× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Tiles for the visually impaired on the sidewalk
google_news print-icon

ফুটপাতে বেহাল দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের টাইলস

ফুটপাতে-বেহাল-দৃষ্টি-প্রতিবন্ধীদের-টাইলস
ঢাকার ফুটপাতগুলোতে বসানো বিশেষ টাইলস দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য তেমন কোনো কাজে আসছে না। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস/নিউজবাংলা
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ফুটপাতে হাঁটার জন্য সহায়ক বিশেষ ধরনের টাইলস বসিয়েছে সিটি করপোরেশন। তবে অনেক জায়গায় এগুলোর এখন করুণ দশা। তাছাড়া লোকে ঠিকমতো জানেই না এগুলোর উদ্দেশ্য।

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের হাঁটার জন্য ঢাকার ফুটপাতগুলোতে বসানো বিশেষ টাইলস তেমন কাজে লাগে না। ভাঙাচোরা ফুটপাত, হকারের দখল আর নানারকম প্রতিবন্ধকের কারণে এ আয়োজন পণ্ড হয়ে যায়। লোকজনও খুব একটা জানে না, এসব টাইলসের গুরুত্ব কী। তারা এগুলোকে শুধুই নান্দনিক ডিজাইন মনে করে।

নগরের বিভিন্ন সড়কের ফুটপাতে লাল রঙের টাইলসের মাঝে হলুদ রঙের টাইলস বসানো হয়েছে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের হাঁটার সুবিধার কথা বিবেচনায় রেখে। বিশেষ করে প্রধান সড়কের ফুটপাতগুলোয় এটি দেখা যায়।

২০১৫ সালে এই বিশেষ টাইলস ফুটপাতে বসানোর উদ্যোগ নেয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। পরে দুই সিটি করপোরেশনই এই টাইলস বসানো শুরু করে। এখনও এ প্রকল্প এখনও চলমান।

হলুদ টাইলসগুলো অমসৃণ, যাতে ঢেউখেলানো উঁচু ধার (রিলিফ) থাকে। এর ফলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা স্পর্শের অনুভূতির সাহায্য এই টাইলস বরাবর হেঁটে যেতে পারেন। আবার ফুটপাত যেখানে ঢালু, সেখানে টাইলসে ঢেউখেলানো রিলিফের বদলে গোলাকার বৃত্তের রিলিফ রয়েছে। এটি থাকলে একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বুঝতে পারেন, এখানে ফুটপাত নেমে গেছে। এতে তিনি সেখান থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে বা অন্যের সাহায্য নিয়ে গন্তব্য ঠিক করবেন।

ফুটপাতে বেহাল দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের টাইলস

রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে দেখা যায়, অনেক জায়গায় ফুটপাতে এই হলুদ টাইলস ভেঙে গেছে। অনেক জায়গায় কোনো টাইলসই নেই। আবার কোথাও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের কথা মাথায় রেখে এখনও টাইলসই বসানো হয়নি।

ফুটপাত দখল করে দোকান বসানো, ফুটপাতে যেখানে-সেখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি, টেলিফোনের খুঁটি, গাছসহ অনেক প্রতিবন্ধকতা। তা ছাড়া এ নিয়ে প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা না থাকায় বেশির ভাগ পথচারী জানেন না, ফুটপাতে এই বিশেষ টাইলসের তাৎপর্য কী।

নিউজবাংলার সঙ্গে কথা হয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সুলতান উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘টাইলস বসানোয় আমাদের উপকার হয়েছে। তবে অনেক জায়গায় ফুটপাত ভাঙা, রাস্তায় গাছপালা আর দোকানের দৌরাত্ম্যে ঝামেলা হয়। পরিচিত জায়গার বাইরে গেলে পড়ে যাই, হাত-পা ছিঁড়ে যায়। অনেক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিও এই টাইলসের ব্যবহার জানেন না।’

এই টাইলসের ওপরে ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়েছেন যেসব হকার, এগুলোর উদ্দেশ্য সম্পর্কে তাদের ধারণা নেই কোনো।

