বছরের শেষ মাসে ক্রমাগতভাবে পড়তে থাকা পুঁজিবাজার নতুন বছরের দ্বিতীয় কর্মদিবসে সূচকের অবস্থান আরও একটু ভালো হয়েছে। লেনদেনও পেয়েছে গতি।
১৩ কর্মদিবস পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন ছাড়াল এক হাজার কোটি টাকার ঘর। গত ৭ ডিসেম্বর পুঁজিবাজার নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বৈঠকের পরে এত বেশি লেনদেন দেখা যায়নি।
সপ্তাহ ও বছরের দ্বিতীয় কর্মদিবসে হাতবদল হয়েছে এক হাজার ৩১৪ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার। গত ৭ ডিসেম্বর লেনদেন ছিল এক হাজার ৩৩১ কোটি ৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা।
তবে অর্থবছরের প্রথম দিন ৯৬ পয়েন্ট সূচক বৃদ্ধির স্মৃতি নিয়ে দ্বিতীয় দিনের লেনদেনের শেষ অংশের প্রবণতা বিনিয়োগকারীদেরকে খুব একটা খুশি করবে না। কারণ, বলো ১২টা ৩৯ মিনিটে আগের দিনের চেয়ে সূচক ৬৯ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হচ্ছিল এবং তা ছিল ঊর্ধ্বমুখি। সে সময় আশা করা হচ্ছিল, আগের দিনের মতোই বড় উত্থান হবে।
তবে দিনের শেষাংশে সেই অবস্থান থেকে সূচক কমে ৪০ পয়েন্ট, যে কারণে ২৯ পয়েন্ট যোগ করে লেনদেন শেষ হওয়াটা বিনিয়োগকারীদের জন্য খানিকটা নেতিবাচক বার্তাই দিয়েছে।
দিন শেষে বেড়েছে ২১৭টি কোম্পানির শেয়ারদর, কমেছে ১৩২টির। দর অপরিবর্তিত আছে ২৮টির।
খাত হিসাব করলে সবচেয়ে বেশি কোম্পানির দর বেড়েছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে। দারুণ দিন গেছে বস্ত্র ও বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতেও। ওষুধ ও রসায়ন এবং প্রকৌশল খাতেও গেছে ভালো দিন। সাধারণ বিমা খাতে খুব একটা ভারো সময় না গেলেও জীবন বিমা খাতের কোম্পানিগুলোর দর বেড়েছে প্রায় সবগুলোর।
অন্যদিকে ব্যাংক, আর্থিক, সাধারণ বিমা খাতে খুব একট ভালো দিন কাটেনি।
সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিবিধ খাতে। বেশ কিছুদিন পর দুই শ কোটি টাকা ছাড়াল এই খাতটি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে বিমাতে। এর পরের অবস্থানগুলো হলো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বস্ত্র, ব্যাংক, প্রকৌশল, চামড়া।
গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দর সংশোধনের মধ্যে দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির মধ্যে দ্বন্দ্বের যে বিষয়গুলো সামনে এসেছে, তা উপসমের আশা নিয়ে বিনিয়োগকারীরা তাকিয়ে ছিল ৭ ডিসেম্বরের বৈঠকে। তবে সেই বৈঠক শেষে কোনো সুনির্দিষ্ট ঘোষণা আসেনি। জানানো হয়, ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা আসবে।
ডিসেম্বরের শেষে সেই বৈঠক হয়নি। এখন বিনিয়োগকারীরা জানুয়ারির শুরুর সেই বৈঠকের অপেক্ষায়। তবে কবে বসবে মন্ত্রণালয়, তার দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি।
তার পরেও বছর শেষে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিক্রয় চাপ শেষ হয়েছে। মুনাফা নিয়ে নেয়ার পর অর্থবছরের হিসাবনিকাশ শেষে তারা আবার শেয়ার কেনা শুরু করেছে। সেই সঙ্গে নিষ্ক্রিয় বসে থাকা ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীরাও সক্রিয় হতে শুরু করেছে বলেই মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রুত সেই বৈঠকের দিনক্ষণ নির্ধারণ হলে এবং সেখান থেকে ইতিবাচক কোনো ঘোষণা এলে এই সক্রিয়তা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
