হামলা, সংঘর্ষ, ভোট বর্জন, ব্যালট ছিনতাই, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ বেশ কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনের ভোট শেষ হয়েছে। তবে এবার ভোট চলাকালে প্রাণহানির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
নির্বাচন কমিশন বলছে, ভোট সুষ্ঠু হয়েছে এবং আনন্দমুখর পরিবেশে মানুষ ভোট দিয়েছে। ভোট চলাকালে প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ২৯ জন আহত হয়েছেন। এ সময় আটক হয়েছেন ৬৩ জন। পাঁচজনকে শাস্তি দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এর আগের ধাপগুলোর মধ্যে বেশি প্রাণহানি ঘটে দ্বিতীয় ধাপে। নিউজবাংলার হিসাবে এই ধাপের ভোটের আগে-পরে অন্তত ১৬ জন নিহত হন। এর মধ্যে শুধু নরসিংদীতেই মৃত্যু হয়েছিল সাতজনের। এ ছাড়া তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে সহিংসতায় প্রাণ হারান ১০ জন।
সহিংসতার শঙ্কা নিয়ে পৌষের শীতের মধ্যে রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় চতুর্থ ধাপের ভোট। বিরতিহীনভাবে ভোট নেয়া হয় বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপর কেন্দ্রে কেন্দ্রে শুরু হয় গণনা।
ভোট শুরুর আগে বিভিন্ন উপজেলায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের সারি দেখা গেছে। নারী ভোটারদেরও উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। আত্মীয়স্বজনের সহায়তায় কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে দেখা গেছে অনেক বয়স্ক মানুষকে।
ভোট শেষের সোয়া ১ ঘণ্টা আগে মাদারীপুরের একটি কেন্দ্রে হামলার শিকার হয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
ছুরির আঘাতে তার ডান হাতের তিনটি আঙুল কাটা পড়েছে। এর মধ্যে সেলাই পড়েছে দুটিতে। তাকে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, ইউপি নির্বাচনে ইশিবপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রব্বানীর মামা সালাহ উদ্দিন আহমেদ চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। মামার পক্ষে বেশ কিছুদিন তিনি প্রচার চালিয়েছেন।
ভোট কারচুপিরর অভিযোগ শুনে বেলা পৌনে ৩টার দিকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গাংকান্দি সরকারি বিদ্যালয় কেন্দ্রে যান রাব্বানী। এ সময় প্রতিপক্ষ মোশারফ মোল্লার ছেলে সোহেল মোল্লা তার ওপর চড়াও হন।
একপর্যায়ে তাকে ছুরি দিয়ে কোপ দেয়া হয়। হামলা ঠেকাতে গিয়ে তার ডান হাতের দুটি আঙুল কেটে যায়। পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
গোলাম রাব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনে মোশারফ মোল্লার লোকজন প্রকাশ্যে ভোট কেটে নেয়ার চেষ্টা করছিল। পরে আমিসহ কিছু লোক গিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করলে আমাকে অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়া হয়। আমি থানায় অভিযোগ করব।’
এ বিষয়ে রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মো. সাদিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নির্বাচনে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটতে পারে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
কারচুপির অভিযোগ এনে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বর্জন করেছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল ইসলাম।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগের দিন পুলিশ নানা অজুহাতে আমার বাসায় অভিযান চালিয়েছে, আমার কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। কোনো কেন্দ্রে আমার এজেন্ট বসতে দেয়া হয়নি। এমনকি আমি নিজের ভোটও দিতে পারিনি। তাই নির্বাচন বর্জন করছি।’
তবে হুলাইন ছালেহ নূর কলেজের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. সোহেল বলেন, ‘এজেন্ট বের করে দেয়ার কোনো অভিযোগ আমি পাইনি, এখনও স্বতন্ত্র প্রার্থীর একজন নারী এজেন্ট কেন্দ্রে আছেন।’
মেম্বার প্রার্থীর গুলিতে ফেনীর একটি কেন্দ্রের বাইরে ১১ জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে শিশু ও নারী রয়েছেন।
সোনাগাজীর দক্ষিণ চরচান্দিয়া হোসাইনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ছয়জনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, মেম্বার প্রার্থী ওমর ফারুক সজিবের লোকজন রোববার দুপুরে ওই কেন্দ্র দখল করতে চাইলে প্রতিদ্বন্দ্বী কয়েকজন মেম্বার প্রার্থী তাকে বাধা দেন। তখন গুলি করেন তার অনুসারীরা। এতে অন্তত ১১ জন গুলিবিদ্ধ হন।
তবে এই অভিযোগ নাকচ করেছেন ওমর ফারুক সজিব। তার দাবি, এ ঘটনায় তিনি বা তার কোনো কর্মী জড়িত নন। অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ও বিজয়নগর উপজেলায় দুই পোলিং এজেন্টকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বরখাস্ত করা হয়েছে একজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে।
