চার মাসের বাজার সংশোধন শেষের আভাস নিয়ে শুরু করা নতুন সপ্তাহের প্রথম দিন পুঁজিবাজার সূচকের বড় পতন দেখলেন বিনিয়োগকারীরা।
রোববার ৫৪ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট সূচকের পতন চলতি বছরের প্রথম। গত সপ্তাহে পাঁচ কর্মদিবসের প্রতিদিন এবং ২০২১ সালের শেষ কর্মদিবস ৩০ ডিসেম্বরও সূচক বেড়েছিল।
গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া বাজার সংশোধনের মধ্যে প্রথমবারের মতো টানা ছয় দিনের উত্থানের সুখস্মৃতি নিয়ে নতুন সপ্তাহে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ফুরফুরে মেজাজেই ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। বেশির ভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধির পাশাপাশি গত ৭ ডিসেম্বরের পর প্রথম সূচকের সাত হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
বাজারে চাঙাভাবের সময় গত ৩১ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা আট কর্মদিবস সূচক বেড়েছিল। সাতে সাত হলে সেই রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলার আশায় যারা ছিলেন, পরের আড়াই ঘণ্টায় তাতে পড়ে গুড়েবালি।
দুপুর ১২টার পর থেকে শেয়ারগুলো দর হারাতে থাকে, সেই সঙ্গে কমতে থাকে লেনদেন। শেষ আড়াই ঘণ্টায় সূচক কমে ৮০ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট।
দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৯৩২ পয়েন্টে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেনেও খানিকটা ভাটার টান দেখা গেছে। গত বৃহস্পতিবার লেনদেন ছিল ১ হাজার ৬৮৩ কোটি ৪৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। সেটি কমে হয়েছে ১ হাজার ৪৬১ কোটি ৮ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ এক দিনেই কমেছে ২২২ কোটি ৩৮ লাখ ৮৩ হাজার টাকা।
দিন শেষে ৯৮টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২৪৮টির দর। অপরিবর্তিত ছিল ৩২টির।
আলোচনায় ওমিক্রন বিধিনিষেধ
টানা ছয় কর্মদিবস বাড়ার পর এক দিন সূচক কমা যেমন অস্বাভাবিক নয়, তেমনি বেলা শেষে সূচকের এই পতনের পেছনে করোনার তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা, নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্তের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হচ্ছে।
মহামারির তৃতীয় ঢেউ নড়েচড়ে বসছে বাংলাদেশসহ আশপাশের দেশগুলোয়। জারি হচ্ছে বিধিনিষেধ। ওমিক্রম থেকে রক্ষা পেতে এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনা শুরু হয়েছে। গণপরিবহনে আর্ধেক যাত্রী, রাত ৮টার পর দোকান বন্ধ, করোনার টিকা নিশ্চিত করতে সরকারের জোরালো পদক্ষেপ নতুন করে ভাবাছে বিনিয়োগকারীদের।
২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা শনাক্ত হওয়া, ২০২১ সালের এপ্রিলে লকডাউনের আগে আগে এবং একই বছরের জুলাইয়ের শেষে শাটডাউন নামে বিধিনিষেধ দেয়ার আলোচনা তৈরি হওয়ার পরও এই ধরনের পতন দেখা গেছে।
এটি ছয় দিনের উত্থানের পর স্বাভাবিক সংশোধন, নাকি বিধিনিষেধ নিয়ে দুশ্চিন্তা- তার বিষয়টি কিছুদিন পর স্পষ্ট হতে পারে।
এর আগে লকডাউন ও শাটডাউনের আগে আগে সূচক পড়েছিল লেনদেন বন্ধ হয়ে যাবে গুঞ্জনে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি যদিও বারবার বলছিল, ব্যাংক খোলা থাকলে লেনদেন চালু থাকবে- তার পরও আস্থাহীনতায় ভুগেছেন বিনিয়োগকারীরা। যদিও পরে যখন লেনদেন চালু হয়, দুবারই সূচকের উত্থান দেখে পুঁজিবাজার।
রোববারের দরপতনের ওমিক্রমের সম্ভাব্য প্রভাবকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা দেবব্রত কুমার সরকার। তিনি বলেন, ‘সূচক যে হারে বাড়ছিল তাতে এই পরিমাণ পতনে আতঙ্কের কিছু নেই। তবে সরকারের পক্ষ থেকে ওমিক্রমের বিষয়ে যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে, তাতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ আছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএসইসি গত বছরের করোনার বিধিনিষেধের মধ্যেও পুঁজিবাজারের লেনদেন চালু রেখেছিল। এতেই বোঝা উচিত, এবারও করোনার পরিস্থিতে লেনদেন নিয়ে ভয়ের কিছু নেই।’
যেসব কোম্পানি কমিয়েছে সূচক
সূচক পতনে প্রধান ভূমিকায় ছিল রবি। কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ১৫ দশমিক ৯১ পয়েন্ট।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ দরপতনে সূচক কমেছে ৫ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট।
এ ছাড়া বেক্সিমকো লিমিটেডের ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ দরপতনে ৩ দশমিক ৯২ পয়েন্ট আইসিবি ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ দরপতনে সূচক কমেছে ৩ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট।
ব্র্যাক ব্যাংকের ২ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ দরপতনে ২ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ দরপতনে ২ দশমিক ২৫ পয়েন্ট, পাওয়ার গ্রিডের ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ দরপতনে ২ দশমিক ১৬ পয়েন্ট সূচক কমেছে।
বেক্সিমকো ফার্মা, জিপিএইচ ইস্পাত, এনআরবিসিও সূচক কমিয়েছে।
সব মিলিয়ে সূচক ৪০ দশমিক ৬ পয়েন্ট কমিয়েছে এই ১০টি কোম্পানিই।
