× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Why shoot at the polling station in Bogra
google_news print-icon

বগুড়ায় ভোটকেন্দ্রে কেন গুলি করতে হলো

বগুড়ায়-ভোটকেন্দ্রে-কেন-গুলি-করতে-হলো
ভোট শেষে বুধবার বিকেলে ইউনিয়নের কালাইহাটা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গণনার সময় সংঘর্ষ বাঁধে। ছবি: নিউজবাংলা
ভোটের দিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করা ইউএনও আসিফ আহমেদ বলেন, ‘ওই সময় উপায় না পেয়ে সরকারি সম্পদ ও জানমাল রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভোটকেন্দ্রের ভেতর থেকে গুলি করতে বাধ্য হয়। তবে গুলির উদ্দেশ্য ছিল কাউকে হতাহত করা নয়; গুলির শব্দে যেন বিশৃঙ্খলকারীরা পালিয়ে যায়।’

ভোট গণনা নিয়ে বিরোধের জেরে বগুড়ার বালিয়াদীঘি ইউনিয়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কেন গুলি করতে হলো- এই প্রশ্নে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ম্যাজিস্ট্রেটের দাবি, তারা জনগণের জানমাল রক্ষায় বাধ্য হয়ে গুলি করেছেন। তবে ‘জানমাল রক্ষায়’ সেই গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন চারজন।

এই সরকারি কর্মকর্তাদের দাবি, গুলি করা হয়েছিল ফাঁকা, উদ্দেশ্য ছিল কেন্দ্রে ‘হামলাকারীদের’ ভয় দেখানো। তবে সেগুলো গিয়ে বিদ্ধ হয় মানুষের শরীরে।

ভোট শেষে বুধবার বিকেলে ইউনিয়নের কালাইহাটা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গণনার সময় সংঘর্ষ বাধে। এর আগেও নানা নির্বাচনে এই কেন্দ্রের ভোট গণনা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। আর গুঞ্জন ওঠে কেন্দ্রে গণনা না করে ভোট নিয়ে যাওয়া হচ্ছে উপজেলা পরিষদে। এ নিয়েই গোলযোগের শুরু।

সেই কেন্দ্রে পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন ছিল আধা সামরিক বাহিনী বিজিবিও। সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর গুলিতেই প্রাণহানি হয়েছে বলে অভিযোগ আছে।

সেই কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শাহজানপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসিফ আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রের ভেতরে ছিলাম। বাইরে স্থানীয় নারী-পুরুষরা লাঠিসোটা নিয়ে কেন্দ্রে হামলা শুরু করে। তারা কেন্দ্রের সামনে থাকা গাড়ি ভাঙচুর করে, কক্ষ লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে।

‘এমনকি তারা বিদ্যালয়ের দরজা জানালা ভেঙে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তাদের ছোড়া ইটের আঘাতে আমার পা ভেঙে যায়। আমার সঙ্গে থাকা এক আনসার সদস্যরাও আহত হন।’

আসিফ আহমেদ বলেন, ‘ওই সময় উপায় না পেয়ে সরকারি সম্পদ ও জানমাল রক্ষায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ভোট কেন্দ্রের ভেতর থেকে গুলি করতে বাধ্য হয়। তবে গুলির উদ্দেশ্য ছিল কাউকে হতাহত করা নয়; গুলির শব্দে যেন বিশৃঙ্খলকারীরা পালিয়ে যায়।’

ইউএনও বলেন, ‘আমরা কালাইহাটা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের ভেতরে ভোট গণনা করছিলাম। কিন্তু ওই ইউনিয়নের কয়েকটি কেন্দ্রে আগে থেকে ঝামেলা করছিলেন স্থানীয় কিছু বিশৃঙ্খল জনতা। তারা হট্টগোল করার পাশাপাশি ইটপাটকেল ছুড়ছিল।’

এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ছিলেন ৯ জন। তারা হলেন জাহিদ হোসেন, মো. আব্দুল মতিন, মো. ইউনুছ আলী মণ্ডল, মো. খাদেমুল ইসলাম, মো. মাহবুবর রহমান, মো. শফিকুল ইসলাম, মো. শাকিউল ইসলাম, মো. শাহিন ফেরদৌস, মো. হাবিবুর রহমান।

ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ২৮৭ এবং কেন্দ্র ৯টি।

তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন নৌকা প্রতীকের ইউনুছ আলী মণ্ডল এবং ঘোড়া প্রতীকের মো. মাহবুবর রহমান। এর মধ্যে ইউনুছ আলী পান ৬ হাজার ৫৬০টি ভোট। আর মাহবুবর রহমান ভোট পান ৪ হাজার ৬৪৯টি।

মাহবুব বিএনপির রাজনীতি করেন। তিনি এর আগে টানা দুইবার এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ছিলেন।

মাহবুব রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বালিয়াদীঘিতে ৯টি কেন্দ্র রয়েছে। এর আগের নির্বাচনগুলোয় ইউনুছ আলী বিজয়ী হতে পারেননি। শুধু নিজের গ্রাম কালাইহাটার ওই ২টি কেন্দ্র ছাড়া, তাও সম্ভব হয়েছে জোরজবরদখল করে ভোটে সিল মারার কারণে।’

সাবেক এই চেয়ারম্যান বলেন, ‘ইউনুছ আলীর মূল দাবি ছিল, তার নাম বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা। স্থানীয়দের উসকে দিয়েছেন তিনি।’

গ্রাম পুলিশের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে জানান, কেন্দ্রের সামনে নৌকার একটি দল মিছিল করছিল আর স্লোগান দিচ্ছিল। এরপর সেখান থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা তাদের সরানো চেষ্টা করলে তার মারমুখী হয়ে ওঠে। তারপর গুলি করা হয়।

গুলির পর গ্রাম পুলিশের এই সদস্যও ঘটনাস্থল থেকে সরে আসেন।

ইউএনও আসিফ আহমেদ বলেন, ‘স্থানীয়রা এই কেন্দ্রে ভোট গণনা করার বিপক্ষে ছিল। তাদের দাবি ছিল এর আগে নৌকার প্রার্থী তিনবার নির্বাচনে হেরেছেন। এবার যে করেই হোক তিনি জিততে চাইছেন। এ কারণে তারাই দাবি তুলেছিল ভোট উপজেলায় নিয়ে গুনতে হবে।

‘স্থানীয়দের কালাইহাটা কেন্দ্রে ভোট গণনার বিষয়ে একাধিকবার বোঝানোর চেষ্টা করা হয়। তারা শান্তও হয়েছিল, কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরে আবার উত্তেজিত হয়ে নারীদের নিয়ে স্থানীয়রা কেন্দ্রে আসে। তাদেরও নানাভাবে বোঝানো হয় যে আইন অনুযায়ী কেন্দ্রেই ভোট গণনা করার নিয়ম। আমরা তাই করব। কেন্দ্রে ভোট সুষ্ঠুভাবে গণনা করে ফলাফল এখানে (কেন্দ্র) প্রকাশ করা হবে।’

বালিয়াদীঘির কালাইহাটার সাবেক সদস্য বাবলু জানান, ‘ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে সব লোকজনকে ডেকে এই কেন্দ্রেই ভোট গণনা করে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা কথা জানান। কিন্তু নৌকা প্রার্থীর লোকজনেরা তা মানতে চাননি।

‘পরে ম্যাজিস্ট্রেট ব্যালট বাক্স নিয়ে সদরে যেতে চাইলে স্থানীয়রা আবার উত্তেজিত হয়ে পড়ে। তারা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। গাড়ি ভাঙে। তারা রাস্তা আটকে রেখেছিল। ওই সময় গুলি করে।’

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইউনুছ আলী মণ্ডল অবশ্য জানিয়েছেন ভিন্ন কথা।

তিনি বলেন, ‘ভোটগ্রহণ শেষে ব্যালট পেপার কেন্দ্রে গণনা না করেই উপজেলা পরিষদে নিয়ে যেতে ধরেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ আহম্মেদ। ওই সময় আমার কর্মী-সমর্থকরা কেন্দ্রেই ভোট গণনা করতে বলেন। এর পরেও ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ আহমেদ ব্যালট উপজেলা পরিষদে নিয়ে যেতে ধরেন।

‘এ সময় আমার কর্মী-সমর্থকরা বাধা দিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গুলি করেন। তাদের গুলিতে চারজন মারা যান। ওই চারজনই আমার কর্মী-সমর্থক ছিলেন।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে যারা মারা গেছেন তারা হলেন, কুলসুম আক্তার, আলমগীর হোসেন, খোরশেদ ও আব্দুর রশিদ। চারজনই কালাইহাটা গ্রামের বাসিন্দা।

গাবতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, বুধবারের সংঘর্ষে নিহত চারজনের মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নেয়া হয়েছে। এর পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, এই ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরীকে।

তিনি বলেন, ‘এই কমিটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি যাচাই-বাছাই করবেন। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নেয়া পদক্ষেপের (গুলি চালানোর) যৌক্তিকতা, ক্ষয়ক্ষতি বা পরবর্তী কী পদক্ষেপ নেয়া যায় তা জানাবে।’

মামলা

ভোটকেন্দ্রে হামলা, ভাঙচুর, ব্যালট পেপার ছিনতাই ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এতে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।

গাবতলী থানায় বৃহস্পতিবার দুপুরে এই মামলা করেন বালিয়াদিঘীর কালাইহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জাকির হোসেন।

গাবতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রাতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন:
হত্যা মামলায় ৫৯ আসামির আত্মসমর্পণ
এক ইউনিয়নে ৪ প্রার্থীর ভোটে ‘ড্র’
নির্বাচনি সহিংসতায় আহত একজন ঢামেকে
জয়ে নৌকাকে ছাড়িয়ে গেল ‘স্বতন্ত্র’
ভোটের সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত হুমায়ূন আহমেদের বাড়ি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Transfer of 12 police superintendents at once

একযোগে ১২ পুলিশ সুপারকে বদলি

একযোগে ১২ পুলিশ সুপারকে বদলি
বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে বদলি ও রদবদলের ধারাবাহিকতায় এবার ১২ পুলিশ সুপারকে একযোগে বদলি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে বদলি ও রদবদলের ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন জেলার ১২ পুলিশ সুপারকে (এসপি) একযোগে বদলি করা হয়েছে।

বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার উপসচিব আবু সাঈদের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এই বদলির আদেশ দেয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পুলিশ অধিদপ্তরের (টিআর) পুলিশ সুপার আবু সাইমকে রংপুরের পুলিশ সুপার, গাইবান্ধার কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার আবু সায়েম প্রধানকে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলমকে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার, এসবির পুলিশ সুপার জাকির হোসেনকে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দীনকে বরিশালের পুলিশ সুপার, এসবির পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলামকে রাজশাহীর পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া পুলিশ অধিদপ্তরের পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেককে গাজীপুরের পুলিশ সুপার, এন্টি টেররিজম ইউনিটের ঢাকার পুলিশ সুপার ইয়াছমিন খাতুনকে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার, এপিবিএন সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার নিশাত অ্যাঞ্জেলাকে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার আসলাম শাহাজাদাকে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এহতেশামুল হককে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার এবং এসবির বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ারকে নওগাঁর পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
২৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি
পুলিশে শীর্ষ পর্যায়ের ৬৪ কর্মকর্তাকে বদলি-ওএসডি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Due to lack of legal opportunity all 3 applications of Dhaka lawyer on behalf of Chinmoy were rejected

ওকালতনামা না থাকায় চিন্ময়ের পক্ষে ঢাকার আইনজীবীর ৩ আবেদনই নাকচ

ওকালতনামা না থাকায় চিন্ময়ের পক্ষে ঢাকার আইনজীবীর ৩ আবেদনই নাকচ ইসকনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। ফাইল ছবি
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে বুধবার উপস্থিত হয়ে চিন্ময়ের জামিন শুনানি এগিয়ে আনাসহ তিনটি আবেদন করেছিলেন হাইকোর্টের এক আইনজীবী। কিন্তু ওকালতনামা না থাকায় আদালত তার তিনটি আবেদনই নামঞ্জুর করে।

আইনি সুযোগ না থাকায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় কারান্তরীণ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন শুনানি হয়নি। এ সংক্রান্তে ঢাকা থেকে আসা এক আইনজীবীর তিনটি আবেদনই নাকচ হয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলামের আদালতে বুধবার উপস্থিত হয়ে চিন্ময়ের জামিন শুনানি এগিয়ে আনাসহ তিনটি আবেদন করেছিলেন হাইকোর্টের এক আইনজীবী। কিন্তু ওকালতনামা না থাকায় আদালত তার তিনটি আবেদনই নামঞ্জুর করে।

