যুগে যুগে বিজ্ঞানীরা মানব জীবনের সব সীমাবদ্ধতা নিয়েই ভেবেছেন। অনেক সমস্যার সমাধান তারা করেছেন। তেমনি অনেক বিষয় এখনও অমীমাংসিত রয়ে গেছে। তাদের এই প্রচেষ্টাকে যেমন যুগে যুগে মানুষ সমর্থন করেছে। ঠিক তেমনি তাদের কর্মকাণ্ড বুঝতে পারেনি বিধায় বিজ্ঞানের বিষয়ে এক ধরনের ভীতিও সাধারণ মানুষের মধ্যে কাজ করেছে। যার মূল্য দিতে হয়েছিল গ্যালিলিও কোপার্নিকাসের নাম না জানা আরও অনেক বিজ্ঞানীর।
গল্প ঔপন্যাসিকরাও অনেক ভৌতিক ও বিজ্ঞান কল্পকাহিনিতে দেখিয়েছেন, বৈজ্ঞানিক চরিত্রগুলো প্রায়ই ঈশ্বর হতে চান।
ঠিক এমন একটি চরিত্র ড. ফ্রাঙ্কেস্টাইন। তিনি মৃতকে জীবিত করার মাধ্যমে নতুন একটি দানব সৃষ্টি করেন। শেষতক যার পরিণতি ভালো হয়নি।
কল্পজগতে যাই হোক। মৃতকে জীবিত করার চেষ্টা বিজ্ঞানীরা এখনো অব্যাহত রেখেছেন। তারা সফলতাও পেয়েছেন। কাজগুলো মোটেও ড. ফ্রাঙ্কেস্টাইনের মতো বিতর্কিত নয়।
সর্বশেষ ১০ বছরে পাঁচবার বিজ্ঞানীরা হাজার বছর ধরে মৃতের মতো পড়ে থাকা প্রাণকে জীবিত করেছেন।
প্লাইস্টোসিন যুগের উদ্ভিদকে পুনর্জীবিত করা
রাশিয়ার অঞ্চলে ৬৫ শতাংশ এলাকা সারা বছর হিমায়িত থাকে। কেউ যদি হাজার বছর ধরে জমে থাকা প্রাণীর সন্ধান করে, তার জন্য রাশিয়া হলো সেরা জায়গা।
২০১২ সালে রাশিয়ার বিজ্ঞানীদের একটি দল গবেষণাপত্র প্রকাশ করে। সেই গবেষণা পত্রে তারা দেখায়, কিভাবে ৩২ হাজার বছর আগের প্লাইস্টোসিন যুগের একটি উদ্ভিদকে তারা পুনর্জীবিত করেছিল।
সাদা রঙের ফুল হওয়া এই উদ্ভিদের নাম সিলিন স্টেনোফিলা। গবেষকদের মতে, গাছপালা হলো পৃথিবীব সবচেয়ে প্রাচীন বহুকোষী প্রাণ।
গবেষক দল পারমাফ্রস্টের ৪০ মিটার নিচ থেকে উদ্ভিদের অপরিপক্ব ফলের টিস্যু উদ্ধার করে। সেই টিস্যু থেকে বিজ্ঞানীরা ফুল ও ফল আনতে সক্ষম হন। এমনকি এই উদ্ভিদের পরবর্তী প্রজন্মও চালিয়ে যাওয়ার মতো কার্যকর বীজও তৈরি করতে সক্ষম হয়।
১ হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো শ্যাওলা থেকে নতুন শ্যাওলার জন্ম
রাশিয়ান বিজ্ঞানীরা সাইবেরিয়ান পারমাফ্রস্ট থেকে ফুলের উদ্ভিদ পুনরুত্পাদন করার মাত্র দুই বছর পরে, ব্রিটিশ গবেষকদের একটি দল বিশ্বের অন্য প্রান্ত এন্টার্কটিকায় ১ হাজার ৫৩০ বছর আগে চাপা পড়া শ্যাওলার খোঁজ পায়।
যা ক্রিপ্টোবায়োসিসের মাধ্যমে বরফের মধ্যে জমাট বেঁধেছিল, এই পদ্ধতিতে একটি কোষের বিপাকীয় কার্যাবলি বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণত হিমবাহের মতো কঠিন পরিবেশে নিজের বাঁচাতে অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণী ক্রিপ্টোবায়সিসে প্রবেশ করে জীবগুলো শুধু হিমায়িত পারমাফ্রস্টের মতো অত্যন্ত কঠোর পরিবেশ থেকে নিজেদের বাঁচাতে ক্রিপ্টোবায়োসিসে প্রবেশ করে।
সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো গবেষকরা প্রাচীন শ্যাওলাগুলোতে নতুন শ্যাওলা জন্মাতে সক্ষম হয়েছেন।
গুটি বসন্তের হারিয়ে যাওয়া প্রজাতিকে ফিরিয়ে আনা
