× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The beginning of the re emergence of the year did not return to the pace of transactions
google_news print-icon

আবার উত্থানে শুরু বছর, গতি ফেরেনি লেনদেনে

আবার-উত্থানে-শুরু-বছর-গতি-ফেরেনি-লেনদেনে-
ব্রোকারেজ হাউজে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন দেখছেন বিনিয়োগকারীরা। ছবি: নিউজবাংলা
সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুই হয় ২২ পয়েন্ট সূচক বেড়ে। দিন শেষে ৯৬.৪৮ পয়েন্ট বেড়ে সূচক দাঁড়ায় ৬ হাজার ৮৫৩ পয়েন্টে। ২০২১ সালের প্রথম দিন সূচক বেড়েছিল ২১৬.৮৯ পয়েন্ট।

২০২১ সালের প্রথম কর্মদিবসে যতটা হয়েছিল, ততটা না হলেও নতুন বছরের প্রথম দিনও বড় উত্থান দেখল পুঁজিবাজার। পতনের মধ্যে থাকা বাজারে এক দিনেই সূচক বাড়ল প্রায় এক শ পয়েন্ট।

গত সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দর সংশোধনে থাকা পুঁজিবাজার অর্থবছরের শেষ মাসে দেখে আরও পতন। গত ৭ ডিসেম্বর বাজার নিয়ে দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসিকে নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বৈঠক থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসার পর পতন হতে থাকে। বছরের শেষ দিন সূচক ২৫ পয়েন্ট বাড়লেও সেই দিনের পর ১৬ দিনে কমে ২৯২ পয়েন্ট।

অর্থবছরের শেষে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতা থাকে। সে সময় নতুন বিনিয়োগে যাওয়ার ঘটনা সচরাচর ঘটে না। এর মধ্যে পুঁজিবাজার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির মধ্যে মতভিন্নতার বিষয়টি সামনে আসার পর হাত গুটিয়ে বসে থাকে ব্যক্তি শ্রেণির বড় বিনিয়োগকারীরাও।

এই অবস্থায় নতুন বছরের প্রথম দিন বাজারে কী আচরণ হয়, তা নিয়ে দৃষ্টি ছিল বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। রোববারের আচরণে কিছুটা হলেও আশাবাদী হতে পারে তারা।

সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুই হয় ২২ পয়েন্ট সূচক বেড়ে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূচকে যোগ হতে থাকে আরও পয়েন্ট। এক পর্যায়ে বেলা দুইটায় সূচক আগের দিনের চেয়ে ১০৪ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হতে থাকে। সে সময় সূচক আরও বাড়ছিল। তবে এর পরের আধা ঘণ্টায় সেখান থেকে কিছুটা কমে। দিন শেষে ৯৬.৪৮ পয়েন্ট বেড়ে সূচক দাঁড়ায় ৬ হাজার ৮৫৩ পয়েন্টে।

সূচকের এই অবস্থান গত ১৫ ডিসেম্বরের পর সর্বোচ্চ। সেদিন সূচক ছিল ৬ হাজার ৮৬৮.১ পয়েন্ট।

আবার উত্থানে শুরু বছর, গতি ফেরেনি লেনদেনে
অর্থবছরের প্রথম দিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র

এদিন লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেড়েছে ২৬৪টির দর, কমে ৬৪টির। আর দর অপরিবর্তিত থাকে ২০টির।

২০২১ সালের প্রথম কর্মদিবসেও সূচকের উত্থান দেখেছিল পুঁজিবাজার। সে বছর প্রথম দিনে সূচক বেড়েছিল ২১৬.৮৯ পয়েন্ট। তার আগের বছরের শেষ মাসেও বাজারে ছিল চাঙাভাব।

তবে লেনদেনের দিক থেকে বিবেচনা করলে ব্যাপক পার্থক্য দেখা যায় দুই বছরের প্রথম দিনে।

২০২১ সালের প্রথম কর্মদিবসে হাতবদল হয়েছিল ১ হাজার ৯২৫ কোটি ৭৭ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। এবার তা হয়েছে অর্ধেক মাত্র।

আস্থাহীনতার বাজারে নতুন বছরের প্রথম দিন হাতবদল হয়েছে ৮৯৪ কোটি ১৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকা মাত্র।

