× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Ivy will ask her elder brother Shamim to vote
google_news print-icon

‘বড় ভাই’ শামীমের ভোট চান আইভী

বড়-ভাই-শামীমের-ভোট-চান-আইভী
সেলিনা হায়াৎ আইভী ও শামীম ওসমান। ছবি: সংগৃহীত
আইভী বলেন, ‘উনি আমার বড় ভাই। উনি যেহেতু একজন সংসদ সদস্য, তাই সরাসরি আমার প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। তবে আমি আশা করি, উনি যেহেতু বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী ও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কর্মী, সেহেতু উনি নৌকার বাইরে যাবেন না। এর কারণ, তিনি নিজেও নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।’

নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় রাজনীতিতে বিরোধ থাকলেও সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের কাছে ভোট চাইতে যাবেন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী।

তিনি বলেছেন, ‘উনি (শামীম ওসমান) আমার বড় ভাই। উনি যেহেতু একজন সংসদ সদস্য, তাই সরাসরি আমার প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। তবে আমি আশা করি, উনি যেহেতু বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী ও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কর্মী, সেহেতু উনি নৌকার বাইরে যাবেন না। এর কারণ, তিনি নিজেও নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।’

তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন পেয়েছেন আইভী।

প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে জানিয়েছেন তিনি শামীম ওসমানের পাশাপাশি প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারের কাছেও ভোট প্রার্থনা করবেন।

আইভী বলেন, ‘আমি সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের কাছে ভোট চাইতে যাব। একই সঙ্গে আমার চাচা ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারের কাছেও ভোট চাইব।’

মঙ্গলবার দুপুরে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নৌকা প্রতীক বুঝে পেয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমানের সঙ্গে মান-অভিমান থাকতেই পারে উল্লেখ করে আইভী বলেন, ‘একটা দলের অনেক নেতা, তাই প্রতিযোগিতা থাকতেই পারে। তবে আমি আহ্বান করব নৌকার জন্য আপনি (শামীম ওসমান) আমার পাশে থাকবেন।’

স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারের করা প্রশ্নের উত্তরে আইভী বলেন, ‘আমার কাকার মার্কা হাতি এবার নৌকার ভারে ডুবে যাবে।’

এর আগে হাতি প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের পায়ে আমাকে কোনো দিন হাঁটতে হয় নাই। কারো পা দিয়ে তৈমূর আলম খন্দকার হাঁটে না।’

তিনি বলেন, ‘হাতি যদি নৌকায় উঠে তাহলে নৌকার কি তলি থাকে? হাতি যখন নৌকার ওপর উঠে গেছে, আপনারা দেখবেন আল্লাহ কী করেন।’

আরও পড়ুন:
আইভীর নৌকার সঙ্গে লড়বে তৈমূরের হাতি
তৈমূরের পাশে নেই সাখাওয়াত
জীবন দিয়ে হলেও কেন্দ্র দখল ঠেকাব: তৈমূর
তৈমূরের আছে বাড়ি ও মামলা, আইভীর কিছুই নেই

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Previous enmity Attack on Baul song festival in Ghazaria leaves 4 injured

পূর্বশত্রুতা: গজারিয়ায় বাউল গানের আসরে হামলা, আহত ৪

পূর্বশত্রুতা: গজারিয়ায় বাউল গানের আসরে হামলা, আহত ৪ মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় চৌদ্দকাউনিয়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে বাউল গানের আসরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত একজন। ছবি: নিউজবাংলা
জারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে হামলাকারীরা সবাই পলাতক। এখনও পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় চৌদ্দকাউনিয়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে বাউল গানের আসরে প্রতিপক্ষের হামলায় একজনের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্নসহ চারজন আহত হওয়ায় হয়েছেন।

আহত চারজনকেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে, যাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আহত চারজন হলেন চৌদ্দকাউনিয়া গ্রামের নুরুজ্জামান (৬৫), মুক্তার হোসেন (৩৭), শাকিল (২৩) ও হামিম (১৪)।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সীমানা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গজারিয়া উপজেলা বাউশিয়া ইউনিয়নের চৌদ্দকাউনিয়া গ্রামের ফজলুল করিমের সঙ্গে প্রতিবেশী বাসেত মিয়ার বিরোধ চলছিল। এসব বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ গত রজমান মাসে ফজলুল করিমের ভাতিজা সজিব চায়নিজ কুড়াল দিয়ে বাসেত মিয়াকে কুপিয়ে জখম করেন।

