× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Communal conflict VC and Rangpur discussed in the accident
google_news print-icon

সাম্প্রদায়িক সংঘাত, ভিসি আর দুর্ঘটনায় আলোচিত রংপুর

সাম্প্রদায়িক-সংঘাত-ভিসি-আর-দুর্ঘটনায়-আলোচিত-রংপুর
রংপুরে এ বছর সব চেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল পীরগঞ্জে হিন্দুপল্লীতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা। ছবি: নিউজবাংলা।
সুজন এর রংপুর মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন, ‘রংপুর একটি পুরোনো ও গুরুত্বপূর্ণ বিভাগীয় জেলা। এই জেলায় ভালো-মন্দ মিলিয়ে অনেক ঘটনাই ঘটেছে। তবে নতুন বছরে প্রত্যাশা করব, যাতে নেগেটিভ কোনো ঘটনায় রংপুর দেশে কিংবা বিদেশে আলোচিত বা সমালোচিত না হয়।’

অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার রংপুর জেলা ছিল ঘটনাবহুল। বছরজুড়েই বিভিন্ন ঘটনায় দেশজুড়ে ছিল আলোচনায়। বিভিন্ন ইস্যুতে বিশ্বমণ্ডলেও উঠে এসেছে রংপুরের নাম।

এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ছিল হিন্দুপল্লীতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর বিদায়, সমালোচিত ইসলামি বক্তা ত্ব-হা নিখোঁজ, ধর্ষণের অভিযোগ পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার, জাতীয় পতাকা অবমাননার দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ শিক্ষক-কর্মকর্তার বিচার শুরু।

তবে সব কিছু ছাপিয়ে এখন প্রস্তুতি চলছে ২০২২-কে বরণের। নতুন বছরে সবার প্রত্যাশা সুন্দর আগামীর।

হিন্দু পল্লীতে অগ্নিসংযোগ

বছরের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল পীরগঞ্জের রামনাথপুর বড় করিমপুর কসবা হিন্দুপল্লীতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা।

কুমিল্লায় মন্দিরে ‘ধর্ম অবমাননার’ অভিযোগের জেরে ১৮ অক্টোবর রাতে হিন্দুপল্লীতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সেই ঘটনা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ব গণমাধ্যমেও আলোচিত হয়।

ওই ঘটনায় চার মামলায় ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে ৬০ জনকে রিমান্ডে নেয়া হয়।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার, একাধিক মন্ত্রী, ভারতের সহকারী হাইকমিশনারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা। ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজনকে ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি নতুন ঘর তৈরি করে দেয়া হয়। তবে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে তা কাটেনি এখনও।

ভিসি কলিমুল্লাহর বিদায়, ক্যাম্পাসে আগরবাতি

সাম্প্রদায়িক সংঘাত, ভিসি আর দুর্ঘটনায় আলোচিত রংপুর
উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহের বিদায়ের দিন খুশিতে শিক্ষার্থীরা আগরবাতি জ্বালান। ছবি: নিউজবাংলা

দিনের পর দিন ক্যাম্পাসে না থাকা, অনিয়ম-দুর্নীতি, সকালে বিমানে এসে বিকেলে সেই বিমানে ঢাকায় ফেরা, ঢাকায় লিঁয়াজো অফিস খুলে নিয়োগ বাণিজ্য পরিচালনাসহ নানা অভিযোগ ছিল রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ।

উপাচার্য কলিমুল্লাহর মেয়াদ শেষ হয় ১৪ জুন। ওই দিনও তিনি ক্যাম্পাসে যাননি। ঢাকার লিয়াজোঁ অফিসে রাত ১০টার দিকে নতুন উপাচার্য অধ্যাপক হাসিবুর রশীদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন তিনি।

তার বিদায়ের দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বরে আগরবাতি জ্বালান শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্টে কলিমুল্লাহর কুশপুত্তলিকা ঝুলিয়ে রাখা হয় উল্টো করে।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় মাঠে আতশবাজি ও মিষ্টি বিতরণ করেন শিক্ষার্থীরা। সবশেষে স্বাধীনতা স্মারক প্রাঙ্গণে কলিমুল্লাহর বিদায়ে ‘গণক্রন্দন’ কর্মসূচি পালন করা হয়।

মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ১৭ জনের মৃত্যু

সাম্প্রদায়িক সংঘাত, ভিসি আর দুর্ঘটনায় আলোচিত রংপুর
বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে একটি মাইক্রোবাসে আগুন ধরে পুড়ে মারা যান ১৭ যাত্রী। ছবি: নিউজবাংলা

রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কের কাটাখালী থানার সামনে গত ২৬ মার্চ দুপুরে বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে একটি মাইক্রোবাসে আগুন ধরে পুড়ে মারা যান ১৭ যাত্রী। তারা সবাই রংপুর থেকে রাজশাহীতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন।