এ সময় ওই আদালতে উপস্থিত চট্টগ্রামের সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন বার্তা সংস্থা বাসসকে জানান, আসামি পক্ষে ঢাকা থেকে আসা আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ আদালতে তিনটি দরখাস্ত দিয়েছিলেন। এর একটি চিন্ময়ের জামিন শুনানির তারিখ ২ জানুয়ারি থেকে এগিয়ে আনার জন্য, একটি নথি উপস্থাপনের জন্য এবং অপরটি তাকে শুনানি করার অনুমতি দেয়ার বিষয়টি বিবেচনার জন্য।

আদালত অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষের কাছে জানতে চায়, তার কাছে ওকালতনামা আছে কিনা বা মামলা পরিচালনার জন্য আসামি পক্ষের আইনজীবীর অনুমতি আছে কিনা। এ সময় তিনি নেই বলে জানালে আদালত তাকে আইন মেনে আসতে বলেন।’

অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা আদালতকে বলেছি ওনার এ ধরনের দরখাস্ত দেয়ার আইনি অধিকার নেই। তার কাছে আসামির ওকালতনামা নেই এবং যিনি এই মামলা ফাইল করেছেন তার পক্ষ থেকেও তাকে কোনো পাওয়ার দেয়া হয়নি।

‘শুনানি করা বা নথি উপস্থাপনের জন্য অবশ্যই ওকালতনামা দিতে হবে অথবা ফাইলিং আইনজীবীকে বলতে হবে- ঢাকা থেকে যিনি এসেছেন তিনি তাকে ক্ষমতা দিয়েছেন। কিন্তু ওই আইনজীবীর কাছে এর কোনোটাই ছিল না। তাই আদালত এটা রিজেক্ট করে দিয়েছেন।’

প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে গত ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়। এরপর ২৫ নভেম্বর ঢাকায় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়। ২৬ নভেম্বর জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে চিন্ময় দাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। ৩ ডিসেম্বর জামিন শুনানির দিন থাকলেও কোনো আইনজীবী না থাকায় শুনানির দিন আগামী ২ জানুয়ারি ধার্য রয়েছে।

আরও পড়ুন:
চিন্ময়ের গ্রেপ্তারকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের মুক্তি দাবিতে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ, আইনজীবী নিহত
ইসকনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ কারাগারে
সনাতন মঞ্চের চিন্ময় কৃষ্ণ ডিবি হেফাজতে 

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Four people died of dengue in 24 hours in the country

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় দেশে চারজনের মৃত্যু

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় দেশে চারজনের মৃত্যু ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার প্রতীকী ছবি।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯৭ হাজার ৬০৩ জনের মধ্যে ৬৩ দশমিক ১০ শতাংশ পুরুষ ও ৩৬ দশমিক ৯০ শতাংশ নারী। একই সময়ে মারা যাওয়া ৫৩৬ জনের মধ্যে ৫১ দশমিক ৭০ শতাংশ নারী ও ৪৮ দশমিক ৩০ শতাংশ পুরুষ।

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে একদিনে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার এই সময়কালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৪৪ জন ডেঙ্গু রোগী।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এ নিয়ে চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫৩৬ জন। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ হাজার ৬০৩ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাসপাতালে নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ২৩, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৩, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৬, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৮৪, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৭৮, খুলনা বিভাগে ৪৫, রাজশাহীতে ২৭, ময়মনসিংহে ১৩, রংপুরে ৩ এবং সিলেট বিভাগে দুজন রয়েছেন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯৭ হাজার ৬০৩ জনের মধ্যে ৬৩ দশমিক ১০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৯০ শতাংশ নারী। একই সময়ে মারা যাওয়া ৫৩৬ জনের মধ্যে ৫১ দশমিক ৭০ শতাংশ নারী এবং ৪৮ দশমিক ৩০ শতাংশ পুরুষ।

এছাড়াও একই সময়ে সারা দেশে ৫১৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯৫ হাজার ১৫১ জন।

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪৫৩
ডেঙ্গুতে আরও দু’জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪৭৮
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৫৯৬
ডেঙ্গু কেড়ে নিল আরও পাঁচ প্রাণ, হাসপাতালে ৫৬২
ডেঙ্গুতে তিন নারীর মৃত্যু, হাসপাতালে ১৮৬

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The temperature will drop further in five days

পাঁচ দিনে তাপমাত্রা আরও কমবে

পাঁচ দিনে তাপমাত্রা আরও কমবে
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, বুধবার সকাল ৯টা থেকে আগামী পাঁচ দিন তাপমাত্রা কমতে পারে। দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।’

