টানা ছয় দিন সূচক বাড়ার পর এক দিনের ধাক্কা শেষে আবার উত্থানে ফিরল পুঁজিবাজার। আগের দিন সূচক যতটা কমেছিল, তার চেয়ে বেশি বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেন।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৬১ পয়েন্ট। আগের দিন পড়েছিল ৫৪ পয়েন্ট।
বেড়েছে ১৭৮টি কোম্পানির দর, কমেছে ১৫৪টির, অপরিবর্তিত ছিল ৪১টির।
আগের দিন বেড়েছিল ৯৮টি কোম্পানির দর, কমেছিল ২৫৪টির, অপরিবর্তিত ছিল ৩২টির দর।
গত সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দর সংশোধনে থাকা পুঁজিবাজারে বছর শেষে ডিসেম্বরে পতন হয় আরও বেশি। তবে বছরের শেষ সপ্তাহের শেষ ভাগে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয় পুঁজিবাজার।
গত বছরের শেষ কর্মদিবস আর নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহের পাঁচ কর্মদিবস মিলিয়ে টানা ছয় দিন সূচক বাড়ার সুখস্মৃতি নিয়ে নতুন সপ্তাহ শুরু করে পুঁজিবাজার।
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার শুরুতে সূচক বাড়লেও শেষ আড়াই ঘণ্টায় হোঁচট খায় পুঁজিবাজার। এই সময়ে ৮০ পয়েন্ট পতনের পর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার কারণে সম্ভাব্য বিধিনিষেধ নিয়ে আতঙ্কের বিষয়টি আলোচনা হয়।
সোমবার লেনদেনের শুরুর পর ২ ঘণ্টায় সূচক ওঠানামা করলেও আগের দিনের বিপরীতে গিয়ে শেষ আড়াই ঘণ্টায় টানা উত্থান হয়।
দিন শেষে ডিএসইএক্সের অবস্থান ৭ হাজার পয়েন্ট ছুঁইছুঁই হয়ে ৬ হাজার ৯৯৪ পয়েন্টে দিয়ে লেনদেন শেষ করে। সূচকের এই অবস্থান গত ৭ ডিসেম্বরের পর সর্বোচ্চ। সেদিন সূচকের অবস্থান ছিল ৭ হাজার ৪৮ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধিতে সবেচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানিগুলো। ৮৭ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে সোমবার।
এ ছাড়া প্রকৌশল খাতের ৭৯ শতাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধি এ খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়িয়েছে।
ব্যাংক খাতের শেয়ারের ৫০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে, বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। বাকি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর ছিল আগের দিনের মতো।
বস্ত্র খাতেরও একই অবস্থা ছিল। লেনদেনে এই খাতের ৪৩ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। বেড়েছে ৪১ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর।
বিমা খাতের মধ্যে জীবন বিমা খাতের শেয়ারগুলোর উত্থান ছিল বেশি। সে তুলনায় সাধারণ বিমা খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বেড়েছে কম।
সোমবার জীবন বিমা খাতের ৭০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। আর ৩০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। সাধারণ বিমা খাতের ৩০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। ৬৭ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে।
সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে। বেশ কয়েক মাস পর এই চিত্র দেখা গেল। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বিমা খাত। তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে ছিল যথাক্রমে বিবিধ ও প্রকৌশল।
এর পরের অবস্থানগুলো যথাক্রমে ওষুধ ও রসায়ন, ব্যাংক, বস্ত্র, আর্থিক, খাদ্য ও টেলিযোগাযোগ খাত।
সূচক বাড়িয়েছে যেসব কোম্পানি
এদিন সূচক বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে দুটি কোম্পানি, এর একটি আইসিবি অপরটি রবি। আইসিবির শেয়ার দর বেড়েছে ৫.২৮ শতাংশ, এতে সূচক বেড়েছে ৮.৪৯ পয়েন্ট। রবির শেয়ার দর বেড়েছে ২.৭ শতাংশ, এতে সূচক বেড়েছে ৮.২৪ পয়েন্ট।
সূচক বৃদ্ধিতে শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানির মধ্যে বাকি আটটি কোম্পানির অবদান ছিল ৩২ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট।
এরমধ্যে পাওয়ারগ্রিডের দর নয় শতাংশের বেশি বাড়ায় সূচক বৃদ্ধিতে অবদান ছিল ৭.৪ পয়েন্ট। তিতাস গ্যাসের দর একই হারে বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৬.২২ পয়েন্ট।
বেক্সিমকো লিমিটেডের দর বেড়েছে ২.৯২ শতাংশ। এতে সূচক বেড়েছে ৫.৯২ পয়েন্ট। বেক্সিমকো ফার্মার দর ২.৩৩ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৩.১৬ পয়েন্ট।