আহত বাসেতকে হাসপাতালে নিয়ে যান আরেক প্রতিবেশী নুরুজ্জামান। এ ঘটনায় নুরুজ্জামানের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল ফজলুল করিম ও তার স্বজনরা।

ওই ঘটনার জের ধরে শনিবার রাত ৯টার দিকে বাউল গানের আসরে প্রতিপক্ষের সজিব, জাহাঙ্গীর, ফজলুল করিম, নান্নু, বাবু, রবিউল আউয়াল, হাসানসহ আরও কয়েকজন বগি দা, রামদা, ছুরি নিয়ে হামলা করে নুরুজ্জামানের ওপর। এ সময় তারা তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। তাকে বাঁচাতে তার ছোট ভাই মুক্তার এবং পরিবারের লোকজন এগিয়ে এলে তাদেরও কুপিয়ে জখম করা হয়।

হামলাকারীরা নুরুজ্জামানের এক হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। ওই সময় আহত লোকজনের চিৎকারে আশেপাশে লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান।

হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়া নুরুজ্জামান বলেন, ‘আমি ঝগড়ার মধ্যে ছিলাম না। আর এ ব্যাপারে আমি কিছু জানিও না। সন্ত্রাসীরা শুধু শুধু আমার ওপর হামলা চালিয়েছে।

‘আমি শুধু একজন আহত মানুষকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। এটা ছিল আমার অপরাধ। সন্ত্রাসী সজীব বগি দা দিয়ে কোপ দিয়ে আমার হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে।’

গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, তাদের হাসপাতালে আগত তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আহত লোকজনের মধ্যে নুরুজ্জামান ও মুক্তার হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের মধ্যে নুরুজ্জামানের এক হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে।

অন্যদিকে মুক্তার হোসেনের গায়ের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আহত অপরজন হামিমকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে হামলাকারীরা সবাই পলাতক।

‘এখনও পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আরও পড়ুন:
যুবদল নেতার বালু উত্তোলনে ভাঙল সড়ক, অভিযোগ স্থানীয়দের
চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীর ওপর সন্ত্রাসীদের হামলা, ২০ লাখ টাকা লুট
আনোয়ারায় বন্য হাতির তাণ্ডব, নারীসহ দু’জনের প্রাণহানি
লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত কমপক্ষে ২৪৭
খাগড়াছড়িতে হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Flood Death toll rises in Sherpur 2 lakh people trapped in water

বন্যা: শেরপুরে প্রাণহানি বেড়ে ৭, পানিবন্দি ২ লাখ মানুষ

বন্যা: শেরপুরে প্রাণহানি বেড়ে ৭, পানিবন্দি ২ লাখ মানুষ শেরপুরে বন্যায় প্লাবিত একটি অঞ্চল। ছবি: নিউজবাংলা
নতুন করে শনিবার রাতে নকলা ও সদর উপজেলার সাত ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করায় পানিবন্দি অবস্থায় দুর্ভোগে পড়েছেন দুই লাখ মানুষ।

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বন্যার পানির স্রোতে নিখোঁজ হওয়া দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ নিয়ে জেলায় বন্যায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলার নন্নী ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর কুতুবাকুড়া গ্রামের ফসলের মাঠ থেকে শনিবার সহোদর দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছানোয়ার হোসেন মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেন।

সর্বশেষ প্রাণ হারানো দুজন হলেন হাতেম আলী (৩০) ও তার ভাই আলমগীর হোসেন (১৮)। তারা অভয়পুর গ্রামের প্রয়াত বাছির উদ্দিনের ছেলে।

এর আগে নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতীতে বন্যার পানিতে ডুবে মৃত্যু হয় ইদ্রিস আলী, খলিলুর রহমান ও বাঘবেড় বালুরচর গ্রামের ওমিজা বেগমসহ পাঁচজন।

প্রাণ হারানো লোকজনের স্বজনরা জানান, শুক্রবার চেল্লাখালী নদীর পাহাড়ি ঢলের স্রোতের তোড়ে নিখোঁজ হন সহোদর দুই ভাই। এরপর থেকে তাদের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। কুতুবাকুড়া গ্রামের দুইজন কৃষক শনিবার বিকেলে ধানক্ষেতে তাদের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্বজনরা গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন।

নালিতাবাড়ী থানার ওসি ছানোয়ার হোসেন জানান, পাহাড়ি ঢলের স্রোতের তোড়ে নিখোঁজ হওয়া দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরের সব নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাঁধ ভেঙে এবং বাঁধ উপচে প্লাবিত হয় জেলার নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী ১৬টি গ্রাম।

নতুন করে শনিবার রাতে নকলা ও সদর উপজেলার সাত ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করায় পানিবন্দি অবস্থায় দুর্ভোগে পড়েছেন দুই লাখ মানুষ।

আরও পড়ুন:
শেরপুরে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত, তিনজনের মৃত্যু
শেরপুরে তিন নদীর বাঁধে সাত ভাঙন, দুই উপজেলা শহর প্লাবিত
বন্যাদুর্গতদের সহায়তা অব্যাহত ইসমাইলি সিভিক বাংলাদেশের
বন্যা: মিয়ানমারে মৃত বেড়ে ৩৮৪
বন্যা: মিয়ানমারে মৃত বেড়ে প্রায় ৩০০

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A fire on a ship can be sabotage BSC

জাহাজে আগুন নাশকতা হতে পারে: বিএসসি

জাহাজে আগুন নাশকতা হতে পারে: বিএসসি চট্টগ্রামে আগুন ধরে যাওযা ট্যাংকার। ছবি: সংগৃহীত
মাহমুদুল মালেক বলেন, ‘রাত সাড়ে ১২টায় জাহাজে কোনো কাজ ছিল না। জাহাজে চারটা পয়েন্টে আগুন দেখা যায়। তাই আমাদের আশঙ্কা নাশকতা।’

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) দুইটি অয়েল ট্যাংকারে আগুন জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা বলে আশঙ্কা করছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কমোডর মাহমুদুল মালেক।

বিএসসির সম্মেলনকক্ষে শনিবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশঙ্কার কথা জানান।

মাহমুদুল মালেক বলেন, ‘রাত সাড়ে ১২টায় জাহাজে কোনো কাজ ছিল না। জাহাজে চারটা পয়েন্টে আগুন দেখা যায়। তাই আমাদের আশঙ্কা নাশকতা।

‘কেননা কয়েক দিন আগে বাংলার জ্যোতিতে আগুন লেগেছিল। এবার আগুন লাগল বাংলার সৌরভে। তাই আমরা ধারণা করছি, এ ঘটনা জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা হুমকিতে ফেলার অপচেষ্টা। এই ঘটনায় কারা জড়িত, তা শনাক্ত করা উচিত।’

মাহমুদুল মালেক বলেন, ‘এটি লাস্ট সার্ভিস হওয়ার কথা ছিল বাংলার সৌরভের। নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও বন্দরের সাতটি টাগ একযোগে কাজ করে। আগুন নেভানোর দেড় ঘণ্টা পর আবার আগুন ধরে যায়।’

বিএসসির এমডি বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে নাশকতার বিষয় নিশ্চিত হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, বাংলার সৌরভে ১১ হাজার ৫৫ টন অপরিশোধিত তেল ছিল। ৪৮ জন ক্রু ও ওয়াচম্যান ছিল। তাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল। এর মধ্যে বিএসসির স্টুয়ার্ট সাদেক মিয়া হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।

তিনি জানান, বিএসসির টেকনিক্যাল ডিরেক্টরকে প্রধান করে আট সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৩০ হাজার টনের একটি বিদেশি জাহাজ চার্টারিং করা হয়েছে। এসপিএম চালু হলে লাইটারিং বন্ধ হবে।

এর আগে শুক্রবার রাত পৌনে ১টার দিকে ‘বাংলার সৌরভ’ নামের জাহাজে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও বন্দরের সাতটি টাগবোট একযোগে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে, কিন্তু আগুন নেভানোর দেড় ঘণ্টা পর আবার আগুন ধরে যায়।

পরে প্রায় চার ঘণ্টা পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। একইভাবে গত সোমবার বিএসসির আরেক জাহাজ বাংলার জ্যোতিতেও বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। তখন তিনজনের প্রাণহানি হয়।

বছরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) ১২ থেকে ১৪ লাখ টন অপরিশোধিত তেল পরিবহন করে বিএসসি। বড় জাহাজে বিদেশ থেকে এসব তেল আমদানি করে বহির্নোঙরে আনা হয়। এরপর সাগরে বিএসসির বাংলার জ্যোতি ও বাংলার সৌরভে লাইরারিং করে কর্ণফুলী নদীর ডলফিন জেটিতে ইস্টার্ন রিফাইনারিকে দেয়া হয়।

আরও পড়ুন:
ধানমণ্ডিতে বহুতল ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে, আহত তিনজনকে উদ্ধার
গোপালগঞ্জে আ.লীগের বিক্ষোভ, সেনাবাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ
কুমিল্লায় সাবেক কাউন্সিলরের বাড়িতে আগুন দিতে গিয়ে ছয়জনের মৃত্যু
চট্টগ্রামে রিয়াজউদ্দিন বাজারে আগুন, দম বন্ধ হয়ে তিনজনের মৃত্যু
৫ ঘণ্টায় নির্বাপণ গাজীপুরের ঝুট গুদামের আগুন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP leader accused along with Sheikh Hasina in student murder case

ছাত্র হত্যা মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে আসামি বিএনপি নেতা

ছাত্র হত্যা মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে আসামি বিএনপি নেতা আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় শনিবার সকালে মোহাম্মদ গফুর মিয়ার নিজ বাসভবনে থানা বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এ নেতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘মামলায় যদি কাউকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামি করা হয় এবং হয়রানির শিকার হন, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে পুলিশ আমাকে আশ্বস্ত করেছে। ‘আমরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাদের বলেছেন এ বিষয়ে তারা খতিয়ে দেখবেন।’

ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় হওয়া মামলায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে বিএনপি নেতাকেও আসামি করা হয়েছে।

ওই মামলায় আসামি করায় ক্ষোভ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আশুলিয়া থানা বিএনপির ওই সাধারণ সম্পাদক।

আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় শনিবার সকালে মোহাম্মদ গফুর মিয়ার নিজ বাসভবনে থানা বিএনপির পক্ষ থেকে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

গফুর মিয়া আশুলিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ধামসোনা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা গফুর মিয়া জানান, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আশুলিয়া থানার অন্তর্গত বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগ ও পুলিশের গুলিতে অসংখ্য ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ও আহত হন। এসব ঘটনায় আশুলিয়া থানায় হতাহতদের পক্ষ থেকে তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আদালত ও থানায় মামলা করা হচ্ছে। এসব মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলা করা হয়েছে।

গফুর আরও জানান, জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সাভার ও আশুলিয়া থানায় তার নামে আরও পাঁচটি মামলা করা হয়। এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও ১৬ বছরে ৩৬টি মামলার আসামি তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এ নেতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘মামলায় যদি কাউকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামি করা হয় এবং হয়রানির শিকার হন, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে পুলিশ আমাকে আশ্বস্ত করেছে। ‘আমরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাদের বলেছেন এ বিষয়ে তারা খতিয়ে দেখবেন।’

আরও পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির সংলাপ শনিবার
সব কূল হারিয়ে বিপাকে বিএনপিপন্থি সাত কাউন্সিলর
জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তরুণীকে ডেকে নিয়ে হত্যা, কথিত প্রেমিক আটক 
নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ শ্রমিকদের, ভোগান্তি চরমে
সংস্কারের সুনির্দিষ্ট সুপারিশ তুলে ধরবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Three people died in new areas flooded in Sherpur

শেরপুরে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত, তিনজনের মৃত্যু

শেরপুরে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত, তিনজনের মৃত্যু শেরপুরে নতুন করে অনেক বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
জেলায় ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার অন্তত ১৪টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ে কমপক্ষে ৫০ হাজার মানুষ।

টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুর জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

উজানে পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও ভাটি এলাকায় অন্তত ৫০ গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।

জেলায় ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার অন্তত ১৪টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ে কমপক্ষে ৫০ হাজার মানুষ।

বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় চরম কষ্টের মধ্যে পড়েছে লোকজন।

বন্যার পানিতে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন নালিতাবাড়ীর খলিশাকুড়ির খলিলুর রহমান (৬৫), আন্ধারুপাড়ার ইদ্রিস আলী (৬৫) ও ঝিনাইগাতীর সন্ধ্যাকুড়ার এক ব্যক্তি, যার পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

এদিকে রাতভর বন্যাদুর্গত এলাকায় আটকে পড়াদের উদ্ধার কাজ করেন সেনাবাহিনী, পুলিশ সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকরা।

বন্যার্ত এলাকায় খাবার সংকট চরমভাবে দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট, সেতু, কালভার্ট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলেও দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ।

ঝিনাইগাতীর জুলগাঁও এলাকার করিম মিয়া বলেন, ‘রাত ১১টার পর আমাদের এলাকায় পানি ঢোকা শুরু করছে। আমাদের এলাকায় আটাশির বন্যার পরে আর পানি ওঠে নাই, কিন্তু এবার পানি।’

জুলগাঁওয়ের রহমত বলেন, ‘শেষ রাইতো উইঠা দেহি ঘরে মধ্যে পানি। সকাল থাইক্কা রান্নাবান্না অয় নাই। ক্ষেতের ধানও শেষ। কী করি যে এহন আল্লাহ জানে।’

মালিঝিকান্দার মরিয়ম বলেন, ‘বাবা গো, এত পানি যে কেমনে আইল। আমরা পাক্কা রাস্তার সাথে থাকি। এনো তো পানি উঠে না। এবার পানি কেমনে উঠল? ঘরে পানি, চুলায় পানি।’

জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, এ পর্যন্ত জেলায় সাত হাজার ৭০০ হেক্টর জমির আমন ধান সম্পূর্ণ পানির নিচে। ৯ হাজার ৭০০ হেক্টর জমির আমন ধানের আবাদ আংশিক পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

‘৬০০ হেক্টর জমির শীতকালীন সবজি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।’

এ ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন বন্যার্তদের মধ্যে রান্না করা ও শুকনা খাবার বিতরণ শুরু করেছে। বিএনপির পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ শুরু করা হয়েছে। বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকেও ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।

বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ওঠায় আশ্রয়কেন্দ্রেও যেতে পারছেন না স্থানীয় বন্যার্তরা।

শেরপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘এক রাতের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে হঠাৎ করে এই বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলাগুলোতে নির্দেশনা দেয়া আছে প্রয়োজনীয়সংখ্যক আশ্রয়কেন্দ্র খোলার। উপজেলা প্রশাসনও আগে থেকেই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করে রেখেছে।

‘অনেক স্কুল-কলেজও পানির নিচে। ইতোমধ্যে আমরা পাঁচ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার প্রস্তুত করেছি। সেগুলো উপজেলাগুলোতে পাঠিয়ে দেয়া হবে। আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দুর্গত মানুষদের উদ্ধার করা।’

আরও পড়ুন:
বন্যা: মিয়ানমারে প্রাণহানি বেড়ে ২২৬
বন্যা: মিয়ানমারে ৭৪ মৃত্যু, নিখোঁজ ৮৯
তুচ্ছ ঘটনার জেরে শেরপুরে সংঘর্ষে দুজন নিহত, আহত ১০
বন্যার্তদের পাশে এশিয়ান গ্রুপ
বন্যা: ফেনীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্ষতি ৩৮ কোটি ৭২ লাখ টাকার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
I want to run Badda Ekkana

‘বদ্দা, এক্কানা চালাই চাই’

‘বদ্দা, এক্কানা চালাই চাই’ চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার এলাকা থেকে চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার সাইফুল। ছবি: নিউজবাংলা
মোটর সাইকেলটি বিক্রি হবে ৬৫ হাজার টাকায়। দরদাম ঠিক হওয়ার পর ক্রেতা একটু চালিয়ে দেখতে চায়। পরে চাবি নিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে চোখের সামনে দিয়েই শাঁ করে চালিয়ে পালিয়ে যায় ক্রেতারূপী চোর।

মোটর সাইকেলটি বিক্রি হবে ৬৫ হাজার টাকায়। দরদাম ঠিক হওয়ার পর ক্রেতার আবদার- ‘বদ্দা, এক্কানা চালাই চাই (একটু চালিয়ে দেখতে চাই)। পরে বিক্রেতার কাছ থেকে চাবি নিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে চোখের সামনে দিয়েই শাঁ করে চালিয়ে পালিয়ে যায় ক্রেতারূপী চোর।

ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জার টেক এলাকায়। শুক্রবার সেই প্রতারককে বন্দর নগরীর লালখান বাজার থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ভুক্তভোগী পোশাক কারখানার নিরাপত্তা রক্ষী পটিয়ার কোলাগাঁও এলাকার রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘২৬ সেপ্টেম্বর পটিয়া উপজেলা থেকে একজন ক্রেতা আসেন আমার ১০০ সিসি চট্ট-মেট্রো হ-১৮-০১৭৮ মোটর বাইকটি কেনার জন্য। দরদামের পর ৬৫ হাজার টাকায় মোটরসাইকেলটি বিক্রি করতে রাজি হই।

‘এরপর দুই-এক চক্কর চালিয়ে দেখতে চাইলে আমি তাকে চাবি দেই। হঠাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সে বাইক নিয়ে উধাও! চারদিকে খোঁজ করে পরে থানায় মামলা করি। আজ পুলিশ সেই প্রতারককে গ্রেপ্তার ও আমার বাইক উদ্ধার করতে সমর্থ হয়।’

প্রতারক যেভাবে পুলিশের জালে

মোবাইল ফোন থেকে কল করাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মোটর সাইকেল নিয়ে হাওয়া হয়ে যাওয়া প্রতারকের সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে বন্ধুর মাধ্যমে ক্রেতা সেজে ওই প্রতারকের সঙ্গে যোগাযোগ করে চট্টগ্রামের লালখান বাজারে দেখা করার দিনক্ষণ ঠিক হয়। শুক্রবার পুলিশের সাহায্য নিয়ে হাতেনাতে ধরা হয় প্রতারক সাইফুল ইসলামকে।

জানা যায়, প্রতারক সাইফুল ইসলাম প্রকাশ মানিক নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন ধনিয়াপাড়া মাজার গলির আবু জাফরের বাড়িতে থেকে এভাবে প্রতারণা করে বেড়ায়। তবে তার বাড়ি ফেনী জেলায় বলে জানায়। নিজেকে কখনও পটিয়া শান্তির হাট এলাকার ব্যবসায়ী পরিচিয় দেয়, কখনও নগরীতে চাকরি করে বলে জানায়।

পুলিশ জানায়, ৩ অক্টোবর দায়ের হওয়া মামলার সূত্র ধরে বাদীর সহযোগিতায় প্রতারককে নগরীর লালখান বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হয়।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি আমলে নিয়ে থানায় একটি মামলা হয়। পরে প্রতারককে গ্রেপ্তার ও গাড়িটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In Sherpur two upazila towns were flooded due to seven bursts of three rivers

শেরপুরে তিন নদীর বাঁধে সাত ভাঙন, দুই উপজেলা শহর প্লাবিত

শেরপুরে তিন নদীর বাঁধে সাত ভাঙন, দুই উপজেলা শহর প্লাবিত বর্ষণ আর ঢলের পানিতে শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলা সদর পানির নিচে। ছবি: নিউজবাংলা
টানা বর্ষণ আর ঢলের পানির প্রবল চাপে শেরপুরে মহারশি, চেল্লাখালি ও ভোগাই নদীর বাঁধের অন্তত সাতটি স্থানে ভেঙে গেছে। প্লাবিত হয়েছে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদর ও নালিতাবাড়ী পৌর এলাকাসহ অর্ধশতাধিক গ্রাম।

টানা বর্ষণ আর ঢলের পানিতে শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার সবক’টি পাহাড়ি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির প্রবল চাপে মহারশি, চেল্লাখালি ও ভোগাই নদীর বাঁধের অন্তত সাতটি স্থানে ভেঙে গেছে। প্লাবিত হয়েছে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদর ও নালিতাবাড়ী পৌর এলাকাসহ অর্ধশতাধিক গ্রাম।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্যমতে, নালিতাবাড়ীতে চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৫২৫ সেন্টিমিটার ও ভোগাই নদী বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একইসঙ্গে বেড়েছে মহারশি, সোমেশ্বরী, মৃগী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি।

