তামাক কোম্পানিতে সরকারের শেয়ার থাকা তামাক নিয়ন্ত্রণে বড় বাধা বলে মন্তব্য করেছেন আর্ক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. রুমানা হক।
রাজধানীর একটি হোটেলে রোববার দুপুরে বাংলাদেশে অবৈধ সিগারেট বিক্রি ও উৎপাদনের মাত্রা বিষয়ে গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশকালে ড. রুমানা এমন মন্তব্য করেন। একই ধরনের অভিমত ব্যক্ত করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্য বিশেষজ্ঞরাও।
যুক্তরাজ্যের গ্লোবাল চ্যালেঞ্জেস রিসার্চ ফান্ডের টোব্যাকো কন্ট্রোল ক্যাপাসিটি প্রোগ্রামের তত্ত্বাবধানে এই সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। বিশেষজ্ঞ আলোচক ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. নুরুল আমিন ও সেন্টার ফর ল’ এন্ড পলিসি আফেয়ার্সের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন।
অধ্যাপক রুমানা হক তার প্রবন্ধে বলেন, ‘গবেষণায় অংশগ্রহণ করা অধিকাংশ মানুষ মনে করে যে তামাক কোম্পানিতে সরকারের শেয়ার থাকা তামাক নিয়ন্ত্রণে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ব্যতীত অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের আর্টিকেল ৫ দশমিক ৩-এর ব্যাপারে জ্ঞান একেবারেই সীমিত।’
অনুষ্ঠানে আরেকটি গবেষণাপত্র তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং আর্ক ফাউন্ডেশনের গবেষক এস এম আব্দুল্লাহ।
এই গবেষণায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশের খুচরা দোকানগুলোতে যে পরিমাণে সিগারেট বিক্রি হয় তার প্রায় ৫ দশমিক ২ শতাংশ কোনও না কোনওভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য সিগারেট প্যাক সম্পর্কিত আইন বিবেচনায় না নিয়ে বিক্রি করা হয়। এছাড়াও গবেষণায় পাওয়া গেছে যে বাজারে বিক্রীত প্রায় ৪ দশমিক ৮ শতাংশ সিগারেট প্যাকেটের গায়ে থাকা ট্যাক্স স্ট্যাম্প আইন লঙ্ঘন করা হয়। এই গবেষণাটি করতে বাংলাদেশের আটটি জেলার মোট ৮০টি জায়গা থেকে প্রায় ২৪ হাজার সিগারেট প্যাকেট সংগ্রহ করা হয়।
এস এম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘তামাক কোম্পানিগুলো দাবি করে যে তামাকের ওপর কর বাড়ালে দেশে অবৈধ বাণিজ্য বেড়ে যাবে। তবে তাদের এ দাবি যে সঠিক নয় তা এখন প্রমাণিত। কারণ প্রতি বছর সিগারেটের দাম বাড়লেও গবেষণায় দেখা যায় যে দেশে অবৈধ সিগারেটের পরিমাণ খুবই সীমিত। সরকার এ ক্ষেত্রে নজরদারি আরও বাড়ালে এবং তামাক নিয়ন্ত্রণে আরও গতিশীলতা আনতে পারে এই অবৈধ বাণিজ্য আরও কমে আসবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আর্টিকেল ৫ দশমিক ৩ এর অতি দ্রুত বাস্তবায়ন প্রয়োজন এবং একইসঙ্গে বাস্তবায়নকারী সংস্থার সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘তামাকের বিরুদ্ধে যারা কাজ করছেন তাদের তুলনায় তামাক কোম্পানিগুলোর রিসোর্স অনেক বেশি। তবু দেশ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে এই অসম যুদ্ধ আমাদের লড়ে যেতে হবে। আমি সংসদেও বলেছি যে তামাক নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ৪০ বছরের মধ্যে আমাদের দেশ একটি ১৮ কোটি লোকের হসপিটালে পরিণত হবে।’
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণায় দেশে একটি রাজনৈতিক সদিচ্ছার জায়গা তৈরি হয়েছে। কিছুদিন আগে ১৯১ জন জাতীয় সংসদ সদস্য তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার পক্ষে চিঠি লিখেছেন।
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘শুধু সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় তামাক নিয়ন্ত্রণ এবং তামাকজনিত ক্ষতি রোধ সম্ভব নয়। গবেষক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, উন্নয়ন কর্মীসহ সবাইকে এগিয় আসতে হবে। তামাক নিয়ন্ত্রণের সপক্ষে যারা কথা বলেন তাদের সরকারকে পথ দেখাতে হবে এবং সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করতে হবে। সরকারও নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে এমনটা প্রত্যাশা করি।’
নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তামাক কোম্পানিতে সরকারের শেয়ার থাকা অত্যন্ত দুঃখজনক। তামাকের বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে আমাদের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়ে তুলতে কাজ করে যেতে হবে। আমরা তখনই আশার আলো দেখতে পাবো যখন দেখব সরকার নীতিনির্ধারণে তামাক নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারগুলো আরো গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিচ্ছে।’
মো. নুরুল আমিন বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা, উচ্চ মাপের গবেষণা, এবং গবেষণার ফলভিত্তিক নীতি প্রণয়ন। ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়তে ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল-এর গাইডলাইন অনুসারে আরো কঠিনভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করতে হবে।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬২৮ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৬৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে শুক্রবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৩ হাজার ৩৫৮ জন ডেঙ্গুরোগী।
এতে আরও বলা, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ লাখ ১২ হাজার ৩৫৯ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ৭ হাজার ৯৭৪ জন ও ঢাকার বাইরে ২ লাখ ৪ হাজার ৩৮৫ জন।
২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৬২২ জন। এর মধ্যে বাসিন্দা ঢাকার ৯৩৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬৮৫ জন।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৭৭ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটির ১৪৪ জন এবং ঢাকা সিটির বাইরে ৭৩৩ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩ হাজার ৪৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ লাখ ১১ হাজার ৮৯১ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ ৭ হাজার ৮৩৬। ঢাকার বাইরে ২ লাখ ৪ হাজার ৫৫ জন।
সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩ লাখ ৬ হাজার ৭৯০ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ ৫ হাজার ৯৯১ ও ঢাকার বাইরে ২ লাখ ৭৯৯ জন।
গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ২৮১ জন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) শিশু স্নায়ুরোগের সেবায় ইএমজি সেবা ও নিউরো-মাসকুলার ডিজঅর্ডার ক্লিনিক উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরো ডিজঅর্ডার এন্ড অটিজম (ইপনা) ও শিশু নিউরোলজী বিভাগে প্রধান অতিথি হিসেবে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এর উদ্বোধন করেন।
এসব চালু করার মাধ্যমে শিশু স্নায়ু রোগীদের চিকিৎসা ও গবেষণার জন্য নতুন একটু দ্বার উন্মোচিত হলো। নার্ভ কনডাকশন স্টাডি (এনসিএস) ও ইলেকেট্রোমায়োগ্রাম (ইএমজি) পরীক্ষার মাধ্যমে শিশুদের স্নায়ুরোগ ও মাংসপেশির রোগ সনাক্ত করনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক বলেন, ‘আজ ইনিস্টিটিউট-অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিসঅর্ডার এন্ড অটিজম (ইপনা) ও শিশু নিউরোলজি বিভাগের জন্য একটি স্মরণীয় দিন। ইপনায় সেবা নিতে আসা বিশেষ শিশুরা বেশ সংবেদনশীল। তাদের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। চিকিৎসকরা যেমন বিশেষ শিশুদের যত্ন দেবেন, তার চেয়ে বেশী সেবা পরিজনদের মাধ্যমে দিতে হবে। এতে বিশেষ শিশুরা দেশের সম্পদে পরিণত হবে। বিশেষ শিশুদের মেধার বিকাশে কাজ করছে ইপনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিশু স্নায়ুরোগীসহ সকল বিভাগে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা প্রদানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন বেশ মনোযোগী। শিশুদের ¯স্নায়ুরোগীদের সেবার জন্য বিশ্বে যে ধরনের সেবা দেয়া হয় সেটিও এখানে দেয়া হচ্ছে। সামনে আরও উন্নতমানের সেবা দেবার লক্ষে আমরা কাজ করছি।’
এ সময় ইপনার পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহীন আক্তার, শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. কানিজ ফাতেমা, অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু, অধ্যাপক ডা. সাঈদা তাবাস্সুম আলম, সহকারী অধ্যাপক ডা. বিকাশ চন্দ্র পাল, সহকারী অধ্যাপক ডা. সানজিদা আহমেদ, অতিরিক্ত পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. পবিত্র কুমার দেবনাথ প্রমখসহ বিভাগের সকল ফ্যাকালটি ও চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬১৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৬৮ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৯৩ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৭৫ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারা দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩ হাজার ৫৮৭ জন রোগী। এর মধ্যে ঢাকায় ৯৭৪ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ২ হাজার ৬১৩ জন রোগী ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে বুধবার (২৯ নভেম্বর) পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৩ লাখ ১১ হাজার ১৪ জন। তাদের মধ্যে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে ফিরেছেন ৩ লাখ ৫ হাজার ৮১২ জন।
আরও পড়ুন:ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬১০ জন।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৫৯ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ২০১ জন এবং ঢাকা সিটির বাইরে ৭৫৮ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩ হাজার ৫৬৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন।
এতে আরও বলা, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ লাখ ১০ হাজার ৪৬ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯৯ জন ও ঢাকার বাইরে ২ লাখ ২ হাজার ৫৪৭ জন।
সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩ লাখ ৪ হাজার ৮৬৯ জন। ঢাকায় ১ লাখ ৫ হাজার ৫৬৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৩০১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
সারা দেশে রোববার সকাল আটটা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১৬০৬ জনে দাঁড়াল।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯২০ জন। নতুন এসব শনাক্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১৯ জন, আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭০১ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৩ হাজার ৪৯৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ১১ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ২ হাজার ৪৮২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৯ হাজার ৮৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ৭ হাজার ২৯৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ২ লাখ ১ হাজার ৭৮৯ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ লাখ ৩ হাজার ৯৮৮ জন। ঢাকায় ১ লাখ ৫ হাজার ৩৫৭ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৩৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৫৯৮ জনের মৃত্যু হলো।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে রোববার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার সকাল আটটা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৯৭১ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ২১৭ এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হন ৭৫৪ জন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে তিন হাজার ৫৯৫ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা তিন লাখ ৮ হাজার ১৬৭ জনে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ ৭০ হাজার ৭৯ জন। ঢাকার বাইরে ২ লাখ ১ হাজার ৮৮ জন।
চলতি বছর ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিন লাখ দুই হাজার ৯৭৪ জন।
দেশে গত ১৫ নভেম্বর ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৪ জন মারা যান, যা এক দিনে এ বছরের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে একদিনে ২১ জন মারা যান, যা ডেঙ্গুতে এ বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। তারও আগে গত ২ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুতে ২১ জনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য