লাজার্ফ হোলসিমের দর ২.০৯ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৩.১ পয়েন্ট। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের সূচক বৃদ্ধিতে অবদান ছিল ২.৫২ পয়েন্ট, জিএইচপি ইস্পাতের ২.২৭ পয়েন্ট আর বিএসআরএম লিমিটেডের ২.২৫ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে ১০টি কোম্পানির কারণেই সূচকে যোগ হয়েছে ৪৯ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট।
অন্যদিকে সূচক সবচেয়ে বেশি ৩.১০ পয়েন্ট কমেছে ওয়ালটনের দর ০.৫৭ শতাংশ কমার কারণে।
ইউনাইটেড পাওয়ার, গ্রামীণ ফোন, বার্জার পেইন্টস, সিটি ব্যাংক, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সোনালী পেপারস, ডেল্টা লাইফ ডাচ বাংলা ব্যাংক ও এসআইবিএল সূচক কমিয়েছে কিছুটা।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ১২.৮১ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধিতে ১০ কোম্পানি
এদিন দিনের সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হয়েছে ১১টি কোম্পানি, যার প্রতিটির শেয়ার দর বেড়েছে নয় শতাংশের বেশি।
এর মধ্যে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির দর ৮২ টাকা থেকে ১০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৯০ টাকা ২০ পয়সা। জীবন বিমা খাতের এই কোম্পানিটির ৬ কোটি ৮১ লাখ টাকার ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪০২টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
৯.৯৮ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে আরেক জীবন বিমা কোম্পানি ফারইস্ট লাইফ ইন্সুরেন্সের। একই হারে আরও দুটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। এর একটি রংপুর ফাউন্ড্রি অপরটি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন।
৯.৯৫ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে তথ্য প্রযুক্তি খাতের ইনফরমেশন সার্ভিসেস কোম্পানির। ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকার ৪ লাখ ৪২ হাজার ২৮৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
বসুন্ধরা পেপার মিলের দর টানা তিন দিন সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়েছে। এই কোম্পানিটির দর ৯.৯৪ শতাংশ, কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৯.৮৯ শতাংশ, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের দর ৯.৮৯ শতাংশ আর একমি পেস্টিসাইডসের দর ৯.৮৩ শতাংশ এবং পাওয়ার গ্রিড ও তিতাস গ্যাসের দর বেড়েছে ৯.৭৩ শতাংশ।
আরও ৩টি করে কোম্পানির দর যথাক্রমে ৮ ও ৭ শতাংশ, ৫টি কোম্পানির দর ৬ শতাংশের বেশি, ৬টি কোম্পানির দর ৫ শতাংশ, ১৩টির দর ৪ শতাংশের বেশি, ৮টির দর ৩ শতাংশের বেশি, ৩৯টির দর ২ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
সবচেয়ে বেশি ৬.১২ শতাংশ শেয়ার দর হারিয়েছে ঢাকা ডাইংয়ের। কোম্পানিটির শেয়ারদর ২৪ টাকা ৫০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ২৩ টাকা।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা আফতাব অটোর দর কমেছে ৫.৫৫ শতাংশ। এছাড়া লাভেলো আইসক্রিমের দর ৪.৯৭ শতাংশ আর কেডিএস এক্সেসরিজের দর ৪.৯২ শতাংশ কমেছে।
এছাড়া সোনালী পেপারের দর ৩.৫০ শতাংশ, এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ডের দর ৩.১৫ শতাংশ আর স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকের ৩.১৪ শতাংশ।
এদিন দুই শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমেছে ১৩টি কোম্পানির।
লেনদেনে সেরা ১০
সোমবার টাকার অংকে সবেচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে পাওয়ার গ্রিডের; ১০১ কোটি ২ লাখ টাকায় হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখ ৮০ হাজার ৮৯৪টি শেয়ার।
বেক্সিমকো লিমিটেডের ৯৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৬৩ লাখ ৫৬ হাজার ২৭৭টি।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ৬৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির ৫৬ কোটি ২২ লাখ টাকা, ফরচুন সুজেরর ৫১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এছাড়া লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের ৬২ লাখ ৬ হাজার ৭৮৯টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যার বাজারমূল্য ছিল ৫০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
ডেল্টা লাইফের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৬ কোটি ১০ লাখ টাকার, তিতাস গ্যাসের ৪০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, জিপিএইচ ইস্পাতের ৩১ কোটি ৪০ টাকা টাকার।
সাইফ পাওয়ারের ২৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের ২১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
মন্তব্য