সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ৬টি শেয়ারের মধ্যে ৫টিই সরকারি কোম্পানির। এর মধ্যে সবগুলো শেয়ারের দরই বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণে।
পরপর দুই দিন সরকারি কোম্পানির শেয়ারে জোয়ার দেখা গেল। বাংলাদেশে শিপিং করপোরেশন দিয়ে শুরু এই যাত্রা। সেটি গত ২৩ ডিসেম্বরের ঘটনা।
এই সময়ে শেয়ারদর বেড়ে হয়েছে চার গুণ। এই অভিজ্ঞতার পর বিভিন্ন খাতের অন্যান্য কোম্পানিতেও দেখা যাচ্ছে ঊর্ধ্বগামী প্রবণতা।
সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার পুঁজিবাজারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ৭টি কোম্পানির মধ্যে ৬টি, প্রকৌশল খাতের ৪টি কোম্পানির সবগুলোর, খাদ্য ও বিবিধ খাতের ২টি কোম্পানির সবগুলোর এবং ব্যাংক খাতের একমাত্র কোম্পানির দর বেড়েছে।
টেলিকমিউনিকেশন খাতের একমাত্র কোম্পানি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল কোম্পানির শেয়ারদর অবশ্য কিছুটা কমতে দেখা গেছে।
কেবল সরকারি খাতের কোম্পানি নয়, পুঁজিবাজার দীর্ঘ প্রায় চার মাসের মন্দাভাব কাটিয়ে যে উত্থানে ফিরেছে, সেটির বিষয়ে এখন আর দ্বিমত করার মতো যুক্তি খুঁজে পাওয়া কঠিন।
একটুর জন্য দুই হাজার কোটি টাকা না ছাড়ালেও লেনদেন হয়েছে, সেটি ৬৫ কর্মদিবসের সর্বোচ্চ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের অবস্থান সর্বোচ্চ ৩৬ কর্মদিবসে।
সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হলো ১ হাজার ৯৭৬ কোটি ৬৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। এর চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল ৬৬ কর্মদিবস আগে গত ৭ অক্টোবর। সেদিন লেনদেন ছিল ২ হাজার ৪৯৭ কোটি ২০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা।
টানা ছয় কর্মদিবস বৃদ্ধির পর এক দিন সূচক পতনের পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক আবার বাড়ল টানা দুই দিন। রোববারের হোঁচটে যতটা কমেছিল, সোমবার বেড়েছিল তার চেয়ে বেশি। সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবসে প্রধানত সরকারি খাতের কোম্পানির ওপর ভর করে সূচক বাড়ল আরও ৫০ পয়েন্টের বেশি।
দিন শেষে সূচকের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৪৯ দশমিক ১৫ পয়েন্ট, যা গত ২১ নভেম্বরের পর সর্বোচ্চ। সেদিন সূচক ছিল ৭ হাজার ৮৫ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট।
অবশ্য দিনের একপর্যায়ে ২১ নভেম্বরের সেই অবস্থানকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল সূচক। বেলা ১টা ৩ মিনিটে সূচক ছিল ৭ হাজার ৯৮ দশমিক ২৩ পয়েন্ট। তবে শেষ দেড় ঘণ্টায় কিছুটা কমে সেখান থেকে।
টানা প্রায় চার মাসের সংশোধন কাটিয়ে পুঁজিবাজারে চাঙাভাব ফেরার ইঙ্গিত বছরের শুরুতেই ছিল। এর পর থেকে দিন যত গড়িয়েছে, বিনিয়োগকারীদের মনের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কেটে গেছে তত। তারা ক্রমেই সক্রিয় হতে থাকায় লেনদেনও পাচ্ছে গতি।
দিন শেষে বেড়েছে ১৮৯টি কোম্পানির শেয়ারদর, কমেছে ১৪৬টির। অপরিবর্তিত ছিল ৪৩টির দর।
বিশেষজ্ঞ মত
সরকারি কোম্পানিগুলোর দাম বৃদ্ধির বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারে সবচেয়ে দাপটে থাকার কথা সরকারি কোম্পানিগুলোর। কিন্তু দেখা যায়, সরকারি যে ভালো কোম্পানিগুলো আছে, সেগুলোর দাম বাড়ে না, বাড়ে জেড ক্যাটাগরির শ্যামপুর সুগার আর জিল বাংলা সুগার মিলের। যেগুলো থেকে বছর শেষে কোনো রিটার্ন নেই।
