে মোতালেব হোসেন বলেন, ‘পে-অর্ডারের মালিক কি আমি? আমার কাছে পে-অর্ডার আসবে কোথা থেকে। সে সময় তার লোকজনই ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়ে গেছে। এখন যদি তিনি অস্বীকার করেন তাহলে সেটা চ্যালেঞ্জ করা হবে। তদন্ত করলেই আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে। সে সময় আমরা ব্যাংক থেকে তার ব্যক্তিগত মুঠোফোনে যোগাযোগ করেছিলাম, সেসব তো জানা যাবে।’

ব্যাংক ব্যবস্থাপক এও জানান, প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিতে জাহাঙ্গীর আলমের বাসায়ও গেছেন তিনি।

তিনি বলেন, “করোনা পরিস্থিতির সময় অন্তত ১০ দিন নগর ভবনে গিয়ে রেজ্যুলেশন হয়েছে কি না খবর নিয়েছি। মেয়রের বাসভবনে একাধিকবার গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে ছিলাম। দোতলায় বসে থাকতাম দেখা করতেন না। অনেক সময় দেখা হলে বলতাম, ‘আমরা অনেক সমস্যায় আছি, ডকুমেন্টগুলো জমা দেন।'”

আরও পড়ুন:
জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা
তোপের মুখে জাহাঙ্গীর সমর্থক নেতারা
বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
জাহাঙ্গীরের নামে মামলা পঞ্চগড়েও
এবার জাহাঙ্গীরের নামে মাদারীপুরে মামলা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
In July 2021 the growth rate of revenue collection is about 20 percent 

জুলাই-২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ২৫ শতাংশ 

জুলাই-২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ২৫ শতাংশ 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে ২৭,২৪৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। বিগত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের একই মাসে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ২১,৯১৬ কোটি টাকা। জুলাই-২০২৫ মাসে বিগত জুলাই-২০২৪ মাসের তুলনায় ৫,৩৩৩ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। জুলাই ২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২৪.৩৩%।

জুলাই’২৫ মাসে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক থেকে। এ খাত থেকে আদায় হয়েছে ১১,৩৫২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায়ের পরিমান ছিল ৮,৫৭১ কোটি টাকা। জুলাই ২০২৫ মাসে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ৩২.৪৫%।

আয়কর ও ভ্রমন কর খাতে জুলাই’২৫ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬,২৯৫ কোটি টাকা যা জুলাই’২০২৪ মাসের একই খাতে আদায়কৃত ৫,১৭৫ কোটি টাকার চাইতে ১,১২০ কোটি টাকা বেশি। আয়কর ও ভ্রমন করের ক্ষেত্রে জুলাই ২০২৫ মাসের আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২১.৬৫%।

২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে আমদানি ও রপ্তানি খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯,৬০২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায় ছিল ৮,১৭০ কোটি টাকা, প্রবৃদ্ধির হার ১৭.৫২%।

রাজস্ব আদায়ের এ ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার জন্য আয়কর, মূল্য সংযোজন কর এবং কাস্টমস শুল্ক-কর আদায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রচেষ্টা আরো জোরদার করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নানাবিধ কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

সম্মানিত করদাতাগণ আইনের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করে যথাযথ পরিমান কর পরিশোধের মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজের অন্যতম অংশীদার হবেন মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশাবাদী।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The main accused arrested in the murder of UP member

ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে ঢাকার হাতিরঝিল রেল মগবাজার রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। শুক্রবার দিনগত রাতে অভিযানটি শেষ করে র‍্যাব।

গ্রেফতারকৃত আসামী শেখ ফরিদ (৪৫) নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ আলীয়ারা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।

শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কুমিল্লা অশোকতলা এলাকায় র‍্যাব অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন

র‍্যাব ১১ এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।

মেজর সাদমান জানান, নাঙ্গলকোটের আলিয়ারা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বংশপরম্পরায় একটি বিরোধ চলে আসছিল। গেল গেল ২৫ জুলাই গরুর ঘাস খাওয়া কে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

সেদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়।

এ ঘটনার রেশ ধরে গেলো ৩ আগস্ট দুপুরে আলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাইয়ের জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।

পরে এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহতের ছেলে বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মন্তব্য

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বিপদসীমা অতিক্রম করায় নির্ধারিত সময়ের আগেই খোলা হয়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব জলকপাট। সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা ২ মিনিটে হঠাৎ পানি বাড়তে থাকায় জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়।

কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, রাতে লেকের পানির উচ্চতা ১০৮.০৫ ফুট ছুঁয়ে গেলে বিপদসীমা অতিক্রম করে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, “প্রথমে সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জলকপাট খোলার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই সোমবার রাতেই জলকপাট খুলে দিতে হয়। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

তিনি আরও জানান, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট বর্তমানে সচল রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি লেক থেকে কর্ণফুলিতে গিয়ে পড়ছে। সবমিলিয়ে পানি নিঃসরণের হার এখন প্রতি সেকেন্ডে ৪১ হাজার কিউসেক।

ভাটি এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পানি প্রবাহ বাড়লেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে, এবং প্রয়োজনে আমরা আগেভাগেই ব্যবস্থা নেব।”

স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে আগেই অবহিত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কর্তৃপক্ষ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
July in Kaliganj People from all walks of life took oath with millions of voices

কালীগঞ্জে জুলাই পুনর্জাগরণ: লাখো কণ্ঠের সঙ্গে শপথ নিলেন সর্বস্তরের মানুষ

কালীগঞ্জে জুলাই পুনর্জাগরণ: লাখো কণ্ঠের সঙ্গে শপথ নিলেন সর্বস্তরের মানুষ

গাজীপুরের কালীগঞ্জে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে শপথ গ্রহণ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশব্যাপী আয়োজিত ‘লাখো কণ্ঠে শপথ পাঠ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক ভাবগম্ভীর পরিবেশে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই মাসে নিহত শহীদদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করা হয়।

