সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ৬টি শেয়ারের মধ্যে ৫টিই সরকারি কোম্পানির। এর মধ্যে সবগুলো শেয়ারের দরই বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণে।
পরপর দুই দিন সরকারি কোম্পানির শেয়ারে জোয়ার দেখা গেল। বাংলাদেশে শিপিং করপোরেশন দিয়ে শুরু এই যাত্রা। সেটি গত ২৩ ডিসেম্বরের ঘটনা।
এই সময়ে শেয়ারদর বেড়ে হয়েছে চার গুণ। এই অভিজ্ঞতার পর বিভিন্ন খাতের অন্যান্য কোম্পানিতেও দেখা যাচ্ছে ঊর্ধ্বগামী প্রবণতা।
সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার পুঁজিবাজারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ৭টি কোম্পানির মধ্যে ৬টি, প্রকৌশল খাতের ৪টি কোম্পানির সবগুলোর, খাদ্য ও বিবিধ খাতের ২টি কোম্পানির সবগুলোর এবং ব্যাংক খাতের একমাত্র কোম্পানির দর বেড়েছে।
টেলিকমিউনিকেশন খাতের একমাত্র কোম্পানি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল কোম্পানির শেয়ারদর অবশ্য কিছুটা কমতে দেখা গেছে।
কেবল সরকারি খাতের কোম্পানি নয়, পুঁজিবাজার দীর্ঘ প্রায় চার মাসের মন্দাভাব কাটিয়ে যে উত্থানে ফিরেছে, সেটির বিষয়ে এখন আর দ্বিমত করার মতো যুক্তি খুঁজে পাওয়া কঠিন।
একটুর জন্য দুই হাজার কোটি টাকা না ছাড়ালেও লেনদেন হয়েছে, সেটি ৬৫ কর্মদিবসের সর্বোচ্চ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের অবস্থান সর্বোচ্চ ৩৬ কর্মদিবসে।
সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হলো ১ হাজার ৯৭৬ কোটি ৬৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। এর চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল ৬৬ কর্মদিবস আগে গত ৭ অক্টোবর। সেদিন লেনদেন ছিল ২ হাজার ৪৯৭ কোটি ২০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা।
টানা ছয় কর্মদিবস বৃদ্ধির পর এক দিন সূচক পতনের পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক আবার বাড়ল টানা দুই দিন। রোববারের হোঁচটে যতটা কমেছিল, সোমবার বেড়েছিল তার চেয়ে বেশি। সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবসে প্রধানত সরকারি খাতের কোম্পানির ওপর ভর করে সূচক বাড়ল আরও ৫০ পয়েন্টের বেশি।
দিন শেষে সূচকের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৪৯ দশমিক ১৫ পয়েন্ট, যা গত ২১ নভেম্বরের পর সর্বোচ্চ। সেদিন সূচক ছিল ৭ হাজার ৮৫ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট।
অবশ্য দিনের একপর্যায়ে ২১ নভেম্বরের সেই অবস্থানকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল সূচক। বেলা ১টা ৩ মিনিটে সূচক ছিল ৭ হাজার ৯৮ দশমিক ২৩ পয়েন্ট। তবে শেষ দেড় ঘণ্টায় কিছুটা কমে সেখান থেকে।
টানা প্রায় চার মাসের সংশোধন কাটিয়ে পুঁজিবাজারে চাঙাভাব ফেরার ইঙ্গিত বছরের শুরুতেই ছিল। এর পর থেকে দিন যত গড়িয়েছে, বিনিয়োগকারীদের মনের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কেটে গেছে তত। তারা ক্রমেই সক্রিয় হতে থাকায় লেনদেনও পাচ্ছে গতি।
দিন শেষে বেড়েছে ১৮৯টি কোম্পানির শেয়ারদর, কমেছে ১৪৬টির। অপরিবর্তিত ছিল ৪৩টির দর।
বিশেষজ্ঞ মত
সরকারি কোম্পানিগুলোর দাম বৃদ্ধির বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারে সবচেয়ে দাপটে থাকার কথা সরকারি কোম্পানিগুলোর। কিন্তু দেখা যায়, সরকারি যে ভালো কোম্পানিগুলো আছে, সেগুলোর দাম বাড়ে না, বাড়ে জেড ক্যাটাগরির শ্যামপুর সুগার আর জিল বাংলা সুগার মিলের। যেগুলো থেকে বছর শেষে কোনো রিটার্ন নেই।
