× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Container capacity increased in Chittagong port
google_news print-icon

কনটেইনার ধারণক্ষমতা বাড়ল চট্টগ্রাম বন্দরের

কনটেইনার-ধারণক্ষমতা-বাড়ল-চট্টগ্রাম-বন্দরের
চট্টগ্রাম বন্দর। ছবি: নিউজবাংলা
বন্দর সূত্র জানায়, যথাসময়ে পণ্য খালাস না করা, পরিবহন ধর্মঘট ও বৈরী আবহাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট বেড়ে যায়। ফলে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। তবে নতুন ইয়ার্ডে সে সমস্যা অনেকটা দূর হবে বলে মনে করছেন বন্দর কর্মকর্তারা।

মূল জেটি, সিসিটি ও এনসিটি মিলে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার ধারণক্ষমতা ছিল ৪৯ হাজার টিইইউস। বন্দরের ফ্রিপোর্ট মোড় পুরাতন লেবার কলোনির জায়গায় ‘নিউমুরিং ওভারফ্লো কনটেইনার ইয়ার্ড’ নির্মাণের ফলে ধারণক্ষমতা বেড়ে ৫৩ হাজার টিইইউএসে পৌঁছেছে।

৩৪ একর জমিতে প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ ইয়ার্ডের আয়তন ৯০ হাজার ৫০০ বর্গফুট। নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী রোববার এ জেটিসহ ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে বন্দরের চারটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন।

বন্দর সূত্র জানায়, যথাসময়ে পণ্য খালাস না করা, পরিবহন ধর্মঘট ও বৈরী আবহাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট বেড়ে যায়। ফলে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। তবে নতুন ইয়ার্ডে সে সমস্যা অনেকটা দূর হবে।

এই ইয়ার্ডে রাখা যাবে আরও চার হাজার টিইইউস কনটেইনার। ফলে ভবিষ্যতে কনটেইনার জট তৈরির সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যাবে বলে মনে করছেন বন্দর কর্মকর্তারা।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বেড়েছে। কিন্তু সে হারে বাড়েনি বন্দরের সক্ষমতা। বৈশ্বিক বাণিজ্যের সাথে তাল মিলিয়ে ক্রমেই সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে নজর দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। ফলে করোনাকালের বছরেও পণ্য হ্যান্ডেলিংয়ে ১৩৫ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে চট্টগ্রাম বন্দর।

‘একই সঙ্গে বন্দরের ধারণক্ষমতাও সম্প্রসারিত হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে নিউমুরিং ওভারফ্লো কনটেইনার ইয়ার্ড। প্রায় ১৪ বছর পর নতুন একটি সার্ভিস জেটি যুক্ত হলো চট্টগ্রাম বন্দরে।’

চট্টগ্রাম বন্দরের প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ‘সার্ভিস জেটি নির্মাণের ফলে বন্দরের মালিকানাধীন প্রায় ৩৫টি ভেসেল পরিচালনা করা সম্ভব হবে। এই প্রকল্পকে কেন্দ্র করে তিন তলা একটি অফিস ভবন, একটি ওয়্যারহাউস, একটি আন্ডারগ্রাউন্ড পানির রিজার্ভার, উঁচু রিটেইনিং ওয়াল, রিভার ব্যাংক ও শোর প্রোটেকশন, ড্রেনেজ সিস্টেম, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন ও সিগন্যাল টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে।’

চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম. শাহজাহান বলেন, ‘দেশের ৯০ ভাগ আমদানি-রপ্তানি হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। তাই নির্বিঘ্নে আমদানি-রপ্তানি করতে অফডক, শিপিং এজেন্ট, এমএলও, ফিডার সার্ভিস, সড়কপথে কনটেইনার পরিবহনে করোনাকালে আগে থেকেই সম্ভাব্য ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের বন্দরে জাহাজের ওয়েটিং টাইম জিরো। ফরেন কারেন্সি সাশ্রয় হচ্ছে। জাহাজ ভাড়া, ইন্স্যুরেন্সের প্রিমিয়াম কমে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বৈশ্বিক বাণিজ্যের সাথে তাল মেলাতে চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজন ছিল। এ কারণে চট্টগ্রাম বন্দর পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, বে-টার্মিনাল ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের মার্চেই পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল চালু করা সম্ভব হতে পারে। সংসদ নির্বাচনের আগে বে-টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শুরু করা হতে পারে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।’

