বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই টিকার আওতায় আসায় এখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হচ্ছে না বলে নিশ্চিত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সোমবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে কিনা, কিংবা কীভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে তা নিয়ে রোববার রাতে করোনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত সরকারের পরামর্শক কমিটির সঙ্গে সভা করেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘গতকালের আলোচনায় যেটি এসেছে, আমরা যখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছিলাম তখন আমাদের সংক্রমণের হার ছিল ৭ বা তার কাছাকাছি। এখনও সে পর্যায়ে রয়েছে।
‘তবে যখন খুলেছিলাম তার থেকে এখন ভালো অবস্থানে আছি এই অর্থে যে, তখন কোনো ভ্যাকসিন ছিল না। এখন আমাদের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ এখন টিকার আওতায় চলে এসেছে, এ মাসের মধ্যে আশা করছি সবাই টিকার আওতায় চলে আসবে। অন্তত এক ডোজ টিকা সবার হয়ে যাবে। এ পরিস্থিতিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করব না।’
তবে টিকা কর্মসূচি আরও জোরদার করা হবে বলে জানান তিনি।
দীপু মনি বলেন, ‘আমরা যেটি করব, টিকা কর্মসূচিকে জোরদার করব। স্বাস্থ্যবিধি মানার কার্যক্রম ও মনিটরিং আরও জোরদার করব। যেভাবে সীমিত পরিসরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো চলছিল সেভাবেই চলবে।
‘পরামর্শক কমিটির সাথে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখব। সাতদিন পরেই আবার বসছি। যদি কোনো সময় আমাদের কাছে মনে হয়, তাহলে বন্ধ করে দেব। আশা করছি, টিকাদান ব্যাপকহারে ঘটলে সে প্রয়োজনটা হয়তো হবে না।’
তিনি বলেন, ‘ওমিক্রনের যে ট্রেন্ড, যখন কেউ আক্রান্ত হচ্ছে পুরো বাড়ি ধরে, অর্থাৎ পুরো পরিবার আক্রান্ত হচ্ছেন। আমি আমার শিক্ষার্থীকে বাসায় রাখলেও তার আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকছেই। গত দেড় বছরে যে ঘাটতি হয়েছে সেটা পূরণে আমাদের চেষ্টা করতে হবে, সামনে যাতে ঘাটতি না হয় সে চেষ্টা করতে হবে।
‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তারা যতক্ষণ থাকবে তাদের সুরক্ষিত রাখতে আমরা চেষ্টা করব। কেউ সংক্রমিত কিনা তার নিজেরও কোনো সিম্টম আছে কিনা সেটাও আমরা মনিটর করব।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কিছু শিক্ষার্থী থাকতে পারে যাদের ঝুঁকি বেশি, তাদের আমরা বলব তারা হয়তো না এসে অনলাইনেই ক্লাস করতে পারে। এরা কারা যারা এমিউন কম্প্রমাইজড অর্থাৎ ক্যানসার প্যাশেন্ট, কারও যদি ক্রনিক কিডনি অসুখ থাকে বা কারও যদি অ্যাজমা থাকে (শিক্ষার্থ-শিক্ষক)। আমরা বলব, তাদের অনেক বেশি সতর্ক থাকতে। আমাদের বিকল্প যে পদ্ধতি সেগুলোও আমরা চালিয়ে যাব।
‘কেবিনেট থেকে সিদ্ধান্ত এসেছে ১২ জানুয়ারির পর থেকে টিকা না দেয়া কেউ যেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না আসে। আমরা টিকা কার্যক্রম চালিয়ে যাব। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হয়ে যাবে, আশা করছি আমরা। এ সময়ের মধ্যে যাদের টিকা দেয়া হয়েছে তারা ক্লাসে আসবে, যাদের দেয়া হয়নি তারা এ কদিন অনলাইনে বা টেলিভিশনে ক্লাস করবেন। টিকা পেয়ে যাওয়ার পর তারা ক্লাস করবেন সরাসরি।’
প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিকের ক্লাসও চলবে
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির পাশাপাশি আগের নিয়মেই প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক শ্রেণিতেও ক্লাস চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘১২ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনো টিকার অনুমোদন দেয়নি। আমরা তাদের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করব।
‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল যেটা বলেছে, যে তারা কঠোর মনিটরিং করছেন এবং এখন পর্যন্ত কোথাও সংক্রমণের কিছু পাননি তারা। এখন আপাতত তারা ক্লাস চালিয়ে যাবেন।’
টিকা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫ ভাগ শিক্ষার্থী
সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ৯৫ ভাগ শিক্ষার্থী এরই মধ্যে করোনা প্রতিরোধী টিকা গ্রহণ করেছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৪ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫১ জন। এরমধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৬৮ এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১৭ লাখ ১৩ হাজার ৩০২ জন। মোট নিবন্ধন করেছেন ২৭ লাখের বেশি।
‘এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২৯ লাখই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫ ভাগ শিক্ষার্থীই টিকা নিয়েছেন। এই তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমরা আগামীকাল বসব।’
