নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপে বিএনপির না যাওয়ার সিদ্ধান্তটি রাজনীতিতে সংঘাতের নতুন শঙ্কা তৈরি করেছে। দলটি স্পষ্টতই নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ফিরে গেছে। রাজপথে কর্মসূচি বাড়ানোর পাশাপাশি পুলিশের সঙ্গে, ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়াচ্ছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বলছে, নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি মীমাংসিত। এখানে বদলের আর কোনো জায়গা নেই।
দুই প্রধান রাজনৈতিক শক্তি স্পষ্টতই ৯ বছর আগে ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল-পরবর্তী অবস্থানে ফিরে যাচ্ছে।
সে সময় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কথার লড়াইয়ের পর সংঘাতে জড়ায় দুই পক্ষ। এতে ঝরে বহু প্রাণ, সম্পদহানি ছিল ব্যাপক।
দুই পক্ষই আবার অনড় অবস্থান নেয়ার ইঙ্গিত দেয়ার পর প্রায় এক দশক আগের অচলাবস্থা ফিরে আসছে কি না, এ নিয়ে আলোচনা এরই মধ্যে শুরু হয়ে উঠেছে।
বিষয়টি কেবল কথার লড়াইয়ে সীমিত নয়। হবিগঞ্জের শায়েস্তানগরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের কয়েক ঘণ্টা সংঘর্ষের পর সিরাজগঞ্জে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘাতে জড়ানোর ছবি এসেছে গণমাধ্যমে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বীর আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এবারও বিএনপি আন্দোলনে গেলে দেশে কিছু তো অস্থিতিশীল হবেই।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি সংলাপে যাচ্ছে না। এটা দলের জন্য কোনো ইতিবাচক ফল নিয়ে আসবে না। বরং সংলাপে গিয়ে গঠনমূলক প্রস্তাব রাখলে সেটা তাদের জন্য আরও ভালো ফল নিয়ে আসত। পরে তাদের দাবি না মানা হলে তারা বলতে পারত, তারা বলার পরও তাদের দাবি মানা হয়নি।’
তবে দেড় দশক ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির পক্ষে ২০১৩ থেকে ২০১৪-এর শুরু আর ২০১৫ সালের মতো পরিস্থিতি তৈরি সহজ হবে না বলে মনে করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই অধ্যাপক।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আন্দোলন হবে আন্দোলনের মতো। আন্দোলন হবে সত্যের জন্য, মুক্তির জন্য।’
এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আবার ২০১৩ সাল হবে কি না, জানি না। কেউ তো কারও ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে কিছু করে না। তবে দেশটা এখন একজনের হাতের ইশারায় নাচছে। ডিজিটালি মৃত্যু হচ্ছে। মানুষ পঙ্গু হয়ে আছে। সেই পঙ্গুত্ব থেকে উতরাতে হলে কঠোর আন্দোলনে যেতেই হবে।’
আন্দোলন হলে আবার সহিংসতা, মানুষের প্রাণহানি, সম্পদ নষ্ট হবে- এ বিষয়টি তুলে ধরলে গয়েশ্বর বলেন, ‘পাকিস্তানিদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে আমরা যুদ্ধ করিনি? স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করা হয়নি?’
