সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ৬টি শেয়ারের মধ্যে ৫টিই সরকারি কোম্পানির। এর মধ্যে সবগুলো শেয়ারের দরই বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণে।
পরপর দুই দিন সরকারি কোম্পানির শেয়ারে জোয়ার দেখা গেল। বাংলাদেশে শিপিং করপোরেশন দিয়ে শুরু এই যাত্রা। সেটি গত ২৩ ডিসেম্বরের ঘটনা।
এই সময়ে শেয়ারদর বেড়ে হয়েছে চার গুণ। এই অভিজ্ঞতার পর বিভিন্ন খাতের অন্যান্য কোম্পানিতেও দেখা যাচ্ছে ঊর্ধ্বগামী প্রবণতা।
সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার পুঁজিবাজারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ৭টি কোম্পানির মধ্যে ৬টি, প্রকৌশল খাতের ৪টি কোম্পানির সবগুলোর, খাদ্য ও বিবিধ খাতের ২টি কোম্পানির সবগুলোর এবং ব্যাংক খাতের একমাত্র কোম্পানির দর বেড়েছে।
টেলিকমিউনিকেশন খাতের একমাত্র কোম্পানি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল কোম্পানির শেয়ারদর অবশ্য কিছুটা কমতে দেখা গেছে।
কেবল সরকারি খাতের কোম্পানি নয়, পুঁজিবাজার দীর্ঘ প্রায় চার মাসের মন্দাভাব কাটিয়ে যে উত্থানে ফিরেছে, সেটির বিষয়ে এখন আর দ্বিমত করার মতো যুক্তি খুঁজে পাওয়া কঠিন।
একটুর জন্য দুই হাজার কোটি টাকা না ছাড়ালেও লেনদেন হয়েছে, সেটি ৬৫ কর্মদিবসের সর্বোচ্চ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের অবস্থান সর্বোচ্চ ৩৬ কর্মদিবসে।
সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হলো ১ হাজার ৯৭৬ কোটি ৬৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। এর চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল ৬৬ কর্মদিবস আগে গত ৭ অক্টোবর। সেদিন লেনদেন ছিল ২ হাজার ৪৯৭ কোটি ২০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা।
টানা ছয় কর্মদিবস বৃদ্ধির পর এক দিন সূচক পতনের পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক আবার বাড়ল টানা দুই দিন। রোববারের হোঁচটে যতটা কমেছিল, সোমবার বেড়েছিল তার চেয়ে বেশি। সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবসে প্রধানত সরকারি খাতের কোম্পানির ওপর ভর করে সূচক বাড়ল আরও ৫০ পয়েন্টের বেশি।
দিন শেষে সূচকের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৪৯ দশমিক ১৫ পয়েন্ট, যা গত ২১ নভেম্বরের পর সর্বোচ্চ। সেদিন সূচক ছিল ৭ হাজার ৮৫ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট।
অবশ্য দিনের একপর্যায়ে ২১ নভেম্বরের সেই অবস্থানকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল সূচক। বেলা ১টা ৩ মিনিটে সূচক ছিল ৭ হাজার ৯৮ দশমিক ২৩ পয়েন্ট। তবে শেষ দেড় ঘণ্টায় কিছুটা কমে সেখান থেকে।
টানা প্রায় চার মাসের সংশোধন কাটিয়ে পুঁজিবাজারে চাঙাভাব ফেরার ইঙ্গিত বছরের শুরুতেই ছিল। এর পর থেকে দিন যত গড়িয়েছে, বিনিয়োগকারীদের মনের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কেটে গেছে তত। তারা ক্রমেই সক্রিয় হতে থাকায় লেনদেনও পাচ্ছে গতি।
দিন শেষে বেড়েছে ১৮৯টি কোম্পানির শেয়ারদর, কমেছে ১৪৬টির। অপরিবর্তিত ছিল ৪৩টির দর।
বিশেষজ্ঞ মত
সরকারি কোম্পানিগুলোর দাম বৃদ্ধির বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারে সবচেয়ে দাপটে থাকার কথা সরকারি কোম্পানিগুলোর। কিন্তু দেখা যায়, সরকারি যে ভালো কোম্পানিগুলো আছে, সেগুলোর দাম বাড়ে না, বাড়ে জেড ক্যাটাগরির শ্যামপুর সুগার আর জিল বাংলা সুগার মিলের। যেগুলো থেকে বছর শেষে কোনো রিটার্ন নেই।