এ রকমই এক হকারের সঙ্গে কথা হয় রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকার ফুটপাতে। তিনি বলেন, ‘এই টাইলস তো মনে হয় এমনিতেই বসাইছে। কেন বসাইছে জানি না।’

তাকে যখন বলা হয়, তিনি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চলাচলের জায়গায় দোকান বসিয়েছেন, তখন তিনি কোনো উত্তর দেননি।

ফুটপাতে বেহাল দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের টাইলস

যেভাবে শুরু এই বিশেষ ব্যবস্থার

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিষ্ঠান ভিজুয়ালি ইম্পেয়ার্ড পিপল্‌স সোসাইটির (ভিপস) সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। তিনি নিজেও একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি।

নিউজবাংলাকে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এই উদ্যোগটা এসেছিল উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে। প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক যখন মেয়র ছিলেন, তখন তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। একটি অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে আমরা তাকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছিলাম। পরে দুই সিটি করপোরেশনেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়।

‘আমরা যারা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আছি, তারা রাস্তায় চলার সময় যেন টাইলস ধরে চলতে পারি, এটাই উদ্দেশ্য। প্রথম দিকে সঠিক নিয়ম ধরেই যাত্রাটা শুরু হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে নানা জটিলতা শুরু হয়। অনেক জায়গায় নিয়ম মানে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ফুটপাতের সাইড দিয়ে যাব, নাকি মাঝ দিয়ে যাব, কোথায় থামব- এ টাইলস আমাদের একটা গাইডলাইন দেবে। মূল কালার থেকে ব্রাইট করে এই টাইলসের রং হলুদ করা হয়। হলুদ টাইলস রাতেও ফুটে ওঠে। এই হলুদ টাইলসে সোজা লাইন। এর মানে সামনে চলো।

‘গোল ডটের টাইলস বসানো হয়েছে থামার জায়গায়। এই টাইলস বিল্ডিংয়ের গেট, বাস স্টপসহ বিভিন্ন থামার জায়গা বোঝায়। এই জায়গায় থেমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমি ডানে নাকি বামে যাব।’

এই টাইলস বসাতেও অনেক জায়গায় ভুল করা হয়েছে উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমাদের রাস্তায় মোটরসাইকেলও ফুটপাতে উঠে যায়। তা ছাড়া মানুষ চলতে চলতে ঘষায় ঘষায় বেশির ভাগ জায়গায় হলুদ রং খুঁজে পাওয়া যায় না। সোজা লাইন (রিলিফ) সমান হয়ে গেছে। অনেক জায়গায় মানুষ নিজেদের মতো করে লাল টাইলস বসিয়েছে। প্রথম দিকে বছরখানেক নিয়মগুলো ভালোভাবেই যাচ্ছিল। এখন ধীরে ধীরে শিথিল হয়ে যাচ্ছে।’

ফুটপাতে বেহাল দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের টাইলস

ফুটপাতের প্রতিবন্ধকতা

ভিজুয়ালি ইম্পেয়ার্ড পিপল্‌স সোসাইটির (ভিপস) সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ড্রেনের ওপর দিয়েই ফুটপাত করেছে। এই ড্রেনের ঢাকনার ওপরে কোনো টাইলস নাই। অনেক জায়গায় ঢাকনা ফাঁকা। অভিযোগ আছে, এই ঢাকনায় ছড়ি ঢুকে গিয়ে ছড়ি ভেঙে গেছে। এই ফাঁকে অনেক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পা ঢুকে গিয়ে স্যান্ডেল ছিঁড়ে যায়। অনেকে পড়ে গিয়ে ব্যথা পান, অনেকে সামনে উঁচু-নিচু দেখে আতঙ্কিত হন।