বিএনপির এই হুমকির জবাবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আন্দোলন বিরোধী দল করতেই পারে। কিন্তু আন্দোলনের নামে কেউ যদি গান পাউডার দিয়ে বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়, বাসে অন্তঃসত্ত্বাকে পুড়িয়ে মারে, সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারে, তাদের দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রতিহত করবে।
‘আওয়ামী লীগ জনগণের দল। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য আওয়ামী লীগ যা করণীয় তাই করবে।’
ক্ষমতাসীন দলের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘মনে হচ্ছে বিএনপি ২০১৩-১৪ সালের মতো দেশে অগ্নিসন্ত্রাস করতে পারে। যদি তারা এমনটা করতে যায়, তাহলে আমরা তাদের রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করব।’
২০১১-১২ সালের মতো বাগ্যুদ্ধ
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের বাকি আর দুই বছরের মতো। এরই মধ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্পষ্টতই ঘোষণা দিয়েছেন ‘ফয়সালা হবে রাজপথে।’
দলটির এখন রাজপথে তাদের প্রধান দাবি হিসেবে তুলে ধরছে দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া। তবে এই দাবিতে জেলায় জেলায় কর্মসূচিতে লোকসমাগমের আরেক উদ্দেশ্যও আছে।
মির্জা ফখরুল আরেক দিন বলেছেন, এই কর্মসূচি তাদের ‘ওয়ার্ম-আপ’ তথা গা গরম। এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘আপনারা দেখেছেন খেলার আগে ফুটবলাররা ওয়ার্ম-আপ করে। ঠিক তেমনি সারা দেশে আন্দোলনের ওয়ার্ম-আপ শুরু হয়েছে।’
ওদিকে এর জবাব দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বিএনপি যতই ওয়ার্ম-আপ করুক, কোনো কাজ হবে না। তাদের ভোটে আসতে হবে দলীয় সরকারের অধীনেই।
সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেছেন, ‘সরকার পতন, আন্দোলন এসব মুখরোচক শব্দবৃষ্টি করে কোনো লাভ নেই। নির্বাচনে জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যান আর আন্দোলনে চরম ব্যর্থতাই বিএনপির একমাত্র প্রাপ্তি।’
বিএনপি দুই দফা আন্দোলনে নেমে ব্যর্থ হয়ে গত সংসদ নির্বাচনে আসার বিষয়টিই বারবার ইঙ্গিত করছেন সরকারদলীয় নেতারা।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘গাধা যেমন পানি ঘোলা করে খায়, বিএনপিও পানি ঘোলা করে নির্বাচনে আসবে।’
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কেউ নির্বাচনে না এলে মানুষ বসে থাকবে না। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে দুই বছর কথার এমন লড়াই দেখা গিয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপে বিশেষভাবে উৎসাহী বিএনপি
বিএনপির নেতা ও মাঠের কর্মীদের তথ্য বলছে, দলটির এই সক্রিয় হয়ে ওঠার পেছনে একটি অনুষঙ্গ হচ্ছে বাংলাদেশের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একটি পদক্ষেপ। বাহিনী হিসেবে র্যাব ও এর ছয় কর্মকর্তা ও পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে বিএনপি বিশেষভাবে আগ্রহী হয়েছে।
দলটি মনে করে, তারা ২০১৩ ও ২০১৫ সালে যে আন্দোলন করেছিল, সে সময় সরকার যে কঠোর ভূমিকা নিয়েছিল, এই পরিস্থিতিতে এসে তারা তা পারবে না।
২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এবং পরে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে টানা কয়েক মাস বিএনপির আন্দোলনে সহিংসতা ছিল ব্যাপক। সে সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকাও ছিল কঠোর।
বিএনপির অভিযোগ, সে সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তাদের অনেক নেতাকর্মীকে তুলে নেয়া হয়েছে, যাদের সিংহভাগই পরে আর ফেরেনি, অনেককে গুলি করা হয়েছে। এতে কর্মসূচিতে অংশ নেয়া নেতাকর্মীর সংখ্যা ক্রমেই কমেছে। একপর্যায়ে ২০১৫ সালে বিএনপির ডাকা অবরোধ কর্মসূচি অকার্যকর হয়ে যায়। তখন থেকেই বড় ধরনের কোনো কর্মসূচিতে আর যাচ্ছে না দলটি।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের পর নেতারা মনে করছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাঁধন এবার কিছুটা হলেও আলগা থাকবে। আর এই ধারণায় সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির নানা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণও বেশি দেখা যাচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত ২৪ ডিসেম্বর গাজীপুরে দলটির সমাবেশে বলেছেন, ‘র্যাবের সাত কর্মকর্তাকে আমেরিকা ভিসা বাতিল করে দিয়েছে। এই সরকারের পতন ঘণ্টা বেজে গেছে।’