নিহত ১৭ জনের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে। তাদের মধ্যে চৈত্রকোল ইউনিয়নের বড়রাজাপুর গ্রামের একই পরিবারের পাঁচজন, রামনাথপুর ইউনিয়নের বড় মহাজিদপুর গ্রামের একই পরিবারের পাঁচজন, রায়পুর ইউনিয়নের দাড়িকাপাড়া গ্রামের একই পরিবারের তিনজন, পৌর এলাকার প্রজাপাড়ার একই পরিবারের তিনজন এবং দুরামিঠিপুর গ্রামের একজন নিহত হয়।

এসআই বাবাকে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মেয়ের স্যালুট

সাম্প্রদায়িক সংঘাত, ভিসি আর দুর্ঘটনায় আলোচিত রংপুর
ক্যাপ্টেন হিসেবে র‌্যাঙ্ক ব্যাজ পরিয়ে দেয়ার পর বাবা স্যালুট করেন মেয়েকে। ছবি: নিউজবাংলা

বাবা আব্দুস সালাম রংপুরের গংগাচড়া মডেল থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই)। তার মেয়ে ডা. শাহনাজ পারভিন সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন। ক্যাপ্টেন হিসেবে র‌্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেয়ার পর বাবা স্যালুট করেন মেয়েকে। মেয়েও বাবাকে স্যালুট করেন।

সেই দৃশ্য ৩ আগস্ট ফেসবুকে নিজে শেয়ার করেন আব্দুস সালাম, যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। পরে জেলা পুলিশ বাবা-মেয়েকে সম্মাননা দেন।

এসআই পেয়ারুল হত্যা

সাম্প্রদায়িক সংঘাত, ভিসি আর দুর্ঘটনায় আলোচিত রংপুর
পুলিশ কর্মকর্তা পেয়ারুল ইসলামকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ ওঠে। ছবি: নিউজবাংলা

নগরীর হারাগাছের সিগারেট কোম্পানি মোড় এলাকায় ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে পারভেজ রহমান ওরফে পলাশ নামে এক মাদক ব্যবসায়ীর ছুরিকাঘাতে নিহত হন পুলিশের এক কর্মকর্তা। ওই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করলে তিনি এসআই পেয়ারুল ইসলাম নামে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত করেন। পরদিন দুপুরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় দুটি মামলা করেছেন হারাগাছ থানার উপপরিদর্শক জিল্লুর রহমান। পুলিশ প্রধানের নির্দেশে মামলা দুটি তদন্ত করছে পিবিআই।

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ শিক্ষক-কর্মকর্তার বিচার

সাম্প্রদায়িক সংঘাত, ভিসি আর দুর্ঘটনায় আলোচিত রংপুর
জাতীয় পতাকায় লাল বৃত্ত চার কোনা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা

গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক চত্বরে অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকায় লাল বৃত্তের পরিবর্তে চতুর্কোণ করে বিকৃতি করা হয়। এ ছাড়া পায়ের নিচে লাগিয়ে ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।

ওই ঘটনার পর দিন ১৮ শিক্ষক ও এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার লিখিত অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুল হক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান। পরে তাজহাট থানার পুলিশ তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র আদালতে দেয়।

সেই মামলায় ২১ সেপ্টেম্বর বিচার শুরু করে আদালত। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের এত শিক্ষক ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিচার শুরুর বিষয়টি দেশজুড়ে আলোচনায় ছিল।

বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে থানায় ভাঙচুর

সাম্প্রদায়িক সংঘাত, ভিসি আর দুর্ঘটনায় আলোচিত রংপুর
হারাগাছ থানার পুলিশের বিরুদ্ধে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। ছবি: নিউজবাংলা

রংপুরের হারাগাছ থানায় ১ নভেম্বর তাজুল ইসলাম নামে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে।

সেই ঘটনার জেরে ওই দিন সন্ধ্যায় হারাগাছ থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালান স্থানীয়রা। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে তদের সংঘর্ষে আহত হন কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ অনেকে।

থানার উপপুলিশ পরিদর্শক আব্দুল খালেক পরে অজ্ঞাতপরিচয় ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। সেই ঘটনা হাইকোর্টের নজরে আনা হলে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়।

রংপুর মেডিক্যালের পরিচালককে অবরুদ্ধ

সাম্প্রদায়িক সংঘাত, ভিসি আর দুর্ঘটনায় আলোচিত রংপুর
নার্সদের বিক্ষোভে অবরুদ্ধের চার ঘণ্টা পর মুক্ত হয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক। ছবি: নিউজবাংলা

করোনাভাইরাস মহামারিতে অতিরিক্ত দায়িত্বপালনের জন্য প্রণোদনা না পাওয়ায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. রেজাউল ইসলামকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেন হাসপাতালের সহস্রাধিক নার্স।

নার্সদের অভিযোগ ছিল, করোনায় সরকারের বিশেষ প্রণোদনা অন্যান্য হাসপাতালের নার্সরা পেলেও তারা পাননি। সরকার বেতনের দুটি বেসিক পরিমাণ প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে। ডাক্তার-কর্মচারী সবাই পেয়েছেন, কিন্তু তাদের দেয়া হয়নি।

দিনভর বিক্ষোভ, উত্তেজনার পর প্রণোদনার টাকা দেয়ার আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেন নার্সরা।

