বর্ষবরণ ও বিদায় ঘিরে প্রতি বছর কক্সবাজারে প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটে। তবে এবার সেই স্রোতে ভাটার টান দেখছেন হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির নেতারা। তারা বলছেন, বছরের এ সময়ে বেশির ভাগ কক্ষ বুকিং হয়নি। অথচ অতীতে আগেভাগেই বুকিং হয়ে যেত শতকরা ৯৫ ভাগ কক্ষ।
এ অবস্থার জন্য দুটি বিষয়কে সামনে এনেছেন তারা। এর একটি খাবারের দাম নিয়ে অপপ্রচার এবং এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ।
জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছেন, ‘বিচ্ছিন্ন’ কিছু ঘটনায় তারা কিছুটা বিব্রত। তবে পর্যটকবান্ধব কক্সবাজার গড়তে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
শহরের কলাতলী, সুগন্ধা বা লাবনীতে রয়েছে ৫১৬টি হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট। এদেরই একটি হোটেল অপেরা ওশান।
প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক আরিফুল ইসলাম রিপন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের আগে থার্টি ফাস্ট নাইট ঘিরে কম করে হলেও ৯৫ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম ভাড়া হয়ে যেত। এবারও আমরা তেমন আশা করেছিলাম।
‘তবে পর্যটক সমাগমের প্রবণতায় ভাটা দেখছি। যারা ফোন করছেন, প্রথমেই নিরাপত্তাব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইছেন। কিন্তু কী জবাব দেব। এবারে সে রকম ব্যবসা নাও হতে পারে।’
কলাতলী-মেরিনড্রাইভ হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অতিরিক্ত দাম রাখার ভুল মেসেজ আর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলা পর্যটনসংশ্লিষ্টদের বড় ক্ষতি করে ফেলল।
‘করোনার কারণে টানা লোকসানে ছিলেন ব্যবসায়ীরা। তার মধ্যে এমন ঘটনায় এখন এত বড় একটা দিনে ৫০ শতাংশ বুকিংও পাচ্ছি না। যা কক্সবাজারের ইতিহাসে নজিরবিহীন।’
ভিজতা-বে হোটেলের মহাব্যবস্থাপক আব্দুল আউয়াল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের মোটামুটি হয়েছে। তবে অনেকের একেবারে বুকিং নেই বললে চলে।’
কক্সবাজার পৌরসভার তথ্য, জেলায় বসবাস প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষের। এর বাইরে শতাধিক আন্তর্জাতিক ও দেশীয় দাতা সংস্থায় কর্মরত প্রায় পাঁচ হাজার বিদেশি এখানে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
স্থায়ী-অস্থায়ী ও পর্যটকদের নিরাপত্তায় শহরের বিভিন্ন স্থানে ৬৪টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। তবে এসব সিসিটিভির বেশির ভাগই অকেজো হয়ে গেছে বলে অভিযোগ আছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কক্সবাজার ভৌগোলিকভাবে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে উঠেছে। একে পর্যটন শহরে রূপ দেয়ার মতো কিছুই হয়নি। এতগুলো সংস্থা থাকার পরও কেন ছিনতাই বা পর্যটক হয়রানি হবে। শুধু ব্যক্তিস্বার্থ নিয়েই পড়ে আছে সবাই।’
পর্যটন জোনে রোহিঙ্গাদের অবাধ চলাচল অপরাধ বাড়ার অন্যতম কারণ হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তবে এত সব শঙ্কা ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেলে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে চার রাশিয়ান নাগরিককে দেখা গেছে। নেচেগেয়ে সূর্যাস্ত উপভোগ করেছেন তারা।
তাদের একজন নাজিরা। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ খুবই সুন্দর। এখানকার নিরাপত্তা আমাদের ভালো লেগেছে। সার্বক্ষণিক পুলিশ ছিল।’
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সৈকতে বা পর্যটন জোনে ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি আমরাও কাজ করছি। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটে। বেশকিছু আসামি আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তবে এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে কীভাবে উঠে আসা যায় সেদিকে নজর রেখে কাজ চলছে।’