অচলাবস্থা শুরু যেভাবে
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের মুখে বিএনপি সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংযোজন করে। সে সময় বিধান করে, সবশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হবেন এই সরকারের প্রধান।
দুটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা গঠন হয় এভাবে। ২০০৬ সালে তৃতীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান কে হবেন, এ বিষয়টি নিয়ে বাধে গোল।
সে সময়কার বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা দুই বছর বাড়ানোর পর এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয় যে, ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হবেন কে এম হাসান। তবে তাকে মেনে নিতে প্রস্তুত ছিল না আওয়ামী লীগ। এর কারণ হাসান তার রাজনৈতিক জীবনে ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক।
এ নিয়ে ঝঞ্ছাবিক্ষুব্ধ পরিস্থিতিতে ২০০২ সালের ২২ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যায় বিএনপির নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মতোই এই নির্বাচনকে প্রতিহতের ডাক দিয়ে রাজপথে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ ও সমমনারা।
এ পরিস্থিতিতে ওই বছরের ১১ জানুয়ারি জারি হয় জরুরি অবস্থা। দুই বছর পর জাতীয় নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে উচ্চ আদালতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিটের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
আবেদনটি করা হয়েছিল তখন বিএনপি সরকার ক্ষমতায়। ২০০৪ সালে হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বৈধ বলে ঘোষণা করে রায় দিয়েছিল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে রিট আবেদনকারী পক্ষ আপিল বিভাগে গিয়েছিল।
আইনজীবী এম সলিম উল্লাহসহ কয়েকজন এ আবেদনটি করেন। সলিমুল্লাহর মৃত্যু হলে আব্দুল মান্নান খান নামে আরেকজন আইনজীবী রিট আবেদনটিকে এগিয়ে নেন।
২০১১ সালের ১০ মে আসে আপিল বিভাগের রায়। এই সরকারব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক উল্লেখ করে তা বাতিল করে দেয়া হয়। পরে জাতীয় নির্বাচন ৩০ জুন এই সরকারব্যবস্থা বিলোপ করে জাতীয় সংসদ। সেদিনেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সরকার দায়ী থাকবে।
২০১২ সালে কর্মসূচি বাড়িয়ে পরে সংঘাত
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপের পর ২০১২ সাল থেকে রাজপথে কর্মসূচি বাড়াতে শুরু করে বিএনপি ও তার জোট ২০ দল। ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন-পরবর্তী এক সপ্তাহ চলে সংঘাত। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরানোর দাবি ও নির্বাচন বানচালে সহিংস আন্দোলনে শত শত মানুষ পেট্রলবোমায় প্রাণ হারায়, হাজার হাজার মানুষ হয়েছে আহত। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতি হারায়, রপ্তানিতে প্রভাব পড়ার শঙ্কা জাগে।
ভোট শেষে বিএনপির জোট কর্মসূচি স্থগিত করলেও ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি ওই নির্বাচনের এক বছর পূর্তির দিন আবার সহিংস অবরোধে ফিরে যায়। এরপর এক মাসের বেশি সময় চলে সংঘাত-সহিংসতা। আবার বহু প্রাণ জ্বলে যায় পেট্রলবোমায়।
তবে সরকার অবস্থান থেকে সরেনি।
পরে আসে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সে সময় বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বদলে নিয়ে আসে ‘সহায়ক সরকার’-এর দাবি। তবে ওই সরকারের রূপরেখা কেমন হবে, সেটি দিতে পারেনি দলটি।
পরে আওয়ামী লীগের অধীনেই ভোটে আসে বিএনপি। তখন নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দুই পক্ষের বিবাদের আপাত অবসান হয়েছে বলে ধরা হলেও ভোট শেষে বিএনপি আবার ‘দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়’ অবস্থানে ফিরে যায়।