চাঙাভাব দেখা গেছে প্রায় সব খাতেই। তবে কোম্পানির সংখ্যার বিবেচনায় ভালো দিন সবচেয়ে বেশি গেছে বস্ত্র খাতে। ব্যাংক, আর্থিক, প্রকৌশল, খাদ্য, তথ্য প্রযুক্তি, বিবিধ, ওষুধ রসায়ন খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারধারীদের বিও হিসাবেই যোগ হয়েছে টাকা।

খাতওয়ারি সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ছিল বিবিধতে। এই খাতের প্রধান কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেডই এর কারণ। এর পরের অবস্থানগুলো যথাক্রমে, বিমা, ব্যাংক, ওষুধ রসায়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বস্ত্রতে।

উত্থানে ভূমিকা যাদের

নতুন বছরের প্রথম কর্মদিবসে সূচকের ব্যাপক উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবিসি)। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.৬৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় সূচক বেড়েছে ১১ পয়েন্ট।

৯.৬৯ শতাংশ সূচক বাড়িয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৩.৮৪ শতাংশ।

লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড আর ব্যাংক খাতের আইএফআইসি ব্যাংক সূচক বৃদ্ধিতে যথাক্রমে ৭.২১ শতাংশ ও ৪.২৯ পয়েন্ট অবদান রেখেছে।

আবার উত্থানে শুরু বছর, গতি ফেরেনি লেনদেনে
সূচক যত বেড়েছে, তার অর্ধেকেই বাড়িয়েছে এই ১০ কোম্পানি

বেক্সিমকোফার্মা শেয়ার দর বেড়েছে ২.৩৪ শতাংশ। এতে সূচক বেড়েছে ৩.৯ শতাংশ। পাওয়ারগ্রিডের শেয়ার দর ৩.৩৬ শতাংশ বাগার কারণে সূচক বেড়েছে ২.৭৭ পয়েন্ট। ফরচুন সুজের শেয়ার দর ৯.৯৯ শতাংশ বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে ২.৭৬ পয়েন্ট।

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির শেয়ার দর ৯.৮৭ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ২.১ পয়েন্ট। বার্জারপেইন্টস ২.০৮ পয়েন্ট ও ইউনাইটেড পাওয়ার সূচক বাড়িয়েছে ২.০২ পয়েন্ট।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৪৮.০১ পয়েন্ট।

অন্যদিকে এক মাসে ৪১৩ টাকা বা ৭৫.৮২ শতাংশ দর বৃদ্ধি পাওয়া সোনালী পেপার বছরের প্রথম দিন দর হারিয়েছে ৫৯ টাকা ৯০ পয়সা। এর প্রভাবে সূচক থেকে হারিয়েছে ২.৫৬ পয়েন্ট।

দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওয়ালটনের দর কমেছে ০.৩৭ শতাংশ। সূচক কমেছে ২.৪৮ পয়েন্ট।

রেনাটা, আইসিবি, স্কয়ার ফার্মা, ব্যাংক এশিয়া, ইবিএল, বাটা শু, বিকন ফার্মা, ও ব্র্যাক ব্যাংক সূচক কিছুটা টেনে ধরার চেষ্টা করেছে।

এক ১০টি কোম্পানি মিলিয়ে সূচক কমিয়েছে ১৩.২২ পয়েন্ট।

আবার উত্থানে শুরু বছর, গতি ফেরেনি লেনদেনে
এই ১০টি কোম্পানি সূচক নিচের দিকে টেনে ধরার চেষ্টা করেছে

দর বৃদ্ধির শীর্ষে যেসব কোম্পানি

দিনের সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হয়েছে এমন কোম্পানি ছিল পাঁচটি। এরমধ্যে ১০ শতাংশে শেয়ার দর বেড়েছে আরএন স্পিনিং মিলসের। বন্ধ ও লোকসানি কোম্পানিটি একই মালিকের অন্য কোম্পানির সঙ্গে একীভূত হচ্ছে, এই খবরে ৬ টাকার শেয়ার ১০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৬ টাকা ৬০ পয়সা।

নয় শতাংশের বেশি দর বৃদ্ধিতে ছিল বাকি চারটি কোম্পানি। এগুলোর মধ্যে ফরচুন সুজের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯৮ শতাংশ। ৯২ টাকা ১০ পয়সা দরের শেয়ার পৌঁছেছে ১০১ টাকা ৩০ পয়সায়।

