নতুন বছরের প্রথম তিন কর্মদিবসেই পুঁজিবাজারে বাড়ল সূচক। আগের বছরের শেষ দিনেও সূচকে যোগ হয়েছিল পয়েন্ট। সব মিলিয়ে চার কর্মদিবসের এই উত্থানের ঘটনাটি ঘটেছে গত ৭ ডিসেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের বৈঠকের পর প্রথমবারের মতো।
এ নিয়ে গত আট কর্মদিবসে সূচক বাড়ল সাত দিন। মাঝে এক দিন কমেছিল ৯ পয়েন্ট। সব মিলিয়ে আট দিনে বাড়ল ২৬৩ পয়েন্ট।
লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমলে গত ১২ ডিসেম্বরের পর প্রথমবারের মতো টানা দুই দিন এক হাজার কোটি টাকার ঘর অতিক্রম করেছে।
দিন শেষে লেনদেন দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৮২ কোটি ১৮ লাখ ৯১ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ১ হাজার ৩১৪ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।
গত সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে সংশোধন আর অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পতনের মধ্যে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে টানা এই উত্থান হয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির মধ্যে বৈঠক আর সেই বৈঠকের পর এই দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বৈঠককে ঘিরে।
বছর ও সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবসে শেষ পর্যন্ত বাজার ইতিবাচক থাকলেও দিনভর ছিল উত্থান পতনের মধ্যে। আগের দুই দিনে ১২৫ পয়েন্ট উত্থানের স্মৃতি নিয়ে এই লেনদেন শুরুর পর ৪০ মিনিটে সূচক পড়ে যায় ২৯ পয়েন্ট। বেলা পৌনে একটা পর্যন্তই বাজার ছিল নেতিবাচক। তবে এরপর শেয়ারগুলো হারানো দর ফিরে পেতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্সে ১০.৬৯ পয়েন্ট যোগ হয়ে শেষ হয় লেনদেন।
সূচকে পয়েন্ট যোগ হলেও বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে।
দিন শেষে বেড়েছে ১৬৭টির দর, কমেছে ১৮০টির, অপরিবর্তিত ছিল ৩১টির দর।
লেনদেনে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে ছিল বিমা খাতের কোম্পানিগুলো। সাধারণ বিমা খাতের ৭৪ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। আর জীবন বিমা খাতের শতভাগ কোম্পানির দর বেড়েছে মঙ্গলবার।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৭৪ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। আর কমেছে ২৬ শতাংশ কোম্পানির।
বিবিধ খাতের ৪৬ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। তবে এই খাতের প্রধান কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড দর হারিয়েছে।
ব্যাংক খাতের ২৮ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। এছাড়া প্রকৌশল খাতের ৪২ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ৩৪ শতাংশ, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের ২৭ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে।
লেনদেনে সেরা ছিল বিবিধ খাত। দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিমা। পরের অবস্থানগুলো ছিল ওষুধ ও রসায়ন, বস্ত্র, ব্যাংক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, প্রকৌশল খাত।
সূচক বাড়াতে ভূমিকা যে যাদের
মঙ্গলবার সূচক বাড়াতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল লাফার্জ হোলসিমের, যার শেয়ার দর ৩.০৬ শতাংশ বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে ২.৮৬ পয়েন্ট।
টেলিকম খাতের গ্রামীণফোনের শেয়ার দর দশমিক ৪ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ২.০২ পয়েন্ট।
ওরিয়ন ফার্মা, রেনেটা, পাওয়ার গ্রিড, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ও রবির অবদান ছিল ৬.৬৯ পয়েন্ট।
ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির শেয়ার দর দশমিক ৬৮ শতাংশ বাড়াতে সূচক বেড়েছে ১.০৬ পয়েন্ট। একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ার দর ৩.৫৬ শতাংশ বাড়াতে সূচক বেড়েছে দশমিক ০৭ পয়েন্ট। এসিআইয়ের শেয়ার দর ৩.২৩ শতাংশ বাড়াতে সূচক বেড়েছে দশমিক ৬৩ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি মিলে সূচক বাড়িয়েছে ১৪.১৮ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি সূচক পড়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের দরপতনে। কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ২.৭৪ শতাংশ, সূচক পড়েছে ৪.০৪ পয়েন্ট।
আগের দুই দিন সূচকে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট যোগ করা ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানির দর ০.৮৪ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৩.১৮ পয়েন্ট।
বিকন ফার্মা, মবিল যমুনা, শাহজিবাজার পাওয়ার, ইউনিক হোটেল, সামিট পাওয়ার, বিএসআরএম লিমিটেড, জিপিএইচ ইস্পাত ও এক্সিম ব্যাংকের দরপতনও সূচকে আরও বেশি পয়েন্ট যোগ হতে দেয়নি।
এই ১০টি কোম্পানি মিলে সূচক কমিয়েছে ১০.৭৭ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধিতে দশ কোম্পানি
