স্বপ্নের মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হয়েছে। এখন বাণিজ্যিকভাবে চলার অপেক্ষা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে মেট্রোরেলে চড়ে যাতায়াত করতে পারবেন ঢাকাবাসী।
মেট্রোরেল চালু হলে রাজধানীর যানজট সহনীয় হবে বলে আশা করছে সরকার। এটা জনগণের জন্য স্বস্তির খবর হলেও প্রশ্ন উঠেছে মেট্রোরেল এলে বাস-মিনিবাসসহ গণপরিবহন চাপের মুখে পড়বে কি না।
মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষ বলেছে, মেট্রোরেল চালু হলে গণপরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।
বাসমালিকরা মনে করেন, ঢাকায় যাত্রীসংখ্যার তুলনায় যানবাহন অপ্রতুল। কাজেই গণপরিবহন খাতে যাত্রীস্বল্পতার কোনো প্রভাব পড়বে না।
ডিএমটিসিএল অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকায় ছয়টি মেট্রোরেল লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে সরকার।
উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের যে লাইনটি নির্মিত হচ্ছে, সেটির কাজ ৮০ শতাংশ শেষ। এমআরটি-৬ নামে পরিচিত এ রুটটি সবার আগে চালু হবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে।
কমলাপুর থেকে বিমানবন্দর এবং নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত লাইনের কাজ আগামী জুলাইয়ে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
এটি মেট্রোরেল লাইন-১ রুট নামে পরিচিত। কমলাপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রোরেল হবে পাতালপথে। আর নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত অংশ হবে উড়ালপথে। সাড়ে ৫২ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ ২০২৬ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
আগামী বছরের ডিসেম্বরে লাইন-৫-এর উত্তরের রুটের কাজও শুরু হওয়ার কথা। এটি সাভারের হেমায়েতপুর থেকে শুরু হয়ে গাবতলী, মিরপুর ও গুলশান হয়ে ভাটারায় শেষ হবে।
ডিএমটিসিএলের পরিসংখ্যানে বলে, সব লাইন চালু হলে ঢাকায় মেট্রোরেলে প্রতিদিন ৬০ লাখ যাত্রী চলাচল করতে পারবেন। রাজধানীতে এর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি যাত্রী প্রতিদিন গণপরিবহনে যাতায়াত করেন।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ঢাকায় বাস-মিনিবাস চলে সাড়ে ৪ হাজার। সিএনজি ৩০ হাজার, হিউম্যান হলার ও লেগুনা মিলে ৮ হাজার ও রিকশা প্রায় সাড়ে ৭ লাখের মতো। এসব যানবাহনের মাধ্যমে রাজধানীতে প্রতিদিন সাড়ে ৩ কোটি যাত্রীর ট্রিপ হয়। এর মধ্যে ৭৮ শতাংশ যাত্রী যাতায়ত করেন বাসে।
বাণিজ্যিকভাবে মেট্রোরেল চালু হলে রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবসায় প্রভাব পড়বে কি না, জানতে চাইলে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ রুটে বাস কীভাবে চলবে, এটা তাদের বিষয়। যেখানে ভালো সেবা ও দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে, সেখানেই যাতায়াত করবেন যাত্রীরা।
‘গণপরিবহন খাতে বিশৃঙ্খলা চলছে। এটা কেউ চায় না। ফ্রাঞ্চাইজি বাস চালানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল একবার, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। সারা দুনিয়াতে এভাবেই বাস চলে। অভিজ্ঞতায় তাই বলে।’