‘অনেক জায়গায় ড্রেনের ঢাকনার মুখ খোলা থাকে। ময়লা উঠিয়ে পাশে রেখে দিয়েছে। রমনা পার্ক, গুলশান, মহাখালীসহ অনেক জায়গায় দেখেছি প্রতিবন্ধীদের হাঁটার লাইনে গাছ। তার মানে সোজাসুজি গেলে আমার গাছের সঙ্গে বাড়ি খেতে হবে। আবার এই গাছকে এড়িয়ে গেলে আমাকে লাইনচ্যুত হতে হবে।

‘রাস্তায় অনেক জায়গায় মোটরসাইকেল ঠেকানোর জন্য মাঝখানে রড বসিয়ে দিয়েছে। আমরা বারবার বলেছি, এ সব প্রতিবন্ধকতা তুলে দিতে। পুলিশদের আমরা বোঝাতে পারি নাই। আবার পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন যারা করে, তাদের কথা হচ্ছে গাছ কাটা যাবে না। গাছ না কাটলে টাইলস ডানে-বাঁয়ে ঘুরিয়ে দেবেন। ওইটা কিন্তু আর করা হয় নাই। এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় টাইলসই বসায়নি।’

ফুটপাতে বেহাল দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের টাইলস

প্রচার না থাকায় সঠিক ব্যবহার নেই

টাইলস কেন দেয়া হয়েছে, এটার উদ্দেশ্য কী- এ নিয়ে সিটি করপোরেশনের কোনো প্রচারাভিযান নেই।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এটাকে তারা (সিটি করপোরেশন) পলিটিক্যাল কমিটমেন্ট হিসেবে নিয়েছে। তবে ক্যাম্পেইন ওভাবে করে নাই। এ ছাড়া হকার বসে হাঁটার জায়গা নষ্ট করে রাখে অথবা দখল করে রাখে। নোংরা কাদা তো আছেই।’

তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আমার এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ভাই ফুটপাতে হাঁটতে গিয়ে ফলের ঝুড়িতে পা দিয়েছে। তখন লোকজন তো পারলে তাকে মারে। তার হাঁটার জায়গায় বসে তাকেই মারতে যাচ্ছে।’

কী বলছে সিটি করপোরেশন

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) সেলিম রেজা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২০১৫ সাল থেকে যতগুলো প্রজেক্ট ঢাকা শহরে আমরা বাস্তবায়ন করি, সবই দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ফুটপাতে বিশেষ ধরনের টাইলস ব্যবহার করেছি। এই কর্মসূচি এখনও চালু। যেখানেই আমরা রাস্তাঘাটে উন্নয়নের কাজ করি, সেখানেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ টাইলস বসানো হয়।

‘যেখানে এগুলো ভেঙে গেছে, সেগুলো সংস্কারের কাজও চলমান। তবে যেখানে রাস্তা ভেঙে ফেলতে হবে বা যেখানে নতুন করে রাস্তা তৈরি করা হবে– সেসব জায়গায় ভাঙা টাইলস এখনও সংস্কার করা হয়নি।’

দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য দেয়া বিশেষ টাইলসের লাইনে গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি, টেলিফোন বুথ ইত্যাদি প্রতিবন্ধকতার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘এখন থেকে এই প্রতিবন্ধকতার যেন সম্মুখীন হতে না হয়, সে নির্দেশনা দেয়া আছে। কোনো ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা থাকবে না। এটা অনেকটা কারেকশানও করে ফেলেছি আমরা।

‘এ ছাড়া গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি আমরা রাস্তা থেকে একটা স্পেশাল অ্যারেজমেন্টে অপসারণ করছি। তবে অনেক প্রাচীন গাছ আসলে কাটা যায় না। গাছ কাটা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এই গাছগুলো রেখে আমরা এমনভাবে নকশা করছি, যাতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা অনায়াসে চলতে পারে।’