দণ্ড পাওয়া পোলিং এজেন্টরা হলেন আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুল বাশার ও বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের মহসিন মিয়া। হাবিবুলকে ছয় মাসের এবং মহসিনকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়ার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের উত্তর সরকারি বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঘোড়া মার্কা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুর রহমানের পোলিং এজেন্ট হাবিবুল বাশারকে তল্লাশি করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন ও ১৭ হাজার টাকার একটি খাম পাওয়া যায়।
খামের ওপর লেখা নম্বরটি ভোটকেন্দ্রেটির একজন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বলে নিশ্চিত হন পুলিশের সদস্যরা।
আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে পোলিং এজেন্ট হাবিবুলকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা অলোক কুমারকে সঙ্গে সঙ্গে বরখাস্ত করেন।
বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর সরকারি বিদ্যালয় কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট মহসিনকে আটক করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় মহসিনের কাছ থেকে একটি মুঠোফোন এবং ৩৪ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই কেন্দ্রে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নবীনগর উপজেলা কর্মকর্তা (ইউএনও) একরামুল সিদ্দিক নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে মহসিনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
এ ছাড়া বিজয়নগরে দুই ইউপি সদস্যের সমর্থকদের সংঘর্ষের সময় একজনকে কুপিয়ে জখম করার খবর পাওয়া গেছে।
জামাল নামে ওই ব্যক্তিকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
জাল ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের খোদহাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) ফয়সাল আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ১০৫ নম্বর বঙ্গবন্ধু পূর্ব পুনর্বাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের প্রকাশ্যে নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভোটাররা বলছেন, প্রভাবশালী প্রার্থীদের এজেন্টদের ইশারায় প্রকাশ্যে সিল মারতে বাধ্য করা হচ্ছে। অন্যথায় তারা হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, বিষয়টি প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে বারবার জানানো হলেও কোনো কাজ হয়নি।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানো হয়। বের করে দেয়া হয় অভিযুক্তদের।’
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় কেন্দ্র থেকে বিপুল পরিমাণ টাকাসহ এক নৌকার এজেন্টকে আটক করা হয়েছে।
উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রায়হানুল ইসলাম।
এ সময় তার কাছ থেকে ৩৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। আটকের নাম মো. সবুজ। তার বাড়ি কেন্দ্র এলাকায়।
নোয়াখালী সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মধ্য চরশুল্লুকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে সেলিনা আক্তার নামে এক নারীকে আটক করা হয়েছে।
আটক সেলিনা আক্তারের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায়।
রাজশাহীর চারঘাট ও বাঘার তিন ইউনিয়নে ভোট শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। তাদের মধ্যে একজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে লালমনিরহাট হাতীবান্ধার গড্ডীমারী ইউনিয়নে এক প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করেছেন জেলা প্রশাসক।
প্রত্যাহার হওয়া মো. দেলোয়ার হোসেন মধ্য গড্ডীমারী লুৎফর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন।
চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলায় নৌকার প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর দুই কর্মীকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে।
আলুকদিয়া ইউনিয়নের জোড়াঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আহতরা হলেন জোড়াঘাটা গ্রামের দুই ভাই রাজু আহমেদ ও রাসেল আহমেদ।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন জানান, ‘আহত দুজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে তারা শঙ্কামুক্ত।’
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে একটি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণের মধ্যেই হট্টগোল আর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলার ৫ নম্বর সহনাটি ইউনিয়নের ভালুকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে রোববার বেলা ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ভোটাররা জানিয়েছেন, কেন্দ্রটিতে হট্টগোল আর চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যেই ভোট নেয়া হচ্ছিল। একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২ নম্বর আখানগর ইউনিয়নে ব্যালট ছিনতাইয়ের সময় বাবা-মেয়েকে আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
