× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Mercantile is a great UCB City surprise
google_news print-icon

মার্কেন্টাইল দারুণ, ইউসিবি-সিটির চমক

মার্কেন্টাইল-দারুণ-ইউসিবি-সিটির-চমক
মার্কেন্টাইল ব্যাংকের আয় গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ৭৫ শতাংশের বেশি। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ও সিটি ব্যাংকের আয় বেড়েছে ৫৫ শতাংশের বেশি। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের আয়ও বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।

করোনার দ্বিতীয় বছরেও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা বেড়েছে ব্যাপক হারে।

গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরে সবগুলো ব্যাংকের চূড়ান্ত হিসাব এখনও পাওয়া যায়নি। তবে যেসব ব্যাংকের হিসাব পাওয়া গেছে, সেগুলোর মধ্যে সিংহভাগের মুনাফাই বাড়তে দেখা গেছে।

নিউজবাংলা মোট ২৩টি ব্যাংকের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের মুনাফার তথ্য জানতে পেরেছে। এর মধ্যে ২০টি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত, বাকি তিনটির মধ্যে একটি তালিকাভুক্ত হতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে টাকা তুলছে।

এই ব্যাংকগুলোর মধ্যে কেবল দুটি ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা গত বছরের চেয়ে কম হয়েছে। বাকি সবগুলোর আয় বেশি হয়েছে।

এর মধ্যে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের আয় গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ৭৫ শতাংশের বেশি। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ও সিটি ব্যাংকের আয় বেড়েছে ৫৫ শতাংশের বেশি। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের আয়ও বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।

প্রাথমিক তথ্য বলছে, ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভালো করেছে মার্কেন্টাইল; গত বছরের তুলনায় মুনাফা তিন-চতুর্থাংশ বাড়াতে পেরেছে তারা। তবে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি পরিচালন মুনাফা করেছে বরাবরের মতোই ইসলামী ব্যাংক। তবে মুনাফার প্রবৃদ্ধি খুব একটা বেশি নয়।

২০২০ সালে করোনার প্রথম বছরে ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফার বড় ধাক্কা লাগলেও চূড়ান্ত মুনাফা বেড়ে গিয়েছিল।

গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিক, এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় প্রান্তিক, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর প্রকাশিত হিসাবে দেখা যায়, ব্যাংকগুলোর সিংহভাগই দারুণ করেছে। চতুর্থ প্রান্তিকে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকে।

অবশ্য পরিচালন মুনাফা কোনো ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা নয়। আয় থেকে ব্যয় বাদ দিয়ে যে মুনাফা থাকে, সেটিই কোনো ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা। এ মুনাফা থেকে খেলাপি ঋণ ও অন্যান্য সম্পদের বিপরীতে প্রভিশন (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) সংরক্ষণ এবং সরকারকে কর পরিশোধ করতে হয়। প্রভিশন ও কর-পরবর্তী এ মুনাফাই হলো একটি ব্যাংকের প্রকৃত বা নিট মুনাফা।

ব্যাংকের মুনাফা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসার পর আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে জোয়ার।

নভেম্বর পর্যন্ত ২০২১ সালে বাংলাদেশের আমদানি ৫৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেড়ে ছাড়িয়েছে ৩ হাজার কোটি ডলারে। ডিসেম্বরের হিসাব এখনও পাওয়া যায়নি। তবে নভেম্বরের প্রবণতার ভিত্তিতে বছরের শেষ মাসে ৮ বিলিয়ন বা ৮০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

মার্কেন্টাইল দারুণ, ইউসিবি-সিটির চমক
ব্যাংকাররা বলছেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে আসার পর আমদানি-রপ্তানির জোয়ারে এলসির কমিশন ব্যাংকের মুনাফা বাড়িয়েছে

