সদ্য পার হওয়া বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩৮৩টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪১৮ জন এবং আহত হয়েছেন ৪৯৭ জন। সব মিলিয়ে সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার এসব তথ্য জানায়। সাতটি জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে তারা।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডিসেম্বরে দেশে ১৬৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৭৮ জন, যা মোট নিহতের ৪২ দশমিক ৫৮ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। সড়কে সব মিলিয়ে নিহতদের মধ্যে নারী ৬৩ জন এবং শিশু ৪৯ জন।
এ ছাড়া তিনটি নৌযানডুবির ঘটনায় ডিসেম্বরে তিনজন নিহত এবং আটজন নিখোঁজ রয়েছেন। এ ছাড়া ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৯ জন নিহত, ৩৪ জন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন এবং বেশ কয়েকজন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। আর ১৩টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২২ জন নিহত এবং ৯ জন আহত হয়েছেন।
যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী ১৭৮ জন, বাসযাত্রী ১১ জন, ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি যাত্রী ১৮ জন, মাইক্রোবাস-প্রাইভেট কার-অ্যাম্বুলেন্স যাত্রী ১২ জন, থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-হিউম্যান হলার) ৪৫ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহিন্দ্র-লাটাহাম্বা-টমটম) ১৬ জন এবং প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান-বাইসাইকেল আরোহী ১১ জন নিহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৪৯টি জাতীয় মহাসড়কে, ১২৪টি আঞ্চলিক সড়কে, ৬৭টি গ্রামীণ সড়কে, ৩৯টি শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে চারটি হয়েছে।
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ৬২১টি। এর মধ্যে ট্রাক ১০৭টি, বাস ৭৬টি, কাভার্ড ভ্যান ২৪টি, পিকআপ ২১টি, ট্রলি ১৬টি, লরি ৫টি, ট্রাক্টর ৯টি, ড্রামট্রাক ৬টি, মাইক্রোবাস ১১টি, প্রাইভেট কার ৭টি, অ্যাম্বুলেন্স ৩টি, মোটরসাইকেল ১৭৪টি, থ্রি-হুইলার ৯১টি, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৪৮টি এবং প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান-বাইসাইকেল-গরুরগাড়ি ১৩টি, অন্যান্য ১০টি।
দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারি পরিসংখ্যান
দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারি পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ, প্রাণহানি ২৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ, প্রাণহানি ১৭ দশমিক ৭০ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ, প্রাণহানি ১৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ। খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ১০ দশমিক ৯৬ শতাংশ, প্রাণহানি ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ১১ দশমিক ৪৮ শতাংশ, প্রাণহানি ১০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ, প্রাণহানি ৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ। রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ, প্রাণহানি ৬ দশমিক ২২ শতাংশ। ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ, প্রাণহানি ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১০২টি দুর্ঘটনায় নিহত ১১৩ জন। সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে। ১৬টি দুর্ঘটনায় নিহত ১৯ জন। একক জেলা হিসেবে চট্টগ্রাম জেলায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ২৩টি দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত। সবচেয়ে কম সুনামগঞ্জ জেলায়। তিনটি দুর্ঘটনা ঘটলেও কেউ হতাহত হয়নি। ঢাকায় ১৫টি দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত হয়েছেন।
দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের মতে, দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হচ্ছে, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; বেপরোয়া গতি; চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল; তরুণ ও যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো; জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা; দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা; বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।
সুপারিশ
দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে; চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে; বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে; পরিবহনের মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্বরাস্তা (সার্ভিস লেন) তৈরি করতে হবে; পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে; গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে; রেল ও নৌপথ সংস্কার ও সম্প্রসারণ করে সড়কপথের ওপর চাপ কমাতে হবে; টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে; ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে ৩৭৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৩ জন নিহত হয়েছিলেন। গড়ে প্রতিদিন নিহতের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ডিসেম্বরে ৩৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৮ জন নিহতের হিসাবে গড়ে প্রতিদিন নিহতের হার ১৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন:পণ্যের ওপর যে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার, সেটিকে ‘হঠকারী সিদ্ধান্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
দলটির ভাষ্য, এ সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষকে ব্যাপক ভোগান্তিতে ফেলবে। যদিও অন্তবর্তী সরকারের দাবি, ‘এতে ন্যূনতম প্রভাব পড়বে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের অফিসে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার যে ভ্যাট ও পরোক্ষ কর বাড়িয়েছে, তাতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে।’
দেশের চলমান অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও মুদ্রাস্ফীতির কথা উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘শতাধিক পণ্যের ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। কিছু কিছু পণ্যের ওপর থেকে কর অব্যাহতিও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে খাদ্য, পোশাক, ওষুধ ও মোবাইল ইন্টারনেট সেবাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যও রয়েছে।’
এতে সাধারণ মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে গরিব ও মধ্যবিত্তদের ব্যাপক দুর্ভোগে পড়তে হবে।’
এসব ভোগান্তি থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে বিকল্প পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর পরিবর্তে সরকার যাতে অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন খরচ কমিয়ে দেয়, অন্তবর্তী সরকারকে সেই পরামর্শও দিয়েছে বিএনপি।
বিএনপির বর্ষীয়ান এ রাজনীতিক বলেন, ‘জবাবদিহিতাপূর্ণ একটি প্রশাসনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত একটি জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা।’