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘থার্টিফাস্ট উপলক্ষে এখন পর্যন্ত তিনটা বৈঠক করেছি। পর্যটন সেবার মান উন্নয়নের জন্য সাত দফা পদক্ষেপ নিয়েছি।
‘দফায় দফায় বৈঠকের মূল কারণ শুধু থার্টিফাস্টে পর্যটকদের সমাগম নিরাপদ করা। কোথাও যেন কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা না ঘটে সে জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন:দৃষ্টিসীমাজুড়ে নৈসর্গিক দৃশ্য। নদ-নদী, পাহাড়, বন-জঙ্গলের মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের কারণে সারা বিশ্বের পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে চীন।
বলা হয়ে থাকে চীনের বিভিন্ন প্রদেশে এক পাহাড়েই একসময়ে চার ঋতুর সমাহার ঘটে ও প্রতি পাঁচ কিলোমিটার পরপর আবহাওয়ার পরিবর্তন দেখা যায়। দেশটির অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এ পর্যটন শিল্প।
পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি চীনের গ্রেট ওয়াল বা মহাপ্রাচীর। চীনের সবচেয়ে উঁচু টাওয়ার ও বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টাওয়ার হলো সাংহাই টাওয়ার। এর বাইরে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, খাবার পর্যটকদের সহজেই আকৃষ্ট করে।
পর্যটকদের আকৃষ্ট করার সব উপাদানই রয়েছে চীনে। এ কারণে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও বড় ভূমিকা রাখছে পর্যটন শিল্প।
চায়না ট্যুরিজম অ্যাকাডেমির তথ্য অনুযায়ী, কোভিড-১৯-এর আগে ২০১৯ সালে পর্যটন খাত থেকে চীনের অভ্যন্তরীণ আয় ছিল ৬ দশমিক ৬৩ ট্রিলিয়ন ইউয়ান। এর মধ্যে বিদেশিদের চীনে ভ্রমণ থেকে আয় ৫ দশমিক ৭৩ ট্রিলিয়ন ইউয়ান, যা ১৩১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের সমান।
২০২২ সালে চীনের পর্যটন থেকে আয় ছিল প্রায় দুই ট্রিলিয়ন ইউয়ান। ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে চীনের রাজস্ব প্রায় সম্পূর্ণরূপে অভ্যন্তরীণ পর্যটন থেকেই হবে বলে অনুমান করা হয়েছিল, কিন্তু ২০২০ সালে কোভিড এর কারণে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয় তারা।
গত ১০ বছরের ডেটা বিশ্লেষেণে জানা যায়, ২০১২ সালে পর্যটন খাত থেকে চীনের রাজস্ব আয় হয়েছিল ২ হাজার ৫৯০ বিলিয়ন ইউয়ান। ২০১৪ সালে সেটা ৩ হাজারের ঘর অতিক্রম করে আয় হয় ৩ হাজার ৭৩০ বিলিয়ন ইউয়ান। এরপর প্রতি বছরে এ আয় বেড়েছে, তবে ২০১৯ সালে সেটা ৬ হাজার বিলিয়ন ছাড়িযে যায়। এরপর ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে কোভিডের কারণে বিদেশি পর্যটকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তারা। ওই সময় অভ্যন্তরীণ আয় হয় যথাক্রমে ২ হাজার ২৩০ বিলিয়ন ইউয়ান, ২ হাজার ৯১৯ বিলিয়ন ও ২ হাজার ৪৪ বিলিয়ন ইউয়ান।
বিশ্ব পর্যটন শিল্পে চীন
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন বিশ্বব্যাপী পর্যটন শিল্পের জিডিপিতে বার্ষিক পাঁচ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার যোগ করেছে।
জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান মানসহ চীনের পর্যটন শিল্প গত এক দশকে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। কোভিড-১৯ মহামারির ঠিক আগে চীনা পর্যটন শিল্প ২০১৯ সালে প্রায় ৫ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ইউয়ান আয় করে ১১ দশমিক ৭ শতাংশ রাজস্ব বৃদ্ধি করেছে। চীনের পর্যটন শিল্প দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটন নিয়ে গঠিত। বেইজিং, সাংহাই ও গুয়াংজু চীনা পর্যটকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় অভ্যন্তরীণ গন্তব্য। ২০১৯ সালে চীনে আসা বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ২০ লাখের কাছাকাছি।
করোনাভাইরাস মহামারি চীনের পর্যটনে বড় প্রভাব ফেলেছে। যদিও মাত্র কয়েকজন বিদেশি যাত্রীকে দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। অভ্যন্তরীণ ভ্রমণকারীর সংখ্যাও ২০২০ সালে অর্ধেকেরও বেশি কমে গেছে। ২০২১ সালে ধীরে ধীরে আবার বাড়তে শুরু করেছে।