২০১৭ সালে আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক সিন্থেটিক বায়োলজিই ব্যবহার করে হর্সপক্স ভাইরাসের নতুন জিনোম তৈরি করেন। একে মারাত্মক গুটি বসন্তের কাজিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে মানুষের জন্য ভাইরাসটি ক্ষতিকর নয়।
বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন, সম্ভবত ভাইরাসটি প্রকৃতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
তবে উদ্বেগের বিষয় হলো, এই ধরনের প্রযুক্তি যদি ভুল হাতে পড়ে, তাহলে বড় ধরনের বিপদ হতে পারে। কেউ খারাপ উদ্দেশে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করলে কোটি মানুষের মৃত্যু সম্ভব। কারণ গুটি বসন্তের জীবাণু অত্যন্ত সংক্রামক ও প্রাণঘাতী ভাইরাস।
জার্মানির মিউনিখের লুডভিগ ম্যাক্সিমিলিয়ান ইউনিভার্সিটির ভাইরোলজিস্ট গার্ড সাটার এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞান নিবন্ধে বলেছেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই। যদি হর্সপক্সের সঙ্গে এটি সম্ভব হয়, তবে গুটি বসন্তের সঙ্গে এটি সম্ভব।’
গুটি বসন্তের ভাইরাস হলো পৃথিবীর একমাত্র ভাইরাস। যেটিকে ১৯৭৭ সালে টিকা দেয়ার মাধ্যমে বিশ্ব থেকে নির্মূল করা হয়েছিল।
বিলুপ্ত পর্বতের ছাগল বুকার্ডোকে ফিরিয়ে আনা
২০০০ সালে পৃথিবীর শেষ বুকার্ডো গাছের নিচে চাপা পড়ে মারা যায়। বুকার্ডোটির নাম ছিল সেলিয়া। এরা পাইরেনিয়ান আইবেক্স বা পর্বত ছাগল নামেও পরিচিত।
বিজ্ঞানীরা সেলিয়ার কোষগুলোকে সংরক্ষণ করেছিলেন। পুনরায় একে ফিরিয়ে আনার জন্য। পরবর্তীতে তার কোষ থেকে নিউক্লিয়াস সংগ্রহ করে স্যারোগেট প্রজাতির ছাগলের মাতৃগর্ভের ভ্রূণে স্থাপন করা হয়। গবেষকরা প্রথম ক্লোন করা ভেড়া ডলিকে যেভাবে ক্লোন করা হয়েছিল। সেই কৌশলেই বিজ্ঞানীরা বুকার্ডো প্রজাতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিলেন।
বিজ্ঞানীরা সফলভাবে এই কাজটি করতে সক্ষম হন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেলিয়ার ক্লোনটি মাত্র ১০ মিনিট বেঁচেছিল। পৃথিবীর একমাত্র প্রজাতি হিসেবে দুবার বিলুপ্ত হয় বুকার্ডো।
বিজ্ঞানীরা ২০১৩ সালে, সেলিয়ার কোষগুলো পরীক্ষা করার জন্য তহবিল পেয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে সেলিয়াকে পুনরায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেননি তারা।
হাজার বছরের পুরাতন আর্কটিক রোটিফারকে ফিরিয়ে আনা
সাইবেরিয়ান হিমবাহের নিচে ২৪ হাজার বছর ধরে চাপা পড়ে থাকা বিডেলইডিয়াকে বের করে নিয়ে আসেন বিজ্ঞানীরা। বিডেলেইডা মূলত আণুবিক্ষণিক প্রাণী। এ ধরনের প্রজাতিকে রোটিফারের গণতে ফেলা হয়। আর্কটিক প্রাণ হওয়ায় বিজ্ঞানীর নাম দেয়া হয় আর্কটিক রোটিফায়ার।
বিডেলেইডা রোটিফায়ার একটি বহুকোষী প্রাণী। তবে এতই ছোট যে একে অণুবীক্ষণ যন্ত্রে দেখতে হয়। তাদের আকারের বিচারে উত্তাপের মধ্যে, শীতের মধ্যে, খাদ্যের অভাবের মধ্যে এমনকি কম অক্সিজেনের মধ্যেও বেঁচে থাকার সুখ্যাতি আছে এর।
