× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The last time the capital market was in despair
google_news print-icon

উত্থানের বছরে পুঁজিবাজারে শেষ সময়ে হতাশা

উত্থানের-বছরে-পুঁজিবাজারে-শেষ-সময়ে-হতাশা
ব্রোকারেজ হাউজে পুঁজিবাজারের লেনদেন দেখছেন বিনিয়োগকারীরা। ফাইল ছবি
অর্থবছরের প্রথমে তিন মাস আর শেষ আড়াই মাস বাদ দিলে বাকি সময় স্বপ্নের মতো দিন গেছে বিনিয়োগকারীদের। ২০১০ সালের মহাধসের পর এই প্রথম বাজারে দেখা দেয় আলোড়ন। হাজার হাজার বিনিয়োগকারীর বছরের পর বছরের লোকসানি বিও হিসাবগুলো মুনাফার মুখ দেখে। এক দশকের সবচেয়ে বেশি লেনদেন, ১১ বছরের সর্বোচ্চ সূচকও দেখেছেন বিনিয়োগকারীরা।

২০২০ সালের শেষ কর্মদিবসের দিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের অবস্থান ছিল ৫ হাজার ৪০২ পয়েন্ট। ঠিক এক বছর পর ২০২১ সালের শেষ কর্মদিবসে সূচকের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৭৫৬ পয়েন্ট। পার্থক্য এক হাজার ৩৫৪ পয়েন্ট। উচ্ছ্বসিত হওয়ার কথা ছিল বিনিয়োগকারীদের, কিন্তু আসলে হয়েছে উল্টো।

অর্থবছরের শেষ তিন মাসে, সুনির্দিষ্টভাবে বললে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দর সংশোধনের এক মাস পর পতনে শেয়ারদর, সূচক, লেনদেনে ক্রমাগত অধোগতিতে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে।

এই সময়ে আর্থিক ও পুঁজিবাজারে দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়টি সামনে আসার পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা, আস্থায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে, যে কারণে একটি বড় অংশই নিষ্ক্রিয় হয়ে লেনদেন থেকে দূরে থাকছেন।

অর্থবছরের প্রথমে তিন মাস আর শেষ আড়াই মাস বাদ দিলে বাকি সময় স্বপ্নের মতো দিন গেছে বিনিয়োগকারীদের। ২০১০ সালের মহাধসের পর এই প্রথম বাজারে দেখা দেয় আলোড়ন। হাজার হাজার বিনিয়োগকারীর বছরের পর বছরের লোকসানি বিও হিসাবগুলো মুনাফার মুখ দেখে। এক দশকের সবচেয়ে বেশি লেনদেন, ১১ বছরের সর্বোচ্চ সূচকও দেখেছেন বিনিয়োগকারীরা।

লেনদেন পৌনে ৩ হাজার কোটি টাকা ছুঁয়ে ফেলার পর তা ৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়াবে, এমন আশাবাদ করা হয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির পক্ষ থেকে। বলাবলি হচ্ছিল, সূচক ছাড়াবে ১০ হাজার পয়েন্ট।

২০২০ সালের মাঝামাঝিতে শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের নেতৃত্বে বিএসইসির নতুন কমিশন গঠনের পর থেকে ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এক দফা এবং ওই বছরের ৪ এপ্রিল থেকে ৩০ মে পর্যন্ত দ্বিতীয় দফা, এরপর ১ জুলাই থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তৃতীয় দফা উত্থানে সূচক ৭ হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে যায়।

কিন্তু এর পরের দিন থেকেই দেখা দেয় উল্টোচিত্র। সামনে আসে নানা বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির দ্বন্দ্বের বিষয়টি।

গত ৩০ নভেম্বর ও পরে ৭ ডিসেম্বর দুই পক্ষে দুইবার বৈঠকেও ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা গণনা বা এক্সপোজার লিমিটের গণনা বাজারমূল্যের বদলে ক্রয়মূল্যে হবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। বন্ডে বিনিয়োগ ব্যাংকের বিনিয়োগসীমার বাইরে রাখতে বিএসইসির অনুরোধ রাখেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

উত্থানের বছরে পুঁজিবাজারে শেষ সময়ে হতাশা
বছরের শেষ কর্মদিবসে পুঁজিবাজারে লেনদেনের চিত্র

