× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The BNP is making a splash in the UP polls
google_news print-icon

ইউপি ভোটে বিএনপির চমক চলছেই

ইউপি-ভোটে-বিএনপির-চমক-চলছেই
স্বতন্ত্র ব্যানারেও চেয়ারম্যান পদে বিএনপি নেতাদের জয়ের হিস্যা একেবারে কম নয়।
রোববারের ভোটে স্বতন্ত্র পরিচয়ে বিএনপির প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি জয় পেয়েছেন রাজশাহী বিভাগে। এই বিভাগে মোট ২৬ জন বিএনপি নেতা জিতেছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয় এসেছে রংপুর বিভাগে ১৮ জন। ঢাকা বিভাগে বিএনপির ১৭ নেতা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। চট্টগ্রাম ও সিলেটে এই সংখ্যাটি ১৩ জন করে। এ ছাড়া ছয়জন আছেন ময়মনসিংহে, চারজন খুলনায় এবং বরিশালে একজন।

আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলটি ভোট বর্জন করছে। তবে মাঠের চিত্র ভিন্ন। নতুন কৌশল নেয়ার পর তৃতীয় ধাপে ৯৬টি ইউনিয়ন পরিষদের পর চতুর্থ ধাপেও ৯৮টি ইউনিয়নে জিতেছেন বিএনপির নেতারা। তৃতীয় ধাপের তুলনায় চতুর্থ ধাপে ভোট হওয়া ইউনিয়নের সংখ্যা ছিল কম। সে হিসাবে বিএনপির নেতারা তৃতীয় ধাপের তুলনায় এবার আরও বেশি ভালো করেছেন।

এই বিজয়ী নেতারা ধানের শীষের বদলে ভোট করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। আবার সব ইউনিয়নে বিএনপির এই ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীরা’ ছিলও না। মোট কতগুলো ইউনিয়নে ছিল, সেটি জানাও সম্ভব নয় তাদের এই কৌশলের কারণে।

গত রোববার চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট শেষে যে ৭৮১টি ইউনিয়নের ফলাফল ঘোষণা করা হয়, তাতে দেখা যায়, বিএনপির এই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জেলা হিসেবে সবচেয়ে ভালো করেছেন নওগাঁয়। এমনকি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ফরিদপুরেও চমক দেখিয়েছেন তারা।

বিভাগওয়ারি হিসাব করলে দেখা যায় স্বতন্ত্র পরিচয়ে বিএনপির প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি ভালো করেছেন রাজশাহীতে। উত্তরের আরেক বিভাগ রংপুরেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নেতা ইউনিয়নে জিতে এসেছেন।

বিএনপির প্রার্থীরা তৃতীয় সর্বোচ্চ ইউনিয়নে জিতেছেন ঢাকা বিভাগে। সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে সমানসংখ্যক ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন তারা।

তবে ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে সাফল্য তুলনামূলকভাবে কম।

গত কয়েক বছরে বিএনপি জাতীয় ও স্থানীয় যেসব নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে অংশ নিয়েছে, তাতে তারা ভালো ফল করতে পারেনি। দলটির পক্ষ থেকে অবশ্য ভোট সুষ্ঠু না হওয়ার অভিযোগ করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তাদের সমর্থকদের ভোট দিতে দেয়া হয় না, প্রচারেও বাধা দেয়া হয়।

চলতি বছর পৌরসভা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনার পর বর্তমান সরকার আর নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো ভোটে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। ফলে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও তাদের কোনো প্রার্থী নেই।

তবে গত ২ নভেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি বক্তব্যে স্পষ্ট হয়, বিএনপি আসলে এই নির্বাচন থেকে একেবারে দূরে নেই।

সেদিন ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে করাটা সঠিক নয়। তাই বিএনপি এ নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ নিচ্ছে না। তবে বিএনপি থেকে কেউ স্বতন্ত্র হয়ে অংশ নিলে সেখানে বাধা নেই।’

ইউপি ভোটে বিএনপির চমক চলছেই
চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ছবি: নিউজবাংলা

বিএনপির স্বতন্ত্র পরিচয়ে ভোটে অংশ নেয়ার বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীকে চ্যালেঞ্জ করছেন বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার।

২০১১ সালে প্রথম সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও তৈমূরকে সমর্থন জানিয়েছিল বিএনপি। দলীয় প্রতীক ছাড়া ওই নির্বাচনে ভোটের আগের দিন তিনি সরে দাঁড়ান দৃশ্যত কোনো জোরালো অভিযোগ ছাড়াই। ধারণা করা হয়, আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানকে হারাতে একই দলের নেতা আইভীকে সুবিধা করে দিতেই তিনি এই কাজ করেছিলেন।

১০ বছর পর এসে আইভীর নৌকা ডোবাতে তৈমূর নেমেছেন হাতি প্রতীক নিয়ে।

বিএনপি দলীয় প্রতীক না নিলেও একই জেলায় দলের সব প্রার্থী একই ধরনের প্রতীক নিয়ে লড়ার চেষ্টা করেছেন। যেমন- নওগাঁয় ২৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ২০টিতে বিএনপির নেতারা আনারস আর ৬টিতে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ভোট করেছেন।

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলাতে বিএনপির বিজয়ী তিন নেতাই লড়েছেন আনারস প্রতীক নিয়ে।

আরও একাধিক জেলায় বিএনপির বিজয়ী প্রার্থীদের অনেকেই জিতেছেন আনারস প্রতীক নিয়ে।

বিএনপির জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামীরও আটজন নেতা চেয়ারম্যান হয়েছেন রোববারের ভোটে। এদের মধ্যে চারজনই সিলেটের। বাকিদের মধ্যে একজন করে আছেন পঞ্চগড়, গাইবান্ধা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সাতক্ষীরার।

বিএনপি কেন দলীয় প্রতীকের বদলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একেক এলাকায় একেক প্রতীকে লড়াই করছে- এমন প্রশ্ন রাখা হয় দলের বর্ষীয়ান নেতা নজরুল ইসলাম খানের কাছে।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আপনারা একটা কথা কেন ভুল করেন বারবার৷ আমরা স্রেফ জানিয়ে দিয়েছি যে এবার আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি না। আমাদের ওয়ে অফ ওয়্যার এখন ডিফ্রেন্ট। তাই কারা পাস করল আর কারা করল না- এই প্রশ্ন আমাদের জন্য না।’

যারা করছেন তারা তো বিএনপি নেতা। সে বিষয়ে কী বলবেন- এমন প্রশ্নে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তারা ধানের শীষে ভোট করছেন? না, করেন নাই। বিএনপিকে যারা ভালোবাসেন তাদের সঙ্গে প্রতীক নিয়ে যারা জয়লাভ করবেন তাদের একটা নীতিগত পার্থক্য রয়েছে। দলের সমর্থক যারা স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়িয়েছেন তাদের কোনো সাপোর্ট দেয়া হয়নি। কারণ আমরা আগেও বলছি এখনও বলছি- আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি না।’

ইউপি ভোটে বিএনপির চমক চলছেই
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের ভোটেও বিএনপি নেতাদেরও জয়ের হার চোখে পড়ার মতো। গ্রাফিক্স: নিউজবাংলা

ফল সাজানো দাবি তৃণমূলের এক নেতার

রোববার নওগাঁয় ভোট হয়েছে মোট ২৬টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতেছেন ১১টি ইউনিয়নে। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপির নেতারা জিতেছেন ১০টিতে।

নওগাঁ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও পৌরসভার মেয়র নজমুল হক সনিও এই ফলাফলে কিছুটা অবাক। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেশ কিছু স্থানে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িতরা নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু এগুলো আওয়ামী লীগ সরকারের একটি রাজনৈতিক পলিসি। তারা বোঝাতে চাচ্ছে, নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হচ্ছে।’

জেলার ২৬টি ইউনিয়নেই বিএনপির এই কৌশলী প্রার্থী ছিল। স্বতন্ত্র পরিচয়ের বদলে যদি নেতারা ধানের শীষ নিয়ে অংশ নিতেন, তাহলে তৃণমূলের সমর্থকদের ভোট পেয়ে আরও বেশি ইউনিয়নে জিততে পারতেন কি না- এমন প্রশ্নে সনি বলেন, ‘আমি তো বললাম, বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হওয়াটা আওয়ামী লীগের আই ওয়াশ।’

তিনি বলেন, ‘যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন হতো এবং ধানের শীষ প্রতীকে মনোনীত প্রার্থীরা দেশের সব ইউনিয়নে সক্রিয়ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করত, তবে বিএনপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ে অবশ্যই বেশি এগিয়ে থাকত।’