ফুটপাতে হকারদের দখল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকা শহরে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪৯ হাজার মানুষ বসবাস করে। যদি এক-দুই হাজার মানুষ থাকত, তাহলে ঢাকা শহর অন্যরকম হতো। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে বেদখল না হয় ফুটপাত।’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের বলেন, অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দিকটিও বিবেচনায় রাখা হয়েছে। এ জন্য ৯৬ কিলোমিটারের বেশি ফুটপাতে টাইলস স্থাপন করা হয়েছে। আরও ১১ কিলোমিটার নতুন রাস্তায় এসব টাইলস বসানো হবে। যেসব জায়গায় টাইলস ভেঙে গেছে, সেগুলো নতুন করে ঠিক করা হচ্ছে। ফুটপাতে ড্রেনের ঢাকনা অনেক সময় চুরি হয়ে যায়।’

আরও পড়ুন:
মহরমীকে নিয়ে মায়ের সংগ্রাম
প্রতিবন্ধীদের জন্য সংসদে সংরক্ষিত আসন দাবি
ছুরিকাঘাতে জখম ২ বাক্‌প্রতিবন্ধী
হাত নেই বলে ভর্তি করেনি স্কুল, এখন কলেজছাত্র
শাহবাগে প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকদের লাগাতার অবস্থান

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The contaminated air is taking the life expectancy of the residents of Dhaka for about 5 years

দূষিত বায়ু প্রায় ৭ বছর আয়ু কেড়ে নিচ্ছে ঢাকার বাসিন্দাদের

দূষিত বায়ু প্রায় ৭ বছর আয়ু কেড়ে নিচ্ছে ঢাকার বাসিন্দাদের

দূষিত বায়ুদূষণ বাংলাদেশিদের গড় আয়ু ৫ বছর ৫ মাস কমিয়ে দিচ্ছে। বিষাক্ত বায়ুর এই প্রভাব রাজধানী ঢাকায় বিশেষভাবে তীব্র। বায়ুদূষণ এই শহরের মানুষের গড় আয়ু ৬ বছর ৯ মাস কমিয়ে দেয়।

শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের গত সপ্তাহের এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বাংলাদেশকে বায়ুদূষণে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ু দূষণ হলো আয়ুর জন্য সবচেয়ে বড় বহিরাগত হুমকি। বাংলাদেশে, যা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ।

রিপোর্ট অনুসারে, বাংলাদেশের ১৬ কোটির বেশি মানুষের সবাই এমন এলাকায় বাস করে, যেখানে বাতাসে ফাইন পার্টিকুলেট দূষণের বার্ষিক গড় মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা (৫ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘনমিটার) এবং দেশের জাতীয় সীমা (৩৫ মাইক্রোগ্রাম) উভয়ই ছাড়িয়ে গেছে। রাজধানী ঢাকার মতো জায়গায় এই মাত্রা ৭৬ মাইক্রোগ্রামের ওপরে দেখা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশিকা মেনে চললে বাংলাদেশিদের গড় আয়ু ৫.৫ বছর বেশি হতে পারে।’

প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, সরকার সমস্যা সমাধানের জন্য প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বায়ুর মান দ্রুত খারাপ হচ্ছে।

ঢাকার স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের। আমার সন্দেহ আছে, বিশ্বের আর কোনো দেশ এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সাক্ষী আছে কিনা।’

তিনি বলেন, ‘এখানে বায়ু দূষণ এতটাই মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে, এটি শনাক্ত করার জন্য কোনো গবেষণার প্রয়োজন নেই, কারণ এটি খালি চোখেই দেখা যায়।’

বাংলাদেশের শহরগুলোর বাসিন্দাদের জন্য ‘ধোঁয়াশা’ একটি নিত্যদিনের বাস্তবতা। প্রায় প্রতিদিন সকালেই তাদের ঢেকে রাখে এই ‘ধোঁয়াশা’। কিন্তু আরও বিপজ্জনক হলো, দূষণ যেগুলো চোখ দেখতে পায় না: কণা পদার্থ, PM2.5 — ২.৫ মাইক্রোমিটারের কম প্রশস্ত বায়ুবাহিত ক্ষুদ্র কণা- এগুলো ফুসফুস এবং রক্তপ্রবাহের গভীরে প্রবেশ করে মারত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

