পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাবনার বেড়া উপজেলার রূপপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আবুল হাশেম উজ্জলের প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট ইমরান হোসেন সাদ্দামকে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করেছে প্রতিপক্ষ।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দেড় বছরের শিশুসন্তানকে নিয়ে বাড়ির পাশের মাঠে ঘুরতে যান সাদ্দাম। এ সময় আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম মোহনের সমর্থকরা তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলার সময় কোলে থাকা সন্তানকে দূরে ছুড়ে ফেলে দিয়ে সাদ্দামকে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পালিয়ে যায় প্রতিপক্ষ।
বেড়া উপজেলার ঢালারচর ও চাকলা ইউনিয়নেও ঘটেছে সংঘাত। বহিরাগতদের সশস্ত্র মহড়া আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সাধারণের মনে। গত কয়েক দিনে নির্বাচনি প্রচারে বাধা দেয়ার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ছাড়াও নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে এসব ইউনিয়নে।
সর্বশেষ রূপপুর ইউনিয়নে নৌকার এজেন্টের ওপর হামলার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
রূপপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আসন্ন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আবুল হাশেম উজ্জল বলেন, ‘জনগণের সমর্থন না পেয়ে আনারসের প্রার্থী মোহন ও তার সমর্থকরা আমার কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। আমি এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ধরে রাখতে তাদের উসকানিকে তেমন গুরুত্ব দিইনি।
‘রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আনারসের সমর্থক সুজন, শফিক, শিহাব ও তিতাসের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা আমার ভাগ্নে ও প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট সাদ্দামকে হত্যার উদ্দেশ্যে নৃশংস আক্রমণ করেছে। তার দেড় বছরের শিশুসন্তানকে কোল থেকে কেড়ে নিয়ে তাকেও আঘাত করেছে।’
হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত সাদ্দামকে স্বজনরা উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
সাদ্দামের সঙ্গে হাসপাতালে অবস্থান করা তার স্ত্রী তিশা বলেন, ‘নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করায় আমার স্বামীকে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে। আমার শিশুপুত্র তাসিনকেও তারা মেরেছে। বাবাকে মার খেতে দেখে সেও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। কিছুতেই তার কান্না থামাতে পারছি না।’
পাবনা সদর হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের কনসালট্যান্ট জাহেদী হাসান রুমী জানিয়েছেন, সাদ্দামের মাথা ও পুরো শরীর থেঁতলে দেয়া হয়েছে। তার আঘাত গুরুতর। সিটিস্ক্যানের পর প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাবে।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জড়িতদের আটকে অভিযান চলছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনও করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তবে এ ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম মোহন।
তিনি বলেন, ‘সাদ্দামের ওপর কারা হামলা করেছে আমার জানা নেই।’
এই হামলার সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
এদিকে পঞ্চম দফা ইউপি নির্বাচন ঘিরে অশান্ত হয়ে উঠছে একসময়ের চরমপন্থিদের অভয়ারণ্য আমিনপুর থানার ঢালারচর ইউনিয়নও। দূরবর্তী ও গহিন চরে রাজবাড়ী জেলার সীমান্তবর্তী এই ইউনিয়নে অতীতে প্রায় প্রতিটি ইউপি নির্বাচনেই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচন সামনে রেখে সশস্ত্র মহড়াও চলছে সেখানে।
সহিংসতার অভিযোগ উঠেছে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধেও। শনিবার ঢালারচর ইউপির কাজীপাড়া ও রামনারায়ণপুরে ভোট চাওয়ার সময় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোমিনুর রহমানের সমর্থকদের হাতুড়ি, রড ও পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কোরবান আলী সরদারের ছেলে নাসিমের নেতৃত্বাধীন বহিরাগত অস্ত্রধারীরা।
