× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The United States will stand up against the oppressive government
google_news print-icon

নিপীড়নকারী সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে যুক্তরাষ্ট্র

নিপীড়নকারী-সরকারের-বিরুদ্ধে-দাঁড়াবে-যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, ‘মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র একটি আন্তর্জাতিক জোট গঠন করেছে। এই জোট সেখানে সহিংসতা বন্ধ করা, অন্যায়ভাবে আটকদের মুক্তি, মানবিক সহায়তা বাধাহীন প্রবেশ নিশ্চিত করা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্রে মিয়ানমারকে ফিরিয়ে আনতে সরকারকে চাপ দেবে।’

ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল (ইন্দো-প্যাসিফিক) নিয়ে নিজ অবস্থান প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের ফেসবুক পেজে রোববার দেশটির এই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, যেকোনও নিপীড়নকারী অত্যাচারী সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেবে যুক্তরাষ্ট্র।

ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় গত ১৪ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিনকেনের দেয়া বক্তব্যে এই বিষয়গুলো স্পষ্ট করা হয়।

ব্লিনকেন তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা সেসব দেশের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অবশ্যই দাঁড়াব, যাদের মাধ্যমে তাদের নিজ দেশের নাগরিকরা নির্যাতিত হয়।’

ইন্দো-প্যাসিফিকের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি নিয়ে দেয়া বক্তব্যে এমনটি জানিয়েছেন বিশ্বের শক্তিধর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিকে আমরা মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে বাস্তবে পরিণত করতে কাজ করব।

‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্বের গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করবে। এটি বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনৈতিক অঞ্চল। বিশ্ব অর্থনীতির ৬০ শতাংশ এবং গত পাঁচ বছরে পুরো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দুই-তৃতীয়াংশ নিয়ন্ত্রণ করছে এটি। এই অঞ্চলে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষের বসবাস। বিশ্বের অনেক বড় অর্থনীতির দেশের অবস্থানও এখানেই।'

ব্লিনকেন তার বক্তব্যে এই অঞ্চলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গির পাঁচটি মূল দিক তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘প্রথমত, আমরা একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিককে এগিয়ে নেব, যেখানে সমস্যাগুলো খোলামেলাভাবে মোকাবিলা করা হবে। নিয়মগুলো স্বচ্ছভাবে সবার কাছে পৌঁছানো হবে এবং তা ন্যায্যতার ভিত্তিতে সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ হবে। এখানে পণ্য, চিন্তা ও মানুষ স্বাধীনভাবে ভূমি, সাইবারস্পেস এবং উন্মুক্ত সমুদ্র জুড়ে চলাচল করবে। এখানে শাসন ও শাসক নির্বাচিত হবে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে এবং তা হবে জনগণের প্রতি সংবেদনশীল।’

ব্লিনকেন বলেন, ‘আমরা আমাদের মিত্রদের সঙ্গে একত্রে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার উপায় খুঁজছি। সাম্প্রতিক সামিট ফর ডেমোক্রেসি এর একটি। এর মধ্য দিয়ে দেশে এবং বিদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার জন্য নতুন প্রতিশ্রুতি, সংস্কার ও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷'

‘মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র একটি আন্তর্জাতিক জোট গঠন করেছে যা সেখানে সহিংসতা বন্ধ করতে, অন্যায়ভাবে আটক সবাইকে মুক্তি দিতে, মানবিক সহায়তা বহাল রাখায় বাধাহীন প্রবেশের অনুমতি নিশ্চিত করতে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্রে মিয়ানমারকে ফিরিয়ে আনতে সরকারকে চাপ দেবে।’ যোগ করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটি উন্মুক্ত, আন্তঃপরিচালনযোগ্য, নির্ভরযোগ্য এবং সুরক্ষিত ইন্টারনেট ব্যবস্থা নিশ্চিত করব। ‌এর মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং চিন্তা বিকাশের ক্ষেত্র উন্মুক্ত হবে- যা এখন এই অঞ্চলের সরকারগুলোর আক্রমণের মুখে রয়েছে; যারা জবাবদিহিতার একটি মাধ্যম হিসাবে ইন্টারনেটের সম্ভাবনাকে সীমিত করার জন্য কাজ করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একই সময়ে, আমরা আমাদের মিত্র এবং অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছি যাতে অঞ্চলটিতে সবাই প্রবেশাধিকার পান। আমরা দক্ষিণ চীন সাগরে সমুদ্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি আমাদের গভীর আগ্রহ রয়েছে।’