দেশের উত্তরাঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। অন্যান্য অঞ্চলেও ক্রমেই কমছে তাপমাত্রা। আগামী পাঁচ দিনে সারাদেশে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, বুধবার সকাল ৯টা থেকে আগামী পাঁচ দিন তাপমাত্রা কমতে পারে। দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।’

সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পেতে পারে। আর দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আরও পড়ুন:
শৈত্যপ্রবাহ: নওগাঁয় তাপমাত্রা নামল ৯.৯ ডিগ্রিতে
তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমেছে ১০.৪ ডিগ্রিতে, আসছে শৈত্যপ্রবাহ
দুদিন থেকে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There is no gunfire at the border but sailing on the St Martin route is closed

সীমান্তে গোলার শব্দ নেই, তবে সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান বন্ধ

সীমান্তে গোলার শব্দ নেই, তবে সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান বন্ধ টেকনাফ সীমান্তে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সতর্ক অবস্থান। ছবি: নিউজবাংলা
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মংডু টাউনশিপ আরাকান আর্মি দখলে নেয়ার পর এপারে টেকনাফ সীমান্তে গোলার বিকট শব্দ ভেসে আসছে না। এতে করে সীমান্তবাসীর মধ্যে আপাতত স্বস্তি ফিরেছে। তবে নিরাপত্তার কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল সাময়িক বন্ধ রয়েছে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মংডু টাউনশিপ দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি দখলে নেয়ার পর গোলাগুলি বন্ধ রয়েছে। এপারে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে গোলার বিকট শব্দ ভেসে আসছে না। এতে করে সীমান্তে বসবাসকারীদের মাঝে এক ধরনের ‘স্বস্তি’ ফিরেছে।

তবে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকা মংডু শহর পুরোপুরি আরাকান আর্মি দখলে নেয়ার পর নিরাপত্তার কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে উপজেলা প্রশাসন।

সীমান্তে গোলার শব্দ নেই, তবে সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান বন্ধ
কর্মচাঞ্চল্য ফেরেনি নাফ নদে। ছবি: নিউজবাংলা

সরেজমিনে দেখা গেছে, টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া, নয়াপাড়া ও শাহপরীর দ্বীপের লোকজন সীমান্তে লবণ চাষসহ নাফ নদের তীরে টেলা জালে মাছ ধরতে ব্যস্ত ছিল জেলেরা। তবে নাফ নদে আগের মতো দেখা যায়নি জেলে নৌকা।

নাফের তীরে টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট ঘাটের ভ্রাম্যমাণ দোকানি বৃদ্ধ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে রাতে মিয়ানমারে গোলাগুলির শব্দে আমাদের র্নিঘুম রাত কেটেছে। কেননা সেদেশে যুদ্ধের কারণে বোমা-গুলির শব্দে এপারে বাড়িঘর বার বার কেঁপে উঠছিল।’

তিনি বলেন, ‘গত দুদিন ধরে পাশের দেশ (রাখাইন) থেকে গোলার বিকট শব্দ পাওয়া যায়নি। যার ফলে রাতে নির্ভয়ে ঘুমাতে পেরেছি।’

শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, ‘গত দুদিন ধরে ওপারে সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়নি। এজন্য আপাতত এপারে দ্বীপের ৩০ হাজার মানুষ স্বস্তিতে আছে। লোকজন চাষাবাদেও ফিরছে।’

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটের বোট মালিক সমিতির সভাপভি আবদুর রশিদ বলেন, ‘সীমান্তে আগের মতো গোলার বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরও নিরাপত্তার কথা ভেবে সামায়িকভাবে আমাদের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দীন বলেন, ‘বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমারের রাখাইন এলাকা দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি। এজন্যই নিরাপত্তার জন্য সীমান্তবর্তী নাফ নদ ও সাগরে মাছ শিকার সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

তবে সেন্টমার্টিনে পর্যটকের আগমনসহ দ্বীপবাসীর জন্য ইমার্জেন্সি সাপ্লাইয়ের জন্য কিভাবে ঝুঁকিহীনভাবে নৌযান চলাচল করতে পারে সেজন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। পাশাপাশি সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের জোরদার টহল রয়েছে।’

টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সীমান্তে চরম উত্তেজনায় মাছ ধরার নৌকাগুলোকে নিরাপদ জায়গায় অবস্থান করতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত মাছ ধরার নৌকার মালিকরা মিয়ানমার সংলগ্ন এলাকায় মাছ শিকারে যাবেন না বলে আস্বস্তু করেছেন। আপাতত সীমান্তে গোলার শব্দ বন্ধ থাকলেও কখন আবার গোলাগুলি শুরু হয় বলা মুশকিল।’