অন্যদিকে নভেম্বর পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ১৯ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে কেবল নভেম্বরেই হয়েছে ৪ দশমিক শূন্য ৪ বা ৪০৪ কোটি ডলার। এই প্রবণতার ভিত্তিতে গোটা বছরে রপ্তানি ২৫ বিলিয়ন ডলারের আশপাশে হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আমদানি ও রপ্তানি- এই দুই ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো কমিশন পায়।

আরেকজন শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকার বলেন, ‘করোনার সময় ব্যাংকগুলো ভয়ে খরচ অনেক কমিয়েছে। ডিপোজিটের বিপরীতে সুদহারও কমেছে। অন্যদিকে আমদানি-রপ্তানি বাড়ায় এলসি বাবদ আয় হয়েছে অনেক বেশি। এ কারণে ব্যাংকগুলো এবার ভালো মুনাফা করেছে।

পাশাপাশি করোনা নিয়ন্ত্রণে আসার পর দুই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছাড়িয়েছে দুই অঙ্কের ঘর।

এর পাশাপাশি করোনার দ্বিতীয় বছরেও ব্যাংকগুলোকে দেয়া ছাড় মুনাফা স্ফীত হওয়ার ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে।

এই ছাড়ের বিষয়ে ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনার কারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিসহায়তায় বেশ কিছু ছাড় দিয়েছে। ফলে মুনাফায় সেটার প্রভাব পড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘২০২০ সালে পরিশোধ না করলেও কোনো ঋণই খেলাপি করা হয়নি। ২০২১ সালে ২৫ শতাংশ পরিশোধে খেলাপি না করার নির্দেশ দেয়া হয়। এসব ছাড়ের ফলে অধিকাংশ ব্যাংকই প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণ করেনি।’

এবার বছরের শেষ ভাগে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নির্দেশনা ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা বাড়াতে সহায়তা করেছে। ব্যাংকের সুদকে আয় হিসেবে দেখাতে বিশেষ সুবিধা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো কোনো একক গ্রাহকের কাছ থেকে ২০২১ সালে যে সুদ আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করেছে, তার ২৫ শতাংশ যদি আদায় করতে পারে, তাহলে ওই গ্রাহকের কাছ থেকে সুদ বাবদ পাওয়া অর্থের পুরোটাকে আয় হিসেবে দেখাতে পারবে।

নতুন নির্দেশনার ফলে ব্যাংকগুলোর মুনাফা করা সহজ হয়েছে। কারণ সাধারণত পুরো টাকা আদায় না হলে তা খেলাপি হয়ে যায়। সুদও আয় খাতে নেয়া যায় না।

তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিচালন মুনাফা ব্যাংকের জন্য বড় বিষয় নয় বলে মনে করেন এবিবির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘এখন সময় হলো সম্পদের গুণগত মান ঠিক রেখে মূলধনের ভিত শক্তিশালী রাখা। ব্যাংক কখনই স্বল্পমেয়াদি কোনো ব্যবসা নয়। গ্রাহকদের আস্থা ও বিশ্বাস অটুট রেখে দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকাই যেকোনো ব্যাংকের বড় সফলতা।’

কোন ব্যাংক কী হারে ‍মুনাফা বাড়াল

মার্কেন্টাইল ব্যাংক এবার মুনাফা করেছে ৭২২ কোটি টাকা। গত বছর পরিচালন মুনাফা ছিল ৪১১ কোটি টাকা। মুনাফা বেড়েছে ৩১১ কোটি বা ৭৫ দশমিক ৬৬ কোটি টাকা।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক গত বছর পরিচালন মুনাফা করেছিল ৭০০ কোটি টাকা। ৫৭ দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়ে এবার মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা।

সিটি ব্যাংকের মুনাফায়ও ব্যাপক উত্থান হয়েছে। এ কোম্পানিটি এবার আয় করেছে ১ হাজার ১০১ কোটি টাকা। গত বছর মুনাফা ছিল ৭০৪ কোটি টাকা। মুনাফা বেড়েছে ৩৯৭ কোটি টাকা বা ৫৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

