× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
As expected in the new year
google_news print-icon

নতুন বছরে যার যেমন প্রত্যাশা

নতুন-বছরে-যার-যেমন-প্রত্যাশা
শীতের সকালে গাছি খেজুরের রস নিয়ে বাজারে যাচ্ছেন বিক্রির জন্য। ছবিটি মানিকগঞ্জের সিংগাইর থেকে তোলা। ছবি: সাইফুল ইসলাম/নিউজবাংলা
২০২২ সালে দেশের অর্থনীতি থেকে বিনোদন খাতে সক্রিয়রা কে কী প্রত্যাশা করছেন, জানতে চেয়েছিল নিউজবাংলা। নতুন বছরটি দেশের জন্য আরও সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে বলে তাদের প্রত্যাশা। নিজ নিজ খাতকে আরও এগিয়ে নিতে করনীয় সম্পর্কে বলেছেন তারা।

নতুন বছর মানেই প্রাণের নতুন স্পন্দন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা। বিগত বছরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছর নিয়ে যায় অমিত সম্ভাবনার পথে।

২০২২ খ্রিষ্টাব্দকে বরণ করে নিতে গোটা বিশ্ব জুড়ে চলছে নানা বর্ণাঢ্য আয়োজন। খ্রিষ্টীয় নববর্ষকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বাংলাদেশ, যদিও করোনা মহামারি সেই আয়োজনকে কিছুটা ফিকে করে দিয়েছে।

বাংলা নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকলেও ব্যবহারিক জীবনে খ্রিষ্টীয় পঞ্জিকার বিকল্প নেই। জাতীয় জীবনে, প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় অবিচ্ছেদ্যভাবে মিশে আছে এই ক্যালেন্ডার।

ওমিক্রন প্রভাব ফেলতে পারে অর্থনীতিতে

করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রভাবে দেশের রপ্তানি খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদ মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘নতুন বছরে অনেক অনিশ্চয়তা আছে। ওমিক্রনের প্রভাবে দেশের অর্থনীতির পাশাপাশি যেসব দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে, সেটা নিয়ে ভাবতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রবাসী কর্মীরা যেসব দেশে থাকে সেসব দেশের অবস্থা কেমন হবে সেটা বড় বিষয়। রপ্তানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। সামনের দিনে ওমিক্রনের প্রভাবে ইউরোপ ও আমেরিকায় তৈরি পোশাকের চাহিদা কেমন দাঁড়াবে সেটা অনিশ্চিত। এ জন্য রপ্তানি খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।’

নতুন বছরে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরাটাও সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে মনে করেন তিনি। মির্জ্জা আজিজ বলেন, ‘এখনই মূল্যস্ফীতি প্রায় ৬ শতাংশের কাছাকাছি। এটা নিয়ন্ত্রণ না করলে জীবনযাত্রায় ব্যাপক প্রভাব পড়বে।’

নতুন করে দারিদ্র্য বেড়েছে জানিয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। এ জন্য সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সরকারের গুরুত্ব আরও বাড়াতে হবে।’

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে প্রণোদনার টাকা সঠিকভাবে বিতরণের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা ঠিকমতো টাকা পায় না। তাদের ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানে যেন কিছু মানুষ কাজ করতে পারে, সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে।’

রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির চাকা থামবে না

দেশ করোনামুক্ত হবে, মানুষের জীবন রক্ষা পাবে, এটাকেই আগামীর প্রত্যাশা মানছেন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ।

তিনি বলেন, ‘মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারলে ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছু বেগবান হবে। করোনা মহামারি রয়ে গেলেও, আমি বিশ্বাস করি, মানুষ যেভাবে সচেতন হচ্ছে, তাতে আগামী বছর ব্যবসা-বাণিজ্য সব কিছু হয়তো ভালো হবে।’

ব্যবসা-বাণিজ্যের সার্বিক দিকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যে ইন্ডিকেশনগুলো দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ঠিক থাকবে। এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো রপ্তানি ও রেমিট্যান্স ঠিক রাখা।’

শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফেরাতে হবে

শিক্ষাখাতকে বাঁচাতে বাংলাদেশকে করোনামুক্ত রাখার কথা জানিয়েছেন জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক এবং শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক শেখ ইব্রাহিম কবির।

তিনি বলেন, ‘নতুন বছরে আমার প্রত্যাশা করোনা মহামারি বাংলাদেশে আর ফিরে না আসুক এবং শিক্ষার্থীরা যাতে স্বাভাবিক ক্লাসে ফিরতে পারে, পাঠদান কার্যক্রম যাতে সুষ্ঠুভাবে হতে পারে, নতুন বছরে এটাই প্রত্যাশা। তা না হলে গত ২ বছরের মতো শিক্ষার্থীরা আরও পিছিয়ে পড়বে।’

শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ক্লাসের সংখ্যা বাড়োনোর ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

অধ্যাপক শেখ ইব্রাহিম কবির বলেন, ‘শিক্ষার ক্ষতি পোষানোর জন্য আমি সবসময় বলি ক্লাসের সংখ্যা বাড়াতে হবে, অতিরিক্ত ক্লাস নিতে হবে, গ্রামগঞ্জে দুই-তিন শিফটে ক্লাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।’

এ জন্য প্রয়োজনে শিক্ষকদের ফি বাড়িয়ে দেয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।

মনোযোগ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে

আগামী বছরে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা চান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

তিনি বলেন, ‘আমার প্রত্যাশার জায়গা বাস্তবতার নিরিখে এখন একটাই। সেটা হচ্ছে, করোনার সংক্রমণ যেটা আমরা ২০২১-এ দেখলাম, ২০২০-এ দেখলাম, সেটা যেন ২০২২ সালে আর না থাকে। এই করোনা মহামারি থেকে মুক্তির জন্য আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার।’

স্বাস্থ্যখাতে সরকারের বরাদ্দ বাড়ানো উচিত বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সময়মতো টিকা দেয়াসহ সবাইকে যেন স্বাস্থ্য সুরক্ষার মধ্যে নিয়ে আসা যায় সে জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকা উচিৎ। আমরা নিজেরা যদি করোনা থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে পারি, তা হলে আমাদের যে দৈনন্দিন স্বাভাবিক কার্যক্রম, সেগুলো আমরা ভালোভাবে চালিয়ে যেতে পারব।’

করোনা পরবর্তী সময়ে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যখাতে গুরুত্ব দেয়া দরকার বলে মনে করেন এই শিক্ষাবিদ। তিনি বলেন, ‘করোনা আমাদেরকে এখন এই শিক্ষাই দিয়েছে যে স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা এই দুটি যে-কোনো রাষ্ট্রের জন্য যে-কোনো প্রজাতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ। তাই এই দুই সেক্টরে সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’

দলকে শক্তিশালী করবেন রাজনীতিবিদরা

নতুন বছরে তৃণমূলের রাজনীতিকে সুসংগঠিত করে দলকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা চাই নতুন বছরে আওয়ামী লীগকে তৃণমূলে আরও সুসংগঠিত করতে। ২০২৩ সালের নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে দলকে সুসংগঠিত করাই আমাদের প্রত্যাশা।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু-তনয়া শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে যে উন্নয়ন হচ্ছে, তিনি যেভাবে সততা, সাহসিকতা, দেশপ্রেম দিয়ে বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে মর্য়াদার আসনে নিয়ে গেছেন, তা অব্যাহত রাখা আমাদের লক্ষ্য।’

আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, করোনামুক্ত বাংলাদেশ গড়া তাদের লক্ষ্য।

তিনি বলেন, ‘নতুন বছরে আওয়ামী লীগের প্রত্যাশা করোনা থেকে যেন দেশ মুক্তি পায়। একটি সুস্থ গণতান্ত্রিক দেশ হয়। দেশের অর্থনীতি যেন আরও শক্তিশালী হয়। দেশ যেন আরও সমৃদ্ধ হয়।’