ধর্ষণ মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

সাম্প্রদায়িক সংঘাত, ভিসি আর দুর্ঘটনায় আলোচিত রংপুর
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ডিবি পুলিশের গ্রেপ্তার হওয়া কর্মকর্তা রায়হান। ছবি: নিউজবাংলা

রংপুরের হারাগাছায় স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় রংপুর গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

২৪ অক্টোবর ওই ছাত্রীর বাবা দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে হারাগাছ থানায় মামলা করেন। মামলাটি পরে পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়।

ওই মামলায় ২৮ অক্টোবর পুলিশ লাইন্স থেকে এএসআই রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলায় পরে দুই নারীসহ আরও ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রংপুর মেডিক্যালে আগুন

সাম্প্রদায়িক সংঘাত, ভিসি আর দুর্ঘটনায় আলোচিত রংপুর
আগুনে রংপুর মেডিক্যালের বেড ও আসবাব পুড়ে গেছে। ছবি: নিউজবাংলা

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় তলার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ২০ ডিসেম্বর সকালে হঠাৎ আগুন লাগে। রংপুর বিভাগের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতালটির এ আগুনে কমপক্ষে ১০ রোগী আহত হন। ওই ওয়ার্ডে তখন ছিলেন ৩৮ রোগী।

কীভাবে সেই আগুনের শুরু তা এখনও বের করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। চার সদস্যের কমিটি এখনও তদন্ত করছেন।

৭ ঘণ্টায় ২২২ মিলিমিটার বৃষ্টি

সাম্প্রদায়িক সংঘাত, ভিসি আর দুর্ঘটনায় আলোচিত রংপুর
রংপুরে ৪ অক্টোবর মাত্র ৭ ঘণ্টায় ২২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। ছবি: নিউজবাংলা

রংপুরে ৪ অক্টোবর মাত্র ৭ ঘণ্টায় ২২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। এতে নগরীর বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে পড়েন। এর আগে ২০২০ সালে ১২ ঘণ্টায় ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) রংপুর মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন, ‘রংপুর একটি পুরোনো ও গুরুত্বপূর্ণ বিভাগীয় জেলা। এই জেলায় ভালো-মন্দ মিলিয়ে অনেক ঘটনাই ঘটেছে।

‘তবে নতুন বছরে প্রত্যাশা করব, যাতে নেগেটিভ কোনো ঘটনায় রংপুর দেশে কিংবা বিদেশে আলোচিত বা সমালোচিত না হয়। এই দিকটা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। কারণ দিন শেষে রংপুর আমাদেরই। আমরা রংপুরিয়া। এর ভালো-মন্দ দুটো দিকই আমাদের ঘাড়ের ওপর আসে।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Benapole Checkpost cautions on the corona virus infection

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় বেনাপোল চেকপোস্টে সতর্কতা

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় বেনাপোল চেকপোস্টে সতর্কতা

ভারতের বিভিন্ন স্থানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন দেখা দেয়ায় বেনাপোল চেকপোষ্টে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে ভারত ফেরত পাসপোর্ট যাচ্ছিদের। জেনেটিক সিকুয়েন্স পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে, এসব স্থানে ওমিক্রন ধরনের (variant) LF.7, XFG, JN.I and NB.1.8.1 উপধরনের (Sub variant), কারণে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবেশী দেশসমুহে সংক্রমণ বাড়লে বাংলাদেশেও সেই সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। এই সংক্রমণ এড়াতে দেশের সকল নৌ, স্থল ও আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর সমুহে স্ক্রিনিংসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মানার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। চলতি মাসের ৪ জুন রোগ নিয়ন্ত্রণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালীর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশ জারি করা হয়েছে।

এমতাবস্থায় ভারতসহ বিভিন্ন সংক্রমিত দেশ থেকে আগত সন্দেহজনক যাত্রীদের দেশের স্থল, নৌ বন্দর এবং বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন ও আইএইচআর হেলথ ডেস্কের সহায়তার বিষয়ে স্বাস্থ্য বার্তা প্রদান এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিবিড়ভাবে পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে সরেজমিনে দেখা যায়, মেডিকেল ডেস্কে দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি কর্মকর্তাদের ভারত থেকে ফিরে আসা যাত্রীদের করোনার উপসর্গ আছে কিনা তা যাচাই-বাছাইসহ শরীরের তাপমাত্রা মাফতে দেখা গেছে।

ভারত ফেরত যাত্রী পরিতোষ মন্ডল জানান, দশদিন আগে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলাম। আজ দেশে ফিরলাম। বাংলাদেশের মতো ভারতের কোথাও করোনা বা ওমিক্রনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেনি।