মার্কেন্টাইল দারুণ, ইউসিবি-সিটির চমক
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে মুনাফার প্রবৃদ্ধিতে এগিয়ে থাকা ৫ ব্যাংক

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক মুনাফা করেছে ৭১৭ কোটি টাকা, ২০২০ সালে যা ছিল ৪৮১ কোটি টাকা। মুনাফা বেড়েছে ২৩৬ কোটি টাকা বা ৪৯ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।

প্রিমিয়ার ব্যাংক এবার পরিচালন মুনাফা করেছে ৮৮১ কোটি টাকা, যা গত বছর ছিল ৬০০ কোটি টাকা। বেড়েছে ২৮১ কোটি টাকা বা ৪৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

বড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ব্যাংক এশিয়ার আয়েও। গত বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল ৭১০ কোটি টাকা। সেটি এবার বেড়ে হয়েছে এক হাজার ২ কোটি টাকা। বেড়েছে ২৯২ কোটি টাকা বা ৪১.১২ শতাংশ।

ওয়ান ব্যাংক এবার মুনাফা করেছে ৪৩৩ কোটি টাকা। গত বছর এই মুনাফা ছিল ৩১৫ কোটি টাকা। মুনাফা বেড়েছে ১১৮ কোটি টাকা। শতকরা হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৭ দশমিক ৪৬ ভাগ।

২০২০ সালে সাউথ ইস্ট ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ছিল ৭৭০ কোটি টাকা। সেটি এবার ছাড়িয়ে ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা। বেড়েছে ২৮০ কোটি টাকা বা ৩৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

এনআরবিসি ব্যাংক মুনাফা করেছে ৪৫০ কোটি টাকা, ২০২০ সালে যা ছিল ৩২৩ কোটি টাকা। মুনাফা বেড়েছে ১২৭ কোটি টাকা বা ৩৯ দশমিক ৩১ শতাংশ।

সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক মুনাফা করেছে ২১০ কোটি টাকা, ২০২০ সালে যা ছিল ১৫২ কোটি টাকা। ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ৫৮ কোটি টাকা বা ৩৮ দশমিক ১৫ শতাংশ।

এনসিসি ব্যাংক মুনাফা করেছে ৭১৭ কোটি টাকা। ২০২০ সালে মুনাফা ছিল ৫৭৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ মুনাফা বেড়েছে ১৪৪ কোটি টাকা বা ২৫ দশমিক ১৩ শতাংশ।

মার্কেন্টাইল দারুণ, ইউসিবি-সিটির চমক
এই ৬টি ব্যাংকের বেশিরভাগের আয় গত বছর আগের বছরের চেয়ে কমেছিল

২০২১ সালে পূবালী ব্যাংক মুনাফা করেছে ১ হাজার ১৪০ কোটি টাকা, ২০২০ সালে যা ছিল ৯৩৫ কোটি টাকা। মুনাফা ২০৫ কোটি টাকা বেড়েছে। শতকরা হারে মুনাফা বেড়েছে ২১ দশমিক ৯২ ভাগ।

ইস্টার্ন ব্যাংক বিদায়ী বছরে মুনাফা করেছে ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা, ২০২০ সালে যা ছিল ৮৭০ কোটি টাকা। বছরের ব্যবধানে ১৮০ কোটি টাকা মুনাফা বেড়েছে। শতকরা হারে মুনাফা বেড়েছে ২০ দশমিক ৬৮ ভাগ।

যমুনা ব্যাংকের মুনাফা করেছে ৭৫০ কোটি টাকা, ২০২০ সালে যা ছিল ৬৩৭ কোটি টাকা। মুনাফা ১১৩ কোটি টাকা বেড়েছে। শতকরা হারে মুনাফা বেড়েছে ১৭ দশমিক ৭৩ ভাগ।

আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক মুনাফা করেছে ৭৫০ কোটি টাকা, ২০২০ সালে যা ছিল ৬৮০ কোটি টাকা। বছর শেষে মুনাফা ৭০ কোটি টাকা বেড়েছে। শতকরা হারে মুনাফা বেড়েছে ১০ দশমিক ২৯ ভাগ।

