কোম্পানির ক্যাটাগরি পাল্টালে এবং সেটির উন্নতি হলে মার্জিন ঋণ মিলবে বলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্দেশনায় পাঁচটি কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা ঋণ পাবেন ব্রোকারেজ হাউস থেকে।
কোম্পানি পাঁচটি হলো বেক্সিমকো লিমিটেড, ভিএসএফ থ্রেড, ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস, তওফিকা ফুডস ও বিকন ফার্মা। এই কোম্পানিগুলো গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের লভ্যাংশের কারণে ‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হবে।
আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লভ্যাংশসংক্রান্ত কারণে কোম্পানির ক্যাটাগরি পাল্টালে ৩০ কর্মদিবস ঋণ পাওয়া যেত না।
তবে রোববার বিএসইসি নিয়মিত কমিশন সভায় মার্জিন ঋণের নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়। এতে বলা হয়, জেড ক্যাটাগরির কোনো কোম্পানি বা কোনো কোম্পানি যদি ক্যাটাগরি পরিবর্তন করে উচ্চতর ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়, তাহলে সে কোম্পানির বিপরীতে ঋণ সুবিধা দেয়া যাবে।
তবে এ জন্য অপেক্ষা করতে হবে সাত দিন। অর্থাৎ সাত কর্মদিবস পর সেই কোম্পানির শেয়ার ক্রয়ে পাওয়া যাবে ঋণ সুবিধা।
বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে নতুন শেয়ার তালিকাভুক্ত হলে আগের মতোই লেনদেন শুরুর ৩০ কর্মদিবসে শেয়ার কেনায় ঋণ দেয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে। জেড ক্যাটাগরি বা ৪০ পিই রেশিওর বেশি শেয়ারে ঋণ দেয়া যাবে না বলে নির্দেশনাও বহাল আছে।
কাদের ক্যাটাগরি পাল্টাচ্ছে
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে লভ্যাংশ ঘোষণার পর বেশ কয়েকটি কোম্পানির ক্যাটাগরি পাল্টাবে। এর মধ্যে ‘জেড’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হবে তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, মনোস্পুল পেপার ও পেপার প্রসেসিং।
‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হবে বেক্সিমকো লিমিটেড, বিকন ফার্মা, ভিএসএফ থ্রেড ও ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস।
‘এন’ ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে এসেছে তওফিকা ফুডস।
কোনো কোম্পানি লভ্যাংশ না দিলে বা ওটিসি মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে এলে সেটি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হয়। যেসব কোম্পানি ১ থেকে ৯ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়, সেগুলো ‘বি’ ক্যাটাগরিতে, যেগুলো নতুন তালিকাভুক্ত হয়, সেগুলো ‘এন’ ক্যাটাগরিতে এবং যেগুলো কমপক্ষে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়, সেগুলো ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হয়।
বেক্সিমকো লিমিটেড ২০২০ সালের জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। ২০২১ সালের জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে দিয়েছে ৩৫ শতাংশ।
বিকন ফার্মা আগের বছরে লভ্যাংশ দিয়েছিল ৬ শতাংশ, এবার দিয়েছে ১৫ শতাংশ।
ভিএসএফ থ্রেডও আগের বছর লভ্যাংশ দিয়েছিল ৬ শতাংশ, এবার দিয়েছে ১১ শতাংশ।
ম্যাকসন্স স্পিনিং আগের বছর লভ্যাংশ দিয়েছিল ২ শতাংশ, এবার দিয়েছে ১০ শতাংশ।
ফলে চারটি কোম্পানি ‘বি’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হবে।
অন্যদিকে তওফিকা ফুডস তালিকাভুক্ত হওয়ার পর এবার প্রথমবারের মতো লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ১১ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করায় এটিও ‘এন’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হবে।
ক্যাটাগরি পাল্টালেও অন্যরা যে কারণে ঋণ পাবে না
আরও বেশ কিছু কোম্পানির ক্যাটাগরি পাল্টেছে। আলহাজ্ব টেক্সটাইল ১ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ায় ‘জেড’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে উঠে আসবে।
ওটিসি ফেরত তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলে ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ায় ‘জেড’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উঠে আসবে।