ইউপি ভোটে বিএনপির চমক চলছেই
স্বতন্ত্র হওয়ায় বিভিন্ন প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে বিএনপি নেতারা। ছবি: নিউজবাংলা

বিএনপির সবচেয়ে বেশি জয় রাজশাহী বিভাগে

এই বিভাগে ফলাফল ঘোষিত হয়েছে মোট ১১৯টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে বিএনপি জয় পেয়েছে ২৬টিতে।

জেলাগুলোর মধ্যে বিএনপি নেতারা সবচেয়ে বেশি ১০টি ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন নওগাঁয়।

বিজয়ীরা হলেন আত্রাই উপজেলার আহসানগঞ্জ ইউনিয়নে শেখ মুনজুরুল আলম, মুনিয়ারীতে সম্রাট হোসেন, পাঁচুপুর ইউনিয়নে খবিরুল আলম এবং হাটকালুপাড়ায় আফজাল হোসেন।

ধামইরহাট উপজেলায় বিজয়ীরা হলেন আগ্রাদ্বিগুণে ইসমাইল হোসেন ও খেলনা ইউনিয়নে আল হিল মাহমুদ চৌধুরী।

মহাদেবপুর উপজেলার সফাপুরে সামসুল আলম বাচ্চু, হাতুড় ইউনিয়নে এনামুল হক, ভীমপুরে রাম প্রসাদ ভদ্র এবং উত্তরগ্রাম ইউনিয়নে হাসান আলী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বগুড়ায় ১৩ ইউনিয়নের মধ্যে ৭টিতে জয় পেয়েছেন দলটির নেতারা।

এর মধ্যে সদর উপজেলার এরুলিয়ায় ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আতিকুর রহমান আতিক, কাহালু উপজেলার বীরকেদায় ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক সেলিম উদ্দিন, কালাই ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জোবাইদুল ইসলাম সবুজ, মালঞ্চা ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থক নেছার উদ্দিন জিতেছেন।

নন্দীগ্রাম উপজেলার সদর ইউনিয়নে রেজাউল করিম কামাল, থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নে বিএনপির কর্মী আব্দুল মতিন এবং ভাটগ্রাম ইউনিয়নে যুবদল নেতা আবুল কালাম আজাদ নির্বাচিত হয়েছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাঁচটির মধ্যে চারটি ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান। এর মধ্যে নাচোলে চারটির মধ্যে তিনটিতেই জিতেছেন দলটির নেতারা।

তারা হলেন সদর ইউনিয়নে নাচোল উপজেলা বিএনপির সদস্য সফিকুল ইসলাম, ফতেপুরে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাদির আহম্মেদ এবং কসবা ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির সদস্য জাকারিয়া আল মেহরাব।

ভোলাহাট উপজেলার জামবাড়িয়ায় জিতেছে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আফাজ উদ্দিন পানু মিঞা।

পাবনায় চতুর্থ ধাপের ভোটে জিতেছেন বিএনপির তিনজন নেতা। এরা হলেন সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নে জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ওমর ফারুক ও সাদুল্লাহপুরে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল আলীম মোল্লা।

আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নে জিতেছেন উপজেলা বিএনপির সদস্য ফারুক হোসেন।

এ ছাড়া রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নে বিএনপি কর্মী মিজানুর রহমান এবং জয়পুরহাট সদর উপজেলার ধলাহার ইউনিয়নে বিএনপি নেতা তোজাম্মেল হক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

ইউপি ভোটে বিএনপির চমক চলছেই

দ্বিতীয় অবস্থানে রংপুর বিভাগ

এই বিভাগে ফল ঘোষণা হয়েছে মোট ১২৬টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে ১৮টিতে জয় পেয়েছেন বিএনপি নেতারা। একক জেলা হিসেবে দিনাজপুরে সবচেয়ে বেশি ৬টি ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন দলটির স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

এরা হলেন বীরগঞ্জ উপজেলার পাল্টাপুরে তহিদুল ইসলাম মাস্টার, খামারপাড়ায় আবু বক্কর সিদ্দিক চৌধুরী, ৫ নং ভাবকির রবিউল আলম তুহিন, গোয়ালডিহিতে সাখাওয়াত হোসেন লিটন, ভেড়ভেড়ী রিয়াজুল ইসলাম বাবুল ও মোহনপুরে শাহিনুর রহমান চৌধুরী শাহিন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ঠাকুরগাঁওয়ে জয় পেয়েছেন বিএনপির চার নেতা।

এরা হলেন সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নে জুলফিকার আলী ভুট্টো, জগন্নাথপুর ইউনিয়নে মোস্তাফিজুর রহমান লিটন, রহিমানপুরে আব্দুল হান্নান হান্নু এবং জামালপুরে মো. মুস্তাক।

গাইবান্ধাতেও বিএনপির চার নেতা জয় পেয়েছেন।

এরা হলেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়নে হাসানুর রহমান চৌধুরী ডিউক, রাজাহারে রফিকুল ইসলাম মাস্টার, কোচাশহরে জহুরুল হক জাহিদ ও হরিরামপুরে আজহারুল ইসলাম বিপ্লব।

রংপুরে তিনটি ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন বিএনপি নেতারা।

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার কালুপাড়ায় শহিদুল হক মানিক, দামোদরপুরে শেখ আবু বকর সিদ্দিক ও গঙ্গাচড়ার উপজেলার আলমবিদিতরে মোকাররম হোসেন সুজন জিতেছেন।

রংপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রইচ উদ্দিন বলেন, ‘নির্দলীয় ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমরা ৬০ থেকে ৬৫ ভাগ এলাকায় বিশাল ব্যবধানে বিজয়ী হব। তার প্রমাণ এই নির্বাচনে। দলীয় প্রতীক ছাড়াও আমাদের প্রার্থীরা বিভিন্ন এলাকায় বিজয়ী হয়েছেন।’

এ ছাড়া কুড়িগ্রামে রাজারহাট উপজেলার উমর মজিদ ইউনিয়নে জিতেছেন বিএনপি সমর্থিত আহসানুল কবির।

সংখ্যায় তৃতীয় ঢাকা বিভাগ

এই বিভাগে রোববার ফল ঘোষণা হয়েছে মোট ১৫২ ইউনিয়নে। এর মধ্যে বিএনপির নেতারা জিতেছেন মোট ১৭টিতে।

এর মধ্যে বিএনপির সবচেয়ে বেশি নেতা জিতেছেন কিশোরগঞ্জ জেলায়। সেখানে ৬টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন বিরোধী দলটির নেতারা।

এই ৬ জনের মধ্যে ৫ জনই আবার কটিয়াদী উপজেলার। এরা হলেন: মুমুরদিয়া ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন সাবেরি, মসূয়ায় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, লোহাজুড়ি ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি হায়দার এম রাজ্জাক মারুয়া, জালালপুর ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির সদস্য রফিকুল আলম এবং বনগ্রাম ইউনিয়নে স্থানীয় নেতা জসিম উদ্দিন।

হোসেনপুর উপজেলার সাহেদল ইউনিয়নে জিতেছেন উপজেলা বিএনপির নেতা ফিরোজ উদ্দিন।

তিনজন করে বিএনপি নেতা জিতেছেন মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর ও রাজবাড়ীতে।

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরীতে জিতেছেন ইউনিয়নে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস আর আনসারি বিল্টু, বালিয়াখোড়ায় জিতেছেন ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আওয়াল খান এবং সাটুরিয়া উপজেলার ফকুরহাটি ইউনিয়নে জিতেছেন বিএনপি কর্মী জিয়াউর রহমান।

রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নে কাজী শামসুদ্দিন, পাচুরিয়ায় মুজিবর রহমান রতন আর খানখানাপুরে জিতেছেন এ কে এম ইকবাল হোসেন।

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহায় সিরাজুল ইসলাম, সাতৈরে রাফিউল আলম মিন্টু এবং রূপাপাতে মিজানুর রহমান মোল্যা ওরফে সোনা মিয়া জিতেছেন, যারা বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত।

টাঙ্গাইলের সদরের হুগরা ইউনিয়নে জিতেছেন নূর ই আলম তুহিন আর মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুরচর ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন আওলাদ হোসেন।

ইউপি ভোটে বিএনপির চমক চলছেই

সিলেট বিভাগেও ভালো করেছেন বিএনপি নেতারা

এই বিভাগের চার জেলায় ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছে মোট ৮১টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে বিএনপির প্রার্থীরা জিতেছেন মোট ১৩ টিতে।