১৯৯০-এর দশকের শেষের দিক থেকে বাংলাদেশে PM2.5-এর মাত্রা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২২ সালে করোনা ভাইরাস মহামারির সময়ই কেবল এই মাত্রা কমেছিল। কিন্তু সেই প্রবণতা স্থায়ী হয়নি।

ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘গত বছরের AQLI রিপোর্টে, আমাদের গড় আয়ু ৪.৮ বছর কমেছে, এবং এই বছর তা ৫.৫ বছর হিসাবে রিপোর্ট করা হয়েছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। এটি দেখায় যে, রাষ্ট্র তার জনগণের সুরক্ষার জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ এই প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেনি, যার অর্থ বাংলাদেশ সরকারও এই প্রতিবেদনের ফলাফলের সঙ্গে একমত। রাষ্ট্র এখানে দায়িত্ব এড়াতে পারে না।’

দূষণের প্রধান উৎস হিসেবে তিনি জীবাশ্ম জ্বালানি এবং ইটভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়ার ক্রমবর্ধমান ব্যবহারকে তালিকাভুক্ত করেন, বিশেষত ইটের জন্য কয়লা বা কাঠ পোড়ানো।

তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর ঢাকার রাস্তায় অতিরিক্ত ১ লাখ যানবাহন চলাচল করে। এই যানবাহনগুলোর অনেকগুলো যথাযথ ফিটনেস পরীক্ষা ছাড়াই চলে। এটি বায়ু দূষণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আন্তঃসীমান্ত বায়ুদূষণও আমাদের ওপর প্রভাব ফেলছে। খোলা জায়গায় পোড়ানোসহ সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবও একটি বড় কারণ।’

সর্বশেষ বায়ুদূষণ প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় সরকার বছরের শেষ নাগাদ তার প্রচেষ্টা আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও কাজটি সহজ নয়, তবুও পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ু মান ব্যবস্থাপনার পরিচালক ড. জিয়াউল হক স্বীকার করেছেন, ‘বায়ু দূষণের প্রতিটি উৎস’ বাংলাদেশের পরিবেশে বিদ্যমান।

তিনি আরব নিউজকে বলেন, ‘আমরা রাস্তা থেকে ফিটনেস পরীক্ষা ছাড়াই যানবাহনগুলো সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু এই খাতে আমরা এখনো কোনো সাফল্য দেখতে পাচ্ছি না।’

ড. জিয়াউল হক বলেন, ‘যেসব বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান বায়ুদূষণের জন্য দায়ী, আমরা তাদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের আওতায় আনব। তাদের কারখানার চুল্লিতে একটি যন্ত্র স্থাপন করা হবে এবং আমাদের কর্মকর্তারা কেন্দ্রীয়ভাবে নির্গমনের ফলাফল নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবেন। যদি কোনো বিচ্যুতি পাওয়া যায়, তাহলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে হস্তক্ষেপ করব। ‘বাংলাদেশ পরিষ্কার বায়ু’ প্রকল্পের আওতায় আগামী দুই মাসের মধ্যে এই কাজ শুরু হবে।’

যদিও দূষণের সমস্ত উৎস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, তবুও কিছু উৎস এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে মোকাবিলা করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘ঢাকার ক্ষেত্রে আন্তঃসীমান্ত দূষণ ৩০ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশ বায়ুদূষণের জন্য দায়ী। এই পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকার ৩৫ শতাংশ বায়ু দূষণ দেশের বাইরে থেকে আসে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ঢাকার বায়ু দূষণের ২৯ শতাংশই বর্জ্য এবং জ্বালানি কাঠ পোড়ানোর কারণে হয়। আমরা এই সমস্যাটি সঠিকভাবে সমাধান করতে পারিনি। আমাদের প্রচেষ্টা সেখানেই আছে।’

সূত্র: আরব নিউজ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Police have been injured in the movement of students in Shahbag

শাহবাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১০

শাহবাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১০

রাজধানীর শাহবাগে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটেছে। এ ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

ব্যারিকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র দিকে অগ্রসর হতে চাইলে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়।

পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)- সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একদল শিক্ষার্থী সকাল ১০টার দিকে পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি পালনের উদ্দেশ্যে সড়কে অবস্থান নেন। এতে শাহবাগ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে স্থাপিত ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ পানি ছোড়ার পাশাপাশি লাঠিচার্জ শুরু করে। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দুই পুলিশ সদস্যও আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ সময় পুলিশ সদস্যদের সাউন্ড গ্রেনেডও নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। পরে বাধা পেয়ে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ের মেট্রোরেল স্টেশনের কাছে অবস্থান নেন।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো— ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিসম্পন্ন হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।

টেকনিক্যাল দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষা ন্যূনতম ডিপ্লোমা এবং একই ডিসিপ্লিনে উচ্চতর ডিগ্রিসম্পন্ন বিএসসিদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ব্যতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নন-অ্যাক্রিডেট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইইবি-বিএইটিই অ্যাক্রিডেশনের আওতায় আনতে হবে।

বুয়েট শিক্ষার্থী জাহিদুল হক বলেন, আমাদের স্পষ্ট দাবি, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের ৩ দফা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এ ছাড়া প্রকৌশলী রোকনুজ্জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়া ডিপ্লোমা সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BUET students are still in Shahbag blockade today

তিন দাবিতে আজও বুয়েট শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ

তিন দাবিতে আজও বুয়েট শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ

তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ‘মার্চ টু ঢাকা’ অনুযায়ী আজ (বুধবার) সকাল ১০টা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রকৌশলের শিক্ষার্থীরা শাহবাগে জড়ো হন। এর ফলে সড়কটির যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো— ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিসম্পন্ন হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।

টেকনিক্যাল দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষা ন্যূনতম ডিপ্লোমা এবং একই ডিসিপ্লিনে উচ্চতর ডিগ্রিসম্পন্ন বিএসসিদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ব্যতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নন-অ্যাক্রিডেট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইইবি-বিএইটিই অ্যাক্রিডেশনের আওতায় আনতে হবে।

বুয়েট শিক্ষার্থী জাহিদুল হক বলেন, আমাদের স্পষ্ট দাবি, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের ৩ দফা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এ ছাড়া প্রকৌশলী রোকনুজ্জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়া ডিপ্লোমা সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
DMP 2 cases in violation of traffic laws in the capital

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,৩৪৪টি মামলা

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,৩৪৪টি মামলা

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৩৪৪টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ৩১৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১১৪টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, মঙ্গলবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করা হয়।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

মুগদায় মায়ের সঙ্গে অভিমানে বিষপানে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

মুগদায় মায়ের সঙ্গে অভিমানে বিষপানে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

রাজধানীর মুগদায় মায়ের সঙ্গে অভিমানে ইঁদুর মারার বিষ পান করে সামিয়া আক্তার (১৫) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

রোববার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সামিয়া মুগদা মাল্টিমিডিয়া স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ও উত্তর মান্ডার এলাকার আজিজুল হকের মেয়ে।

সামিয়ার ভাই সাহিম জানান, সামিয়া একটু রাগী স্বভাবের ছিল। রাতে মায়ের সঙ্গে তুচ্ছ বিষয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে অভিমানে বাসায় রাখা ইঁদুর মারার বিষ পান করে। পরে দ্রুত ঢামেকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক মিয়া বলেন, ‘নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি মুগদা থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The city of Brazil in the top ten in pollution is good today

দূষণে শীর্ষ দশে ব্রাজিলের শহর, ঢাকার বাতাস আজ ‘ভালো’

দূষণে শীর্ষ দশে ব্রাজিলের শহর, ঢাকার বাতাস আজ ‘ভালো’

বেশ কয়েক দিন পর বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষস্থানে রদবদল হয়েছে। আজ রবিবার সকালে চিরচেনা লাহোর, দিল্লির কোনো শহরই শীর্ষ দশের ধারেকাছে নেই। তবে এই তালিকায় আজ চলে এসেছে ব্রাজিলের সাও পাউলোর নাম।

