× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Rakab drowning in irregularities and corruption
google_news print-icon

অনিয়ম-দুর্নীতিতে ডুবুডুবু রাকাব

অনিয়ম-দুর্নীতিতে-ডুবুডুবু-রাকাব
বছরের পর বছর ভতুর্কি দিয়ে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে টিকিয়ে রাখছে সরকার। ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ওপর সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পরিদর্শন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য। এই প্রতিবেদনের একটি কপি এসেছে নিউজবাংলার হাতেও।

এক কর্মস্থলেই বছরের পর বছর অবস্থান, সনদ যাছাই-বাছাই ছাড়াই চাকরিতে নিয়োগ, ঋণ প্রদান এবং আদায়ের ক্ষেত্রে উদাসীনতাসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে ডুবতে বসেছে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)।

ব্যাংকটির ওপর সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পরিদর্শন প্রতিবেদনে এসব মন্তব্য করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংক আইন অনুযায়ী, একই কর্মস্থলে তিন বছরের বেশি থাকাটা আইনের লঙ্ঘন। অথচ রাকাবে এক কর্মস্থলেই ১২ বছর ধরেও অবস্থান করছেন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা।

আবার চাকরির ক্ষেত্রে সনদ যাচাই করা বাধ্যতামূলক হলেও কোনো প্রকার ভেরিফায়েড এবং যাচাই বাছাই ছাড়াই হয়ে গেছে চাকরি। ব্যক্তিগত নানান বিষয়েও মিথ্যা তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিশেষ অঞ্চলের কৃষি এবং কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষায় ১৯৮৭ সালে বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে সরকার। তবে, কৃষকের উপকার তো দূরের কথা; নানা অনিয়ম এবং দুর্নীতিতে এখন পর্যদুস্ত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক।

ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে সঠিক ব্যক্তি নির্বাচন না করা, ঋণের অর্থ উত্তোলন না করতে পারা এবং প্রশাসনিক সুশাসন না থাকায় ভেঙে পড়েছে ব্যাংকির সার্বিক কার্যক্রম। ফলে ব্যাংকটিকে বাঁচিয়ে রাখতে বছরের পর বছর রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অর্থের যোগান দিচ্ছে সরকার।

কী আছে পরিদর্শন প্রতিবেদনে

রাকাবের কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে ব্যাংকটি পরিদর্শন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি টিম। পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত রাকাব-এর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রতিবেদন জমা দেয়।

এই প্রতিবেদনের একটি কপি এসেছে নিউজবাংলার হাতে। তাতে রাকাবের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকসহ শাখা ও প্রধান কার্যালয়ে সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের এক শাখায় থাকার সর্বোচ্চ মেয়াদ ৩ বছর।

তবে, বছরের পর বছর এই নিয়মকে তোয়াক্কা করছেন না ব্যাংকটির কয়েকজন কর্মকর্তা। কেউ কেউ একই শাখায় অবস্থান করছেন ১২ বছর ধরে। শুধু এক কর্মস্থলেই নয়, চাকরি দেবার ক্ষেত্রেও ঘটেছে বড় অনিয়ম।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে সঠিক ব্যক্তি নির্বাচন করতে পারেনি রাকাব। অর্থের বিনিময়ে হয়েছে নিয়োগ। ফলে অযোগ্য ব্যক্তিদের হাতে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব থাকায় প্রতিবছরই নিম্নমুখী হচ্ছে মান।

প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, নিয়োগ করা কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র যাচাই বাছাই করা হয়নি। ফলে জাল সনদে কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ প্রাপ্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বলা হয়, অনলাইনে শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এসএসসি বা সমমান ও দাখিল বা সমমান পরীক্ষার ফলাফল ভেরিফাই বা যাচাই বাছাইয়ের সুযোগ রয়েছে। তবে রাকাব কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ জাতীয় যাচাই বাছাই করা হয়নি।

মো. লুৎফর রহমান নামে সহকারী মহা ব্যবস্থাপকের ব্যক্তিগত নথিতে মিথ্যা তথ্যের প্রমাণ পেয়েছে পরিদর্শন টিম। ১৯৮৪ সালের ৩ অক্টোবর দেয়া নথিতে এই কর্মকর্তা বলেন, তার স্থায়ী ঠিকানা নওগাঁ। চিঠিপত্রসহ নানা কাজে নওগাঁ ব্যবহার হয়ে আসলেও বর্তমানে তিনি বর্তমান ঠিকানা ‘ঢাকা’ উল্লেখ করছেন। বর্তমান কর্মস্থল ঢাকা করপোরেট শাখা হলেও তিনি স্থায়ী ঠিকানা লিখছেন, ‘থানা-ধানমন্ডি, জেলা-ঢাকা’। এমন অসঙ্গতি রয়েছে আরও।