ভারত ফেরত যাত্রী সীমা রানি বলেন, একমাস চিকিৎসার পর আজ দেশে ফিরে আসলাম। ভারতের কোথাও নতুন করে করোনার প্রভাব ছড়িয়েছে শুনিনি। দেশে আসার পর দেখছি করোনার পরীক্ষা করছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের উপ-সহকারি মেডিকেল অফিসার আব্দুল মজিদ বলেন, ভারতে জেনেটিক সিকুয়েন্স পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে ভারতের কিছু কিছু স্থানে ওমিক্রন ধরনের (variant) LF.7, XFG, JN.I and NB.1.8.1 উপধরন (Sub variant) সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে করোনার এ ধরনটি যাতে ছড়াতে না পারে সেজন্য স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সতর্কতার জন্য ভারত ফেরত প্রত্যেক যাত্রীকে আমরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছি। আমাদেরকে পরিচালক স্যার নির্দেশনা দিয়েছেন যদি কারও শরীরে করোনা বা ওমিক্রনের উপধারার উপসর্গ পাওয়া যায় তাহলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন করার পরামর্শ দিয়েছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Benapole Checkpost cautions on the corona virus infection

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় বেনাপোল চেকপোস্টে সতর্কতা

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় বেনাপোল চেকপোস্টে সতর্কতা

ভারতের বিভিন্ন স্থানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন দেখা দেয়ায় বেনাপোল চেকপোষ্টে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে ভারত ফেরত পাসপোর্ট যাচ্ছিদের। জেনেটিক সিকুয়েন্স পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে, এসব স্থানে ওমিক্রন ধরনের (variant) LF.7, XFG, JN.I and NB.1.8.1 উপধরনের (Sub variant), কারণে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবেশী দেশসমুহে সংক্রমণ বাড়লে বাংলাদেশেও সেই সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। এই সংক্রমণ এড়াতে দেশের সকল নৌ, স্থল ও আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর সমুহে স্ক্রিনিংসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মানার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। চলতি মাসের ৪ জুন রোগ নিয়ন্ত্রণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালীর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশ জারি করা হয়েছে।

এমতাবস্থায় ভারতসহ বিভিন্ন সংক্রমিত দেশ থেকে আগত সন্দেহজনক যাত্রীদের দেশের স্থল, নৌ বন্দর এবং বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন ও আইএইচআর হেলথ ডেস্কের সহায়তার বিষয়ে স্বাস্থ্য বার্তা প্রদান এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিবিড়ভাবে পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে সরেজমিনে দেখা যায়, মেডিকেল ডেস্কে দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি কর্মকর্তাদের ভারত থেকে ফিরে আসা যাত্রীদের করোনার উপসর্গ আছে কিনা তা যাচাই-বাছাইসহ শরীরের তাপমাত্রা মাফতে দেখা গেছে।

ভারত ফেরত যাত্রী পরিতোষ মন্ডল জানান, দশদিন আগে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলাম। আজ দেশে ফিরলাম। বাংলাদেশের মতো ভারতের কোথাও করোনা বা ওমিক্রনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেনি।

ভারত ফেরত যাত্রী সীমা রানি বলেন, একমাস চিকিৎসার পর আজ দেশে ফিরে আসলাম। ভারতের কোথাও নতুন করে করোনার প্রভাব ছড়িয়েছে শুনিনি। দেশে আসার পর দেখছি করোনার পরীক্ষা করছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের উপ-সহকারি মেডিকেল অফিসার আব্দুল মজিদ বলেন, ভারতে জেনেটিক সিকুয়েন্স পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে ভারতের কিছু কিছু স্থানে ওমিক্রন ধরনের (variant) LF.7, XFG, JN.I and NB.1.8.1 উপধরন (Sub variant) সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে করোনার এ ধরনটি যাতে ছড়াতে না পারে সেজন্য স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সতর্কতার জন্য ভারত ফেরত প্রত্যেক যাত্রীকে আমরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছি। আমাদেরকে পরিচালক স্যার নির্দেশনা দিয়েছেন যদি কারও শরীরে করোনা বা ওমিক্রনের উপধারার উপসর্গ পাওয়া যায় তাহলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন করার পরামর্শ দিয়েছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Demand for small and medium beef in Chittagong Hut

চট্টগ্রামের হাটে ছোট আর মাঝারি গরুর চাহিদা

চট্টগ্রামের হাটে ছোট আর মাঝারি গরুর চাহিদা

কোরবানির ঈদের আগ মুহূর্তে চট্টগ্রাম নগরীতে জমে উঠেছে পশুর হাট। এবার চাহিদা বেশি ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর।

টানা ছয়দিন বৃষ্টির পর বুধবার সকাল থেকে তা কিছুটা কমায় হাটমুখো হয়েছেন ক্রেতারা। তবে এর মাঝেও থেমে থেমে চলা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ভোগাচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের।

কাদা আর গরুর হাটের আবর্জনা মাড়িয়ে হাটগুলোতে চলছে দরদাম। জমে উঠেছে বেচাকেনাও। ৮০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা এবার সবচেয়ে বেশি।

বুধবার বিকালে নগরীর বিবিরহাট গরুর বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, এই হাটে বেশিরভাগ গরু এসেছে উত্তরের বিভিন্ন জেলা থেকে। পাশাপাশি চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকেও গরু নিয়ে হাটে এসেছেন ব্যাপারিরা।