ইউএস ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে গবেষকদের একটি দল দেখতে পায়, তারা যে শুধু বরফের মধ্যেই বেঁচে থাকতে পারে, এমনটি নয়। বিডেলেইডা রোটিফার ২৪ হাজার বছর ধরে সাইবেরিয়ান হিমবাহের নিচে চাপা পড়ে থাকার পরেও বেঁচে রয়েছে। এ ধরনের রোটিফায়ারের বেঁচে থাকার পদ্ধতিকে ‘সাসপেনডেড এনিমেশন’ বলে। শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বন্ধ করে দীর্ঘ মেয়াদে প্রাণীদের বেঁচে থাকার প্রক্রিয়াটিকে সাসপেনডেট অ্যানিমেশন বলে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, এই হিমায়িত অবস্থায় রোটিফারগুলো শুধু ছয় থেকে ১০ বছর বেঁচে থাকতে পারে। এখন গবেষকরা রেডিওকার্বন ডেটিং পদ্ধতিতে জানতে পারেন যে এই রোটিফারের বয়স জানতে পারে। পার্থজেনেসিস প্রক্রিয়ায় একে ক্লোন করে বংশবিস্তার করতেও সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
বরফ থেকে একটি জীবন্ত প্রাণীকে পুনরুত্থিত করার এবং ক্লোন করার সম্ভাবনা একটি বিজ্ঞান কল্পকাহিনি চলচ্চিত্রের মতো মনে হতে পারে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা একেই বাস্তব করেছেন।
আরও পড়ুন:এ বছর ঈদুল আজহায় তরুণ নির্মাতা, পরিবার ও ভ্লগারদের জন্য দারুণ সুযোগ নিয়ে এসেছে বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপো। ঐতিহ্যবাহী গরুর হাটের প্রাণবন্ত ও উষ্ণ পরিবেশকে আরও বেশি উৎসবমুখর করে তুলতে নিয়ে আসা হয়েছে ‘অপো হাটে কী?’ ক্যাম্পেইন।
৩০ মে থেকে আগামী ৬ জুন পর্যন্ত বন্ধু-বান্ধব বা পরিবারের সাথে কাছাকাছি যেকোনো গরুর হাটে গিয়ে বিশেষ মুহূর্তগুলোকে ক্যামেরায় ধারণ করার অনুরোধ জানিয়েছে অপো। হোক সেটা নিখুঁত গরু খোঁজা, দরকষাকষি, হাস্যরসাত্মক কোনো ঘটনা বা পছন্দের গরু বা ছাগলের সাথে মজার কোনো মুহূর্ত! যেখানে প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রয়োজনে অংশ নিতে আপনার নিকটস্থ ‘হাটে’ যান। ঈদুল আজহা উপলক্ষে নিয়ে আসা স্পেশাল ইফেক্ট ব্যবহার করতে, টিকটকের ফিল্টার অপশন থেকে ‘অপো হাটে কী’ সার্চ করে অপোর এক্সক্লুসিভ ঈদ এআর ফিল্টার ব্যবহার করুন। হাটে আপনার অভিজ্ঞতা ছবি, রিল বা স্টোরি আকারে ধারণ করুন। আপনার পছন্দের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে #HaateKi ব্যবহার করুন এবং @OPPOBangladesh ট্যাগ করে পোস্ট দিন।
আপনার ঈদের আনন্দ উদযাপনকে আরও বহুগুণ বাড়িয়ে তুলতে সবচেয়ে সৃজনশীল, আবেগঘন ও বিনোদনপূর্ণ এন্ট্রিটি জিতে নিবে অপোর আকর্ষণীয় স্মার্টফোন।
এটি কেবল কনটেন্ট তৈরির ব্যাপার নয়; একইসাথে, ঐতিহ্যকে আধুনিকতার সাথে যুক্ত করার একটি প্রচেষ্টা। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আসা অপোর এই ক্যাম্পেইনে সবাই তাদের সংস্কৃতি, গল্প ও উৎসবকে নতুনভাবে উপস্থাপন করার সুযোগ পাবে।
এ বিষয়ে অপো বাংলাদেশ অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড্যামন ইয়াং বলেন, “ঈদুল আজহার প্রকৃত অনুভূতি তুলে ধরতেই ‘অপো হাট ডায়েরিজ’ নিয়ে আসা হয়েছে, যেন আনন্দ, ঐতিহ্য ও স্মরণীয় মুহূর্তগুলো মানুষ তাদের প্রিয়জনের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে পারে। এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমরা তরুণদের সৃজনশীল অভিজ্ঞতাকে বিকশিত করতে চাই, যেখানে সংস্কৃতি আর প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটবে। স্মৃতিময় মুহূর্ত ও একসাথে আনন্দ ভাগাভাগি করার সুযোগ নিয়ে এসেছে এ উৎসব।”
তাই, এবারের ঈদুল আজহায় আনন্দ উদযাপনকে আরও বেশি রঙিন করে তুলুন অপো’র সাথে। ক্যামেরা হাতে সৃজনশীলতাকে বিকশিত করুন, আর ঐতিহ্যকে রাখুন প্রাণবন্ত; কারণ, অপো’র সাথে প্রতিটি মুহূর্তই যেন হয়ে ওঠে অনন্য সৃষ্টি!
ডিজিটাল যুগে পণ্য কিংবা সেবা খাতে দেশের অন্যতম বৃহৎ থার্ড পার্টি মেইনটেন্যান্স প্রতিষ্ঠান ‘সার্ভিসিং২৪’ নিয়ে এসেছে সর্বাধুনিক ও সমন্বিত আইটি অবকাঠামো সমাধান—‘ইনফ্রাস্ট্যাক’ ও ‘এইচসিআই’। আরে এতে খরচ কমবে প্ইরায় ৭০ শতাংশ। ইনফ্রাস্ট্যাক হচ্ছে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও স্ট্যাক এর সংক্ষিপ্ত রূপ, যেটির মাধ্যমে সম্পূর্ণ ও সমন্বিত অবকাঠামোগত আইটি সেবা প্রদান করা হবে। আর ‘এইচসিআই’ এর অর্থ হাইপার কনভারজড ইনফ্রাস্টাকচার এটি স্টোরেজ ও নেটওয়ার্কিং এর সমন্বয়ে সফ্টওয়্যার-ভিত্তিক ডিস্ট্রিবিউটেড ও কম্পিউট ফ্রেমওয়ার্ক।
সার্ভিসিং২৪ বলছে, এই ইনফ্রাস্ট্যাক এইচসিআই সল্যুশনে গ্রাহকরা মোট ৪টি মডেলে ‘সার্ভিসিং২৪’-এর এর কাছ থেকে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এগুলো হচ্ছে- সার্ভার রেন্টাল সার্ভিস, হার্ডওয়্যার রেন্টাল সাপোর্ট, ম্যানেজড আইটি সার্ভিস এবং বান্ডেল রেন্টাল সার্ভিস।
গ্রাহকদের জন্য আরো সুখবর হলো- পুরো সল্যুশনটি সম্পূর্ণ ওপেন সোর্স হওয়ায় কোনো ধরনের অতিরিক্ত লাইসেন্সিং খরচ প্রয়োজন হবে না। পাশাপাশি মাসিক ভাড়া-ভিত্তিক সেবার ফলে বড় অংকের প্রাথমিক বিনিয়োগও লাগবে না। এই সাশ্রয়ী প্রাইভেট ক্লাউড সল্যুশনটি বিশেষভাবে উপযোগী ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান, স্টার্টআপ, মূলধন সীমাবদ্ধ সরকারি সংস্থা, শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বড় শহরের ডেটা সেন্টার এবং পরিবেশবান্ধব আইটি প্রকল্পগুলোর জন্য।
এ বিষয়ে সার্ভিসিং২৪ এর সিইও নাসির ফিরোজ বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং গ্রাহকদের জন্য সাশ্রয়ী, টেকসই ও আধুনিক আইটি সল্যুশন নিশ্চিত করা। ইনফ্রাস্ট্যাক এইচসিআই এর মাধ্যমে তা সম্ভব। এটি গ্রাহকদের সর্বোচ্চ ৭০% পর্যন্ত খরচ সাশ্রয় করবে।”
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হবার পর হতে ‘সার্ভিসিং২৪’ বাংলাদেশের আইটি সাপোর্ট সার্ভিস ল্যান্ডস্কেপের অন্যতম শীর্ষ উদ্ভাবক-এ পরিণত হয়েছে। প্রযুক্তিখাতে বেড়ে চলা চাহিদা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি নিজেকে থার্ড-পার্টি মেইনটেন্যান্স(টিপিএম), ম্যানেজড আইটি সার্ভিসেস, এন্টারপ্রাইজ আইটি সাপোর্ট ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। কোম্পানিটি হার্ডওয়্যারের লাইফ বর্ধিত করে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ কার্বন ইমিশন কমিয়ে আনার পাশাপাশি টেকসই ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।
‘সার্ভিসিং২৪’-এর প্রধান প্রধান সেবাগুলো হচ্ছে, থার্ড-পার্টি মেইনটেন্যান্স(টিপিএম), এন্টারপ্রাইজ সার্ভার অ্যান্ড স্টোরেজ সাপোর্ট, ম্যানেজড আইটি সার্ভিসেস, আইটি ইনফ্রাস্ট্র্যাকচার মনিটরিং, এএমসি অ্যান্ড স্পেয়ার পার্টস লাইফসাইকেল ম্যানেজমেন্ট, ক্লাউড সল্যুশন্স অ্যান্ড সাইবার সিকিউরিটি, আইটিএসএম সফ্টওয়্যার অ্যান্ড মোবাইল প্ল্যাটফর্ম ইত্যাদি। প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংক, ফার্মাসিউটিক্যালস, অটোমোবাইলস, এফএমসিজি, হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট এবং অন্যান্য কোম্পানিকে আইটি সেবা দিয়ে থাকে।
স্মার্টফোন এখন আর শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং কাজ, বিনোদন ও স্বাস্থ্যসহ দৈনন্দিন জীবনের নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত একটি অপরিহার্য প্রযুক্তি। এসব কাজে নিরবিচ্ছিন্ন ব্যবহার নিশ্চিতে স্মার্টফোনের ব্যাটারি পারফরম্যান্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ব্যবহারকারীদের চাহিদা অনুযায়ী ডিভাইস যেন অতিরিক্ত গরম না হয়, হ্যাং না করে এবং দীর্ঘক্ষণ কার্যকর থাকে—এই সবকিছু মাথায় রেখেই বাজারে এসেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক স্মার্ট ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।
স্মার্ট ব্যাটারি: আধুনিক চাহিদার সমাধান
আগে ভালো ব্যাটারি মানে ছিল উচ্চ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ক্ষমতা। কিন্তু এখন ব্যাটারি মূল্যায়নে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক বিবেচনায় নেওয়া হয়। অ্যাডাপটিভ পাওয়ার এলোকেশন, ইউজার বিহেভিয়ার অ্যানালাইসিস এবং তাপ নিয়ন্ত্রণ—এই আধুনিক প্রযুক্তিগুলো ব্যাটারির পারফরম্যান্সকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। যারা বাইরে দীর্ঘ সময় থাকেন, ভিডিও কল, সোশ্যাল মিডিয়া বা নেভিগেশনের মতো ব্যাটারি-নির্ভর কাজে স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, তাদের জন্য এসব প্রযুক্তি কার্যকর সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে।
এআই: শক্তির নতুন চালিকাশক্তি
বর্তমান বাজারের বেশিরভাগ স্মার্টফোনেই এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে। এটি অ্যাপ প্রিডিকশন, ব্যাকগ্রাউন্ড টাস্ক সীমিতকরণ এবং স্ক্রিন-অফ অপ্টিমাইজেশনের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় শক্তি খরচ কমিয়ে দেয়। ব্যবহারকারীরা চাইলে নির্দিষ্ট অ্যাপকে অগ্রাধিকার দিতে পারেন কিংবা ব্যাটারি কমে গেলে ‘আল্ট্রা পাওয়ার সেভিং মোড’ চালু করতে পারেন। ফলে ব্যাটারি ব্যাকআপ যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি ডিভাইস ব্যবহারে ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণও বাড়ে।
চার্জিং প্রযুক্তিতে বিপ্লব
