করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কর্মসূচিতে আরও গতি আনার লক্ষ্যে মাসে চার কোটি টিকা দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
আগামী মাস থেকেই সরকার এ কার্যক্রম শুরু করতে চায় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
ঢাকা ক্লাবে ইডিসিএলের বার্ষিক সাধারণ সভায় অংশ নিয়ে বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
টিকাদান নিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে আগামী মাস থেকে চার কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হবে। পাশাপাশি বুস্টার ডোজ দেয়া অব্যাহত থাকবে। দেশে বুস্টার ডোজ দেয়ার পরও তিন কোটি টিকা থেকে যাবে।
‘আমাদের বুস্টার ডোজসহ ২৮ কোটি টিকা প্রয়োজন। আমাদের পরিকল্পনায় ৩১ কোটি টিকা আছে। সুতরাং বুস্টার ডোজের জন্য টিকার অভাব হবে না। প্রতিটি ওয়ার্ডে টিকা দেয়া হবে। আগামী মে-জুনের মধ্যে সবাইকে টিকা দেয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর যাদের ৬ মাস অতিবাহিত হয়েছে, শুধু তাদেরই এসএমএস দেয়া হবে। বুস্টার ডোজ নিয়ে এসএমএস জটিলতা নিরসনে সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ কাজ করছে। দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে।’
বুস্টার ডোজে আগ্রহীদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বুস্টার ডোজ দেয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এসএমএস পাঠানো হবে। এসএমএস পাওয়ার পর সুরক্ষা অ্যাপ থেকে টিকা কার্ড ডাউনলোড করে কেন্দ্র আসতে হবে।’
এসএমএস ছাড়া টিকা কেন্দ্র গিয়ে ভিড় না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানলে ওমিক্রন ছড়াবে না। তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে, মাস্ক পরতে হবে।’
এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১৪ জন।
এদিকে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৬০ জন ডেঙ্গু রোগী। এই সংখ্যাসহ চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৪২ হাজার ৪৭০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে রোববার পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে দুজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও একজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার। বাকি একজন ময়মনসিংহ বিভাগের।
একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৬৬০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনে ৩২৮ ও বাকিরা ঢাকার বাইরে সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৬৯৭ জন। আর জানুয়ারি থেকে রোববার ১৩ অক্টোবর রোববার পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র পেয়েছেন মোট ৩৮ হাজার ৬৪৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৩২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৭ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১১, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২০৭, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১২১ ও খুলনা বিভাগে ৭১ জন রয়েছেন।
আরও পড়ুন:বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে বিনা মূল্যে ৩৭ জন গরিব ও দুস্থ রোগীর চোখের ছানি অপারেশন হয়েছে।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সাবরিনা সোবহান রোডে অবস্থিত বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী এ ফ্রি অপারেশন অনুষ্ঠিত হয়।
যৌথভাবে এ অপারেশন কার্যক্রমের আয়োজন করে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্ট ইনস্টিটিউট, ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন ও চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অবৈতনিক পরিচালক এবং ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. সালেহ আহমদের তত্ত্বাবধানে এ সার্জারিতে অংশ নেন ডা. অ্যান্থনি অ্যালবার্ট, ডা. তাসরুবা শাহনাজ, ডা. জেরিন পারভীন এবং ডা. নুসরাত লুবনা ইসলাম।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষ্ণগোবিন্দপুর ডিগ্রি কলেজে একটি আই ক্যাম্প করা হয়। সেখানে ১ হাজার ২০০ রোগীর চোখ পরীক্ষা করে ৪২০ জনকে অস্ত্রোপচারের জন্য বাছাই করা হয়। বৃহস্পতিবার সেই রোগীদের পঞ্চম ব্যাচের ৩৭ জনের চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়। এর মধ্যে ১৫ পুরুষ ও ২২ জন নারী রয়েছেন।
এ বিষয়ে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অবৈতনিক পরিচালক এবং ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. সালেহ আহমদ বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকে আমরা বিনা মূল্যে রোগীদের চোখ অপারেশন করার এই কার্যক্রম শুরু করেছি। আমরা দেশের দূরদুরান্ত অঞ্চলে গিয়ে বিনা মূল্যে আই ক্যাম্প করি। সেখানে অপারেশনের রোগী বাছাই করে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসি।
‘অপারেশন শেষে আবার তাদের নিজ বাড়িতে দিয়ে আসি। এ পুরো কার্যক্রমই আমরা আমাদের নিজ খরচে করে থাকি। আমি মনে করি এই কার্যক্রমে আমাদের সফলতা শতভাগ।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষরা চোখ নিয়ে অবহেলা করেন। শিশুদের কিছু জন্মগত চোখের রোগ হয়, যেটা বাবা-মা বুঝতে পারেন না। পরবর্তী সময়ে শিশু যখন স্কুলে যায় তখন সেসব সমস্যা ধরা পড়ে।
‘তাই শিশুদের পাঁচ বছরের আগে চোখের স্ক্রিনিং করে নেয়া দরকার। এ ছাড়া ৪০ বছরের পরে চোখের ছানি পড়াসহ বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। তাদেরও নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করানো দরকার, যাতে চোখ ভালো থাকে এবং ভালোভাবে দেখতে পায়।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বসুন্ধরা আই হসপিটালে চোখের ছানির অস্ত্রোপচার করাতে আসা মো. ইকরামুল হক বলেন, ‘এই কার্যক্রমটি নিঃসন্দেহে একটি মহৎ। মানবসেবা সবচেয়ে বড় ধর্ম।
‘এ ধর্মটা সবাই পালন করতে পারেন না। বসুন্ধরা আই হসপিটাল সেটা করতে পারছে। এখানকার ডাক্তারসহ অন্যান্যদের ব্যবহার খুবই চমৎকার। তারা রোগীদের বাবা-চাচা-ভাইয়ের মতো করে সেবা যত্ন করেন। তাদের ব্যবহার অতুলনীয়, যেন সবাই তাদের আপনজন।’
একই এলাকা থেকে অস্ত্রোপচার করতে আসা মোমেনা বেগম বলেন, ‘আমি আগে চোখে ঝাপসা দেখতাম। টাকার জন্য চিকিৎসা করাতে পারিনি। আমাদের এলাকার একজনের কাছে খবর পেয়ে আই ক্যাম্পে বিনা মূল্যে চোখ পরীক্ষা করাতে যাই। পরে তারা চোখ পরীক্ষা করে অপারেশনের জন্য নিয়ে আসে।