জামালপুর থেকে তিনদিন আগে এই হাটে আসা বিক্রেতা সালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২২টা গরু নিয়ে আসছি। এখন পর্যন্ত চাইরটা বেচছি। লোকজন দাম বলে কম।

“দুই লাখ ২০ হাজার টাকা একটা গরুর দাম চাইলাম। কাস্টমাররা ১ লাখ ৪০ হাজার পর্যন্ত বলছে। এই দামে গরু বেচা সম্ভব না। আরেকটু বাড়তি পেলে বিক্রি করতাম।”

তবে পাল্টা অভিযোগ ক্রেতাদের; বলছেন- বিক্রেতারা দাম ছাড়ছে না; ঈদের আগের দুই দিনের বাজার পরিস্থিতি দেখার অপেক্ষায় বিক্রেতারা।

এই হাট থেকে দেড় লাখ টাকায় একটি গরু কিনে ফেরার পথে নগরীর কাপাসগোলা এলাকার বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম বুধবার বলেন, “গরুর দাম গতবারের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। তবে খুব বেশি না।

“বাজারে অনেক গরু আছে। আজকে একটা কিনলাম। কালকে বাজার দেখে আরেকটা কিনব।”

বুধবার নগরীর আতুরার ডিপো থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিবিরহাটে গরু কিনতে আসা আকবর হোসেন বলেন, “একটার সময় হাটে আসছি। ৩ ঘণ্টা ঘুরে বেশ কয়েকটা গরু দেখলাম। বাজারে গরু আছে পর্যাপ্ত। কিন্তু ব্যাপারিরা দাম ছাড়ছে না।

“তারা মনে করছে কাল-পরশু দুইদিন সময় হাতে আছে। আমরাও অপেক্ষা করব। কালকে দেখেশুনে কিনব।”

বুধবার দুপুরে গিয়ে নগরীর সবচেয়ে বড় কোরবানি পশুর হাট সাগরিকা গরুর বাজারেও প্রায় একই চিত্র দেখা গেছে। সেখানে কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বড় আকারের গরু নিয়ে এসেছে ব্যাপারিরা।

সাগরিকা গরুর বাজারে কুষ্টিয়া থেকে ৪৫টি গরু নিয়ে আসা সিরাজুল আলম বলেন, “চারদিন হলো আসছি। আমাদের বেশিরভাগই বড় গরু। বৃষ্টি বেশি থাকায় এতদিন হাটে লোকজন আসেনি।

“কালকে আর আজকে মিলে মাঝারি সাইজের ৫টা গরু বেচছি। বড় গরুর পার্টি আজকে কেবল আসা শুরু করছে। তারা দর দেখতেছে। কালকে থেকে হয়ত কিনবে।”

সাগরিকা গরু বাজারের হাসিল গ্রহণকারী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “হাটে প্রচুর গরু আছে। এতদিন আবহাওয়া খারাপ থাকায় লোকজন খুব একটা আসেনি। আজকে আসতেছে। বেচাকেনাও হচ্ছে। শহরের লোকজন কোরবানের ২-৩ দিন আগেই গরু কেনে।

“আমাদের হাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিকেল টিমও আছে। এখন পর্যন্ত সব ভালোভাবে চলছে।”

বিবিরহাট গরু বাজারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বুধবার বিকালে একটি দলকে টহল দিতে দেখা গেছে। তারা ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপ করেন। হাটের বাইরেও সেনা সদস্যদের উপস্থিতি দেখা যায়।

এ হাটে গরুর চিকিৎসা দিতে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর একটি দল কাজ করছে।

এই দলের সদস্য সুব্রমনিয়ম বড়ুয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দূর-দূরান্ত থেকে গরুগুলো দীর্ঘ সময় ধরে গাড়িতে করে এখানে আনা হয়। পাশাপাশি গত কয়েকদিন টানা বৃষ্টি পড়েছে।

“একারণে কিছু কিছু গরুর শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও ঠান্ডাজনিত সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এরকম গরু চিহ্নিত হলে জ্বরের ওষুধ ও অ্যান্টি হিস্টামিন ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে।”

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ২০টি গরু নিয়ে গত ২৯ মে বিবিরহাটে এসেছেন আবদুস সামাদ ও তার সঙ্গীরা। সেখানে গরুগুলোর পাশেই খালি জায়গায় নিজেদের জন্য খাবার রান্নার কাজও চলছিল।

আবদুস সামাদ বলেন, “এতদিন বৃষ্টিতে খুব কষ্ট পাইছি। কালকে থেকে বিক্রি শুরু হইছে। আজ পর্যন্ত ১১টা গরু বিক্রি করছি। বাকি গরু আশা করি, কালকের মধ্যে বিক্রি হয়ে যাবে।”

হাটের বাইরে গরু সাজানোর গলার মালা বিক্রি বাড়ায় খুশি বিক্রেতা মো. শফিও খুশি বেচাকেনা জমে ওঠায়। দেড়শ থেকে তিনশ টাকার মধ্যে মালা বিক্রি করছেন তিনি।

