ঢাকা নগর সেবা পরিবহন নাম দিয়ে রোববার থেকে চালু হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজি বাসের পরীক্ষামূলক চলাচল। যাত্রীসেবায় এটি আমূল পরিবর্তন আনবে বলে মনে করা হলেও পরীক্ষামূলক অপারেশনে দায়সারা ভাব লক্ষ্য করা গেছে। সম্পূর্ণ নতুন বাস নামানোর কথা থাকলেও পুরনো বাসই মেরামত করে চালানো হচ্ছে।
সড়কের পাশে যাত্রীছাউনি থাকার কথা থাকলেও অনেক জায়গায় তা দেখা যায়নি। আবার অনেক জায়গায় যাত্রীছাউনি ভাঙাচোরা। নির্ধারিত বাস স্টপেজ থেকে যাত্রী তোলার কথা থাকলেও এর বাইরে কোথাও কোথাও নামানো হয়েছে যাত্রীদের।
দুই সিটি করপোরেশনের বাস রুট র্যাশনালাইজেশনের এই সেবা পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করা হয়েছে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর পর্যন্ত রুটে। তবে এখনও বাস শেষ গন্তব্য কাঁচপুর পর্যন্ত যাচ্ছে না। এক স্টেশন আগে চিটাগাং রোড পর্যন্ত গিয়েই থেমে যাচ্ছে। নগরবাসী এখনও এই পরিবহন এবং বাস স্টপেজগুলোর সঙ্গে পরিচিত হয়ে উঠতে পারেনি। ফলে বাসে যাত্রী তত বেশি নেই।
এই সেবার নতুন দিক হলো ই-টিকিট। কিলোমিটার হিসেবে ই-টিকিটিং সেবা দেয়ার কারণে ভাড়া আসে ১৩, ১৪, ২২, ২৬, ৩৭ টাকা ইত্যাদি অংকের। ঢাকায় যাত্রীরা সাধারণত ৫, ১০, ১৫, ২০ ইত্যাদি সংখ্যার ভাড়া দিয়ে অভ্যস্ত। কোনো খুচরা ভাড়া দেন না যাত্রীরা।
এই সেবার চিত্র দেখতে সোমবার সকালে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে শেষ স্টপেজ চিটাগাং রোড পর্যন্ত ঢাকা নগর পরিবহনের ট্রান্সসিলভা কোম্পানির একটি বাসে যাত্রা করেন নিউজবাংলার এই প্রতিবেদক।
ঘাটারচর থেকে চিটাগাং রোড পর্যন্ত ২১টি বাস স্টপেজে বাস থেকে যাত্রী ওঠেন। বাস সুশৃঙ্খলভাবে নির্ধারিত বাস স্টপেজ থেকে যাত্রী তোলে। বাসে ওঠার আগে কাউন্টার থেকে ই-টিকিট সংগ্রহ করতে হয় যাত্রীদের।
২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে সব যাত্রীছাউনির কাজ শেষ করার কথা থাকলেও কয়েকটির কাজ এখনও শেষ হয়নি। এ কারণে সব যাত্রীছাউনিতে বাস থামেনি। এ ছাড়া সায়দাবাদ থেকে চিটাগাং রোড পর্যন্ত বেশির ভাগ জায়গায় যাত্রীছাউনি নেই। এসব জায়গায় বড় ছাতা টাঙিয়ে টিকিট কাউন্টার করা হয়েছে।
যাত্রী উঠানামায় একাধিক নির্ধারিত স্থানে দেখা গেছে যাত্রী ছাউনি নেই। কিন্তু টিকিট কাউন্টার আছে। ছবি: নিউজবাংলা
ঢাকা নগর পরিবহন ও রুটের চিত্র
ঘাটারচর থেকে যাত্রা শুরু হয় বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে। কিছু কিছু বাস স্টপেজ আগের স্টপেজ থেকে একটু দূরে হওয়ায় যাত্রীরা এখনও কাউন্টার চিনে উঠতে পারেননি। তারা আগের বাস স্টপেজেই দাঁড়িয়ে থেকে ওঠার চেষ্টা করেছেন। এ সময় বাসের হেলপার তাদের সামনের স্টপেজ থেকে টিকিট সংগ্রহ করার জন্য অনুরোধ করেন। মোহাম্মদপুরে সিগন্যালে গাড়ি আটকে থাকায় কাউন্টারের বেশ আগে দুজন যাত্রী নামানো হয়।
মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে দুই ছাত্র বাসে ওঠেন। তাদের হাফ ভাড়া নেয়া হয়েছে। ভাড়ার অঙ্কের পাশে লেখা (ছাত্রছাত্রীদের জন্য)। শংকর বাস কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতা দূরের শৌচাগারে যাওয়ার কারণে যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারছিলেন না। এই স্ট্যান্ডের যাত্রীরা বলেন, কাউন্টারের পাশে শৌচাগার থাকা উচিত।
দুপুর ১২টা ৯ মিনিটে বাসটি ‘ধানমন্ডি ১৫’ নম্বর এলাকার কাউন্টারে পৌঁছায়। বাস দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলেও টিকিট বিক্রেতাকে পাওয়া যায়নি। এ কারণে এই স্টপেজ থেকে কোনো যাত্রী উঠতে পারেননি।