মোমিন দাবি করেছেন, ঢালারচরের মানুষ নৌকার প্রার্থীকে প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণের সাড়া না পেয়ে তাই তিনি চরমপন্থি সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভোট ডাকাতির পরিকল্পনা করেছেন। তারা নৌকা ছাড়া কোনো প্রতীকে ভোট দিতে দেয়া হবে না বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে।
তবে প্রচারে বাধা দেয়ার অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী কোরবান আলী সরদার। তিনি বলেন, ‘মোমিন নির্বাচনে জনসমর্থন না পেয়ে বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছে।’
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী জানিয়েছেন, বহিরাগত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান বাড়ানো হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি থেকে বের হয়ে নিজস্ব প্রশ্নপত্রে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটিতে ভর্তির আবেদন শুরু হবে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক খাদেমুল ইসলাম জানান, চলতি ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক পর্যায়ের লেভেল-১ সেমিস্টার-১ এ চারটি ইউনিটের অধীনে আটটি অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হবে।
গত ১৩ জানুয়ারি হাবিপ্রবির অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ৬৮তম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জিএসটি গুচ্ছতে না থাকার ও স্বতন্ত্রভাবে নিজস্ব (প্রশ্নপত্রে) তত্ত্বাবধানে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ লক্ষ্যে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত ভর্তির জন্য আবেদন করা যাবে। যাচাই-বাছাই শেষে আগামী ২১, ২২, ২৩ ও ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।
এ সংক্রান্ত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশের মাধ্যমে জানাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে সরওয়ার আহমেদ চৌধুরী আবদাল ও সাধারণ সম্পাদক পদে জুবায়ের বখত জুবের বিজয়ী হয়েছেন।
তারা দুজনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার সৈয়দ মোহাম্মদ তারেক শুক্রবার ভোর ছয়টায় এ ফল ঘোষণা করেন। ওই সময় তাকে সহযোগিতা করেন সহকারী নির্বাচন কমিশনার এম. আবদুল করীম আকবরী ও জামিল আহমদ।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সমিতির ২ নম্বর হলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
আইনজীবী সমিতির ২৬ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৬৫ জন প্রার্থী।
সভাপতি পদে বিজয়ী সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল পান ৭৭০ ভোট। তিনি সিলেট মহানগরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে রয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতা এটিএম ফয়েজ ৬৫৮ ভোট পান।
সিনিয়র সহসভাপতি পদে আওয়ামী লীগ নেতা জ্যোতির্ময় পুরকায়স্থ (কাঞ্চন) সর্বোচ্চ ৫৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জোছনা ইসলাম ৩৫৫, আলী হায়দার ২৩৩ এবং সৈয়দ ফেরদৌস ২১৩ ভোট পান।
সহসভাপতি-২ পদে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগপন্থি ও জুলাই অভ্যুত্থানের ঘটনায় করা মামলার আসামি মোহাম্মদ মোখলিসুর রহমান। তিনি সর্বোচ্চ ৪৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুস সোহেব আহমদ (৩৮২), আবদুল হান্নান (৩৭৮) ও আফরোজ আহমদ (৬৪) ভোট পান।
সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হন জুবায়ের বখত জুবের। সাবেক এ ছাত্রলীগ নেতা ৩০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগপন্থি গোলাম রাজ্জাক ৫৮, বিএনপিপন্থি জোহরা জেসমিন ২৪, বামপন্থি দেলোয়ার হোসেন দিলু ২৮৫, আওয়ামী লীগপন্থি মাসুদুর রহমান মুন্না ৪৮, আওয়ামী লীগপন্থি মমিনুর রহমান টিটু ২৭৯, জামায়াতপন্থি আজিম উদ্দিন ১৮৪ ও বিএনপিপন্থি মশরুর চৌধুরী শওকত ২৪২ ভোট পান।
সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগপন্থি ওয়াহিদুর রহমান চৌধুরী ৭০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিপন্থি ইকবাল আহমদ ৪৭৮ ও বিএনপিপন্থি তাজ রিহান জামান ২৩৬ ভোট পান।