এর মধ্যে সুনামগঞ্জে চারটি ইউনিয়নে জিতেছেন বিএনপির নেতরা। এরা হলেন: জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নে রফিক মিয়া ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নে মো. ছবাব মিয়া।

দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নে আলী আহমদ ও সরমঙ্গল ইউনিয়নে মোয়াজ্জেম হোসেন বিজয়ী হয়েছেন যারা বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত।

মৌলভীবাজারেও বিএনপির চার নেতা জয় পেয়েছেন। এরা হলেন: সদর উপজেলার কনকপুরে রুবেল উদ্দিন, খলিলপুরে আবু মিয়া চৌধুরী ও নাজিরাবাদ ইউনিয়নে আশরাফ উদ্দিন।

রাজনগর উপজেলার রাজনগর সদর ইউনিয়নে জিতেছেন জুবায়ের আহমদ চৌধুরী।

সিলেটে বিএনপির তিন নেতা জয় পেয়েছেন। এরা হলেন: বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নে মাহবুবুর রহমান, মুল্লাপুর ইউনিয়নে আব্দুল মান্নান এবং ভাদেশ্বর ইউনিয়নে শামীম আহমদ।

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার লাখাই ইউনিয়নের আরিফ আহমেদ রুপন ও বানিয়াচংয়ের পৈলারকান্দিতে নাসির উদ্দিন জয় পেয়েছেন।

সিলেটের সমান জয় চট্টগ্রাম বিভাগে

এই বিভাগে মোট ১৫৫টি ইউনিয়নের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপির ১৩ জন নেতা জয়ী হয়েছেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কক্সবাজারে কোনো ইউনিয়নে জয় পাননি বিএনপির কোনো নেতা।

এক জেলায় সবচেয়ে বেশি বিএনপি নেতা জয় পেয়েছেন চাঁদপুরে। জেলায় ছয়জন নেতা চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন।

এর মধ্যে শাহরাস্তি উপজেলার জয় পেয়েছেন তিনজন। এই উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ১০টিতে।

এর মধ্যে মেহের উত্তর ইউনিয়নে জিতেছেন জহিরুল ইসলাম, চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নে জিতেছেন আলাম বেলাল, চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নে জিতেছেন জোবায়েদ কবির বাহাদুর‌।

হাজীগঞ্জ উপজেলার বিএনপির বিজয়ী তিন চেয়ারম্যান হলেন বাকিলা ইউনিয়নের মিজানুর রহমান, কালচোঁ দক্ষিণ গোলাম মোস্তফা ও পশ্চিম বড়কুল ইউনিয়নে নুরুল আমিন হেলাল।

কুমিল্লা ও লক্ষ্মীপুরে ২টি করে ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন বিএনপির নেতারা।

কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ৮ নং মালাপাড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন ও ৫ নং দুলালপুর ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনিছুর রহমান ভূইয়া রিপন।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নে জিতেছেন বিএনপির ওহিদুর রহমান আর কুশাখালীতে জিতেছেন কালা উদ্দিন মানিক।

চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও ফেনীতে একটি করে ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন বিএনপির নেতারা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নে জিতেছেন বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম।

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নে জিতেছেন বিএনপি নেতা জহিরুল আলম জহির।

নোয়াখালী সদর উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নে জিতেছেন ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আলম।

ইউপি ভোটে বিএনপির চমক চলছেই

ময়মনসিংহ বিভাগে জয় ৬টিতে

এই বিভাগে মোট ৫৩টি ইউনিয়নে ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপির নেতারা জিতেছেন মোট ৬টিতে।

চারটি জেলার মধ্যে শেরপুরে সবচেয়ে বেশি তিন বিএনপি নেতা জিতেছেন ভোটে। এরা হলেন শ্রীবর্দী উপজেলার ৪ নম্বর তাতিঁহাটি ইউনিয়নে আব্দুর রউফ মিয়া, ৭ নম্বর ভেলুয়া ইউনিয়নে আব্দুল ক‌রিম ও ৯ নম্বর কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়নে ফি‌রোজ খান নুন।

ময়মনসিংহ জেলায় জিতেছেন বিএনপির দুই নেতা। এরা হলেন: গৌরীপুর উপজেলার ১ নম্বর মইলাকান্দা ইউনিয়নের রিয়াদুজ্জামান রিয়াদ ও ৩ নম্বর অচিন্তপুর ইউনিয়নের জায়েদুর রহমান।

নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নে জিতেছেন আব্দুর রউফ স্বাধীন।

এই বিভাগের অন্য জেলা জামালপুরের যে ১২টি ইউনিয়নে রোববার ভোট হয়েছে, তাতে বিএনপির কেউ জিততে পারেননি।

খুলনা বিভাগের বিজয়ীরা

এই বিভাগে মোট ৭৮ ইউনিয়নে ফল ঘোষিত হয়েছে। এর মধ্যে মোট চারটি ইউনিয়নে বিএনপির নেতারা জিতেছেন।

এই চারজনের মধ্যে দুইজন আবার সাতক্ষীরা বিএনপির নেতা। এরা হলেন: শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নে মাসুদুল আলম ও পদ্মপুকুরে আমজাদুল ইসলাম।

বিজয়ী অন্য দুজন হলেন যশোরের অভয়নগর উপজেলার শুভরাড়া ইউনিয়নে জহুরুল হক এবং কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পান্টি ইউনিয়নে হাফিজুর রহমান হাফিজ।

ইউপি ভোটে বিএনপির চমক চলছেই
চতুর্থ ধাপের নির্বাচনেও বেশ কিছু এলাকায় ঘটেছে সহিংসতা। ছবি: নিউজবাংলা

বরিশাল বিভাগে শুধু একজন

এই বিভাগে রোববার ভোট হয়েছে মোট ১৭টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে বরিশাল ও ভোলা জেলায় বিজয়ীদের কেউ বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত নন। পটুয়াখালীতে জিতেছেন একজন। তিনি হলেন কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের মো. মজিবর রহমান।

প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন নিউজবাংলার বিভাগীয় ও জেলা প্রতিনিধিরা।

আরও পড়ুন:
দুই ভাইকে হারিয়ে চেয়ারম্যান ছোট ভাই
২ প্রার্থীর সামনে সংঘর্ষ, আহত ১৫
সিল মারা ২০০ ব্যালট পুকুরে
পরাজিত মেম্বার প্রার্থীকে ‘পিটিয়ে হত্যা’
ভোটে হার: ‘স্বতন্ত্রের গুলিতে’ আ.লীগ নেতা নিহত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Wish was that the corpse returned home to be a judge

ইচ্ছা ছিল বিচারক হওয়ার, বাড়িতে ফিরলেন লাশ হয়ে

ইচ্ছা ছিল বিচারক হওয়ার, বাড়িতে ফিরলেন লাশ হয়ে ঢাবি ছাত্রী আনিকা মেহেরুন্নেসা শাহি। ছবি: সংগৃহীত
পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেনের তিন মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন আনিকা মেহেরুন্নেসা শাহি। ২৪ বছরের এ তরুণী ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। তিনি ২০২০-২১ সেশনে ভর্তি হন ঢাবির দুর্যোগ বিজ্ঞান ও স্থিতিস্থাপকতা বিভাগে। এ বিভাগের পড়াশোনা শেষ করে আইনের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে বিচারক হতে চেয়েছিলেন আনিকা।

গত বছরের জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন আনিকা মেহেরুন্নেসা শাহি। তার ইচ্ছা ছিল এলাকায় বিচারক হয়ে ফেরার; ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার প্রতি উৎসাহ দেওয়ার। সে ইচ্ছা অপূর্ণ রেখে সোমবার লাশ হয়ে বাড়িতে ফিরলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এ ছাত্রী।

রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের একটি ছাত্রীনিবাস থেকে রবিবার রাতে ঝুলন্ত অবস্থায় আনিকাকে উদ্ধার করে নিউ মার্কেট থানা পুলিশ। সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।

আনিকার বাড়ি নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামে। সেখানে সোমবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, তার শতবর্ষী দাদা আলহাজ সোলাইমান আলী মণ্ডল হতভম্ব হয়ে এদিক-সেদিক দেখছেন। কান্না থামছিল না ফুফু আক্তার বানুর।

আনিকার এমন মৃত্যুতে বিস্মিত পরিবারের সদস্য ছাড়াও প্রতিবেশীরা চেয়েছেন ঘটনার রহস্য উদঘাটন।

পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেনের তিন মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন আনিকা মেহেরুন্নেসা শাহি। ২৪ বছরের এ তরুণী ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। তিনি ২০২০-২১ সেশনে ভর্তি হন ঢাবির দুর্যোগ বিজ্ঞান ও স্থিতিস্থাপকতা বিভাগে।