সাবেক এই যোগাযোগসচিব আরও বলেন, ‘এখন যার যা খুশি, সেভাবে একটা বাস কিনে রাস্তায় নামিয়ে দেন। এ রকমভাবে বাস দুনিয়ার কোথাও চলে না। ফ্রাঞ্চাইজি বাস চলাচল করলে গণপরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।’
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব এনায়েত উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রায় ৯০ শতাংশ যাত্রী গণপরিবহনের ওপর নির্ভরশীল। মেট্রোরেল চালু হলে এ খাতে কোনো চাপ আসবে না। এ ছাড়া বাসের যাত্রী আর মেট্রোরেলের যাত্রী এক নয়। মেট্রোরেলের ভাড়া অনেক বেশি হবে।’
এদিকে গণপরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হলে দুই-তিনটি বড় কোম্পানি গঠন (ফ্রাঞ্চাইজি) করে পরিবহন ব্যবস্থা পরিচালনার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, এটা করা হলে বাসমালিকরা আর্থিকভাবে বেশি লাভবান হবেন। অপরদিকে যাত্রীরাও এর সুফল পাবেন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক ও গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. শামছুল হক বলেন, ‘কম সময়ে আরামদায়ক ও দ্রুতগতির জন্য যাত্রীরা অগ্রাধিকার দেবেন মেট্রোরেলকে। মেট্রোরেলে যে সুবিধা পাওয়া যাবে, বাস সে ধরনের সেবা দিতে পারবে না। ফলে কিছুটা চাপে পড়বে গণপরিবহন খাত।’
তিনি মনে করেন, মেট্রো চালুর আগে ফ্রাঞ্চাইজি বাস সার্ভিসের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। এটা করা হলে ট্রিপের সংখ্যা আরও বাড়বে। ফলে বাসমালিকদের আয় বাড়বে। তখন অনেকেই বিনিয়োগে উৎসাহিত হবেন। এতে করে পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।
শামছুল হক আরও জানান, অভ্যন্তরীণ রুটে সেবার মান খারাপ। তার ওপর রয়েছে যানজট। মেট্রোরেল চালু হলে সুন্দর একটা পরিবেশ তৈরি হবে। ফলে গণপরিবহনে যাত্রী কিছুটা কমে যাবে।
প্রতি বছর ঢাকা শহরে যাত্রী বাড়ছে প্রায় ৩ শতাংশ করে। তবে করোনার কারণে এটি কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে। ঢাকা শহরে যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি চড়ে বাস-মিনিবাসে। তার পর রিকশায়।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, প্রতিদিন ঢাকা শহরে গণপরিবহনে সাড়ে ৩ কোটি যাত্রীর ট্রিপ হয়। আর মেট্রোরেল চালু হলে ৬০ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। কাজেই মেট্রোরেল এলে গণপরিবহনে চাপ আসবে না।
তিনি বলেন, যেটা নিয়ে শঙ্কা তা হলো, বাংলাদেশে পরিবহন খাত নিয়ে যারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, বাস্তবতার বাইরে তারা। ফলে অনেক ক্ষেত্রে যাত্রীবান্ধব সিদ্ধান্ত আসে না।
তার মতে, মেট্রোরেলের ভাড়া বেশি নির্ধারণ করলে এর পুরো সক্ষমতা কাজে লাগানো যাবে না। এটা করা হলে হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তারপরও তিনি মনে করেন, ৯৫ ভাগ যাত্রী গণপরিবহনের ওপর নির্ভরশীল থাকবে।
আরও পড়ুন:চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকরা।
টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজে সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু ও সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব, বাচসাস সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানা ক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেন তাদেরকে আমরা মননশীল মনে করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন?