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে আমরা যতোটা মনিটরিং করতে পারছি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এটি চলছে। আমরা এটিকে আরও স্ট্রিক মনিটরিংয়ে নিয়ে আসতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকলকেই আমরা সেই মনিটরিংয়ের আওতায় নিয়ে আসব।
‘আমরা কিছু অভিযোগও পেয়েছি। মাদ্রাসাগুলো বিশেষ করে কওমী মাদ্রাসায় কম্প্লায়েন্সের ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে। যেহতু তারা আমাদের সরাসরি তত্বাবধায়নে নেই, এ জন্য মনিটরিং করা শক্ত। আমরা আশা করছি স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে তাদের মনিটরিংয়ের মধ্যে আমরা যাতে নিয়ে আসতে পারি।’
আরও পড়ুন:এখন থেকে একজন গ্রাহক সর্বাধিক ১০টি মোবাইল ফোন সিম ব্যবহার করতে পারবেন। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল শনিবার বিটিআরসির এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আগে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করতে পারতেন। তবে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে সর্বোচ্চ ১০টি সিমই নিবন্ধন করা যাবে।
বিটিআরসি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক অনুশীলন এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ বিবেচনা করে একজন গ্রাহকের নামে সর্বোচ্চ নিবন্ধনযোগ্য সিম সংখ্যা ১৫ থেকে দশে কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি আরও জানায়, সর্বোচ্চ ১০টি ব্যক্তিগত সিম নিবন্ধনের সীমা নির্ধারণ করা হলে প্রায় ২৬ লাখ গ্রাহকের মোট ৬৭ লাখ সিম বন্ধ করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিদেশে উচ্চশিক্ষা অর্জনের স্বপ্ন অনেকেরই থাকে, কিন্তু এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রয়োজন হয় সঠিক দিকনির্দেশনা ও দক্ষ সহযোগিতার। ঠিক এখানেই NiT Academy Global তার অনন্য ভূমিকা রাখছে। রাজশাহী ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার সুযোগ করে দিচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য। তারা শুধুমাত্র ভিসা প্রসেসিং বা অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং একজন শিক্ষার্থীর পুরো উচ্চশিক্ষা যাত্রার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে।
NiT Academy Global শিক্ষার্থীদের প্রথমে উপযুক্ত কোর্স ও বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিতে সহায়তা করে, যা তাদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এরপর শুরু হয় আবেদন প্রক্রিয়া, যেখানে প্রতিটি ডকুমেন্ট প্রস্তুত থেকে শুরু করে আবেদনপত্র সঠিকভাবে জমা দেওয়ার বিষয়েও তারা সহায়তা করে। এছাড়া ভিসা প্রক্রিয়ায় পূর্ণ সহায়তা, সাক্ষাৎকারের প্রস্তুতি এবং প্রয়োজনীয় কনসালটেন্সি সরবরাহ করা হয়। যারা আর্থিকভাবে কিছুটা পিছিয়ে আছেন, তাদের জন্য রয়েছে বৃত্তি সংক্রান্ত পরামর্শ ও সহায়তা।
বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য NiT Academy Global শিক্ষার্থীদের পাঠানোর ব্যবস্থা করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, জাপান, চীন, ফিনল্যান্ড, রাশিয়া, ফ্রান্স এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত (বিশেষ করে দুবাই)।
NiT Academy Global শুধু একাডেমিক সাপোর্টেই সীমাবদ্ধ নয়, তারা প্রাক-ভ্রমণ সহায়তা, এয়ার টিকেট বুকিং, এয়ারপোর্ট পিকআপ ও হোস্টেল/বাসস্থানের ব্যবস্থাও করে থাকে। এক কথায়, বিদেশে যাওয়ার শুরু থেকে সেখানকার স্থায়ীভাবে থিতু হওয়ার পর্যায় পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে তারা শিক্ষার্থীদের পাশে থাকে।
প্রতিষ্ঠানটির সেবা গ্রহণ করে অনেক শিক্ষার্থী ইতিমধ্যেই বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য স্থান পেয়েছেন। কেউ যুক্তরাজ্যে, কেউ কানাডায়, কেউবা আবার জাপান কিংবা অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করছেন। তাদের সাফল্যই NiT Academy Global-এর কার্যক্রমের সফলতা প্রমাণ করে।
যোগাযোগ:
ফোন: +8801612751894
ইমেইল: [email protected]
ঠিকানা: হাউস-১২২, প্রতিতির রান্নাঘর বিল্ডিং, গণকপাড়া, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করার অনুমতি বাতিল করেছে এবং বর্তমানে ভর্তি থাকা শিক্ষার্থীদের অন্যত্র স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে। অন্যথায় তারা যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ অবস্থান হারাতে পারে বলে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (ডিএইচএস)। হার্ভার্ড এ সিদ্ধান্তকে অবৈধ ও প্রতিশোধমূলক বলে আখ্যা দিয়েছে।
ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সচিব ক্রিস্টি নোয়েম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রাম (এসইভিপি) প্রত্যয়ন বাতিলের নির্দেশ দেন।