এসআইবিএল এবার পরিচালন মুনাফা করেছে ৫০৩ কোটি টাকা। গত বছর পরিচালন মুনাফা ছিল ৪৬০ কোটি টাকা। মুনাফা বেড়েছে ৪৩ কোটি টাকা বা ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

মার্কেন্টাইল দারুণ, ইউসিবি-সিটির চমক
এই ব্যাংকগুলোর মধ্যে কেবল একটি গত বছর আগের বছরের তুলনায় বেশি মুনাফা করতে পেরেছিল

এক্সিম ব্যাংক মুনাফা করেছে ৭৮০ কোটি টাকা, ২০২০ সালে যা ছিল ৭৪১ কোটি টাকা। মুনাফা ৩৯ কোটি টাকা বেড়েছে। শতকরা হারে মুনাফা বেড়েছে ৫ দশমিক ২৬ ভাগ।

বরাবরের মতো এবারও দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিচালন মুনাফা করেছে বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকটি সদ্য বিদায়ী বছরে ২ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে, যা ২০২০ সাল শেষে ছিল ২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। মুনাফা ৮০ কোটি টাকা বেড়েছে। তবে শতকরা হারে মুনাফা বৃদ্ধির হার খুব একটা আকর্ষণীয় নয়, ৩ দশমিক ৪০ ভাগ।

একমাত্র ডাচ্-বাংলার আয় কমার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ব্যাংকটি এবার মুনাফা করেছে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। আগের বছর মুনাফা ছিল ১ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। অর্থাৎ মুনাফা কমেছে ৯০ কোটি বা ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

সংকটে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংকের মুনাফায় ধস নেমেছে। ব্যাংকটি এবার পরিচালন মুনাফা করেছে ২৪৮ কোটি টাকা। আগের বছর এই মুনাফা ছিল ৯৫০ কোটি টাকা। কমেছে ৬৭২ কোটি টাকা বা ৭৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

তালিকাভুক্ত নয় যেগুলো

পুঁজিবাজারের বাইরে থাকা মেঘনা ব্যাংক মুনাফা করেছে ১০৫ কোটি টাকা, ২০২০ সালে যা ছিল ৭৩ কোটি টাকা। মুনাফা ৩২ কোটি টাকা বেড়েছে। শতকরা হারে মুনাফা বেড়েছে ৪৩ দশমিক ৮৩ ভাগ।

মার্কেন্টাইল দারুণ, ইউসিবি-সিটির চমক

ইউনিয়ন ব্যাংক মুনাফা করেছে ৩৭৫ কোটি টাকা, ২০২০ সালে যা ছিল ৩১৭ কোটি টাকা। মুনাফা বেড়েছে ৫৮ কোটি টাকা বা ১৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। এই ব্যাংকটি তালিকাভুক্ত হতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে টাকা ‍তুলছে।

তালিকাভুক্ত নয়, এমন মিডল্যান্ড ব্যাংক মুনাফা করেছে ১৬২ কোটি টাকা, ২০২০ সালে যা ছিল ১২৫ কোটি টাকা। বছরের ব্যবধানে পরিচালন মুনাফা ৩৭ কোটি টাকা বা ২৯ দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়েছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে কেবল সোনালী ব্যাংকের হিসাব পাওয়া গেছে। এই ব্যাংকটির আয়ও বেড়েছে। গত জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটি ২ হাজার ২০৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা আয় করেছে, যা টাকার অঙ্কে ইসলামী ব্যাংকের পরেই দ্বিতীয়। আগের বছর আয় ছিল ২ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন:
সাউথ বাংলাকে বোনাস শেয়ারের অনুমোদন
পতন টানা পাঁচ দিন, বিনিয়োগ এখন ব্যাংকমুখী
সাউথ বাংলার নতুন চেয়ারম্যান কাদির মোল্লা
খেলাপি ঋণ বাড়াল ২০ ব্যাংক, পুঁজিবাজারের ১৪টি
দুই শর্তে পুঁজিবাজারে আসছে ইউনিয়ন ব্যাংক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The new record price of gold in the countrys market is Tk 119638

দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১১৯৬৩৮ টাকা

দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১১৯৬৩৮ টাকা
বাজুস নির্ধারিত দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে গহনা বিক্রি করা হয়। সে সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে গুনতে হবে ১ লাখ ২৯ হাজার ১১৯ টাকা।

দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে রেকর্ড ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের সাড়ে তিন মাসে অষ্টমবারের মতো স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৃহস্পতিবার বৈঠক করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। নতুন নির্ধারিত এই দাম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী- ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বেড়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বেড়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৬৫৬ টাকা বেড়ে ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৩৮৮ টাকা কমে ৭৮ হাজার ৮০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সবশেষ দশ দিন আগে ৮ এপ্রিল বাজুস ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৪৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা নির্ধারণ করে। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। ১০ দিনের ব্যবধানে আবারও দাম বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে দেশের স্বর্ণের বাজারে উচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হলো।

অবশ্য স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের আরও বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে ১ লাখ ২৯ হাজার ১১৯ টাকা।

এদিকে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা আছে।

আরও পড়ুন:
স্বর্ণের দাম দু’দিনের ব্যবধানে ভরিতে বেড়েছে ৩,৪৯৯ টাকা
বাড়া-কমার খেলায় স্বর্ণের ভরি রেকর্ড ১,১৪,০৭৪ টাকা
কমলো স্বর্ণের দাম
দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১,১২,৯০৮ টাকা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The price of bottled soybean oil increased by Tk 4 per liter

লিটারে ৪ টাকা বাড়ল বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম

লিটারে ৪ টাকা বাড়ল বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম দোকানে সাজিয়ে রাখা সয়াবিন তেলের বোতল। ফাইল ছবি
সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘…১৪৯ টাকা যেটা খোলাবাজারে ছিল, সেটাকে দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা সর্বোচ্চ খোলাবাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হবে। আর আমাদের সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার, বোতল যেটা, পেট বোতলে যেটা, যেটার মধ্যে সিল করা থাকে, সেইটা আমাদের নির্ধারিত ছিল ১৬৩ টাকা। সেইখান থেকে বৃদ্ধি করে ১৬৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’

বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।

সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘…১৪৯ টাকা যেটা খোলাবাজারে ছিল, সেটাকে দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা সর্বোচ্চ খোলাবাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হবে।

‘আর আমাদের সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার, বোতল যেটা, পেট বোতলে যেটা, যেটার মধ্যে সিল করা থাকে, সেইটা আমাদের নির্ধারিত ছিল ১৬৩ টাকা। সেইখান থেকে বৃদ্ধি করে ১৬৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’

খোলা সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের বোতলের দামের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আর খোলাবাজারে সয়াবিন তেল পাঁচ লিটারের বোতল ৮০০ টাকা ছিল। সেটাকে ৮১৮ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’

পাম অয়েলের দাম নিয়ে টিটু বলেন, ‘সুপার পাম অয়েল তেল প্রতি লিটার, এটা আগে নির্ধারণ করা ছিল না। এবার আমরা নির্ধারণ করে দিচ্ছি। সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা লিটার।

‘তো এই চারটা পণ্যের দাম, এইটা কিন্তু আমরা নির্ধারণ করলাম না। আমাদের যারা অ্যাসোসিয়েশনের, তাদের রিকমেন্ডেশনে এবং আমাদের ট্যারিফ কমিশনের অনুমোদনক্রমে উনারা উনাদের অ্যাসোসিয়েশন থেকে চিঠি দিয়ে আগামীকাল থেকে এই মূল্য উনাদের মিল গেট থেকে উনারা কার্যকরী করবে।’