টেকনাফ-২ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিকনায়ক মেজর সৈয়দ ইশতিয়াক মুর্শেদ বলেন, ‘সীমান্তে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পাশাপাশি অনুপ্রবেশ রোধসহ সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে বিজিবি।’

আরও পড়ুন:
মংডু আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে, নাফ নদে নিষেধাজ্ঞা
টেকনাফ সীমান্তে গোলার বিকট শব্দ, অনুপ্রবেশের শঙ্কা
মিয়ানমারে যুদ্ধবিমানের গোলা, বিকট শব্দে এপারে আতঙ্ক
রাখাইনে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের পূর্বাভাস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Long March of BNPs 3 affiliated organizations in Akhaura

বিএনপির ৩ সহযোগী সংগঠনের লংমার্চ আখাউড়ায়

বিএনপির ৩ সহযোগী সংগঠনের লংমার্চ আখাউড়ায়
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ও সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর প্রতিবাদে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে যাত্রা করা বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের লংমার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে পৌঁছেছে।

বুধবার বিকেল ৪টার দিকে লংমার্চের বহর স্থলবন্দর মাঠে এসে পৌঁছে। সেখানে সমাবেশের মধ্য দিয়ে লংমার্চ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে সকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে সকাল ৯টার দিকে বিশাল গাড়িবহর নিয়ে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী আনুষ্ঠানিক লংমার্চ শুরু করেন।

বিএনপির ৩ সহযোগী সংগঠনের লংমার্চ আখাউড়ায়
বুধবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টন থেকে লংমার্চ শুরু হয়। ছবি: নিউজবাংলা

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকার অবমাননাসহ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপির তিন সংগঠন।

কর্মসূচি ঘিরে স্থলবন্দর এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আখাউড়া স্থলবন্দরে গ্রামপুলিশ, থানা–পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন করে তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে সংগঠন তিনটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলার নেতা-কর্মীরা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে এবং হাতে ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা নিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দিতে আখাউড়া স্থলবন্দরে পৌঁছেছেন।

লংমার্চ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের পথসভায় বক্তব্য দেন নেতারা।

বিএনপির ৩ সহযোগী সংগঠনের লংমার্চ আখাউড়ায়

এদিকে স্থলবন্দর মাঠ থেকে আধ কিলোমিটার আগেই জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লার নেতৃত্বে নেতা–কর্মীসহ সব মানুষের যানবাহন থামিয়ে দেয়া হচ্ছে। সেখানে একটি ফাঁকা জায়গায় নেতা–কর্মীদের পাঁচ হাজার যানবাহন রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আখাউড়া স্থলবন্দরে বিজিবির পর্যাপ্তসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে লংমার্চ শুরুর আগে রাজধানীর নয়াপল্টনে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময় রিজভীসহ তিনটি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। তারা ভারতীয় রাজনীতিবিদ ও গণমাধ্যমের আধিপত্যবাদী মনোভাব এবং মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণার মাধ্যমে বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টার তীব্র নিন্দা জানান।

বিএনপির ৩ সহযোগী সংগঠনের লংমার্চ আখাউড়ায়

পরে কয়েক শ’ গাড়ি, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে করে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টন থেকে কাঁচপুরের দিকে লংমার্চ শুরু করেন।

লংমার্চের গাড়িবহরটি ফকিরাপুল, মতিঝিল ও ইত্তেফাক মোড় ও হানিফ ফ্লাইওভার অতিক্রম করে যাত্রাপথে এগিয়ে যায়।

কাঁচপুর থেকে ভৈরবের দিকে যাত্রা করে আগরতলার কাছে আখাউড়া স্থলবন্দরে পৌঁছানোর আগে একটি পথসভা করবে বিএনপির এই তিন সহযোগী সংগঠন।

কর্মসূচিতে যোগ দিতে বুধবার সকাল ৭টা থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন।

এর আগে রোববার বিক্ষোভ মিছিলের পর ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি দেয় বিএনপির তিনটি সংগঠন।

এর একদিন পর তারা আগরতলা অভিমুখে লংমার্চের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন:
ভারত চায় না বাংলাদেশ জনগণের কথায় চলুক: রিজভী
বিএনপির তিন সংগঠনের পদযাত্রা রামপুরা ব্রিজে আটকে দিয়েছে পুলিশ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Labor unrest in Ashulia 35 factories leave