বিপরিতে আওয়ামী লীগের শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করাকে নিজেদের প্রত্যাশা বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে দেশের সাধারণ জনগণ মুক্তি লাভ করুক এটাই এখন প্রত্যাশা। নতুন বছরের প্রত্যাশা। প্রতিটি দিনের প্রত্যাশা। আর এটা কেবল দলীয় প্রত্যাশা না, এটা দেশের প্রত্যাশা। সেই প্রত্যাশা পূরণ হোক।’

আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে সুসংগঠিত করা এবং দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখাকে আগামী দিনের প্রত্যাশা হিসেবে দেখছে জাতীয় পার্টি।

দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নতুন বছরে জাতীয় পার্টির প্রত্যাশা থাকবে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। এ ছাড়াও দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাব।’

টিকাদানের গতি বাড়াতে চায় সরকার

১২ বছরের বেশি সব মানুষকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার আওতায় আনতে চায় সরকার। সে জন্য আগামীতে এই খাতে উন্নতি অব্যাহত রাখার ওপর জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মাদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘নতুন বছরে টিকাদান কর্মসূচির গতি বাড়াতে ১ জানুয়ারি দেশজুড়ে টিকার বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে। তা চলবে টানা দুই মাস। দীর্ঘ এই ক্যাম্পেইনে ৩ কোটি ৩২ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। এই টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে গ্রাম ও ওয়ার্ড পর্যায়ে। পাশাপাশি স্বাভাবিক টিকাদান কর্মসূচি ও বুস্টার ডোজ দেয়া চলমান থাকবে।’

ক্রীড়াবিদরা চান দেশের জন্য সাফল্য আনতে

ক্রিকেটসহ সব খেলায় বাংলাদেশ তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাবে এমন প্রত্যাশা রেখেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান।

তিনি বলেন, ‘গত বছর আমাদের নারীরা আমাদের গর্বিত করেছে। ক্রিকেটে নারীরা সরাসরি বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করেছে। একই সঙ্গে সাফের ফাইনালে আমাদের ফুটবলার মেয়েরা ভারতকে হারিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।’

প্রমীলা ফুটবলারদের শুভেচ্ছা জানিয়ে এই ক্রীড়াবিদ আরও বলেন, ‘তাদের কাছ থেকে প্রত্যাশাটাও থাকবে বাড়তি।’

বৈষম্যহীন সমাজের প্রত্যাশা

মানুষে মানুষে দূরত্ব ঘুচিয়ে বৈষম্যহীন একটা সমাজ প্রত্যাশা করেন অভিনেত্রী বাঁধন।

জীবন আর ক্যারিয়ারের পাশাপাশি নিজের মেয়েকে নিয়েও তার ভাবনার কথা বলেছেন এ অভিনেত্রী। প্রত্যাশা, সবাই মিলে ভালো থাকার।

বাঁধন বলেন, ‘মানুষ হয়ে ওঠার যে প্রক্রিয়ায় আছি, সেটা সব সময় চালিয়ে যেতে চাই। আমার অনেক ভুল-ত্রুটি আছে, অজ্ঞতা আছে অবশ্যই। সেগুলো দূর করতে চাই।’

২০২১-কে নিজের নাটকীয় পরিবর্তনের বছর বলে মনে করেন তিনি।

বাঁধন বলেন, ‘আশেপাশের অনেকে খারাপ আছে দেখলে তখন নিজের ভালো থাকাটা হয় না। নতুন বছরে চাই বৈষম্য দূর হোক। তবে এই চাওয়াটা আমার সবসময় থাকবে।’

স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশ বরাদ্দের দাবি

নতুন বছরে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর জোর দাবি জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ লেলিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘আমাদের মতো দেশগুলোর জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ হলো জাতীয় বাজেটে জিডিপির ৫ শতাংশ পরিমাণ অর্থ স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ করা। কিন্তু বিগত একযুগের বেশি সময় ধরে এই খাতে জিডিপির ১%-র কম অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

