× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
22 Chief Justices Four became the head of the caretaker President
google_news print-icon

২২ প্রধান বিচারপতি: চারজন হন রাষ্ট্রপতি, তত্ত্বাবধায়কের প্রধান

২২-প্রধান-বিচারপতি-চারজন-হন-রাষ্ট্রপতি-তত্ত্বাবধায়কের-প্রধান
বাংলাদেশের সাবেক চার প্রধান বিচারপতি। এদের মধ্যে আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম ও সাহাবুদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রপতি ও হাবিবুর রহমান ও লতিফুর রহমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্ব দেন।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যে ২২ জন প্রধান বিচারপতি হয়েছেন, তাদের মধ্যে দুজন দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন হয়েছেন আবার দুবার। দুজন নেতৃত্ব দিয়েছেন নির্বাচনকালীন দুটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের। দুজন মেয়াদ শেষের আগে পদত্যাগ করেছেন। এদের একজন আবার দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। তবে তিনি দেশের বাইরে থাকায় সাজা ভোগ করতে হচ্ছে না।

স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২২ জন প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে একজন সর্বোচ্চ সাড়ে সাত বছর এবং একজন সর্বনিম্ন এক মাস দায়িত্ব পালন করেছেন।

এই প্রধান বিচারপতিদের মধ্যে দুজন বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। একজন আবার এই পদে ছিলেন দুই মেয়াদে। এদের একজন আবার নির্বাচন আয়োজনের জন্য রাষ্ট্রপতি হয়ে ভোট শেষে আবার পদে ফিরে যান। পাঁচ বছর পর তিনি আবার রাষ্ট্রপতি হন।

দুজন প্রধান বিচারপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দুটি জাতীয় নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালন করেছেন।

দুজন প্রধান বিচারপতি নিজে থেকে পদত্যাগ করেছেন, যাদের একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়েছেন। তিনি পদে থাকার সময় দেশের বাইরে ছুটিতে গিয়ে আর ফেরেননি। পরে তার অনুপস্থিতিতেই বিচারের রায় হয়।

৬৭ বছর পূর্ণ হওয়া দ্বাদশ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। একই দিন বৃহস্পতিবার নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নাম ঘোষণা করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

নতুন প্রধান বিচারপতি শপথ নেবেন শুক্রবার।

মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জন্ম নেয়া বাংলাদেশের প্রথম প্রধান বিচারপতি শপথ নেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের ঠিক এক বছর পর।

তিনি ছিলেন আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম। তিনি ১৯৭২-এর ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭৫ সালের ৫ নভেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনিই প্রথম প্রধান বিচারপতি, যিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি হিসেবে ১৯৭৫-এর ৬ নভেম্বর থেকে ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

দ্বিতীয় প্রধান বিচারপতি হন সৈয়দ এ বি মাহমুদ হোসেন ১৯৭৫ সালের ১৮ নভেম্বর থেকে ১৯৭৮ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।

তৃতীয় প্রধান বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেন দায়িত্বে ছিলেন ১৯৭৮-এর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৮২ সালের ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।

চতুর্থ প্রধান বিচারপতি ফজলে কাদেরী মোহাম্মদ আবদুল মুনিম সবচেয়ে বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি প্রধান বিচারপতি হন ১৯৮২ সালের ১২ এপ্রিল। পদে ছিলেন ১৯৮৯ সালের ৩০ নভেম্বর। অর্থাৎ ৭ বছর ৭ মাস।

২২ প্রধান বিচারপতি: চারজন হন রাষ্ট্রপতি, তত্ত্বাবধায়কের প্রধান
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যে ২২ জন প্রধান বিচারপতি হয়েছেন।

পঞ্চম প্রধান বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরী ছিলেন ১৯৮৯ সালের ১ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। অর্থাৎ তার মেয়াদ ছিল কেবল এক মাস।

ষষ্ঠ প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ দায়িত্বে ছিলেন ১৯৯০-এর ১ জানুয়ারি থেকে ১৯৯৫ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর সেনা শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পর তিনি রাষ্ট্রপ্রধান হয়ে ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করেন। নির্বাচন শেষে আবার তিনি তার আগের পদে ফিরে যান। তার জন্য বাংলাদেশের সংবিধানও সংশোধন করতে হয়েছিল।