শ্রমিক অসন্তোষ, আশুলিয়ার ৩৫ কারখানায় ছুটি

শ্রমিক অসন্তোষ, আশুলিয়ার ৩৫ কারখানায় ছুটি শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের অনেক কারখানায় বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘বর্ধিত বেতনে সন্তুষ্ট নন শ্রমিকরা। তাই তারা কাজ বন্ধ করে বসে আছে, তবে কোনো প্রকার অরাজকতা কিংবা বিশৃঙ্খলা তারা করছেন না।’ 

ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা সরকার ঘোষিত বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট ৪ শতাংশ বৃদ্ধির ঘোষণা প্রত্যাখান করে ১৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছেন।

কর্মবিরতির কারণে এ অঞ্চলের অনেক কারখানায় বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বিজিএমইএ ও শিল্প পুলিশ বলছে, আশুলিয়ায় আজ বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ১৫ থেকে ২০ শতাংশ করার দাবিতে কাজ বন্ধ বা শ্রমিকরা কাজ না করে চলে গেছে, এমন কারখানার সংখ্যা ৩৫টি।

আশুলিয়ার নরসিংহপুর ও আশপাশের এসব কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিলে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

শিল্প পুলিশ ও কারখানা সূত্রে জানা যায়, হা-মীম গ্রুপ, শারমীন গ্রুপ, মেডলার, নেক্সট কালেকশন, আল মুসলিম, সেতারা গ্রুপ, নিউ এইজ, ডেকো, ব্যান্ডো ডিজাইন, ভিনটেজ, নীট এশিয়া, মানতা, ডেবুনিয়ার, অরবিটেক্স, এএম ডিজাইন, ইসলাম গার্মেন্টস, দ্য রোজ, অ্যাপারেলস গ্যালরি, এথিক্যালসহ বেশ কিছু কারখানার শ্রমিকরা সকালে কারখানায় এলেও ইনক্রিমেন্ট বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেন।

শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে নাসা ও ট্রাউজার লাইন শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় তাদের কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে।

শ্রমিকরা কোনো বিশৃঙ্খলা বা ঝামেলা না করলেও বর্ধিত বেতনে সন্তুষ্ট না হওয়ায় তারা কর্মবিরতি পালন করেন এবং কেউ কেউ কারখানা থেকে বেরিয়ে যান।

এর আগে শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে মঙ্গলবারও আশুলিয়ার অন্তত ১০টি কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

নীট এশিয়ার একজন শ্রমিক বলেন, ‘গত ৩ দিন যাবতই আমাদের কারখানায় ঝমেলা চলছে। শ্রমিকরা কাজ করে না।

‘আশপাশের কারখানার সাথে তাল মিলিয়ে আমরাও একই দাবিতে আন্দোলন করছি; দাবি বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট ১৫ শতাংশ করার।’

দ্য রোজ ড্রেসেস লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক সাধন কুমার বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) শ্রমিকরা আমাদের কারখানায় কাজ করেছিল, কিন্তু আজ কারখানায় এলেও আর কাজ করেনি। পরে অবশ্য আমরা কথা বলার পর শ্রমিকরা কাজ শুরু করেছিল, কিন্তু আশেপাশের কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়াতে আমরা আর চালাতে পারিনি।’

শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘বর্ধিত বেতনে সন্তুষ্ট নন শ্রমিকরা। তাই তারা কাজ বন্ধ করে বসে আছে, তবে কোনো প্রকার অরাজকতা কিংবা বিশৃঙ্খলা তারা করছেন না।

‘এ অঞ্চলের ১৯টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আর কাজ না করে চলে গেছে এমন কারখানার সংখ্যা ১৫ থেকে ১৬টি।’

আরও পড়ুন:
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে পোশাককর্মীদের ফের অবরোধ, যানজট
প্লাটিনাম লিড সনদ পেল আরও এক বাংলাদেশি কারখানা
মিরপুরে যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২ পোশাকশ্রমিক গুলিবিদ্ধ
আশুলিয়ায় দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ শ্রমিকদের 
পোশাক শিল্প এখন স্থিতিশীল, ক্রেতার আস্থা ফিরছে: বিজিএমইএ

মন্তব্য

p
উপরে