কোম্পানির ক্যাটাগরি পাল্টালে এবং সেটির উন্নতি হলে মার্জিন ঋণ মিলবে বলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্দেশনায় পাঁচটি কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা ঋণ পাবেন ব্রোকারেজ হাউস থেকে।
কোম্পানি পাঁচটি হলো বেক্সিমকো লিমিটেড, ভিএসএফ থ্রেড, ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস, তওফিকা ফুডস ও বিকন ফার্মা। এই কোম্পানিগুলো গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের লভ্যাংশের কারণে ‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হবে।
আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লভ্যাংশসংক্রান্ত কারণে কোম্পানির ক্যাটাগরি পাল্টালে ৩০ কর্মদিবস ঋণ পাওয়া যেত না।
তবে রোববার বিএসইসি নিয়মিত কমিশন সভায় মার্জিন ঋণের নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়। এতে বলা হয়, জেড ক্যাটাগরির কোনো কোম্পানি বা কোনো কোম্পানি যদি ক্যাটাগরি পরিবর্তন করে উচ্চতর ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়, তাহলে সে কোম্পানির বিপরীতে ঋণ সুবিধা দেয়া যাবে।
তবে এ জন্য অপেক্ষা করতে হবে সাত দিন। অর্থাৎ সাত কর্মদিবস পর সেই কোম্পানির শেয়ার ক্রয়ে পাওয়া যাবে ঋণ সুবিধা।
বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে নতুন শেয়ার তালিকাভুক্ত হলে আগের মতোই লেনদেন শুরুর ৩০ কর্মদিবসে শেয়ার কেনায় ঋণ দেয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে। জেড ক্যাটাগরি বা ৪০ পিই রেশিওর বেশি শেয়ারে ঋণ দেয়া যাবে না বলে নির্দেশনাও বহাল আছে।
কাদের ক্যাটাগরি পাল্টাচ্ছে
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে লভ্যাংশ ঘোষণার পর বেশ কয়েকটি কোম্পানির ক্যাটাগরি পাল্টাবে। এর মধ্যে ‘জেড’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হবে তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, মনোস্পুল পেপার ও পেপার প্রসেসিং।
‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হবে বেক্সিমকো লিমিটেড, বিকন ফার্মা, ভিএসএফ থ্রেড ও ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস।
‘এন’ ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে এসেছে তওফিকা ফুডস।
কোনো কোম্পানি লভ্যাংশ না দিলে বা ওটিসি মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে এলে সেটি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হয়। যেসব কোম্পানি ১ থেকে ৯ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়, সেগুলো ‘বি’ ক্যাটাগরিতে, যেগুলো নতুন তালিকাভুক্ত হয়, সেগুলো ‘এন’ ক্যাটাগরিতে এবং যেগুলো কমপক্ষে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়, সেগুলো ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হয়।
বেক্সিমকো লিমিটেড ২০২০ সালের জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। ২০২১ সালের জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে দিয়েছে ৩৫ শতাংশ।
বিকন ফার্মা আগের বছরে লভ্যাংশ দিয়েছিল ৬ শতাংশ, এবার দিয়েছে ১৫ শতাংশ।
ভিএসএফ থ্রেডও আগের বছর লভ্যাংশ দিয়েছিল ৬ শতাংশ, এবার দিয়েছে ১১ শতাংশ।
ম্যাকসন্স স্পিনিং আগের বছর লভ্যাংশ দিয়েছিল ২ শতাংশ, এবার দিয়েছে ১০ শতাংশ।
ফলে চারটি কোম্পানি ‘বি’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হবে।
অন্যদিকে তওফিকা ফুডস তালিকাভুক্ত হওয়ার পর এবার প্রথমবারের মতো লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ১১ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করায় এটিও ‘এন’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হবে।
ক্যাটাগরি পাল্টালেও অন্যরা যে কারণে ঋণ পাবে না
আরও বেশ কিছু কোম্পানির ক্যাটাগরি পাল্টেছে। আলহাজ্ব টেক্সটাইল ১ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ায় ‘জেড’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে উঠে আসবে।
ওটিসি ফেরত তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলে ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ায় ‘জেড’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উঠে আসবে।
