অনেক আগেই দেশে একান্নবর্তী পরিবারগুলো ভেঙে ছোট হয়ে গেছে। বিভিন্ন সময় অনেক সাংগঠনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক যৌথ প্রয়াসও ভেস্তে যেতে দেখা গেছে। আবার নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও যৌথ কিছু উদ্যোগ দারুণভাবে সফল হয়েছে। তেমনই একটি যৌথ ব্যাবসায়িক বা প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ হলো এনভয় গ্রুপ।
অংশীদারত্ব বিবেচনায় এর মালিকানা যৌথ হলেও সফল এই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা হয়ে আসছে অভিন্ন চিন্তাধারাতেই।
তবে সময় বদলেছে, ব্যক্তিকেন্দ্রিক সব ব্যবসার উদ্যোগেই এখন পরিবারতন্ত্র ঢুকেছে। এতে যৌথ উদ্যোগ যৌথ পরিবারে পরিণত হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় পরিবারের সদস্যরা গ্রুপের পরিচালক হচ্ছেন। দেশ-বিদেশ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আসছেন দ্বিতীয় প্রজন্মের এই সদস্যরা। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি, মেধা, উৎকর্ষতায় ভিন্নতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
পারিবারিক সমৃদ্ধিতে স্বাধীনচেতা মনোভাবও বাড়ছে। চাইছে নতুন কিছু করতেও। তা ছাড়া প্রথম প্রজন্মের উদ্যোক্তাদের বয়স বাড়ছে। এতে উত্তরাধিকারদের মধ্যে প্রাপ্তি বণ্টন এবং চাওয়া-পাওয়ার বিষয়টিও স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
যৌথ উদ্যোগে গড়ে ওঠা শীর্ষস্থানীয় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এনভয় গ্রুপও এ স্রোতের ব্যতিক্রম থাকতে পারেনি। সময়ের বাস্তবতা ধরা দিয়েছে দুই কর্ণধার এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. কুতুবউদ্দিন আহমেদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সালাম মুর্শেদীর পরিবারে।
এ প্রক্রিয়ায় ভাগ হয়ে যাচ্ছে সফল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এনভয় গ্রুপ। এ ভাগাভাগিটা হচ্ছে অংশীদারত্ব বিবেচনায় কার প্রাপ্তি কেমন সেই মানদণ্ডে। তবে এতে গ্রুপের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। নামও পরিবর্তন হচ্ছে না। এমনকি ব্যবসার ধরনও বদলাচ্ছে না। শুধু পরিবর্তন আসছে মালিকানার যৌথ কর্তৃত্বে।
এর সত্যতা স্বীকার করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সালাম মুর্শেদী।
এ বিষয়ে জানতে নিউজবাংলার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় গ্রুপের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও জাতীয় সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদীর সঙ্গে।
প্রসঙ্গ তুলতেই তিনি হারিয়ে যান সেই সোনালী দিনের স্মৃতিবিজরিত দিনগুলোতে। বলেন, ‘দেশে অন্যতম সেরা সফল উদ্যোক্তা হলেন মো. কুতুবউদ্দিন আহমেদ। উদ্যোক্তা হওয়ার আগে তার পরিচিতি ছিল প্রকৌশলী হিসেবে। আর আমি (আব্দুস সালাম মুর্শেদী) ছিলাম বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক তারকা ফুটবলার।
‘ভিন্ন জগতের বাসিন্দা হলেও অসীম সম্ভাবনার পথে অভিন্ন চিন্তাধারা নিয়ে আমরা একসঙ্গে জীবনের ৩৭টি বছর একটি ব্যাবসায়িক উদ্যোগে থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাটিয়ে দিয়েছি। কুতুবউদ্দিন ভাই আমার প্রিয় বড় ভাই, অভিভাবকও। তৈরি পোশাক খাতের ছোট একটি ব্যাবসায়িক উদ্যোগ দিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু। এরপর যৌথ মেধা এবং মননশীলতার সবটুকু উজাড় করে আমরা আজ এ পর্যায়ে এসেছি।’
সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘এতে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। একসঙ্গে মোকাবিলা করেছি। আল হামদুলিল্লাহ একের পর এক সফলতাও পেয়েছি। একটি দিয়ে শুরু হলেও আমরা এখন ১৪টি খাতের ব্যাবসায়িক উদ্যোগে যুক্ত হয়েছি। যেখানে ৪০টির মতো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আমাদের রয়েছে। কর্মসংস্থান করেছি প্রায় ২১ হাজার কর্মীর। আমাদের উৎপাদিত পণ্য ও সেবার বার্ষিক টার্নওভার ছাড়িয়ে গেছে ৪০ কোটি ডলারেরও বেশি।’