ব্লিনকেনের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বলা হয়, ‘আমরা এই অঞ্চলের অভ্যন্তরে এবং এর বাইরেও কার্যকর যোগাযোগ স্থাপন করব। আমরা অস্ট্রেলিয়া, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, ফিলিপাইন এবং থাইল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের মৈত্রী চুক্তি আরও গভীর করব। এই মিত্রদের মধ্যে বড় ধরনের সহযোগিতা আরও বাড়াবো এবং আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে মিত্রদের একত্রিত করার উপায় খুঁজব-যেমনটি আমরা কোয়াডভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে করেছি।’

‘এই অঞ্চলের সঙ্গে ফেডারেল সরকারের উচ্চ-পর্যায়ের সম্পৃক্ততা যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বব্যাপী ইন্দো-প্যাসিফিকের গুরুত্ব প্রকাশ করে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম যে দুই বিদেশি নেতার সঙ্গে দেখা করেন, তারা হলেন জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী। তিনি গত মাসে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইডোডোর সঙ্গেও দেখা করেন।

'প্রেসিডেন্ট বাইডেন বিভিন্ন আঞ্চলিক সংস্থার একাধিক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে জুলাইয়ে অ্যাপেক ইনফর্মাল লিডারস রিট্রিট, মার্চ ও সেপ্টেম্বরে কোয়াড লিডারদের অ্যানগেজমেন্ট, অক্টোবরে ইউএস-আসিয়ান সামিট ও ইস্ট এশিয়া সামিট এবং নভেম্বরে অ্যাপেক ইকোনমিক লিডারস সম্মেলন অন্যতম।

'ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস প্রধান অংশীদারদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে এবং মূল সরবরাহ চেইনের স্থিতিস্থাপকতা জোরদার করার মতো সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনাম সফর করেছেন।’

ব্লিনকেন বলেন, 'আসিয়ান জোট ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতার ভিত্তি। আমরা আসিয়ানের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্ব জোরদার করতে থাকব। কারণ জরুরি সংকট ও দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য একটি শক্তিশালী ও স্বাধীন আসিয়ান জোট অপরিহার্য।

'প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী মাসে ওয়াশিংটনে আয়োজিত একটি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আসিয়ানের নেতাদের আমন্ত্রণ জানাবেন।

‘আমরা মেকং-ইউএসসহ অন্যান্য আঞ্চলিক অংশীদারের সঙ্গে আমাদের কৌশলগত অংশীদারত্ব ও সম্পর্ক জোরদার করছি। ঠিক যেভাবে আমরা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আমাদের সম্পর্কগুলোকে শক্তিশালী করছি । যেমনটা আমরা ইউরোপের সঙ্গেও করেছি।’

তৃতীয় কারণ সম্পর্কে বলা হয়, 'যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে এক ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ করেছে এবং আমরা এই অঞ্চলে আরও কিছু করব।

‘প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নির্দেশে আমরা একটি বিস্তৃত ইন্দো-প্যাসিফিক ইকনোমিক ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করছি যার মাধ্যমে বাণিজ্য সুবিধা, ডিজিটাল অর্থনীতি এবং প্রযুক্তি, স্থিতিস্থাপক সাপ্লাই চেইন, ডিকার্বনাইজেশন ও ক্লিন এনার্জি, অবকাঠামো, কর্মীদের দক্ষতা এবং অন্যান্য বিষয়ে কৌশল বিনিময় করবো।’

ব্লিনকেন বলেন, 'অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমরা আমাদের মানুষের জন্য সুযোগগুলো উন্মুক্ত করতে এবং শক্তিশালী ডেটা গোপনীয়তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বর্ধিত ডিজিটাল অর্থনীতির নিয়ামকগুলোকে আইনের আওতায় আনবো।