যুগ্ম সম্পাদকের ২ পদে বিএনপিপন্থি রব নেওয়াজ রানা ৪২০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতপন্থি আমিনুর রব চৌধুরী ১৫১, আওয়ামী লীগপন্থি কানন আলম ২৮৩, বিএনপিপন্থি সেবা বেগম ৩৫, বিএনপিপন্থি তানভীর আক্তার খান ২২২, জনতা পার্টির তাহামিনুল ইসলাম খান ২০২ ভোট পান।
এ ছাড়াও সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যের ১১টি পদের বিপরীতে ১৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ীরা হন। তারা হলেন অ্যাডভোকেট মো. গিয়াস উদ্দিন (৯৮৫ ভোট), এ.এস.এম. আব্দুল গফুর (৯২৩ ভোট), এ.কে.এম. ফখরুল ইসলাম (৯১৬ ভোট), মো. জামিলুল হক জামিল (৯১৪ ভোট), আবদুল মালিক (৮৯১ ভোট), কল্যাণ চৌধুরী (৮১৬ ভোট), আশিক উদ্দিন (৭৭৯ ভোট), জুবের আহমদ খান (৭৩৯ ভোট), আবু মো. আসাদ (৬৬৩ ভোট), মো. আলীম উদ্দিন (৬৬০ ভোট) এবং মো. ছয়ফুল হোসেন (৬২৬ ভোট)।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে শুক্রবার বাসের ধাক্কায় বিএনপির নেতাসহ মোটরসাইকেলের তিন আরোহী নিহত হয়েছেন।
ভোররাত চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তিনজন হলেন মিরসরাইয়ের মায়ানী বড়ুয়াপাড়ার বাসিন্দা ও বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রুবেল বড়ুয়া এবং নিপ্পু বড়ুয়া ও সনি বড়ুয়া।
মায়ানী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আশরাফ উদ্দিন জানান, তিনজন হোটেলে নাশতা করে বাড়ি ফেরার পথে বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘মিরসরাইয়ে দুর্ঘটনায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।’
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এ দুর্ঘটনায় শতাধিক বাড়িঘর পুড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
টেকনাফের নয়াপাড়া মৌচনি ক্যাম্পের জি-ব্লকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নয়াপাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ আবদুল হান্নান বলেন, ‘ক্যাম্পে আগুন লাগলে মুহূর্তেই আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে চারপাশ। এ সময় আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুর।’
মৃত শিশুর পরিচয় এখনও জানা যায়নি বলেও জানান তিনি।
১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মোহাম্মদ কাউসার সিকদার বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও রোহিঙ্গাদের এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুড়ে গেছে শতাধিক বাড়িঘর। এ ছাড়াও আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় এপিবিএন।’
আরও পড়ুন:মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের একটি পাহাড়ি ছড়া থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা চা-বাগানের ফাঁড়ি কুরঞ্জি এলাকার একটি ছড়া থেকে দীপেন মুন্ডার (৩৫) মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
দীপেন কুরমা চা বাগানের ফাঁড়ি কুরঞ্জি এলাকার প্রসাদ মুন্ডার ছেলে।
পুলিশের ভাষ্য, বৃহস্পতিবার সকালে কুরঞ্জি পুঞ্জির কাছে পাহাড়ি ছড়ায় একটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন। তার শরীরে ছিল একাধিক আঘাতের চিহ্ন। পরে স্বজনরা সেখানে গিয়ে লাশটি দীপেন মুন্ডার বলে শনাক্ত করে।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ আরও জানায়, বুধবার রাতে দুর্বৃত্তরা দীপেনকে নির্মমভাবে হত্যা করে কুরঞ্জি এলাকার একটি পাহাড়ি ছড়ায় লাশ ফেলে দিতে পারে।
এদিকে কমলগঞ্জ থানাকে বিষয়টি অবগত করলে খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কমলগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেনের নেতৃত্বে লাশ উদ্ধারে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
দীপেনের বাবা প্রসাদ মুন্ডা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ছেলের সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল কি না, জানা নেই। শেষকৃত্যানুষ্ঠান শেষে মামলা করব।’
কমলগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় দীপেনের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। পূর্বশত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করতে পারে।