‘এগুলো তো আমাদের সোনালী দিনের কথা বললাম। তার মানে কী আমরা আর সেই সোনালি দিনে নেই? না বিষয়টি তেমন নয়, বরং আগের চেয়ে সম্পর্ক মধুর হয়েছে। আমরা যত দিন বাঁচব, একসঙ্গে পথ চলব। কুতুবউদ্দিন ভাই তো বটেই, আমাদের উভয় পরিবারের মধ্যেই চমৎকার সম্পর্ক এবং ভালো বোঝাপড়া রয়েছে।’
তাহলে ‘এনভয়’ ভাগাভাগি হচ্ছে কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘আসলে বিষয়টি ভাগাভাগির ব্যাপারও নয়। কুতুবউদ্দিন ভাইয়ের বয়স হয়েছে, আমারও হয়েছে। আমরা পোশাক খাতে ছিলাম। কিন্তু আমাদের উত্তরাধিকার প্রজন্ম আরও ইনোভেটিভ বিজনেসে মনোযোগী। সময়ের বাস্তবতাকেও তো অস্বীকার করতে পারি না। প্রজন্মের চাহিদাকে মূল্য দিতে হবে।
‘আবার ভিন্ন ব্যাবসায়িক পরিকল্পনায় পা বাড়াতে গিয়ে চলমান প্রতিষ্ঠিত ব্যবসাকেও তো হাত ছাড়া করা যায় না। এতে হয় আমাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দিতে হবে, নয়তো আমাদের যৌথ উদ্যোগের কোনো একজনকে তার হাল ধরতে হবে। আমরা সে চেষ্টাই করেছি।’
এখন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানটির মালিকানার কর্তৃত্বে কে থাকছে, আপনি না গ্রুপ চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন আহমেদ? এমন প্রশ্নের জবাবে সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘দুই পরিবার মিলে আলোচনা হয়েছে। আসলে কুতুবউদ্দিন ভাই ও তার পরিবার মূলত পোশাক খাতে থাকতে চাচ্ছে না। অন্য ব্যবসাগুলোতেও আগ্রহ কম। তারা হয়তো আরও ভালো কিছু চিন্তা করছে।
‘এ পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা ও সন্তোষজনক আলোচনার ভিত্তিতে এনভয় গ্রুপের টেক্সটাইল প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকি অন্য সব প্রতিষ্ঠান সম্মানজনক রয়্যালিটিতে সন্তুষ্টিচিত্তে আমাকে দেয়া হয়েছে। আমি এগুলো কিনে নিয়েছি। এখন তার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়াও শেষ হতে চলছে।’
তাহলে এনভয়ের পূর্ণ কর্তৃত্বে আপনিই থাকছেন- এমন প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ জবাব দিয়ে সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘আমাদের যৌথ প্রয়াসও অবিচ্ছিন্ন থাকবে। গ্রুপের প্রতিষ্ঠান এনভয় টেক্সটাইল উভয়ের অংশীদারত্বের মধ্য দিয়েই চলবে। এই নিয়েই আমরা বাকি জীবন কাটিয়ে দেব।’
তবে এ বিষয়ে কুতুবউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গিয়ে জানা যায়, বর্তমানে তিনি এবং পরিবারের একাধিক সদস্য দেশের বাইরে রয়েছেন।
মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে তার রোমিং নম্বরে ফোন করা হলে তিনি একাধিকবার ফোন রিসিভ করলেও নেটওয়ার্ক জলিতায় অপর প্রান্ত থেকে কোনো শব্দই স্পষ্ট শোনা যায়নি।
এনভয় গ্রুপের ব্যবসার প্রথম দিন থেকে একসঙ্গে আছেন দুই কর্ণধার কুতুবউদ্দিন আহমেদ ও সালাম মুর্শেদী। ১৯৮৪ সালে পোশাক খাতের মাধ্যমে তাদের যাত্রা শুরু হয়।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন আটজন। এতে গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন প্রকৌশলী কুতুবউদ্দিন আহমেদ। ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সালাম মুর্শেদী।
বাকি ছয়জন পরিচালক হিসেবে রয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যানের পরিবারের পক্ষে রয়েছেন রাশিদা আহমেদ, তানভীর আহমেদ ও সুমাইয়া আহমেদ এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক পরিবারের পক্ষে রয়েছেন শারমিন সালাম, ব্যারিস্টার শেহরিন সালাম ঐশী এবং ইশমাম সালাম।
এনভয়ের পোশাক কারখানাগুলো কাপাসিয়া, আশুলিয়া, দৌলতিয়া বাজার, ঢাকার রামপুরায় স্থাপিত। গ্রুপের পোশাক কারখানা ইউনিটগুলো হলো এনভয় গার্মেন্টস, নাদিয়া গার্মেন্টস, এনভয় ডিজাইন, অ্যাস্ট্রাস গার্মেন্টস, রিগাল গার্মেন্টস, আরমার গার্মেন্টস, সুপ্রিম অ্যাপারেলস, ইপক গার্মেন্টস, প্যাসেল অ্যাপারেলস, ওলিও অ্যাপারেলস, ডর্নিক অ্যাপারেলস, ফন্টিনা গার্মেন্টস, মান্তা অ্যাপারেলস, এনভয় ফ্যাশনস ও টেক্সাস ড্রেসেস। ওয়াশিং বিভাগের ইউনিটটির নাম লন্ড্রি ইন্ডাস্ট্রিজ।