‘এই সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের সঙ্গে, আমরা এই প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোতে ইন্টারনেট সংযোগ উন্নত করতে একটি নতুন সাবমেরিন ক্যাবল নির্মাণের জন্য ফেডারেটেড স্টেটস অফ মাইক্রোনেশিয়া, কিরিবাতি এবং নাউরু'র সঙ্গে একটি অংশীদারত্ব ঘোষণা করেছি৷’

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সাপ্লাই চেইনকে আরও নিরাপদ ও স্থিতিস্থাপক করতে অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছি। কোভিড মহামারি আমাদের সরবরাহ চেইনগুলোর দুর্বল দিক তুলে ধরেছে এবং মাইক্রো-চিপের ঘাটতিসহ বন্দরগুলোর দুর্বলতা ও ঘাটতি প্রকাশ করেছে।

‘সব সময়, আমরা এই অঞ্চলের জন্য মানসম্পন্ন, উচ্চ মানের পরিকাঠামো সরবরাহ করব। বিল্ড ব্যাক বেটার ওয়ার্ল্ড, যা আমরা জুন মাসে জি-৭ অংশীদারদের সঙ্গে চালু করেছি। এ খাতে আগামী বছরগুলোতে শত শত বিলিয়ন ডলারের স্বচ্ছ ও টেকসই বিনিয়োগে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রও এই অঞ্চলে টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বাণিজ্যিক কার্যকলাপকে সমর্থন করছে। উদাহরণ স্বরূপ অক্টোবরে ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরামের কথা বলা যায়, যা যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত যৌথভাবে আয়োজন করেছিল। এতে ২৩ শ' ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মকর্তা অংশ নেন। সম্মেলনে এই অঞ্চলের ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরিতে ৭ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি মিলেছে।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, 'চতুর্থত, আমরা আরও স্থিতিস্থাপক ইন্দো-প্যাসিফিক গড়ে তুলতে সাহায্য করবো। কোভিড-১৯ মহামারি এবং জলবায়ু সংকট এই কাজের প্রয়োজনীয়তা বাড়িয়ে দিয়েছে।

‘যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী ৩০০ মিলিয়ন ডোজ নিরাপদ ও কার্যকর করোনা প্রতিরোধী টিকা বিতরণ করেছে। আমরা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ১০০ মিলিয়নেরও বেশি ডোজ পাঠিয়েছি। হাসপাতালগুলোর জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা-সরঞ্জাম থেকে চিকিৎসা সামগ্রী, অক্সিজেন পর্যন্ত পাঠিয়েছি। জীবন বাঁচাতে আমরা এই অঞ্চলে ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত সহায়তা দিয়েছি।’

বিবৃতিতে বলা হয়, 'যেহেতু আমরা এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছি, আমরা পরবর্তী মহামারি প্রতিরোধ, শনাক্তকরণ এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আরও ভাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তৈরি করছি।

'শুধুমাত্র আসিয়ানে আমরা গত ২০ বছরে জনস্বাস্থ্যে ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছি। আমরা যৌথ গবেষণা ত্বরান্বিত করা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি ক্রমবর্ধমান প্রজন্মকে প্রশিক্ষণ দিতে আরও কয়েক মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছি৷

‘আমরা পুরো অঞ্চল জুড়ে ক্লিন এনার্জি এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা প্রকল্পে আরও কয়েক মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছি, যা যুক্তরাষ্ট্র এবং সমগ্র ইন্দো-প্যাসিফিক উভয় অঞ্চলে পরিষ্কার ও সবুজায়ন প্রকল্পে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।

'আমরা ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তা জোরদার করবো। অঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকি বাড়ছে এবং আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অবশ্যই পাল্লা দিয়ে বাড়াতে হবে। এটি করার জন্য, আমরা আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তির ওপর নির্ভর করব সেটা হচ্ছে আমাদের জোট এবং অংশীদারত্ব।'

ব্লিনকেনকে উদ্বৃত করে বিবৃতিতে বলা হয়, "যুক্তরাষ্ট্র একটি ‘সমন্বিত প্রতিরোধ’ কৌশল গ্রহণ করবে যা আমাদের মিত্র এবং অংশীদারদের সঙ্গে আমাদের জাতীয় শক্তির সব উপকরণকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে একত্রিত করবে।