আরও পড়ুন:
চলতি মাসেই জ্বালানি তেলের দাম কমছে: প্রতিমন্ত্রী
সয়াবিন তেলের নতুন দাম কার্যকর হচ্ছে শুক্রবার
বিশ্ববাজারের সঙ্গে ওঠানামা করবে জ্বালানি তেলের দাম: প্রতিমন্ত্রী
দুর্ঘটনার ১০ দিন না যেতে সড়কেই প্রাণ গেল তেলেঙ্গানার বিধায়কের
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে কমল ১০ টাকা, ১ মার্চ থেকে কার্যকর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bank Asia to acquire foreign bank Alfalah

বিদেশি ব্যাংক আলফালাহ অধিগ্রহণ করবে ব্যাংক এশিয়া

বিদেশি ব্যাংক আলফালাহ অধিগ্রহণ করবে ব্যাংক এশিয়া
পাকিস্তানের করাচিভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের বাংলাদেশ পরিচালনা, সম্পদ ও দায় অধিগ্রহণের জন্য প্রাপ্ত বাধ্যবাধকতামুক্ত ইঙ্গিতমূলক প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি জানিয়েছিল যে আর কোনো ব্যাংককে একীভূতকরণের সুযোগ দেয়া হবে না। তবে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের জন্য ব্যাংক এশিয়াকে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নতুন মাত্রার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক এশিয়া বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করছে। সূত্র: ইউএনবি

করাচিভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহ বুধবার (১৭ এপ্রিল) পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জকে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের বাংলাদেশ পরিচালনা, সম্পদ ও দায় অধিগ্রহণের জন্য প্রাপ্ত বাধ্যবাধকতামুক্ত ইঙ্গিতমূলক প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

এতে বলা হয়, ব্যাংক আলফালাহ বাংলাদেশের ব্যাংক এশিয়ার জন্য যথাযথ কার্যক্রম শুরুর জন্য স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তানের অনুমোদন চাইছে।

ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আর কে হুসেইন বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি একীভূতকরণ নিয়ে খুব বেশি আলোচনার অংশ নয়।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে দুই ব্যাংকের নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে অধিগ্রহণের বিষয়টি চূড়ান্ত রূপ পাবে বলে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Legal notice and cancellation of contracts to advertising companies promoting dramas contrary to Waltons ideals and principles

‘রূপান্তর’ নাটক ইস্যুতে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে ওয়ালটনের নোটিশ, চুক্তি বাতিল

‘রূপান্তর’ নাটক ইস্যুতে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে ওয়ালটনের নোটিশ, চুক্তি বাতিল ওয়ালটনের লোগো। ছবি: সংগৃহীত
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটনের ভাষ্য, দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও তারা সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

বিষয়বস্তু অবহিত না করে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে ‘রূপান্তর’ শিরোনামের একটি নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ওয়ালটন।

পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সব ধরনের বিজ্ঞাপনী চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

ওয়ালটনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’ এর স্বত্বাধিকারী মোহন আহমেদকে মঙ্গলবার ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।

ওয়ালটনের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট রাইসুল ইসলাম রিয়াদ স্বাক্ষরিত আইনি নোটিশে উল্লেখ করে যা বলা হয়, ‘আপনি লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান এর স্বত্বাধিকারী। আপনার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আপনার নির্মিত ছয়টি নাটকে ওয়ালটন ফ্রিজ ব্র্যান্ডিং করতে সম্মত হয়। শর্ত থাকে যে, উক্ত নাটকসমূহে দেশের আইন, নীতি, নৈতিকতা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হয় এরকম কোনো বিষয় অর্ন্তভুক্ত হবে না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, উক্ত নাটকসমূহের মধ্যে ‘রূপান্তর’ নাটকটিতে এমন কিছু বিষয় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে, যাতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ও মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।’

নোটিশে আরও বলা হয়, ‘ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে নাটকটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্বে অবহিত না করে রূপান্তর নাটক প্রচার করায় আপনার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হলো এবং সেই সঙ্গে কেন আপনার বিরুদ্ধে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে নাটক প্রচারের জন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে জানানোর জন্য বলা হলো।’