এ বিভাগের পড়াশোনা শেষ করে আইনের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে বিচারক হতে চেয়েছিলেন আনিকা।

গত বছর কোটা সংস্কার আন্দোলনে নওগাঁয় সম্মুখসারিতে ছিলেন আনিকা। পার্শ্ববর্তী জয়পুরহাট জেলায় মাইক হাতে অন্য সহপাঠীদের সঙ্গে সড়কে দাঁড়ান তিনি।

সুষ্ঠু তদন্ত দাবি

পরিবারসহ এলাকাবাসীর দাবি, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আনিকার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন হোক।

বকুল নামের একজন মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‌‘আমি গিয়ে দেখি আনিকার মরদেহ ফ্যানের সাথে ঝুলছিল, কিন্তু অর্ধেক মেঝেতে লেগে ছিল। আমার জানা মতে একটা ছেলের সাথে তার সম্পর্ক ছিল।

‘আমরা ঢাকায় আছি। তার বাবা পাগল হয়ে গেছে। তবে আমরা যখন যাই, তখন দেখি লক ভাঙা ছিল। মনে হয় তাকে কেউ নামানোর চেষ্টা করেছিল।’

বুটেক্স ছাত্র আটক

আনিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) এক ছাত্রকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

বাহিনীর ধারণা, প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন ঢাবির এ ছাত্রী। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, সেটি তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন:
অনিয়ম করে বীজ, সারের ডিলারশিপ কৃষি কর্মকর্তা, কলেজ প্রভাষকের
নওগাঁয় হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন
নওগাঁয় ধর্মঘটে বন্ধ পেট্রল পাম্প: কী বলছেন ভুক্তভোগীরা
ঢাকা থেকে নিখোঁজ স্কুলছাত্রী নওগাঁয় উদ্ধার
মেলা থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রাণ গেল তিন বন্ধুর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Dealership Agriculture Officer of the Seed Fertilizer by irregularities is a college lecturer

অনিয়ম করে বীজ, সারের ডিলারশিপ কৃষি কর্মকর্তা, কলেজ প্রভাষকের

অনিয়ম করে বীজ, সারের ডিলারশিপ কৃষি কর্মকর্তা, কলেজ প্রভাষকের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর ভবন। ছবি: নিউজবাংলা
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল বলেন, ‘ইউএনও, কৃষি অফিস যাচাই-বাছাই করে জেলা কমিটিকে প্রস্তাব পাঠাই। তারপর অনুমোদন দেওয়া হয়। সরকারি চাকরি করে বিএডিসি কিংবা বিসিআইসির ডিলারশিপ লাইসেন্স নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পূর্ব অনুমতিও নিতে পারত এ ক্ষেত্রে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।’

নওগাঁয় অনিয়ম করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিইসি) বীজ ও সারের ডিলারশিপ নিয়েছেন সরকারি কলেজের প্রভাষক ও কৃষি কর্মকর্তা। তাদের স্বজনদেরও একই সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন তারা।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা-২০০৯ অনুসারে, একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়ে অন্য কোথাও থেকে কোনো ধরনের সুযোগ- সুবিধা নেওয়ার বিধান নেই। একই সঙ্গে একজন ব্যক্তি একের অধিক ডিলারশিপ নিতে পারবেন না।

অন্যদিকে আচরণ বিধিমালার ১৭ (১) নম্বর ধারায় বলা হয়, ‘এই আইনের অন্য বিধান অনুসারে, কোনো সরকারি কর্মচারী সরকারের পূর্ব অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যবসায় জড়াতে পারবেন না অথবা দায়িত্বের বাইরে অন্য কোনো কাজ কিংবা চাকরি নিতে পারবেন না।’

অনিয়মে যুক্তদের ভাষ্য

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ী নওগাঁতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন ফজলে রাব্বি। তিনি তার স্ত্রী সম্পা বেগমের নামে বিএডিসির বীজের লাইসেন্স বাগিয়ে নিয়ে কৌশলে ডিলারশিপ বিক্রি করে খাচ্ছেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনই নওগাঁ শহরে বসবাস করলেও তারা পোরশা উপজেলায় ‘সাইফ ট্রেডার্স’ নামের ঠিকানা ব্যবহার করে লাইসেন্স নিয়ে রেখেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সম্পা বেগম তার নামে লাইসেন্স স্বীকার করে বলেন, ‌‘আমি নওগাঁ বসবাস করলেও পোরশায় আমার দোকান রয়েছে। ওখানে একটি ছেলে আছে। সে দোকান চালায়।’

দোকানের ঠিকানা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী রাব্বি নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে চাকরি করেন। তিনি সব বলতে পারবেন।’

সাইফ ট্রেডার্স নামের কোনো দোকান পোরশা বাজারে পাওয়া যায়নি। দোকানের সঠিক ঠিকানা কোথায় জানতে চাইলে সম্পা কোনো সদুত্তর না দিয়ে কথা না শোনার ভান করে ফোনের সংযোগ কেটে দেন। এরপর একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফজলে রাব্বির কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই লাইসেন্সটা আমার স্ত্রী সম্পার নামে করা আছে।’

নিয়মিত বীজ তোলেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ভাই অফিসে আসেন, চা খেয়ে যান। আপনাদের অনেক সাংবাদিক আসে; চা খেয়ে যায়।

‘সবার সাথে আমার ভালো সম্পর্ক। আপনি অফিসে আসেন, চা খেয়ে যান।’

ওই বক্তব্যের পর সংযোগটি কেটে দেন তিনি।

এদিকে জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার মেসার্স জিমান ট্রডার্স নামে নিয়ামতপুর সরকারি কলেজের প্রভাষক ফারুক হোসেন নিয়ে রেখেছেন বিএডিসির সার লাইসেন্সের ডিলারশিপ। প্রোপাইটারে জায়গায় রয়েছে তার নিজের নাম।

তার ছেলে জিমানের নামে নিয়ামতপুর বাজারে রয়েছে দোকান। নিয়মিত বিএডিসির সার ও বীজ তুলে বিক্রি করেন তিনি।

এ বিষয়ে নিয়ামতপুর সরকারি কলেজের প্রভাষক ফারুক হোসেন বলেন, ‘লাইসেন্সটা অনেক আগে করা ছিল। তখন আমার কলেজ সরকারি হয়নি। ২০১৮ সালে আমার কলেজ সরকারি হয়েছে।’

‘তাহলে দীর্ঘ সাত বছর ধরে সরকারি ডাবল সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছেন। এটার সুযোগ রয়েছে কী?’

উল্লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই একাধিক জায়গা হতে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার সুযোগ নেই। এটা আমার অন্যায় হয়েছে। আমি তিন মাস আগে ডিসি অফিসে লাইসেন্স বাতিলের আবেদন জানিয়েছি।’

এদিকে ধারাবাহিকভাবে গত মাসেও সরকারি গুদাম থেকে সার তুলেছেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘লাইসেন্সটা আমার ছেলের নামে হস্তান্তর করা হবে। তার প্রক্রিয়া চলছে।’

অপরদিকে ধামইরহাট উপজেলার ধামইরহাট সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক তৌহিদুল ইসলাম তার নিজ নামে নিয়ে রেখেছেন বিসিআইসির সার ডিলারশিপ। সরকারি গুদাম থেকে নিয়মিত সার তুলে উপজেলার আমাইতাড়া বাজারে বিক্রি করছেন তিনি।

এ বিষষে জানতে ধামইরহাট সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক তৌহিদুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘আসলে ওটা অনেক আগে করা হয়েছিল। পরে আমার কলেজ সরকারীকরণ হয়।

‘সরকারি একাধিক জায়গা হতে সুবিধা নেওয়ার বিষয়টি বেআইনি হয়েছে। আমি লাইসেন্সটা ট্রান্সফার করে দেব।’

‘আপনি তো এখনও নিয়মিত সার তোলেন।’ এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘আসলে এখন ইরি-বোরো মৌসুম চলছে তো। তাই একটু তুলতেছি।’

যা বলছেন দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা

ডিলারশিপের বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সরকারি চাকরি করে বিএডিসি কিংবা বিসিআইসির ডিলারশিপ লাইসেন্স নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তারা এটা করতে পারে না।’

‘আপনার অধিদপ্তরে এমন অনেকে রয়েছে। তাহলে তাদের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে?’