‘বর্তমান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই বরাদ্দকে সঠিকভাবে ব্যয় করার সামর্থ্য রাখে না। ফলে প্রতিটি অর্থবছরে বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থের একটি অংশ অব্যবহৃত থেকে যায়। তাই নতুন বছরে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হোক।’

তিনি আরও বলেন, ‘বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যবহার করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কলেবর এবং দক্ষতা বাড়ানো হোক। আমাদের দেশে স্বাস্থ্যসেবা বলতে মূলতঃ চিকিৎসাসেবাকে বোঝানো হয়। কিন্তু চিকিৎসাসেবা হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবার কয়েকটি অংশের একটি মাত্র।

‘এজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রতিরোধী বা জনস্বাস্থ্য সেবা, চিকিৎসাসেবা ও মেডিক্যাল শিক্ষা, গবেষণা, সমন্বয় (কৃষি, মৎস্য, পরিবেশ, শিল্প, বন,পশুসম্পদসহ অন্য যেসব মন্ত্রণালয়/বিভাগ মানবস্বাস্থ্যের সঙ্গে যুক্ত সেসবের মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য) এবং পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে বিভক্ত করতে হবে। প্রতিটি বিভাগে একজন সচিব থাকবে।’

‘দীর্ঘদিন যাবত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অদক্ষতা, অব্যবস্থাপনা এবং দুর্নীতির অভিযোগ যুক্ত হয়ে আসছে। নতুন বছরে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এইসব অভিযোগ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সত্যি সত্যি উদ্যোগী হবে,’ যোগ করেন তিনি।

আরও পড়ুন:
২০২২ সালে প্রাণের নতুন স্পন্দন: রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী
নববর্ষে তারা গাইলেন নতুনের জয়গান

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Arafat Islam is the new director of RABs media wing

র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের নতুন পরিচালক আরাফাত ইসলাম

র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের নতুন পরিচালক আরাফাত ইসলাম কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। ছবি: র‌্যাব
কমান্ডার আরাফাত ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রেষণে র‌্যাবে যোগ দেন। তিনি ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত র‌্যাব-১৩-এর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

বাহিনীটি বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কমান্ডার আরাফাত ইসলাম, (এনডি), বিপিএম (সেবা), এনইউপি, পিসিজিএম, বিএন অদ্য ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখে লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি কমান্ডার খন্দকার আল মঈন (সি), বিপিএম (বার), পিএসসি, বিএনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

‘কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন চৌকস অফিসার। তিনি ১৯৯৫ সালে ৩৫তম বিএমএ লং কোর্সের সাথে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চে কমিশন লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন নৌ বাহিনীতে ছোট ও মাঝারি বিভিন্ন জাহাজের অধিনায়ক হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। কমান্ডার আরাফাত ইসলাম দেশ ও বিদেশে নৌবাহিনীর বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।’

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কমান্ডার আরাফাত ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রেষণে র‌্যাবে যোগ দেন। তিনি ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত র‌্যাব-১৩-এর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আরও পড়ুন:
বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার উদ্ধার
ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে উদ্ধার ৬ বন্যপ্রাণী
ময়মনসিংহে তিন হাসপাতাল এক ক্লিনিক সিলগালা
ডিসি এসপি র‌্যাবের সিও পরিচয়ে টাকা হাতিয়ে নিত চক্রটি
নওগাঁয় ৭২ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেপ্তার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Prime Minister leaves Dhaka for Thailand

থাইল্যান্ডের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ

থাইল্যান্ডের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে থাইল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে বুধবার সকালে ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি। খবর বাসসের

প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটির অবতরণের কথা রয়েছে।

২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফর উপলক্ষে সোমবার তার মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটি একটি দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উভয় সফর।’

তিনি বলেন, এই সফর উভয় পক্ষের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এতে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের (বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড) মধ্যে সহযোগিতার নতুন জানালা উন্মোচিত হবে।