বিপরীতে শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ দর বাড়ায় গ্রামীণফোন সূচকে যোগ করেছে ৪ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট। ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ দর বাড়ার পর সূচকে ১ দশমিক ৪২ পয়েন্ট যোগ করেছে বসুন্ধরা পেপার মিল।
ফরচুন সুজ, ওয়ালটন, পদ্মা অয়েল, ফারইস্ট লাইফ, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, আর এ কে সিরামিকস, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট ও ইউনিলিভারও সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে। সব মিলিয়ে এ ১০টি কোম্পানি সূচকে যোগ করেছে ১৩ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট।
যেগুলোর দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি
রোববার দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ দর বেড়েছে চারটি কোম্পানির। এর মধ্যে ১০ শতাংশ দর বেড়েছে বন্ধ কোম্পানি খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের। ১০ টাকার শেয়ারদর পৌঁছেছে ১১ টাকায়। ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকার লেনদেনে শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১৪ লাখ ৫৫ হাজার ৭৭৬টি।
বসুন্ধরা পেপার মিলের ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ, ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ, রংপুর ফাউন্ড্রির ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়েছে।
এএমসিএলের (প্রাণ) দর ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেড়ে ২৬৫ টাকা ৬০ টাকার শেয়ার উঠেছে ২৮৮ টাকা ৮০ পয়সায়।
৭ শতাংশের বেশি দর বেড়েছে তিনটি কোম্পানির। এর মধ্যে বিচ হ্যাচারির ৭ দশমিক ৬০ শতাংশ, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ৭ দশমিক ৫৭, ন্যাশনাল টি কোম্পানির দর ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেড়েছে।
তিনটি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ৬ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের দর ৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ, এপেক্স ফুডের ৬ দশমিক ৩৪ ও সিএনএ টেক্সটাইলের ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ বেড়েছে।
দরপতনের শীর্ষ ১০
দরপতনের শীর্ষে ছিল শ্যামপুর সুগার মিল, যার দর কমেছে ৭ দশমিক ৯২ শতাংশ। আগের দিন শেয়ারের দাম ছিল ৮৯ টাকা ৬০ পয়সা। সেখান থেকে কমে হয়েছে ৮২ টাকা ৫০ পয়সা।
এস আলম কোল্ড রোল স্টিলের দরও কমেছে ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ৪৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫৪টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
খেলাপি ঋণ আদায়ে সম্পদ নিলামে ওঠা আরএসআরএম স্টিলের দর কমেছে ৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এ ছাড়া মেঘনা পেটের দর ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ, ডেল্টা লাইফের দর ৫ দশমিক ৩৬, বিডি থাইয়ের দর ৫ দশমিক ৩৬, সি পার্ল হোটেলের দর ৫ দশমিক ১৮, জিবিবি পাওয়ারের দর ৫ দশমিক ১৮ শতাশং। এগুলো ছিল স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের দর ৫ দশমিক ১৬, ন্যাশনাল ফিড মিলসের দর ৫ দশমিক শূন্য ৬ ও জিলবাংলা সুগারের দর ৫ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ কমেছে।
লেনদেনে সেরা ১০
টাকার অঙ্কে রোববার সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের। কোম্পানির দর কমলেও লেনদেন হয়েছে ১০৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকার। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৭০ লাখ ২৫ হাজার ১০৩টি।
দুই সপ্তাহে শেয়ারদর দ্বিগুণ হয়ে যাওয়া বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের লেনদেন হয়েছে ৮০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৭৫ লাখ ৪৯ হাজার ৮৬৫টি। শেয়ারদরে যোগ হয়েছে ৬০ পয়সা।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা ডেল্টা লাইফের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬০ কোটি ১৯ লাখ টাকার। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ২৯ লাখ ১২ হাজার ৫৩৯টি।
লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টে লেনদেন হয়েছে ৫৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। পাওয়ার গ্রিডের লেনদেন হয়েছে ৪৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা, ফরচুন সুজে লেনদেন হয়েছে ৪০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
এ ছাড়া বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলের ৩৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা, ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সে ২৭ কোটি ৪ লাখ টাকা, সাইফ পাওয়ারটেকে ২৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকার আর দ্য পেনিনসুলা চিটাগাংয়ে লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:ঢাকার পুঁজিবাজারে গত এক সপ্তাহের লেনদেনে বেড়েছে সূচক ও মূলধন। তবে পুঁজিবাজার ইতিবাচক দিকে মোড় নিলেও কমেনি মন্দ কোম্পানির শেয়ারের দৌরাত্ম্য।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত পাঁচ কার্যদিবসে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় থাকা দশ কোম্পানির মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি মাত্র দুটি।