৪৫ বছরের মধ্যে ২০২১ সালে এই বন্দরে মোট কনটেইনার হ্যান্ডলিয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখ ১৪ হাজার ৫৪৮ টিইইউস। এর আগে একক কোন বছরে এতো বিপুল সংখ্যক কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের রেকর্ড নেই চট্টগ্রাম বন্দরে।

২০২০ সালে চট্টগ্রাম বন্দর কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছিল ২৮ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৭ টিইইউস। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৫৭১ টিইইউস বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে। বছর শেষে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। শুধু কনটেইনারেই নয়, কার্গো ও জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণও ২০২১ সালেই সর্বোচ্চ। এ বছর কার্গো হ্যান্ডলিং হয় ১১ কোটি ৬৬ লাখ ১৯ হাজার ১৫৮ টন।

আরও পড়ুন:
পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের রেকর্ড
রণং বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
মাশুল বাড়াচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা
চট্টগ্রাম বন্দরে অচলাবস্থা, আটকা পড়েছে ৬৪০০ কনটেইনার
কন্টেইনার ওঠানামায় চট্টগ্রাম বন্দরের রেকর্ড

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Three workers died after falling from a building under construction in Khulna

খুলনায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে তিন শ্রমিক নিহত

খুলনায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে তিন শ্রমিক নিহত প্রতীকী ছবি
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শুনেছি বয়রা মহিলা কলেজের বিপরীত পাশে কর ভবনের নির্মাণকাজ করছিল রডমিস্ত্রিরা। অসাবধানতাবশত পাঁচ তলা থেকে পড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়, তবে ঘটনাটি সোনাডাঙ্গা মডেল থানা এলাকার।’

খুলনা নগরে মঙ্গলবার নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে তিনজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

বয়রা মহিলা কলেজের বিপরীত পাশে নির্মাণাধীন কর ভবন থেকে পড়ে সকালে তাদের মৃত্যু হয়।

প্রাণ হারানো তিন শ্রমিক হলেন রাব্বি, আশরাফুল ও মামুন।

খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শুনেছি বয়রা মহিলা কলেজের বিপরীত পাশে কর ভবনের নির্মাণকাজ করছিল রডমিস্ত্রিরা। অসাবধানতাবশত পাঁচ তলা থেকে পড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়, তবে ঘটনাটি সোনাডাঙ্গা মডেল থানা এলাকার।’

আরও পড়ুন:
বকেয়া মজুরির দাবিতে বাগানে বাগানে চা শ্রমিকদের প্রতিবাদ
রাস্তা পারাপারের সময় বাসের ধাক্কায় নারী নিহত
হাজারীবাগে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে অটোরিকশার চালক নিহত
চট্টগ্রামে গুলিতে দুই যুবক নিহত
অভ্যুত্থানে নিহত হাজারের বেশি, চোখ হারিয়েছেন চার শতাধিক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Cyber ​​Tribunal case against Sheikh Hasina

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনাল মামলা

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনাল মামলা শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড বন্ধ করে দেয়ায় ১০ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ এনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের ছয় মন্ত্রীসহ ১১৫ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে। মামলায় সুনির্দিষ্ট ১৫ জন এবং অজ্ঞাত একশ’ জনকে আসামি করা হয়।

ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড বন্ধ করে দেয়ায় ১০ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ এনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের ছয় মন্ত্রীসহ ১১৫ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে। মামলায় সুনির্দিষ্ট ১৫ জন এবং অজ্ঞাত একশ’ জনকে আসামি করা হয়।

চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জহিরুল কবির চৌধুরীর আদালতে সোমবার মামলাটি দায়ের করেন অনলাইন সফটওয়্যারভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. নুর মোহাম্মদ।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কাউন্টার টেরোরিজমের সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