চট্টগ্রামের রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আলমগীর আলম (৫৫) নামে এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকেল ৫টার দিকে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কায়কোবাদ আহম্মদ জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রিয়াজ ও আকিব নামে দুইজন যুবদল নেতাও গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া।
স্থানীয়রা জানান, নিহত আলমগীর আলম বিএনপি নেতা। তিনি রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব রাউজানের সিদ্দিক চৌধুরী বাড়ির আবদুস সত্তারের ছেলে।
আলমগীরের ছেলে আসফায়েত হোসেন বলেন, শনিবার দুপুরে পরিবারের সবাই মিলে পূর্ব রাউজান রশিদ পাড়ায় ফুফুর বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলাম। বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে কায়কোবাদ আহম্মদ জামে মসজিদের সামনে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি করে আমার বাবাকে হত্যা করে।
রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আলমগীর নামে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ মরদেহ সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে কে বা কারা গুলি করে পালিয়ে গেছে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
এদিকে বিএনপি নেতা আলমগীর হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার। তিনি বলেন, আলমগীর আওয়ামী শাসনামলে দীর্ঘ ১২ বছর কারাভোগের পর সম্প্রতি কারামুক্ত হয়েছিল। তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে যারা হত্যা করেছে- তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
গত ৭ অক্টোবর উপজেলার বিএনপি কর্মী মুহাম্মদ আবদুল হাকিমকে (৫২) রাউজানের খামার বাড়ি থেকে ফেরার পথে হাটহাজারীর মদুনাঘাটে চলন্ত গাড়িতে গুলি করে হত্যা করে অস্ত্রধারীরা। এ ঘটনার রেশ না কাটতেই উপজেলায় আরও একটি হত্যার ঘটনা ঘটল।
উল্লেখ্য, রাউজানে গত ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক সহিংসতায় মোট ১৭টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১২টি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে জানা যায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন বলেছেন, ‘আদর্শ ও মতের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও গণতন্ত্রের স্বার্থে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে এক হতে হবে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তনের সব দরজা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
গতকাল শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের বিভেদের কারণে ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তন ঘটলে জাতি ক্ষমা করবে না।’
তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলে মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও দেশ ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তন ঠেকাবো।’
আবেগাপ্লুত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘দুই-চার কলাম লেখার জন্য আমাকে প্রায় সাড়ে নয় বছর নির্বাসনে থাকতে হয়েছে, আয়নাঘরে থাকতে হয়েছে, নির্যাতনে কারাগারে থাকতে হয়েছে। কিন্তু কখনো সংগ্রামের পথ থেকে পিছিয়ে যাইনি।’
সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘এক সময় আমি ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেলে ছিলাম। করোনারি কেয়ার ইউনিটের একটি সেলে আমাদের রাখা হয়। তিনি অনশন শুরু করলে তাকে বলেছিলাম, আপনি মারা গেলে শেখ হাসিনা খুশি হবে, দয়া করে অনশন ভঙ্গ করুন। ছয়-সাত দিন পর মুরুব্বিরা দেখা করে তার অনশন ভাঙ্গান।’
ছাত্রদের অভ্যুত্থানের গৌরবময় ইতিহাস বুকে ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।
তিনি বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের রক্তঝরা দিনগুলো স্মৃতিতে ধরে রেখে, তার ভিত্তিতেই আমাদের আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হবে। সন্তানদের জন্য একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক সমাজ, রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থা গড়ে তোলাই হবে আমাদের দায়িত্ব।’