গত জানুয়ারিতে সরকার গঠনের পর এটিই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।

সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনার অভিপ্রায়পত্রসহ বেশ কিছু সহযোগিতার নথিতে স্বাক্ষর করবে।

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড সরকারী পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি, শক্তি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আরও দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার সম্ভাবনা রয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই সফর বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি’ পর্যালোচনার সুযোগ তৈরি করবে।

সফরকালে হাছান বলেন, আসিয়ানের ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ হওয়ার জন্য বাংলাদেশের আবেদনের বিষয়টি ঢাকা জোরালোভাবে উত্থাপন করবে।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান রাজনৈতিক সংঘাতের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য বাংলাদেশ আসিয়ানের সদস্য হিসেবে থাইল্যান্ডের প্রতি তার তাগিদ পুনর্ব্যক্ত করবে।

তিনি বলেন, যেহেতু থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার উভয়ই আসিয়ানভুক্ত, তাই রোহিঙ্গা ইস্যুটি যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

হাছান বলেন, উচ্চ পর্যায়ের সফরে বিনিয়োগ, পর্যটন, জ্বালানি, স্থল ও সমুদ্র সংযোগের ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড যৌথ কার্যক্রমের মাধ্যমে পর্যটন খাতের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারে এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন, বৌদ্ধ সার্কিট কর্মসূচি প্রচারের পাশাপাশি ভ্রমণ ও অবকাশ শিল্পে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দক্ষতা বিনিময় করতে পারে।

মন্ত্রী বলেন, পর্যটন শিল্পে এই সহযোগিতা উভয় দেশে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে।

২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিন স্বাগত জানাবেন এবং তাকে একটি আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) একান্ত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন, নথিতে স্বাক্ষরে উপস্থিত থাকবেন, একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন এবং এরপর সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে থাই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন।

সফরকালে, প্রধানমন্ত্রী রাজপ্রাসাদে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরাক্লাওচাওয়ুহুয়া এবং রানী সুথিদা বজ্রসুধাবিমলালক্ষণের রাজকীয় দর্শকদের সঙ্গে থাকবেন।

প্রধানমন্ত্রী ২৫ এপ্রিল ইউএনএসক্যাপ-এর ৮০ তম অধিবেশনে যোগদান করবেন এবং সেখানে ভাষণ দেবেন।

একই দিনে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল এবং এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

‘লিভারেজিং ডিজিটাল ইনোভেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৮০তম অধিবেশনটি টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে অঞ্চলব্যাপী সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ জোরদার করার একটি সুযোগ হবে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিজিটাল উদ্ভাবন কীভাবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে অবদান রাখতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করতে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সরকারি নেতা ও মন্ত্রী এবং অন্যান্য মূল অংশীজনদের এই অধিবেশনে একত্রিত করা হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Day temperature may rise and there may be discomfort

দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে, অস্বস্তি থাকতে পারে

দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে, অস্বস্তি থাকতে পারে গরমের তীব্রতা বাড়ার মধ্যে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় গোসল করছেন এক ব্যক্তি। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস/নিউজবাংলা
তাপমাত্রার বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

দেশজুড়ে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে জানিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে বিরাজ করতে পারে অস্বস্তি।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দিয়েছে।

পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

বৃষ্টিপাতের বিষয়ে বলা হয়, সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ নিয়ে বলা হয়, রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ও পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে।

তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আরও পড়ুন:
ছয় জেলায় তীব্র দাবদাহ, দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস
দাবদাহে পুড়ছে জীবন, পুড়বে আরও
নতুন করে ৭২ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি
দাবদাহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
গাছহীন সড়কটি যেন ‘উত্তপ্ত কড়াই’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
173 Bangladeshis are returning from Myanmar prisons