টেক্সটাইলের ডেনিম কারখানাটির নাম এনভয় টেক্সটাইলস। এই গ্রুপের মালিকানায় আছে ডায়িং, কার্টন ও পলি কারখানাও।
ফ্রেইট ফরওয়ার্ডিং প্রতিষ্ঠানগুলো হলো পিনাটা এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, অ্যারো স্পিড ইন্টারন্যাশনাল, ওআইএ গ্লোবাল লজিস্টিকস। ট্রেডিং সংস্থাগুলো হলো এমারাল্ড ট্রেডিং, লুনার ইন্টারন্যাশনাল, বিজনেস সলিউশন সংস্থা ন্যাশনাল সিস্টেম সলিউশনস।
আবাসন ব্যবসায় এনভয় গ্রুপের প্রতিষ্ঠানটি হলো শেলটেক প্রাইভেট লিমিটেড। নির্মাণ খাতে রয়েছে শেলটেক ইঞ্জিনিয়ারিং। আবাসন খাত উন্নয়ন, পরামর্শ, নির্মাণ ও আনুষঙ্গিক ব্যবসায় শেলটেক দেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট কোম্পানি। ব্যাংক খাতে এনভয় গ্রুপের অংশীদারদের উপস্থিতি রয়েছে প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডে।
প্লাটিনাম সুইটস ও প্লাটিনাম রেসিডেন্স নামে হসপিটালিটি খাতে ব্যবসা রয়েছে এনভয় গ্রুপের। ভোক্তাপণ্য খাতে বেঙ্গল মিট প্রসেসিং ও বাণিজ্যিক অফিস স্পেস ব্যবসায় সিয়াম টাওয়ার নামে প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের।
এ ছাড়া গ্রুপের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম শেলটেক ব্রোকারেজ লিমিটেড ও শেলটেক প্রোটেকশন সার্ভিসেস লিমিটেড। ট্রেজার সিকিউরিটিজ ও ট্রাইস্টার নামে পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট দুটি প্রতিষ্ঠানেরও লাইসেন্স রয়েছে এনভয়ের সালাম মুর্শেদীর।
তা ছাড়া কাপাসিয়ায় ৫০ বিঘা জমির ওপর নেয়া হয়েছে নতুন প্রকল্প। সেখানে স্থাপিত হচ্ছে এনভয় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক।
আরও পড়ুন:শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে গত ০২ জুন, সোমবার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতি।
জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ গোলাম মরতুজা, মোঃ ফয়েজ আলম ও মোঃ আশরাফুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সভাপতি সাইফুল আবেদিন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভা সঞ্চালনায় ছিলেন কার্যকরী সভাপতি শাহ জাহান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি এস. এফ. এম. মুনির হোসেন, সহসভাপতি মজিবুর রাহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ছানোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কেনায় আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। আবার ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার সময় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। ট্রেড লাইসেন্স নিতেও রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দাখিলের বাধ্যবাধকতায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্রের বাধ্যবাধকতায় এসব পরিবর্তন আনা হয়েছে। এত দিন ৪৬টি সেবায় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখানোর বাধ্যবাধকতা ছিল।
এখন ১১ ধরনের সেবা নিতে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। শুধু কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীদের (টিআইএন) সিস্টেম জেনারেটেড প্রত্যয়নপত্র দাখিল করলেই হবে। ওই ১১টি সেবা হলো সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা এলাকায় নতুন ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণে; সমবায় সমিতির নিবন্ধন প্রাপ্তিতে; সাধারণ বিমার তালিকাভুক্ত সার্ভেয়ারের নতুন লাইসেন্স গ্রহণে; ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ ও নবায়নে; চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, চার্টার্ড সেক্রেটারি, আইনজীবী ও কর আইনজীবী, অ্যাকচুয়ারি, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার হিসেবে কোনো