সিভিও পেট্টোক্যামিকেলের দর বেড়েছে ৯.৯৬ শতাংশ। ১১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা লেনদেনে এদিন কোম্পানিটির ৫ লাখ ৭৬ হাজার ৬২৯টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার দর বেড়েছে আরও ৯.৮৭ শতাংশ। লাভেলো আইসক্রিমের দর বেড়েছে ৯.৮২ শতাংশ।

সাত থেকে সাত শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে ছয়টি কোম্পানির। এগুলোর মধ্যে ঢাকা ডাইংয়ের দর বেড়েছে ৭.৮৮ শতাংশ। ৯ কোটি ২১ লাখ টাকায় ৩৬ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬২টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।

আইএফআইসি ব্যাংকের দর ৭.৬৯ শতাংশ, পেনিনসুলার ৭.৬২ শতাংশ, গোল্ডেনসনের ৭.৩৩ শতাংশ, একমি পেস্ট্রিসাইডসের দর ৭.০৯ শতাংশ, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের দর বেড়েছে ৭.০৬ শতাংশ।

চারটি কোম্পানির দর ৬ শতাংশের বেশি, ১০টি কোম্পানির দর ৫ শতাংশের বেশি, ৪৩টির দর ৩ শতাংশের বেশি, ৫২টি কোম্পানির দর ২ শতাংশের বেশি, ৮৩টি কোম্পানির দর বেড়েছে এক শতাংশের বেশি।

দর পতনের শীর্ষে যারা

কাগজ ও প্রকাশনা খাতের সোনালী পেপার ছিল দর পতনের শীর্ষ তালিকায়। কোম্পানিটিতে ২৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা লেনদেন হলেও দর কমেছে ৬.২৫ শতাংশ। শেয়ার দর ৯৫৭ টাকা ৭০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৮৯৭ টাকা ৮০ পয়সা।

দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা এটলাস বাংলাদেশের দর কমেছে ৬.২০ শতাংশ।

আবার উত্থানে শুরু বছর, গতি ফেরেনি লেনদেনে
লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে এই ৬ কোম্পানি

চার শতাংশের বেশি শেয়ার দর পতন হওয়া একমাত্র কোম্পানি এশিয়া ইন্স্যুরেন্স। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর ১১৫ টাকা থেকে ৪.৭৮ শতাংশ কমে হয়েছ ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। কাগজ খাতের আরেক কোম্পানি মনস্পুল পেপারের দর কমেছে ৩.৫৭ শতাংশ।

আরও তিনটি কোম্পানির শেয়ার দর তিন শতাংশের বেশি কমেছে। এগুলোর মধ্যে রিলায়েন্স ওয়ান মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩.৪৪ শতাংশ, কেঅ্যান্ডকিউ এর দর ৩.৩২ শতাংশ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ৩.১৬ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।

দুই শতাংশের বেশি শেয়ার দরপতন হওয়া কোম্পানির তালিকায় ছিল বাটা শু, যার দর ২.৭৯ শতাংশ, রেনউইক যজ্ঞেশ্বরের দর ২.৩৭ শতাংশ, ব্যাংক এশিয়ার দর ২.২৯ শতাংশ, রহিম টেক্সটাইলের দর ২.১৫ শতাংশ, ন্যাশনাল টিউবের দর ২.০১ শতাংশ কমেছে।

লেনদেনে সেরা যারা

প্রায় এক শ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের। ৬৪ লাখ ৮২ হাজার ৩৭৪টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে বিবিধ খাতের এই কোম্পানিটির।

তারপরই ছিল বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশ, যার ৫১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা লেনদেনে হাতবদল হয়েছে ৬৭ লাখ ৫৫ হাজার ৮০০টি শেয়ার।

আবার উত্থানে শুরু বছর, গতি ফেরেনি লেনদেনে
কাগজ ছাড়া প্রায় সব খাতেই শেয়ারে দেখা গেছে চাঙাভাব

ফরচুন সুজে লেনদেন হয়েছে ৪৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৪৭ লাখ ৮৮ হাজার ২৭টি।

আইএফআইসি ব্যাংকে লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ১৪ লাখ টাকার। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ৬৯ লাখ ১৪ হাজার ২৬১টি।

জিএসপি ফাইন্যান্সে লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ২২ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ১ লাখ ৪০ হাজার ৭০৬টি।

এছাড়া সোনালী পেপারে ২৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, ওয়ান ব্যাংকে ১৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, জেনেক্স ইনফোসিসে ১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, ডেল্টা লাইফে ১৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা, পাওয়ারগ্রিডে ১৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সে লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Stock market Trading started with a fall in the first hour

