× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Hazari molasses with incomparable taste and aroma
google_news print-icon

অতুলনীয় স্বাদ আর ঘ্রাণের হাজারী গুড়

অতুলনীয়-স্বাদ-আর-ঘ্রাণের-হাজারী-গুড়
ঐতিহ্য, স্বাদ সব মিলিয়ে হাজারি গুড়ের চাহিদা বছরজুড়ে। ছবি: নিউজবাংলা
ঐতিহ্য, স্বাদ সব মিলিয়ে হাজারী গুড়ের চাহিদা থাকে বছরজুড়ে। তবে শীত মৌসুমে চাহিদা বাড়ে কয়েক গুণ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই সময় হাজারী গুড় কিনতে মানিকগঞ্জে ভিড় করেন পাইকারি ক্রেতা থেকে সাধারণ মানুষ।

দেশে শীতকাল মানে যেন খেজুরের রস আর গুড় খাওয়ায় মহোৎসব। তবে কিছু গুড় স্বাদ আর ঘ্রাণে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে মুগ্ধ করেছে বিশ্ববাসীকে। মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের বিখ্যাত হাজারী গুড় তেমনই একটি।

জনশ্রুতি আছে, এই গুড় খেয়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের রানি প্রথম এলিজাবেথ। এতটাই বিমোহিত হয়েছিলেন যে সেই গুড়ের কারিগরকে উপহার দিয়েছিলেন হাজারী লেখা সিল।

ঐতিহ্য, স্বাদ সব মিলিয়ে হাজারী গুড়ের চাহিদা থাকে বছরজুড়ে। তবে শীত মৌসুমে চাহিদা বাড়ে কয়েক গুণ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই সময় হাজারী গুড় কিনতে মানিকগঞ্জে ভিড় করেন পাইকারি ক্রেতা থেকে সাধারণ মানুষ।

বিখ্যাত গুড়টির শুরু নিয়ে অবশ্য যা জানা যায় পুরোটাই জনশ্রুতি। এ গুড় তৈরির বর্তমান প্রজন্মের কারিগর দেলোয়ার হাজারী জানান, প্রায় ৪০০ বছর আগে একদিন বিকেলে খেজুরগাছে হাঁড়ি পেতে নিচে নামেন তাদের পূর্ব পুরুষ মিনহাজ উদ্দিন হাজারী। ওই সময়ই এক দরবেশ তার কাছে রস খেতে চান।

অতুলনীয় স্বাদ আর ঘ্রাণের হাজারী গুড়
নারীরা চুলায় বড় হাঁড়িতে রস জ্বাল দিতে শুরু করেন। ছবি: নিউজবাংলা

পরে ফের গাছে উঠে হাঁড়িতে জমা অল্প পরিমাণ রস দরবেশকে খেতে দেন তিনি। এতে খুশি হয়ে দরবেশ তাকে গুড়ের বিষয়ে আশীর্বাদ দিয়ে বলেন, মিনহাজের গুড়ের মতো গুড় পৃথিবীতে আর পাওয়া যাবে না। এই গুড়ের নাম বিশ্বে ছড়িয়ে যাবে। এরপর থেকেই তার গুড় সাদা, নরম, সুস্বাদু আর ঘ্রাণে ভরে যায়।

হাজারী গুড় নিয়ে আরেকটি জনশ্রুতি, এই গুড় খেয়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রথম রানি এলিজাবেথ।

উপজেলার ঝিটকা গাছিপাড়ার রহিজ হাজারী বলেন, ‘প্রায় ২০০ বছর আগে রানি এলিজাবেথ এই গুড় খেয়েছিলেন এবং খুশি হয়ে আমাদের পূর্ব পুরুষকে হাজারী লেখা একটি সিল উপহার দিয়েছিলেন। বর্তমানে আমরা সপ্তম পুরুষ আগের মতোই সুস্বাদু গুড় তৈরি করে আসছি।’