৭ ডিসেম্বরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে জানানো হয়েছিল, ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আবার বৈঠক শেষে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা আসবে। কিন্তু ডিসেম্বরে বৈঠক হয়নি। আর আগামী সপ্তাহে হবে কি না, সেই নিশ্চয়তাও পাওয়া যায়নি।

অর্থবছরের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২৫ পয়েন্ট। এর মধ্যে ২০ পয়েন্টই বেড়েছে শেষ ৩৩ মিনিটে।

আগের দিন দিনের ধারাবাহিকতায় সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হয় সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে। সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে আগের দিনের চেয়ে ৫১ পয়েন্ট সূচক বেড়ে বছরের শেষ দিনটা ভালো যাওয়ার ইঙ্গিতই দেয় পুঁজিবাজার।

তবে গত প্রায় তিন মাস ধরে যে চিত্র, সেটি আবার দেখা দেয়, শুরুতে সূচক বাড়লেও পরে কমে যায়। বেলা ১টা ৫৭ মিনিটে সূচকের অবস্থান আগের দিনের চেয়ে বেশি ছিল ৫ পয়েন্ট। এর আগের ২০ মিনিটে সূচক আর এর আগের ২০ মিনিটে সূচক কমে ১৯ পয়েন্ট।

তবে শেষ দিনের শেষ আধা ঘণ্টায় এরপর থেকে শেয়ারদর বাড়তে থাকে, সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে সূচক। লেনদেনও গতি পায় এই সময়টায়।

লেনদেনও হয়েছে ১১ কর্মদিবসের সর্বোচ্চ। গত ১৪ ডিসেম্বর লেনদেন ছিল এক হাজার ৮০ কোটি ৭৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। বছরের শেষ কর্মদিবসে তা হলো ৯২১ কোটি ৫৩ লাখ ১৯ হাজার টাকা।

দিন শেষে বেড়েছে ১৭৮টি কোম্পানির দর, কমেছে ১৪৯টির। অপরিবর্তিত ছিল ৫০টি কোম্পানির দর।

চলতি বছরের প্রথম দিনের মতো শেষ দিনেও সবচেয়ে বেশি ভালো করেছে বিমা খাত। প্রায় ছয় মাস ধরে মন্দাভাব কাটিয়ে সম্প্রতি এই খাতটি আবার ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে।

হঠাৎ করেই চাঙা হয়ে ওঠা কাগজ ও প্রকাশনা খাতেও গেছে ভালো দিন। টেলিকমিউনিকেশন ও ভ্রমণ খাতেও সব কোম্পানির দর বেড়েছে।

অন্য প্রধান খাতগুলোর মধ্যে ব্যাংক, ওষুধ ও রসায়ন, প্রকৌশল, আর্থিক, খাদ্য খাতে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা।

অন্যদিকে বস্ত্র ও বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে কমেছে বেশির ভাগ শেয়ার।

শেয়ারদরে চাঙাভাবের মতো লেনদেনেও সেরা ছিল বিমা। এরপর ৬ কোম্পানি নিয়ে কাগজ খাত। তৃতীয় অবস্থানে আলোচিত কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেডকে নিয়ে গঠিত বিবিধ, এরপর ব্যাংক ও পঞ্চম স্থানে ওষুধ ও রসায়ন খাত।

সূচক বাড়িয়েছে যেসব কোম্পানি

এই তালিকার শুরুতেই ছিল রাষ্ট্রায়াত্ত কোম্পানি আইসিবি। কোম্পানিটির দর ৫.৬৩ শতাংশ বাড়ায় সূচকে যোগ হয়েছে ৬.২৪ পয়েন্ট।

দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল গ্রামীণ ফোন, যার দর ০.৩২ শতাংশ বাড়ায় সূচকে যোগ হয়েছে ১.৭৪ পয়েন্ট।

তৃতীয় অবস্থানে ছিল ব্র্যাক ব্যাংক, যার দর ১.৮৪ পয়েন্ট বাড়ায় সূচকে যোগ হয়েছে ১.৬৩ পয়েন্ট।

উত্থানের বছরে পুঁজিবাজারে শেষ সময়ে হতাশা
সূচকে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট যোগ করেছে এসব কোম্পানি

ইউনিলিভার, ব্যাংক এশিয়া, ইস্টার্ন ব্যাংক, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বাটা শু, ওয়ালটন ও একমি ল্যাবরেটরিজ সূচকে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট যোগ করা ১০ কোম্পানির তালিকায়।