ধানমন্ডি-১৫ নম্বরে নগর পরিবহনের যাত্রী ছাউনি দেখা গেছে। কিন্তু কোনও টিকিট কাউন্টার পাওয়া যায়নি। ছবি: নিউজবাংলা
সিটি কলেজের সামনে স্টপেজে যাত্রীছাউনি নেই। তবে কাউন্টার আছে। কাঁটাবন সিগন্যালে কাউন্টারের বাইরে ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে যাত্রী নামানো হয়। শাহবাগের আগে বাস চলন্ত অবস্থায় গতি কমিয়ে গাড়ি থেকে তিন যাত্রীকে নামায়।
শাহবাগ মোড়ে সিগন্যাল থাকার কারণে কাউন্টারের আগেই যাত্রী নামানো হয়। শাহবাগের আগের যাত্রীছাউনির কাজ এখনও শেষ করে কাউন্টার দেয়া হয়নি। তাই সেখানে বাস থামেনি। শাহবাগের কাউন্টারেও যাত্রীছাউনি নেই। রমনা পার্ক এলাকায় দুজনকে নামানো হয় কাউন্টার ছাড়া। তখন সিগন্যালে গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল।
রমনা পার্ক এলাকার টিকিট কাউন্টার পেরোলে মতিঝিল শাপলা চত্বরের আগে কাউন্টার নেই। ফলে গুলিস্তানের যাত্রীদের পল্টনের আগে মেহেরবা প্লাজার সামনে নামানো হয়।
এক নারী যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, গুলিস্তান যেতে চেয়ে কাউন্টারে টিকিট চাইলে তাকে গুলিস্তানের কথা বলে টিকিট দেয়া হয়। কিন্তু গাড়ি গুলিস্তান রুটের না হওয়ায় ওই নারীকে পল্টনে নামতে হয়। এতে ওই নারী হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।
মতিঝিল সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে তিনজনকে নামানো হয় স্টপেজ ছাড়া। মতিঝিল থেকে আরামবাগ মোড়ে গাড়ি ঘোরানোর সময় একজনকে নামানো হয় স্টপেজ ছাড়া। মতিঝিল ওভারব্রিজের নিচে কাউন্টার আছে, যাত্রীছাউনি নেই।
মতিঝিল আইসিবি ব্যাংকের বিপরীত পাশে সামনে যাত্রীছাউনির কাজ এখনও শেষ করে কাউন্টার দেয়া হয়নি, তাই বাস এই স্টপেজে থামেনি। সায়েদাবাদ লেভেল ক্রসিংয়ের আগে কাউন্টার আছে, যাত্রীছাউনি নেই। উত্তর যাত্রাবাড়ীতেও (সায়েদাবাদ ব্রিজের উত্তর-পূর্ব পাশে) কাউন্টার আছে, যাত্রীছাউনি নেই।
যাত্রাবাড়ী বিটিসিএলের সামনে কাউন্টারের সামনে আবর্জনার স্তূপ। অন্য পরিবহনের গাড়ির কারণে এই কাউন্টারের সামনে জটলা বেঁধে ছিল। বেলা ১টা ২০ মিনিটে কাউন্টারে টিকিট বিক্রেতা ছিলেন না। তাই দুজন টিকিট ছাড়া গাড়িতে ওঠেন। ড্রাইভার নিষেধ করলে তারা বলেন, হেলপার উঠতে বলেছে। পরে রায়েরবাগ স্টপেজ থেকে তাদের টিকিট দেয়া হয়।
যাত্রাবাড়ীতে নগর পরিবহনের টিকিট কাউন্টার বসানো হয়েছে পুরনো যাত্রী ছাউনিতে। আশপাশে ছড়িয়ে আছে ময়লা-আবর্জনা আর অচল গাড়ি। ছবি: নিউজবাংলা
শনির আখড়ায় কাউন্টার আছে, যাত্রীছাউনি নেই। বেলা ১টা ৩৮ মিনিটে বাস কাউন্টারে পৌঁছালে যাত্রী নিতে পারেনি। কারণ কাউন্টারে টিকিট বিক্রেতা ছিলেন না। তবে সেখানে অন্য সব পরিবহনের কাউন্টারে টিকিট বিক্রেতা ছিলেন।
মাতুয়াইল মেডিক্যাল বাসস্ট্যান্ডে কাউন্টার আছে, যাত্রীছাউনি নেই। এখানে একটু সামনে গিয়ে যাত্রী নামানো হয় চলন্ত বাস থামিয়ে। কারণ হিসেবে ড্রাইভার হেলপারকে বলেন, সামনে কাউন্টার নেই। সাইনবোর্ড স্টপেজে কাউন্টার আছে, যাত্রীছাউনি নেই। শিমরাইলে কাউন্টার ছাড়া চলন্ত গাড়ি থামিয়ে যাত্রী নামানো হয়।
চিটাগাং রোড পর্যন্ত গাড়ি গিয়ে সব যাত্রী নামিয়ে একটু সামনে ব্রিজের নিচে দিয়ে গাড়ি ইউটার্ন করে ঘাটারচর ফেরার উদ্দেশে লাইনে দাঁড়ায়। তখন সময় বেলা ২টা।
কী বলছেন এই বাসের ড্রাইভার
সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা হয় এই বাসের চালকের সঙ্গে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্টপেজগুলো মেইন বাসস্ট্যান্ড থেকে একটু সামনে হওয়ায় যাত্রীরা এখনও টিকিট কাউন্টার ওভাবে চিনে উঠতে পারেনি। এ কারণে যাত্রী কম হচ্ছে, গাড়ি ফাঁকা থাকছে।’
স্টপেজ ছাড়া যাত্রী নামানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কয়েকটি জায়গায় স্টপেজ ছাড়া যাত্রী নামাতে হয়েছে। কারণ যাত্রীরা এখনও সেবাটা বুঝে উঠতে পারেননি। আমরাও ঝামেলা না করে কিছু কিছু জায়গায় নামিয়েছি। রমনা পার্কের পরে টিকিট স্টপেজ মতিঝিলে। এই লম্বা জায়গায় স্টপেজ না থাকায় কয়েক জায়গায় যাত্রী নামাতে হয়েছে। না হলে যাত্রীদের হয়রানি হতো।’
নতুন জায়গায় কাউন্টারের সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যাত্রাবাড়ী থেকে চিটাগাং রোড পর্যন্ত বেশির ভাগ জায়গায় বড় ছাতা টাঙিয়ে টিকিট কাউন্টার করা হয়েছে। এই জায়গায় রাস্তার পাশে বাস দাঁড়িয়ে থাকায় টিকিট কাউন্টার চিনতে ঝামেলা হয়েছে। এ কারণে কয়েকটি কাউন্টারের একটু সামনে গিয়ে থামাতে হয়েছে বাস। যদি চিহ্ন হিসেবে একটা উঁচু নিশান টানিয়ে রাখত, তাহলে কাউন্টার চিনতে সুবিধা হতো।’
মেয়রের কথায় যাত্রীদের ক্ষোভ
নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে ১৯ ডিসেম্বর বাস রুট র্যাশনালাইজেশন কমিটির ২০তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘সব মিলিয়ে ১০০টি বাস দিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি। আগামী ২৬ ডিসেম্বর আমরা ট্রান্সসিলভার নতুন ২০টি বাস এবং বিআরটিসির ৩০টি ডাবল ডেকার বাস মেরামত করে সূচনা করব। বাকি কার্যক্রম ৬০ দিবসের মধ্যে পূর্ণভাবে এই যাত্রাপথ বাস্তবায়ন করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।’
তবে ট্রান্সসিলভার বাসগুলো নতুন নয় বলে দাবি করছেন যাত্রীরা। এই রুটের বেশ কয়েকজনের অভিজ্ঞতার কথা জানতে চাইলে তারা বলেন, ট্রান্সসিলভার বাসগুলো সব পুরোনো। এগুলো রং করে রাস্তায় নামানো হয়েছে।
ঢাকা নগর পরিবহনের আওতায় ট্রান্সসিলভা পরিবহনের বাসের বাইরের দিক ঝকঝকে হলেও ভেতরে জরাজীর্ণ অবস্থা। ছবি: নিউজবাংলা
মোহাম্মদপুর থেকে সায়েন্সল্যাব যাবেন মো. আহাদ। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত এই রাস্তায় ছয়বার যাওয়া-আসা হয়েছে আমার। এর মধ্যে চারবার ট্রান্সসিলভার কোম্পানির বাসে উঠেছি। সবগুলো বাস পুরোনো।’
এই পরিবহন সেবায় যুক্ত হতে আটটি প্রতিষ্ঠান আবেদন করে। এর মধ্যে বিআরটিসিসহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে সুযোগ দেয়া হয়েছে। ঢাকা নগর পরিবহনের চালকদের শনাক্তে দেয়া হয়েছে ইউনিফর্ম ও আইডি কার্ড।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে রোববার দুপুর ১২টার দিকে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ বাস রুট পাইলটিংয়ের উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ধীরে ধীরে এ সেবার বিস্তার হবে। আরও নতুন রুট যুক্ত হবে। রাজধানী ও আশপাশের এলাকার জন্য ৪২টি রুট করার পরিকল্পনা আছে।’
ঢাকা নগর পরিবহনে ঘাটারচর-কাঁচপুর রুটে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দূরত্বে সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা; সর্বোচ্চ ভাড়া ৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কিলোমিটার ২ টাকা ১৫ পয়সা হিসেবে ভাড়া পরিশোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন:২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়ার দাবিতে দেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীর প্রেস ক্লাব এলাকায়। পুলিশের বাধার মুখে সেখান থেকে সরে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন।
রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সেখানে সরে গিয়ে ওই স্থান থেকেই তারা লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, জনদুর্ভোগ এড়াতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি এখন থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলবে। প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকেই কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের শীর্ষ নেতারা এরইমধ্যে শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন। যারা এখনো প্রেস ক্লাবে আছেন, তাদের অনুরোধ করছি মিছিলসহ শহীদ মিনারে চলে আসতে। আমরা এখান থেকেই আমাদের আন্দোলন পরিচালনা করব এবং বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে লাগাতার আন্দোলনকে সাজাবো ইনশাআল্লাহ।
অধ্যক্ষ আজিজী বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—যতক্ষণ পর্যন্ত জাতীয়করণের প্রজ্ঞাপন জারি না হবে, আমরা শহীদ মিনার ছাড়ব না, ঢাকার রাজপথও ছাড়ব না। আলোচনার মাধ্যমে, সহযোগিতার মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন নিয়েই বিজয়ী বেশে আমরা শ্রেণিকক্ষে ফিরব।
অন্যদিকে প্রেস ক্লাব এলাকা থেকে শিক্ষক নেতাদের সরাতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকেই আবার প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টাও করেন। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোন সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সাথে বৈঠক করেন। ছবি: ফেসবুক
বাংলাদেশে আগামী বছর একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সাথে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সারাহ কুক বলেন, ‘যুক্তরাজ্য কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানায়। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে বৈঠকে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে আগামী বছর বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছি।'
তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করি। যুক্তরাজ্য বিশেষ করে জাতীয় নাগরিক শিক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে, বিশেষ করে দেশের দুর্বল গোষ্ঠীগুলির জন্য এবং ভোটগ্রহণ কর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করছে। তাই আমাদের এজেন্ডা ছিল নির্বাচন কমিশনের সাথে যুক্তরাজ্যের সমর্থন নিয়ে আলোচনা করা। যেমনটি আমি বলেছি, জাতীয় নাগরিক শিক্ষা এবং ভোটগ্রহণ কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্যও আমরা কাজ করছি। এই বিষয়গুলো নিয়ে আজ নির্বাচন কমিশনের সাথে আলোচনা করেছি।'
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি যে যুক্তরাজ্য আগামী বছর বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে সমর্থন করছে।’
রাজধানীর উত্তরার কবি জসীমউদ্দীন রোডে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় এক মোটরবাইক চালক নিহত হয়েছেন। মোহাম্মদ আরমান মির্জা (২১) নামের ওই তরুণ কলেজ শিক্ষার্থী ছিলেন।
সোমবার ভোররাত ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পথচারীরা আহত আরমানকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে ৬ টার দিকে মারা যান।
নিহতের খালা নাজনীন আক্তার জানান, ‘খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল জরুরি বিভাগে এসে আমার ভাগিনা আরমানের মরদেহ দেখতে পাই। সে আব্দুল্লাহপুরের নবাব হাবিবুল্লাহ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছে। গভীর রাতে আরমান মোটরবাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় জসিম উদ্দিন রোডে বেপরোয়া গতির একটি বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়।
তিনি আরও জানান, আরমানের বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ থানার পূর্ব হাতিআলা গ্রামে।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টিতব্য লঘূচাপের প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি এবং ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে, রাত হতে রাজধানীতে বজ্রসহ মুষলধারে বৃষ্টির ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বেশ কিছু এলাকায় অস্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিটি ওয়ার্ডে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া, ওয়ার্ডভিত্তিক ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (Emergency Response Team) কাজ করে চলেছে। গ্রীন রোড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, শান্তিনগর, বেইলি রোড, কাকরাইল, পল্টন, সাত মসজিদ রোড, ধানমণ্ডি এলাকার জলাবদ্ধতা ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। তবে, পানি নির্গমনের আউটলেট অংশ এবং খাল-নদীর অংশের পানির লেভেল প্রায় একই হওয়ার ফলে পানি নিষ্কাশনের ধীরগতি বিদ্যমান থাকায় কিছু এলাকার পানি নামতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। এ সব এলাকা থেকে অস্থায়ী পোর্টেবল পাম্পের মাধ্যমে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, কমলাপুরে স্থাপিত হাই প্রেসার ভার্টিক্যাল পাম্পের মাধ্যমে দ্রুত পানি নামানোর কাজ চলমান রয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ০১৭০৯৯০০৮৮৮ (01709900888) মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতি তদারকি অব্যাহত রয়েছে।
রাজধানীতে গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া অবিরাম বৃষ্টি আজ সোমবার সকালেও থামেনি। বৃষ্টির সঙ্গে ছিলো বজ্রপাতও। মুষলধারে হওয়া এই বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমেছে। ফলে সড়কে আটকে আছে গণপরিবহন। এতে সাতসকালেও ঘর থেকে কাজে বের হওয়া লোকজন পরেছেন ভোগান্তিতে।
এদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ধানমন্ডি, আসাদগেট, কলাবাগান, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ১০, মিরপুর শেওড়াপাড়া, নিউমার্কেট, মগবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় পানি জমতে দেখা যায়। এসব এলাকায় কোথাও হাঁটুপানি পরিমাণ জমলেও আসাদগেট, মগবাজার, মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় ছিল কোমরসমান পানি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার দিবাগত রাত ১২টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লঘূচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ব মধ্যে বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর আরেকটি লঘূচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং এটি ঘণীভূত হতে পারে।