‘আমার কোনো খরচ হয়নি। এখন আবার আমি ঠিকভাবে দেখতে পারব। আল্লাহ এদের ভালো করুক।’
বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ম্যানেজার (এইচআর অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) মোহাম্মদ আহসান হাবীব বলেন, ‘গরিব-দুস্থ ও অন্ধ রোগীদের চক্ষু চিকিৎসার সাহায্যার্থে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দুস্থদের সেবায় আগে থেকেই এ ধরনের কার্যক্রম চলমান আছে।
‘সারা দেশে বিনা মূল্যে এ ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হয়। এখন পর্যন্ত এই ক্যাম্পের মাধ্যমে তিন হাজার ১৪৫ জনের বেশি রোগীর চোখ বিনা মূল্যে অপারেশন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও এক হাজার ৩৩ জন ডেঙ্গু রোগী।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১৯৬ জন। তাদের মধ্যে ৯৮ জন পুরুষ ও ৯৮ জন নারী। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৮২২ জন।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। এই সময়ে ৯৩৯ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই মৃত্যুর পাশাপাশি ডেঙ্গ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৮১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে মঙ্গলবার দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়কালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৮১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১৯৩ জন। তাদের মধ্যে ৯৬ জন পুরুষ ও ৯৭ জন নারী। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৭৮৯ জন।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুজন নারী। এই সময়ে ৯৭১ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
দাবি আদায়ে ফের আন্দোলনে নেমেছেন নার্স ও মিডওয়াইফারি শিক্ষার্থীসহ চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে করে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীরাসহ চিকিৎসা সেবা নিতে আসা মুমুর্ষু রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এক দফা দাবিতে মঙ্গলবার চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন তারা। লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল বুধবার তারা এক ঘণ্টা বাড়িয়ে পাঁচ ঘণ্টা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।
নার্স ও মিডওয়াইফারি শিক্ষার্থীসহ চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আগামীকাল বুধবার পাঁচ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করবেন।
তবে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী এ সময় জরুরি বিভাগ, ইমারজেন্সি ওটি, ডায়ালাইসিস, আইসিইউ, সিসিইউ, পিআইসিইউ এবং এইচডিইউ এই কর্মবিরতি কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদের আহ্বায়ক ডা. মো. শরিফুল ইসলাম মঙ্গলবার নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে এক দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। আমাদের দাবি হলো- নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল থেকে সব ক্যাডার প্রত্যাহার করে অধিদপ্তরে মহাপরিচালক, পরিচালক, কাউন্সিলে প্রেসিডেন্ট ও রেজিস্ট্রার পদে যোগ্য ও অভিজ্ঞ নার্সদের পদায়ন করতে হবে।’
শরিফুল ইসলাম বলেন, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে নার্স ও মিডওয়াইফ শিক্ষার্থীরা রোগীর সেবা অক্ষুণ্ন রেখে পরিষদ ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করে আসছি। ইতোমধ্যে আমরা আমাদের দাবির বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি।
‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্যে ছিল পতাকা মিছিল, সংবাদ সম্মেলন, প্রতীকী কর্মবিরতি, লাল ব্যাজ ধারণ ও তিন ঘণ্টার কর্মবিরতি। ওইদিনের কর্মবিরতি চলাকালে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার আশ্বাসে আমরা পরবর্তী কর্মবিরতি প্রত্যাহার করি।
‘উপদেষ্টা বলেছিলেন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবেন। এর ধারাবাহিকতায় নার্সেস কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার পদে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সাময়িকভাবে একজন অবসরপ্রাপ্ত নার্সকে পদায়ন করে, যা আমাদের এক দফা দাবির একটি অংশ মাত্র।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (উপ-সচিব, প্রশাসন) মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনকে অধিদপ্তর থেকে প্রত্যাহার করে মহাপরিচালক পদে এখনও যোগ্য ও অভিজ্ঞ নার্স পদায়ন করা হয়নি। তাই আমরা আজ এক দফা দাবি পূরণে সংস্কার পরিষদ ঘোষিত কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছি।’
আরও পড়ুন:ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই মৃত্যুর পাশাপাশি ডেঙ্গ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ২২৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে রোববার দেয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়কালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ২২৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী।
চলতি বছরে এ নিয়ে ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৮৬ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৫৯০ জন।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া চারজনের মধ্যে দুজন ঢাকার। এছাড়া একজন রাজশাহী ও একজন খুলনা বিভাগের।
এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুহীন একটি দিন পার করার পরদিনই এই রোগে মারা গেলেন আরও পাঁচজন। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এই মৃত্যুর পাশাপাশি হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৯২৭ ডেঙ্গু রোগী।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ৯২৭ জন রোগী।
মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুইজন নারী। এই সময়ে ৭১৬ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
সবশেষ মৃত্যু নিয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৮২ জনের। তাদের মধ্যে ৮৯ জন পুরুষ ও ৯৩ জন নারী।
এ ছাড়া একই সময়কালে দেশে ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ২৬৫ জন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য