আন্তর্জাতিক পর্যটন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর আগে ২০১৯ সালে চীনে ৬ কোটি ৫৭ লাখ বিদেশি দর্শনার্থী প্রবেশ করেন। মহামারি শুরুর পর নিজেদের আন্তর্জাতিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে চীন। পরে বিভিন্ন দেশ পর্যায়ক্রমে করোনার বিধিনিষেধ তুলে নিলেও চীন অনেক দিন ধরে তা বহাল রাখে।
এ নিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিংয়ের নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভও করেছে দেশটির জনগণ। ২০২২ সালের শেষ থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার শুরু করে বেইজিং।
পর্যটন শিল্প: বাংলাদেশের চিত্র
অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বাংলাদেশে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত, ম্যানগ্রোভ বন বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন; আছে পাহাড়, পর্বত ও হাওর। এতকিছুর পরও এ দেশে দিন দিন কমছে বিদেশি পর্যটক। ফলে কমছে এ খাত থেকে আয়ও।
পাশের দেশগুলোতে জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান ১০ শতাংশের ওপরে থাকলেও দেশে মাত্র ৪ দশমিক ৪ শতাংশ।
পাঁচ দশক পেরিয়ে গেলেও দেশের পর্যটন শিল্প কীভাবে এগিয়ে যাবে, তার কোনো মহাপরিকল্পনা এখনও হয়নি।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ পর্যটন শিল্পকে তাদের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে রূপান্তর করেছে, কিন্তু বাংলাদেশ সেই তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, পর্যটন স্পটগুলোয় প্রতি বছর ভ্রমণ করেন প্রায় দেড় কোটি পর্যটক। এর মধ্যে বিদেশি পর্যটক ৩ থেকে ৫ শতাংশ।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী জানান, দেশের পর্যটন সম্ভাবনা কাজে লাগাতে প্রচার দরকার। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও বিজ্ঞাপন দিতে হবে।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে দেশে বিদেশি নাগরিক এসেছেন ৫ লাখ ৬৬৫ জন। এ ছাড়া ২০১৮ সালে ৫ লাখ ৫২ হাজার ৭৩০ জন আসেন। ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ বিদেশি নাগরিক দেশে আসেন। এ সংখ্যা ৬ লাখ ২১ হাজার ১৩১।
করোনার সময় ২০২০ সালে বাংলাদেশে এসেছেন ১ লাখ ৮১ হাজার ৫১৮ জন। ২০২১ সালে ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৬ জন আর ২০২২ সালে দেড় লাখ বিদেশি আসেন। ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত তা হয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারে জমকালো আয়োজনে বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে শুরু হয়েছে বিশ্ব পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল।
এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বুধবার সকাল ১০টার দিকে বিশাল র্যালি লাবণী পয়েন্ট থেকে সুগন্ধা হয়ে পুনরায় লাবণী পয়েন্টে এসে শেষ হয়।
এ সময় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহীন ইমরানের নেতৃত্বে র্যালিতে অংশ নেন কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজুল ইসলাম, টুরিস্ট পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান, কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল ইসলামসহ পর্যটন ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
ডিসি শাহীন ইমরান বলেন, বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে দ্বিতীয়বারের মতো এমন আয়োজন করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিয়ে কক্সবাজারের পর্যটন স্পটগুলোর আকর্ষণ বাড়াতে এ মেলা বড় ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এসপি মাহফুজুল ইসলাম জানান, কক্সবাজারের অপরূপ সৌন্দর্য বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে এ আয়োজন করা হয়েছে।