এমন প্রশ্নে প্রোগ্রামের ব্যস্ততার কথা বলে ফোন লাইন কেটে দেন এ কর্মকর্তা।

বিষয়টি নিয়ে কথা হলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল বলেন, ‘ইউএনও, কৃষি অফিস যাচাই-বাছাই করে জেলা কমিটিকে প্রস্তাব পাঠাই। তারপর অনুমোদন দেওয়া হয়।

‘সরকারি চাকরি করে বিএডিসি কিংবা বিসিআইসির ডিলারশিপ লাইসেন্স নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পূর্ব অনুমতিও নিতে পারত এ ক্ষেত্রে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।’

আরও পড়ুন:
নওগাঁয় হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন
নওগাঁয় ধর্মঘটে বন্ধ পেট্রল পাম্প: কী বলছেন ভুক্তভোগীরা
ঢাকা থেকে নিখোঁজ স্কুলছাত্রী নওগাঁয় উদ্ধার
মেলা থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রাণ গেল তিন বন্ধুর
গলা কেটে হত্যা: দাফন-কাফনে সহযোগিতা করেও হলো না রক্ষা

মন্তব্য

জমিদার বাড়িতে ডাকাত আতঙ্ক

জমিদার বাড়িতে ডাকাত আতঙ্ক কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার গাঙ্গাটিয়া জমিদার বাড়ি। ছবি: নিউজবাংলা
গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে বাড়িটিতে অজ্ঞাত কয়েকজন মুখোশধারী হানা দেয়। বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে চারজনকে দেখা যায়।

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার গাঙ্গাটিয়া জমিদার বাড়িতে ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছে।

অজ্ঞাত মুখোশধারীরা গত রবিবার রাতের বেলায় জমিদার বাড়ির পুরোহিতকে ধরে নিয়ে জঙ্গলে বেঁধে রাখে। টাকা-পয়সা এবং জমিদারেরও খোঁজ করে তারা।

এমন পরিস্থিতিতে ডাকাত আতঙ্কে রয়েছেন বাড়ির লোকজন।

মুখোশধারীরা ঘণ্টা তিনেক ধরে বাড়িটির বিভিন্ন কক্ষ ও আশপাশে তল্লাশি চালানোর কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ এসেছে এ প্রতিবেদকের হাতে।

এতে দেখা যায়, রবিবার রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে জমিদার বাড়ির পুরোহিত বাদল ভট্টাচার্য ও তার স্ত্রী নেলী চক্রবর্তী ঘর থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রথমে দুজন মুখোশধারী ধরে জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে গাছের সঙ্গে পুরোহিতকে বেঁধে ফেলে।

জমিদার বাড়ির পুরোহিত বাদল ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাতে ঘুমানোর আগে স্ত্রীকে নিয়ে বের হয়েছিলাম। এর মধ্যেই দুজন মুখোশধারী আমাদেরকে ধরে বাড়ির পাশে জঙ্গলে নিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। এ সময় মুখোশধারীরা জমিদার কোন ঘরে জানতে চায়। সিন্দুকের খোঁজও চায় তারা।

‘বাড়ির তিন তলায় ওঠার চেষ্টাও করে। ঘণ্টা তিনেক ধরে বাড়িটির বিভিন্ন কক্ষ ও আশেপাশে তল্লাশি চালায়।’

বাড়ির কেয়ারটেকার স্বপন সাহা বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবত জমিদার বাড়িতে চাকরি করছি। দেশের বিভিন্ন জায়গার লোকজন এখানে ঘুরতে আসেন। পুরো বাড়ি তাদের ঘুরে দেখানোর পাশাপাশি বিভিন্নভাবে তাদের সহযোগিতা করি।

‘কিন্তু অতীতে এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি। এই ঘটনার পর থেকে বাড়ির লোকজন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।’

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের গাঙ্গাটিয়া জমিদার বাড়িটিতে জমিদারের একমাত্র শেষ বংশধর মানবেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী চৌধুরী বসবাস করছেন। নিঃসন্তান ব্যক্তিটির স্ত্রী কিছুদিন আগে লোকান্তরিত হন। বাড়িটিতে বর্তমানে তিনি ছাড়া কয়েকজন কর্মচারী ও পুরোহিত অবস্থান করছেন।

গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে বাড়িটিতে অজ্ঞাত কয়েকজন মুখোশধারী হানা দেয়। বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে চারজনকে দেখা যায়।

বাড়ির মালিক মানবেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী চৌধুরী বলেন, ‘মুখোশধারীরা হয়তো ধনদৌলত নিতে কিংবা আটকে রেখে টাকা-পয়সা দাবি করতে চেয়েছিল। তবে বাড়ির লোকজন সজাগ হয়ে যাওয়ার মুখোশধারীরা সেটা করতে পারেনি।’

জানতে চাইলে হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
তাড়াইলে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত: পুলিশ
নোয়াখালীর বয়ারচরে ডাকাতদলের তাণ্ডব, আটজনকে কুপিয়ে জখম
বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও জমিতে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ বীর মুক্তিযোদ্ধার
প্যারোলে মেলেনি মুক্তি, বাবার জানাজায় অংশ নিতে পারেননি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান
জামালপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে নিহত ১, আটক ২

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Petrol Pumps closed in Naogaon strike What the victims say

নওগাঁয় ধর্মঘটে বন্ধ পেট্রল পাম্প: কী বলছেন ভুক্তভোগীরা

নওগাঁয় ধর্মঘটে বন্ধ পেট্রল পাম্প: কী বলছেন ভুক্তভোগীরা ধর্মঘটে বুধবার সকাল ৮টা থেকে নওগাঁর সব পেট্রল পাম্প বন্ধ রয়েছে, যার ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন চালকরা। কোলাজ: নিউজবাংলা
আবদুল মান্নান নামের এক বাইকচালক বলেন, ‘আমি জানতাম না পেট্রল পাম্প মালিকদের ধর্মঘট চলছে। পেট্রল পাম্পে এসে দেখি পাম্প বন্ধ। তেল দেওয়া হচ্ছে না। এখন তেল ছাড়া আমরা কীভাবে চলি? আগে জানানো হলে তাও সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যেত।’

বিনা নোটিশে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ, বগুড়ার আকস্মিক উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে ‘বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর্স, এজেন্টস এবং পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, রাজশাহী বিভাগ’ সব পেট্রল পাম্প বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করছে।

এ ধর্মঘটে বুধবার সকাল ৮টা থেকে নওগাঁর সব পেট্রল পাম্প বন্ধ রয়েছে, যার ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন চালকরা।

কী বলছেন ভুক্তভোগীরা

যানবাহন না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী লোকজনও। তাদের একজন বেসরকারি সিম কোম্পানির কর্মী আল-আমিন।

তিনি বলেন, ‘বাসা থেকে সকাল সাড়ে আটটায় মোটরসাইকেল নিয়ে অফিসে যাওয়ার পথে তেল শেষ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে আধা কিলোমিটার ঠেলে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় পেট্রল পাম্পে নিয়ে আসি।

‘পাম্প বন্ধ থাকায় আবার ঠেলে নিয়ে চলে যেতে হয়। হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত ঠিক নয়। আমাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’

আবদুল মান্নান নামের এক বাইকচালক বলেন, ‘আমি জানতাম না পেট্রল পাম্প মালিকদের ধর্মঘট চলছে। পেট্রল পাম্পে এসে দেখি পাম্প বন্ধ। তেল দেওয়া হচ্ছে না।

‘এখন তেল ছাড়া আমরা কীভাবে চলি? আগে জানানো হলে তাও সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যেত।’

নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে অবস্থিত মেসার্স সাকিব ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘অনেকেই অফিসগামী মোটরসাইকেল আরোহী ও জ্বালানিচালিত বিভিন্ন যানবাহনগুলো পাম্পে এসে বন্ধ থাকায় ফিরে যেতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে যানবাহন চালকদের। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চান যানবাহন চালকরাও।

‘বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর্স, এজেন্টস এবং পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, রাজশাহী বিভাগ’ সকল পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। তাই আমাদেরও বন্ধ রাখতে হয়েছে।’

প্রেক্ষাপট

পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, রাজশাহীর নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে সওজ বগুড়া। ওই সময় সান্তাহারের হামিম ফিলিং স্টেশন ও আনিকা ফিলিং স্টেশনে তেলের মিটার উচ্ছেদ করা হয়।

তারা জানান, পূর্বঘোষণা, নোটিশ বা আনুষ্ঠানিক চিঠি না দিয়ে এ উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে ‘বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর্স, এজেন্টস এবং পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, রাজশাহী বিভাগ’ সব পেট্রল পাম্প বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
ডাকাতি করতে এসে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় সাতজন গ্রেপ্তার
শৈত্যপ্রবাহ: নওগাঁয় এক দিনে তাপমাত্রা কমল ৬.৪ ডিগ্রি
নওগাঁয় বিএনপির দুই নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার
সিলেটে কর্মবিরতির ডাক পরিবহন শ্রমিকদের
১৮ ডিসেম্বর বিজয়ের পতাকা ওড়ে নওগাঁর আকাশে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The bus fares increased by the train closed more than doubled

ট্রেন বন্ধে বাস ভাড়া বাড়ল দ্বিগুণের বেশি

ট্রেন বন্ধে বাস ভাড়া বাড়ল দ্বিগুণের বেশি ট্রেন না পেয়ে খুলনা থেকে দূরপাল্লার যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ছবি: নিউজবাংলা
শ্রমিকদের একজন সান্তনু বলেন, ‘সকাল থেকে আমরা কয়েকজন এখানে এসে বসে আছি। কয়েকজন গিয়ে বাসের খোঁজ নিয়েছে; কোনো ব্যবস্থা হয়নি। অতিরিক্ত ভাড়ায় আমরা যেতে পারছি না। বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করে দেখি ট্রেন চালু হয় কি না। না হলে সন্ধ্যার দিকে বাসে করে রওনা দেব।’

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে যাতায়াতের জন্য বিপুলসংখ্যক মানুষ ট্রেন ব্যবহার করেন। হঠাৎ করে রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতিতে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার সুযোগে বাসের ওপর বাড়তি যাত্রীর চাপ বেড়েছে। ফলে অস্বাভাবিকভাবে বাসের টিকিটের মূল্য বেড়ে গেছে।

খুলনা থেকে নওগাঁ যাওয়ার জন্য সকালে রেলওয়ে স্টেশনে এসেছিলেন কয়েকজন শ্রমিক।

তারা জানান, খুলনা থেকে নওগাঁ যেতে তারা সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে কোনো টিকিট পাননি। বাসে দাঁড়িয়ে যেতে হবে। তাতে ভাড়া গুনতে হবে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। এ পথে নিয়মিত ভাড়া ৫০০ টাকার বেশি নয়।

শ্রমিকদের একজন সান্তনু বলেন, ‘সকাল থেকে আমরা কয়েকজন এখানে এসে বসে আছি। কয়েকজন গিয়ে বাসের খোঁজ নিয়েছে; কোনো ব্যবস্থা হয়নি।

‘অতিরিক্ত ভাড়ায় আমরা যেতে পারছি না। বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করে দেখি ট্রেন চালু হয় কি না। না হলে সন্ধ্যার দিকে বাসে করে রওনা দেব।’

সান্তনুর মতো অনেক দূরপাল্লার যাত্রীকে খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তবে স্বল্প দূরত্বের যাত্রীরা বাসে করে গন্তব্যে চলে যাচ্ছেন।

খুলনা থেকে উত্তরবঙ্গে দৈনিক একাধিক ট্রেন যাতায়াত করে। এর মধ্যে কপোতাক্ষ ও সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস খুলনা থেকে রাজশাহী, রূপসা ও সীমান্ত এক্সপ্রেস খুলনা থেকে চিলাহাটি, মহানন্দা এক্সপ্রেস খুলনা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রকেট এক্সপ্রেস খুলনা থেকে পার্বতীপুর, নকশীকাঁথা এক্সপ্রেস খুলনা থেকে গোয়ালন্দ ঘাট, বেনাপোল ও মোংলা কমিউটার খুলনা থেকে বেনাপোল যাতায়াত করে।

এ ছাড়া সুন্দরবন ও চিত্রা এক্সপ্রেস খুলনা থেকে ঢাকাতে যাতায়াত করে। মঙ্গলবার সকাল থেকে এর মধ্যে কোনো ট্রেন স্টেশন ছেড়ে যায়নি। ফলে হাজার হাজার হাজার যাত্রী স্টেশনে এসে ফিরেছেন।

রেলওয়ের রানিং স্টাফরা মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন সুবিধা পুনর্বহালের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে এ সুবিধা সীমিত করা হয়।

ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত বুধবার রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন ২৭ জানুয়ারির মধ্যে দাবি পূরণের আলটিমেটাম দেয়। দাবি পূরণ না হওয়ায় সোমবার মধ্যরাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন তারা।

খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘সোমবার রাত ১২টা থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ। আজ কোনো ট্রেন চলেনি। টিকিট বুকিং দেওয়া যাত্রীদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।’

এ সমস্যার সমাধান কবে হবে, তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।

আরও পড়ুন:
ট্রেনের বিকল্প হিসেবে বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু
বাকৃবি: ১০ হাজার মানুষের জন্য চিকিৎসক আটজন
ট্রেনযাত্রীদের অধিকার রক্ষার ১০ দফা দাবিতে গণস্বাক্ষর
এডিপি বাস্তবায়নে সরকারের নজর ছোট ও গণমুখী প্রকল্পে
প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিমা সুবিধা দেবে ‘আমি প্রবাসী’ ও গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The trial is going on in the court of Jhalkathi

ঝুঁকি নিয়ে বিচারকাজ চলছে ঝালকাঠির আদালতে

ঝুঁকি নিয়ে বিচারকাজ চলছে ঝালকাঠির আদালতে ঝালকাঠির আদালত ভবনের বাইরের এবং ভেতরের ঝুঁকিপূর্ণ অংশ। কোলাজ: নিউজবাংলা
আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট ফয়সাল বলেন, ‘ড্যামেজড ভবনে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে চলছে বিচারিক কার্যক্রম। ইতোপূর্বে জরাজীর্ণ আদালত ভবনের ছাদের ও দেয়ালের আস্তর খসে অনেকের ওপর পড়েছে।’

দীর্ঘদিনেও টেকসই সংস্কার না হওয়ায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে নব্বইয়ের দশকে নির্মিত ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনটি।

এমন পরিস্থিতিতে চরম ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে বিচারক, আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী ও আদালতে কর্মরতদের।

সংশ্লিষ্ট উচ্চপদস্থদের অবহিত করে গণপূর্ত বিভাগের ঝালকাঠি অফিস ২০১৯ সালে চিঠি চালাচালি করলেও বিষয়টি এখনও ফাইলবন্দি।

ভবনটি দ্রুত সময়ের মধ্যে টেকসই সংস্কার অথবা পুনর্নির্মাণের দাবি আদালত সংশ্লিষ্ট আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের।

ঝালকাঠি গণপূর্ত বিভাগ ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর জরাজীর্ণ জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে ৫ নভেম্বর বরিশালের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বরাবর পরিদর্শন প্রতিবেদন পাঠান।

ভবন পরিদর্শনকালে তিনজন উপসহকারী প্রকৌশলী, গণপূর্তের ঝালকাঠির নির্বাহী প্রকৌশলী এবং ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ উপস্থিত ছিলেন। ওই প্রতিবেদনের একটি কপি সংগ্রহ করেছে নিউজবাংলা।

কী ছিল পরিদর্শন কপিতে

ঝালকাঠি গণপূর্তের উপসহকারী প্রকৌশলী অনিরুদ্ধ মন্ডল, মো. বদরুজ্জামান, মো. ইমরান বিন কালাম এবং নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুল্লাহ আল-মাসুম স্বাক্ষরিত ওই পরিদর্শন কপিতে উল্লেখ করা হয়, ‘ভবনটির দুই তলায় করিডোরের বেশ কিছু স্থানে ছাদের কনক্রিট স্প্যানিং হয়ে খসে পড়ছে। এ ছাড়াও নলছিটি কোর্ট রুমের পরিদর্শনকারীদের বসার ওপরের ছাদের অংশ খসে পড়েছে। এ সমস্ত স্থানে মরিচা পড়ে রড উন্মুক্ত হয়ে আছে। দ্বিতীয় তলা এবং নিচ তলার করিডোরের বেশ কিছু বিম ও কলামে ফাটল লক্ষ করা গেছে।

‘ভবনটির নিচ তলায় হাজতখানার ছাদের বেশ কিছু অংশসহ করিডোরের বিভিন্ন অংশে ছাদের কনক্রিট স্প্যানিং হয়ে খসে পড়েছে। এসব স্থানেও মরিচা পড়ে রড বের হয়ে আছে। নিচ তলার বিভিন্ন কলাম এবং বিমের ফাটল লক্ষ করা গেছে। কিছু স্থানে কলাম ফেটে রড বের হয়ে গেছে।’