বাসসের আদালত প্রতিবেদক জানান, মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশিদ, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার, সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা জিয়াউল হক আহসান ও বন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল মো. সোহায়েল।

মামলার আরজিতে বলা হয়, বাদী ফেনী জেলার সাফিয়াবাদ এলাকার ভুঞা বাড়ির মো. নুর নবীর ছেলে নুর মোহাম্মদ ‘দুরন্ত সাপ্লাইয়ার’ এবং ‘দুরন্ত বাজার’ নামে অনলাইন সফটওয়‍্যারভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। তিনি দাবি করেন, ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড বন্ধ থাকা অবস্থায় বাদীর ব্যবসা অনলাইন ও সফটওয়্যারভিত্তিক হওয়ায় কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, গাড়ি ভাড়া, শো-রুম ভাড়া, বাসা ভাড়াসহ অনলাইন ব্যবসায় পণ্য সরবরাহ এবং আর্থিক লেনদেন ব্যাহত হয়। এতে বাদীর ১০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র এবং জনগণের জনমালের ক্ষতিসাধনেরও অভিযোগ আনা হয়।

আরও পড়ুন:
ফেনীতে শেখ হাসিনাসহ ১৬২ জনের নামে হত্যা মামলা
নারায়ণগঞ্জে ওবায়দুল কাদের ও আইভিসহ ১৩০ জনের নামে হত্যা মামলা
আমু ও ওমরের নামে ঝালকাঠিতে মামলা
পাপনের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জে আরেকটি মামলা
আদালত চাইলে হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
14 thousand kg of imported eggs came from India

ভারত থেকে এলো আমদানির ১৪ হাজার কেজি ডিম

ভারত থেকে এলো আমদানির ১৪ হাজার কেজি ডিম ভারত থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ডিমের চালান। ছবি: নিউজবাংলা
জানা গেছে, আমদানি করা এসব ডিমের ইনভয়েস মূল্য ১১ হাজার ২৭২ ডলার। প্রতি ডজন ডিমের মূল্য দশমিক ৫৬ ডলার। এ ছাড়া প্রতি ডজন ডিমের নির্ধারিত মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বাবদ ১ টাকা ৬৬ পয়সা যোগ হবে। সব মিলিয়ে প্রতিটি ডিমের আমদানি মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৭ টাকার মতো।

দেশের বাজারে মূল্যবৃদ্ধি রোধে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে এসেছে ১৩ হাজার ৯১০ কেজি মুরগির ডিম। এর আগে প্রথম ৬১ হাজার ৯৫০টি মুরগির ডিম আমদানি করা হয় গত বছরের ৫ নভেম্বর।

বেনাপোল কাস্টমসের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরীক্ষণ শেষ করে ডিমগুলো যত দ্রুত সম্ভব ক্লিয়ারেন্স দেয়া হবে বলে তিনি জানান।

জানা গেছে, আমদানি করা এসব ডিমের ইনভয়েস মূল্য ১১ হাজার ২৭২ ডলার। প্রতি ডজন ডিমের মূল্য দশমিক ৫৬ ডলার। সে অনুযায়ী বাংলাদেশি টাকায় প্রতিটি ডিমের মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৫ টাকা। এ ছাড়া প্রতি ডজন ডিমের নির্ধারিত মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বাবদ ১ টাকা ৬৬ পয়সা যোগ হবে। সব মিলিয়ে প্রতিটি ডিমের আমদানি মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৭ টাকার মতো।

ঢাকার হাইড্রো ল্যান্ড সলুশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই চালানে ১৩ হাজার ৯১০ কেজি ডিম আমদানি করেছে। এসব ডিম রপ্তানি করেছে ভারতের শ্রী লক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি ছাড়করণের জন্য বেনাপোল কাস্টমস হাউসে কাগজপত্র দাখিল করেছে সিএন্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজ।

বেনাপোলের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডাক্তার বিনয় কৃষ্ণ মণ্ডল ডিমের পরীক্ষণ সম্পর্কে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের কাগজপত্র পেয়েছি। এখানে ডিম পরীক্ষার কোনো যন্ত্রপাতি নেই। ভারতীয় সার্টিফিকেটের ওপর ভিত্তি করে এখান থেকে ডিমের ক্লিয়ারেন্স দেয়া হবে। তাছাড়া দৃশ্যমান কোনো সমস্যা থাকলে সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।’