গরুর সাজসজ্জা সামগ্রী বিক্রেতা মো. শফি বলেন, “গতকাল প্রায় ১০ হাজার টাকার মাল বেচেছি। আজকেও বিক্রি ভালো। বৃষ্টির কারণে সমস্যা হচ্ছে। বৃষ্টি বাড়লে মানুষ হাটে কম আসে।”

বিবিরহাট বাজার লাগোয়া বাইরের গলিতে বিক্রি হচ্ছে ছাগল। সাড়ে ১৯ হাজার টাকায় একটি ছাগল কেনা হাটহাজারী উপজেলার বাসিন্দা মো. কামাল বলেন, “বাড়ি যাবার পথে ছাগল কিনে নিলাম। গরু কিনব গ্রামে খামারির বাড়ি থেকে।”

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, চট্টগ্রাম জেলায় এবার কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা পশুর সংখ্যা মোট ৮ লাখ ৬০ হাজার ৮৬২টি। জেলায় এবার কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ৮ লাখ ৯৬ হাজার ২৬৯টি। সে হিসাবে জেলায় এবার ৩৫ হাজার পশুর ঘাটতি আছে।

জানতে চাইলে চট্টগ্রামের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আলমগীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নগরীর হাটগুলোতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ৪০ হাজারের বেশি গরু এসেছে আজকে পর্যন্ত। আরো আসতে পারে। কাজেই এবার গরুর স্বল্পতা হবে না।

“গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম সামান্য বেড়েছে। এটা সহনীয় পর্যায়ে আছে। হাটগুলোতে বিক্রিও শুরু হয়েছে। হাটে আসা গরু-মহিষে তেমন কোনো রোগের প্রার্দুভাব দেখা যায়নি।”

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, ২০২৪ সালে জেলায় কোরবানি হয়েছিল ৮ লাখ ১৮ হাজার ৪৬৮টি পশু।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Nine Six for the advanced varieties of grass farming projects at Daulatpur Livestock Department

দৌলতপুরে প্রাণিসম্পদ দপ্তরে উন্নত জাতের ঘাস চাষ প্রকল্পের অর্থ প্রদানে নয় ছয়

দৌলতপুরে প্রাণিসম্পদ দপ্তরে উন্নত জাতের ঘাস চাষ প্রকল্পের অর্থ প্রদানে নয় ছয়

কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারী হাসপাতালে উন্নত জাতের ঘাস চাষ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় খামারীকে সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থের কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে প্রাণিপুষ্টির উন্নয়নে উন্নত জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণ ও লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তর ‘‘শীর্ষক” প্রকল্পেরে আওতায় দৌলতপুর উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়ন থেকে প্রতি ইউনিয়নে ২জন করে নির্বাচিত ২৮ জন খামারীকে উচ্চ উৎপাদনশীল জাতের ঘাস চাষ প্রর্দশনী প্লট স্থাপন বাবদ জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু সরকারি এ বরাদ্দকৃত অর্থ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা খামারীদের প্রদান করেন জনপ্রতি ৪৪০০ টাকা। এতে খামারিদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

রামকৃঞ্চপুর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের খামারী ময়না খাতুনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কত টাকা বরাদ্দ সেটা ঠিক জানিনা, তবে গত বছর ও এবছর ৪৪০০ টাকা করে মোট ৮৮০০ টাকা আমাকে দিয়েছে।

মরিচা ইউনিয়নের মাজদিয়াড় গ্রামের খামারী জোয়াদুর রহমানসহ একাধিক খামারীর সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমাদের বরাদ্দ ৫০০০ টাকা থাকলেও বিভিন্ন খাত দেখিয়ে গত বছর ও এবছর ৪৪০০ টাকা করে ৮৮০০ টাকা সকলকে দিয়েছে। কেন কম দিলো সেটা আমরা জানিনা।

এবিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কমিউনিটি এক্সট্রেনশন এজেন্ট শাহারুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কিছু জানিনা স্যার যা বলেছে আমি তাই করেছি, আপনি স্যারের সাথে কথা বলেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ মাহমুদুল ইসলাম খামারীদের প্রাপ্য অর্থ কম দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, অডিট ও মাঠ পর্যায়ে যাতায়াতের জন্য টাকা কম দেয়া হয়েছে। এসকল খরচ তো আমি পকেট থেকে দেবনা। তাই খামারীদের ৬০০ টাকা করে কম দেয়া হয়েছে। আপনি অফিসে আসেন কথা বলি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Surma Kushiyara at 5 points of water is above the danger line

সুরমা-কুশিয়ারার ৪ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপরে

নিম্নাঞ্চলে নতুন করে বন্যার শঙ্কা
সুরমা-কুশিয়ারার ৪ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপরে

ভারতের মেঘালয় ও আসামের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে নেমে আসা উজানি ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে সিলেটের প্রধান দুটি নদী সুরমা ও কুশিয়ারার পানি হঠাৎ বেড়ে গেছে। এতে করে জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে নতুন করে বন্যার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

গতকাল সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত নদী দুটির চারটি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্ট এবং কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ, শেওলা ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