এর আগে ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম থেকে ‘রূপান্তর’ নাটকটি প্রত্যাহারের জন্য বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে নির্দেশ দেয় ওয়ালটন। তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুক-ইউটিউবসহ সব মাধ্যম থেকে নাটকটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

এরপর বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ওয়ালটন গ্রুপের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থি নাটকে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে লিগাল নোটিশ দেয় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটনের ভাষ্য, দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও তারা সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

আরও পড়ুন:
ঈদ উৎসবে ওয়ালটন ফ্রিজ কেনার হিড়িক
ওয়ালটন টিভি কিনে এয়ার টিকিটের সুযোগ চাঁদরাত পর্যন্ত
ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ৩৩তম মিলিয়নিয়ার হলেন রাজশাহীর মাদ্রাসাশিক্ষক আমিনুল
সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণ হিরো বাংলাদেশের
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম নিয়ে এলো কল্লোল গ্রুপ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The DMD of the state owned bank is Faiz Alam

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ডিএমডি হলেন ফয়েজ আলম

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ডিএমডি হলেন ফয়েজ আলম রূপালী ব্যাংক পিএলসির মহাব্যবস্থাপক মো. ফয়েজ আলম। ছবি: সংগৃহীত
ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি হওয়ার আগে তিনি রূপালী ব্যাংক পিএলসিতে মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন রূপালী ব্যাংক পিএলসির মহাব্যবস্থাপক মো. ফয়েজ আলম। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে তিনিসহ রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন ব্যাংকের আট জন মহাব্যবস্থাপককে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়।

ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি হওয়ার আগে তিনি রূপালী ব্যাংক পিএলসিতে মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

মো. ফয়েজ আলম ১৯৯৮ সালে বিআরসির মাধ্যমে সিনিয়র অফিসার পদে রূপালী ব্যাংকে যোগদান করেন। কর্মজীবনে ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাখার শাখা ব্যবস্থাপক, জোনাল অফিস এবং প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পেশাগত প্রয়োজনে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও আরব অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণসহ দেশ-বিদেশে ব্যাংকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।

ফয়েজ আলমের জন্ম ১৯৬৮ সালে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার যোগীরনগুয়া গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে বিএ অনার্সসহ এমএ পাশ করার পর এমফিল ডিগ্রিও অর্জন করেন খ্যাতিমান এই ব্যাংকার।

পেশাগত জীবনের বাইরে ফয়েজ আলম একজন সফল লেখকও। বাংলাদেশে তিনি অগ্রণী উত্তর উপনিবেশী তাত্ত্বিক, প্রাবন্ধিক ও কবি হিসেবে বিশেষ খ্যাতিমান। এডওয়ার্ড সাঈদের বিখ্যাত গ্রন্থ অরিয়েন্টালিজম-এর অনুবাদক হিসেবেও তার আলাদা খ্যাতি আছে। তার পনেরটির বেশি গ্রন্থ এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Traders want to increase the price of edible oil by 10 taka per liter not the state minister

ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়াতে চান ব্যবসায়ীরা, প্রতিমন্ত্রীর ‘না’

ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়াতে চান ব্যবসায়ীরা, প্রতিমন্ত্রীর ‘না’
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। দাম আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় করা যেতে পারে, তবে সময় লাগবে। ভোজ্যতেলের নতুন চালান আমদানির ক্ষেত্রে দাম বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’

ভোজ্যতেলের ওপর শুল্ক অব্যাহতির সময়সীমা শেষ হয়েছে সোমবার (১৫ এপ্রিল)। এ অবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরভিএমএফএ) সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।