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার অথেলো চৌধুরী বলেন, ‘ডিমের চালানটি রোববার সন্ধ্যায় বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। ডিম আমদানির ওপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমসের ভ্যাট-ট্যাক্স রয়েছে। সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদনের পর পরীক্ষণ করা হবে। এরপর ক্লিয়ারেন্স দেয়া হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former MP Abdul Malek passed away

সাবেক এমপি আব্দুল মালেক মারা গেছেন

সাবেক এমপি আব্দুল মালেক মারা গেছেন আব্দুল মালেক। ছবি: সংগৃহীত
আব্দুল মালেক বেশ কিছুদিন থেকে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার মারা যান তিনি।

নওগাঁ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

সোমবার বিকেল ৪টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জনক।

ছেলের মৃত্যুর পর থেকেই আব্দুল মালেক অনেকটা ভেঙে পড়েছিলেন। তিনি স্ত্রী শাহানাজ মালেক ও মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।

আব্দুল মালেকের গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার চন্ডিপুর। তার স্ত্রী শাহানাজ মালেক জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক।
জানা যায়, আব্দুল মালেক বেশ কিছুদিন থেকে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার মারা যান তিনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Accuseds escape from police station 4 police including OC withdrawn

থানা থেকে আসামির পলায়ন: ওসিসহ ৪ পুলিশ প্রত্যাহার

থানা থেকে আসামির পলায়ন: ওসিসহ ৪ পুলিশ প্রত্যাহার
প্রত্যাহার করা চার পুলিশ সদস্য হলেন- লোহাগড়া থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম, এসআই নাছিমা আক্তার, আমির হোসেন ও কনস্টেবল এম আমিরুল হক।

চট্টগ্রাম জেলার এক থানা হেফাজত থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ওসিসহ চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদেরকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

সোমবার জেলার লোহাগাড়া থানায় এ ঘটনা ঘটে।

ওই চার পুলিশ সদস্য হলেন- লোহাগড়া থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম, এসআই নাছিমা আক্তার, আমির হোসেন ও কনস্টেবল এম আমিরুল হক।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৈয়ব (এসবি) গণমাধ্যমকে বলেন, সোমবার এলাকার লোকজন এক আসামিকে আটক করে পুলিশে দিয়েছিল। থানার হাজতখানা সংস্কারের কারণে ওই আসামিকে ডিউটি অফিসারের কক্ষে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। পরে তিনি পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ওসিসহ চারজনকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে একটি কমিটিও করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর লোহাগাড়া থানায় হওয়া দুটি মামলার আসামি ছিলেন সাইফুল ইসলাম। পুটিবিলা এলাকা থেকে কিছু লোকজন তাকে আটকের পর মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে থানা হেফাজতে থাকা অবস্থায় তিনি পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় লোহাগড়া থানার ওসিকে প্রত্যাহারের পর নতুন ওসি হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশে সদ্য যোগদান করা পরিদর্শক আরিফুর রহমানকে পদায়ন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামে ১৮ ওসিসহ ৩০ পুলিশ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি
পুলিশের ভাবমূর্তি বাড়াতে সময় দিতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাবেক দুই আইজিপি গ্রেপ্তার
সাত মেট্রোপলিটন পুলিশে নতুন কমিশনার পদায়ন
চট্টগ্রামে ১২ থানার ওসিকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
30 police officers including 18 OCs were transferred simultaneously in Chittagong

চট্টগ্রামে ১৮ ওসিসহ ৩০ পুলিশ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি

চট্টগ্রামে ১৮ ওসিসহ ৩০ পুলিশ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি
একযোগে বদলি করা পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৩ জন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ও পাঁচজন জেলার বিভিন্ন থানার ওসি।

চট্টগ্রামে ১৮ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ৩০ পুলিশ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৩ জন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ও পাঁচজন জেলার বিভিন্ন থানার ওসি।