গতকাল সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি বইছে ১৩ দশমিক ৬২ মিটার উচ্চতায়। যেখানে বিপৎসীমা হচ্ছে ১২ দশমিক ৭৫ মিটার। অমলশিদে কুশিয়ারা নদীর পানি বইছে ১৭ দশমিক ২৫ মিটার উচ্চতায়, যেখানে বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৪০ মিটার। শেওলায় কুশিয়ারা নদীর পানি ১৩ দশমিক ৫১ মিটার উচ্চতায় বইছে, যেখানে বিপৎসীমার চেয়ে ০ দশমিক ৪৬ মিটার ওপরে রয়েছে। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি বইছে ৯ দশমিক ৭৯ মিটার উচ্চতায় যা বিপৎসীমার চেয়ে ০ দশমিক ৩৪ মিটার বেশি।

পাউবো কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতের পাহাড়ি এলাকা থেকে নেমে আসা অতিরিক্ত পানি এবং টানা বৃষ্টিপাতের কারণে নদনদীগুলোর পানি দ্রুত বাড়ছে। বিশেষ করে উজানের ঢলের প্রভাব বেশি পড়ছে সীমান্তবর্তী পয়েন্টগুলোতে।

এদিকে, জেলার ধলাই নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। তবে কিছুটা স্বস্তির খবর হলো—সারি, ডাউকি ও সারি-গোয়াইন নদ-নদীর পানি কমতির দিকে আছে।

জকিগঞ্জ উপজেলার কসকনকপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল হান্নান বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও ভারতের দিক থেকে হঠাৎ করে ঢল নামায় কুশিয়ারা নদীর পানি খুব দ্রুত বাড়ছে। নদীর পাড়ঘেঁষে অনেক ঘরবাড়ি আছে, এখনই পানি না নামলে কয়েকদিনের মধ্যেই প্লাবিত হওয়ার ভয় আছে। আগে থেকে যদি সঠিক ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।

এদিকে সিলেট জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে সতর্ক রাখা হয়েছে। নিচু এলাকা ও প্লাবনপ্রবণ অঞ্চলের বাসিন্দাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মোকাবিলায় আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। প্রত্যন্ত ও প্লাবনপ্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ
The Sundarbans will be surrounded by nets to prevent tigers in the locality

লোকালয়ে বাঘের আনাগোনা, রুখতে জাল দিয়ে ঘেরা হবে সুন্দরবন

লোকালয়ে বাঘের আনাগোনা, রুখতে জাল দিয়ে ঘেরা হবে সুন্দরবন

সুন্দরবন বনাঞ্চল লাগোয়া এলাকায় প্রায়ই বাঘ চলে আসে। সম্প্রতি এই ধরনের অনেক ঘটনা ঘটেছে। তাই লোকালয়ে বাঘের প্রবেশ রুখতে বাঘ প্রকল্পের বিস্তীর্ণ অংশ ঘেরা রয়েছে জালের বেড়া দিয়ে। তবে বহু অংশে জাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রয়েছে। আবার বেশ কিছু জায়গায় এখনও দেওয়া হয়নি জালের বেড়া। এবার বন্যপ্রাণী বিশেষ করে বাঘের প্রবেশ থেকে বাসিন্দাদের সুরক্ষিত করতে পুরনো নেট পরিবর্তন করে নতুন নেট লাগানো হবে। একইসঙ্গে, এখনও পর্যন্ত যেসব এলাকা অরক্ষিত রয়েছে সেগুলি প্রথমবার জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হবে।

বাঘ প্রকল্পের দুটি রেঞ্জে ১০০ কিলোমিটারের বেশি এলাকাজুড়ে জালের বেড়া রয়েছে। এই পুরো এলাকা জুড়ে নতুন জাল লাগানোর বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছেন আধিকারিকরা। জুলাইয়ের শেষ থেকে তাঁরা এই কাজ করতে চাইছেন। সে বিষয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন আধিকারিকরা। এই অবস্থায় কথাটা যার প্রয়োজন? কত খরচ পড়বে? তার হিসেবে চলছে বলে জানা গিয়েছে। সেই কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর বন বিভাগের কাছে প্রস্তাব দেবেন আধিকারিকরা। এবিষয়ে বাঘ প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর জোন্স জাস্টিন জানিয়েছেন, এ নিয়ে এখনও পরিকল্পনা চলছে। জুলাইয়ের শেষ থেকে এই কাজ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে আধিকারিকরা জানাচ্ছেন। প্রায়ই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে সুন্দরবনে। যার ফলে বিভিন্ন অংশে জাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। আর সেই সুযোগে বার বার লোকালয়ে এসে পড়ে বাঘ। তাছাড়া, বহুদিন ধরে নতুন জল লাগানো হয়নি। অনেক জায়গায় জলের বেড়া নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এসব কারণেই নতুন জাল লাগাতে উদ্যোগী হয়েছেন বা প্রকল্পের আধিকারিকরা।