তার নেতৃত্বে নির্বাচনে জিতে বিএনপি ৯ বছর পর সরকারে ফেরে।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সাহাবুদ্দিন আহমেদকে আবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা হয়। সে সময় তিনি পাঁচ বছর মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন।

সপ্তম প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করা প্রথম ব্যক্তি।

২২ প্রধান বিচারপতি: চারজন হন রাষ্ট্রপতি, তত্ত্বাবধায়কের প্রধান
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যে ২২ জন প্রধান বিচারপতি হয়েছেন।

তিনি ১৯৯৫-এর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৯৫ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি ছিলেন। ১৯৯৬ সালের জুনের জাতীয় নির্বাচনে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হন। ওই নির্বাচনে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকারে ফেরে।

দেশের অষ্টম প্রধান বিচারপতি এ টি এম আফজাল দায়িত্বে ছিলেন ১৯৯৫-এর ১ মে থেকে ১৯৯৯ সালের ৩১ মে পর্যন্ত।

নবম প্রধান বিচারপতি মোস্তফা কামাল দায়িত্বে ছিলেন ১৯৯৯ সালের ১ জুন থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

দশম বিচারপতি লতিফুর রহমান ছিলেন ২০০০-এর ১ জানুয়ারি থেকে ২০০১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন।

তবে ২০০৬ সালে আরেক প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানের প্রধান উপদেষ্টা হতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক গোলযোগে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জারি হয় জরুরি অবস্থা।

সে সময় বিধান ছিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হবেন সবশেষ দায়িত্ব পালন করা প্রধান বিচারপতি। কিন্তু কে এম হাসান এককালে বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন বলে আওয়ামী লীগ তাকে মেনে নিতে রাজি ছিল না।

২০০৮ সালের ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করে জরুরি অবস্থায় ক্ষমতা নেয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আট বছর পর ক্ষমতায় ফেরে আওয়ামী লীগ।

২২ প্রধান বিচারপতি: চারজন হন রাষ্ট্রপতি, তত্ত্বাবধায়কের প্রধান
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যে ২২ জন প্রধান বিচারপতি হয়েছেন।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর উচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাই বাতিল হয়। এর ফলে প্রধান বিচারপতির পদটি নিয়ে রাজনৈতিক সমীকরণের বিষয়টি বাতিল হয়ে যায়।

একাদশ প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী ২০০১-এর ১ মার্চ থেকে ২০০২ সালের ১৭ জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

দ্বাদশ প্রধান বিচারপতি মাইনুর রেজা চৌধুরী দায়িত্বে ছিলেন ২০০২-এর ১৮ জুন থেকে ২০০৩ সালের ২২ জুন পর্যন্ত।

ক্রয়োদশ প্রধান বিচারপতি কে এম হাসান ছিলেন ২০০৩-এর ২৩ জুন থেকে ২০০৪ সালের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

চতুর্দশ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ জে আর মোদাচ্ছির হোসেন ২০০৪-এর ২৭ জানুয়ারি থেকে ২০০৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন।

পঞ্চদশ প্রধান বিচারপতি মো. রুহুল আমিন ২০০৭-এর ১ মার্চ থেকে ২০০৮ সালের ৩১ মে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

ষোড়শ প্রধান বিচারপতি এম এম রুহুল আমিন ২০০৮-এর ১ জুন থেকে ২০০৯ সালের ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

সপ্তদশ প্রধান বিচারপতি মো. তাফাজ্জাল ইসলাম ২০০৯-এর ২৩ ডিসেম্বর থেকে ২০১০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন।

অষ্টাদশ প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করীম দায়িত্বে ছিলেন ২০১০-এর ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

ঊনবিংশ প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ২০১০-এর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১১ সালের ১৭ মে পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন। তার দায়িত্বে থাকার সময়েই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অসাংবিধানিক ঘোষিত হয়।

বিংশতম প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন দায়িত্বে ছিলেন ২০১১-এর ১৮ মে থেকে ২০১৫ সালের ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত।

একবিংশতম প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত হয়েছেন। তিনি ২০১৫-এর ১৭ জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায় দেন। পদত্যাগের আগে ওই বছরের ১৪ অক্টোবর তিনি দেশের বাইরে যান। ফেরার কথা ছিল নভেম্বরে।