ব্যাংকের অনিয়ম এবং দুর্নীতি নিয়ে মামলাও হয়েছে বেশ কয়েকটি। ২০১৯ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত মামলার সংখ্যা ছিল সাতটি। তারপর ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মোট মামলা বেড়ে দাঁড়ায় ১২টি। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে পাঁচটি। আর অবশিষ্ট মামলার সংখ্যা সাতটি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে, অধিকাংশ মামলাই হয়েছে ব্যাংকের নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে ঋণ প্রদান, ঋণের আদায় করা টাকা আত্নসাৎ, প্রতারণা, ব্যাংকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী কার্যক্রমে লিপ্ত থাকার বিষয়ে।

প্রতিবেদনে আর বলা হয়, দুজন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্তের পরও আবার চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়েছে। তারা হলেন, লালমনিরহাট জোনাল কার্যালয়ের মূখ্য কর্মকর্তা আরিফ হোসেন মন্ডল এবং নওগাঁ মেছের বাজার শাখার কর্মকর্তা সাজ্জাদ উল বারী। তাদের বিরুদ্ধে ভুয়া ঋণ প্রদান, গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা, অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ার পরও চাকরিতে পুনরায় বহাল করা হয়।

এ বিষয়ে কথা বলতে রাকাবের সদ্য বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ইসমাইল হোসেনকে (বর্তমানে কৃষি ব্যাংকের এমডি) একাধিবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে মোবাইলে এসএমএস দেয়া হলেও কোনো জবাব দেননি।

ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা

রাকাবের আর্থিক অবস্থাও বেশ নাজুক। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত জুন শেষে রাকাবের দেয়া ঋণের পরিমাণ ৬ হাজার ২০৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ১ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা। ঋণ নিয়েছেন মোট ৮ লাখ ৭ হাজার ৭২০ গ্রাহক।

ব্যাংকটির আমানতের পরিমাণ ৫ হাজার ৯১০ কোটি টাকা। আমানতকারীর সংখ্যা ৩৯ লাখ ৭৯ হাজার ২৫৫।

রাকাবের অনুমোদিত মূলধন এক হাজার কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ৮২৪ কোটি টাকা। ১৮টি জোনাল কার্যালয়, আড়াই হাজার কর্মকর্তা ও ১ হাজার ২৯৩ জন কর্মচারী এবং ৩৮৩টি শাখা নিয়ে চলছে এই ব্যাংকের কার্যক্রম। মোট শাখার মধ্যে ৩৩৩টি গ্রামে অবস্থিত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত প্রায় সব ব্যাংকেই অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা চলছে। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো সরকার মুলধন সহায়তা দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে। এটা কোনো সমাধান নয়।

‘এখানে প্রভাবশালীদের চাপ ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে ঋণ কেলেঙ্কারি হচ্ছে। ব্যাংকের কর্মকর্তারা এসব অনিয়মে যুক্ত। এসবের কোনো বিচার হয় না। ব্যাংকগুলোতে সুশাসন নিশ্চিত এবং পর্ষদকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত করতে হবে। এজন্য সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।’

রাকাব যে মডেলে চলছে এটা টেকসই নয় বলে মনে করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়া উচিত নয়। নিয়মকানুন ভেঙে ঋণ দেয়া হচ্ছে। ঋণের অধিকাংশ টাকাই খেলাপি। আবার অর্থ আদায়ে আইনি কাঠামোও বেশ দুর্বল। নিয়োগেও রয়েছে অনিয়ম। বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় আলোচনা করে দায়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। প্রয়োজনে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।’

আরও পড়ুন:
রাকাবের সকল শাখা অনলাইনের আওতায়
রাজশাহী কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি পাচ্ছে অনভিজ্ঞরাও
ছয় লাখ কৃষকের ব্যাংক হিসাব উধাও
রাকাবের ৩৮৩ শাখার ২৪৬টিই লোকসানে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Bangladesh Bank will provide re financing assistance to BRAC Bank with start up financing

স্টার্ট-আপ অর্থায়নে ব্র্যাক ব্যাংককে পুনঃঅর্থায়ন সহায়তা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক

স্টার্ট-আপ অর্থায়নে ব্র্যাক ব্যাংককে পুনঃঅর্থায়ন সহায়তা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক

দেশের ক্রমবর্ধমান স্টার্ট-আপ খাতকে অর্থায়ন সুবিধা দিতে ব্র্যাক ব্যাংকের সাথে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এই চুক্তির আওতায় স্টার্ট-আপ খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের সৃষ্ট ৫০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল ব্যবহারের সুযোগ পাবে ব্র্যাক ব্যাংক, যা ব্যাংকটির এই খাতে অর্থায়ন সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করবে। এ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো, অর্থায়ন সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে উদীয়মান উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং তাঁদেরকে জাতীয় অর্থনীতিতে আরও বেশি অবদান রাখতে উৎসাহিত করা।

২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এবং ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন চুক্তিপত্র হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অংশগ্রহণকারী ২২টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্টের সহায়তায় এই উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করা হবে।

এই সম্ভাবনাময় খাতের উদ্যোক্তাদের অর্থায়নের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই খাতটি ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে টেকসই সম্পর্কও গড়ে তুলছে। ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন সুবিধাটি উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী উদ্যোগ সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন পেতে সহায়তা করবে, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্যোগ বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় তরুণ উদ্যোগগুলোর বিকাশে ব্যাংকটির ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখবে।

ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ২৯১টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Signature of Strategic Partnership Agreement on Transport sector between Community Bank and SoulShare

কমিউনিটি ব্যাংক ও সোলশেয়ার এর মধ্যে পরিবহন খাত বিষয়ক কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর

কমিউনিটি ব্যাংক ও সোলশেয়ার এর মধ্যে পরিবহন খাত বিষয়ক কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর

দেশে বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার খাতে স্মার্ট ও জ্বালানি-সাশ্রয়ী ব্যাটারির ব্যবহার বাড়াতে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ও সোলশেয়ার লিমিটেড কৌশলগত অংশীদারিত্বে যুক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কিমিয়া সাআদত এবং সোলশেয়ার লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ড. সেবাস্টিয়ান গ্রোহ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যাংকের, হেড অব করপোরেট ব্যাংকিং ও হেড অব বিজনেস (ব্রাঞ্চ) ড. মো. আরিফুল ইসলাম; হেড অব এডিসি অ্যান্ড হেড অব এমডি’স কোঅর্ডিনেশন টিম মো. মামুন-উর রহমান; সোলশেয়ার-এর ফাইন্যান্স ডিরেক্টর আনিসা আলী, সিএফএ সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এই অংশীদারিত্বের ফলে দেশের শত শত বৈদ্যুতিক পরিবহনের গ্যারেজ সহজেই স্মার্ট ব্যাটারি প্রযুক্তি গ্রহণে সক্ষম হবে। এখন পর্যন্ত উচ্চ ব্যয়ের কারণে অনেক উদ্যোক্তা ব্যাটারি ব্যবহারে আগ্রহী হলেও অর্থায়নের সীমাবদ্ধতায় তা সম্ভব হচ্ছিল না। কমিউনিটি ব্যাংকের গ্রিন এসএমই ঋণ সুবিধা ও সোলশেয়ার -এর উদ্ভাবনী পে-অ্যাজ-ইউ-গো (পিএওয়াইজি) প্রযুক্তি একত্রে উদ্যোক্তাদের জন্য সাশ্রয়ী, নমনীয় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।

এ উদ্যোগের মাধ্যমে গ্যারেজ মালিকরা টেকসই অর্থায়ন সুবিধা পাবেন, দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে জ্বালানি-সাশ্রয়ী ব্যাটারি ব্যবহার, দেশের বৈদ্যুতিক পরিবহন খাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হবে এবং বাংলাদেশ পরিচ্ছন্ন জ্বালানির দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

এই উদ্যোগকে দেশের পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ও টেকসই পরিবহন ব্যবস্থার জন্য এক মাইলফলক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jamuna Bank and Apollo Clinic License to Pay World Other Health Services Understanding agreement between JMI Specialized Hospital

বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে যমুনা ব্যাংক ও অ্যাপোলো ক্লিনিক লাইসেন্সঃ জেএমআই স্পেশালাইজড হাসপাতালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি

বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে যমুনা ব্যাংক ও অ্যাপোলো ক্লিনিক লাইসেন্সঃ জেএমআই স্পেশালাইজড হাসপাতালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি

যমুনা ব্যাংক পিএলসি. এবং অ্যাপোলো ক্লিনিক লাইসেন্সঃ জেএমআই স্পেশালাইজড হাসপাতাল লিমিটেডের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে রাজধানীর যমুনা ব্যাংক টাওয়ারে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। যমুনা ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিবিও নূর মোহাম্মদ এবং অ্যাপোলো জেএমআই স্পেশালাইজড হাসপাতাল লিমিটেডের উপদেষ্টা মসিউর রহমান কামাল উক্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে যমুনা ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মো. আব্দুস সালামসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এই চুক্তির মাধ্যমে যমুনা ব্যাংক তাদের সম্মানিত গ্রাহক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাঁদের পোষ্যদের জন্য বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা আরও সহজলভ্য ও সুফলদায়ক করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করল। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অ্যাপোলো ক্লিনিকের লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে জেএমআই স্পেশালাইজড হাসপাতালের সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব গ্রাহকদের জন্য বিশেষ সুবিধাসহ উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Shahjalal Islami Bank gave financial assistance to the poor farmers and rickshaw drivers in Comilla

কুমিল্লার হতদরিদ্র কৃষক ও রিকশাচালককে আর্থিক সহায়তা দিল শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক

কুমিল্লার হতদরিদ্র কৃষক ও রিকশাচালককে আর্থিক সহায়তা দিল শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত সোমবার কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার হতদরিদ্র কৃষক ও রিকশাচালককে স্ত্রী ও সন্তানের চিকিৎসার জন্য পাঁচ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি।

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির করপোরেট প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ইমতিয়াজ ইউ. আহমেদ হতদরিদ্র কৃষক ও রিকশাচালক মো. মেহেদী হাসানকে ওই অনুদানের চেক প্রদান করেন।

ওই অনুদানের চেক প্রদানকালে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির এসইভিপি ও কোম্পানি সচিব জনাব মো. আবুল বাশার, ব্যাংকের এসএভিপি মো. জাকির হোসেন, ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগ ও ব্যাংক ফাউন্ডেশনের ইনচার্জ কে. এম. হারুনুর রশীদ এবং ব্যাংক ফাউন্ডেশন এর এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. কামাল মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সীমান্ত ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সীমান্ত ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় সীমান্ত ব্যাংকের উদ্যোগে শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) এবং টেকনাফ (কক্সবাজার) উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপনের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। এই কর্মসূচির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করা হয় এবং বৃক্ষরোপণে উৎসাহিত করা হয়। শ্যামনগরের ৭টি এবং টেকনাফে ২টি বিদ্যালয়ে গাছের চারা রোপণ করা হয়।

সীমান্ত ব্যাংকের টেকনাফ শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হোসেন এবং শ্যামনগর উপশাখার ব্যবস্থাপক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম যথাক্রমে টেকনাফ এবং শ্যামনগরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী সমন্বয় করেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীগন স্বতঃস্ফূর্তভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Prime Bank stands next to ICDDR B for life saving tuberculosis in Sylhet

সিলেটে জীবনরক্ষাকারী যক্ষ্মা চিকিৎসায় আইসিডিডিআর,বি-এর পাশে দাঁড়ালো প্রাইম ব্যাংক

সিলেটে জীবনরক্ষাকারী যক্ষ্মা চিকিৎসায় আইসিডিডিআর,বি-এর পাশে দাঁড়ালো প্রাইম ব্যাংক

বাংলাদেশে প্রতি বছর হাজারো মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে যক্ষ্মা (টিবি)। কেবল ২০২৩ সালেই ৪৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে- ফলে প্রতি ১২ মিনিটে একজন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন যক্ষ্মায়। এই জাতীয় সংকট মোকাবেলায় সাহসী উদ্যোগ নিয়েছে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। জীবনরক্ষাকারী যক্ষ্মা প্রতিরোধ কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করতে প্রাইম ব্যাংক বিশ্বখ্যাত স্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি-এরর সাথে অংশীদারিত্ব করেছে।

আজ (০৯ সেপ্টেম্বর) গুলশানে প্রাইম ব্যাংকের করপোরেট অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুযায়ী, প্রাইম ব্যাংক এক বছরের জন্য আইসিডিডিআর,বি-এর সিলেট টিবি স্ক্রিনিং অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টার (TBSTC)-এর যক্ষ্মা পরীক্ষার ও চিকিৎসা সেবার ধারাবাহিকতায় আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে। প্রাইম ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান ও. রশীদ এবং আইসিডিডিআর,বি-এর নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমীদ আহমেদ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