পুঁজিবাজার: প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

পুঁজিবাজার: প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু পতন দিয়ে প্রতীকী ছবি
শুরুর ঘণ্টায় বাজারে লেনদেন হয় প্রায় ৮০ কোটি টাকার। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে দাম কমে ১৫৪টি এবং বাড়ে ১২২টি শেয়ারের। দাম অপরিবর্তিত ছিল ৮০টি শেয়ারের।

ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শুরু হয়েছে পতন দিয়ে।

লেনদেনের শুরুর ঘণ্টাতেই পয়েন্ট কমে তিনটি সূচকের।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সোমবার লেনদেন শুরুর পর থেকেই সূচক কমতে থাকে।

প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৬ পয়েন্ট। আর বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএসই-৩০ কমেছে ২ পয়েন্ট।

পতনের ধারা অব্যাহত ছিল শরিয়াহভিত্তিক শেয়ারের সূচকে। ডিএসইএসের সূচক কমে দশমিক ১৩ পয়েন্ট।

শুরুর ঘণ্টায় বাজারে লেনদেন হয় প্রায় ৮০ কোটি টাকার। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে দাম কমে ১৫৪টি এবং বাড়ে ১২২টি শেয়ারের। দাম অপরিবর্তিত ছিল ৮০টি শেয়ারের।

দামের দিক থেকে ভালো অবস্থানে ছিল অটোমোবাইল, পেপার মিলস, ফেব্রিকস ও প্রকৌশল কোম্পানির শেয়ারের দাম। দিনের শুরুতে শীর্ষ ২০ ব্যাংক খাতের শেয়ারের সংখ্যা তিনটি।

এদিকে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজার সূচক হারিয়েছে ৩৮ পয়েন্ট। দুই দিনের পতনে বর্তমানে প্রধান সূচক কমে নেমেছে ৫ হাজার ১৫৫ পয়েন্টে।

পতনের ধারা অব্যাহত আছে চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় নিম্নমুখী ছিল প্রধান সূচক।

এ পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতেই দাম কমেছে ৪১টি এবং বেড়েছে ২৭টি কোম্পানির শেয়ারের। প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন হয়েছে ৪৭ কোটি টাকার শেয়ার ও বন্ডের।

আরও পড়ুন:
বেক্সিমকোর শেয়ার কারসাজি: নয় বিনিয়োগকারীকে ৪২৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা জরিমানা
ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি খতিয়ে দেখার নির্দেশ
শেয়ার কারসাজি: সাকিবকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা
সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ২০ জনের বিও হিসাব জব্দ
পুঁজিবাজারে ক্রমশই নিম্নগতি, হতাশ বিনিয়োগকারীরা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Financial advisor blames regulators for instability in capital market

পুঁজিবাজারে অস্থিরতায় রেগুলেটরদের দুষলেন অর্থ উপদেষ্টা

পুঁজিবাজারে অস্থিরতায় রেগুলেটরদের দুষলেন অর্থ উপদেষ্টা রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমাদের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের মতো পুঁজিবাজারের অবস্থাও একই রকমের। পুঁজিবাজারের শেয়ার প্রাইস কমে যাচ্ছে বলেই ‘চেয়ারম্যানকে রিমুভ কর’ বলে মিছিল হচ্ছে। আমি এ ব্যাপারে অনড়। বলেছি, থাকো।”

দেশের পুঁজিবাজারে অস্থিরতার জন্য বড় খেলোয়াড় ও রেগুলেটরদের দায়ী করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘এজন্য বিনিয়োগকারীদের দায়ী করছি না। এর পেছনে প্লেয়ার ও রেগুলেটরের অনেক দোষ আছে। এ বিষয়টি প্রচার করা দরকার। আমরা এগুলো পরিবর্তন ও সংস্কারের চেষ্টা করছি।’

শনিবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’-এর ষষ্ঠ সংস্করণের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আর্থিক খাতের সঠিক তথ্য তুলে ধরাই ব্যাংকিং অ্যালমানাকের মূল উদ্দেশ্য। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা বাংলাদেশের আর্থিক, সামাজিক ও অন্যান্য খাতের পরিসংখ্যান নিয়ে নানা ধরনের সন্দেহ প্রকাশ করে। এতে তথ্য-উপাত্তের গ্রহণযোগ্যতা ক্ষুণ্ন হয়। এছাড়া যেকোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা বা গবেষণার জন্য সঠিক তথ্য-উপাত্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) বলা হয়েছে, তথ্য যা আছে তা-ই যেন প্রকাশ করা হয়। এখানে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই।