উল্লেখ্য, বিশেষ করে গত বছর সুন্দরবন লাগোয়া গ্রামগুলিতে বাঘের আনাগোনা বেড়েছিল। এইসবের কারণে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলির বাসিন্দাদের সব সময় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। সে কথা মাথায় রেখেই ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় কোনও বনাঞ্চল রাখতে চাইছেন না আধিকারিকরা। তাই বাসিন্দাদের সুরক্ষায় যাতে কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত জালের বেড়ার সুযোগে বাঘ লোকালয়ে প্রবেশ না করতে পারে তারজন্য নতুন জল টাঙানোর জন্য তৎপরতা শুরু করেছেন বাঘ প্রকল্পের আধিকারিকরা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In front of the sacrifice is a cattle hut 

কুরবানি সামনে রেখে পাথরঘাটায় জমে উঠেছে গবাদি পশুর হাট 

কুরবানি সামনে রেখে পাথরঘাটায় জমে উঠেছে গবাদি পশুর হাট 

আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা।আসন্ন কুরবানীকে কেন্দ্র করে পাথরঘাটায় জমে উঠেছে গবাদি পশুর হাট।গত কয়েকদিন থেকে থেমে থেমে ঝিরিঝিরি ও মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে পাথরঘাটায়। এমন প্রতিকূলতার মধ্যেও পাথরঘাটার সব থেকে বড় গরুর হাট নাচনাপাড়া মানিকখালী বাজার ঘুরে দেখা যায়, কোরবানিকে সামনে রেখে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে গরু।আজ সোমবার(২জুন) সকাল থেকে শুরু করে দুপুর তিনটা পর্যন্ত ছোট-বড়-মাঝারি আকারের গরু, কয়েক বছর লালন পালনের পর বিক্রির জন্য হাটে তুলেছেন খামারিরা। এদিন সরবরাহ বেশি থাকায় মূল হাটের আশেপাশেও গরু বিক্রির জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন ক্রেতারা।

হাটে ক্রেতা আনাগোনা থাকলেও বিক্রি ছিল কিছুটা কম। অধিকাংশই দেখেছেন, যাচাই করছেন দাম। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, ছোট আকারের দুই থেকে চার মন ওজনের গরু, বিক্রি হয়েছে ষাট হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকার মধ্যে। মাঝারি আকারের তিন থেকে পাঁচ মন ওজনের গরুর দাম, ১ লাখ ২০ থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার মধ্যে। বিশাল আকারের গরু এই বাজারে তেমন ছিল না।

নাচনাপাড়া ইউনিয়নের জ্ঞানপাড়া গ্রামের রুস্তম আলী জানান, বাজারে ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকার গরুর চাহিদা বেশি। যারা ছোট গরু বাজারে এনেছেন তারা কিছুটা লাভের মুখ দেখছেন। বড় গরুর চাহিদা কম থাকায় বিক্রিও কম। খুব বেশী লাভ হচ্ছে না।

নাচনাপাড়া ইউনিয়নের খামারি ফারুক "প্রতিদিনের সংবাদকে" বলেন, পশু পালনে খরচ বেড়েছ। কিন্তু সে তুলনায় মিলছে না দাম। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, গত বছর ২ হাজার টাকায় যে খড় পাওয়া যেত এবছর তার দাম ৩ হাজার টাকা। ভূষি, খুদ, কুড়ার দামও প্রায় আগের তুলনায় ৫০ ভাগ বেড়েছে। খরচ বাড়লেও গরুর দাম আগের মতোই।

ক্রেতাদের ভাষ্য, বৈরি আবহাওয়ার জন্য ক্রেতা কম। এছাড়াও বিগত বছরগুলোতে যারা বড় বড় গরু কিনতেন রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারনে তাদের বেশিরভাগ পলাতক। ফলে বাজারে গরু বেচাকেনা কম। সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থাও খারাপ। এ কারণে বড় গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা।

রাসেল নামের এক ব্যাপারী "প্রতিদিনের সংবাদকে" বলেন, যারা পলাতক তারা অনেক টাকার মালিক ছিল। অনেকগুলো কোরবানি দিত। বড় থেকে শুরু করে পাতি নেতারাও গরু কিনত। সেই অংশটা বাজারে না আসায় চাঙ্গা ভাবটা নেয়।

জ্ঞানপাড়া গ্রামের নসির মীর গরু কিনতে এসে বলেন, আমি একটি গরু আগেই কিনেছি এখন, ঘুরে ঘুরে গরু দেখছি। বাজেট আর পছন্দ মতো হলে আরও একটা কিনব।তিনি আরো বলেন, কোনো হাটেই জমজমাট বেচাকেনা হচ্ছে না। বড় গরুর বিক্রি নেই বললেই চলে। বড় গরুর খামারিদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই।

ইজারাদার হাবিবুর রহমান "প্রতিদিনের সংবাদ"কে বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর হাটে গরু বেচা কেনা খুবই কম। আগে এমন সময় হাটে প্রায় ১০০ গরু বিক্রি হতো আর এ বছর ৫০ টা ও বিক্রি হচ্ছে না। তবে শেষ দিকে গরু বিক্রি বাড়বে বলে প্রত্যাশা এই ইজারাদারের।তিনি ক্রেতা- বিক্রেতাদের উদ্দেশ্য আরো বলেন, হাটে পর্যপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন তারা।

p
উপরে