কোন দিন কী অনুষ্ঠান
বৃহস্পতিবার: সকাল ১০টার দিকে রোড শো ও বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেটস্কি শোর পাশাপাশি হবে সেমিনার।
শুক্রবার: বিকেল তিনটার দিকে ঘুড়ি উৎসব, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সেমিনার, সাড়ে ৫টার দিকে ম্যাজিক শো। সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ফায়ার স্পিন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে লাইফ গার্ড রেসকিউ প্রদর্শনী, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর আগে রাত ৯টার দিকে ফানুস উৎসব ও রাত ১১টার দিকে ডিজে শো।
শনিবার: সকাল ১০টার দিকে সার্ফিং প্রদর্শনী, বিকেল তিনটার দিকে ঘুড়ি উৎসব, বিকেল চারটার দিকে বিচ ম্যারাথন, বিকেল ৫টার দিকে সেমিনার, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ডিজে শো।
রোববার: বিকেল ৫টা থেকে সেমিনার ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সোমবার: বিকেল ৪টায় বিচ ভলিবল, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রাত ৮টায় বিদেশি নাগরিকদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রাত ১১টায় ডিজে শো।
মঙ্গলবার: বিকেল তিনটার দিকে সেমিনার, বিকেল চারটার দিকে পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান, বিকেল পাঁচটা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত গ্র্যান্ড সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কনসার্ট, রাত সাড়ে ১১টার দিকে ডিজে শো ও রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে আতশবাজি প্রদর্শনী।
আরও পড়ুন:মুসলিমদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটি এবার পড়েছে বৃহস্পতিবার। এরপর শুক্র ও শনিবার দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে পাওয়া যাচ্ছে তিন দিনের লম্বা ছুটি বা লং উইকেন্ড।
লং এ উইকেন্ডে চট্টগ্রামে নিজের বাড়িতে বেড়াতে যেতে চান বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাব্বির, কিন্তু শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে টিকিট কাটতে গিয়ে তিনি দেখলেন, বাস-ট্রেন কোনো যানবাহনেরই টিকিট মিলছে না।
সাব্বিরের মতো এমন ঝামেলা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে আপনি বেছে নিতে পারেন সুবিধাজনক ও নিরাপদ উবার ইন্টারসিটি। একটি বাটনের মাধ্যমেই আপনি পাচ্ছেন কম খরচে শহরের বাইরে যাওয়ার নির্ভরযোগ্য একটি মাধ্যম। এই সার্ভিসে আপনি উবারের গাড়ি ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত নিজের সঙ্গে রাখার সুযোগ পাবেন।
ঢাকা মহানগর থেকে পিক-আপ করার পর দেশের আট বিভাগের প্রতিটিতেই এ সেবা পাওয়া যাবে। আপনি যদি চারজন পর্যন্ত সদস্যের একটি দল নিয়ে ভ্রমণ করতে চান, তাহলে বেছে নিতে পারেন উবার ইন্টারসিটি। আবার আটজন পর্যন্ত সদস্যের বড় দল নিয়ে যাতায়াতের জন্য উবার ইন্টারসিটি এক্সএল হতে পারে আপনার জন্য যথার্থ। তা ছাড়া নিরাপত্তাকে উবার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
ট্রিপগুলো জিপিএস দিয়ে ট্র্যাক করা হয়। তাই নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো সমস্যায় দ্রুত সাড়া দেয়া সম্ভব হয়। এ ছাড়া আছে একটি সেফটি টুলকিট এবং ২৪x৭ হেল্পলাইন। তাই প্রচলিত যানবাহনের তুলনায় উবার ব্যবহার করা নিরাপদ।
নিজের মনের মতো করে ছুটি কাটাতে নিরাপদ ও ঝামেলাবিহীন যাতায়াতের সুযোগ প্রয়োজন। সেই প্রয়োজন মেটাতে পাশে থাকবে উবার।
উবার ইন্টারসিটি যেভাবে কাজ করে
কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ দীর্ঘ ৬ মাস ধরে। অবশেষে বিশ্ব পর্যটন দিবসে সেই স্থবিরতা কাটছে। বুধবার রুটটিতে পুনরায় জাহাজ চলাচল শুরু হচ্ছে।
বিশ্ব পর্যটন দিবস সামনে রেখে মঙ্গলবার পরীক্ষামূলকভাবে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাসিম আহমদের নেতৃত্বে পর্যবেক্ষণ দল ‘বার আউলিয়া’ নামের একটি জাহাজে করে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা হয়।
