২০২১ সালের প্রথম কর্মদিবসে যতটা হয়েছিল, ততটা না হলেও নতুন বছরের প্রথম দিনও বড় উত্থান দেখল পুঁজিবাজার। পতনের মধ্যে থাকা বাজারে এক দিনেই সূচক বাড়ল প্রায় এক শ পয়েন্ট।
গত সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দর সংশোধনে থাকা পুঁজিবাজার অর্থবছরের শেষ মাসে দেখে আরও পতন। গত ৭ ডিসেম্বর বাজার নিয়ে দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসিকে নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বৈঠক থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসার পর পতন হতে থাকে। বছরের শেষ দিন সূচক ২৫ পয়েন্ট বাড়লেও সেই দিনের পর ১৬ দিনে কমে ২৯২ পয়েন্ট।
অর্থবছরের শেষে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতা থাকে। সে সময় নতুন বিনিয়োগে যাওয়ার ঘটনা সচরাচর ঘটে না। এর মধ্যে পুঁজিবাজার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির মধ্যে মতভিন্নতার বিষয়টি সামনে আসার পর হাত গুটিয়ে বসে থাকে ব্যক্তি শ্রেণির বড় বিনিয়োগকারীরাও।
এই অবস্থায় নতুন বছরের প্রথম দিন বাজারে কী আচরণ হয়, তা নিয়ে দৃষ্টি ছিল বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। রোববারের আচরণে কিছুটা হলেও আশাবাদী হতে পারে তারা।
সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুই হয় ২২ পয়েন্ট সূচক বেড়ে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূচকে যোগ হতে থাকে আরও পয়েন্ট। এক পর্যায়ে বেলা দুইটায় সূচক আগের দিনের চেয়ে ১০৪ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হতে থাকে। সে সময় সূচক আরও বাড়ছিল। তবে এর পরের আধা ঘণ্টায় সেখান থেকে কিছুটা কমে। দিন শেষে ৯৬.৪৮ পয়েন্ট বেড়ে সূচক দাঁড়ায় ৬ হাজার ৮৫৩ পয়েন্টে।
সূচকের এই অবস্থান গত ১৫ ডিসেম্বরের পর সর্বোচ্চ। সেদিন সূচক ছিল ৬ হাজার ৮৬৮.১ পয়েন্ট।
এদিন লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেড়েছে ২৬৪টির দর, কমে ৬৪টির। আর দর অপরিবর্তিত থাকে ২০টির।
২০২১ সালের প্রথম কর্মদিবসেও সূচকের উত্থান দেখেছিল পুঁজিবাজার। সে বছর প্রথম দিনে সূচক বেড়েছিল ২১৬.৮৯ পয়েন্ট। তার আগের বছরের শেষ মাসেও বাজারে ছিল চাঙাভাব।
তবে লেনদেনের দিক থেকে বিবেচনা করলে ব্যাপক পার্থক্য দেখা যায় দুই বছরের প্রথম দিনে।
২০২১ সালের প্রথম কর্মদিবসে হাতবদল হয়েছিল ১ হাজার ৯২৫ কোটি ৭৭ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। এবার তা হয়েছে অর্ধেক মাত্র।
আস্থাহীনতার বাজারে নতুন বছরের প্রথম দিন হাতবদল হয়েছে ৮৯৪ কোটি ১৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকা মাত্র।
চাঙাভাব দেখা গেছে প্রায় সব খাতেই। তবে কোম্পানির সংখ্যার বিবেচনায় ভালো দিন সবচেয়ে বেশি গেছে বস্ত্র খাতে। ব্যাংক, আর্থিক, প্রকৌশল, খাদ্য, তথ্য প্রযুক্তি, বিবিধ, ওষুধ রসায়ন খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারধারীদের বিও হিসাবেই যোগ হয়েছে টাকা।
খাতওয়ারি সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ছিল বিবিধতে। এই খাতের প্রধান কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেডই এর কারণ। এর পরের অবস্থানগুলো যথাক্রমে, বিমা, ব্যাংক, ওষুধ রসায়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বস্ত্রতে।
উত্থানে ভূমিকা যাদের
নতুন বছরের প্রথম কর্মদিবসে সূচকের ব্যাপক উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবিসি)। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.৬৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় সূচক বেড়েছে ১১ পয়েন্ট।
৯.৬৯ শতাংশ সূচক বাড়িয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৩.৮৪ শতাংশ।
লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড আর ব্যাংক খাতের আইএফআইসি ব্যাংক সূচক বৃদ্ধিতে যথাক্রমে ৭.২১ শতাংশ ও ৪.২৯ পয়েন্ট অবদান রেখেছে।
বেক্সিমকোফার্মা শেয়ার দর বেড়েছে ২.৩৪ শতাংশ। এতে সূচক বেড়েছে ৩.৯ শতাংশ। পাওয়ারগ্রিডের শেয়ার দর ৩.৩৬ শতাংশ বাগার কারণে সূচক বেড়েছে ২.৭৭ পয়েন্ট। ফরচুন সুজের শেয়ার দর ৯.৯৯ শতাংশ বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে ২.৭৬ পয়েন্ট।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির শেয়ার দর ৯.৮৭ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ২.১ পয়েন্ট। বার্জারপেইন্টস ২.০৮ পয়েন্ট ও ইউনাইটেড পাওয়ার সূচক বাড়িয়েছে ২.০২ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৪৮.০১ পয়েন্ট।
অন্যদিকে এক মাসে ৪১৩ টাকা বা ৭৫.৮২ শতাংশ দর বৃদ্ধি পাওয়া সোনালী পেপার বছরের প্রথম দিন দর হারিয়েছে ৫৯ টাকা ৯০ পয়সা। এর প্রভাবে সূচক থেকে হারিয়েছে ২.৫৬ পয়েন্ট।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওয়ালটনের দর কমেছে ০.৩৭ শতাংশ। সূচক কমেছে ২.৪৮ পয়েন্ট।