ডিএইচএসের বিবৃতিতে বলা হয়, হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিষয়ে আগেই চাওয়া কিছু তথ্য সরবরাহে ব্যর্থ হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নোয়েম বলেন, ‘এই প্রশাসন হার্ভার্ডকে জবাবদিহির আওতায় আনছে- যেহেতু তারা সহিংসতা ও ইহুদিবিদ্বেষ ছড়াচ্ছে এবং ক্যাম্পাসে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সমন্বয় করছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ কোনো অধিকার নয়, বরং একটি সুবিধা, যা তারা অধিক টিউশন ফি নিয়ে বহু বিলিয়ন ডলারের তহবিল ফুলিয়ে তোলার কাজে ব্যবহার করে।’
হার্ভার্ড পাল্টা বিবৃতিতে জানায়, ‘সরকারের এই পদক্ষেপ অবৈধ। আমরা হার্ভার্ডে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও গবেষকদের উপস্থিতি বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্বের ১৪০টিরও বেশি দেশ থেকে আসা এসব মানুষ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও পুরো জাতিকে অসামান্যভাবে সমৃদ্ধ করেন।’ হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
এই সিদ্ধান্তকে ট্রাম্প প্রশাসনের হার্ভার্ডবিরোধী অভিযানের একটি বড় ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই ম্যাসাচুসেটসের এই আইভি লিগ বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ‘বামপন্থি’ বা ‘মার্কসবাদী’ আদর্শ ছড়ানোর অভিযোগে অভিযুক্ত করে আসছেন। গত মাসে হার্ভার্ড একটি ২.২ বিলিয়ন ডলারের ফেডারেল তহবিল বরাদ্দ স্থগিতাদেশের মুখে পড়ে, কারণ তারা হোয়াইট হাউসের দেওয়া একগুচ্ছ শর্ত প্রত্যাখ্যান করে।
এসব শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কাঠামো, নিয়োগ নীতি ও ভর্তি পদ্ধতিতে পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছিল, যার মধ্যে ছিল বৈচিত্র্য সংক্রান্ত দপ্তরগুলো বন্ধ করা এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্ক্রিনিংয়ে অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করা। হার্ভার্ড পরে এই বরাদ্দ স্থগিতাদেশ ঠেকাতে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) যৌথভাবে গবেষণা ও শিক্ষার মান উন্নয়নে একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমওএ) স্বাক্ষর করেছে। বিশেষ করে পিএইচডি ( ডক্টর অব ফিলোসোফি), এমফিল (মাস্টার অব ফিলোসোফি) ও এম এস (মাস্টার অব সায়েন্স) শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানের ক্ষেত্রে এ চুক্তি সহায়ক হবে বলে জানায় প্রতিষ্ঠান দুইটি।
মঙ্গলবার (২০ মে, ২০২৫) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি আন্তরিক পরিবেশে এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রবসহ অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথি ও কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পক্ষে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. মাহবুব উল হক মজুমদার, ফ্যাকাল্টি অব ইনফরমেশন টেকনোলজির ডিন প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ আকতার হোসেন, ব্যবসা ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন অনুষদের ডিন প্রফেসর ডক্টর মাসুম ইকবাল, স্বাস্থ্য ও জীবন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ডক্টর বিলাল হোসেন, মানবিক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক লিজা শারমীন, স্নাতকোত্তর অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. কবিরুল ইসলাম, এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মিজানুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এই চুক্তির আওতায় উভয় বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও শিক্ষার মানোন্নয়নে একাডেমিক কার্যক্রমে একযোগে কাজ করবে, যার মধ্যে রয়েছে ল্যাব সুবিধা, অনলাইন ডাটা বেস, তথ্য বিশ্লেষণ ব্যবস্থা এবং ভৌত অবকাঠামোর ব্যবহার; যা ভর্তি ও সমাবর্তনের সময় উভয় প্রতিষ্ঠানের জন্য সহায়ক হবে। সমঝোতা স্মারকে উচ্চমানের গবেষণা পরিচালনা, যুগ্মভাবে আন্তর্জাতিক মানের জার্নাল প্রবন্ধ প্রকাশ, যৌথ গবেষণা সম্মেলন আয়োজন এবং পেটেন্টসহ মেধাস্বত্ব উন্নয়নের দিক নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়ও শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষক বিনিময় কর্মসূচিও গবেষণা শিক্ষার্তীদের যৌথ তত্ত্বাবধানকে উৎসাহিত করা হবে বলে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এই উদ্যোগের জন্য প্রশংসা প্রকাশ করেন এবং বলেন- "এ ধরনের সহযোগিতা ফলপ্রসূ গবেষণার পাশাপাশি উচ্চ পর্যায়ের এইচ -ইনডেক্স সম্পন্ন জার্নালে প্রকাশনা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।"
তাছাড়া ডিআইইউ-এর উপ-উপাচার্য এই চুক্তি যথাসময়ে বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন যাতে উভয় প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ও গবেষণাগত কার্যক্রমের মানোন্নয়নের পরিধি বৃদ্ধি পায়।
অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ সোবহানী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি’তে নতুন ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) স্কুল অব বিজনেস এন্ড ইকোনমিক্সের অধ্যাপক ও ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কো-অপারেশন সেন্টারের (সিআইএসি) পরিচালক ড. ফরিদ আহমদ সোবহানীকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তিন শর্তে তাকে এই পদে নিয়োগ দিয়ে বুধবার (১৪ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ধারা ৩১ (১) অনুযায়ী ড. ফরিদ আহমদ সোবহানীর ভিসি পদে নিয়োগের মেয়াদ হবে তার যোগদানের তারিখ হতে চার বছর। তবে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর যে কোনো সময় এ নিয়োগ আদেশ বাতিল করতে পারবেন; তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন এবং পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধাদি ভোগ করবেন; তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।
জানতে চাইলে গতকাল শনিবার (১৭ মে) অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ সোবহানী এই প্রতিনিধিকে জানান, ‘ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ভিসি হিসেবে আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রজ্ঞাপনটি হাতে পেয়েছি আমি। সংশ্লিষ্ট দুই বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে ভিসি হিসেবেক যোগদান করবো।‘
অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ সোবহানী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি ফর প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি একাডেমিকস (বিএসপিইউএ) এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। পেশাগত জীবনে এর আগে তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এবং ডিন এবং আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধ্যাপক এবং ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া তিনি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্কুল অব বিজনেস এন্ড ইকোনমিক্সের অধীনে এমবিএ প্রোগ্রামের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ সোবহানী দক্ষিণ আফ্রিকার কিম্বারলে অবস্থিত একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ‘সোল প্লাতজে ইউনিভার্সিটির ইকোনমিক্স এন্ড ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস অনুষদের একজন ভিজিটিং প্রফেসর। তিনি সিডনির অস্ট্রেলিয়ান একাডেমি অব বিজনেস লিডারশিপের একজন রিসার্চ ফেলো। তাছাড়া তিনি মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি এমএআরএ-এর অ্যাকাউন্টিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ভিজিটিং প্রফেসর এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের নিয়োগ বোর্ডের এক্সটারনাল মেম্বার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান জার্নাল অব অ্যাকাউন্টিং, ইকোনমিক্স অ্যান্ড ফিন্যান্সের এডিটর হিসেবেও অবদান রেখেছেন। হিসাববিজ্ঞানে দক্ষতার পাশাপাশি ড. সোবহানী মানবসম্পদ এবং নেতৃত্বের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।
ড. সোবহানীর শিক্ষাজীবন শুরু হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাকাউন্টিংয়ে মেজরসহ বিবিএ এবং এমবিএ ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে। তিনি বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্প বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি সেন্স মালয়েশিয়া থেকে এইচআর অ্যাকাউন্টিং ক্ষেত্রে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
ড. ফরিদ আহমেদ সোবহানী দেশীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন সম্মানিত জার্নাল এবং ম্যাগাজিনে প্রায় ১০০টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করে একাডেমিকভাবে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন, যার মধ্যে অ্যাকাউন্টিং, কর্পোরেট
ডিসক্লোজার, এইচআর এবং নেতৃত্বের মতো ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার কৃতি সন্তান।
ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির জন্য অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারির জন্য আগামীকাল রবিবার পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন না হলে সোমবার থেকে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।
তবে ছাত্র প্রতিনিধিরা জানান, তারা এবার দাবি আদায়ের সময় জনদুর্ভোগ এড়াতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি পালন করবে। শনিবার (১৭ মে) ইডেন মহিলা কলেজের ভেতরে ১ নম্বর ফটকের কাছে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলন থেকে পাঁচটি দাবি জানানো হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-
বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী জাফরিন আক্তার ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান।
ঢাকার এই সাত সরকারি কলেজ হলো- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এসব কলেজে শিক্ষার্থী প্রায় দুই লাখ। শিক্ষক এক হাজারের বেশি।