আমাদের সন্তানদের রক্তের অঙ্গীকার পূরণ করতে হবে বলে সকলের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং মানিকগঞ্জ-১ আসনে এমপি প্রার্থী এস.এ জিন্নাহ কবির বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে ধোকা দিয়ে ভোট নেওয়ার পাঁয়তারা করছে। সাধারণ ভোটাদের ইসলাম ধর্ম নিয়ে মিথ্যা অপব্যাখ্যা দিয়ে বলে বেড়াচ্ছে দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিলে জান্নাতে যাওয়া যাবে, নাওজুবিল্লাহ দেখেন কত বড় মিথ্যাবাদী।
তিনি বলেছেন, কোরআন শরীফের নিয়ম মেনে ও আল্লাহর সকল কিছু মেনে আল্লাহর খাঁটি বান্দা হলে একমাত্র জান্নাত পাওয়া যেতে পারে। ধর্ম ব্যবসায়ী জামায়াতের মিথ্যা কথায় আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না। স্বাধীনতাবিরোধী মিথ্যাবাদী, প্রতারণাকারী জামায়াতকে প্রতিহত করতে হবে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে ঘিওর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ ও প্রচারণা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথ বলেন।
ঘিওর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর মানিকুজ্জামান মানিকের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জানে আলমের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কাজী মোস্তাক হেসেন দিপু, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, জেলা বিএনপি সাবেক কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. লোকমান হোসেন, জেলা কৃষক দলের সিনিয়র সহসভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আবদুল মতিন মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান আনিস ও জেলা যুবদলের সদস্য মোসলেম উদ্দিন প্রমুখ।
বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় এলে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে “রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ৩১ দফা” বিষয়ে খন্দকার শামসুল আলম ফাউন্ডেশন আয়োজিত মেধাবৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সভাপতি মো. শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তারেক রহমান বলেন, “দেশকে এগিয়ে নিতে হলে প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় এলে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হবে। শিক্ষকদের এমন সাপোর্ট দেওয়া হবে যাতে তারা পাঠদানে পুরো মনোযোগ দিতে পারেন।”
তিনি আরও বলেন, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শেখানো হবে নিজের যত্ন নেওয়া এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের শিক্ষা।”
তারেক রহমান জানান, ভবিষ্যতে মেধাবীদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং শিক্ষকদের মর্যাদা ও প্রণোদনা বাড়ানো হবে।
তারেক রহমান বলেন, “বিগত ১৫ বছরে প্রচুর অর্থবিত্ত পাচার হয়ে গেছে। পানির অপর নাম জীবন তাই খালগুলো পুনঃখনন ও পানির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে যে খাল খনন কর্মসূচি নিয়েছিলেন, তা পুনরায় বাস্তবায়নের মাধ্যমে পানির সংকট ও আর্সেনিক সমস্যা সমাধানের পথ উন্মুক্ত হবে।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “মেধাবীদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে আগামীর নেতৃত্ব। তরুণরা যেন বিদেশে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মতো যোগ্যতা অর্জন করতে পারে ভাষা শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, সাহিত্য-সংস্কৃতি প্রতিটি ক্ষেত্রে স্কুল থেকেই দক্ষতা গড়ে তোলা হবে।”
তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, কোনো মেধাবী যেন আর ঝরে না পড়ে, সে লক্ষ্যে সরকার গঠন করলে শিক্ষাব্যবস্থায় যুগান্তকারী সংস্কার আনা হবে।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, বিএনপি'র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ।
প্রধান অতিথি তারেক রহমানের বক্তব্যের আগে অনুষ্ঠানস্থল থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা সরাসরি বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও ছাত্র-ছাত্রীরা উত্তর দেন।
উল্লেখ্য যে, তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার ওপর গত ১৬ আগস্ট ১০ হাজারের ওপর শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হয়। পুরস্কার দেওয়া হয় ৬০ জনকে। এরমধ্যে প্রথম পুরস্কার ২৫ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ১৫ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার ১০ হাজার টাকা এবং চতুর্থ পুরস্কার ৫ হাজার টাকা।