দেশে যক্ষ্মা প্রতিরোধে দীর্ঘদিনের আস্থাভাজন প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৫ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষকে স্ক্রিনিং করেছে। এ সময়ে শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজারের বেশি টিবি রোগী, যার মধ্যে ১৮ হাজার শিশু। পাশাপাশি ৫,৫০০-এরও বেশি ওষুধ-প্রতিরোধী টিবি রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

এই সহযোগিতার মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংক জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কমিউনিটির কল্যাণে তাদের অঙ্গীকার আরও জোরদার করছে। ব্যাংকটি প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু হ্রাস এবং একটি সুস্থ, সহনশীল বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bonded Warehouse Licensed

বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আমদানিকৃত পণ্যচালান শুল্কায়নের বিষয়ে দিক-নির্দেশনা প্রদান

বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আমদানিকৃত পণ্যচালান শুল্কায়নের বিষয়ে দিক-নির্দেশনা প্রদান

উপর্যুক্ত বিষয়ের প্রতি সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলো।

০২। সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কাস্টমস হাউস/স্টেশনে আমদানিকালে দাখিলকৃত পণ্য ঘোষণায় প্রদত্ত পণ্যের বর্ণনা ও HS Code কায়িক পরীক্ষায় পণ্যের নমুনা কিংবা শুল্কায়ন পরবর্তী সময়ে পণ্যের ঘোষিত বর্ণনা পরিবর্তিত হয়, যা ক্ষেত্রবিশেষে প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স অথবা প্রাপ্যতা শীট বা সংশ্লিষ্ট Utilization Declaration (UD) তে অন্তর্ভূক্ত থাকে না। ফলে শুল্কায়নকালে উহা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হয়। ফলশ্রুতিতে যথাসময়ে কাঁচামাল/পণ্য খালাস না হওয়ায় রপ্তানি আদেশ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পণ্য জাহাজীকরণে বিঘ্ন ঘটছে মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অবগত হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে বর্তমানে বৈশ্বিক বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ও রপ্তানি বাণিজ্যের বৃহত্তর স্বার্থে জরুরি বিবেচনায় নিম্নরূপ নির্দেশনা প্রদান করা হলো:

(ক) বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত বর্ণনা ও HS Code অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা দাখিল করার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ভিন্ন HS Code নিরূপণ করলে এবং নিরূপিত HS Code এর প্রথম ৪ ডিজিট বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত HS Code এর প্রথম ৪ ডিজিট এর সাথে মিল থাকলে; আমদানিকারক পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে এই নিরূপিত HS Code বন্ড লাইসেন্সে ও ইউডিতে অন্তর্ভূক্ত করবেন মর্মে একটি অঙ্গীকারনামা সংশ্লিষ্ট কাস্টমস হাউস এর কমিশনার এর নিকট দাখিল করবেন যার বিপরীতে কমিশনার পণ্যচালান খালাসের অনুমতি প্রদান করে সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটকে অবহিত করবেন।

(খ) বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত বর্ণনা ও HS Code অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা দাখিল করার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ভিন্ন বর্ণনা নিরূপণ করলে; আমদানিকারক পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে উক্তরূপ নিরূপিত পণ্যের বর্ণনা বন্ড লাইসেন্সে ও ইউডিতে অন্তর্ভূক্ত করবেন মর্মে একটি অঙ্গীকারনামা সংশ্লিষ্ট কাস্টমস হাউস এর কমিশনার এর নিকট দাখিল করবেন যার বিপরীতে কমিশনার পণ্যচালান খালাসের অনুমতি প্রদান করে সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটকে অবহিত করবেন।

গ) বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত বর্ণনা ও HS Code অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা দাখিল করার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ভিন্ন HS Code নিরূপণ করা হলে এবং বন্ড লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কাস্টমস বন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটের মাধ্যমে তার প্রাপ্যতায় উক্ত HS Code অন্তর্ভুক্ত করলে কাস্টমস হাউস এর কমিশনার পণ্যচালান খালাসের অনুমতি প্রদান করবেন এবং পণ্য চালান খালাসের তথ্য সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটকে অবহিত করবেন।

০৩। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে; এবং বর্তমানে উক্তরূপ কারণে শুল্কায়ন নিষ্পত্তির জন্য অপেক্ষমান পণ্যচালানসমূহের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

মন্তব্য

p
উপরে