উল্লেখ্য, এই কলেজগুলো একসময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। পরে ২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর এই সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়।
তবে অধিভুক্তির পর থেকে যথাসময়ে পরীক্ষা নেওয়া, ফল প্রকাশসহ বিভিন্ন দাবিতে সময়-সময় আন্দোলন করে আসছিলেন এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিগত আট বছরে সমস্যাগুলো বড় আকারে রূপ নেয়। শুরু হয় নানা আন্দোলন।
সবশেষ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত জানুয়ারিতে এই সাত কলেজকে আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা করার কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
চলতি বছরের ১৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পৃথকীকরণ এবং কলেজগুলোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপরেখা প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি সভা করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় করার লক্ষ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের কাছে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করেছিল বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এসব কলেজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে না। অর্থাৎ, উল্লেখিত সেশন থেকেই সাত কলেজ নিয়ে নতুন করে গঠিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিতে’ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
শিক্ষার্থীরা আরও দাবি করেছে, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অধ্যাদেশ ১৬ জুনের মধ্যে জারি ও নবগঠিত প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের দাবি আদায় না-হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন ঘোষণা করেছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইসউদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তিনি। পূর্ববর্তী তিন দফাসহ শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের অতর্কিত হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার চার দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি করছেন জবির শিক্ষার্থীরা।
অধ্যাপক ড. রইসউদ্দিন বলেন, ‘আমরা জবির দাবি আদায়ের জন্য এসেছি। আমাদের উপরে নির্বিচারে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এটি সম্পূর্ণ অরাজকতা ও অন্যায়। আমরা কারো বিরুদ্ধে এখানে কথা বলতে আসিনি, কোন ষড়যন্ত্র করতে আসিনি। দাবি আদায় না করে আমরা ঘরে ফিরব না। দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটডাউন চলবে, কোনো ক্লাস-পরীক্ষা চলবে না। দাবি আদায় করেই আমরা ঘরে ফিরব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদেরকে এখান থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য যদি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে তার পরিণতি ভালো হবে না। আমার চোখের সামনে আমার কোনো শিক্ষার্থীকে কেউ আঘাত করতে পারবে না।’
গতকাল(বুধবার) থেকে জবির শিক্ষার্থীরা কাকরাইলে অবস্থান করছেন। অবস্থান কর্মসূচি পালন করায় অনেক শিক্ষার্থী ক্লান্ত হলেও আন্দোলন থেকে সরে যাননি। কেউ কেউ রাতভর রাস্তায় ঘুমিয়ে আজ সকালেও অবস্থান করছেন।
নতুন দাবিসহ চার দাবি হলো— বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি চালু করা, জবির প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ একনেক সভায় পাস ও বাস্তবায়ন, ১৪ মে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের অতর্কিত হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।
এর আগে (বুধবার) বেলা ১১টার দিকে এই তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে লং মার্চে শুরু করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
লং মার্চটি গুলিস্থান, মৎস্য ভবন পার হয়ে কাকরাইল মসজিদের সামনে পৌঁছালে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। সে সময় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গরম পানিও ছোড়া হয়।
পরে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হন। পরে তাদের অনেককে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়।
পরবর্তীতে গতকাল রাতে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সেখানে বিফ্রিং করতে যান। তবে তার ব্রিফিংয়ে অসন্তুষ্ট হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপদেষ্টা মাহফুজকে উদ্দেশ্য করে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন তারা। একপর্যায়ে তাকে লক্ষ্য করে আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে বোতল ছুঁড়ে মারেন একজন শিক্ষার্থী। এ ঘটনার পরে বিফ্রিং বন্ধ করে চলে যান উপদেষ্টা।
এদিকে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাকড়াইল মসজিদের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন জবির শিক্ষার্থীরা।
মন্তব্য