এই ১০ কোম্পানি সূচকে যোগ করেছে মোট ১৬.৫২ পয়েন্ট।

বিপরীতে ৫ শতাংশ দর হারানো সাউথবাংলা ব্যাংকের কারণে সূচক থেকে কমেছে ০.৭৪ পয়েন্ট। ০.৪২ শতাংশ দর হারানো লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টের কারণে সূচক কমেছে ০.৪১ পয়েন্ট।

আইএফআইসি ব্যাংক, মেরিকো, বিএনআইসিএল, এনআরবিসি, ট্রাস্ট ব্যাংক, এশিয়ার ইন্স্যুরেন্স, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও ওরিয়ন ফার্মার কারণেও সূচক কমেছে।

তবে এই ১০টি কোম্পানি মিলিয়েও সূচক খুব বেশি টেনে ধরতে পারেনি।

উত্থানের বছরে পুঁজিবাজারে শেষ সময়ে হতাশা
এই ১০টি কোম্পানি সূচক সবচেয়ে বেশি নিচের দিকে টেনে ধরার চেষ্টা করেছে

দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকা

বছরের শেষ কর্মদিবসে সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ দর বেড়েছে আরএমআরএম স্টিলের। কোম্পানির শেয়ার দর ২১ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৩ টাকা ১০ পয়সা।

দ্বিতীয় অবস্থানে পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯৯ শতাংশ। ১ কোটি ৮৪ লাখ টাকায় হাতবদল হয়েছে ৮৭ হাজার ৭৬৭টি শেয়ার।

তৃতীয় অবস্থানে থাকা মনোস্পুল পেপারের দর বেড়েছে ৯.৯০ শতাংশ। ১ কোটি ৫ লাখ টাকায় ৫৬ হাজার ২৩১টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

বেশ কিছুদিন পর এই তালিকায় একটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড দেখা গেল। রিলায়েন্স ওয়ান ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ন্ডের দর বেড়েছে ৭.৪০ শতাংশ। জীবন বিমা কোম্পানি ফারইস্ট ইসলামী লাইফের দর বেড়েছে ৭.১৮ শতাংশ।

এর পরের চারটি কোম্পানির দর বেড়েছে ছয় শতাংশের বেশি। এর মধ্যে বাটা সুর দর বেড়েছে ৬.২২ শতাংশ, ন্যাশনাল টিউবের ৬.১৭ শতাংশ, আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ৬.১২ শতাংশ এবং আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের ৬.০৯ শতাংশ।

দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় দশম কোম্পানিটি হলো মাইডাস ফাইন্যান্স, যার দর বেড়েছে ৫.৯৫ শতাংশ।

আরও ৪টি কোম্পানির দর ৫ শতাংশের বেশি, ১১টি কোম্পানি দর ৪ শতাংশের বেশি, ১৪টির দর ৩ শতাংশের বেশি, ২১টির দর ২ শতাংশের বেশি, ৫৪টির দর বেড়েছে এক শতাংশের বেশি।

দরপতনের ১০ কোম্পানি

বছরের শেষ কর্মদিবসে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে সাউথবাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক। ৫ শতাংশ দর হারিয়ে দাম ১৬ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১৫ টাকা ২০ পয়সা। ২ কোটি টাকা লেনদেন হওয়া কোম্পানিটির হাতবদল হয়েছে মোট ১৩ লাখ ২৩ হাজার ৬৬৮টি শেয়ার।

চলতি বছর তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বোচ্চ ২৮ টাকা ১০ পয়সায় উঠেছিল। অর্থাৎ সর্বোচ্চ এই দর থেকে এখনকার দর প্রায় ৫০ শতাংশ কম।

উত্থানের বছরে পুঁজিবাজারে শেষ সময়ে হতাশা
বিমায় আগ্রহ বাড়ল বছরের শেষ দিনে

দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের দর কমেছে ৪.৮৯ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ফাইন ফুডস ৪.১৮ শতাংশ এবং চতুর্থ অবস্থানে থাকা এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের দর কমেছে ৪.১৬ শতাংশ।

তিন শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে তিনটি কোম্পানির। এর মধ্যে হামিদ ফেব্রিক্সের ৩.৭৫ শতাংশ, অ্যাপোলো ইস্পাতের ৩.৪৪ শতাংশ ও ফু ওয়াং ফুডের ৩.১৬ শতাংশ দর হারিয়েছে।

এ ছাড়া ফার্স্ট ফাইন্যান্সের দর ২.৮৯ শতাংশ, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের ২.৩৩ শতাংশ ও কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের দর ২.৩২ শতাংশ কমেছে।

অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১০টি কোম্পানি ২ শতাংশের বেশি, ৫৬টি কোম্পানির দর এক শতাংশের বেশি কমেছে।

লেনদেনে শীর্ষ ১০

এদিক সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে কাগজ ও প্রকাশনা খাতের সোনালী পেপারের শেয়ার। ১১১ কোটি ৯০ লাখ টাকার মোট ১১ লাখ ৭৬ হাজার ৭৮৫টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৩.২৭ শতাংশ।

দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বিমা খাতের এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকার। হাতবদল হয়েছে ৩৮ লাখ ৬৫ হাজার ৩৫৭টি শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪.১৭ শতাংশ বা ৫ টাকা কমেছে।

তৃতীয় অবস্থানে থাকা বিবিধ খাতের বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার দর বেড়েছে ১.১৩ শতাংশ। কোম্পানির শেয়ার দরে যোগ হয়েছে ৮০ পয়সা। ৩৯ কোটি ১৩ লাখ টাকায় ৫৪ লাখ ৫ হাজার ৭২১টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।

চতুর্থ অবস্থানে থাকা জেনেক্স ইনফোসিসে লেনদেন হয়েছে ৩৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ২০ লাখ ৮৮ হাজার ৪৭৭টি।

আলোচিত কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ২২ লাখ ৭১ হাজার ৪২৭টি।

এছাড়া ১০ থেকে ২০ কোটি টাকার মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১টি কোম্পানির।

উত্থানের বছরে পুঁজিবাজারে শেষ সময়ে হতাশা
বেশিরভাগ খাতেই মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে বৃহস্পতিবার

এর মধ্যে ডেল্টা লাইফের ১৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানিতে ১৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা, ফরচুন সুজে ১৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।

পিপলস ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, হোটেল পেনিনসুলা, আইএফআইসি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ, পাওয়ারগ্রিডেও লেনদেন ১০ কোটি টাকার বেশি হয়েছে।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজারের উন্নয়নে প্রশিক্ষণ জরুরি: বিএসইসি চেয়ারম্যান
দুদিন পর ফের সূচক পতন, কমল লেনদেনও
জানুয়ারিতে উৎপাদনে যাচ্ছে এমারেল্ড অয়েল
বাংলাদেশ ব্যাংক-বিএসইসি সমন্বয়ের দাবিতে মানববন্ধন
সূচক বাড়ল টানা দুই দিন, ৭ ডিসেম্বরের পর প্রথম

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
BO accounts of 20 people including former ministers and state ministers were seized

সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ২০ জনের বিও হিসাব জব্দ

সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ২০ জনের বিও হিসাব জব্দ
বিও হিসাব জব্দ করা উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন- আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাছান মাহমুদ, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জুনাইদ আহমেদ পলক, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ২০ জনের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব জব্দ করেছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নির্দেশে বৃহস্পতিবার তাদের বিও হিসাব স্থগিত করেছে বিএসইসি।

নির্দেশনায় বিএসইসি যাদের বিও হিসাব জব্দ করেছে তারা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তার স্ত্রী লুতফুল তাহমিনা খান, ছেলে সফি মুদাসসের খান ও মেয়ে শাফিয়া তাসনিম খান; সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, তার স্ত্রী নুরুন ফাতেমা হাসান ও মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদ; সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও তার স্ত্রী আরিফা জেসমিন কনিকা; সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও তার স্ত্রী শারমিন মুস্তারি; সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, তার স্ত্রী রুখমিলা জামান চৌধুরী, তার আত্মীয় জারা জামান, বোন রোকসানা জামান চৌধুরী, ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী ও মেয়ে জেবা জামান চৌধুরী।

এছাড়া পিরোজপুর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন মহারাজ, তার স্ত্রী উম্মে কুলসুম, ছেলে সাম্মাম জুনাইদ ইফতির বিও হিসাব জব্দ করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Investors are disappointed by the gradual decline in the stock market

পুঁজিবাজারে ক্রমশই নিম্নগতি, হতাশ বিনিয়োগকারীরা

পুঁজিবাজারে ক্রমশই নিম্নগতি, হতাশ বিনিয়োগকারীরা ফাইল ছবি।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ধারণা হয়েছিল, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে পুঁজিবাজারে সুদিন ফিরবে। তবে সেই সুদিনের দেখা মিলছে না। ওই চার কর্মদিবসের পর থেকে পরের পাঁচ কর্মদিবসের গল্পটা পুরনো হতাশার।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন থেকে টানা চার দিন পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে দেখা যায় দেশের পুঁজিবাজারকে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও নতুন উদ্যমে শুরু করার প্রত্যয় চোখে পড়ে। অনেকে নতুন করে কিছু পুঁজি বিনিয়োগে এনেছেন। অনেকে আবার শেয়ার কিনে রাখতে অন্যদের পরামর্শ দিয়েছেন।

সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ধারণা হয়েছিল, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে পুঁজিবাজারে সুদিন ফিরবে। তবে সেই সুদিনের দেখা মিলছে না। ওই চার কর্মদিবসের পর থেকে পরের পাঁচ কর্মদিবসের গল্পটা পুরনো হতাশার।

গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসইতে চার কর্মদিবসে ৭৮৬ পয়েন্ট সূচক বাড়ার পর বিনিয়োগকারীরা উৎফুল্ল হয়ে উঠেছিল। এরপর ৮ কর্মদিবসে সূচক পড়ল ৪০৮ পয়েন্ট। এর মধ্যে পাঁচদিনেই পড়ল ৩৪৫ পয়েন্ট।

সবশেষ বুধবারের পতন ছিলো অনেকটাই অনাকাঙ্ক্ষিত। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক হারিয়েছে ১০৮ পয়েন্ট।

বর্তমান ডিএসইর প্রধান সূচকটি নেমে এসেছে পাঁচ হাজার ৬০৬ পয়েন্টে। তবে সবচেয়ে বেশি হতাশা ছড়াচ্ছে মোট লেনদেনের পরিমাণ। সরকার পতনের পর একদিনে লেনদেন উঠে এসেছিলো দুহাজার কোটি টাকা, যা বর্তমানে নেমে এসেছে চার ভাগের এক ভাগে। সবশেষ কর্মদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৩৬ কোটি টাকার।

হঠাৎ এমন দরপতনে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। প্রতিদিনই তাদের বিনিয়োগের অর্থ কমে আসছে।

ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী জসিম উদ্দিনের ব্যাখা ছিলো এমন- ‘আমরা তো ভাবছিলাম আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন হবে না। গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সেটা করেও দেখাতে পারেনি। একের পর এক দুর্নীতি আর লুটপাটে বাজার থেকে নিঃস্ব হতে হয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের।

‘সবার মধ্যে আশা ছিলো ওদের পতনের পর পুঁজিবাজার অনেক উপরে উঠবে। প্রথম কয়েকদিন হলোও তাই। তবে এখন কী যে হচ্ছে বুঝতে পারছি না। সকাল শুরু হলেই দেখি পতন আর পতন। এগুলো আর কত দেখতে হবে। নতুন সরকারের উচিত আগে পুঁজিবাজার ঠিক করা।’

বুধবার দেখা যায়, লেনদেনে অংশ নেয়া প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের দর কমেছে। অংশ নেয়া কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১১টির, কমেছে ৩৭১টির। আর অপরিবর্তিত ছিলো ১২টি কোম্পানির শেয়ার দর।

হতাশ আরেক বিনিয়োগকারী আনিস বলেন, ‘আমাদের কী করা উচিত তা জানি না ভাই। হতাশ হয়ে সবাই মার্কেট ছাড়তেছে। ভাবলাম সরকার পরিবর্তন হইছে, তাই অনেক দিন পর কিছু শেয়ার কিনলাম। তবে যা হচ্ছে তাতে আবার হতাশ হলাম।’

অন্তর্বর্তী সরকারের বেছে নেয়া মাশরুর রিয়াজ বিএসইসির চেয়ারম্যান হওয়া নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর গত সোমবার নেতৃত্বে আসেন খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। তিনি নেতৃত্বে আসার পর টানা তিন কর্মদিবসেই দরপতন হল পুঁজিবাজারে।