বাকি আট কোম্পানির মধ্যে মধ্যম মানের ‘বি’ ক্যাটাগরির সংখ্যা তিন এবং লভ্যাংশ না দেওয়া এমন মন্দ কোম্পানির সংখ্যা পাঁচ।
সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে শীর্ষে উঠে এসেছে নিউ লাইন ক্লোথিংস লিমিটেড। কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের সর্বশেষ লভ্যাংশ দিয়েছে ২০২১ সালে।
কোম্পানিটির সর্বশেষ বার্ষিক সভা হয়েছে ২০২২ সালে। এরপর থেকে বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ না দিয়ে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে আছে কোম্পানিটি।
লেনদেনে শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে থাকা অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেড কোম্পানিটিও ‘জেড’ ক্যাটাগরির। কোম্পানিটি ২০১৬ সালের পর আর কোনো লভ্যাংশ না দিয়েও হয়ে উঠেছে বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ‘তারল্য সংকটের মধ্যে সূচকের উত্থান হওয়ায় দ্রুত মুনাফা পাওয়ার আশায় অনেক বিনিয়োগকারী খারাপ শেয়ারে অর্থলগ্নি করছেন। এতে করে মন্দ কোম্পানির শেয়ার ফুলেফেঁপে উঠলেও ঝুঁকি বাড়ছে পুঁজিবাজারে।’
তিনি বলেন, ‘বাজারে ভুল তথ্য ছড়িয়ে সুবিধাভোগী কিছু কোম্পানি এসব মন্দ কোম্পানিকে টার্গেট করেই অর্থ লোপাটের পরিকল্পনা করছে। শুধু কোম্পানিই নয়, বাজার অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে অনেক ব্রোকারেজ হাউসও জড়াচ্ছে কারসাজিতে।’
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি প্রতারণামূলক সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীদের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে চার ব্রোকারেজ হাউসের বিরুদ্ধে।
সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে পিছিয়ে আছে ব্যাংক খাত। পাঁচ কর্মদিবসে এ খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ২৩ দশমিক ৭২ শতাংশ। গত সপ্তাহে এ খাতের সূচক ৬৪৮ পয়েন্ট থেকে কমে ৪৯৪ পয়েন্টে নেমে এসেছে।
ব্যাংকের পাশাপাশি দাম কমেছে বিমা খাতেও। পাঁচ কার্যদিবসে বিমা খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ।
ব্যাংক-বিমা পিছিয়ে পড়লেও ভালো অবস্থানে রয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। এ খাতে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এ ছাড়া জ্বালানি খাতে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩৫ শতাংশের ওপরে।
সর্বোপরি পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২২ পয়েন্ট, ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ বেড়েছে ৬ এবং শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ৭ পয়েন্ট।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ১৮৩ কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ১৬৬টির দাম এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে সপ্তাহের ব্যবধানে গড় লেনদেন ১ শতাংশের মতো কমলেও মোট বাজার মূলধন বেড়েছে ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
প্রথাগত লেনদেনের বাইরেও সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে ১০৬ কোটি টাকার শেয়ার বেচাকেনা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার বিক্রি করে এসিআই লিমিটেড। কোম্পানিটি পাঁচ দিনে ব্লক মার্কেটে ২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করে।
সপ্তাহব্যাপী লেনদেনে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন আসে সিরামিক খাত থেকে। রিটার্নের হিসাবে তলানিতে আছে আর্থিক খাত, জীবনবিমা ও সাধারণ বিমা। সর্বোপরি মার্কেট রিটার্ন বেড়েছে দশমিক ৫০ শতাংশ।
গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো পুঁজিবাজার সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্স বিএসইসির কাছে নিজেদের প্রাথমিক দুটি সুপারিশ জমা দেয়।
মার্জিন ঋণ ও মিউচুয়াল ফান্ড সংক্রান্ত এসব সুপারিশ আমলে নেওয়া হলে শেয়ারবাজারের অস্থিরতা অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ১০ পয়েন্ট।
শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস ৩ এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বাড়ে ৪ পয়েন্ট।
লেনদেনের শুরুতেই দাম বাড়ে ১৭৭ কোম্পানির, কমে ১৩৩টির এবং অপরিবর্তিত থাকে ৭৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৭০ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
লেনদেনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বাড়ে ২৮ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ১১০ কোম্পানির মধ্যে দাম বাড়ে ৭০, কমে ২২ এবং অপরিবর্তিত থাকে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম। মোট শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন ছাড়ায় ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য