‘এখন যেহেতু সরকারি লাভজনক কোম্পানিগুলোর শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে, দর ভালো থাকলে সেটি দেখে অন্য যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারে আসতে চায় না তারাও তখন আগ্রহী হবে।’
সার্বিক পুঁজিবাজার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে সূচকের নেতিবাচক বা পতন দেখা গেছে। ফলে অনেক ভালো কোম্পানির শেয়ারের দরও তখন কমে এসেছিল। এখন কম দামে শেয়ার কেনার আগ্রহ বেড়েছে। ফলে বলা যায়, মূল্য সংশোধনের পর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের একটি সময় যাচ্ছে। যার প্রভাবে সূচক ও লেনদেন বাড়ছে।
‘ডিসেম্বরে আইপিওতে বিনিয়োগকারীদের অনেকগুলো টাকা আটকে ছিল। সেগুলো জানুয়ারির শুরু থেকেই বিও হিসাবে জমা হতে শুরু করেছে। ফলে তারল্য অনেকটা বেড়েছে। সেগুলো বিনিয়োগও হচ্ছে।’
সূচক বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকায় যেসব কোম্পানি
সূচক বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকায় ছিল স্কয়ার ফার্মা। কোম্পানিটির শেয়ারদর ২.৪৯ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ৬.৯৪ পয়েন্ট।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬.৬৫ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে গ্রামীণফোন। কোম্পানিটির দর বেড়েছে ০.৯৭ শতাংশ।
তিতাস গ্যাস, ইউনাইটেড পাওয়ার, আর এ কে সিরামিকস, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ডেসকো, এসআইবিএল, বার্জার পেইন্টস ও বেক্সিমকো ফার্মাও সূচকে বেশ ভালো পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানিই সূচকে যোগ করেছে ৩৭ দশমিক ৪১ পয়েন্ট।
বিপরীতে বিকন ফার্মা, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট, ওয়ালটন, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, ফরচুন সুজ, সামিট পাওয়ার, এনআরবিসি ও শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি সূচক কিছুটা কমিয়েছে।
সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানির কারণে সূচক কমেছে ৮.২৭ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধিতে সেরা দশে সরকারি কোম্পানি
গত চার কর্মদিবস ধারাবাহিকভাবে উত্থানে সরকারি খাতের কোম্পানি তিতাস গ্যাস ৩৭ টাকা ১০ পয়সার থেকে বেড়ে হয়ে গেছে ৪৯ টাকা ৬০ পয়সা। এর মধ্যে মঙ্গলবার বেড়েছে সর্বোচ্চ ৯.৯৭ শতাংশ।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা প্রকৌশল খাতের লোকসানি কোম্পানি ইস্টার্ন কেব্লের দরও বেড়েছে সমপরিমাণ। এই কোম্পানিতে সরকারে অংশীদারত্ব ৫১ শতাংশ।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা ন্যাশনাল টিউব কোম্পানির দর বেড়েছে ৯.৯৬ শতাংশ। সরকারের ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিকানাধীন কোম্পানিটির মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
৩৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২০ সালে ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
সরকারি খাতের আরেক কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ারদর গত দশ কর্মদিবসে নয় দিনই বেড়েছে। প্রতিদিনই প্রায় দিনের সর্বোচ্চ দরে বা তার কাছাকাছি দরে লেনদেন হয়েছে শেয়ারদর। মঙ্গলবার বেড়েছে ৯.৯৩ শতাংশ। গত ২৩ ডিসেম্বর শেয়ারদর ছিল ৫৫ টাকার কিছু বেশি, এখন তা হয়েছে ১২৭ টাকা ২০ পয়সা।