অন্যদিকে পেপার প্রসেসিং ও মনোস্পুল পেপার ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করায় সেগুলোও ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হবে।
তবে এগুলো মার্জিন ঋণ পাবে না তার মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও বেশি থাকার কারণে।
সবশেষ প্রান্তিক প্রতিবেদন অনুযায়ী আলহাজ্ব টেক্সটাইলের পিই রেশিও ৫৮৫, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের পিই রেশিও ৫৩ দশমিক ৯৭, মনোস্পুল পেপারের পিই রেশিও ১৫৭ দশমিক ৬৭ এবং পেপার প্রসেসিংয়ের ৬১ দশমিক শূন্য ৪।
এর ফলে এর কোনোটিই ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবে না।
কোম্পানির শেয়ারদরকে এর আয় দিয়ে ভাগ করলে পিই রেশিও পাওয়া যায়। প্রতি তিন মাস পর পর প্রান্তিক হিসাব প্রকাশ করা হয়। সেটিকে পুরো বছরের আয়ে রূপান্তর করে তা দিয়ে শেয়ারমূল্যকে ভাগ করলে এই রেশিও পাওয়া যায়।
যেমন পেপার প্রসেসিং প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ৭৯ পয়সা। এই হিসাবে আয় করলে চার প্রান্তিকে আয় দাঁড়ায় ৩ টাকা ১৬ পয়সা।
কোম্পানিটির শেয়ারদর বর্তমানে ১৯২ টাকা ৯০ পয়সা। একে ৩ টাকা ১৬ পয়সা দিয়ে ভাগ করলে পিই রেশিও বের হয় ৬১ দশমিক শূন্য ৪।
যে কারণে সেই পাঁচ কোম্পানি ঋণ পাবে
চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে বেক্সিমকো শেয়ারপ্রতি আয় দেখিয়েছে ৪ টাকা ১১ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ারদর এখন ১৪৮ টাকা ১০ পয়সা। এই হিসাবে পিই রেশিও ৯ দশমিক শূন্য ১।
তওফিকা ফুডস প্রথম প্রান্তিকে আয় দেখিয়েছে ৪০ পয়সা। কোম্পানির শেয়ারদর এখন ৩৩ টাকা ৫০ পয়সা। এই হিসাবে পিই রেশিও ২০ দশমিক ৯৪।
ভিএসএফ থ্রেড প্রথম প্রান্তিকে আয় দেখিয়েছে ৪০ পয়সা। কোম্পানির শেয়ারদর এখন ২০ টাকা। এই হিসাবে পিই রেশিও এখন ১২ দশমিক ৫।
ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় দেখিয়েছে ৭৫ পয়সা। শেয়ারদর এখন ২৩ টাকা ৫০ পয়সা। এই হিসাবে পিই রেশিও এখন ৭ দশমিক ৮৩।
বিকন ফার্মা প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৫২ পয়সা। শেয়ারদর এখন ২৩৫ টাকা ২০ পয়সা। এই হিসাবে পিই রেশিও এখন ৩৮ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট।
অর্থাৎ বিকন ফার্মার শেয়ারদর আরেকটু বাড়লেই, সুনির্দিষ্টভাবে ২৪৩ টাকা ২০ পয়সা হলেই এই কোম্পানি আর মার্জিন ঋণ পাবে না, যদি না দ্বিতীয় প্রান্তিকে তাদের আয়ে উল্লম্ফন না হয়।
মার্জিন ঋণ কী, কোন হিসাবে দেয়া হয়
গত ১৫ নভেম্বর সেই নির্দেশনা থেকে সরে বিএসইসি পিই রেশিও বা শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাতের ওপর ভিত্তি করে মার্জিন ঋণ দেয়ার নির্দেশনা জারি করে। যেখানে বলা হয়, মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজার বিধিমালা-১৯৯৬ অনুযায়ী, যেসব কোম্পানির শেয়ারের পিই রেশিও ৪০ পর্যন্ত থাকবে তাদের শেয়ার মার্জিনযোগ্য হবে।
বর্তমানে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার কিনতে ১ টাকার বিপরীতে ৮০ পয়সা ঋণ দেয়া হচ্ছে। অর্থাৎ কোনো বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারে ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে তার বিপরীতে তিনি আরও ৮০ হাজার টাকা ঋণ হিসেবে পাবেন বিনিয়োগের জন্য।
গ্রাহকের বিনিয়োগ করা অর্থ বা শেয়ারের বিপরীতে নতুন শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ড কিনতে ব্রোকারেজ হাউস বা মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো যে ঋণ সুবিধা দেয়, তাকেই মার্জিন ঋণ বলে।
আগে ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোয় ১ অনুপাত শূন্য দশমিক ৫ হারে ঋণ সুবিধা দেয়া হতো। কোনো গ্রাহকের ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকলে তিনি ৫০ হাজার টাকা ঋণ পাওয়ার যোগ্য হতেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে মার্জিন ঋণ নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি। এতে বলা হয়, স্টক এক্সচেঞ্জে মূল্যসূচক ৪ হাজার ১ থেকে ৭ হাজার পয়েন্টের মধ্যে থাকলে বিনিয়োগের ৫০ শতাংশ ঋণ দেয়া যাবে। আর সূচকের ওপরে উঠলে মার্জিন ঋণ দেয়া যাবে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
মন্তব্য