পর্যবেক্ষণ দলের নেতৃত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাসিম আহমেদ বলেন, ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারে ৭ দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজন রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বুধবার থেকে সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
‘আজ (মঙ্গলবার) জেলা প্রশাসনের একটি দল পর্যবেক্ষণ করার জন্য সেন্টমার্টিনে যাত্রা করেছি। আমরা উভয়পাড়ের জেটিঘাট, নাফ নদের নাব্যতাসহ নানা বিষয়ের উপযোগিতা খতিয়ে দেখছি।’
চলতি বছরের ২০ মার্চের পর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে চলতি মাসের ২৭ সেপ্টেম্বর জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন।
পর্যবেক্ষণ দলে থাকা কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (টুয়াক) সিনিয়র সহ-সভাপতি হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, ‘নাফ নদের নাব্য-সংকট ও নদীতে একাধিক বালুচর জেগে ওঠার উল্লেখ করে গত বছর পর্যটন মৌসুমের শুরু থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এ বছর যথাসময়ে জাহাজ চলাচলের অনুমতি পাওয়ায় শুকরিয়া। পাশাপাশি কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
পর্যবেক্ষণ দলে অন্যদের মধ্যে রয়েছেন- টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী, বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব রায়হান উদ্দিন আহমেদ, পর্যটন উদ্যোক্তা তৌহিদুল ইসলাম তোহা, ট্যুর অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা, সহ-সভাপতি মিল্কি, ট্যুরিস্ট পুলিশসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
স্বাভাবিকভাবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতেই সিলেটে ঢল নামে পর্যটকের। বাড়তি ছুটি পেলে তো কথাই নেই। পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে থাকে ভিড়ে ভিড়াক্কার চিত্র। তিনদিনের টানা ছুটি মিলে যাওয়ায় ব্যতিক্রম হচ্ছে না এবারও।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবির (সা.) ছুটি বৃহস্পতিবার। আর পরের দুদিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে টানা তিনদিনের ছুটি পেতে যাচ্ছেন চাকরিজীবীরা। আর এই ছুটিতে সিলেটে ঢল নামতে যাচ্ছে পর্যটকের। ইতোমধ্যে সিলেটের হোটেল-মোটেল, রিসোর্টগুলোর ৯০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে।
দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত জনপদ সিলেট। এখানকার হাওর, পাহাড়, ঝর্ণা, নদী দেখতে সারাবছরই ভিড় করেন পর্যটকরা। আর কোনো উৎসব বা দীর্ঘ ছুটিতে রীতিমতো পর্যটকের ঢল নামে। হোটেল-রিসোর্টগুলোতে কক্ষ খালি পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে। জাফলং, বিছনাকান্দি, পাংথুমাই, লালাখাল, সাদপাথর এলাকা পর্যটকের পদভারে হয়ে ওঠে মুখর।
বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিনের ছুটির কারণে সিলেটে লাখো পর্যটকের সমাগম হবে বলে আশা করছেন পর্যটন খাতের উদ্যোক্তারা।
সিলেটের হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ী ও পর্যটন-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৫ দিন ধরেই বিভিন্ন মাধ্যমে সিলেটের হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলো বুকিং দিয়ে রাখছেন পর্যটকরা। ইতোমধ্যে ৯০ শতাংশই বুকিং হয়ে গেছে। বিশেষত বড় হোটেল ও রিসোর্টগুলোর কোনো কক্ষ ফাঁকা নেই। কক্ষ ফাঁকা না থাকায় মঙ্গলবার অনেক পর্যটক ফোন করলেও তাদের ফিরিয়ে দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের দুটি রিসোর্টের সংশ্লিষ্টরা।
সিলেট বিভাগে ৫ শতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগই পর্যটকনির্ভর। এখানকার প্রধানতম পর্যটন কেন্দ্র জাফলং। জাফলংকে বলা হয় প্রকৃতি-কন্যা। ভারতের মেঘালয়ের পাহাড়, ঝর্ণা ও পাহাড় থেকে নেমে আসা নদী, খাসিয়া পল্লী দেখতে সারা বছর ভিড় করেন পর্যটকরা।
জাফলংয়ের গুচ্ছগ্রাম এলাকার গ্রিন ভিউ রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী বাবুল আহমদ বলেন, ‘বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার আমাদের রিসোর্ট খালি থাকে না। এবার একদিন বাড়তি ছুটি থাকায় সপ্তাহখানেক আগেই সব কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। ফলে এখন অনেকে ফোন করলেও তাদের ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে।’
নগরের জিন্দাবাজার এলাকার হোটেল গোল্ডেন সিটির ব্যবস্থাপক মিষ্ঠু দত্ত বলেন, সারাবছরই আমরা এরকম বাড়তি ছুটি এবং উৎসবের জন্য অপেক্ষায় থাকি। এরকম সুযোগে পর্যটকরা বেশি আসেন। তাছাড়া এখন সিলেটের আবাহাওয়াও অনুকুলে আছে। প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তাই এখন সিলেট ঘুরে বেড়ানোর উপযুক্ত সময়। আগামী তিনদিন সিলেটে প্রচুর পর্যটক থাকবেন বলে আশা করছি। ইতোমধ্যে আমাদের হোটেলের বেশিরভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
তিনদিনের ছুটিতে সিলেটে লাখখানেক পর্যটক সমাগমের আশা প্রকাশ করেন সিলেটের হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমাত নুরী জুয়েল। তিনি বলেন, ‘পর্যটকের ভিড় বাড়লে সংশ্লিষ্ট সবাই লাভবান হন। গাড়িচালক, নৌকার মাঝি, রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে মুদি দোকানি সবাই। ফলে আমাদের সবাইকে পর্যটকদের সমাদর করা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘আগামী তিনদিন সিলেটের হোটেল-মোটেলে ভালো ব্যবসা হলেও এবার পর্যটনের ভরা মৌসুমে পর্যটক সমাগমের আশা কম। কারণ নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে নির্বাচনী ডামাডোল ও রাজনৈতিক সহিংসতার শঙ্কা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই হয়তো বেড়াতে বের হতে উৎসাহিত হবেন না।’
পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে কথা হয় ট্যুরিস্ট পুলিশের সিলেট রিজিওনের এসপি মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘সাপ্তাহিক ও বিভিন্ন ছুটির সময় সিলেটে পর্যটকের ভিড় থাকে। এসব দিনে পর্যটকদের নিরাপত্তায় এখানে বিশেষভাবে সতর্ক ও প্রস্তুত থাকে ট্যুরিস্ট পুলিশ। আগামী তিন দিনও এর ব্যতিক্রম হবে না।
‘স্বল্পসংখ্যক জনবল নিয়েও সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আমরা পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে সচেষ্ট থাকব। প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নেয়া হবে।’
সিলেটের সবচেয়ে বেশি পর্যটন কেন্দ্র গোয়াইনঘাট উপজেলায়। জাফলং ছাড়াও দেশের দুর্লভ জলার বন রাতারগুল, পাথরের বিছানা বিছানো বিছনাকান্দি, স্বচ্ছ জলের লালাখাল, পাহাড়ি ঝর্ণার পাংথুমাইয়ের অবস্থান এই উপজেলায়ই। অবশ্য এখানকার খরস্রোতা নদীগুলোতে দুর্ঘটনায় পর্যটকের প্রাণহানি ঘটনাও ঘটে সবচেয়ে বেশি।
তবে পর্যটকদের সতর্ক করতে প্রশাসন তৎপর থাকবে জানিয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তবিবুর রহমান বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সাঁতার না জানা কেউ যাতে পানিতে না নামেন এ ব্যাপারে স্বেচ্ছাসেবীরা প্রচার চালাবে।’
মধু এক প্রকারের মিষ্টি, ঘন তরল, যা একাধারে খাদ্য ও ওষুধ। মৌমাছি ও অন্যান্য পতঙ্গ ফুলের নির্যাস থেকে মধু তৈরি করে মৌচাকে সংরক্ষণ করে। বিভিন্ন খাদ্য প্রস্তুতিতে এর ব্যবহার চিনির চেয়েও বেশি স্বাস্থ্যকর। ইউএনবি বাংলার হানি নুডলস উইথ ফ্রাইড রাইস এর রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
উপকরণ
১ কাপ ভাত, ১ কাপ সিদ্ধ নুডলস, আধা কাপ চিকেন কিমা সিদ্ধ, সিদ্ধ আলু ছোট টুকরো আধা কাপ, আধা কাপ গাজর ছোট টুকরো, আধা কাপ টুকরো টমেটো, আধা কাপ টুকরো ক্যাপসিকাম, আধা কাপ মটরশুঁটি, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, তেল সিকি কাপ, মধু ২ টেবিল চামচ, লবণ আধা চা চামচ, নুডলস মসলা ২ প্যাকেট, ১ টেবিল সয়াসস, ১ চামচ লেবুর রস, আধা চা চামচ গোলমরিচের গুঁড়া, কাঁচা মরিচ ফালি ৪টি।