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ। তিনি উপস্থিত সকলকে শপথ বাক্য পাঠ করান। দেশের সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা, দুর্নীতি ও সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করার অঙ্গীকার করেন অংশগ্রহণকারীরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও তনিমা আফ্রাদ বলেন, "জুলাই পুনর্জাগরণ কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি আমাদের চেতনার বাতিঘর। সেই শহীদদের আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। আজকের এই সম্মিলিত শপথ হোক দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করার একটি নতুন অঙ্গীকার। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক পর্যন্ত সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে পারে।"

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম উর্মি, কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেতৃবৃন্দ সহ উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ।

বক্তারা জুলাইয়ের শহীদদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করে দেশের উন্নয়নে একযোগে কাজ করতে হবে। উপজেলা প্রশাসনের এই সফল আয়োজনে সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিকে এক নতুন মাত্রা দেয়। এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি কালীগঞ্জের মানুষের মধ্যে দেশ ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ এবং নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে বলে আশা প্রকাশ করেন আয়োজকরা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Snake panic in Feni after flood

বন্যার পর ফেনীতে সাপ আতঙ্ক, গৃহবধূর মৃত্যু

বন্যার পর ফেনীতে সাপ আতঙ্ক, গৃহবধূর মৃত্যু

ফেনীতে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। এর সঙ্গে দেখা দিয়েছে নতুন এক আতঙ্ক। বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে মানুষের বাড়িঘরে আশ্রয় নিয়েছিল নানা প্রজাতির সাপ। এখন ঘরে ফিরলেও সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। এরই মধ্যে পরশুরামে বিষধর সাপের কামড়ে রোকেয়া আক্তার রিনা (৫০) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে ফেনীর পরশুরামের পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রিনা পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম শহীদের স্ত্রী। তার এক ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বন্যার পানি শুকিয়ে গেলে রান্না করার জন্য রান্নাঘরে গেলে সেখানে একটি অজ্ঞাত বিষধর সাপ রিনাকে কামড় দেয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এরপর ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্বামী শফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে রিনা রান্না ঘরে যায়। এ সময় রান্নাঘরের একটি গর্ত থেকে বিষধর একটি সাপ বের হয়ে তার পায়ে কামড় দেয়। তার চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কোনো চিকিৎসা না হওয়ায় ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার রেদোয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছিল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The creation of waterlogging at Benapole ports

পানি নিষ্কাশনের অভাবে  বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

ব্যাহত হচ্ছে বন্দরে খালাশ প্রক্রিয়া
পানি নিষ্কাশনের অভাবে  বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে বেনাপোল বন্দর এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর অভ্যন্তরের অনেক স্থানে হাটু পানি জমায় মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া। যানবাহন ও নিরাপত্তাকর্মীদের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বন্দরের ৯.১২.১৫.১৬ ও ১৮ নম্বর সেড থেকে লোড আনলোড বন্ধ হয়ে আছে।

ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বন্দরে হাটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। কয়েক বছর ধরে এ দূর্ভোগ হলেও নজর নাই বন্দর কর্তৃপক্ষের। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, রেলকর্তৃপক্ষ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাসনে বাধা গ্রুস্থ্য হচ্ছে।

তবে এসব শেড ও ওপেন ইয়ার্ড অধিকাংশই দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তৈরী হয়নি। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে পণ্যগারগুলো নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টিপাত বেশি হলে পানি নিষ্কাষনের অভাবে পণ্যগার ও ইয়াডে জলবদ্ধতা তৈরী হয়। এতে পানিতে ভিজে যেমন পণ্যের গুনগত মান নষ্ট হয় তেমনি চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে। তবে আজ সকাল থেকে সেচ যন্ত্র চালিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন জানান, বন্দরের জলবদ্ধতা প্রতি বছরে তৈরী হয়। বিশেষ করে রেল বিভাগ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় সমস্যার সন্মুখিন হতে হচ্ছে। বন্দরের পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে দ্রুত এ অবস্থা কাটিয়ে তুলতে পাশ্ববর্তী হাওড়ের সাথে বন্দরের ড্রেন তৈরীর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রেরক: রাশেদুর রহমান রাশু, বেনাপোল যশোর ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chakrias escaped accused Sajjad was detained in Coxs Bazar DB

চকরিয়ার সেই পালাতক আসামি সাজ্জাদ কক্সবাজারে ডিবির জালে আটক

চকরিয়ার সেই পালাতক আসামি সাজ্জাদ কক্সবাজারে ডিবির জালে আটক

কক্সবাজারের চকরিয়ায় গত রোববার (৬ জুলাই) মালুমঘাট বাজার থেকে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে এক যুবক পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া সে যুবক সাজ্জাদ হোসেন (২০) কে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ কলাতলীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত তিনটায় কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেল (ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্ট) অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ। রাত প্রায় তিনটায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়।

চকরিয়া থানা পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে আসামি সাজ্জাদ হোসেন কে আটক করতে সক্ষম হয় কক্সবাজার ডিবি পুলিশ।

এবিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, পলাতক আসামি সাজ্জাদ কে কক্সবাজার ডিবি পুলিশ আটক করেছে। প্রাথমিকভাবে সদর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চকরিয়া থানায় নিয়ে আসা হবে। তার বিরুদ্ধে একটি পুলিশ এসল্ট মামলা করা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে