পতনের বৃত্ত থেকে বের হয়ে চলতি সপ্তাহে টানা দুদিন সূচক বাড়ার পর প্রত্যাশা ছিল তৃতীয় দিনেও সে ধারা অব্যাহত থাকবে। সপ্তাহের আরও একটি কার্মদিবস বাকি। বৃহস্পতিবারের লেনদেনে চূড়ান্ত হবে চলতি সপ্তাহে বেশির ভাগ লেনদেন মন্দায় ছিল, নাকি উত্থানে। আর এর মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০২১ সালের লেনদেন।
তা আর হলো না। আবার পতন দেখল পুঁজিবাজার। সূচক কমার পাশাপাশি লেনদেনও কমে এসেছে ৭০০ কোটি টাকায়। তুলনামূলক চিত্রে ২০২০ সালের শেষ সপ্তাহেও এমন খরা ছিল না সূচকে।
গত চার কর্মদিবসের প্রতিদিনই সূচক বেড়েছিল। আর লেনদেনও ছিল হাজার কোটি টাকার ঘরে। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা আর সূচক ছিল ৫ হাজার ৩৫৮ পয়ন্টে।
সপ্তাহের শুরু রোববার লেনদেনের প্রথম ৩ মিনিট কেবল সূচক বাড়তে দেখা গিয়েছিল। এরপর আর বাড়েনি। বেলা ২টা ৮ মিনিটে একপর্যায়ে সূচক পড়ে যায় ৯২ পয়েন্ট। সেখান থেকে ২০ পয়েন্ট পুনরুদ্ধার করে লেনদেন শেষে ৭২ পয়েন্ট হারিয়ে সূচক দাঁড়ায় ৬ হাজার ৬২৯ পয়েন্ট। এর চেয়ে কম সূচক ছিল গত ৯ আগস্ট, ৬ হাজার ৬২৮ পয়েন্ট।
এরপর সোম ও মঙ্গলবার সূচক ১১২ পয়েন্ট বেড়ে আলো ছড়ায় পুঁজিবাজারে।
সোমবার আলোচনায় ছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন করে মার্জিন ঋণের নির্দেশনা। যেখানে ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানিকে মার্জিন ঋণের বাইরে রাখা হয়। তবে ‘জেড’ ক্যাটাগরি বা অন্য ক্যাটাগরি থেকে উচ্চতর কোনো ক্যাটাগরিতে উন্নীত হলে সাত কর্মদিবস পর ঋণ সুবিধা আওতায় থাকবে, এমন নির্দেশনার পর প্রভাব পড়ে পুঁজিবাজারে।
এদিন সূচক বাড়ে ৩৯ পয়ন্টে। আর গত ৭ ডিসেম্বরের পর টানা দুদিন সূচক বাড়ার ধারাবাহিকতা রক্ষা হয় মঙ্গলবার। এদিন সূচক বেড়েছিল ৭৩ পয়েন্ট, কিন্তু সে ধারাবাহিকতা নিয়ে আর এগোতে পারেনি বুধবার। লেনদেনের শুরুতে উত্থানের চিত্র দেখা গেলেও দিন শেষে সূচক কমেছে ১১ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট।
সূচক পতনের এমন অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের ধারণা, বাংলাদেশ ব্যাংকের অযৌক্তিক সিদ্ধান্তে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না পুঁজিবাজার। সেই অবস্থা থেকে উত্তরণে বিনিয়োগকারীদের একটি সংগঠন মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে মানবববন্ধ করেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে ব্যানার টানান তারা।
বুধবার প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছাড়াও ডিএসইএস ও ডিএস৩০ সূচক কমেছে যথাক্রমে ৪ দশমিক ১১ পয়েন্ট ও ১ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে মোট ৭৩৫ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৮৭২ কোটি টাকা।
এদিন সূচক পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের দরপতন। কোম্পানিটির শেয়ারদর দশমিক ৭৫ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। এ ছাড়া লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ কোম্পানির শেয়ারদর ২ দশমিক ৫৯ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৩ দশমিক ১ শতাংশ।
এ ছাড়া বুধবার গ্রামীণফোনের শেয়ারদর দশমিক ৪৬ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। এই তালিকায় ছিল স্কয়ার ফার্মা, রবি, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো ও আইসিবি।
তবে সূচক উত্থান ত্বরান্বিত করতে চেষ্টায় ছিল বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি, রেনেটা, পাওয়ার গ্রেড, রেকিট বেনকিজার ও সোনালী পেপার।
প্রায় সব কয়টি খাতের লেনদনে এদিন আগের দিনের তুলনায় কমেছে। বিবিধ খাত, সাধারণ বিমা, ব্যাংক, নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের লেনদেন কমেছে।
এ ছাড়া সবচেয়ে বেশি দরপতনে ছিল বস্ত্র খাতের। এদিন লেনদেনে ৫৪ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। বেড়েছে ৩২ শতাংশ কোম্পানির। সাধারণ বিমা খাতের ৬৬ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। বেড়েছে ২৫ শতাংশ কোম্পানির।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকা
বুধবার সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানি ছিল ঢাক্কা ডাইং। গত ১০ কর্মদিবসে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দর বেড়েছে কোম্পানিটির। তবে উল্লিখিত সময়ে সর্বোচ্চ দর বেড়েছে বুধবার, ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। ২১ টাকা ৩০ পয়সা দরের শেয়ারদর বৃদ্ধিতে উঠে এসেছে ২৩ টাকা ৩০ পয়সায়। মোট ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকায় ৩৬ লাখ ৬ হাজার ৪১৫টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
দর বৃদ্ধিতে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি, যার ৮ দশমিক ৮১ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এ ছাড়া আরও একটি কোম্পানি এটলাস বাংলাদেশের শেয়ারদরও বেড়েছে ৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