ওই বছরের ২ অক্টোবর তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে এক মাসের ছুটির আবেদন করেন। এরপর ১৩ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের বাইরে অবস্থানের অনুমতি চেয়ে আরেকটি আবেদন করেন।

ফেরার কথা ছিল যেদিন, তার পরদিনই তিনি সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন।

সাবেক ফারমার্স ব্যাংক থেকে ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় গত ৯ নভেম্বর তার ১১ বছরের সাজা ও ৪৫ লাখ টাকা জরিমানা হয়। তবে দুটি সাজা একই সঙ্গে চলবে বলে তাকে কারাগারে থাকতে হবে সাত বছর।

সিনহা পদত্যাগ করার পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহহাব মিঞা। ২০১৭-এর ১২ নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের পর তিনিও পদত্যাগ করেন। সে সময় ধারণা করা হয়, তাকে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব না দেয়ায় তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন।

২২তম প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি শপথ নেন। পৌনে তিন বছরের কিছু বেশি সময় তিনি দায়িত্ব পালন করলেন।

আরও পড়ুন:
নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী
অবসরে সাক্ষাৎকার দেব না: প্রধান বিচারপতি
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতির বিদায়ী সাক্ষাৎ
প্রধান বিচারপতি নিয়োগে সরকারের ভূমিকা নেই: আইনমন্ত্রী
প্রধান বিচারপতি নিয়োগে নির্দেশনা আসেনি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
CID officer caught while taking bribe

সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয়ে ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা

সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয়ে ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা ছবি: নিউজবাংলা
ভুক্তভোগী ম্যানুয়েল তপন বলেন, ‘বেশকিছু দিন ধরে আমার মতো এলাকার অন্য লোকজনের কাছেও বিভিন্ন ফন্দি এঁটে প্রতারণা করে আসছে এই প্রতারক।’

নওগাঁর ধামইরহাটে রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল নামে সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয় দেয়া এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা পরিচয় দিলেও তিনি আসলে তা নন, প্রতারণার স্বার্থে ভুয়া পরিচয় ধারণ করেছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার রুপনারায়নপুর গ্রাম থেকে তিনি গ্রেপ্তার হন।

২৫ বছর বয়সী রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী ম্যানুয়েল তপন জানান, ভয়ভীতি দেখিয়ে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে তিনি (পিয়াল) তার কাছ থেকে ২৯ হাজার ৫৩৮ টাকা গ্রহণ করেন এবং আরও টাকা দাবি করলে স্থানীয় জনতা তাকে চ্যালেঞ্জ করে। এরপর সংশ্লিষ্ট থানায় খবর দেয়া হয়। পরে থানা পুলিশ গিয়ে প্রতারক পিয়ালকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।

তপন বলেন, ‘বেশকিছু দিন ধরে আমার মতো এলাকার অন্য লোকজনের কাছেও বিভিন্ন ফন্দি এঁটে প্রতারণা করে আসছে এই প্রতারক।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে ধামইরহাট থানার ওসি মো. বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, ‘প্রতারক রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় নিজেকে সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করতেন। ইতোমধ্যে একজনের কাছে থেকে ২৯ হাজার টাকা নিয়েছে। এছাড়া ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাও নিতেন তিনি।

‘এদিনও প্রতারণা করতে গেলে জনগণ তাকে আটক করে রাখে। এরপর পুলিশ গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসে। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ মামলা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।’

আরও পড়ুন:
হাইকোর্টের রায় জালিয়াতি, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহে হত্যা মামলার ৬ পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
নাটোরে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
কিশোর গ্যাংয়ের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আহত সেই বাবা মারা গেছেন
মাদারীপুরে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস চক্রের সদস্য গ্রেপ্তার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rohingyas throat slit in Bhasanchar

ভাসানচরে রোহিঙ্গার গলাকাটা মরদেহ

ভাসানচরে রোহিঙ্গার গলাকাটা মরদেহ নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প। ফাইল ছবি
ওসি কাওসার আহমেদ জানান, পেছনের দিক থেকে গলা কেটে রোহিঙ্গা নাগরিক সুলতানকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

নোয়াখালীর হাতিয়ায় ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মো. সুলতান নামে এক রোহিঙ্গা নাগরিকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাৎক্ষণিক এই হত্যাকাণ্ডের কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১১৬ নম্বর ক্লাস্টার থেকে পুলিশ সুলতানের মরদেহ উদ্ধার করে। তিনি ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৭৮ নম্বর ক্লাস্টারের বাসিন্দা ছিলেন।

ভাসানচর থানার ওসি কাওসার আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

স্থানীয়দের বরাতে ওসি বলেন, সুলতান ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৭৮ নম্বর ক্লাস্টারে বসবাস করতেন। ১১৬ নম্বর ক্লাস্টারের খালি জায়গায় তিনি সবজি চাষ করতেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ছেলে তার জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে বাবাকে দেখতে না পেয়ে তার ছেলে ওই ক্লাস্টারে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি শুরু করেন। একপর্যায়ে তার বাবার গলা কাটা মরতেজ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেন। এ সময় অন্য ক্লাস্টারের লোকজন এগিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

ওসি কাওসার আহমেদ জানান, পেছনের দিক থেকে গলা কেটে এই রোহিঙ্গা নাগরিককে হত্যা করা হয়। শুক্রবার সকালে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

আরও পড়ুন:
বিস্ফোরণ নয়, সিলিন্ডারের ছেড়ে দেয়া গ্যাসে ভাসানচরে অগ্নিকাণ্ড
ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: দগ্ধ পাঁচ শিশুরই মৃত্যু
ভাসানচরে আগুন: আরও এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
ভাসানচরে আগুন: দগ্ধ আরও এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, ছয় শিশুসহ দগ্ধ ৯

মন্তব্য

বাংলাদেশ
They used to open and sell railway tracks

রেললাইনের পাত খুলে বিক্রি করতেন তারা

রেললাইনের পাত খুলে বিক্রি করতেন তারা ছবি: নিউজবাংলা
রেলপাতগুলো বালাসিঘাটের পরিত্যক্ত রেলপথ থেকে খুলে আনা হয়েছে বলে জানান বোনারপাড়া রেলওয়ে পুলিশের ওসি খাইরুল ইসলাম তালুকদার।

গাইবান্ধায় ভাঙারির দোকানে চুরি করা রেলপাত (রেললাইন) বিক্রির সময় এক অটোচালকসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এসময় দোকান মালিক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের ব্রিজ রোড এলাকার আশা ভাঙারি দোকানে সরকারি এসব রেলপাত বিক্রির সময় তাদের হাতেনাতে আটক করে গাইবান্ধার রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি)।

এ সময় চুরি করে বিক্রি করতে নিয়ে আসা রেলপাত এবং সেসব পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি অটোরিকশাও জব্দ করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- সদর উপজেলার পশ্চিম দুর্গাপুর এলাকার ৩০ বছর বয়সী সাগর মিয়া, ফুলছড়ি উপজেলার উত্তর কঞ্চিপাড়া এলাকার ৪০ বছর বয়সী ওয়াহেদ মিয়া ও আশা ভাঙারি দোকানের শ্রমিক সদর উপজেলার বালুয়া বাজারের পাকারখুটি এলাকার ৩৩ বছর বয়সী মোকলেছুর রহমান। এদের মধ্যে ওয়াহেদ মিয়ার অটোরিকশায় এসব মালামাল পরিবহন করা হয়েছিল।

নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বোনারপাড়া রেলওয়ে পুলিশের ওসি খাইরুল ইসলাম তালুকদার।

তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের ব্রিজ রোডের একটি ভাঙারির দোকানে সরকারি রেলপাত অবৈধভাবে ক্রয়-বিক্রয়কালে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় দোকান মালিক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘এ সময় তাদের কাছ থেকে খণ্ড খণ্ড তিন ফুট দৈর্ঘ্যের ৯ টুকরা রেললাইনের পাত উদ্ধার করা হয়, যা সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দেয়া হবে।’

রেলপাতগুলো বালাসিঘাটের পরিত্যক্ত রেলপথ থেকে খুলে আনা হয়েছে বলে জানান রেলওয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা।

এ সময় এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আটককৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পদ অবৈধভাবে ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া এদের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তাও খতিয়ে দেখবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Application for arrest warrant against Parimoni

পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়ে আবেদন

পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়ে আবেদন চিত্রনায়িকা পরীমনি। ফাইল ছবি
বোট ক্লাবের পরিচালক নাছির উদ্দিন মাহমুদের করা মামলার তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছে পিবিআই। এই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার আদালতে পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী।

চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। ঢাকার সাভারের বোট ক্লাবের পরিচালক নাছির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর, হত্যাচেষ্টা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে করা মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

এই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালতে বৃহস্পতিবার এই আবেদন করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল। শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য রেখেছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন সম্প্রতি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন ২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন।

পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদী নাসির উদ্দিনকে ডাক দেন এবং তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসার অনুরোধ করেন।

একপর্যায়ে পরীমনি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসির উদ্দিনকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি বাদীকে গালমন্দ করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, বাদী ও আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথা ও বুকে আঘাত পান। এ সময় পরীমনি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেন ও ভাঙচুর করেন।

বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন, এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করেন।

২০২১ সালের ১৪ জুন ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে পরীমনি সাভার থানায় মামলা করেন।

ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।

২০২২ সালের ১৮ মে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগ গঠনের সময় নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন নাসিরসহ তিন আসামি। বর্তমানে মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

আরও পড়ুন:
রাজ মরে গেলেও দেখতে যাব না: পরীমনি
পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকের মামলা চলবে
‘ফুড পয়জনিং’ নিয়ে হাসপাতালে পরীমনি
এর চেয়ে বড় শোক আর আসবে না: পরীমনি
পরীমনির নানা মারা গেছেন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Kidnapped child from Chuadanga rescued in Sirajganj

চুয়াডাঙ্গা থেকে অপহৃত শিশু সিরাজগঞ্জে উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গা থেকে অপহৃত শিশু সিরাজগঞ্জে উদ্ধার ছবি: নিউজবাংলা
র‍্যাব ১২-এর অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মারুফ হোসেন জানান, তামিমের বাবার সঙ্গে আল আমিনের দুই মাস আগে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়েই সুকৌশলে তামিমকে অপহরণ করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মুক্তিপণের জন্যই শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছিল।

অপহরণের ৬ ঘণ্টার মধ্যে সিরাজগঞ্জ থেকে তামিম হোসেন নামের ৭ বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এ সময় এ মামলার আসামি আল-আমিন গ্রেপ্তার হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ভোরে বেলকুচি উপজেলার চন্দনগাতী গ্রাম থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে র‌্যাব ১২-এর একটি দল। বুধবার দুপুর তিনটার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার হানুরবাড়াদি গ্রাম থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।

অপহৃত তামিম হোসেন চুয়াডাঙ্গার হানুরবাড়াদি গ্রামের মো. সুন্নত আলীর ছেলে। অপরদিকে গ্রেপ্তার হওয়া ২৯ বছর বয়সী আল-আমিন কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানায় মেষতলী বাজারের বাসিন্দা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে র‍্যাব ১২-এর অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মারুফ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, অপহরণের পর শিশুটির বাবা সুন্নত আলী চুয়াডাঙ্গা থানায় মামলা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিষয়টি র‌্যাবকে জানালে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামির অবস্থান নির্ণয় করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

তিনি জানান, তামিমের বাবার সঙ্গে আল আমিনের দুই মাস আগে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়েই সুকৌশলে তামিমকে অপহরণ করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মুক্তিপণের জন্যই শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছিল।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হস্তান্তর করার আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
নাটোরে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও ভাইকে অপহরণ
লিবিয়ায় অপহরণের খবরে দিশাহারা ৪ শ্রমিকের পরিবার
মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত কলেজ ছাত্রী উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
৪৮ ঘণ্টা পর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অটোরিকশার চালক উদ্ধার
অবশেষে ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের নামে মামলা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Remand of 53 persons granted in two cases in Bandarban

বান্দরবানে দুই মামলায় ৫৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর

বান্দরবানে দুই মামলায় ৫৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর বৃহস্পতিবার বান্দরবানে আদালতে নেয়ার পথে কেএনএফ সদস্যরা। ছবি: নিউজবাংলা
আইনজীবীরা জানান, রুমা থানার দুই মামলায় পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর মধ্যে ৫২জনকে দু’দিন করে রিমান্ড এবং একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হয়।

বান্দরবানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রুমা থানার দুটি মামলায় বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি এক নারীকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদসহ মামলায় ৫৭জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বান্দরবান সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নাজমুল হোছাইন বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

আদালতে আসামি পক্ষে একাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। আইনজীবীরা জানান, রুমা থানার জিআর মামলা নং- ৪ ও ৭ মামলায় পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর মধ্যে ৫২জনকে দু’দিন করে রিমান্ড এবং একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হয়।

এর আগে বান্দরবান জেলা কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় ১৮জন নারী ও ৩৯জন পুরুষ বন্দিকে দুটি গাড়িতে করে আদালতে হাজির করা হয়। সম্প্রতি বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে লুটের ঘটনায় তাদেরকে রুমা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে বান্দরবানে চলমান যৌথ অভিযানে সন্দেহভাজন আর‌ও একজনকে আটক করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬৬জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:
রুমার সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করায় কুকি-চিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা স্থগিত
স্বর্ণ উদ্ধারের মামলায় নভোএয়ারের গাড়িচালক রিমান্ডে
সিনেমায় অনুপ্রাণিত হয়ে কেনা অস্ত্র দিয়ে ছাত্রকে গুলি করেন রায়হান
যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত ভিকারুননিসার শিক্ষক মুরাদ রিমান্ডে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A case of rape of a college girl in Kalkini

কালকিনিতে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

কালকিনিতে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা প্রতীকী ছবি
কালকিনি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, ‘কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে একটি মামলা হয়েছে। পরে ওই ছাত্রীকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।’

মাদারীপুরের কালকিনিতে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

ওই কলেজছাত্রীর মা এ মামলা করেন বলে বৃহস্পতিবার সকালে জানিয়েছে থানা পুলিশ।

মামলার প্রধান আসামি ও তার পরিবারের সদস্যরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন।

স্থানীয়, পুলিশ ও কলেজছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার একটি গ্রামের নাজমুছ সাকিবের সঙ্গে একই এলাকার কলেজছাত্রীর প্রায় দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর জেরে গত শুক্রবার রাতে ওই কলেজছাত্রীকে তার বসতঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন নাজমুছ সাকিব।

এ ঘটনা জানতে পেরে স্থানীয় লোকজন সালিশ করে নাজমুছ সাকিবকে জিজ্ঞাসা করলে ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ে করবেন বলে তিনি আশ্বাস দেন, কিন্তু সালিশের বেশ কয়েক দিন পার হলেও ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ে না করে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান সাকিব।

পরে কলেজছাত্রীর মা বাদী হয়ে নাজমুছ সাকিবসহ তার পরিবারের তিনজনকে আসামি করে আদালতে ধর্ষণের মামলা করেন। এর প্রেক্ষাপটে থানা পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে চিকিৎসা পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায়।

মামলার বাদী কলেজছাত্রীর মা বলেন, ‘আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করেছে নাজমুছ সাকিব, কিন্তু এখন আমার মেয়েকে বিয়ে করতে চায় না বলে ধর্ষণকারীসহ তার পরিবারের তিনজনের নামে আমি মামলা করেছি। আমি এর বিচার চাই।’

বিষয়টি জানার জন্য অভিযুক্ত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের এলাকায় পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘এই ঘটনা জানতে পেরে আমরা নাজমুছ সাকিবকে জিজ্ঞেস করলে ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেয়, কিন্তু ঘটনার বেশ কয়েক দিন পার হলেও ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ে না করে ধর্ষণকারী ও তার পরিবার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়, তবে ওই যুবকের বিরুদ্ধে এই ধরনের ঘটনা আরও আছে।’

কালকিনি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, ‘কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে একটি মামলা হয়েছে। পরে ওই ছাত্রীকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।’

আরও পড়ুন:
স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ
প্রতিবেশীর কাছে পেঁয়াজ চাইতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশু
এবার বন্দুকের মুখে ধর্ষণের অভিযোগ টাঙ্গাইলের বড় মনিরের বিরুদ্ধে
রামপালে ধর্ষণের মামলা তুলে নিতে হুমকি, অভিযোগ গৃহবধূর স্বামীর
গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের নামে মামলা

মন্তব্য

p
উপরে