পুলিশ সদর দপ্তর থেকে রোববার এই বদলির আদেশ জারি হয়।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) ১৩ ওসির মধ্যে খুলশী থানার কবিরুল ইসলাম ও কর্ণফুলী থানার জহির হোসেনকে পিবিআই, চান্দগাঁও থানার ওসি জাহিদুল কবীর ও পাহাড়তলী থানার কেপায়েত উল্লাহকে টুরিস্ট পুলিশ; কোতোয়ালির এসএম ওবায়দুল হক, আকবরশাহ থানার গোলাম রব্বানী, চকবাজার থানার ওয়ালী উদ্দিন আকবর ও হালিশহর থানার কায়সার হামিদকে নৌ-পুলিশে এবং পাঁচলাইশ থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা, সদরঘাট থানার ফেরদৌস জাহান, ডবলমুরিং থানার ফজলুল কাদের পাটোয়ারী, বন্দর থানার মনজুর কাদের মজুমদার ও ইপিজেড থানার মোহাম্মদ হোছাইনকে সিআইডিতে বদলি করা হয়েছে।

জেলার ১৭ পরিদর্শকের মধ্যে রয়েছেন- সীতাকুণ্ড থানার কামাল উদ্দিন, ভুজপুর থানার মো. কামরুজ্জামান, রাঙ্গুনিয়া থানার চন্দন কুমার চক্রবর্ত্তী, দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার মীর্জা মো. হাছান ও জোরারগঞ্জ থানার আব্দুল্লাহ আল হারুন।

তাদের মধ্যে কামাল উদ্দিন, মীর্জা হাছান ও আব্দুল্লাহ আল হারুনকে সিআইডি এবং কামরুজ্জামান ও চন্দন কুমার চক্রবর্ত্তীকে পিবিআইতে বদলি করা হয়েছে।

অন্যদের মধ্যে গত ২ সেপ্টেম্বর প্রত্যাহার হওয়া ফটিকছড়ি থানার ওসি মীর নুরুল হুদা, হাটাহাজারি থানার মো. মনিরুজ্জামান, মিরসরাই থানার সহিদুল ইসলামকে পিবিআই; রাউজান থানার জাহিদ হোসেন ও বাঁশখালী থানার তোফায়েল হোসেনকে টুরিস্ট পুলিশে; আনোয়ারা থানার ওসি মোল্লা জাকির হোসেনকে রেল পুলিশে বদলি করা হয়েছে।

এছাড়া পটিয়া থানার ওসি জসীম উদ্দিন, চন্দনাইশের ওবায়দুল ইসলাম, সাতকানিয়ার মিজানুর রহমান, বোয়ালখালী থানার আছহাব উদ্দিন, সন্দ্বীপ থানার কবির হোসেনকে সিআইডিতে বদলি করা হয়েছে।

এদিকে থানা থেকে আসামি পালানোর ঘটনায় সোমবার প্রত্যাহার হওয়া লোহাগাড়া থানার ওসি রাশেদুল ইসলামকেও সিআইডিতে বদলি করা হয়েছে।

বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের ছাড়পত্র নিয়ে বদলি করা ইউনিটে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
দুদকের ১০ পরিচালক ও ৪৮ উপ-পরিচালক পদে রদবদল
অধস্তন আদালতের ২২৪ বিচারককে বদলি
সাত মেট্রোপলিটন পুলিশে নতুন কমিশনার পদায়ন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chittagong Chamber administrator is Anwar Pasha

চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রশাসক হলেন আনোয়ার পাশা

চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রশাসক হলেন আনোয়ার পাশা মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা। ছবি: সংগৃহীত
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয়েছে, নিয়োগকৃত প্রশাসক চার মাসের মধ্যে চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশাকে চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে।

সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক- বাণিজ্য সংগঠন) ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আদেশে বলা হয়েছে, নিয়োগকৃত প্রশাসক চার মাসের (একশত বিশদিন) মধ্যে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে তা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবেন।

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতিরও পদত্যাগ, ভেঙে গেছে পর্ষদ

মন্তব্য

p
উপরে