আরও পড়ুন:হাওর অঞ্চলে সারের বাফার গুদাম করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. ছাইফুল আলম।
তিনি বলেন, ‘হাওর অঞ্চলের কৃষকদের জন্য অনেক দূর থেকে সার সরবরাহ করতে হয়। এ কারণে পরিবহন খরচ অনেক বেড়ে যায়। এ অবস্থায় হাওর অঞ্চলে সারের বাফার গুদাম করা প্রয়োজন।
‘সম্প্রতি কৃষি উপদেষ্টার সঙ্গে জুম মিটিংয়ে এখানকার কৃষি কর্মকর্তার সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ হলরুমে সোমবার দুপুরে আয়োজিত অবহিতকরণ কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
রবি/২০২৪-২৫ অর্থবছরে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় বোরো আবাদ বৃদ্ধিতে করণীয় বিষয়ে কর্মশালার আয়োজন করে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ খাদ্য উদ্বৃত্ত জেলা এবং হাওর খুবই বৈচিত্র্যময়। আমরা যদি কৌশলী হই, এখানকার সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে পারি এবং সঠিকভাবে কাজ করতে পারি, তাহলে খাদ্য উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব।’
বিএডিসির কর্মকর্তাদের এখানে কিছুটা অবহেলা রয়েছে উল্লেখ করে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘বিষয়টি সচিব মহোদয় অবহিত আছেন। এ অবহেলা কাটিয়ে উঠতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ফসলের মাঠ যদি ভালো না হয়, তবে বীজও ভালো হবে না। সে জন্য আগে ফসলের মাঠ ভালো করতে হবে। বীজ সরবরাহের ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে যে এলাকার জন্য যে জাত উপযোগী, সেটাই দিতে হবে।’
জমিতে সুষম মাত্রায় সার ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জমিতে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সার ব্যবহার করা হচ্ছে। সুষম মাত্রায় সার ব্যবহারের ক্ষেত্রে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের ভূমিকা রাখতে হবে। কৃষকদেরকে বোঝাতে হবে।
‘জৈব সারের ব্যবহার বাড়াতে হবে। জৈব সার ব্যবহারে রাসায়নিক সারের ওপর চাপ কমে আসবে এবং মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।’
কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ উইং) কৃষিবিদ আবু মো. এনায়েত উল্লাহ।
কর্মশালায় জেলার ১৩টি উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, কৃষক ও সংবাদকর্মীরা অংশ নেন।এতে বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার বিষয়গুলো তুলে ধরেন তারা।
আরও পড়ুন:মেহেরপুরের মুজিবনগর সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ২ কেজি ১৮ গ্রাম ওজনের ১৮টি স্বর্ণের বারসহ নুর হোসেন (৪৮) নামের ভারতীয় এক নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সীমান্তের ১০৪ নম্বর পিলারের কাছ থেকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
নুরের বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার হৃদয়পুর গ্রামে।
৬ বিজিবি চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মাদ জাহিদুর রহমান জানান, মুজিবনগরের সীমান্ত মাঠের মধ্যে দিয়ে স্বর্ণ চালান হবে, এমন খবরের ভিত্তিতে সীমান্তের মেইন পিলার ১০৪-এর সাব পিলার ৫-এর কাছে অবস্থান নেন মুজিবনগর সীমান্ত চৌকির (বিওপি) টহল কমান্ডার হাবিলদার রফিকুল ইসলামসহ বাহিনীর সদস্যরা। সন্দেহভাজন একজন বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করলে তাকে চ্যালেঞ্জ করেন বিজিবির সদস্যরা। ওই সময় পালানোর চেষ্টা করলে বিজিবি সদস্যরা তার পেছনে ধাওয়া করেন।
পরে মাঠের মধ্যে থেকে আটক করা হয়। ওই সময় নুর হোসেনের শরীর তল্লাশি চালান বিজিবির সদস্যরা। তার কোমরের সঙ্গে প্যান্টের ভেতর স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো তিনটি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। প্যাকেটের মধ্য থেকে ২ কেজি ১৮ গ্রাম ওজনের ১৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় হাবিলদার রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মুজিবনগর থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ ছাড়াও স্বর্ণের বারগুলো মেহেরপুর ট্রেজারি অফিসে জমার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য