‘এখন যেহেতু সরকারি লাভজনক কোম্পানিগুলোর শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে, দর ভালো থাকলে সেটি দেখে অন্য যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারে আসতে চায় না তারাও তখন আগ্রহী হবে।’
সার্বিক পুঁজিবাজার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে সূচকের নেতিবাচক বা পতন দেখা গেছে। ফলে অনেক ভালো কোম্পানির শেয়ারের দরও তখন কমে এসেছিল। এখন কম দামে শেয়ার কেনার আগ্রহ বেড়েছে। ফলে বলা যায়, মূল্য সংশোধনের পর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের একটি সময় যাচ্ছে। যার প্রভাবে সূচক ও লেনদেন বাড়ছে।
‘ডিসেম্বরে আইপিওতে বিনিয়োগকারীদের অনেকগুলো টাকা আটকে ছিল। সেগুলো জানুয়ারির শুরু থেকেই বিও হিসাবে জমা হতে শুরু করেছে। ফলে তারল্য অনেকটা বেড়েছে। সেগুলো বিনিয়োগও হচ্ছে।’
সূচক বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকায় যেসব কোম্পানি
সূচক বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকায় ছিল স্কয়ার ফার্মা। কোম্পানিটির শেয়ারদর ২.৪৯ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ৬.৯৪ পয়েন্ট।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬.৬৫ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে গ্রামীণফোন। কোম্পানিটির দর বেড়েছে ০.৯৭ শতাংশ।
তিতাস গ্যাস, ইউনাইটেড পাওয়ার, আর এ কে সিরামিকস, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ডেসকো, এসআইবিএল, বার্জার পেইন্টস ও বেক্সিমকো ফার্মাও সূচকে বেশ ভালো পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানিই সূচকে যোগ করেছে ৩৭ দশমিক ৪১ পয়েন্ট।
বিপরীতে বিকন ফার্মা, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট, ওয়ালটন, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, ফরচুন সুজ, সামিট পাওয়ার, এনআরবিসি ও শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি সূচক কিছুটা কমিয়েছে।
সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানির কারণে সূচক কমেছে ৮.২৭ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধিতে সেরা দশে সরকারি কোম্পানি
গত চার কর্মদিবস ধারাবাহিকভাবে উত্থানে সরকারি খাতের কোম্পানি তিতাস গ্যাস ৩৭ টাকা ১০ পয়সার থেকে বেড়ে হয়ে গেছে ৪৯ টাকা ৬০ পয়সা। এর মধ্যে মঙ্গলবার বেড়েছে সর্বোচ্চ ৯.৯৭ শতাংশ।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা প্রকৌশল খাতের লোকসানি কোম্পানি ইস্টার্ন কেব্লের দরও বেড়েছে সমপরিমাণ। এই কোম্পানিতে সরকারে অংশীদারত্ব ৫১ শতাংশ।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা ন্যাশনাল টিউব কোম্পানির দর বেড়েছে ৯.৯৬ শতাংশ। সরকারের ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিকানাধীন কোম্পানিটির মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
৩৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২০ সালে ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
সরকারি খাতের আরেক কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ারদর গত দশ কর্মদিবসে নয় দিনই বেড়েছে। প্রতিদিনই প্রায় দিনের সর্বোচ্চ দরে বা তার কাছাকাছি দরে লেনদেন হয়েছে শেয়ারদর। মঙ্গলবার বেড়েছে ৯.৯৩ শতাংশ। গত ২৩ ডিসেম্বর শেয়ারদর ছিল ৫৫ টাকার কিছু বেশি, এখন তা হয়েছে ১২৭ টাকা ২০ পয়সা।