নারকীয় এই হামলায় নেতৃত্ব দেয়া জয় চৌধুরী, শিবা শানু ও আলেকজান্ডার বোসহ হামলায় জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতির সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে আরও অংশ নেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বোর নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন চারজন।
তদন্ত কমিটি
এদিকে হামলার ঘটনা তদন্তে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচ জন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।
দশজনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয় ও আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল ও রত্না রয়েছেন।
আরও পড়ুন:উপজেলা নির্বাচন থেকে মন্ত্রী ও এমপিদের স্বজনরা সরে না দাঁড়ালে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বুধবার দলের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
কাদের বলেন, ‘দলীয় সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীদের নিকটাত্মীয় এবং স্বজনদের প্রার্থী না হতে দলীয় যে নির্দেশনা, তা না মানলে সময়মতো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে গেছে। এদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন যে, আমরা বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো। তারপরও কেউ কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন, কেউ কেউ করেননি।
‘নির্বাচন কমিশনে সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে কেউ ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারেন। এ বিষয়টা চূড়ান্ত হতে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখানে কেউ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে দলে; সময়মতো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘আমাদের দলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের বিষয়টি আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিবেচনায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিয়ে থাকে। চূড়ান্ত পর্যায়ে যারা প্রত্যাহার করবে না, এ ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্ত সময়মতো নেয়া হবে।’
চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেও কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে কি না, এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সাধারণ ক্ষমা একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে দলীয় রণকৌশল। সেটা হতেই পারে। সেটা দলের সভাপতি নিতে পারেন। নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ আছে।’
বিএনপির সমাবেশের দিনে আওয়ামী লীগেরও সমাবেশ থাকে—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির সন্ত্রাস থেকে জনগণকে রক্ষায় কর্মসূচি দেয় আওয়ামী লীগ। বিএনপি একতরফা সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাসের আশঙ্কা থেকেই যায়। জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আছে।
‘আমরা মাঠে থাকলে তারা এসব অপকর্ম করতে মানসিকভাবে চাপে থাকবে। সে জন্য আমরা কর্মসূচি দিই। বিএনপির চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিহত করতে জনগণের স্বার্থে আমাদের কর্মসূচি থাকা উচিত।’
আরও পড়ুন:গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি কাজের জন্য বুধবার তিন ঘণ্টা রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় গ্যাস থাকবে না।
এদিন দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজ করবে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের তথ্য অনুযায়ী, যেসব এলাকায় সব শ্রেণির গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে সেগুলো হলো- শনির আখড়া, বড়ইতলা, ছাপড়া মসজিদ, দনিয়া, জুরাইন, ধোলাইরপাড় ও কদমতলী।
আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহে চাপ কম থাকতে পারে জানিয়ে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিতাস গ্যাস।
রাজধানীর সদরঘাটের শ্যামবাজার ঘাটে একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ওই আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এমভি বাঙালি নামের লঞ্চটিতে কোনো যাত্রী ছিল না।
ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানিয়েছেন, দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চারটি ইউনিট। পরে যোগ দেয় আরও একটি ইউনিট।
তিনি জানান, দুপুর পৌনে ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। লঞ্চটির তৃতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত। আগুনের কারণ ও বিস্তারিত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, লঞ্চটি নোঙর করা ছিল। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) গেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে শেখ হাসিনা আমিরকে টাইগার গেটে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান। খবর বাসসের
তারা সেখানে একান্ত বৈঠকেও মিলিত হবেন। পরে তারা দুই দেশের মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করবেন।
পিএমও ত্যাগের আগে আমির টাইগার গেটে রক্ষিত ভিজিটরস বুকেও সই করবেন। এরপর তিনি বঙ্গভবনে যাবেন যেখানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কাতার আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছেন।
সন্ধ্যায় আমির একটি বিশেষ বিমানে কাতারের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে কাতারের আমির সোমবার দু দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা এসেছেন।
আগামী ২৬ এপ্রিলের (শুক্রবার) শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ স্থগিত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু অনুমতি দেয়া হয়নি। ফলে সমাবেশ আপাতত স্থগিত। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।’
প্রসঙ্গতঃ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
রোববার (২১ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের ঘোষণা দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ৩টা থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করা হবে।
অবশ্য এর আগে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে ২৬ এপ্রিল বিকেলে নয়াপল্টনে সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। পরে তাপপ্রবাহের কারণ দেখিয়ে সোমবার তা স্থগিত করে দলটি।
রাজধানীর গুলিস্তানে গোলাপ শাহ মাজারের সামনে থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে পাঠানো হয়।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আরিফ নেওয়াজ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গোলাপ শাহ মাজার সংলগ্ন ফুটপাত থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করি,পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, আশেপাশের লোকদের সাথে কথা বলে জানতে পারি, মৃত ব্যক্তি ভবঘুরে প্রকৃতির ছিলেন। ভিক্ষাবৃত্তি করতেন এবং সেখানে ঘুমাতেন। তার পরিচয় এখনো জানা যায়নি তবে জানার চেষ্টা চলছে।
এসআই বলেন, সিআইডির ক্রাইম সিনকে খবর দেয়া হয়েছে। ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে হয়তো তার পরিচয় জানা যেতে পারে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ মর্গে রাখা হয়েছে।
মন্তব্য