রবিবার (২৪ আগস্ট) সকাল সোয়া ৯টার দিকে ১২৩ একিউআই স্কোর নিয়ে অষ্টম শীর্ষ দূষিত বাতাসের শহর হয়ে ওঠে সাও পাউলো। আইকিউ এয়ারের সূচক অনুযায়ী যার মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’।

তবে এই সময়ে ১৬৪ একিউআই স্কোর নিয়ে সবচেয়ে দূষিত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছিল ইন্দোনেশিয়ার বাতাম শহরের বাসিন্দারা। ১৬৩ ও ১৫২ স্কোর নিয়ে তার পরেই ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এবং কঙ্গোর কিনশাসার অবস্থান।

আর দিল্লির বাতাসের একিউআই সূচক ছিল ৯৫। লাহোরের বাতাসে দূষণের মান তখন আরও কম, ৮৪। অর্থাৎ প্রতিবেশী দুই দেশের শহরদুটির বাতাসের মান ছিল ‘মাঝারি’।

ঠিক সেই সময়ে তালিকার উপরের দিকে খুঁজেও ঢাকার নাম পাওয়া যায়নি। যাবে কীভাবে? ঢাকার অবস্থান তখন তলানির দিকে, বিশ্বের স্বাস্থ্যকর বায়ুর শহরগুলো মধ্যে। ৪২ একিউআই স্কোর নিয়ে সেই সময় স্বাস্থ্যকর বাতাস গ্রহণ করছে ঢাকাবাসী। তালিকার ৬৮তম স্থানে ছিল ঢাকার নাম।

কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sheikh Hasina has made the liberation war as a fathers property Tuku

শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধকে বাপের সম্পত্তি বানিয়ে পঁচিয়ে দিয়েছে: টুকু

শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধকে বাপের সম্পত্তি বানিয়ে পঁচিয়ে দিয়েছে: টুকু

জামালপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তারা এখন মুক্তিযুদ্ধকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস পাচ্ছে। শেখ হাসিনার জন্যই এটা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ না হলে, জিয়াউর রহমান যুদ্ধের ঘোষণা না করলে এই ভূখন্ড হতো না। কিন্তু বাপের সম্পত্তি বানিয়ে হাসিনা এটাকে পঁচিয়ে দিয়েছে। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানকে একটা শ্রেণী বলার চেষ্টা করে এটা দ্বিতীয় স্বাধীনতা। সন্তান একবারই জন্মগ্রহণ করে। যে মুক্তিযুদ্ধ আমাদের মানচিত্র দিয়েছে সেটাই স্বাধীনতা, দ্বিতীয় স্বাধীনতা হতে পারে না। জামালপুর জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, একটা নতুন আবিষ্কার হয়েছে পিআর পদ্ধতি। আমাদের বাংলাদেশের মানুষ যারা ভোট দেয় তারা তাদের প্রার্থীকে দেখতে চায়। যার ভোট সে দিবে, একজনকে ভোট দিবে, যাকে ভোট দিবে তাকে চিনতে হবে। পিআর মানুষ খায়ও না পড়েও না বিশ্বাসও করে না।

শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধকে বাপের সম্পত্তি বানিয়ে পঁচিয়ে দিয়েছে: টুকু

শনিবার (২৩ আগষ্ট) শহরের বেলটিয়া এলাকায় স্থানীয় একটি মাঠে জামালপুর জেলা বিএনপি এই ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনের উদ্বোধক হিসেবে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল। জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীমের সভাপতিত্বে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শরিফুল আলম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, অ্যাডভোকেট শাহ মো: ওয়ারেছ আলী মামুনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এবারের সম্মেলনে ৭টি উপজেলা ও ৮টি পৌর শাখা বিএনপির ১ হাজার ৫১৫ জন কাউন্সিলরসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। ৯ বছর পর আয়োজিত জেলা বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজ বিরাজ করে।

মন্তব্য

p
উপরে