বিভিওআরভিএমএফএ’র নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মোল্লার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, কাঁচামাল আমদানি ও ভোজ্যপণ্য উৎপাদনে কর অব্যাহতির মেয়াদ ১৫ এপ্রিল শেষ হচ্ছে বিধায় পরদিন ১৬ এপ্রিল থেকে ভ্যাট অব্যাহতির আগের নির্ধারিত মূল্যে পণ্য সরবরাহ করা হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের বোতল ১৭৩ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৮৪৫ টাকা ও এক লিটার পাম তেল ১৩২ টাকায় বিক্রি করা হবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত ফেব্রুয়ারিতে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত (অপরিশোধিত) সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করে।

এদিকে মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় করা যেতে পারে, তবে সময় লাগবে।

‘ভোজ্যতেলের নতুন চালান আমদানির ক্ষেত্রে দাম বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’

আরও পড়ুন:
ভোজ্যতেলের আমদানিনির্ভরতা কমবে: খাদ্যমন্ত্রী
ভোজ্যতেলে ভ্যাটমুক্ত সুবিধা তিন মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
ভোজ্যতেলের দাম বাড়াতে সেই পুরোনো কৌশল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the current financial year the majority of remittances have come to Dhaka district
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশ্লেষণ

চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্সের সিংহভাগ এসেছে ঢাকা জেলায়

চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্সের সিংহভাগ এসেছে ঢাকা জেলায়
জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে প্রবাসীরা ১ হাজার ৫০৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা জেলায় ৫২৩ কোটি ও চট্টগ্রাম জেলায় ১৪২ কোটি ডলার এসেছে। এই সময়ে সিলেট জেলা ৮৭০ মিলিয়ন, কুমিল্লা ৮১০ মিলিয়ন ও নোয়াখালী ৪৬০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে।

প্রবাসীদের আয়ের একটি বড় অংশ‌ই আসে ঢাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখাগুলোতে। অর্থাৎ প্রবাসীদের পরিবারের বেশিরভাগই ঢাকায় থাকেন বা তাদের অধিকাংশ অ্যাকাউন্ট ঢাকার ব্যাংক শাখায়।

ইউএনবি জানায়, রেমিট্যান্সের জেলাভিত্তিক চিত্র নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিশ্লেষণে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম। সিলেট তৃতীয় এবং কুমিল্লা চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।

এরপরে রয়েছে উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর ও নরসিংদীর অবস্থান।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জেলাভিত্তিক প্রবাসী আয় প্রতিবেদনে গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে প্রবাসীরা ১ হাজার ৫০৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২১৬ কোটি ডলার। তার আগের মাস জানুয়ারিতে দেশে প্রবাসী আয় ছিল ২১০ কোটি ডলার।

জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়কালে ঢাকা জেলায় এসেছে ৫২৩ কোটি ডলার এবং চট্টগ্রাম জেলায় এসেছে ১৪২ কোটি ডলার।

এই সময়ে সিলেট জেলা ৮৭০ মিলিয়ন ডলার, কুমিল্লা ৮১০ মিলিয়ন ডলার এবং নোয়াখালী ৪৬০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ কোটি, ফেনীতে ৩৭ কোটি, মৌলভীবাজারে ৩৬ কোটি, চাঁদপুরে ৩৫ কোটি ডলার এবং নরসিংদীতে ২৫০ মিলিয়ন ডলার এসেছে।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, প্রবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলো থেকে বেশি প্রবাসী আয় আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু এমনটা হচ্ছে না। কারণ অনেক প্রবাসী বিদেশে স্থায়ী হয়েছেন। বরং তারা (প্রবাসীরা) দেশে থাকা সম্পদ বিক্রি করে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে অর্থ পাচার বাড়ছে।

আরও পড়ুন:
ঈদের আগের সপ্তাহে এসেছে সাড়ে ৪৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স
ঈদ সামনে রেখেও রেমিট্যান্স প্রবাহে নিম্নগতি
ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছে ২১৬ কোটি ডলার
চলতি মাসে দিনে গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৬ কোটি ৮৫ লাখ ডলার
ফেব্রুয়ারির ১৬ দিনে এসেছে ১২,৬০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স

মন্তব্য

p
উপরে