পতনের ধাক্কা থেকে বেরিয়ে আসার অপেক্ষায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা দেবব্রত কুমার সরকার।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘নতুন করে দুদিনের উত্থান বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। সেটি যদি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকে থাকলে বিনিয়োগকারিরা নতুন করে নতুন বিনিয়োগে আগ্রহী হবে।’
পুঁজিবাজারে নেতিবাচক কোনো বার্তা নেই বলে মনে করেন দেবব্রত। তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির প্রায় সব সূচকই উত্থানে। পাশাপাশি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিএসইসিও নানা উদ্যোগের মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত না হয়ে শেয়ার ধরে রাখলেও ভালো রির্টান পাওয়া সম্ভাবনা আছে এই বাজারে।’
সূচক বাড়াল যেসব কোম্পানি
সূচক যে পরিমাণ বেড়েছে, তার চেয়ে কিছুটা বেশি বড়িয়েছে কেবল ১০টি কোম্পানি।
টানা দ্বিতীয় দিন সূচকে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট যোগ করেছে ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি। বেক্সিমকো লিমিটেডের অবদান দ্বিতীয়।
প্রথম কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ১.০৫ পয়েন্ট, দ্বিতীয়টির ১.৮২ পয়েন্ট।
এই দুটি কোম্পানি যথাক্রমে ৬.৬১ ও ৪.৪২ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে। সব মিলিয়ে ১০টি কোম্পানিই সূচক বাড়িয়েছে ২৯.৫৭ পয়েন্ট।
রবি, ইউনাইটেড পাওয়ার, পাওয়ারগ্রিড, ব্র্যাক ব্রাংক, বেক্সিমকো ফার্মা, ফরচুন সুজ, স্কয়ার ফার্মা, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট বাকি আটটি কোম্পানি।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ৪.৩৮ পয়েন্ট সূচক হারিয়েছে গ্রামীণ ফোনের ০.৫১ শতাংশ দরপতনে। দুই মাস ধরে অবিশ্বাস্য উত্থান শেষে পরপর দ্বিতীয় দিন সর্বোচ্চ পরিমাণ দর হারানো সোনলী পেপারের কারণ সূচক কমেছে ২.৬৬ পয়েন্ট।
ডেল্টা লাইফ, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি, রেকিট বেনকিনজার, ইসলামী ব্যাংক, জেনেক্স ইনফোসিস, লিনডে বিডি, ইউনিলিভার ও বিএসআরএম লিমিটেডের দরপতনেও সূচক কমেছে সবচেয়ে বেশি।
এই ১০টি কোম্পানির কারণেই সূচক থেকে কমেছে ১৬.০৭ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
দিনে দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়েছে পাঁচটি কোম্পানি। সবকটির দর বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি।
শীর্ষ দশে বেশ কয়েক মাস পর মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের বেশ কয়েকটি কোম্পানিকে দেখা গেছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ইজেনারেশনের ৯.৯৮ শতাংশ। গত ১০ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৫দিন।
৩ কোটি ২৪ লাখ টাকায় কেম্পানিটির ৬ লাখ ২০ হাজার ৪০৪টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, যার দর বেড়েছে ৯.৯৪ শতাংশ। ৫৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে দর হয়েছে ৬৩ টাকা। ৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকায় হাতবদল হয়েছে ৭ লাখ ১৮ হাজার ১০০টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
লাভেলো আইসক্রিমের শেয়ার দর ৯.৭৫ শতাংশ, রিং সাইন টেক্সটাইলের ৯.২৭ শতাংশ এবং আর এন স্পিনিংয়ের দর বেড়েছে ৯.০৯ শতাংশ।
আট শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে তিনটি কোম্পানির। এর মধ্যে আমান ফিডের দর বেড়েছে ৮.৯০ শতাংশ। বাকি দুটি ছিল মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের।
আইসিবি এএমসিএল থার্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর ৮.৮২ শতাংশ ও প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৮.৪২ বেড়েছে শতাংশ।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় নবম অবস্থানে থাকা রিলায়েন্স ওয়ান মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট মূল্য বেড়েছে ৭.১৪ শতাংশ এবং নুরানী ডায়িংয়ের বেড়েছে ৬.৯৪ শতাংশ।
আরও ৩টির দর ৬ শতাংশের বেশি, ৬টির দর ৫ শতাংশের বেশি, ৯টির দর ৪ শতাংশের বেশি, ২৩টির দর ৩ শতাংশের বেশি, ৪১টি কোম্পানির দর বেড়েছে ২ শতাংশের বেশি।
দর পতনের শীর্ষ কোম্পানি
টানা দ্বিতীয় দিন সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে সোনালী পেপার। আগের দিন ৬.২৫ শতাংশের পর দ্বিতীয় দিন দর কমেছে ৭.৪৯ শতাংশ। ১০ লাখ ২ হাজার ২৯০টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৫৪ লাখ ৮৪ হাজার টাকায়।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা লিবরা ইনফিউশনের দর কমেছে ৪.৫৭ শতাংশ। কোম্পানিটির ১ কোটি ৭৪ লাখ টাকার ১৮ হাজার ৫১১টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা এএমসিএল (প্রাণ) কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে ৪.২৬ শতাংশ। ২৯২ টাকা ৮০ পয়সা দরের শেয়ার কমে হয়েছে ২৮০ টাকা ৩০ পয়সা।
রেনউইক যজ্ঞেশ্বর কোম্পানির শেয়ার দরও কমেছে ৪ শতাংশের বেশি। ১ হাজার ৯৭ টাকা ৬০ পয়সা দরের শেয়ার ৪.২৩ শতাংশ কমে হয়েছে ১ হাজার ৫১ টাকা ১০ পয়সা।
ঢাকা ডাইংয়ের দর কমেছে ৩.৮৪ শতাংশ। ৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকার মোট ৩৭ লাখ ৪৭ হাজার ১৬৬টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
এছাড়া বিচ হ্যাচারির দর ৩.৭২ শতাংশ, ডেফোডেল কম্পিউটারসের দর দর ৩.৫৯ শতাংশ, জেনেক্স ইনফোসিসের দর কমেছে ৩.৩৯ শতাংশ।
এটলাস বাংলাদেশ, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, জেমিনি সি ফুড, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, ডেল্টা লাইফের শেয়ার দর কমেছে তিন শতাংশের বেশি।
লেনদেনে সেরা দশ
টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের। ১৮১ কোটি ৭৭ লাখ টাকায় ১ কোটি ১৫ লাখ ১৯ হাজার ৯৩৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭২ কোটি ৯৮ লাখ টাকার। ৮৯ লাখ ১৩ হাজার ৬৩৯টি শেয়ার এদিন হাতবদল হয়েছে।
ফরচুন সুজের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৯ কোটি ৫০ লাখ টাকার। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৬৪ লাখ ৪১ হাজার ২১৫টি।
পাওয়ারগ্রিডে লেনদেন হয়েছে ৪৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকার। পেনিনসুলায় লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ৫ লাখ টাকার।
এছাড়া ডেল্টা লাইফে ২৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, বিকন ফার্মায় ২৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, আইএফআইসি ব্যাংকে ২২ কোটি ১৬ লাখ টাকা, সাইফ পাওয়ারটেকে ১৯ কোটি ৫ লাখ টাকা, জেনেক্স ইনফোসিসে ১৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা, ওয়ান ব্যাংকে ১৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা হাতবদল হয়েছে।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য