ইউনিয়নের ঝাড়গাঁও রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। তাদের আটকের পর উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পুলিশ ১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। সেই গুলিতে একজন আহত হয়েছেন।
আটক দুজন হলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাবুল ও তার মেয়ে কামরুন নাহার। তারা কোন প্রার্থীর জন্য ব্যালট ছিনতাই করতে যান, তা অবশ্য জানাতে পারেনি পুলিশ।
ভোটগ্রহণ শেষে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, ‘নির্বাচন প্রিসাইডিং কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় ১৫টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত হয়েছে। আমাদের মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ৯ হাজার ২২৪টি। সেই হিসাবে ভোটকেন্দ্রের তুলনায় স্থগিত ভোটকেন্দ্রের হার শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর নিয়েছি। সব মিলিয়ে এ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট হয়েছে, জনগণের সম্পৃক্ততা ছিল। তাই ভোটারদের উপস্থিতি আমরা ৭০ শতাংশের বেশি আশা করছি।’
আরও পড়ুন:মানিকগঞ্জের শিবালয়ে স্থানীয় মোহামেডান ইয়ুথ ক্লাবের উদ্যোগে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্ট শুরু হয়েছে । উক্ত খেলা উদ্বোধন করেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ( বিএনপি) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির ১ নং সদস্য , জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক এসএ জিন্নাহ কবির ।
শনিবার (৫ জুলাই) বিকাল ৪ টায় শিবালয় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন করা হয় ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের আহবায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু, জেলা বিএনপির সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপি'র সহ-সভাপতি এবং জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো: লোকমান হোসেন, উপজেলা বিএনপি সভাপতি রহমত আলী লাভলু, সম্পাদক মিজানুর রহমান লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন, জেলা কৃষকদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ,জেলা বিএনপির সাবেক প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো: ফেরদৌস রহমান, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মো: হোসেন আলী, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো: শহিদুল ইসলাম ।
এছাড়া উপস্থিত ঘিওর উপজেলা বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক মো: রাজা মিয়া মেম্বার, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আসিফ ইকবাল রনি, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আখতারুজ্জামান আক্তার, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মামিনুল ইসলাম মমিন, জেলা যুবদলের সদস্য মোসলেম উদ্দিন,জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব খান অয়ন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জিহাদ প্রমূখ । সভাপতিত্ব করেন,মোহামেডান ইয়ুথ ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার মহিদুর রহমান কাজল ।
প্রধান অতিথি এসএ জিন্নাহ কবির বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়া রহমান এবং বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এদেশে প্রথম ফুটবল খেলাকে আন্তর্জার্তিক পর্যায়ে নিয়ে যান। তাদের চেষ্টায় সার্ফ ফুটবল টুর্ণামেন্ট আয়োজন করার সম্ভব হয়। মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে যুব সমাজকে খেলার মাঠে আনতে হবে । মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে হলে খেলাধুলার বিকল্প নাই ।
স্থানীয় মোহামেডান ইয়ুথ ক্লাব আয়োজিত টুর্ণামেন্টে নক-আউট পদ্ধতিতে আটটি দল অংশ নিচ্ছে। উদ্বোধনী খেলায় টাইব্রেকারে মানিকগঞ্জ কৈট্রা ফিউচার ফুটবল একাডেমী ৫-৪ গোলে পাবনার নবযুগ মিলন সমিতিকে হারায়। রেফারি ছিলেন আবুল কালাম।
শেরপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার কাটাবাড়ী সীমান্তের বিদ্যুতায়িত হয়ে আরও একটি একটি বন্যহাতি নিহত হয়েছে। বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জের আওতাধীন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে শনিবার (৫ জুলাই) সকালে বনবিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতিটির মরদেহ উদ্ধার করে।
খাদ্যের সন্ধানে পাহাড় থেকে নেমে আসা হাতিটি বৈদ্যুতিক ফাঁদে পড়ে নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বনবিভাগ।