এই কোম্পানির মোট শেয়ারের ৫২ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ার আছে সরকারের কাছে। ২৩ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
সরকারি খাতের লোকসানি কোম্পানি উসমানিয়া গ্লাসের দরও বেড়েছে ৯.৯৩ শতাংশ। ১৪ লাখ ৮৮ হাজার টাকা মোট ২৪ হাজার ১৮৩টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। এই কোম্পানিরও ৫১ শতাংশ মালিক সরকার।
৯.৩৪ শতাংশ দর বেড়েছে সরকারি মালিকানাধীন বিদ্যুৎ সরবরাহকারী কোম্পানি ডেসকো। এর ৬৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ মালিকানা সরকারের। মাত্র ৮.৫২ শতাংশ মালিকানা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের।
এর পরের অবস্থানগুলো ছিল যথাক্রমে আর এ কে সিরামিক, যার দর ৯.৯৩ শতাংশ, ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, যার দর ৯.৯২ শতাংশ, বসুন্ধরা পেপার মিলস, যার দর ৯.৮৫ শতাংশ এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, যার দর ৯.৭৪ শতাংশ বেড়েছে।
আরও ২টি কোম্পানির দর ৯ শতাংশের বেশি, ৪টি কোম্পানির দর ৮ শতাংশের বেশি, একটির দর ৭ শতাংশের বেশি, ৫টির দর ৬ শতাংশের বেশি, ৩টির দর ৫ শতাংশের বেশি, ১০টির দর ৪ শতাংশের বেশি, ৮টির দর ৩ শতাংশের বেশি, ৩৫টির দর ২ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
মঙ্গলবার ৬.৮৯ শতাংশ দর পতনে শীর্ষে ছিল খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং। দর পতনে এদিন ১১ টাকা ৬০ পয়সা দরের শেয়ার নেমে এসেছে ১০ টাকা ৮০ পয়সায়।
এ ছাড়া রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর ৫.১৯ শতাংশ, খান ব্রাদাস পিপি ওভেনের ৫.১৪ শতাংশ, এমারেল্ড অয়েলের দর ৫.০৫ শতাংশ কমছে।
চার শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমা বেশির ভাগ ছিল জীবন বিমা খাতের। এর মধ্যে ডেল্টা লাইফের ৪.৬৮ শতাংশ, পদ্মা লাইফের ৪.৫৫ শতাংশ, মেঘনা লাইফের ৪.৪৭ শতাংশ, সোনালী লাইফের ৪.৪৪ শতাংশ, অলটেক্সের ৪.৪৪ শতাংশ, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ৪.১১ শতাংশ, রিলায়েন্স ওয়ান মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৪.১০ শতাংশ, জুট স্পিনার্সের দর ৪.০৬ শতাংশ কমেছে।
আরও ১০টি কোম্পানির দর তিন শতাংশের বেশি কমেছে।
লেনদেনে সেরা ১০
ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে পাওয়ার গ্রিডের; ১৩৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা। ১ কোটি ৭১ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে কোম্পানিটির।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেডে ১২২ কোটি ৩১ লাখ টাকায় হাতবদল হয়েছে ৮০ লাখ ১০ হাজার ১৭৩টি শেয়ার।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা তিতাস গ্যাসে লেনদেন হয়েছে ৭২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৯টি শেয়ার।
এ ছাড়া ফারইস্ট ইসলামী লাইফে ৬৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল কোম্পানিতে ৫৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, জিএইচপি ইস্পাতে ৪৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, ডেল্টা লাইফে ৪৬ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক কোম্পানি জিএসপি ফাইন্যান্সে ৪২ কোটি ১১ লাখ টাকা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনে ৪০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, সাইফ পাওয়ারটেকে ৪০ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
মন্তব্য