এদিকে রাজধানীতে সকালে হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ। শ্যামলী থেকে তেজগাঁও সাতরাস্তায় আসতে গিয়ে আসাদগেট কোমরসমান পানিতে আটকা পড়েন ওবায়দুর রহমান। তিনি বলেন, সকালে বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে বের হলেও বৃষ্টির কারণে সময়মত অফিসের জন্য বের হতে পারিনি। কোনোভাবে যাও বের হয়েছিলাম, তা পথের বিভিন্ন জায়গায় হাঁটুসমান থেকে কোমরসমান পানির জন্য আটকে থাকতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাস্তায় পানি জমে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে পরেছে। অফিসগামী লোকজনদের পরতে হয়েছে দুর্ভোগে।
এছাড়া শেওড়াপাড়া থেকে ফাহিম নামের এক তরুণ বলেন, বৃষ্টির কারণে গাড়ি পাচ্ছি না। রাস্তায় এত পরিমাণ পানি জমেছে যে, হেঁটে যাওয়ারও কোনো উপায় নেই। রিকশায়ও ভাড়া অনেক বেশি চাচ্ছে।
রোববার সন্ধ্যা ৬টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
প্রসঙ্গত, গতকয়েক দিন ধরেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরম ছিল। এ অবস্থায় গত শনিবার ও রোববার রাজধানীর আকাশ খানিকটা ঘোলাটে ছিল। তবে আজ সোমবার থেকে বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল।
রাজধানীর বনানীতে যাত্রা শুরু করলো ভ্রমণ ও পর্যটনভিত্তিক নতুন প্রতিষ্ঠান ট্রিপোলজি। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জুই গার্ডেনে অবস্থিত ট্রিপোলজির অফিসে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে এর উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রাভেল ব্লগার শিশির দেব। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও যোগ দেন ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তী এবং কোরিওগ্রাফার গৌতম সাহা।
উদ্বোধনী আয়োজনে ছিল রিবন কাটিং, অফিসিয়াল ফটো সেশন এবং দর্শকদের জন্য বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট সেশন। অনুষ্ঠান ঘিরে ভ্রমণপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় এবং তারা বাংলাদেশের ভ্রমণ শিল্পে ট্রিপোলজির সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ট্রিপোলজির কো-ফাউন্ডার তাজরিন আখতার, আবু বক্কর সিদ্দিক ও তৌহিদুল ইসলাম জানান, তাদের লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বাংলাদেশে ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়া। কোম্পানির সিইও ইমতিয়াজ কাইসুল বলেন, “ট্রিপোলজি শুধুমাত্র একটি ট্রাভেল এজেন্সি নয়; আমরা চাই মানুষ যেন ভ্রমণের প্রতিটি ধাপে নিশ্চিন্ত সেবা পায়। ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে এয়ার টিকিট, হোটেল বুকিং ও হলিডে প্যাকেজ সবকিছুতেই আমরা সর্বোচ্চ পেশাদার মান নিশ্চিত করতে চাই।”
ট্রিপোলজি বর্তমানে প্রথম বিশ্বের দেশগুলোর ভিসা প্রসেসিংয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছে। পাশাপাশি সব ধরনের দেশি-বিদেশি হলিডে প্যাকেজ, এয়ার টিকিট, হোটেল বুকিং, থার্ড ওয়ার্ল্ড ভিসা প্রসেসিং ও স্টুডেন্ট ভিসা সংক্রান্ত সেবা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন, ট্রিপোলজির উদ্যোগ বাংলাদেশের ভ্রমণশিল্পকে আরও গতিশীল করবে।
ঠিকানা: জুই গার্ডেন, হাউস ২/এ, লেভেল-৭, ব্লক এল, রোড ২/১, বনানী-১২১৩, ঢাকা।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৩১৩টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩৫৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১০২টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য