এ গুড়ের কারিগররা জানান, রস সংগ্রহের জন্য ফজরের আজানের পরপরই বের হন গাছিরা। দূরদূরান্তের গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে বাড়িতে আনেন তারা। রস পৌঁছানোর পর বাড়ির নারীরা চুলায় বড় হাঁড়িতে তা জ্বাল দিতে শুরু করেন।

দীর্ঘ সময় জ্বাল দেয়ার পর ঘন করে তা ঢালা হয় অন্য হাঁড়িতে। সেখানে কাঠের হাতল দিয়ে নেড়ে তৈরি করা হয় হাজারী গুড়। সব শেষে ছোট ছাঁচে ঢালার পর গুড়ের ওপর হাজারী সিল মারা হয়।

অতুলনীয় স্বাদ আর ঘ্রাণের হাজারী গুড়
গুড় তৈরির পর সব হাঁড়ি গরম পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হয়। ছবি: নিউজবাংলা

গৃহিণী সাহেদা বেগম জানান, ভোরে আজানের পরপরই ঘুম থেকে উঠে গাছিদের উঠিয়ে দেন তারা। গাছিরা রস আনতে গেলে তারা যান চুলা ও হাঁড়ি ঠিক করতে। রস আসার পর তা ছেঁকে হাঁড়িতে জ্বাল দেয়া শুরু করেন।

তিনি বলেন, ‘গুড় তৈরির পর আবার সব হাঁড়ি গরম পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করি। তা ছাড়া গাছের নাল পানিতে ফুটাতে হয়। গুড়ের সময়ে আমাগো ভোর থেকে সারা দিন কাজ করতে হয়। হাজারী গুড় তৈরি করতে খুব কষ্ট।’

ঝিটকা এলাকার গাছিপাড়ার সিদ্দিক গাছি জানান, অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ ও ফাল্গুন এই চার মাস খেজুরের রস পাওয়া যায়। এই সময় গুড় তৈরির পর বাকি সময় কৃষিকাজ করেন। তবে সংসার চলে মূলত গুড়ের টাকায়।

তিনি বলেন, ‘সরকার যদি আমাগো দিকে খেয়াল করে, তাইলে আমাগো উপকার হয়। বিশেষ করে যেন খেজুরগাছ লাগায় আর মানুষ যাতে খেজুরগাছ না কাটে তা দেখে।

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের আবুল কাশেম বলেন, ‘আমি ঝিটকা গাছপাড়া এলাকার জামাই। বিয়ের পর প্রতি বছর শীতের সময়ে রস আর পিঠা খেতে শ্বশুরবাড়িতে আসি। কারণ এমন গুড় আর পাওয়া যায় না। খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমন তার ঘ্রাণ।’

অতুলনীয় স্বাদ আর ঘ্রাণের হাজারী গুড়
হাজারী গুড় খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমন তার ঘ্রাণ। ছবি: নিউজবাংলা

গাছিদের কথায় অবশ্য উঠে এসেছে এ গুড়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা আশঙ্কার কথা।

ঝিটকা এলাকার গাছিপাড়ার রমজান আলী গাছি বলেন, ‘আমাগো সব গাছির গাছ নাই, তাই মালিকের কাছ থেকে খেজুর গাছ লিজ নিতে হয়। এ বছর এক সিজনের জন্য গাছ কিনতে হয়েছে। গাছপ্রতি দাম পড়ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।

‘এক কেজি গুড় তৈরি করতে ১২ কেজি রস লাগে। আর এক কেজি গুড় বিক্রি হয় মাত্র ১ হাজার ৫০০ টাকায়। সব খরচ বাদে তেমন কিছু থাকে না। এখন আগের মতো গাছও নাই, রসও হয় না। কিন্তু আমাগো খরচ তো প্রতি বছর বাড়তেছে।’

ঝিটকা গাছিপাড়ার রহিজ হাজারী বলেন, ‘আগে অনেক খেজুরগাছ ছিল। গুড়ও বেশি তৈরি করতে পারতাম। কিন্তু দিনে দিনে খেজুরগাছ কমে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়তে হচ্ছে। এভাবে খেজুরগাছ কমতে থাকলে হয়তো একসময় হাজারী গুড় নাও থাকতে পারে।’

জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, ‘লোকসংগীত আর হাজারী গুড়, মানিকগঞ্জের প্রাণের সুর। এই স্লোগান সামনে রেখে হাজারী গুড়ের বিষয়টি প্রমোট করার চেষ্টা করছি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খেজুরগাছ রক্ষা এবং খেজুরগাছ রোপণের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা হাজারী গুড় তৈরির সঙ্গে জড়িত, তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে, কীভাবে এটিকে প্রমোট করা যায়। ব্র্যান্ডিংয়ের সঙ্গে মিল রেখে বিশ্ব দরবারে কীভাবে প্রমোট করা যায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
জনপ্রিয় হচ্ছে তরমুজের গুড়

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Singras ruble received grief from the team
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ‘অপহরণ ও মারধর’

দল থেকে শোকজ পেয়েছেন সিংড়ার রুবেল

দল থেকে শোকজ পেয়েছেন সিংড়ার রুবেল সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবীব‌ রুবেল। ছবি: সংগৃহীত
এর আগে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও লুৎফুল হাবীব রুবেলকে শোকজ করা হয়েছে।

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পর চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবীব রুবেলকে কারণ দর্শোনোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।

শুক্রবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস স্বাক্ষরিত চিঠিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ ইস্যু করা হয়।

নোটিশে বলা হয়, ‘গত ১৫ এপ্রিল নাটোর জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশার মনোনয়নপত্র জমাদানে বাধা প্রদান, মারপিট ও অপহরণের ঘটনা যা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হয় এবং উক্ত ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি সুমনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে আপনার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, যা দলীয় আচরণবিধি পরিপন্থির সামিল।

‘এমতাবস্থায় কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার জবাব আগামী ৩ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জানানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’

ওই সময়ের মধ্যে জবাব না দিলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় দলীয় তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই তাকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাবের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন সোমবার বিকেলে সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশা অনলাইনে আবেদনের পর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের প্রতিলিপি জমা দিতে আসেন। সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর করে কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে আবারও বেধড়ক মারধর করে বাড়ির সামনে ফেলে যায়। সেখান থেকে পরিবারের সদস্যরা তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন।

এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেনের পরিবার লুৎফুল হাবীব রুবেল ও তার সমর্থকদের দায়ী করে আসছে। ইতোমধ্যে তাদের করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সুমন নামের এক আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন যে, লুৎফুল হাবীব রুবেলের পক্ষ নিয়েই সুমনসহ অন্য আসামিরা দেলোয়ার হোসেন পাশাকে অপহরণ ও মারধর করেছেন।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় রুবেলকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

লুৎফুল হাবীব‌ রুবেল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে তার। তিনি প্রতিমন্ত্রীর শ্যালক।

আরও পড়ুন:
সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে সেই প্রার্থীকে ইসিতে তলব
নাটোরে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও ভাইকে অপহরণ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
1 killed in clash between two groups over land dispute in Pabna

পাবনায় জমির বিরোধে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১

পাবনায় জমির বিরোধে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ ছবি: নিউজবাংলা
এ ঘটনায় আরও অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন, যাদের বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে খাইরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন, যাদের বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শুক্রবার বিকেলে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ী আলহাজ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ৪০ বছর বয়সী খাইরুল ইসলাম চরগড়গড়ী আলহাজ মোড় পশ্চিমপাড়ার মৃত নসিম উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে।

আহতদের মধ্যে কয়েক জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, ৫০ বছর বয়সী সাজু হুদী, জামাত ফকির ও নুর বেগম, ৫৫ বছর বয়সী মানু প্রামানিক, ৬০ বছর বয়সী মোসলেম উদ্দিন, ৩৫ বছর বয়সী খোকন প্রামাণিক, জিল্লুর, ওলিউর রহমান, মজিদ, ইছাই প্রামানিক ও মো. মিঠুন এবং ৩০ বছর বয়সী নাসিরউদ্দিন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কয়েকদিন আগে জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই গ্রুপের লোকজনদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এ নিয়ে গত দুই দিনে দুই গ্রুপের মধ্যে ছোটোখাটো মারামারির ঘটনাও ঘটে। এইসব ঘটনার জের ধরে শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে তারা ফের সংঘর্ষে জড়ায়।

সংঘর্ষ চলাকালে ঘটনাস্থলেই খাইরুল নিহত হন। আর আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান স্থানীয়রা। তাদদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় একজন মারা গেছেন। আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলতে পারব।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The son took his fathers life without asking for money

টাকা চেয়ে না পেয়ে বাবার প্রাণ নিল ছেলে

টাকা চেয়ে না পেয়ে বাবার প্রাণ নিল ছেলে ফাইল ছবি
ফুলবাড়িয়া থানার ওসি মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘টাকার জন্য প্রায়ই বাবাকে চাপ দিত ২০ বছর বয়সী আরিফ। সম্প্রতি বাবার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে মোবাইল কেনে সে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে আবারও ১০ হাজার টাকা চাইলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানান আব্দুল কাদের।’

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় টাকা না পেয়ে আব্দুল কাদের নামে এক বৃদ্ধকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তারই ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর পলাতক রয়েছে আরিফ হোসেন নামের ওই যুবক।

উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের আন্ধারিয়া পাড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ফুলবাড়িয়া থানার ওসি মো. রাশেদুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘টাকার জন্য প্রায়ই বাবাকে চাপ দিত ২০ বছর বয়সী আরিফ। সম্প্রতি বাবার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে মোবাইল কেনে সে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে আবারও ১০ হাজার টাকা চাইলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানান আব্দুল কাদের। এতে আরিফ ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করার হুমকি দেয়। এমতাবস্থায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে আব্দুল কাদের পাশে বড় ছেলের বাড়িতে যাওয়ার উদ্যোগ নিলে পেছন থেকে বাবার পেটে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় আরিফ। এ সময় স্থানীয়রা সঙ্গে সঙ্গে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

ওসি বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আরিফ পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে চেষ্টা চলছে।’

আরও পড়ুন:
ভাইয়ের বউয়ের লাঠির আঘাতে ভাসুর নিহত
নাটোরে হত্যা মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা
ময়মনসিংহে চার সন্তানের জননীকে কুপিয়ে হত্যা, আটক তিন যুবক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
2 killed by train in Chittagong

চট্টগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে ২ জন নিহত

চট্টগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে ২ জন নিহত প্রতীকী ছবি
শুক্রবার ভোর ৫টা ও বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ভাটিয়ারী রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনাগুলো ঘটে।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারি এলাকায় পৃথক ঘটনায় ট্রেনে কাটা পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার ভোর ৫টা ও বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ভাটিয়ারী রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনাগুলো ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রেলওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহদুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়দের বরাতে রেলওয়ে পুলিশ জানায়, এদিন ভোরে ভাটিয়ারি এলাকায় চট্টগ্রাম অভিমুখী তুর্ণা নিশিতা এক্সপ্রেসের নিচে কাটা পড়ে মারা যান ভাটিয়ারী ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের বিপ্লব দাশ নামের ২৩ বছর বয়সী এক যুবক।

পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেসের নিচে কাটা পড়েন স্থানীয় ভাটিয়ারী বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমির সিভিল স্টাফ ২৪ বছর বয়সী মো. আসিফ উদ্দিন।

দুটি ঘটনার পরই মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে ফৌজদারহাট রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার সকালে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হওয়া বিপ্লব মানসিক সমস্যাগ্রস্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Investigation of torture of women inmates started two prison guards transferred
গাইবান্ধা জেলা কারাগার

নারী কয়েদিকে ‘নির্যাতনের’ তদন্ত শুরু, দুই কারারক্ষী বদলি

নারী কয়েদিকে ‘নির্যাতনের’ তদন্ত শুরু, দুই কারারক্ষী বদলি গাইবান্ধা জেলা কারাগার। ছবি: নিউজবাংলা
গাইবান্ধা জেলা কারাগারের প্রধান কারারক্ষীর সঙ্গে এক নারী কয়েদির অবৈধ কর্মকাণ্ড দেখে ফেলেন নারী কয়েদি সীমা। এ ঘটনা ফাঁস হওয়ার আতঙ্কে ওই দুজনসহ আরও কয়েক বন্দি ও কারারক্ষী মিলে সীমার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালান বলে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে জেলা প্রশাসন।