‘এখন যেহেতু সরকারি লাভজনক কোম্পানিগুলোর শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে, দর ভালো থাকলে সেটি দেখে অন্য যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারে আসতে চায় না তারাও তখন আগ্রহী হবে।’
সার্বিক পুঁজিবাজার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে সূচকের নেতিবাচক বা পতন দেখা গেছে। ফলে অনেক ভালো কোম্পানির শেয়ারের দরও তখন কমে এসেছিল। এখন কম দামে শেয়ার কেনার আগ্রহ বেড়েছে। ফলে বলা যায়, মূল্য সংশোধনের পর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের একটি সময় যাচ্ছে। যার প্রভাবে সূচক ও লেনদেন বাড়ছে।
‘ডিসেম্বরে আইপিওতে বিনিয়োগকারীদের অনেকগুলো টাকা আটকে ছিল। সেগুলো জানুয়ারির শুরু থেকেই বিও হিসাবে জমা হতে শুরু করেছে। ফলে তারল্য অনেকটা বেড়েছে। সেগুলো বিনিয়োগও হচ্ছে।’
সূচক বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকায় যেসব কোম্পানি
সূচক বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকায় ছিল স্কয়ার ফার্মা। কোম্পানিটির শেয়ারদর ২.৪৯ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ৬.৯৪ পয়েন্ট।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬.৬৫ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে গ্রামীণফোন। কোম্পানিটির দর বেড়েছে ০.৯৭ শতাংশ।
তিতাস গ্যাস, ইউনাইটেড পাওয়ার, আর এ কে সিরামিকস, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ডেসকো, এসআইবিএল, বার্জার পেইন্টস ও বেক্সিমকো ফার্মাও সূচকে বেশ ভালো পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানিই সূচকে যোগ করেছে ৩৭ দশমিক ৪১ পয়েন্ট।
বিপরীতে বিকন ফার্মা, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট, ওয়ালটন, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, ফরচুন সুজ, সামিট পাওয়ার, এনআরবিসি ও শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি সূচক কিছুটা কমিয়েছে।
সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানির কারণে সূচক কমেছে ৮.২৭ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধিতে সেরা দশে সরকারি কোম্পানি
গত চার কর্মদিবস ধারাবাহিকভাবে উত্থানে সরকারি খাতের কোম্পানি তিতাস গ্যাস ৩৭ টাকা ১০ পয়সার থেকে বেড়ে হয়ে গেছে ৪৯ টাকা ৬০ পয়সা। এর মধ্যে মঙ্গলবার বেড়েছে সর্বোচ্চ ৯.৯৭ শতাংশ।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা প্রকৌশল খাতের লোকসানি কোম্পানি ইস্টার্ন কেব্লের দরও বেড়েছে সমপরিমাণ। এই কোম্পানিতে সরকারে অংশীদারত্ব ৫১ শতাংশ।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা ন্যাশনাল টিউব কোম্পানির দর বেড়েছে ৯.৯৬ শতাংশ। সরকারের ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিকানাধীন কোম্পানিটির মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
৩৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২০ সালে ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
সরকারি খাতের আরেক কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ারদর গত দশ কর্মদিবসে নয় দিনই বেড়েছে। প্রতিদিনই প্রায় দিনের সর্বোচ্চ দরে বা তার কাছাকাছি দরে লেনদেন হয়েছে শেয়ারদর। মঙ্গলবার বেড়েছে ৯.৯৩ শতাংশ। গত ২৩ ডিসেম্বর শেয়ারদর ছিল ৫৫ টাকার কিছু বেশি, এখন তা হয়েছে ১২৭ টাকা ২০ পয়সা।