মিয়ানমারের কারাগার থেকে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি

মিয়ানমারের কারাগার থেকে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি ছবি: সংগৃহীত
এসব বাংলাদেশিকে বহনকারী জাহাজটি বুধবার দেশের সমুদ্রসীমায় পৌঁছবে। তাদের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজার, ৩০ জন বান্দরবান, সাতজন রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার একজন করে বাসিন্দা রয়েছেন।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিতোয়ে কারাগার থেকে ১৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরছেন। মঙ্গলবার ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।

একই দিন সকালে এসব বাংলাদেশি নাগরিককে নিয়ে মিয়ানমারের নৌ-জাহাজ চিন ডুইন সিতোয়ে বন্দর ত্যাগ করেছে। জাহাজটি রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের কারণে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হওয়া মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে কক্সবাজারে আসছে।

বুধবার জাহাজটি বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় পৌঁছবে এবং পরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বাংলাদেশের নাগরিকদের হস্তান্তর করা হবে।

দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশি ১৭৩ জনের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজার, ৩০ জন বান্দরবান, সাতজন রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার একজন করে বাসিন্দা রয়েছেন।

ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস মিয়ানমারের জাহাজটির বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি তুলে ধরে। সর্বোচ্চসংখ্যক যাচাই করে বাংলাদেশি নাগরিকদের দ্রুত ও সহজে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনায় দূতাবাস মিয়ানমারের বিভিন্ন কারাগারে অবস্থানরত ১৪৪ জন ‘যাচাই করা বাংলাদেশি নাগরিক, যাদের কারাভোগের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে বা ক্ষমা পেয়েছেন’ তাদেরকে সিতোয়ে কারাগারে আনার উদ্যোগ নেয়।

পাশাপাশি আরও ২৯ জন যাচাই করা বাংলাদেশি নাগরিক, যারা এখনও কারাভোগ করছেন কিংবা বিচারাধীন, একইসঙ্গে তাদেরও মুক্তি দেয়ার বিষয়টি মিয়ানমারের কাছে তুলে ধরা হয়। এর ভিত্তিতে সাজা মওকুফ করে তাদেরকেও দেশে পাঠানো হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সবশেষ গত বছরের ৩ অক্টোবর দুই দেশের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মিয়ানমারে কারাভোগ শেষ করা ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন:
মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে আহত বাংলাদেশি দুই জেলে
রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা: জবাবদিহির পরিবেশ সৃষ্টিতে জোর জি-৭ দেশগুলোর
বাংলাদেশে আশ্রয়ের জন্য ঢুকল বিজিপির আরও ১৩ সদস্য
বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে মোট ২৬১ বিজিপি সদস্য
গোপনে ঢুকছে রোহিঙ্গারা, সীমান্তে অপেক্ষায় আরও

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Emir of Qatar leaves Dhaka

কাতারের আমিরের ঢাকা ত্যাগ

কাতারের আমিরের ঢাকা ত্যাগ কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি দু’দিনব্যাপী বাংলাদেশ সফর শেষে মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা ত্যাগ করেন। ছবি: পিআইডি
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি রাষ্ট্রপতির মো. সাহাবুদ্দিনের আমন্ত্রণে ২২-২৩ এপ্রিল দু’দিনব্যাপী বাংলাদেশ সফর করেন। তিনি সরকারি ও বেসরকারি সেক্টরের সদস্যদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বাংলাদেশে তার দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে মঙ্গলবা বিকেলে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কাতার আমিরের সফর দু’দেশের মধ্যে অসাধারণ সদিচ্ছা ও বোঝাপড়া তৈরি করেছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ের এ সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও সুসংহত এবং পরবর্তী স্তরে উন্নীত করতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে।

কাতারের আমির বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে ২২-২৩ এপ্রিল দু’দিনব্যাপী বাংলাদেশ সফর করেন। তিনি সরকারি ও বেসরকারি সেক্টরের সদস্যদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন আমির-ই দেওয়ান প্রধান, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী, কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, কাতার চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান, কাতার ইনভেস্টমেন্ট অথরিটির (কিউআইএ) এশিয়া ও আফ্রিকা ইনভেস্টমেন্টের প্রধান, এশিয়ান অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চের পরিচালক।

সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এবং কাতারি আমিরের নেতৃত্বে কাতারি প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ফলপ্রসূ দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেন।

দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সময় উভয় পক্ষই দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার প্রশংসা করে এবং বর্ধিত পারস্পরিক আলাপ-আলোচনা, দু’দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ এবং রাষ্ট্রীয়, ব্যবসা ও রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সকল স্তরে সফর বিনিময়ের মাধ্যমে সম্পর্ককে আরও বাড়ানো ও এগিয়ে নেয়ার পন্থা ও উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় যেসব বিষয় উঠে এসেছে- সেগুলো ছিল বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, জনশক্তি, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা ইত্যাদি।

উভয়পক্ষ গাজা যুদ্ধ এবং মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনসহ পারস্পরিক স্বার্থের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতেও মতবিনিময় করেছে। উভয় নেতা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ও সহিংসতা বৃদ্ধির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং ফিলিস্তিনের সমস্যার টেকসই সমাধানের জন্য বিশ্ব নেতাদের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী তার উদ্বোধনী বক্তব্যে একটি উন্নত জ্ঞানভিত্তিক বহু-সাংস্কৃতিক সমাজ হিসাবে কাতারের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও রূপান্তর এবং আমিরের নেতৃত্বে মধ্যস্থতা ও বহুপক্ষীয় কূটনীতিতে কাতারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবদ্দশায় বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়া কয়েকটি উপসাগরীয় দেশের অন্যতম হওয়ার জন্য কাতারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

কাতারের আমির প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশকে একটি উদীয়মান বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে প্রশংসা করেন এবং কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে বিনিয়োগ প্রসার ও সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য উভয় পক্ষকে ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশে সম্ভাবনার ক্ষেত্রে ব্যবসা অনুসন্ধানে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে আরও কর্মী, পেশাদার, নার্স, টেকনিশিয়ান, কেয়ারগিভার ইত্যাদি নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য কাতারের আমিরকে অনুরোধ করেন। আমির এতে ইতিবাচকভাবে সাড়া দেন।

মতবিনিময়কালে কাতারের আমির ইইজেড ও কক্সবাজারের পর্যটন স্পটগুলোতে বিনিয়োগের প্রস্তাবকে স্বাগত জানান। তিনি কাতারের ফ্রি ইকোনমিক জোন সম্পর্কেও বৈঠকে অবহিত করেন এবং প্রধানমন্ত্রীকে ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল পাঠানোর অনুরোধ জানান।

দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শেষে প্রতিনিধি দলের নেতারা বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে মোট ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেন।

উভয় নেতা কাতারের আমিরের নামে ইসিবি সার্কেল থেকে কালশী পয়েন্ট পর্যন্ত একটি বিশেষ এভিনিউ এবং রাজধানীর মিরপুরে একটি পার্কের নামকরণ ও উদ্বোধন প্রত্যক্ষ করেন।

আমির ও তার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তারা দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

পরে আমির বঙ্গভবনে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর তার সম্মানে রাষ্ট্রপতির দেয়া আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন।

মধ্যাহ্নভোজে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাতারের আমির
কাতারের আমিরকে ঢাকায় লালগালিচা অভ্যর্থনা
কাতারের আমির আসছেন সোমবার, সই হবে ৬ চুক্তি ও ৫ এমওইউ
কাতারের আমিরের বাংলাদেশ সফরে গুরুত্ব পাবে যেসব বিষয়

মন্তব্য

বাংলাদেশ
No significant change in human rights situation in Bangladesh US

বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই: যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই: যুক্তরাষ্ট্র
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস মঙ্গলবার বলেছে, ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদনে (এইচআরআর) থাকা দেশভিত্তিক প্রতিবেদনগুলো আইনি সিদ্ধান্ত, দেশগুলোর ক্রমবিন্যাস বা তুলনা করে না।