প্রস্তুত প্রণালি
ফ্রাইপ্যানে তেল গরম হলে কিমা, সবজি ও লবণ দিয়ে একটু ভেজে নিন। এরপর ভাত ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে ভেজে নুডলস, মসলা, মরিচ, সয়াসস ও মধু দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। চুলা থেকে নামানোর আগে লেবুর রস দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
কাজের চাপ, খরচের চিন্তা, পরিবারের দায়িত্ব সব মিলিয়ে জীবন গতিময় হলেও অনেক সময় ভেতরে ভেতরে অস্থিরতা তৈরি হয় প্রত্যেকেরই।
মন ভালো করতে নিজের পছন্দের কাজ করার বিকল্প নেই। হতে পারে তা গান শোনা, কবিতা পড়া, গল্প লেখা, সিনেমা দেখা বা প্রিয় মানুষের সঙ্গে সময় কাটানো। আবার অনেকে এসবই বাদ দিয়ে নিজের পছন্দ অনুযায়ী খেতে ও ঘুরতে পছন্দ করেন।
খাবার খেলে মন ভালো হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে জানেন কি, কিছু খাবার খেলে মন খারাপ বা মন ভার হয়! মন খারাপ থাকলে যেমন আমরা অনেকেই খেতে পছন্দ করি, তেমনই কিছু খাবার আছে যেসব খেলে মন হয় খারাপ।
এসব খাবার রোজ রোজ খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিও বেড়ে যায় বিনা নোটিশে।
চলুন চট করে চোখ বুলিয়ে নেই এমন কিছু খাবারের তালিকায়, যা আপনার মন খারাপের কারণ হতে পারে।
ভাজাপোড়া খাবারে থাকে অধিক মাত্রার ট্রান্স ফ্যাট, যা আপনার উদ্বেগ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই যদি আপনার উদ্বেগ বা মন খারাপের সমস্যা থেকে থাকে তবে এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন।
এতে যে শুধু মানসিক চাপ কমবে তা নয়, বরং এতে আপনার শারীরিক উপকারও হবে।
খাবারের সঙ্গে কাঁচা লবণ বা নোনতা জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করেন?
এতে শরীরের পাশাপাশি মনের ক্ষতি করছেন। নোনতা জাতীয় খাবারে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়, যার ফলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। আর এতে আপনার শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যও নষ্ট হয়। ফলে স্ট্রেস হরমোন প্রভাবিত হয়। আর এর ফলস্বরূপ খারাপ থাকতে পারে আপনার মন।
মন খারাপ হলেই যাদের আবার মিষ্টি খেতে মন চায়, তাদের জন্য দুঃসংবাদ।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, কেক, পেস্ট্রি বা এ ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে যারা পছন্দ করেন তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।
শর্করার মাত্রা ওঠা-নামা করায় উদ্বেগও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ফলে, যাদের উদ্বেগজনিত সমস্যা আছে, তাদের এ ধরনের মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।
যাদের চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস আছে, তাদের জন্য বিভিন্ন গবেষণা দিচ্ছে খারাপ খবর। চা বা কফির ক্যাফেইন আপনাকে সাময়িকভাবে চাঙ্গা করে তুললেও এই ক্যাফেইন আপনার স্নায়ুর কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।
পাশাপাশি এটি আপনার রক্তচাপও বাড়িয়ে দেয়।
বিভিন্ন গবেষণা বলছে, দৈনিক ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন খেলে শরীরে এর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। তবে এর বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ করলেই দেখা দিতে পারে সমস্যা।
তাই মন ভালো রাখতে চেষ্টা করুন নিজের ক্যাফেইন গ্রহণকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে।
অনেকেই দুধের ল্যাকটোজ হজম করতে পারেন না। এতে করে বেড়ে যায় নানা শারীরিক সমস্যা। আবার অনেকে সহজেই খেতে পারেন দুধ বা দুধজাতীয় খাবার।
তবে, ঘটনা যেটাই হোক এতে শরীর ও মনের ওপর নেতিবাচক চাপ তৈরি হতে পারে।
তাই এমন খাবার খাওয়ার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করাই ভালো।
মন্তব্য