‘অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমাদের উন্নত ত্রিপক্ষীয় অংশীদারত্ব একটি প্রধান উদাহরণ। এটি আমাদের কৌশলগত স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, আন্তর্জাতিক নিয়ম-ভিত্তিক শৃঙ্খলা বজায় রাখবে এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রচার করবে।"

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংকে বলেছেন যে আমাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা যাতে সংঘাতের দিকে না যায় তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা দায়িত্ব ভাগ করে নেব। সেই দায়িত্ব পালনে কূটনীতি আমাদের প্রথম হাতিয়ার হয়ে থাকবে। আমাদের লক্ষ্য হবে এই অঞ্চলে সংঘাতের আশঙ্কাকে কমিয়ে শেষ পর্যন্ত নিষ্ক্রিয় করা।

‘যুক্তরাষ্ট্র স্বীকার করে যে, বিশ্বের সম্ভাবনা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে লেখা হবে। এই অঞ্চলের প্রতি আমাদের স্থায়ী প্রতিশ্রুতি এবং আমাদের মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা আমাদের সবার জন্য একটি উন্মুক্ত, আন্তঃসংযুক্ত, সমৃদ্ধ, স্থিতিস্থাপক এবং নিরাপদ অঞ্চল অর্জনে সহায়তা করবে।’

আরও পড়ুন:
র‌্যাব, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও ভূরাজনীতিতে প্রভাব
করোনা: ফাইজারের খাওয়ার ওষুধে যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন
ছুটির মৌসুমে ২ কোটি আমেরিকান ‘ভুখা’
যুক্তরাষ্ট্রে ওমিক্রন সংক্রমণ ৩% থেকে ৭৩%
খুনিকে আশ্রয় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র মানবতার কথা বলে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

নাহিদ ইসলামের জবানবন্দি পেশ

নাহিদ ইসলামের জবানবন্দি পেশ জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ফাইল ছবি

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৪৭ তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি পেশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নাহিদ ইসলাম।

বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আজ জবানবন্দি পেশ শেষ করেন নাহিদ। তিনি গতকাল জবানবন্দি পেশ শুরু করেন।

আজ বিকেলে তাকে জেরা করবেন এই মামলায় পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।

এ মামলায় প্রসিকিউসন পক্ষে আজ চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এসএইচ তামিম শুনানি করেন। সেই সাথে অপর প্রসিকিউটররা শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।

উক্ত মামলায় পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে পরে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।

মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

একপর্যায়ে এ মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে (অ্যাপ্রোভার) রাজসাক্ষী হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আবেদন মঞ্জুর করেন ট্র্যাইব্যুনাল। পরবর্তীকালে এ মামলার ৩৬ তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন রাজসাক্ষী পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এ মামলাটি ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, এর দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অপরাধের বিচার কাজ চলছে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Female fishermen should also have cards with men in the family Fisheries and Livestock Advisor

পরিবারে পুরুষের সঙ্গে নারী জেলেদেরও কার্ড থাকতে হবে -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

পরিবারে পুরুষের সঙ্গে নারী জেলেদেরও কার্ড থাকতে হবে -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, পরিবারে পুরুষের সঙ্গে নারী জেলেদেরও কার্ড থাকতে হবে। তিনি বলেন, সরকারের দেওয়া জেলে কার্ডে পুরুষ জেলেদের নামই আসে, মাত্র ৪ শতাংশ সেখানে নারী। পরিবারে একজন চাকরি করলে তিনিই চাকরিজীবী হোন কিন্তু যারা মাছ ধরে তার পুরো পরিবার এ কাজে যুক্ত। এ প্রক্রিয়ায় বেশিরভাগ সময় নারীদের বেশি কাজ করতে হয়। তাই পুরুষ জেলেদের সঙ্গে নারীদেরও কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

উপদেষ্টা আজ বুধবার সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বেসরকারি গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস) আয়োজিত “টেকসই মৎস্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জাতীয় নীতি সংলাপ”-এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, এ সেমিনার এসে দায়িত্ব বেড়ে গেছে। আমাদের জেলেদের বিশেষ করে নারী জেলেদের নিয়ে আরো বেশি কাজ করতে হবে। এখন পর্যন্ত নারীদেরকে কৃষকের স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। আর নারী জেলেদের কথা তো বলাই বাহুল্য। অথচ নারী জেলেরা তার পরিবার পরিজনের জন্য নদীতে মাছ ধরে। স্বামীর অবর্তমানে সংসার চালায়।

মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, "এ পেশায় পুরো পরিবারকে নিয়ে কাজ করতে হয়। মান্তা সম্প্রদায়ের দুঃখ দুর্দশার কথা শুনে খুব কষ্ট পেলাম।" জেলে সম্প্রদায়ের আইনগত সমস্যা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড় তুফানে অনেক জেলে মারা যায়, কেউ হারিয়ে যায়, সেসব পুরুষের হদিস না থাকায় ব্যাংকের টাকাও তুলতে পারে না তাদের স্ত্রীরা। তা ছাড়া নারীকে বিধবা ভাতাও দেওয়া যায় না। এসব আইনি জটিলতা দূর করতে হবে।

তিনি বলেন, "আমাদের আইনগুলো পুরুষদের কথা চিন্তা করে করা। সেখানে নারীদের স্থান খুব কম। আর আগের মৎস্য আইনও একই ধরনের। তাই মৎস্য আইনের খসড়া ২০২৫ -এ আমরা এসকল সমস্যার সমাধানে দৃষ্টি দিয়েছি। আর নারীদের স্বীকৃতি দিলে হলে সংখ্যার স্বীকৃতি দিতে হবে। অথচ আমাদের তালিকায় নারীজেলের সংখ্যা খুবই নগন্য, মাত্র ৪ শতাংশ। কিন্তু সমাজে অসংখ্য নারী জেলে রয়েছে। এসব ঘাটতি পূরণে আমরা কাজ করছি। "

অমৎস্যজীবীরা মৎস্যজীবীর কার্ড নিয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আগের তালিকা অনুসন্ধান করে দেখেছি অমৎস্যজীবীরা মৎস্যজীবীর কার্ড নিয়ে গেছে। এখন সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। আমরা চাই যেন প্রকৃত জেলেরা কার্ড পেতে পারে। সেইসঙ্গে যে পরিবারে পুরুষ জেলের কার্ড থাকবে সেখানে নারীদেরও থাকতে হবে।

কাঁকড়া ও ঝিনুক মানুষের খাদ্যের অংশ এটিকে বন অধিদপ্তরের সংজ্ঞা থেকে বের করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তা ছাড়া যারা কীটনাশক ব্যবহার করে মাছ ধরছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জলমহাল ইজারা সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, জলমহালের কাছের মানুষের নামে অন্যরা জলমহাল ইজারা নেয়। এক্ষেত্রে জৈবভিত্তিক ইজারা দিতে হবে, অর্থাৎ এ পেশার সঙ্গে জড়িত জেলেদের দিতে হবে। বাওড়ে ইজারা জেলেদের দেওয়ার কথা নিশ্চিত হচ্ছে, তবে হাওর নিয়েও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা চলছে। যাতে প্রকৃত জেলেরা তা পায়।

নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা সময়ে যতজনকে ভিজিএফ কার্ডের আওতায় সহযোগিতা দেওয়া দরকার তা দেওয়া সম্ভব হয় না। এর পরিমাণ ও সংখ্যা বাড়ানোর জন্য আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা একটি বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলতে চাই।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, নারী শ্রমিকরা পুরুষের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম মজুরি পায়। তা ছাড়া আমাদের জলমহাল ইজারা রাজস্বভিত্তিক দেওয়া হয়। এটি বাতিল করে জাল যার জলা তার নীতিতে নিতে হবে। জন্মনিবন্ধন ও এনআইডি কার্ড নিশ্চিত করে জেলে কার্ড দেওয়া হবে। বর্তমানে আমাদের নিবন্ধনে ১৭ লাখ জেলের মধ্যে ৪৪ হাজার রয়েছে নারী। এ সংখ্যা আমরা বৃদ্ধি করতে হবে।

এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিএনআরএস এর পরিচালক মি. এম. আনিসুল ইসলাম। এমপাওয়ারিং উমেন থ্রু সিভিল সোসাইটি অ্যাক্টর্স ইন বাংলাদেশ (ইডাব্লিউসিএসএ) প্রকল্পের পরিচিতি উপস্থাপন করেন অক্সফাম বাংলাদেশের প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর শাহজাদী বেগম।

সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিএনআরএস-এর পরিচালক ড. এম. আমিনুল ইসলাম এবং জাগো নারী টিম লিডার রিসার্চ আহমেদ আবিদুর রেজা খান।

সংলাপ শেষে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে নারী মৎস্যজীবীদের ক্ষমতায়ন ও টেকসই মৎস্য ব্যবস্থাপনা জোরদারে বিভিন্ন সুপারিশ উপস্থাপিত হয়।

সংলাপে সরকারি কর্মকর্তা, গবেষক, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, সিভিল সোসাইটি, শিক্ষাবিদ এবং উপকূলীয় অঞ্চলের মৎস্যসম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Government is committed to make worship a peaceful and festive atmosphere Home Advisor

পূজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে করতে সরকার বদ্ধপরিকর: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পূজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে করতে সরকার বদ্ধপরিকর: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বুধবার রমনা কালী মন্দির পরিদর্শন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি : বাসস

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, গত বছরের চেয়ে এবার পূজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, পূজা উপলক্ষে হামলার কোনো হুমকি নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আজ বুধবার রমনা কালী মন্দির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সময় রমনা কালী মন্দির কমিটির সভাপতি অপর্ণা রায়সহ কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জাহাঙ্গীর বলেন, পূজা নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠানের জন্য ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করা হবে। সে কারণে একটি নতুন অ্যাপ খোলা হয়েছে। কোথাও কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি পূজা উদযাপন কমিটিকে নজরদারি করার আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সে কারণে ধর্মীয় নিয়ম মেনে সবাই এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বিগত সরকারের সময় ২ কোটি টাকা পূজা উপলক্ষে বরাদ্দ দেওয়া হতো। বর্তমান সরকার তা থেকে বাড়িয়ে গত বছর এ লক্ষ্যে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল; এবার সেটি থেকে বাড়িয়ে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। পূজা মণ্ডপের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরো সহায়তা করা হবে।

মন্তব্য

কিশোর পত্রিকা 'নবারুণ'-এর লেখকদের সঙ্গে মতবিনিময়

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ শিশুদের স্মৃতি নিয়ে লেখা প্রকাশে তথ্য উপদেষ্টার আহ্বান
কিশোর পত্রিকা 'নবারুণ'-এর লেখকদের সঙ্গে মতবিনিময়

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলম বলেছেন, যেসব শিশু জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ হয়েছে, তাদের লেখা ও স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে 'নবারুণ' পত্রিকার বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করতে হবে। এ বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করতে উপদেষ্টা চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। বুধবার (১৭ই সেপ্টেম্বর) ঢাকার তথ্য ভবনে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর প্রকাশিত কিশোর মাসিক পত্রিক 'নবারুণ'-এর লেখকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এই আহ্বান জানান।

'নবারুণ' পত্রিকা নিয়ে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এই পত্রিকায় শিশু-কিশোরদের আঁকা ছবি ও লেখা গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করতে হবে। 'নবারুণ' পত্রিকায় শিশু-কিশোরদের লেখা ও ছবি বেশি পরিমাণে প্রকাশিত হলে তারা অনুপ্রাণিত হবে। এতে তাদের সৃজনশীলতা বিকশিত হবে।

মাহফুজ আলম বলেন, "যে সরকারই দায়িত্বে আসুক না কেন, শিশু-কিশোরদের ব্যাপারে নিরপেক্ষ থাকা উচিত।" তিনি ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান-সহ আর্থসামাজিক বিভিন্ন বিষয়ের ওপর লেখালিখি করার জন্য লেখকদের প্রতি অনুরোধ জানান।

'নবারুণ' পত্রিকা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, প্রকাশনার শুরু থেকে (১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দ) এ পর্যন্ত 'নবারুণ' পত্রিকার সকল সংখ্যা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করতে হবে এবং তা জনগণের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। এতে পাঠক অনলাইনে পুরাতন সংখ্যা পড়ে সমৃদ্ধ হতে পারবেন।