বাংলাদেশে বিগত ২০২৩ সালে মানবাধিকার পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে নতুন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র: ইউএনবি

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস মঙ্গলবার বলেছে, ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদনে (এইচআরআর) থাকা দেশভিত্তিক প্রতিবেদনগুলো আইনি সিদ্ধান্ত, দেশগুলোর ক্রমবিন্যাস বা তুলনা করে না।

যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট প্রকাশিত ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদনটি বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার পরিস্থিতির একটি বাস্তব ও বস্তুনিষ্ঠ দলিল। প্রায় পাঁচ দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে।

হিউম্যান রাইটস রিপোর্ট (এইচআরআর) সদ্য গত ২০২৩ সালে ১৯৮টি দেশ ও অঞ্চলকে নিয়ে কাজ করেছে। মানবাধিকার প্রতিবেদনে পৃথকভাবে মানবাধিকার অবমাননা ও লঙ্ঘনের ওপর বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের বিস্তৃত বর্ণনা দেয়া হয়েছে। এটা সরকার, মানবাধিকারের সমর্থনে কাজ করা ব্যক্তি, সাংবাদিক এবং নির্দিষ্ট দেশ ও অঞ্চলগুলোতে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের অবস্থা সম্পর্কে উদ্বিগ্ন ব্যক্তিদের ব্যবহারযোগ্য একটি হাতিয়ার সরবরাহ করে।

মানবাধিকার প্রতিবেদনটি ওয়াশিংটন ও বিভিন্ন দেশের মিশনে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটে তাদের সহকর্মীদের বেশ কিছু মাসের কাজের প্রতিনিধিত্ব করে। এটা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত করে এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ে সঠিক তথ্যের প্রয়োজন হলে কংগ্রেস, এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চ ও অভিবাসন আদালতকে সহায়তা করে।

মানবাধিকার প্রতিবেদন সুশীল সমাজের কাজ সম্পর্কেও জানায়, যার মাঝে অন্তর্ভুক্ত আছে মানবাধিকার রক্ষাকারীসহ বিভিন্ন দেশের আইনপ্রণেতা, স্কলার, অভিবাসন বিচারক, আশ্রয় কর্মকর্তা, বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য সরকার।

অন্যান্য দেশের প্রতিবেদনের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রতিবেদনটি state.gov এ পাওয়া যাবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Thanchi Rowanchari and Ruma upazila polls suspended

থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার ভোট স্থগিত

থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার ভোট স্থগিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। ছবি: নিউজবাংলা
মঙ্গলবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

পাহাড়ে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ বিরোধী যৌথ অভিযানের কারণে বান্দরবানের থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমাদের পার্বত্য তিনটি উপজেলাতে বিশেষ করে বান্দরবানের থানচি, রুমা এবং রোয়াংছড়িতে যৌথ বাহিনীর অপারেশন চলমান রয়েছে। আপাতত এই তিনটি উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। পরে সুবিধাজনক সময়ে আয়োজনের চেষ্টা করব।

গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। থানচি, রোয়াংছড়িতে আগামী ৮ মে ও রুমায় ২১ মে ভোট হওয়ার কথা ছিল।

গত ২ এপ্রিল রুমার সোনালি ব্যাংকে ডাকাতি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্র লুট করা হয়। এছাড়া ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করা হলেও পরে ছাড়া পান তিনি। পর দিন রুমায় সোনালি ও কৃষি ব্যাংকে দিন দুপুরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

এ সব ঘটনায় কেএনএফ জড়িত বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে। এরপর যৌথ বাহিনীর অভিযানে এখন পর্যন্ত ২১ নারীসহ ৭২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেএনএফ-এর সদস্য অভিযানে নিহতও হয়েছেন।

নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সভায় নির্বাচন কমিশন সদস্য, সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন দপ্তর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

p
উপরে