পরিদর্শন প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ‘ভবনটির দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত ১৯৮৯-৯০ সালে নির্মাণ করা হয়েছে। পরবর্তীকালে ২০০৪-০৫ সালে তৃতীয় তলার উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ভবনের বিভিন্ন স্থানে বিম কলামে ফাটল থাকায় এবং ছাদের কনক্রিট খসে পড়ায় বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
‘এমতাবস্থায়, উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট গণপূর্ত ডিজাইন বিভাগের মতামতসহ পরবর্তী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রয়োজন।’

প্রতিটি কক্ষই ঝুঁকিপূর্ণ

সম্প্রতি জজ আদালত ভবনটি ঘুরে দেখা যায়, ভবনের ছাদের ওপর থেকে খসে খসে পড়ছে পলেস্তারা। ফাটল ধরেছে অনেক পিলারেও। ভারি বৃষ্টি এলেই ছাদ ও দেয়াল চুষে পানি পড়ে মেঝেতে। নষ্ট হয়ে যায় প্রয়োজনীয় নথিপত্র।

দীর্ঘদিনেও টেকসই সংস্কার না হওয়ায় তিন তলা ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। বিচারকের এজলাস, খাসকামরা, পেশকার, সেরেস্তাদারের কক্ষ, নকল কক্ষ, হাজতখানাসহ প্রতিটি কক্ষই ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যেই চলছে আদালতের কার্যক্রম। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

যা বলছেন আদালত সংশ্লিষ্টরা

আদালতের জরাজীর্ণ অবস্থার বিষয়ে কথা হয় আবদুর রহমান, তৈয়ব আলী, কামরুল ইসলাম, মুরাদ হোসেনসহ বেশ কয়েকজন বিচারপ্রার্থীর সঙ্গে।

তাদের একজন বলেন, ‘আদালত ভবনের ভিতরে প্রবেশের পর কার্যসম্পাদন করে বের হওয়া পর্যন্ত আমরা থাকি আতঙ্কে। প্রায় সময়ই ছাদের পলেস্তারা খসে নিচে পড়ে।

‘বর্ষায় তো বারান্দায় পানি জমে যায়। দেয়ালে পানি চুষে অনেক ফাইল নষ্ট হয়ে যায়।’

আইনজীবী মানিক আচার্য্য বলেন, ‘ভবনটি ধীরে ধীরে ঝুঁকিপূর্ণ হলেও তার সংস্কার করছে না কর্তৃপক্ষ। বিচারকরা যদি ভালো পরিবেশে বিচারকার্য পরিচালনা করতে না পারে, তাহলে বিচারকার্যে মনোনিবেশও করতে পারেন না।

‘ঝালকাঠির বিচারপ্রার্থী, আইনজীবীসহ সকলেই আমরা এ ভোগান্তিতে রয়েছি। বিভিন্ন সময়ে উচ্চপদস্থদের বিষয়টি অবগত করলেও এখনও কোনো ভূমিকা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।’

আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট ফয়সাল বলেন, ‘ড্যামেজড ভবনে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে চলছে বিচারিক কার্যক্রম। ইতোপূর্বে জরাজীর্ণ আদালত ভবনের ছাদের ও দেয়ালের আস্তর খসে অনেকের ওপর পড়েছে।

‘আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা এবং নতুন ভবন নির্মাণ অথবা টেকসই সংস্কারের জন্য গণপূর্তের চিঠি চালাচালি হলেও দীর্ঘদিনেও কোনো ব্যবস্থা নেয়ার খবর পাইনি। জনস্বার্থে দ্রুত নতুন আদালত ভবন নির্মাণ জরুরি।’

আইনজীবী আক্কাস সিকদার বলেন, ‘বর্তমানে এ আদালতে ১৬ হাজার দেওয়ানি মামলা এবং দেড় হাজার ফৌজদারি মামলা চলমান। ইতোপূর্বে জরাজীর্ণ আদালত ভবনের ছাদের ও দেয়ালের আস্তর খসে অনেকের ওপর পড়েছে।

‘আদালত ভবনের নিচ তলায় হাজতখানার পশ্চিম দিকে মসজিদের সামনে একাধিকবার ধসে পড়েছে ছাদের অংশ। এখন এই ভবন অস্থায়ী সংস্কার না করে এটি ভেঙে এখানে নতুন ভবন করা উচিত।’

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘নব্বই দশকে দোতলা জজ আদালত ভবনটি নির্মাণের পর ২০০৬ সালে এর ওপর আরও এক তলা বর্ধিত করে তৃতীয় তলায় উন্নীত করা হয়। বর্তমানে নিচ তলার অনেক পিলারে ফাটল ধরেছে। ভবনটি জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আদালতের স্টাফ, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা রয়েছেন আতঙ্কে।

‘হাজতখানা সরিয়ে পার্শ্ববর্তী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনে নেওয়া হয়েছে। ভবনে আগতদের নিরাপত্তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। দ্রুত এটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।’

জরাজীর্ণ ভবনের বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগ ঝালকাঠির সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফয়সাল আলম ও বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী আমানুল্লাহ সরকার একই ধরনের বক্তব্য দেন।

তাদের একজন বলেন, ‘ভবন পরিদর্শনের রিপোর্ট ২০১৯ সালে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে নতুন ভবনের জন্য সম্ভাব্য বাজেট তৈরি করা হয়েছে, যা বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে আছে।

‘সেখান থেকে অর্ডার হলেই গণপূর্ত বিভাগ টেন্ডার প্রক্রিয়াসহ অন্যান্য কার্যসম্পাদন করবে।’

ক্যাপশন: ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবন। ছবি: নিউজবাংলা

ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের ভেতরের জরাজীর্ণ অংশ। ছবি: নিউজবাংলা

আরও পড়ুন:
ঝালকাঠিতে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, ধারণা পুলিশের
স্কুলের পাশে ইটভাটা, ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস পরিবেশ কর্মকর্তার
ওকালতনামা না থাকায় চিন্ময়ের পক্ষে ঢাকার আইনজীবীর ৩ আবেদনই নাকচ
ধাক্কা দিয়ে পথচারীর সঙ্গে প্রাণ হারালেন বাইক চালকও
‘আজ সেই দুষ্টু লোকেরা কোথায়?’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Allegations of trying to rehabilitate the absconding chairman of Awami League

আওয়ামী লীগের পলাতক চেয়ারম্যানকে পুনর্বাসনের চেষ্টার অভিযোগ

আওয়ামী লীগের পলাতক চেয়ারম্যানকে পুনর্বাসনের চেষ্টার অভিযোগ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুকানপুকুরী ইউনিয়ন পরিষদের গেট। ছবি: নিউজবাংলা
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, ‌‘আবেদনসহ অন্যান্য কাগজ আমি পেয়েছি। উভয় পক্ষকে ডেকে শুনানি করা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনো কৌশলগত বিষয় আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে। তবে নিয়ম-বহির্ভূত কাউকে পুনর্বাসন করার সুযোগ নেই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুকানপুকুরী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) আওয়ামী লীগের পলাতক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমানকে কৌশলে পুনর্বাসনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্যানেল চেয়ারম্যান-২ এরশাদ আলীসহ স্থানীয় একাধিক রাজনীতিক ও কিছু ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।

গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন ৫ আগস্ট এ ইউপি চেয়ারম্যান পরিষদ ছেড়ে পালিয়ে যায়।

জনসেবা অব্যাহত রাখতে নিয়ম অনুসারে ইউপি সদস্য সুমন রানাকে প্যানেল চেয়ারম্যান-১ করে বাকি প্যানেল গঠন করা হয়।

বর্তমানে ইউপিতে নাগরিক সেবা অব্যাহত থাকলেও প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কৌশলে অনাস্থা এনে এরশাদ আলীসহ অন্যরা পলাতক চেয়ারম্যানকে পুনর্বাসনের চেষ্টায় আছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

তাদের ভাষ্য, সম্প্রতি কৌশল জানাজানি হলে ইউনিয়নবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এমন বাস্তবতায় যেকোনো সময় ওই ইউনিয়নে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।

পলাতক চেয়ারম্যানকে পুনর্বাসনের ‘কৌশল’

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, প্রথমে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক বরাবর শুকানপুকুরী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ সুমন রানার বিরুদ্ধে অনাস্থার প্রস্তাব এনে একটি আবেদন জমা দেওয়া হয়। সেখানে প্যানেল চেয়ারম্যান-১ সুমন রানার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ উল্লেখ করা হয়। এতে স্বাক্ষর করেন ৯ জন ইউপি সদস্য।

পরে সেই আবেদনের জের ধরে ১৩ জানুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডের পাতায় প্যানেল চেয়ারম্যান-২ মো. এরশাদ আলী স্বাক্ষরিত এক পাতার একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের রেজুলেশন ও অপর একটি পাতায় আটজন ইউপি সদস্যের স্বাক্ষর সংবলিত পাতা সংযুক্ত করা হয়। এ পাতায় সভার স্থান দেখানো হয় ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে।

ওই রেজুলেশনে বলা হয়, ‘অদ্যকার অত্র আলোচনায় শুকানপুকুরী ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমানের (পলাতক) মাধ্যমে ইউপির সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা ও সভায় বিস্তর আলোচনা করা হয়। এরপর সভার সভাপতি প্যানেল চেয়ারম্যান-২ এরশাদ আলীর উপস্থিতিতে সদস্যদের জানান, প্যানেল চেয়ারম্যান-১ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে স্বেচ্ছাচারিতা করে আসছেন, যা জেলা প্রশাসকের বরাবরে অনাস্থার প্রস্তাব আনয়ন করি।

‘তাই ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আনিছুর রহমানের (পলাতক) মাধ্যমে সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা তথা জনসেবা অব্যাহত রাখা একান্ত জরুরি মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন।’

রেজুলুশনে উল্লেখ করা হয়, সর্বসম্মতিক্রমে পলাতক চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা তথা জনসেবা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়।

প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে দুই ইউপি সদস্যের ভাষ্য

কারণ জানতে এ প্রতিবেদক যোগাযোগ করেন অনাস্থা কাগজে স্বাক্ষর করা দুজন ইউপি সদস্যের সঙ্গে। তারা হলেন মো. আমজাদ ও ধর্ম নারায়ণ রায়।

ইউপি সদস্য আমজাদ বলেন, ‘৪ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে আমার বাড়ির সামনে স্থানীয় সাবেক দুজন সদস্য মোটরসাইকেল নিয়ে আসেন। তারা আমাকে কৌশলে ইউনিয়ন বিএনপির নেতা তরিকুল ইসলামের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি অন্যান্য ইউপি সদস্যরাসহ বিএনপির ইউনিয়ন পর্যায়ের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত। রাতের খাবারের বিশাল আয়োজনও করা হয়েছে। আমি কোন কিছু বুঝে উঠতে পারছিলাম না।

‘পরে জানানো হলো, আমাকে বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে স্বাক্ষর করতে হবে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে, তা মিথ্যা। তিনি খুব ভালোভাবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। এসবই আলোচনা হচ্ছে। এরপর এক প্রকার জোর করেই আমাকে রাতের খাবার খাওয়ানো হলো এবং পরিস্থিতির কারণে বাধ্য হয়ে স্বাক্ষর করতে হলো। কিন্তু আমি সিলমোহর দিইনি।’

ইউপি সদস্য ধর্ম নারায়ণ রায় বলেন, ‘একই তারিখে স্থানীয় বাসিন্দা তোষর এবং রফিকুল আমাকে একটা জায়গায় সমস্যার কথা বলে কৌশলে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলামের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি বিএনপির অন্যান্য রাজনীতিক নেতাসহ অন্যান্য ইউপি সদস্যরা রয়েছেন। আমাকে রাতের খাবারের জন্য বারবার বলা হচ্ছে। কিন্তু কী কারণে এত আদর-আপ্যায়ন, বুঝতে পারছিনা। জিজ্ঞাসা করলেও কোনো উত্তর পাই না।

‘সমাজ রক্ষার্থে সকলের সাথে রাতের খাবার খেলাম। এরপর আমাকে এক প্রকার চাপ দেওয়া হয় প্যানেল চেয়ারম্যান সুমন রানার বিরুদ্ধে অনাস্থা কাগজে স্বাক্ষর করতে। কিন্তু আমি তার সমর্থক। তিনি ভালো মানুষ।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাক্ষর দিতে প্রথমে রাজি না হলেও পরে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ স্বাক্ষর করেছে। আমি কেন করব না, এ কথা তোলে। অনেকক্ষণ তর্ক-বিতর্কের পর সই করে সেখান থেকে আসতে হয়েছে। পরে আমি লিখিত চিঠি দিয়ে বিষয়টি প্যানেল চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি।’

ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ভবেষ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘প্যানেল চেয়ারম্যান-১ সুমন রানার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনে অনাস্থা আনা হয়েছে, তা আমার কাছে ভিত্তিহীন মনে হয়েছে।’

সচিব আরও বলেন, ‘পরিষদে তিনি (সুমন রানা) সবার সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেন এবং নাগরিক সেবা অব্যাহত রেখেছেন। তার বিরুদ্ধে আমাকেও কেউ কোনো দিন কোনো মৌখিক অভিযোগ দেননি।’

সভার বিষয়ে যা বললেন ইউপি সচিব ও সদস্য

ইউনিয়ন পরিষদ সচিব বলেন, ‘৪ জানুয়ারি, ৭ জানুয়ারি ও ১৩ জানুয়ারি কোনো সভা ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমসহ পরিষদের কোনো স্থানে অনুষ্ঠিত হয়নি। যেসব সভার কথা বলা হচ্ছে, তা গোপনে বা প্রকাশ্যে অন্য কোথাও হয়ে থাকতে পারে। তা আমার জানা নাই।’

ইউপি সদস্য ধর্ম নারায়ণ রায় বলেন, ‘১৩ তারিখ সকাল ১১টায় প্যানেল চেয়ারম্যান-২ সভা ডেকেছিল। আমি সময়মতো পরিষদে আসলেও সভা হয়নি।

‘আমি জানতে চাইলে তিনি গোপনে স্থানীয় দুলাল নামের এক লোকের বাসায় মিটিং হবে বলে জানান। কিন্তু আমি সেখানে যাইনি। পরিষদের কাজ শেষে বাড়ি চলে আসি।’

স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিযুক্ত প্যানেল চেয়ারম্যানের ভাষ্য

স্থানীয় বাসিন্দা জিলানি হোসেন বলেন, ‘যে চেয়ারম্যান জনগণের ভোটে নির্বাচিত হননি, তিনি জনগণের কথা ভাববেন না, এটাই স্বাভাবিক। তাই তিনি আমাদের দুর্ভোগে ফেলে আজও পর্যন্ত পলাতক রয়েছেন। আমরা নাগরিকসেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমরা তার পুনর্বাসন চাই না।

‘পরিষদ তাকে ছাড়া বেশ ভালো চলছে। আমরা সুন্দর সেবা পাচ্ছি। শুনছি অনেকে পলাতক চেয়ারম্যানের টাকার কাছে বিক্রি হয়েছে। আমরা নতুন কোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেব না।’

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে প্যানেল চেয়ারম্যান-২ এরশাদ আলী ইউনিয়ন পরিষদে সভা না করা এবং কোনো ব্যক্তির বাসায় বসে সভা করার বিষয়টি স্বীকার করেন।

তিনি জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে পরিষদে সভা করতে পারেননি।

তিনি কেন পলাতক ও বিতর্কিত চেয়ারম্যানকেই পুনর্বাসন করতে চান, এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বর্তমান দায়িত্বরত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তোলেন।

অভিযুক্ত প্যানেল চেয়ারম্যান সুমন রানার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং পরিষদে নাগরিক সেবা অব্যাহত আছে কি না, তা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করার আহ্বান জানান।

ইউনিয়ন বিএনপির নেতা তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাড়িতে পরিষদের কোনো বৈঠক হয়নি; সিদ্ধান্তও হয়নি। আমার হাত ভেঙে যাওয়ায় আমি অসুস্থ। তাই রাজনীতিক নেতা ও পরিষদের সদস্যরা দেখতে এসেছিল। এর বেশি কিছু না।’

তবে চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, ‌‘আবেদনসহ অন্যান্য কাগজ আমি পেয়েছি। উভয় পক্ষকে ডেকে শুনানি করা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

‘কোনো কৌশলগত বিষয় আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে। তবে নিয়ম-বহির্ভূত কাউকে পুনর্বাসন করার সুযোগ নেই।’

আরও পড়ুন:
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা: ঠাকুরগাঁওয়ের তিন সাংবাদিককে খালাস
ট্রেনযাত্রীদের অধিকার রক্ষার ১০ দফা দাবিতে গণস্বাক্ষর
‌‌‘মিথ্যা সাক্ষী দেয়নি বলেই কি বাবা জেলে?’
চার শিক্ষা বোর্ডে নতুন চেয়ারম্যান
প্যারোলে মেলেনি মুক্তি, বাবার জানাজায় অংশ নিতে পারেননি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান

মন্তব্য

p
উপরে