স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার সদস্যপদ গ্রহণে; পাঁচ লাখ টাকার অধিক পোস্ট অফিস সঞ্চয়ী হিসাব খোলায়; এমপিওভুক্তির মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে দশম গ্রেড বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মচারীর কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের ক্ষেত্রে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা মোবাইল ব্যাংকিং বা ইলেকট্রনিক উপায়ে টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে এবং মোবাইল ফোনের হিসাব রিচার্জের মাধ্যমে কমিশন, ফি বা অন্য কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্ট্যাম্প, কোর্ট ও কার্টিজ পেপারের ভেন্ডর বা দলিল লেখক হিসেবে লাইসেন্স নিবন্ধন ও তালিকাভুক্তিতে; ত্রি-চক্র মোটরযানের নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়নে; ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে লাইসেন্সিং অথরিটির কাছ থেকে লাইসেন্স গ্রহণে।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আজ সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ টেলিভিশনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও দেশের ইতিহাসে ৫৪তম বাজেট।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার সময় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মোট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করছি, যা জিডিপির ১২.৭ শতাংশ। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।
তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই যে, ২০১৫ সালের পর এখন পর্যন্ত বেতন কাঠামো প্রণীত না হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবারের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি।
ঘরে বসে যেসব ক্রেতারা কেনাকাটা করতে চান, তাদের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে কেনাকাটা আগামী অর্থবছর থেকে খানিকটা ব্যয়বহুল হতে পারে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ই-প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় থেকে কমিশনের ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করতে চাইছে। সেক্ষেত্রে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পণ্যের দাম বেশি হতে পারে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই ভ্যাটের হার ছিল ৫ শতাংশ।
জুলাই অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে ভিন্ন বাস্তবতায় এবার সংসদের বাইরে ভিন্ন আঙ্গিকে পেশ হলো বাজেট। এবার সংসদ না থাকায় সংসদের আলোচনা বা বিতর্কের কোনো সুযোগ থাকছে না। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বাজেট উপস্থাপন করার পর ৩০ জুন তা রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে কার্যকর করা হবে।
তবে অতীতের রেওয়াজ মেনে বাজেট ঘোষণার পরদিন সংবাদ সম্মেলনে এসে বাজেট নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া পুরো জুন মাসজুড়ে অংশীজনদের মতামত নেওয়ার কথাও তিনি বলেছেন।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে সরকারের ধারাবাহিক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করায় এবং সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পাওয়ায় মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নেমে আসবে।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় এ কথা বলেন। তার এ বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসে আমাদের সরকার যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে তখন আমাদের সামনে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরে মানুষকে স্বস্তি দেয়া।
তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে আমরা ধারাবাহিকভাবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করেছি। এর ফলে নীতি সুদের হার ১৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে এখন ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মুদ্রানীতির আওতায় গৃহীত কার্যক্রমকে সহায়তা করতে সংকোচনমূলক রাজস্বনীতি অনুসরণ করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে আনায় সার্বিকভাবে সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠতে শুরু করেছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের ১০.৮৯ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশে নেমে এসেছে। আশার কথা হলো এবারের রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্মরণকালের মধ্যে সবচাইতে স্থিতিশীল ছিল। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এই জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের কোঠায় নেমে আসবে। মূল্যস্ফীতির সাথে এ লড়াইয়ের ফলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে।’
মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকা জরুরি উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল থাকা অত্যাবশ্যক। প্রবাস আয়ের প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক হওয়ায় এবং রপ্তানি স্থিতিশীল থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এপ্রিল মাসে বৃদ্ধি পেয়ে ২৭.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সে কারণে আমরা বিগত ১৪ মে তারিখে বাজারভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় হার চালু করেছি।
১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী আর্থিক অস্থিরতা সামাল দিতে গঠিত হয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ। এর মূল লক্ষ্য ছিল বৈশ্বিক মুদ্রানীতি সমন্বয় সাধন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে উৎসাহ দেওয়া এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করা। বহু দেশ সংকটে পড়ে এই সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছে- কেউ সাময়িকভাবে রক্ষা পেয়েছে, কেউ আবার দীর্ঘমেয়াদি ঋণনির্ভরতার ফাঁদে পড়ে গেছে।
আজ, যখন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ভারসাম্য ক্রমশ পশ্চিমকেন্দ্রীকতা থেকে সরে পূর্ব ও দক্ষিণে ছড়িয়ে পড়ছে, তখন আইএমএফ তার প্রাসঙ্গিকতা ও নৈতিক অবস্থান নিয়ে এক নতুন প্রশ্নের সম্মুখীন।
ঋণ সহায়তা, নাকি ঋণের ফাঁদ?
আইএমএফ সাধারণত এমন শর্তে ঋণ দেয়, যার মধ্যে থাকে কঠোর ব্যয়সংযম, ভর্তুকি হ্রাস, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বাজারমুখী সংস্কার; কিন্তু এই শর্তগুলো অনেক সময় জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। স্থানীয় শিল্প ধসে পড়ে, বৈষম্য বেড়ে যায় এবং সাধারণ মানুষের জীবন আরও কঠিন হয়ে ওঠে। আর্জেন্টিনার অভিজ্ঞতা এর এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। ২০১৮ সালে আইএমএফ ইতিহাসের বৃহত্তম ঋণ প্যাকেজ ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করে। ফল ছিল বিপরীত- মুদ্রাস্ফীতি ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়, দারিদ্র্য আরও বেড়ে যায় এবং দেশটি আবার মন্দার মুখে পড়ে।
এই অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে শুধু অর্থনৈতিক সমীকরণ দিয়ে কোনো দেশের সামাজিক বাস্তবতা নির্ধারণ চলে না।
আইএমএফের নীতিনির্ধারণ কাঠামো এখনো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী শক্তির ভারসাম্যের প্রতিচ্ছবি। উন্নত দেশগুলো (বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন) সংগঠনের ভোটের অধিকাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর অংশগ্রহণ প্রায় অনুপস্থিত। এই গণতান্ত্রিক ঘাটতি আজ দক্ষিণের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে গভীর অসন্তোষ ও অবিশ্বাসের জন্ম দিচ্ছে।
বিকল্প প্রতিষ্ঠানের উত্থান