“আমাদের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের মতো পুঁজিবাজারের অবস্থাও একই রকমের। পুঁজিবাজারের শেয়ার প্রাইস কমে যাচ্ছে বলেই ‘চেয়ারম্যানকে রিমুভ কর’ বলে মিছিল হচ্ছে। আমি এ ব্যাপারে অনড়। বলেছি, থাকো।”

বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘আপনারা জেড ক্যাটাগরির শেয়ার কিনছেন, যার কোনো অস্তিত্ব নেই। অথচ এই শেয়ার মহা আনন্দে কিনছেন। এগুলোর ন্যূনতম কোনো মূল্য নেই, কয়েকদিন পরই এগুলো ওয়েস্ট পেপার হিসেবে ব্যবহার হবে। এজন্য একটু কষ্ট করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সঠিক তথ্য-উপাত্ত ছাড়া কোনো কিছু মূল্যায়ন হয় না। বিগত ১৫ বছরের তথ্য-বিভ্রাট নিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। মূল্যস্ফীতি, জিডিপি নিয়ে তথ্য বিভ্রাটের পেছনে অনিচ্ছাকৃত কিছুটা ভুল রয়েছে; আবার নীতিনির্ধারকরাও তথ্য লুকানোর চেষ্টা করেন। এ অবস্থা থেকে বের হতে হবে।’

তথ্য বিভ্রাটের বিষয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা কোনো পাওয়ার দেখাতে আসিনি, একটি দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। বিগত ১৫ বছরের তথ্য নিয়ে নানা বিভ্রাট রয়েছে। তথ্য লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

‘আমরা এগুলো পরিবর্তন ও সংস্কারের চেষ্টা করছি। কারণ দাতা সংস্থাগুলো আমাদের কাছে নানা প্রশ্ন করে। তারা বোঝাতে চান, আগেই কম ছিল ইত্যাদি। এ নিয়ে আমরা তাদের বোঝাচ্ছি- আগের তথ্য লুকানো ছিল, আমরা সঠিকটা উপস্থাপন করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো করার চেষ্টা করছি, যাতে ব্যবসায়ীরা এক স্থান থেকে সব তথ্য পায়। তথ্যের জন্য ব্যবসায়ীদের ১০ জায়গায় দৌড়াতে হবে না। যদি আরও সুসংহতভাবে তথ্য ম্যানেজমেন্ট (ব্যবস্থাপনা) করতে না পারি তাহলে সামনে আরও সমস্যা তৈরি হবে। আমাদের এই মিথ্যা তথ্যের প্রয়োজন নেই। কারণ প্রিয় মিথ্যা যন্ত্রণাদায়ক।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকিং অ্যালমানাকের চেয়ারম্যান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সিকদার, এবিবির সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, বইটির নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ জিয়া উদ্দিন আহমেদ, প্রকল্প পরিচালক আব্দার রহমান প্রমুখ।

২০১৬ সাল থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকের বার্ষিক তথ্য নিয়ে ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’ নামের এ প্রকাশনা প্রকাশ করে আসছে সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘শিক্ষাবিচিত্রা’।

আরও পড়ুন:
দেশে যে ক্ষত হয়েছে সেটা প্যারাসিটামলে সারবে না: অর্থ উপদেষ্টা
ভারত ইচ্ছেমতো স্লুইস গেট খোলে আর বন্ধ করে: অর্থ উপদেষ্টা
ভবিষ্যতে কেউ টাকা পাচার করতে পারবে না সে পলিসি হচ্ছে: অর্থ উপদেষ্টা
স্বল্পমেয়াদি সংস্কারে অগ্রাধিকার দিচ্ছে বর্তমান সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
বিশ্বব্যাংক ও আইএফসি তিন খাতে সংস্কারে সহায়তা দেবে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Indices up big in first hour on DSE

ডিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান

ডিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান ডিএসইর লোগো। ছবি: ইউএনবি
সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইএক্সের প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৬৫ দশমিক ৭১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৪৪ দশমিক ৫৮ পয়েন্টে, ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ২২ দশমিক ৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৭৫ দশমিক ২৫ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ স্পেশাল ব্লু চিপ ২৩ দশমিক ৫২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৩১ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে দাঁড়ায়।

