দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ আনুষ্ঠানিকভাবে দেয়া শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সোমবার দুপুরে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া।
তিনি বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় গত রোববার পরীক্ষামূলকভাবে বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হয়। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে (বুস্টার ডোজ) দেয়া হবে। ইতিমধ্যে সুরক্ষা অ্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে।’
সচিব বলেন, ‘অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিকিৎসক, নার্স, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণমাধ্যমকর্মী এবং বয়স্কদের বুস্টার ডোজের আওতায় আনা হবে। দেশে বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে।’
টিকার সংকট নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘করোনার টিকার কোনো অভাব হবে না। ইতিমধ্যে আমরা ৩১ থেকে ৩২ কোটি টিকার জোগান নিশ্চিত করেছি। ইতিমধ্যে ১৫ কোটি টিকা বাংলাদেশে এসেছে। ১১ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।’
অনুষ্ঠান শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, ‘সুরক্ষা অ্যাপ অনেকটা প্রস্তুত হওয়ায় আগামীকাল আপাতত ঢাকার বেশ কয়েকটিতে এসএমএসের মাধ্যমে বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে গ্রামেও শুরু হবে।’
রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে দিয়ে দেশে বুস্টার ডোজ দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ষাটোর্ধ্ব শতাধিক ব্যক্তিকে এ ডোজ দেয়া হয়।
তাদের মধ্যে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
আরও পড়ুন:প্রায় দুই বছর ধরে চোখের সমস্যায় ভুগছেন ৭৫ বছর বয়সী এশা বানু। আর্থিক সমস্যাসহ নানা কারণে চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না তিনি। হঠাৎ প্রতিবেশীর মাধ্যমে জানতে পারেন, নিজ বাড়ির পাশেই চক্ষুশিবির হবে এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসক এসে চিকিৎসা দেবেন। কয়েক দিন ধরে সেই অপেক্ষাতেই ছিলেন এশা বানু।
অবশেষে মঙ্গলবার এশা বানুর অপেক্ষা শেষ হয়। চক্ষুশিবিরে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার সরারচরের মাছুমপুর গ্রামের আহাদ মিয়ার স্ত্রী এশা বানু চোখের চিকিৎসা করান। অভিজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে পেরে তিনি বেশ আনন্দিত। চোখ দেখিয়ে বিনা মূল্যে ওষুধও পান তিনি।
সরারচর ইউনিয়নের খনারচর নয়াহাটি পুলের মোড়ে (মক্তব প্রাঙ্গণ) মঙ্গলবার দিনব্যাপী চক্ষু চিকিৎসা ও ছানি অপারেশনের আয়োজন করা হয়।
ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন ও বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় চক্ষুশিবিরের আয়োজন করে স্থানীয় মইনউদ্দিন-মুক্তারউদ্দিন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি।
এশা বানুর মতো একই সমস্যায় ভুগছিলেন খনারচর গ্রামের সাহাবউদ্দিন। চক্ষুশিবিরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে পেরে তিনিও আনন্দিত।
খনারচর জামে মসজিদ ও নয়াহাটি ইসলামিয়া মাদ্রাসার সভাপতি প্রফেসর ডক্টর এম আবদুল আজিজ জানান, দিনব্যাপী চক্ষুশিবিরে প্রায় ৭০০ রোগীকে বিনা মূল্যে চিকিৎসা দেয়া হয়। এর মধ্যে ১৬৫ জনকে অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়। তাদের পর্যায়ক্রমে ঢাকায় বসুন্ধরা আই হসপিটালে নিয়ে বিনা মূল্যে চোখের অপারেশন করা হবে।
ওই দিন সকালে চক্ষুশিবিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারাশিদ বিন এনাম। এতে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ১০ জন চিকিৎসক চিকিৎসাসেবা দেন।
আরও পড়ুন:এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৩৭০ জন ডেঙ্গু রোগী।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম নিয়মিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৩৭০ জন।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুসারে, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৭৫ জন, আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪৯৫ জন রোগী।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ ও ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৬৭ হাজার ১৩৮ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ ও ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ নারী।
আরও পড়ুন:ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে একদিনে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ২৯৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ছয়জনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের মধ্যে দুজন চট্টগ্রাম বিভাগের, তিনজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এবং একজন ঢাকা বিভাগের।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৩২০ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫ হাজার ৭৬৮ জন।
ঢাকার সাভারে এক হাসপাতালে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ফারজানা বেগম নামে এক প্রসূতি। শনিবার ভোরে একসঙ্গে চার কন্যা শিশুর জন্ম হয়।
সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী রোববার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
একসঙ্গে চার সন্তানের মা হওয়া ওই নারী নরসিংদীর মনোহরদী থানার কাঁচিকাটা এলাকার মঞ্জু মিয়ার স্ত্রী।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ১ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে ওই নারীকে হাসপাতালে আনা হয়। পরবর্তীতে সহযোগী অধ্যাপক ডা. অনুরাধা কর্মকারের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা শুরু হয়। অবস্থা বুঝে শনিবার ভোর ৪টার দিকে তার অপারেশন (সিজার) করা হয়। আর অস্ত্রোপচারে প্রসূতি চার কন্যা শিশু জন্ম দেন।
তবে পরিবারের কেউ এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
ডা. অনুরাধা কর্মকার বলেন, ‘সদ্য জন্ম নেয়া চার শিশুই সুস্থ রয়েছে। ওদের মা ফারজানা বেগমও সুস্থ রয়েছেন। তাদের মঙ্গল কামনা করি।’
এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একদিনে দেশে দশজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৯৬ জন ডেঙ্গু রোগী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে শনিবার সন্ধ্যায় পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৪ জন ও উত্তর সিটিতে একজন রয়েছেন। এছাড়া বরিশাল বিভাগে তিনজন এবং খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে মারা গেছেন।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী- ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১২৫, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭১, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬৯, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৭২, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৮০ এবং খুলনা বিভাগে ৮১ জন রয়েছেন।
এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ২১, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪০, রংপুর বিভাগে ২ ও সিলেট বিভাগে ৫ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে গত এক দিনে সারাদেশে ৭৯১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৭২৯ জন ডেঙ্গু রোগী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৬৩ হাজার ১৬৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে মোট ৩১০ জনের। প্রসঙ্গত, গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। মারা যান এক হাজার ৭০৫ জন।
আরও পড়ুন:এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিনশ’।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৮২ জন ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১১ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ১৭১ জন রোগী।
চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৫১ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৬২ হাজার ১৯৯ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ নারী।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ২৪৩ জন ডেঙ্গু রোগী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মারা যাওয়া সাতজনই পুরুষ। তাদের মধ্যে একজন বরিশাল বিভাগের, দুজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের, একজন খুলনা বিভাগের, দুজন ময়মনসিংহ বিভাগের এবং একজন রংপুর বিভাগের।
দেশে এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ২৯৭ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৬১ হাজার ৮১৭ জন।
মন্তব্য