গাইবান্ধা জেলা কারাগারে নারী হাজতিকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগের পর প্রধান অভিযুক্ত কারাগারের প্রধান কারারক্ষী আশরাফুল ইসলামসহ দুই কারারক্ষীকে বদলি করা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে তাদের বদলির বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা জেলা কারাগারের জেল সুপার জাভেদ মেহেদী। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের বদলি করা হয় বলে জানান তিনি।

বদলি হওয়া অপর কারারক্ষীর নাম সাবানা খাতুন। তাদের মধ্যে প্রধান কারারক্ষী আশরাফুল ইসলামকে দিনাজপুর কারাগার এবং সাবানা খাতুনকে ঠাঁকুরগাও কারাগারে বদলি করা হয়েছে।

এর আগে গাইবান্ধা জেলা কারাগারের ভেতর আশরাফুল ইসলাম ও মহিলা কয়েদি (রাইটার) মেঘলা খাতুনের মধ্যে চলমান অবৈধ কার্যকলাপ দেখে ফেলায় বিষয়টি জানাজানির ভয়ে নারী হাজতি সীমাকে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ আনেন ভুক্তভোগীর মা করিমন নেছা।

লোমহর্ষক নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরে হাজতি সীমার উন্নত চিকিৎসা ও নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগও দেন করিমন নেছা।

ওই অভিযোগপত্রে গাইবান্ধা জেলা কারাগারের প্রধান কারারক্ষী (সুবেদার) আশরাফুল ইসলাম, নারী কারারক্ষী সাবানা খাতুন ও তহমিনা, কয়েদি মেঘলা খাতুন, রেহেনা ও আলেফা, সিআইডি আনিছ ও হাবিলদার মোস্তফাকে অভিযুক্ত করা হয়।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) জেলা প্রশাসককে দেয়া অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, হাজতি মোর্শেদা খাতুন সীমা একটি মামলায় (হাজতি নম্বর-৫০৮) প্রায় ৫ বছর ধরে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে বন্দি। কিছুদিন আগে কারাগারে কর্মরত সুবেদার আশরাফুল ইসলাম ও মহিলা কয়েদি (রাইটার) মেঘলা খাতুনের মধ্যে চলমান অবৈধ কার্যকলাপ দেখে ফেলেন সীমা।

বিষয়টি জানতে পেরে সুবেদার আশরাফুল ও মহিলা কয়েদি মেঘলা খাতুন সীমার ওপর ক্ষিপ্ত হন। ঘটনা জানাজানির ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে তারা কারাগারের ভেতরে সীমাকে বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন।

একপর্যায়ে সুবেদার আশরাফুল ও তার সহযোগীরা হাজতি সীমার স্বামী খোকন মিয়াকে গাইবান্ধা কারাগারে ডেকে আনেন। তারা অভিযুক্তরা সীমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা ও আপত্তিকর তথ্য দিয়ে সীমার সংসার ভেঙে দেন।

এতসবের পর হাজতি সীমা এসব ঘটনা জানিয়ে জেল সুপারের কাছে বিচার দেবেন জানালে সুবেদার আশরাফুল তাকে ভয়-ভীতি ও হুমকি দেন। এক পর্যায়ে ২০ মার্চ দুপুরে সুবেদার আশরাফুলের নেতৃত্বে মহিলা কয়েদি মেঘলা খাতুন, রেহেনা ও আলেফা এবং কারারক্ষী তহমিনা ও সাবানা কারাগারের মহিলা ইউনিটের ভেতরের বারান্দায় লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন। পরে সেলের ভেতরে নিয়ে সীমাকে হাতকড়া পরিয়ে রশি দিয়ে দুই পা বেঁধে আবারও মারধর করেন। উপরন্তু নির্যাতনের এসব ঘটনা বাইরে প্রকাশ করলে সীমাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, করিমন নেছা একাধিকবার তার মেয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইলেও সে সুযোগ দেয়া হয়নি। অবশেষে হাজিরার তারিখে আদালতে মেয়ের সাক্ষাৎ পান মা করিমন নেছা। সেদিন সীমা মায়ের কাছে নির্যাতনের ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন দেখান।