প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত তিনটি স্কুলকে এক লাখ করে তিন লাখ টাকা দেওয়া হয়।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধি দল। শনিবার সকাল ১০টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এনসিপির প্রতিনিধি দলে থাকবেন—দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধি দল জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ, আইনি ভিত্তিসহ সনদের নানা বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ক্ষমা প্রার্থনা কমপক্ষে তিনবার চেয়েছি। অধ্যাপক গোলাম আজম, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী এবং আমিও চেয়েছি। শুধু এখন নয়, ৪৭ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামী দ্বারা কেউ যদি কোনো কষ্ট পেয়ে থাকেন অথবা কারও কোনো ক্ষতি হয়ে থাকে আমি সব ব্যক্তি এবং সংগঠনের পক্ষে নিঃশর্তে আপনাদের কাছে ক্ষমা চাই।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ক্ষমার বিষয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রায় দুই ঘণ্টা যাবৎ স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, এ ক্ষমা গোটা জাতি হইলেও চাই, ব্যক্তি হইলেও চাই, কোনো অসুবিধা নাই। আমরা কেউ কখনো বলিনি—আমরা কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে।
জামায়াত আমির বলেন, আমাদের ১০০টার মধ্যে ৯৯টা সিদ্ধান্ত সঠিক, একটা তো বেঠিক হতে পারে। সেই বেঠিক একটা সিদ্ধান্তের জন্য জাতির ক্ষতি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমার কোনো সিদ্ধান্তের জন্য যদি জাতির ক্ষতি হয় তাহলে আমার মাফ চাইতে অসুবিধা কোথায়?
ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী সংখ্যালঘুরা নির্বিঘ্নে থাকবে বলে উল্লেখ করেন ডা. শফিকুর রহমান।
জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) শাপলা প্রতীক দিতে কোনো আইনগত বাঁধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির (উত্তরাঞ্চল) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছি। নির্বাচন কমিশন কাউকে খুশি করার জন্য এ সিদ্ধান্ত দিচ্ছে। নির্বাচন কমিশন আমাদের দেখাক কোন আইনে শাপলা প্রতীক এনসিপিকে দেওয়া যাবে না। রোববার দিনাজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সমন্বয় সভা শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, যে নির্বাচন কমিশন একটি রাজনৈতিক দলকে তাদের প্রাপ্য মার্কা দেয়ার সৎ সাহস দেখাতে পারে না, আমরা মনে করি সেই কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন এই বাংলাদেশে হতে পারে না। এনসিপি আমাদের জায়গা থেকে অবশ্যই প্রত্যাশা করি, যে আমরা শাপলা প্রতীক পেয়েই আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবো। এটা যদি তারা আমাদের সাথে অন্যায় করে, তাহলে আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবো।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পূর্বে বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলো রাস্তাঘাটে নেমে হাহাকার করতো। কর্মসূচী দিয়ে হাহাকার করতো। আমরা অনেক অফিস দেখেছি যে, অফিসের সামনে ১০ জন লোক দাড়ানোর মতো ছিল না, বড় বড় রাজনৈতিক দলের অফিস। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে জনগণ তখনই রাস্তায় নেমেছে, যাদের ওপর জনগণ আস্থা রেখেছে। এখন যদি জনগণের ওই আস্থার প্রতিদান কেউ কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক দল না দেয়, জনগণ তাদের মতো করে আগামীতে যখন সুযোগ হবে জনগণ তার সুফল দেখাবে। আমরা স্পষ্ট করে বলি, আপনারা ইতিহাস থেকে দয়া করে শিক্ষা নেন। জুলাই সনদ আপনারাও চান, আমরাও চাই। আপনারা যদি জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণা পত্রের মতো নাম কাওয়াস্তে একটি পেপার চান, ওই সনদ আমরা চাই না।
এর আগে তিনি জেলা এনপিসির সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। জেলা এনপির প্রধান সমন্বয়কারী ফয়সনাল করিম সোয়েবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ড. আতিক মুজাহিদ ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ডা. মো. আব্দুল আহাদসহ প্রমুখ নেতারা।
মন্তব্য