আরও পড়ুন:
৩ দিনে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ল ৫৮ হাজার কোটি টাকা
তিন দিনে ১০ হাজার কোটি টাকার বাজার মূলধন উধাও
কারফিউ ও অস্থিরতার প্রভাব পুঁজিবাজারে, বড় দরপতন
’মন্দের ভালো’ সপ্তাহ পার করল পুঁজিবাজার
সরকারি চাকুরেদের বিনিয়োগের খবরে বড় উত্থান পুঁজিবাজারে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Mashroor Riaz is not taking the responsibility of BSEC chairman

বিএসইসি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মাশরুর রিয়াজ

বিএসইসি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মাশরুর রিয়াজ ড. এম মাশরুর রিয়াজ। ফাইল ছবি
মাশরুর রিয়াজ বলেন, ‘সরকার পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সামনে বহু গবেষণার কাজ করার সুযোগ রয়েছে। আমি এই সময়টাকে কাজে লাগাতে চাই। দেশের অর্থনীতি নিয়ে একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে ভূমিকা রাখতে চাই। এসব বিবেচনায় আমি বিএসইসি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন ড. এম মাশরুর রিয়াজ।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ড. এম মাশরুর রিয়াজকে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল। তবে পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট দু-একটি গোষ্ঠী তার সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকার তথা সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে মর্মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার শুরু করে।

গত ১৩ আগস্ট তার নিয়োগের প্রজ্ঞাপন হলেও মাশরুর ‍রিয়াজকে বিএসইসিতে যোগ দিতে দেখা যায়নি। পরে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, তার বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখছেন। তবে সরকারের খতিয়ে দেখার আগেই মাশরুর রিয়াজ নিজে থেকেই বিএসইসি চেয়ারম্যান পদে যোগ না দেয়ার কথা জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়কে।

ড. এম মাশরুর রিয়াজ বাংলাদেশের একজন অর্থনীতিবিদ। তিনি পলিসি এক্সচেঞ্জ নামক একটি গবেষণা সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি বিশ্বব্যাংকেও চাকরি করেছেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান পদে যোগ না দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সামনে বহু গবেষণার কাজ করার সুযোগ রয়েছে। আমি এই সময়টাকে কাজে লাগাতে চাই। দেশের অর্থনীতি নিয়ে একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে ভূমিকা রাখতে চাই।

‘বিশেষ করে সামষ্ট্রিক অর্থনীতি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও আর্থিক খাত নিয়ে নীতি প্রণয়ন ও সংস্কার বাস্তবায়নে ভূমিকা পালনের সুযোগ রয়েছে। এসব বিবেচনায় আমি বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এর আগে একটি ছবিকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাশরুর রিয়াজকে আগের সরকারের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে তুলে ধরেন অনেকে। এরপর বিএসইসির কিছু কর্মকর্তাও তাকে নিয়ে আপত্তি তোলে। তবে এরপর আবার তারা তাদের আপত্তি তুলে নেয়। এসব কারণে যোগদানে অনিচ্ছুক কিনা- এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান মাশরুর রিয়াজ।

এদিকে মাশরুর রিয়াজ যোগ দেবেন না জানতে পেরে নতুন করে বিএসইসির চেয়ারম্যান খুঁজতে শুরু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে অনেকের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে বলেও জানা গেছে।

আরও পড়ুন:
বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান মাশরুর রিয়াজ
বিএসইসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহসীন চৌধুরী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The stock market fell for the second day in a row

টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পুঁজিবাজারে দরপতন

টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পুঁজিবাজারে দরপতন ফাইল ছবি।
চলতি সপ্তাহের শুরুতেও বাজারে ছিলো তেজিভাব। রোববার প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন ছাড়িয়ে যায় দুই হাজার কোটি টাকার ঘর। টানা চারদিন উড়তে থাকা পুঁজিবাজার ধাক্কা খায় সোমবার। সেই ধারা অব্যাহত ছিলো মঙ্গলবারও।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরদিন থেকে টানা তিনদিন ব্যাপক উত্থান হয় দেশের দুই পুঁজিবাজারে। প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসইতে গত সপ্তাহের শেষ তিনদিনে সাধারণ সূচক বেড়েছে প্রায় ৭ শ’ পয়েন্ট। পাশাপাশি লেনদেনেও বেশ গতি দেখা গিয়েছিলো সেই কয়েক দিনে।