অভিযোগ পেয়ে গত ১৬ এপ্রিল ঘটনার তদন্তে জেলা কারাগারে যান গাইবান্ধা জেলা প্রশাসাকের কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিসি) মো. মশিউর রহমান।

সেদিন নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘খুব দ্রুত জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেব। এরপরই জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে জেলা প্রশাসন।’

শুক্রবার অভিযুক্তদের বদলির বিষয়ে জানতে চাইলে নিউজবাংলাকে তা নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা জেলা কারাগারের জেল সুপার জাভেদ মেহেদী।

এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়টি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে ব্যবস্থা হবে।’

আরও পড়ুন:
সুবেদারের ‘অপকর্ম’ দেখে ফেলায় নারী হাজতিকে নির্যাতন!

মন্তব্য

বাংলাদেশ
13 more members of BGP entered Bangladesh for asylum

বাংলাদেশে আশ্রয়ের জন্য ঢুকল বিজিপির আরও ১৩ সদস্য

বাংলাদেশে আশ্রয়ের জন্য ঢুকল বিজিপির আরও ১৩ সদস্য ফাইল ছবি
বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এক বার্তায় শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়।

মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে সে দেশ থেকে বাংলাদেশে ঢুকে আশ্রয় নিয়েছেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১৩ সদস্য।

বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিব) সদর দপ্তরের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এক বার্তায় শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, শুক্রবার নতুন করে আরও ১১ জন (জীম্বংখালী -৩ জন এবং হাতিমারাঝিরি-৮ জন) বিজিপি সদস্য আশ্রয় গ্রহণ করেছে। এখন পর্যন্ত সর্বমোট ২৮৫ জন বাংলাদেশে অবস্থান করছে।

বিজিবি জানিয়েছে, বাংলাদেশে ঢোকা বিজিপি সদস্যদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানো প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Allegation that neighbor Vasur was killed by a womans stick

ভাইয়ের বউয়ের লাঠির আঘাতে ভাসুর নিহত

ভাইয়ের বউয়ের লাঠির আঘাতে ভাসুর নিহত ছবি: নিউজবাংলা
নকলা থানার ওসি মো. আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই নারীকে আটক করা হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’

শেরপুরের নকলায় বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এক নারীর লাঠির আঘাতে প্রতিবেশি মোরাদ হোসেন নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর ওই নারী ও তার মেয়েকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার টালকী ইউনিয়নের পূর্বটালকী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

নিহত ৫৫ বছর বয়সী মোরাদ হোসেন নকলার পূর্বটালকী গ্রামের মৃত রহিম মাস্টারের ছেলে। চাকরির সুবাদে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করতেন তিনি।

নকলা থানার ওসি মো. আব্দুল কাদের মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, নকলার মোরাদ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর কল্যাণপুরে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে চাকরি করতেন। অনেকদিন থেকে তার প্রতিবেশি চাচাতো ভাই জালাল উদ্দিনের সঙ্গে বসতবাড়ির সীমানা নির্ধার্ণ নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। শুক্রবার সকালে ছুটিতে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন মোরাদ। বাড়িতে প্রবেশ করার পর তার প্রতিবেশি চাচাত ভাইয়ের বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত ওই নারী লাঠি দিয়ে মোরাদের মাথার পেছনে আঘাত করেন। এতে আহত হয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা মোরাদকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।

ঘটনার পর জালাল উদ্দিনের স্ত্রী ও মেয়েকে আটক করে পুলিশ।

নকলা থানার ওসি মো. আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই নারীকে আটক করা হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’

মন্তব্য

p
উপরে