এই প্রেক্ষাপটে বিকল্প আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন- নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (NDB), এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (AIIB) এবং ল্যাটিন আমেরিকান রিজার্ভ ফান্ড (FLAR) নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে। (NDB) এর সহায়তা তুলনামূলকভাবে শর্তমুক্ত এবং অংশগ্রহণমূলক। এখানে প্রতিটি দেশের ভোটের ও প্রতিনিধিত্বের সমান সুযোগ আছে, যা উন্নয়নশীল দেশগুলো আরও আগ্রহী করে তুলেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো এখন শুধু আর্থিক বিকল্প নয়- এরা এক নতুন উন্নয়ন দর্শনের বাহক। সেই দর্শনে উন্নয়ন নির্ধারিত হয় স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনকে কেন্দ্র করে, বাইরের চাপ বা রূঢ় শর্ত নয়।
বিশ্ব আজ বহুমেরু। অর্থনৈতিক শক্তি ছড়িয়ে পড়ছে নানা অঞ্চলে। এই বাস্তবতায় টিকে থাকতে হলে আইএমএফকে নিজস্ব কাঠামো ও দর্শনে রূপান্তর আনতে হবে। প্রয়োজন গভর্ন্যান্সের সংস্কার, নীতিনির্ধারণে সমান অংশগ্রহণ, এবং সর্বোপরি সহানুভূতিশীল ঋণ নীতিমালা।
আইএমএফ যদি সত্যিই বৈশ্বিক আর্থিক স্থিতিশীলতার অভিভাবক হতে চায়, তাহলে তাকে হতে হবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক, এবং আঞ্চলিক বাস্তবতাসম্মত এটি শুধু আইএমএফের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রশ্ন নয়; এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার ও সার্বিক উন্নয়নের প্রশ্ন।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, করখেলাপি ও পাচার হওয়া অর্থ জব্দ কর তা বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার পরমর্শ দিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ সময়ে এবারের বাজেট গতানুগতিক হতে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (৩১ মে) রাজধানীর এফডিসিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, করখেলাপি ও পাচারকৃত অর্থ জব্দের মাধ্যমে বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করলে তা হতে পারে এবারের বাজেটের একটি অভিনব উৎস।’
‘গত সরকারের রেখে যাওয়া বিদেশি ঋণের চাপ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। এই সরকারের এই সময়ে অন্যতম সাফল্য ৫০০ কোটি (৫ বিলিয়ন) ডলার পরিশোধ করে বিদেশি ঋণের চাপ কমিয়ে আনা,’ যোগ করেন তিনি।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই ঋণ বিলিয়ন ডলার করে বছর বছর বাড়ছিল। সামগ্রিকভাবে এই সরকারের সাফল্যের জায়গাটা হলো বহির্খাত, রেমিট্যান্স, রপ্তানি, দায়-দেনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, মজুদ বাড়ানো ও টাকার মূল্যমান স্থিতিশীল রাখা।’
তবে আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট গতানুগতিক হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, ‘খেলাপি ঋণ আদায়, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত এবং করের আওতা বাড়ানোর মতো নতুন কোনো কিছু না থাকায় এবারের বাজেটে কোনো চমক থাকছে না।’
‘যে প্রকল্পগুলো সরকারের কাছে আছে, তা অতিমূল্যায়িত ও তার ৪০ শতাংশ ব্যয়ই ভুয়া। আগের যে প্রকল্পগুলো থেকে রক্তক্ষরণ হতো, সেগুলো অব্যাহত আছে,’ বলেন তিনি।
সিপিডির এই সম্মানীয় ফেলো বলেন, ‘রাজস্ব ব্যয় সঠিকভাবে না করলে করদাতাদের উৎসাহ থাকে না। আমাদের কর কাঠামো বৈষম্যনির্ভর। আমাদের বৈদেশিক খাতে কিছুটা স্থিতিশীলতা অর্জিত হলেও ব্যক্তি খাতে স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগ এখনো আশানুরূপ অর্জিত হয়নি।’
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি নামের একটি বিতর্ক সংগঠন এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
‘রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করা আসন্ন বাজেটের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত’ শীর্ষক ছায়া সংসদে ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজকে পরাজিত করে ঢাকার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।
মন্তব্য