'নবারুণ' পত্রিকার কলেবর বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, 'নবারুণ' পত্রিকায় নতুন লেখকদের জন্য আলাদা বিভাগ চালু করা উচিত। পত্রিকার প্রতি সংখ্যায় কমপক্ষে পাঁচ জন নতুন লেখকের লেখা প্রকাশের জন্য তিনি কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেন। তিনি শিশু-সাহিত্যিকদের নিয়ে দিনব্যাপী একটি কর্মশালা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

সভায় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, যেসব লেখক ৪০-৫০ বছর ধরে লিখছেন, তাঁদের লেখা 'নবারুণ' পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করতে হবে। এতে পত্রিকা আরও সমৃদ্ধ হবে। তিনি 'নবারুণ' পত্রিকার লেখক-সম্মানি বাড়াতে কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দেন।

সভায় 'নবারুণ' পত্রিকার লেখকরা তাঁদের মতামত তুলে ধরেন। তাঁরা 'নবারুণ'-কে একটি অসাধারণ ও সাহসী পত্রিকা হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তাঁরা পত্রিকাটির মানোন্নয়নে বেশ কিছু প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদা বেগম। সভার শুরুতে 'নবারুণ' পত্রিকা বিষয়ে তথ্যচিত্র উপস্থাপনা করেন পত্রিকার সম্পাদক ইসরাত জাহান। মতবিনিময় সভাটি সঞ্চালন করেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের সিনিয়র সম্পাদক শাহিদা সুলতানা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The chief adviser

ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার

ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

আজ বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য (এমইপি) মুনির সাতোরির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা প্রতিনিধিদলকে জানান, ‘আমরা ইতোমধ্যেই নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করেছি। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারির শুরুতে, রমজানের ঠিক আগে।’

তিনি উল্লেখ করেন, জনসাধারণ বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে নির্বাচনী উৎসাহ বাড়ছে, কারণ দীর্ঘদিন পর—কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দশকেরও বেশি সময় পর—ছাত্র সংসদ নির্বাচন আবার শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর।’ তিনি যোগ করেন, কিছু শক্তি এখনো নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে, তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, তরুণ ভোটাররা এবার রেকর্ড সংখ্যায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে, কারণ ১৫ বছরেরও বেশি সময় পর অনেকেই প্রথমবারের মতো ভোট দেবে।

তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য এক নতুন সূচনা বয়ে আনবে। এটি আমাদের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে—জাতির জন্য এক নতুন যাত্রা।’

এক ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা ও ইউরোপীয় আইনপ্রণেতারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক রূপান্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অব্যাহত সমর্থন এবং চলমান রোহিঙ্গা মানবিক সংকট নিয়ে মতবিনিময় করেন।

আগামী নির্বাচন বাংলাদেশে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন ইউরোপীয় আইনপ্রণেতারা। একজন আইনপ্রণেতা প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সরকারের গত ১৪ মাসের ‘অসাধারণ’ প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

একজন ডাচ আইনপ্রণেতা মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ কতিপয় দেশের মধ্যে অন্যতম, যেখানে ‘ঘটনাগুলো সঠিক পথে এগোচ্ছে।’

প্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য বাড়তি তহবিল প্রদানের আহ্বান জানান।

বিশেষ করে সম্প্রতি অর্থাভাবের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্কুলগুলো পুনরায় চালু করতে সহায়তা প্রদানের অনুরোধ জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ শ্রম সংস্কারগুলো তুলে ধরে বলেন, এসব পদক্ষেপ বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Participation at the GICC Conference of the Secretary of the Bridge Division

জিআইসিসি সম্মেলনে সেতু বিভাগের সচিবে'র অংশগ্রহন

জিআইসিসি সম্মেলনে সেতু বিভাগের সচিবে'র অংশগ্রহন

দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে ওয়েস্টিন পারনাস হোটেলে আজ থেকে ০৩(তিন) দিনব্যাপী (১৬-১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার কো-অপারেশন কনফারেন্স (জিআইসিসি)-২০২৫ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন। সম্মেলনে সেতু সচিব সেতু বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের উপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। সেতু সচিব প্রেজেন্টেশনে উল্লেখ করেন সেতু বিভাগের কয়েকটি প্রকল্পে কোরিয়ান ইডিসিএফ/ইডিপিএফ (EDCF/EDPF) অর্থানয়ের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের পরিবহন খাতে দক্ষিণ কোরিয়ার কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।