মধুটিলা রেঞ্জের রেঞ্জার দেওয়ান আলী ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, হাতিটির শুড়ে পোড়া ক্ষতের দাগ রয়েছে। এটির বয়স ১৫ থেকে ২০ বছর হবে। এটি একটি মাদি হাতি। এ ব্যাপারে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সাম্প্রতিককালে মধুটিলা রেঞ্জের আওতাধীন এলাকায় খাদ্যের সন্ধানে বন্যহাতি লোকালয়ে নেমে আসার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। খেতে ফসল না থাকায় হাতির দল বাড়িঘরেও হানা দিচ্ছে। এতে স্থানীয়ভাবে অনেক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। যেখানে বন্যহাতির দেহটি পড়ে ছিল, সেখানে কোনো ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম না থাকলেও হাতিপাগাড় ক্যাম্পের আশপাশে অনেক বসতি ও বাড়িঘর রয়েছে।
এ নিয়ে চার মাসের কম সময়ের ব্যবধানে মধুটিলা রেঞ্জ এলাকায় তিনটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করল বনবিভাগ।
এর আগে গত ২০ মার্চ পূর্ব সমশ্চুড়া গ্রামের লালনেংগড় এলাকায় বিদ্যুতায়িত হয়ে নিহত একটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারপর গত ২৯ মে দাওধারা পাহাড় থেকে সদ্যোজাত একটি হাতিশাবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘন ঘন হাতির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন পরিবেশ ও প্রকৃতিপ্রেমীরা।
নিধারঞ্জন কোচ নামে এক অধিকারকর্মী নিজের ফেসবুক ওয়ালে শনিবার নিহত হাতির মরদেহের ছবি পোস্ট করে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘আবারো বন্যহাতির মৃত্যু। এর শেষ কোথায়? হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিসনে সরকারি উদ্যোগ কী? ক্ষতিপূরণ প্রদানই কি যথেষ্ট? হাতি-মানুষের সহাবস্থানের পথ খুঁজতে খুঁজতে এশিয়ান হাতি নাই হয়ে যাবে!’
সিলেটের ওসমানীনগরে এনা ও ইউনিক পরিবহনের দুটি বাসের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
শনিবার (৫ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কুরুয়া বাজারের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রাজু মিয়ার (২৬) বাড়ি ফরিদপুর জেলার তারাকান্দা থানায়। তিনি ইউনিক বাসের হেলপার ছিলেন।
দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে অন্তত দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ইউনিক পরিবহনের বাসের সঙ্গে ঢাকা থেকে আসা এনা পরিবহনের বাসটির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইউনিকের হেলপার রাজু মিয়ার নিহত হন। বেপরোয়া গতিতে ভুল পাশ থেকে এসে এনা পরিবহনের ওই কোচটি এ দুর্ঘটনা ঘটায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়াস সার্ভিস, ওসমানীনগর থানা পুলিশ ও শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ এসে হতাহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
দুর্ঘটনার পর কুরুয়া বাজারের দুই পাশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার যানজট দেখা দেয়। পরে সকাল সোয়া ১০টার দিকে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি সরিয়ে যানজট নিরসন করে পুলিশ।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান জানান, দুই গাড়ির সংঘর্ষ হলে বিকট শব্দে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে প্রাথমিক উদ্ধারকাজ শুরু করেন। পরে স্থানীয় থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাতে যোগ দেন।
তিনি আরও জানান, হাইওয়ে পুলিশ রাজুর লাশ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। বাস দুটিকে রাস্তা থেকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।
কেশবপুরের ঐতিহ্য কালোমুখো হনুমান খাদ্য সংকট ও বন উজাড় হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় খাবার না পেয়ে মারাও যাচ্ছে। কালোমুখো হনুমান রক্ষার দাবি উঠেছে।
জানা গেছে, একসময় কেশবপুরে ছিল কালোমুখো হনুমানের অভয়ারণ্য। বন উজাড় হয়ে যাওয়ায় এবং খাদ্য সংকটে সময়ের গতির সঙ্গে কমে যাচ্ছে হনুমান। বর্তমানে ১৮০ থেকে ২০০টি হনুমান কেশবপুরে রয়েছে বলে স্থানীয় বন বিভাগ জানায়। এখান থেকে ৪/৫ বছর আগে ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ টি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশ বিভক্তির আগে ভারতের মাড়োয়াররা ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য যশোরের কেশবপুরে বসবাসের পাশাপাশি আসা-যাওয়া করত। এ সময় তাদের যানবাহনে করে দুটি কালোমুখো হনুমান ভারত থেকে কেশবপুরে আসে। সেই থেকে হনুমানের এখানে পত্তন শুরু হয়। ওই এক জোড়া হনুমান থেকে এখানে শত শত হনুমানের কালের আবর্তনে ওরা আজ বিলুপ্তির পথে। একসময় কেশবপুর অঞ্চলে ঘন বনজঙ্গল ছিল। এসব বনের ফল ও লতাপাতা খেয়ে ওরা জীবিকা নির্বাহ করত। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বন উজাড়সহ ঘনবসতি এবং এলাকায় অবৈধ ইটভাটায় গিলে খাচ্ছে এসব বনের কাঠ। এতে উজাড় হচ্ছে বন। এদিকে কেশবপুর উপজেলায় পল্লীবিদ্যুতের তারে কভার সিস্টেম না থাকায় প্রায়ই বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ওরা মারা যাচ্ছে। খাদ্য সংকটের কারণে কেশবপুরের হনুমান দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে।
উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন বলেন, কেশবপুর এলাকায় বনজঙ্গল কমে যাওয়ার কারণে হনুমানের খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ওদের রক্ষায় সরকারিভাবে খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন বলেন, হনুমান রক্ষায় সরকারিভাবে খাদ্য সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন এনজিও ব্যক্তি গত ভাবেও অনেকেই খাদ্য দেয়, যার কারণে ওরা গ্রামাঞ্চল ছেড়ে বর্তমানে শহরে বেশি বিচরণ করছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত জেবল হক (৮০) কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের লামছি গ্রামের মৃত গনু মিয়ার ছেলে।
বুধবার (২ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তার মৃত্যু হয়।
ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ওই বৃদ্ধ হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান তিনি। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের এক জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা.মরিয়ম সিমি বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তি সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়। দুপুরে তার করোনা শনাক্ত হওয়ার পর সেখানে রাতে তার মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত নোয়াখালীতে মোট ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। কিট সল্পতার কারণে উপজেলা পর্যায়ে করোনা টেস্ট এখনো শুরু করা হয়নি।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে ক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেমসহ সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, ক্লাবের কথিত সভাপতি মাদকাসক্ত আওয়ামী দোসর আবু সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আল ইমরান ও অমিত ঘোষ বাপ্পাসহ ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা এই হামলা চালায়।
সোমবার (৩০ জুন) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই হামলায় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম, ভোরের আকাশের সাংবাদিক আমিনুর রহমান, ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক বেলাল হোসেন, অনির্বানের সোহরাব হোসেনসহ অন্তত ৩০ সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।
হামলার শিকার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবে একটি সভা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে আবু সাঈদ ও আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আলিপুর থেকে আনা ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা আমাদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক ও সদস্য আহত হয়েছেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আবু সাঈদ ও আব্দুল বারী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে প্রেসক্লাব দখল করে রেখেছেন এবং তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই এভাবে হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়।
এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় সাতক্ষীরার সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাংবাদিকরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনার পর থেকে প্রেসক্লাব এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট ঘোষণা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দাউদকান্দি পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম।
সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে পৌরসভা হলরুমে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়। বাজেটে সর্বমোট আয় ৪২ কোটি ৯১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ও মোট ব্যয় ৩৬ কোটি ৭৪ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়। পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম তার প্রস্তাবিত বাজেটে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে রাজস্ব খাত থেকে ১৩ কোটি ২৩ লাখ ৪১ হাজার ৩ শত ৩১ টাকা ও উন্নয়ন খাত থেকে ২৯ কোটি ৬৮ লাখ ১৮ হাজার ৪৫ টাকা আহরনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। বাজেটে উদ্ধৃত্ত ধরা হয়েছে ৬ কোটি ১৭ লাখ ২ হাজার ৩ শত ৭৮ টাকা।
এছাড়াও বাজেটে খাতওয়ারী ব্যয়ের হিসেবে দেখা যায় রাজস্ব খাতে ব্যয় ৯ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.হাবিবুর রহমান,পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, হিসাবরক্ষক শাহাদাত হোসেনসহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তারা।
মন্তব্য