চলতি সপ্তাহের শুরুতেও বাজারে ছিলো তেজিভাব। রোববার প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন ছাড়িয়ে যায় দুই হাজার কোটি টাকার ঘর। এদিনও ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়ে প্রায় ৯০ পয়েন্ট। টানা চারদিন উড়তে থাকা পুঁজিবাজার ধাক্কা খায় সোমবার এসে। সেদিন সকালে সূচকের উত্থান হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বিক্রির চাপে কমতে থাকে মূল্যসূচক। সোমবারের ধারা অব্যাহত ছিলো মঙ্গলবারেও।

এদিন সকাল থেকেই কমতে থাকে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স। দুপুরে কিছুটা উত্থান হলেও দিনশেষে সূচকটি ৬৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান নিয়েছে ৫ হাজার ৮ শ ৬৭ পয়েন্টে। এ নিয়ে টানা দুই দিনে সূচকটি কমেছে ১৪৭ পয়েন্ট।

ডিএসইতে এদিন মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৫ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট, যা তার আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১ শ ২৮ কোটি টাকা কম। প্রধান সূচকের পাশাপাশি এদিন কমেছে অপর দুই সূচক ডিএস-৩০ ও ডিএসইএস।

লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির দরপতন হয়েছে এদিন। ১০৬ টি প্রতিষ্ঠানের দর বাড়ার বিপরীতে কমেছে ২৬৯ টির আর অপরিবর্তিত দেখা গেছে ২৪ টি কে।

পুঁজিবাজারের মঙ্গলবারের আচরণকে স্বাভাবিক দর সংশোধন বলে মনে করছেন সাধারণ বিনিয়োগকারিরা। অনেকেই গত কয়েকদিনে দর বাড়তে দেখে মুনাফার জন্য হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করেছেন বলেও জানিয়েছেন।

জাহিদ হোসেন নামে পুঁজিবাজারের এক বিনিয়োগকারী বলেন, ‘স্বাভাবিক নিয়মেই বাজার সংশোধন হয়েছে। এখানে ভয় পাওয়ার কারণ নাই। ৮০০ সূচক বাড়ার পর দুইশ কমবে এটাই স্বাভাবিক, বরং না কমলেই বুঝতাম ব্যাপারটা অস্বাভাবিক।’

আরেক বিনিয়োগকারী ইন্দ্রজিৎ বলেন, ‘অনেকদিন ধরে কোন শেয়ার বিক্রি করি না লোকসান ছিলো বলে। এখন দেখলাম কিছুটা হলেও লোকসান কমে এসেছে। আবার টাকারও দরকার ছিলো। তাই কিছু শেয়ার আজকে বিক্রি করলাম।’

আরও পড়ুন:
বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান মাশরুর রিয়াজ
বিএসইসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহসীন চৌধুরী
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রাণ ফিরেছে পুঁজিবাজারে
৩ দিনে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ল ৫৮ হাজার কোটি টাকা
তিন দিনে ১০ হাজার কোটি টাকার বাজার মূলধন উধাও

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Mashroor Riaz is the new chairman of BSEC

বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান মাশরুর রিয়াজ

বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান মাশরুর রিয়াজ এম মাশরুর রিয়াজ। ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক কর্মকর্তা এম মাশরুর রিয়াজ বর্তমানে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ এম মাশরুর রিয়াজ।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক এই কর্মকর্তা বর্তমানে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

আজ মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘ড. এম মাশরুর রিয়াজকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৯৩ এর ধারা ৫ ও ৬ বিধান প্রতিপালন ও উক্ত আইনের ধারা ৫(২) অনুসারে তাকে আগামী চার বছরের জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলো।’

আরও পড়ুন:
বিএসইসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহসীন চৌধুরী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Acting Chairman of BSEC Mohsin Chowdhury

বিএসইসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহসীন চৌধুরী

বিএসইসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহসীন চৌধুরী
আদেশে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কমিশনার মোহাম্মদ মোহসীন চৌধুরী বিএসইসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন। বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের পদত্যাগপত্র দাখিলের তারিখ ১০ আগস্ট থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে দেশের আর্থিক খাতে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পর পদত্যাগ করেছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। শনিবার তিনি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে ই-মেইলে তার পদত্যাগপত্র পাঠান।