এই কোম্পানির মোট শেয়ারের ৫২ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ার আছে সরকারের কাছে। ২৩ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
সরকারি খাতের লোকসানি কোম্পানি উসমানিয়া গ্লাসের দরও বেড়েছে ৯.৯৩ শতাংশ। ১৪ লাখ ৮৮ হাজার টাকা মোট ২৪ হাজার ১৮৩টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। এই কোম্পানিরও ৫১ শতাংশ মালিক সরকার।
৯.৩৪ শতাংশ দর বেড়েছে সরকারি মালিকানাধীন বিদ্যুৎ সরবরাহকারী কোম্পানি ডেসকো। এর ৬৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ মালিকানা সরকারের। মাত্র ৮.৫২ শতাংশ মালিকানা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের।
এর পরের অবস্থানগুলো ছিল যথাক্রমে আর এ কে সিরামিক, যার দর ৯.৯৩ শতাংশ, ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, যার দর ৯.৯২ শতাংশ, বসুন্ধরা পেপার মিলস, যার দর ৯.৮৫ শতাংশ এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, যার দর ৯.৭৪ শতাংশ বেড়েছে।
আরও ২টি কোম্পানির দর ৯ শতাংশের বেশি, ৪টি কোম্পানির দর ৮ শতাংশের বেশি, একটির দর ৭ শতাংশের বেশি, ৫টির দর ৬ শতাংশের বেশি, ৩টির দর ৫ শতাংশের বেশি, ১০টির দর ৪ শতাংশের বেশি, ৮টির দর ৩ শতাংশের বেশি, ৩৫টির দর ২ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
মঙ্গলবার ৬.৮৯ শতাংশ দর পতনে শীর্ষে ছিল খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং। দর পতনে এদিন ১১ টাকা ৬০ পয়সা দরের শেয়ার নেমে এসেছে ১০ টাকা ৮০ পয়সায়।
এ ছাড়া রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর ৫.১৯ শতাংশ, খান ব্রাদাস পিপি ওভেনের ৫.১৪ শতাংশ, এমারেল্ড অয়েলের দর ৫.০৫ শতাংশ কমছে।
চার শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমা বেশির ভাগ ছিল জীবন বিমা খাতের। এর মধ্যে ডেল্টা লাইফের ৪.৬৮ শতাংশ, পদ্মা লাইফের ৪.৫৫ শতাংশ, মেঘনা লাইফের ৪.৪৭ শতাংশ, সোনালী লাইফের ৪.৪৪ শতাংশ, অলটেক্সের ৪.৪৪ শতাংশ, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ৪.১১ শতাংশ, রিলায়েন্স ওয়ান মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৪.১০ শতাংশ, জুট স্পিনার্সের দর ৪.০৬ শতাংশ কমেছে।
আরও ১০টি কোম্পানির দর তিন শতাংশের বেশি কমেছে।
লেনদেনে সেরা ১০
ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে পাওয়ার গ্রিডের; ১৩৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা। ১ কোটি ৭১ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে কোম্পানিটির।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেডে ১২২ কোটি ৩১ লাখ টাকায় হাতবদল হয়েছে ৮০ লাখ ১০ হাজার ১৭৩টি শেয়ার।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা তিতাস গ্যাসে লেনদেন হয়েছে ৭২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৯টি শেয়ার।
এ ছাড়া ফারইস্ট ইসলামী লাইফে ৬৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল কোম্পানিতে ৫৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, জিএইচপি ইস্পাতে ৪৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, ডেল্টা লাইফে ৪৬ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক কোম্পানি জিএসপি ফাইন্যান্সে ৪২ কোটি ১১ লাখ টাকা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনে ৪০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, সাইফ পাওয়ারটেকে ৪০ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য