এর আগে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ায় সরকার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ আরেক দফা বেড়ে যেতে পারে সাধারণ মানুষের। উদাহরণ হিসেবে তারা বলেছেন, মুঠোফোন সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির ফলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বাড়বে। আবার পোশাক–আশাকের দামও বাড়তে পারে ভ্যাট বৃদ্ধির কারণে।
এ ছাড়া মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে মিষ্টি, ওষুধ, এলপি গ্যাস, ফলের রস, ড্রিংক, বিস্কুট, চশমার ফ্রেম, সিগারেটসহ নানা পণ্যের।
গেল ৯ জানুয়ারি রাতে এ–সংক্রান্ত দুটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। অধ্যাদেশ দুটি হলো মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং দি এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫।
এ ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের ওপর তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম শনিবার ইউএনবিকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২ জানুয়ারি মাসুদ বিশ্বাসের নামে মামলা করে দুদক।
এ মামলায় মাসুদ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে সংস্থার একটি দল তাকে আদালতে হাজির করবে।
এর আগে ২ জানুয়ারি দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে এক কোটি ৮৭ লাখ ৭২ হাজার ৬২২ টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।
মাসুদ বিশ্বাসের স্ত্রী কামরুন নাহারের সম্পদের বিবরণীও চেয়েছে দুদক। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে বলে দুদক জানিয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। ২ জানুয়ারি তার নামে মামলা হয়।
মূলত অর্থ পাচার প্রতিরোধেই কাজ করে বিএফআইইউ। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মাসুদ বিশ্বাস পদত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন:রাজধানীর বনানীতে শনিবার নিজ বাসায় গ্যাস লাইটার বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতি কাজী বাবুল (৫৯)।
তাকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে।
ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, শনিবার ভোর পাঁচটার দিকে বনানীর বাসায় ওয়াশরুমে ধূমপানের জন্য গ্যাস লাইটার বিস্ফোরণে দগ্ধ হন বাবুল কাজী। পরে দগ্ধ অবস্থায় তাকে বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরের ৭৪ শতাংশ দগ্ধ হয়।
তিনি জানান, আইসিইউতে ভর্তি রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
যুদ্ধবিধস্ত লেবানন থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ৪৭ বাংলাদেশি।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে পৌঁছান তারা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
ফেরত আসা এসব নাগরিককে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইওএম কর্মকর্তারা।
আইওএমের পক্ষ থেকে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা পকেটমানি, কিছু খাদ্যসামগ্রী ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
বিমানবন্দরে ফিরে আসা বাংলাদেশিদের খোঁজ নেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এখন পর্যন্ত একজন বাংলাদেশি বোমা হামলায় নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
এ পর্যন্ত ১৯ ফ্লাইটে ১ হাজার ২৪৬ বাংলাদেশিকে লেবানন থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়।
আরও পড়ুন:‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
শেখ হাসিনার শাসনামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বর্তমানে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ‘সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ডের যথাযথ বিচার ও সন্ত্রাসীদের সাজা নিশ্চিত করার দাবিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
আগামীকাল বেলা দুইটায় এ কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনটি।
ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহসভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “আগামীকাল ১৮ জানুয়ারি, শনিবার দুপুর দুইটায় ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ কর্তৃক সংঘটিত সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের যথাযথ বিচার ও সন্ত্রাসীদের সাজা নিশ্চিত করার দাবিতে এবং জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসর হিসেবে ভূমিকা পালনকারী শিক্ষকদের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অভিমুখে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালন করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।”
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
নেতারা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সকল নেতা-কর্মীসহ আপামর ছাত্রসমাজকে মিছিলে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
গত বছরের ৩১ জুলাই দেশের সব আদালত, ক্যাম্পাস ও রাজপথে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালন করেছিল কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশ লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। আটক করা হয় অনেককে।
সারা দেশে ‘ছাত্র-জনতা হত্যা, গণগ্রেপ্তার, হামলা, মামলার’ প্রতিবাদে ও জাতিসংঘের অধীনে ঘটনার তদন্ত করে বিচার এবং ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ওই কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন:রাজধানীর হাজারীবাগে শুক্রবার একটি চামড়ার গুদামে আগুন ধরার খবর জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
বাহিনীটির মিডিয়া সেল জানায়, হাজারীবাগের ট্যানারি কাঁচাবাজারের একটি সাত তলা ভবনের পঞ্চম তলায় বেলা দুইটা ১৪ মিনিটে আগুন ধরার খবর আসে। সে খবর পেয়ে চামড়ার গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট বেলা দুইটা ২৩ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
মিডিয়া সেল আরও জানায়, বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে ছয়টি ইউনিট কাজ করছে। সাহায্যের জন্য যাচ্ছে আরও চারটি ইউনিট।
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বৃহস্পতিবারের সংলাপে অংশ নেবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
বিএনপি এ বিষয়ে আলোচনার জন্য যথেষ্ট সময় পায়নি উল্লেখ কর দলটির মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
শায়রুল বলেন, আজ বিকাল ৪টা থেকে ৭টা পর্যন্ত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
‘জাতীয় ঐকমত্যের’ ভিত্তিতে ‘জুলাই ঘোষণা’ চূড়ান্ত করা হবে।
এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের বিষয়ে একটি ঘোষণাপত্র তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করে।
প্রধান উপদেষ্টার (সিএ) প্রেস উইং জানায়, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গড়ে ওঠা জনগণের ঐক্যকে সুদৃঢ় করার জন্য এ ঘোষণাপত্র গৃহীত হবে। এটি তার ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনা ও রাষ্ট্রীয় সংস্কারের দাবিকে তুলে ধরবে।
ঘোষণার খসড়ায় গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ সব রাজনৈতিক দল ও শিক্ষার্থীদের মতামত অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এ ঘোষণাপত্রে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, ঐক্যের ভিত্তি ও জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার চিত্র ফুটে উঠবে বলে জানিয়েছে প্রেস উইং।
সরকার আশা করছে যে, ঘোষণাপত্রটি সব অংশীজনের অংশগ্রহণে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তুত করা হবে এবং তারপর জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য