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার কর্মদিবসের শুরুর প্রথম ঘণ্টায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে।

৪৫ হাজার ৩৫৫ লেনদেনের মাধ্যমে ৪ কোটি ৬৩ লাখ শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে।

এ সময়ে ২৬২ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে।

ওই সময় ডিএসইতে ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে দাম বাড়ে ৩০৬টির, কমে ৩৪টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩৮টি কোম্পানির শেয়ারমূল্য।

সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইএক্সের প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৬৫ দশমিক ৭১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৪৪ দশমিক ৫৮ পয়েন্টে, ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ২২ দশমিক ৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৭৫ দশমিক ২৫ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ স্পেশাল ব্লু চিপ ২৩ দশমিক ৫২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৩১ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে দাঁড়ায়।

আরও পড়ুন:
বেক্সিমকোর শেয়ার কারসাজি: নয় বিনিয়োগকারীকে ৪২৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা জরিমানা
ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি খতিয়ে দেখার নির্দেশ
শেয়ার কারসাজি: সাকিবকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা
সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ২০ জনের বিও হিসাব জব্দ
পুঁজিবাজারে ক্রমশই নিম্নগতি, হতাশ বিনিয়োগকারীরা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Stock market four consecutive days of falling index

পুঁজিবাজার: টানা চার দিন পতন সূচকে

পুঁজিবাজার: টানা চার দিন পতন সূচকে ডিএসইর এক ব্রোকারেজ হাউসে একজন বিনিয়োগকারী। ফাইল ছবি
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, লেনদেন শুরুর প্রথম দুই ঘণ্টায় ৬৩ হাজার ৩২৬টি লেনদেনের মাধ্যমে ১৭৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের কেনাবেচা হয়েছে, যা মঙ্গলবারের একই সময়ের তুলনায় ৪৭ কোটি টাকা কম। 

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবারও সূচকের পতন হয়েছে।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, লেনদেন শুরুর প্রথম দুই ঘণ্টায় ৬৩ হাজার ৩২৬টি লেনদেনের মাধ্যমে ১৭৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের কেনাবেচা হয়েছে, যা মঙ্গলবারের একই সময়ের তুলনায় ৪৭ কোটি টাকা কম।

গতকাল মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২২৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

আজ সকালে ৩৭৩টি কোম্পানি লেনদেন করেছে। এর মধ্যে ১৪০টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৫৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮০টির শেয়ার। এটি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মিশ্র মনোভাবকেই তুলে ধরে।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৮৩ দশমিক ০৭ পয়েন্টে স্থির হয়।

এদিকে ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক শূন্য দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৫৪ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে, তবে ডিএস৩০-এর ব্লু-চিপ শেয়ারগুলোর সূচক ১১ দশমিক ০৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৩১ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে দাঁড়ায়।

আরও পড়ুন:
বেক্সিমকোর শেয়ার কারসাজি: নয় বিনিয়োগকারীকে ৪২৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা জরিমানা
ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি খতিয়ে দেখার নির্দেশ
শেয়ার কারসাজি: সাকিবকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা
সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ২০ জনের বিও হিসাব জব্দ
পুঁজিবাজারে ক্রমশই নিম্নগতি, হতাশ বিনিয়োগকারীরা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The confidence of investors is increasing and the capital market is turning around

আস্থা বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের, ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পুঁজিবাজার

আস্থা বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের, ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পুঁজিবাজার ডিএসইর একটি ব্রোকারেজ হাউসে বিনিয়োগকারীরা। ফাইল ছবি
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘আগাম শেয়ার নিষ্পত্তি, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অফ বাংলাদেশের মাধ্যমে তারল্য সহায়তা এবং সম্ভাব্য মূলধন লাভের কর কমানোসহ বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের কারণে বাজারে ইতিবাচক চিত্র দেখা যাচ্ছে।’

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রেখেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বেঞ্চমার্ক সূচক উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘আগাম শেয়ার নিষ্পত্তি, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (আইসিবি) মাধ্যমে তারল্য সহায়তা এবং সম্ভাব্য মূলধন লাভের কর কমানোসহ বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের কারণে বাজারে এই ইতিবাচক পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে।’

বিনিয়োগকারীদেরও সচেতনভাবে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে দেখা যাচ্ছে। তারা হয় পূর্ববর্তী বিনিয়োগ থেকে মুনাফা সুরক্ষিত করেছে বা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উপার্জনের প্রতিবেদনসহ স্টকগুলোতে মূলধন পুনরায় বিনিয়োগ করেছে। এই নির্বাচনমূলক পদ্ধতি আশার সঞ্চার করায় তা সামগ্রিক বাজারের গতিতে অবদান রেখেছে।

বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১৬ দশমিক ৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে পাঁচ হাজার ৩১৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় বাজার লেনদেন ৪৫ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৬০৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা হয়েছে।

আগের পাঁচ সপ্তাহে ৬১৬ পয়েন্ট হারানোর পর টানা দুই সপ্তাহে ২০২ পয়েন্ট যোগ করেছে ডিএসইএক্স।

ডিএসইর খাতভিত্তিক সূচকগুলোকেও বেশ ভালো করতে দেখা গেছে। ৩০টি শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস৩০ ইনডেক্স ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৯৬৫ পয়েন্টে লেনদেন শেষ করেছে। একইভাবে শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী ডিএসইএস সূচক ৪৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৮৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকায়।

বাজার কার্যকলাপের একটি প্রধান সূচক বাজার লেনদেন এই সপ্তাহে তিন হাজার ২৯ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের দু’হাজার ৮৩ কোটি টাকার লেনদেনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। সে হিসাবে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৬০৬ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের গড় ৪১৬ কোটি টাকার তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেশি।

আরও পড়ুন:
নীতি সহায়তার খবরে শেয়ারবাজারে সুবাতাস বইছে
পুঁজিবাজার সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক ধারায় ফেরার ইঙ্গিত
বেক্সিমকোর শেয়ার কারসাজি: নয় বিনিয়োগকারীকে ৪২৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা জরিমানা
ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি খতিয়ে দেখার নির্দেশ
শেয়ার কারসাজি: সাকিবকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
News of policy support is blowing the stock market

নীতি সহায়তার খবরে শেয়ারবাজারে সুবাতাস বইছে

নীতি সহায়তার খবরে শেয়ারবাজারে সুবাতাস বইছে
শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘর্মেয়াদি নীতি সহায়তা দিতে যাচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ প্রথমবারের মতো বিএসইসিতে যাচ্ছেন। এমন খবরে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে পুঁজিবাজার।

শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘর্মেয়াদি নীতি সহায়তা দিতে যাচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ প্রথমবারের মতো নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) যাচ্ছেন। এমন খবরে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে পুঁজিবাজার।

দেশের দুই শেয়ারবাজারে বুধবার উল্লেখযোগ্য উত্থানের ধারাবাহিকতা দেখা গেছে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবারও। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ১৪৭ পয়েন্টের বেশি।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন ৬ আগস্ট ডিএসইর সূচক বৃদ্ধি শুরু হয়। সূচক বৃদ্ধির এই ধারা ১১ আগস্ট পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। ওই চারদিনে সূচকের উত্থান হয় ৭৮৬ পয়েন্ট। এরপর ১২ আগস্ট শুরু হয় ধারাবাহিক পতন।

টানা দরপতন আর লেনদেন খরার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে মূল্যসূচক। সে সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এতে এ বাজারটিতেও সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। এর মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস দুই শেয়ারবাজারেই মূল্যসূচক বাড়লো।

গতকাল বুধবার থেকে বাজার বড় আকারে ঘুরে দাঁড়ায়। ওইদিন ডিএসইর সূচকে বেড়েছে ১১৮ পয়েন্টের বেশি। আর আজ বৃহস্পতিবার বেড়েছে ১৪৭ পয়েন্টের বেশি।

বিনিয়োগকারীরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা শেয়ারবাজারের গুরুত্ব অনুধাবন করে নিজেই বিএসইসিতে যাচ্ছেন। যেখানে এর আগে কোনো মন্ত্রী বা উপদেষ্টা যাননি। শেয়ারবাজারের জন্য এটি একটি ভিন্ন বার্তা। শেয়ারবাজারের প্রতি অর্থ উপদেষ্টার এমন আগ্রহের কারণে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন বিনিয়োগকারীরা।

বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জানান, শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা দিতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এসব সহায়তার আওতাভুক্ত হবেন ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারী, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, উচ্চ সম্পদশালী বিনিয়োগকারী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।

রাশেদ মাকসুদ বলেন, অর্থ উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সমন্বিতভাবে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে নীতি সহায়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তার মধ্যে কিছু থাকবে স্বল্প মেয়াদে বাস্তবায়নযোগ্য, আর কিছু বিষয় মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।