চেয়ারম্যান পদ শূন্য হওয়ায় বর্তমান কমিশনার মোহাম্মদ মোহসীন চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। রোববার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপ-সচিব ফরিদা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এ‌ই আদেশ জারি করা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কমিশনার মোহাম্মদ মোহসীন চৌধুরী বিএসইসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে। বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের পদত্যাগপত্র দাখিলের তারিখ অর্থাৎ ১০ আগস্ট থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম করোনা মহামারির শুরুতে অর্থাৎ ২০২০ সালে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। করোনার ছোবলে ভঙ্গুর এক পুঁজিবাজারে সাময়িক গতি ফেরাতে প্রথম দিকে বেশকিছু ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে দুর্বল শেয়ার যোগসাজশে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। পুঁজিবাজারে কয়েকটি কারসাজি চক্রকে ইন্ধন দেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০২৪ সালের ২৮ মে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি পক্ষের আপত্তি থাকার পরও চেয়ারম্যান হিসেবে পুনরায় নিয়োগ পান তিনি।

আরও পড়ুন:
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রাণ ফিরেছে পুঁজিবাজারে
৩ দিনে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ল ৫৮ হাজার কোটি টাকা
তিন দিনে ১০ হাজার কোটি টাকার বাজার মূলধন উধাও
কারফিউ ও অস্থিরতার প্রভাব পুঁজিবাজারে, বড় দরপতন
’মন্দের ভালো’ সপ্তাহ পার করল পুঁজিবাজার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital market has come back to life in the changed situation

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রাণ ফিরেছে পুঁজিবাজারে

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রাণ ফিরেছে পুঁজিবাজারে ফাইল ছবি।
বিদায়ী সপ্তাহে (৫ থেকে ৮ আগস্ট) সূচকের রেকর্ড উত্থানে লেনদেন হয়েছে। একইসঙ্গে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে বাজার মূলধন বেড়েছে ৯০ হাজার ৯৩২ কোটি ৫ টাকা। তবে আলোচ্য সময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ টাকার পরিমাণে লেনদেন বাড়লেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে কমেছে।

দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে পুঁজিবাজার। ফলে দীর্ঘ মন্দা কাটিয়ে বর্তমান পুঁজিবাজার বাধাহীন গতিতে ছুটে চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের উভয় পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে (৫ থেকে ৮ আগস্ট) সূচকের রেকর্ড উত্থানে লেনদেন হয়েছে।

একইসঙ্গে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে বাজার মূলধন বেড়েছে ৯০ হাজার ৯৩২ কোটি ৫ টাকা। তবে আলোচ্য সময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) টাকার পরিমাণে লেনদেন বাড়লেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কমেছে।

ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৩৩৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৩৯৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৯৪৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৩ হাজার ৯১৩ কোটি ৮ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৩৬৮ কোটি ১০ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৫০ হাজার ৫৪৫ কোটি ২ লাখ টাকা।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৯০.৮৭ পয়েন্ট বা ১১.০৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯২৪ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ২৩১.৮৮ পয়েন্ট বা ১২.২০ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ১৩২ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১০৯.৫৩ পয়েন্ট বা ৯.৪০ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ২৭৪ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক ৭৪.৪৭ পয়েন্ট বা ৪.৯০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৪৬ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৩৯টির, দর কমেছে ১১টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৭টির। আর লেনদেন হয়নি ১৬টির।

অন্য পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ২৬০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩৯৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

গেল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৭ হাজার ২৫২ কোটি ২৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৮৩৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৪০ হাজার ৩৮৭ কোটি ৩ লাখ টাকা কমেছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১ হাজার ৬৮০.৫২ পয়েন্ট বা ১১.১১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৭৯৯ পয়েন্টে। সিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ১২.১৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৩৬৯ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স ১১.১৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ১৩২ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ৮.৫০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৬ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স ২.১৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১১৪ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩২৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৫৬টির, দর কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

আরও পড়ুন:
৩ দিনে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ল ৫৮ হাজার কোটি টাকা
তিন দিনে ১০ হাজার কোটি টাকার বাজার মূলধন উধাও
কারফিউ ও অস্থিরতার প্রভাব পুঁজিবাজারে, বড় দরপতন
’মন্দের ভালো’ সপ্তাহ পার করল পুঁজিবাজার
সরকারি চাকুরেদের বিনিয়োগের খবরে বড় উত্থান পুঁজিবাজারে

মন্তব্য

p
উপরে