গত ২৪ ঘণ্টায় ঝিনাইগাতীতে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৩২০ মিলিমিটার। চলমান পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে জেলার আমন আবাদের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শেরপুরে তিন নদীর বাঁধে সাত ভাঙন, দুই উপজেলা শহর প্লাবিত

মহারশি নদীর বাঁধের খৈলকূড়ায় তিনটি স্থানে ভেঙে গেছে। বাঁধ উপচেও প্রবল বেগে ঢলের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এতে ঝিনাইগাতি উপজেলা সদর বাজার ও উপজেলা পরিষদ প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে নালিতাবাড়ীর শিমুলতলা, ঘাকপাড়া, মন্ডলিয়াপাড়া, ভজপাড়া ও সন্নাসীভিটায় ভোগাই এবং চেল্লাখালীর বাঁধ ভেঙে গেছে। নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে শেরপুর-নালিতাবাড়ী গাজিরখামার সড়ক।

বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতির অন্তত ১০টি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম।

তলিয়ে গেছে হাজার হাজার একর জমির উঠতি আমন ফসল। রাস্তাঘাট ও ব্রিজ-কালভার্ট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে স্থানীয়রা। বাড়িঘরে পানি ওঠায় রান্না করতে পারছে না এসব এলাকার লোকজন। ফলে খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

ঝিনাইগাতী বাজারের আকতার আলী বলেন, ‘আমার দোকানে পানি উঠেছে। এতে দুই লাখ টাকার বই নষ্ট হবে। শহর রক্ষা বাঁধ থাকলে মহারশি নদীর পানিতে তাহলে আমাদের এমন ক্ষতি হতো না।’

বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আমির আলী বলেন, ‘দোকানে মধ্যে পানি সকাল থেকেই। একটু ঢল এলেই পানি বাড়ছে। আমরা ঝিনাইগাতীর মানুষ আগে থেকেই এটার ভুক্তভোগী। কিন্তু প্রশাসনিক নজর কখনোই এদিকে পড়ে না।’

ঝিনাইগাতী সদরের হোসেনে আরা বলেন, ‘রান্না করতে পারছি না। রাস্তায় পানি ওঠায় চলাচলও করতে পারছি না। খুব কষ্টে আছি।’

ঝিনাইগাতী বাজারের ব্যবসায়ী আবু বকর বলেন, ‘আমাদের দোকানপাটে পানি উঠেছে। অনেক ব্যবসায়ীরই ক্ষতি হয়েছে। প্রতি বছরই নদীর বাঁধ ভাঙে আর আমাদের ক্ষতি হয়। কেউ এদিকে দেখে না। নদীর তীর জুড়ে স্থায়ী বাঁধ চাই আমরা।’

নালিতাবাড়ীর রফিক বলেন, ‘এবার শহরে পানি থৈ থৈ করছে। জীবনে এই সময়ে উপজেলা শহরে এমন পানি দেখিনি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি আমরা।’

নালিতাবাড়ীর কৃষক খাইরুল বলেন, ‘আমাদের সব ফসল এখন পানির নিচে। এই ধান এহন খাইয়া গেলেগা আমরা বাচমু কেমনে?’

ঝিনাইগাতী উপজেলার কৃষি অফিসার হুমায়ুন দিলদার জানান, এ বছর ঝিনাইগাতীতে সাড়ে চৌদ্দ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে চার হাজার হেক্টর জমি সম্পূর্ণ ও সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টর জমির আমন ধানের আবাদ আংশিক নিমজ্জিত রয়েছে। দ্রুত পানি নেমে না গেলে অনেক ক্ষতি হবে।’

শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান বলেন, ‘মহারশি নদীতে একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে ফিজিবিলিটি প্রস্তাবনা ঊর্ধ্বতন মহলে পাঠানো হয়েছে। সকাল থেকে আমাদের টিম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আছে।’

আরও পড়ুন:
ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে ৬ বিভাগে
চট্টগ্রামে বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শিশুর মৃত্যু, মাটিচাপায় আহত দুই
তিন বিভাগে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের আভাস
পাহাড়ি ঢলে সাজেক বিচ্ছিন্ন, আটকা তিন শতাধিক পর্যটক
বান্দরবানে ভারি বর্ষণে একাধিক পাহাড়ে ধস, বন্যার শঙ্কা

মন্তব্য

p
উপরে