অন্যদিকে পেপার প্রসেসিং ও মনোস্পুল পেপার ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করায় সেগুলোও ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হবে।
তবে এগুলো মার্জিন ঋণ পাবে না তার মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও বেশি থাকার কারণে।
সবশেষ প্রান্তিক প্রতিবেদন অনুযায়ী আলহাজ্ব টেক্সটাইলের পিই রেশিও ৫৮৫, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের পিই রেশিও ৫৩ দশমিক ৯৭, মনোস্পুল পেপারের পিই রেশিও ১৫৭ দশমিক ৬৭ এবং পেপার প্রসেসিংয়ের ৬১ দশমিক শূন্য ৪।
এর ফলে এর কোনোটিই ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবে না।
কোম্পানির শেয়ারদরকে এর আয় দিয়ে ভাগ করলে পিই রেশিও পাওয়া যায়। প্রতি তিন মাস পর পর প্রান্তিক হিসাব প্রকাশ করা হয়। সেটিকে পুরো বছরের আয়ে রূপান্তর করে তা দিয়ে শেয়ারমূল্যকে ভাগ করলে এই রেশিও পাওয়া যায়।
যেমন পেপার প্রসেসিং প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ৭৯ পয়সা। এই হিসাবে আয় করলে চার প্রান্তিকে আয় দাঁড়ায় ৩ টাকা ১৬ পয়সা।
কোম্পানিটির শেয়ারদর বর্তমানে ১৯২ টাকা ৯০ পয়সা। একে ৩ টাকা ১৬ পয়সা দিয়ে ভাগ করলে পিই রেশিও বের হয় ৬১ দশমিক শূন্য ৪।
যে কারণে সেই পাঁচ কোম্পানি ঋণ পাবে
চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে বেক্সিমকো শেয়ারপ্রতি আয় দেখিয়েছে ৪ টাকা ১১ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ারদর এখন ১৪৮ টাকা ১০ পয়সা। এই হিসাবে পিই রেশিও ৯ দশমিক শূন্য ১।
তওফিকা ফুডস প্রথম প্রান্তিকে আয় দেখিয়েছে ৪০ পয়সা। কোম্পানির শেয়ারদর এখন ৩৩ টাকা ৫০ পয়সা। এই হিসাবে পিই রেশিও ২০ দশমিক ৯৪।
ভিএসএফ থ্রেড প্রথম প্রান্তিকে আয় দেখিয়েছে ৪০ পয়সা। কোম্পানির শেয়ারদর এখন ২০ টাকা। এই হিসাবে পিই রেশিও এখন ১২ দশমিক ৫।
ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় দেখিয়েছে ৭৫ পয়সা। শেয়ারদর এখন ২৩ টাকা ৫০ পয়সা। এই হিসাবে পিই রেশিও এখন ৭ দশমিক ৮৩।
বিকন ফার্মা প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৫২ পয়সা। শেয়ারদর এখন ২৩৫ টাকা ২০ পয়সা। এই হিসাবে পিই রেশিও এখন ৩৮ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট।
অর্থাৎ বিকন ফার্মার শেয়ারদর আরেকটু বাড়লেই, সুনির্দিষ্টভাবে ২৪৩ টাকা ২০ পয়সা হলেই এই কোম্পানি আর মার্জিন ঋণ পাবে না, যদি না দ্বিতীয় প্রান্তিকে তাদের আয়ে উল্লম্ফন না হয়।
মার্জিন ঋণ কী, কোন হিসাবে দেয়া হয়
গত ১৫ নভেম্বর সেই নির্দেশনা থেকে সরে বিএসইসি পিই রেশিও বা শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাতের ওপর ভিত্তি করে মার্জিন ঋণ দেয়ার নির্দেশনা জারি করে। যেখানে বলা হয়, মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজার বিধিমালা-১৯৯৬ অনুযায়ী, যেসব কোম্পানির শেয়ারের পিই রেশিও ৪০ পর্যন্ত থাকবে তাদের শেয়ার মার্জিনযোগ্য হবে।
বর্তমানে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার কিনতে ১ টাকার বিপরীতে ৮০ পয়সা ঋণ দেয়া হচ্ছে। অর্থাৎ কোনো বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারে ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে তার বিপরীতে তিনি আরও ৮০ হাজার টাকা ঋণ হিসেবে পাবেন বিনিয়োগের জন্য।
গ্রাহকের বিনিয়োগ করা অর্থ বা শেয়ারের বিপরীতে নতুন শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ড কিনতে ব্রোকারেজ হাউস বা মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো যে ঋণ সুবিধা দেয়, তাকেই মার্জিন ঋণ বলে।
আগে ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোয় ১ অনুপাত শূন্য দশমিক ৫ হারে ঋণ সুবিধা দেয়া হতো। কোনো গ্রাহকের ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকলে তিনি ৫০ হাজার টাকা ঋণ পাওয়ার যোগ্য হতেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে মার্জিন ঋণ নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি। এতে বলা হয়, স্টক এক্সচেঞ্জে মূল্যসূচক ৪ হাজার ১ থেকে ৭ হাজার পয়েন্টের মধ্যে থাকলে বিনিয়োগের ৫০ শতাংশ ঋণ দেয়া যাবে। আর সূচকের ওপরে উঠলে মার্জিন ঋণ দেয়া যাবে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য