যেসব নীতি পদক্ষেপের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- বাজারে তারল্য সরবরাহ বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (আইসিবি) বিনিয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তহবিল জোগানে সহায়তা, জরিমানার মাধ্যমে বিএসইসির আদায় করা অর্থ বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় কাজে লাগাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, সরকারি-বেসরকারি ভালো ও লাভজনক কোম্পানিগুলোকে দ্রুত বাজারে আনতে আইপিও আইন সংস্কার ও কর প্রণোদনার ব্যবস্থা করা।

পদক্ষেপগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- শেয়ারবাজারে লেনদেন নিষ্পত্তির সময় কমিয়ে এক দিনে নামিয়ে আনা, ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে পরিমাণ অনাদায়ি পুঞ্জীভূত ঋণাত্মক ঋণ (নেগেটিভ ইক্যুইটি) রয়েছে চূড়ান্তভাবে সেগুলোর নিষ্পত্তি করা, উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তিদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে মূলধনি মুনাফার কর হার কমানো, শেয়ার পুনঃক্রয় ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ, বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে ভবিষ্যতে আর কখনও ফ্লোর প্রাইস আরোপ না করা এবং সুশাসন ও আইনের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করা।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে ক্রমশই নিম্নগতি, হতাশ বিনিয়োগকারীরা
বিএসইসি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মাশরুর রিয়াজ
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পুঁজিবাজারে দরপতন
বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান মাশরুর রিয়াজ
বিএসইসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহসীন চৌধুরী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The overall positive trend of the capital market is indicated

পুঁজিবাজার সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক ধারায় ফেরার ইঙ্গিত

পুঁজিবাজার সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক ধারায় ফেরার ইঙ্গিত ডিএসইর একটি ব্রোকারেজ হাউসে বিনিয়োগকারীরা। ফাইল ছবি
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে মঙ্গলবার বিনিয়োগকারীদের কার্যক্রম বেড়েছে। এক লাখ ৩৬ হাজার লেনদেনের মাধ্যমে মোট ১৫ দশমিক ৮ কোটি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে, যার মোট লেনদেনের পরিমাণ ৩৪৬ কোটি টাকা। যদিও এটি সোমবারের ৩৫৭ কোটি টাকা থেকে সামান্য কম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার বিনিয়োগকারীদের কার্যক্রম বেড়েছে। এক লাখ ৩৬ হাজার লেনদেনের মাধ্যমে মোট ১৫ দশমিক ৮ কোটি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে, যার মোট লেনদেনের পরিমাণ ৩৪৬ কোটি টাকা। যদিও এটি সোমবারের ৩৫৭ কোটি টাকা থেকে সামান্য কম।

মঙ্গলবার মোট ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৩১২টি কোম্পানির মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে, ৫৭টির কমেছে এবং ২৫টি অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেনের এই অবস্থা বিস্তৃত বাজার পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১৮ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ১৭ দশমিক ৩২ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে। ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ২৬ দশমিক ২০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১১৩ দশমিক ৬৬ পয়েন্টে এবং বিশেষায়িত ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ ৫২ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৮৫৮ দশমিক ২৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

দর বৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- মতিন স্পিনিং মিলস পিএলসি, বিডিকম অনলাইন লিমিটেড, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এসিআই লিমিটেড, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস লিমিটেড, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড, বাংলাদেশ অটোকারস লিমিটেড এবং জেমিনি সি ফুড পিএলসি।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ১৭ দশমিক ৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে দেখা যায়, এক হাজার ৮৩৩টি লেনদেনের মাধ্যমে মোট ৫১ লাখ ৬১ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের পরিমাণ ১০ কোটি ৮ লাখ টাকা। এই বাজারে সোমবার লেনদেন হয়েছিল ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৮০টি কোম্পানির মধ্যে ১০২টির মুনাফা বেড়েছে, ৫২টির কমেছে এবং ২২টির শেয়ারমূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে। এটিও বাংলাদেশের পুঁজিবাজার সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক ধারায় ফেরার ইঙ্গিত দেয়।

আরও পড়ুন:
বিএসইসি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মাশরুর রিয়াজ
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পুঁজিবাজারে দরপতন
বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান মাশরুর রিয়াজ
বিএসইসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহসীন চৌধুরী
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রাণ ফিরেছে পুঁজিবাজারে

মন্তব্য

p
উপরে