রেনাটা, আইসিবি, স্কয়ার ফার্মা, ব্যাংক এশিয়া, ইবিএল, বাটা শু, বিকন ফার্মা, ও ব্র্যাক ব্যাংক সূচক কিছুটা টেনে ধরার চেষ্টা করেছে।
এক ১০টি কোম্পানি মিলিয়ে সূচক কমিয়েছে ১৩.২২ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে যেসব কোম্পানি
দিনের সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হয়েছে এমন কোম্পানি ছিল পাঁচটি। এরমধ্যে ১০ শতাংশে শেয়ার দর বেড়েছে আরএন স্পিনিং মিলসের। বন্ধ ও লোকসানি কোম্পানিটি একই মালিকের অন্য কোম্পানির সঙ্গে একীভূত হচ্ছে, এই খবরে ৬ টাকার শেয়ার ১০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৬ টাকা ৬০ পয়সা।
নয় শতাংশের বেশি দর বৃদ্ধিতে ছিল বাকি চারটি কোম্পানি। এগুলোর মধ্যে ফরচুন সুজের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯৮ শতাংশ। ৯২ টাকা ১০ পয়সা দরের শেয়ার পৌঁছেছে ১০১ টাকা ৩০ পয়সায়।
সিভিও পেট্টোক্যামিকেলের দর বেড়েছে ৯.৯৬ শতাংশ। ১১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা লেনদেনে এদিন কোম্পানিটির ৫ লাখ ৭৬ হাজার ৬২৯টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার দর বেড়েছে আরও ৯.৮৭ শতাংশ। লাভেলো আইসক্রিমের দর বেড়েছে ৯.৮২ শতাংশ।
সাত থেকে সাত শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে ছয়টি কোম্পানির। এগুলোর মধ্যে ঢাকা ডাইংয়ের দর বেড়েছে ৭.৮৮ শতাংশ। ৯ কোটি ২১ লাখ টাকায় ৩৬ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬২টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
আইএফআইসি ব্যাংকের দর ৭.৬৯ শতাংশ, পেনিনসুলার ৭.৬২ শতাংশ, গোল্ডেনসনের ৭.৩৩ শতাংশ, একমি পেস্ট্রিসাইডসের দর ৭.০৯ শতাংশ, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের দর বেড়েছে ৭.০৬ শতাংশ।
চারটি কোম্পানির দর ৬ শতাংশের বেশি, ১০টি কোম্পানির দর ৫ শতাংশের বেশি, ৪৩টির দর ৩ শতাংশের বেশি, ৫২টি কোম্পানির দর ২ শতাংশের বেশি, ৮৩টি কোম্পানির দর বেড়েছে এক শতাংশের বেশি।
দর পতনের শীর্ষে যারা
কাগজ ও প্রকাশনা খাতের সোনালী পেপার ছিল দর পতনের শীর্ষ তালিকায়। কোম্পানিটিতে ২৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা লেনদেন হলেও দর কমেছে ৬.২৫ শতাংশ। শেয়ার দর ৯৫৭ টাকা ৭০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৮৯৭ টাকা ৮০ পয়সা।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা এটলাস বাংলাদেশের দর কমেছে ৬.২০ শতাংশ।
চার শতাংশের বেশি শেয়ার দর পতন হওয়া একমাত্র কোম্পানি এশিয়া ইন্স্যুরেন্স। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর ১১৫ টাকা থেকে ৪.৭৮ শতাংশ কমে হয়েছ ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। কাগজ খাতের আরেক কোম্পানি মনস্পুল পেপারের দর কমেছে ৩.৫৭ শতাংশ।
আরও তিনটি কোম্পানির শেয়ার দর তিন শতাংশের বেশি কমেছে। এগুলোর মধ্যে রিলায়েন্স ওয়ান মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩.৪৪ শতাংশ, কেঅ্যান্ডকিউ এর দর ৩.৩২ শতাংশ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ৩.১৬ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।
দুই শতাংশের বেশি শেয়ার দরপতন হওয়া কোম্পানির তালিকায় ছিল বাটা শু, যার দর ২.৭৯ শতাংশ, রেনউইক যজ্ঞেশ্বরের দর ২.৩৭ শতাংশ, ব্যাংক এশিয়ার দর ২.২৯ শতাংশ, রহিম টেক্সটাইলের দর ২.১৫ শতাংশ, ন্যাশনাল টিউবের দর ২.০১ শতাংশ কমেছে।
লেনদেনে সেরা যারা
প্রায় এক শ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের। ৬৪ লাখ ৮২ হাজার ৩৭৪টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে বিবিধ খাতের এই কোম্পানিটির।
তারপরই ছিল বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশ, যার ৫১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা লেনদেনে হাতবদল হয়েছে ৬৭ লাখ ৫৫ হাজার ৮০০টি শেয়ার।
ফরচুন সুজে লেনদেন হয়েছে ৪৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৪৭ লাখ ৮৮ হাজার ২৭টি।
আইএফআইসি ব্যাংকে লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ১৪ লাখ টাকার। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ৬৯ লাখ ১৪ হাজার ২৬১টি।
জিএসপি ফাইন্যান্সে লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ২২ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ১ লাখ ৪০ হাজার ৭০৬টি।
এছাড়া সোনালী পেপারে ২৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, ওয়ান ব্যাংকে ১৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, জেনেক্স ইনফোসিসে ১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, ডেল্টা লাইফে ১৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা, পাওয়ারগ্রিডে ১৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সে লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য