মঙ্গলবার লেনদেনে দিনের সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হয়েছে নয়টি কোম্পানির। এর মধ্যে ১০ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার দর বেড়েছে দুটি কোম্পানির।
এসব কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল জীবন বিমা কোম্পানি।
এর মধ্যে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ১০ শতাংশ। কোম্পানিটিতে লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার ৫৬২টি শেয়ার।
ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দরও বেড়েছে ১০ শতাংশ। কোম্পাটির ৬৩ টাকার শেয়ার পৌঁছেছে ৬৯ টাকা ৩০ পয়সায়।
রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর ৯.৯৩ শতাংশ। ৬৩ টাকা ৪০ পয়সা থেকে দর এক দিনে হয়েছে ৬৯ টাকা ৭০ পয়সা।
প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর ৯০ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৯.৭৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৯৯ টাকা ৮০ পয়সা।
সান লাইফ ইন্স্যুরেন্সে কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৬০ শতাংশ। কোম্পানিটির ৫২ লাখ টাকার ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৭৫টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
বিবিধ খাতের বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের দর ৯.৯১ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের লাভেলো আইসক্রিমের দর ৯.৮৭ শতাংশ বেড়েছে।
শীর্ষ দশের অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলের দর ২৬ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৯.৮৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৯ টাকা। পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে নতুন বোর্ড পুনর্গঠন করা জাহিনটেক্সের দর ৯.৫৮ শতাংশ বেড়ে ৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে হয়েছে ৮ টাকা।
দশম স্থানে থাকা অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালের দর ৮.৬৯ শতাংশ বেড়ে ২৭ টাকা ৬০ পয়সা থেকে হয়েছে ৩০ টাকা।
আরও তিনটি কোম্পানির দর ৭ শতাংশের বেশি, ৪টির দর ৬ শতাংশের বেশি, ৫টির দর ৫ শতাংশের বেশি, ১১টির দর ৪ শতাংশের বেশি, ১১টির দর ৩ শতাংশের বেশি, ১৪টির দর ২ শতাংশের বেশি, ৪৫টির দর বেড়েছে ১ শতাংশের বেশি।
দর পতনের শীর্ষে যেগুলো
এদিন সবচেয়ে বেশি ৫.৪১ শতাংশ শেয়ার দর কেমেছে আইসিবি এএমসিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। ফান্ডটির ইউনিট প্রতি দর ৭ টাকা ৪০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৭ টাকা। ৯৪ লাখ ১৭ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে ১৩ লাখ ৩০ হাজার ১১২টি ইউনিটি।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের দর কমেছে ৫.১১ শতাংশ। ৭৭ লাখ টাকায় হাতবদল হয়েছে ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৫৫টি শেয়ার।
এছাড়া সোনারগাঁও টেক্সটাইলের দর ৩.২৭ শতাংশ, হামিদ ফেব্রিক্সের দর কমেছে ৩ শতাংশ।
দুই শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমেছে ২৫টি কোম্পানির। এর মধ্যে হাওয়েল টেক্সটাইলের ২.৯৮ শতাংশ, শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানির দর ২.৯৫ শতাংশ, ইউনিক হোটেলের দর ২.৮৫ শতাংশ, মুন্নু ফেব্রিক্সের দর কমেছে ২.৮৩ শতাংশ।
দরপতনের তালিকায় ছিল আরও একটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড। সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর কমেছে ২.৭৯ শতাংশ। বেক্সিমকো লিমিটেডের দর কমেছে ২.৭৪ শতাংশ। নূরানী ডাইংয়ের শেয়ার দর কমেছে ২.৫৯ শতাংশ।
লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০ কোম্পানি
দরপতন হলেও সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের। কোম্পানিটির ১০৬ কোটি টাকার ৬৯ লাখ ১৮ হাজার ১৪২টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ৬৮ কোটি ৯২ লাখ টাকার ৮২ লাখ ৯৪ হাজার ১০টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
ফরচুর সুজের শেয়ারে যোগ হয়েছে ৪০ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ার দর ১০৭ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০৮ টাকা ১০ পয়সা। লেনদেন হয়েছে মোট ৪৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
অ্যাকটিভ ফাইনে লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ২৭ লাখ ১২ হাজার ২৯৪টি।
লাভেলো আইসক্রিমে ২৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, জেনেক্স ইনফোসিসে ২৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, পাওয়ারগ্রিডে ২৮ কোটি ১ লাখ টাকা, সোনালী পেপারে ২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।
ওরিয়ন ফার্মা ও জিএসপি ফাইন্যান্সে যথাক্রমে ২৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ও ২২ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ওরিয়ন ফার্মায় ২৩ লাখ ৪১ হাজার ৬০৫টি শেয়ার ও জিএসপি ফাইন্যান্সের ৮০ লাখ ৬০ হাজার ৩৭১টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য