এই কোম্পানির মোট শেয়ারের ৫২ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ার আছে সরকারের কাছে। ২৩ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
সরকারি খাতের লোকসানি কোম্পানি উসমানিয়া গ্লাসের দরও বেড়েছে ৯.৯৩ শতাংশ। ১৪ লাখ ৮৮ হাজার টাকা মোট ২৪ হাজার ১৮৩টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। এই কোম্পানিরও ৫১ শতাংশ মালিক সরকার।
৯.৩৪ শতাংশ দর বেড়েছে সরকারি মালিকানাধীন বিদ্যুৎ সরবরাহকারী কোম্পানি ডেসকো। এর ৬৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ মালিকানা সরকারের। মাত্র ৮.৫২ শতাংশ মালিকানা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের।
এর পরের অবস্থানগুলো ছিল যথাক্রমে আর এ কে সিরামিক, যার দর ৯.৯৩ শতাংশ, ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, যার দর ৯.৯২ শতাংশ, বসুন্ধরা পেপার মিলস, যার দর ৯.৮৫ শতাংশ এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, যার দর ৯.৭৪ শতাংশ বেড়েছে।
আরও ২টি কোম্পানির দর ৯ শতাংশের বেশি, ৪টি কোম্পানির দর ৮ শতাংশের বেশি, একটির দর ৭ শতাংশের বেশি, ৫টির দর ৬ শতাংশের বেশি, ৩টির দর ৫ শতাংশের বেশি, ১০টির দর ৪ শতাংশের বেশি, ৮টির দর ৩ শতাংশের বেশি, ৩৫টির দর ২ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
মঙ্গলবার ৬.৮৯ শতাংশ দর পতনে শীর্ষে ছিল খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং। দর পতনে এদিন ১১ টাকা ৬০ পয়সা দরের শেয়ার নেমে এসেছে ১০ টাকা ৮০ পয়সায়।
এ ছাড়া রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর ৫.১৯ শতাংশ, খান ব্রাদাস পিপি ওভেনের ৫.১৪ শতাংশ, এমারেল্ড অয়েলের দর ৫.০৫ শতাংশ কমছে।
চার শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমা বেশির ভাগ ছিল জীবন বিমা খাতের। এর মধ্যে ডেল্টা লাইফের ৪.৬৮ শতাংশ, পদ্মা লাইফের ৪.৫৫ শতাংশ, মেঘনা লাইফের ৪.৪৭ শতাংশ, সোনালী লাইফের ৪.৪৪ শতাংশ, অলটেক্সের ৪.৪৪ শতাংশ, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ৪.১১ শতাংশ, রিলায়েন্স ওয়ান মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৪.১০ শতাংশ, জুট স্পিনার্সের দর ৪.০৬ শতাংশ কমেছে।
আরও ১০টি কোম্পানির দর তিন শতাংশের বেশি কমেছে।
লেনদেনে সেরা ১০
ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে পাওয়ার গ্রিডের; ১৩৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা। ১ কোটি ৭১ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে কোম্পানিটির।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেডে ১২২ কোটি ৩১ লাখ টাকায় হাতবদল হয়েছে ৮০ লাখ ১০ হাজার ১৭৩টি শেয়ার।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা তিতাস গ্যাসে লেনদেন হয়েছে ৭২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৯টি শেয়ার।
এ ছাড়া ফারইস্ট ইসলামী লাইফে ৬৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল কোম্পানিতে ৫৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, জিএইচপি ইস্পাতে ৪৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, ডেল্টা লাইফে ৪৬ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক কোম্পানি জিএসপি ফাইন্যান্সে ৪২ কোটি ১১ লাখ টাকা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনে ৪০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, সাইফ পাওয়ারটেকে ৪০ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য