জিআইসিসি-২০২৫ সম্মেলনের লক্ষ্য কোরিয়ান নির্মাণ সংস্থাগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি করা এবং বিভিন্ন দেশের প্রকল্প বাস্থবায়নকারীদের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপন করা। এটি মূলত একটি বিজনেস-টু-বিজনেস প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে, যেখানে কোরিয়ান কোম্পানিগুলো বিদেশী সরকার, প্রজেক্ট ডেভেলপার এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে। সম্মেলনে প্রায় ৫০০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে ৩০টি দেশের মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এবং কোরিয়ান শীর্ষস্থানীয় নির্মাণ সংস্থাগুলির কর্মকর্তারা রয়েছেন।

এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্যগুলো হলো: বিভিন্ন দেশের আসন্ন অবকাঠামো প্রজেক্ট সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও আদান-প্রদান, বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন, নতুন প্রজেক্টে অংশগ্রহণের জন্য চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং কোরিয়ান উন্নত প্রযুক্তি যেমন স্মার্ট সিটি, হাই-স্পিড রেল, এবং স্মার্ট পোর্ট সিস্টেমের সাথে পরিচিতি করা।

এছাড়াও সম্মেলনের বাকী অংশে বিভিন্ন দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের প্যানেল আলোচনা, বিভিন্ন দেশের প্রজেক্ট ব্রিফিং, ব্যক্তিগত বিজনেস মিটিং, কোরিয়ান শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলো তাদের নতুন প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There is no alternative to open reservoirs to resolve the domestic fish crisis Fisheries and Livestock Advisor

দেশীয় মাছ সংকট নিরসনে উন্মুক্ত জলাশয়ের বিকল্প নেই: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

দেশীয় মাছ সংকট নিরসনে উন্মুক্ত জলাশয়ের বিকল্প নেই: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সারা দেশে দেশীয় মাছের সংকট প্রকট হয়ে উঠছে। এই সংকট নিরসনে উন্মুক্ত জলাশয়ের কোন বিকল্প নাই। সরকার দেশের নদ-নদীতে মাছের অভয়ারণ্য তৈরি করতে কার্যক্রম গ্রহণ করছে।

উপদেষ্টা আজ সকালে কুড়িগ্রামে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান,নারী কৃষক এবং স্হানীয় এনজিও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আলোচনা সভার আয়োজন করে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, বন্যায় নদীগুলোতে পলি পরার কারণে নাব্যতা হ্রাস, পানি দূষণ, চায়না জাল ব্যবহার ও ইলেকট্রিক শর্ট দিয়ে মাছ কারণে দিনদিন মাছের পরিমাণ কমছে। জোরালো অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ মাছ ধরার যন্ত্রপাতি উদ্ধার করতে হবে। অভিযান চলমান রাখতে নদীগুলোতে স্পীড বোটের ব্যবহার করা হবে।

চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে তারা সরকারি অনেক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া তিনি প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে এই অঞ্চলের মানুষের জন্য বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান।

খামারিদের উৎপাদিত দুধ সংরক্ষণ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, যথাযথ সংগ্রহ ও সংরক্ষণের অভাবে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই এই অঞ্চলে চিলিং সেন্টার স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

জুলাই যোদ্ধাদের আত্মত্যাগ প্রসঙ্গে বলেন, জুলাই যোদ্ধাগণ অনেকে জীবন উৎসর্গ করেছেন আবার অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তাদের এই ঋণ ভুলবার নয়। এজন্য তিনি সরকারি ও এনজিওর উদ্যোগে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে আহ্বান জানান।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজের সভাপতিত্বে আরো উপস্হিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোক্তাদির খান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণের অতিরিক্ত উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ রানাসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

এরপর উপদেষ্টা কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছি ইউনিয়নের ছড়ারপাড় গ্রামে নারী কৃষকের বাড়ি পরিদর্শন করেন।

মন্তব্য

p
উপরে