৭ শতাংশের বেশি শেয়ারদর বেড়েছে একটি কোম্পানির ফাইন ফুড, যার ৪৮ টাকা ৮০ পয়সা দরের শেয়ার ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫২ টাকা ৬০ পয়সা।
আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারদর বেড়েছে ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এ ছাড়া ফার্মা এইডের শেয়ারদর বেড়েছে ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমসের শেয়ারদর বেড়েছে ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
৫ শতাংশের বেশি শেয়ারদর বেড়েছে দুটি কোম্পানির, এর মধ্যে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ৫ দশমিক ৯ শতাংশ ও প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট আইসিবি এএমসিএল মিউচুয়াল ফান্ডের ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।
ছয়টি কোম্পানির শেয়ারদর এদিন ৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
দরপতনের ১০ কোম্পানি
দরপতনে থাকা ১০ কোম্পানির মধ্যে এদিন ‘জেড’ ক্যাটাগরির ছিল চারটি কোম্পানি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে জিল বাংলা সুগার ৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ১২৩ টাকা ১০ পয়সা দরের শেয়ার নেমে এসেছে ১১৫ টাকায়। ৮ লাখ ৭ হাজার টাকা লেনদেন হওয়া কোম্পানিটির ৬ হাজার ৭৭৫টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
ইমাম বাটন কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে ৬ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। ৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ২২ হাজার ৯১০টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
‘জেড’ ক্যাটাগরির মুন্নু ফেব্রিক্সের শেয়ারদর কমেছে ৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ ও সাভার রিফ্যাক্টরিজের শেয়ারদর কমেছে ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
এ ছাড়া আইসিবি কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড মিউচুয়াল ফান্ডের দর কমেছে ৪ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
রহিম টেক্সটাইলের শেয়ারদর কমেছে ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকার মোট ২ হাজার ৪৮৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
ওয়ান ব্যাংকের শেয়ারদর কমেছে ৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ। খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ারদর কমেছে ৩ দশমিক ২৩ শতাংশ। ৮৩ লাখ ৭৯ হাজার টাকার মোট ৬ লাখ ৮৯ হাজার ৭৪৪টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
এ ছাড়া একমি পেস্টিসাইডের শেয়ারদর কমেছে ৩ দশমিক ২০ শতাংশ। আইসিবি এএমসিএল ফার্স্ট অগ্রণী মিউচুয়াল ফান্ডের দর কমেছে ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ।
৩ শতাংশের বেশি শেয়ারদর কমেছে তাল্লু স্পিনিং মিলসের ৩ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ ও এএফসি এগ্রো কোম্পানির ৩ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।
লেনদেনে শীর্ষ ১০
লেনদেনে থাকা ১০ কোম্পানির মধ্যে প্রথমেই ছিল বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, যার ৫১ কোটি ৫২ লাখ টাকার মোট ৭৩ লাখ ৪৬ হাজার ৩৬৪টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪০ কোটি ৮৭ লাখ টাকার। ২৭ লাখ ৩২ হাজার ৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ৬৭ লাখ টাকার। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ২১০টি শেয়ার।
বিকন ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৯২ লাখ টাকার। ১০ লাখ ৬৭ হাজার ১৫০টি শেয়ার এদিন হাতবদল হয়েছে। লেনদেন কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।
ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ২৯ লাখ টাকার। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৬৬ হাজার ৬৮৮টি। এদিন ব্যাংকটির শেয়ারদর কমেছে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। ব্যাংকটির শেয়ারদর টানা দুদিন বাড়ার পর বুধবার কমেছে।
সোনালী পেপার কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকার। ১ লাখ ৮৫ হাজার ৪১২টি শেয়ার হাতবদল হওয়া কোম্পানির শেয়ারদর এদিন বেড়েছে ৪ দশমিক ২৪ শতাংশ।
এশিয়া ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকার। শেয়ার হাতবদল হয়েছে মোট ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৮৭৭টি।
পাওয়ার গ্রেডের লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ২০ লাখ টাকার। ফরচুন সুজের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৮ লাখ টাকার। প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকার।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য