শুধু ব্যাটারি ব্যবস্থাপনাই নয়, স্মার্ট চার্জিং প্রযুক্তিতেও এসেছে দারুণ অগ্রগতি। এর উল্লেখযোগ্য উদাহরণ ইনফিনিক্সের নতুন নোট ৫০ সিরিজ। এই সিরিজের প্রতিটি মডেলে রয়েছে ৫২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, যার চার্জিং ক্ষমতা ৪৫ ওয়াট থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০০ ওয়াট পর্যন্ত। সেই সঙ্গে রয়েছে ম্যাগচার্জ প্রযুক্তি-ভিত্তিক ৫০ ওয়াটের ওয়্যারলেস চার্জিং সুবিধা।
চার্জিং প্রযুক্তিতেও ব্যবহৃত হয়েছে এআই, যা চার্জিং স্পিড ও ব্যাটারির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে ব্যাটারির দীর্ঘস্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
স্মার্টফোন ব্যবহারে নতুন মাত্রা
নোট ৫০ সিরিজে যুক্ত হয়েছে ইনফিনিক্সের নিজস্ব এআই♾️ প্রযুক্তি, যা ব্যবহারকারীর আচরণ বিশ্লেষণ করে ডিভাইস পারফরম্যান্স ও অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করে। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে ডিপ সিক এআই, ওয়ান-ট্যাপ এআই ক্যামেরা এবং এআই নয়েস মিউট।
এছাড়া রয়েছে বায়ো-এক্টিভ হ্যালো লাইট নোটিফিকেশন—যা কাজের বিঘ্ন না ঘটিয়ে প্রয়োজনীয় বার্তা পৌঁছে দেয়।
সব মিলিয়ে ইনফিনিক্স নোট ৫০ সিরিজ শক্তিশালী ব্যাটারি, কার্যকর চার্জিং প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সমন্বয়ে স্মার্টফোন ব্যবহারে নতুন এক অভিজ্ঞতা উপহার দিচ্ছে, যা ব্যবহারকারীর আধুনিক চাহিদা পূরণে সক্ষম।
অ্যাস্টন মার্টিন ফরমুলা ওয়ান টিমের সাথে আজ যুগান্তকারী তিন বছর মেয়াদী কৌশলগত অংশীদারিত্বের ঘোষণা দিলো রিয়েলমি। আর এই সহযোগিতার মাইলফলক হিসেবে জিটি ৭ ড্রিম এডিশনের আকর্ষণীয় কো-ব্র্যান্ডেড সংস্করণ নিয়ে এসেছে ব্র্যান্ডটি।
এ বিষয়ে রিয়েলমি’র সিইও স্কাই লি বলেন, “অ্যাস্টন মার্টিন আরামকোর মতো কিংবদন্তি রেসিং টিমের সঙ্গে সহযোগিতা, আমাদের জন্য উদ্ভাবনের সীমানা অতিক্রম করে যাওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কেবল আমাদের নিখুঁত পণ্যগুলোই টিকে থাকার মতো সক্ষমতা অর্জন করে। আমরা আমাদের নতুন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীদের কাছে অসাধারণ ডিজাইন ও প্রিমিয়াম কারিগরি দক্ষতা নিয়ে যেতে চাই।”
এ বিষয়ে অ্যাস্টন মার্টিন আরামকো ফর্মুলা ওয়ান টিমের হেড অব লাইসেন্সিং অ্যান্ড মার্চেন্ডাইজ ম্যাট চ্যাপম্যান বলেন, “আমাদের প্রথম কো-ব্র্যান্ডেড ফোন উন্মোচনের পাশাপাশি, রিয়েলমিকে টিমে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত। জিটি ৭ ড্রিম এডিশনে উচ্চ সক্ষমতা ও উদ্ভাবনী ডিজাইনের সমন্বয় রয়েছে; আগামীর মডেলগুলোতে একযোগে কাজ করার জন্য আমরা অধীর আগ্রহে রয়েছি।”
বৈশ্বিকভাবে দ্রুতবর্ধনশীল স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে রিয়েলমি, বিশ্বজুড়ে তরুণ ব্যবহারকারীদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে প্রযুক্তিগত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নির্ভুল প্রকৌশল, অসাধারণ কর্মদক্ষতা ও অনন্য ডিজাইনের জন্য বিখ্যাত অ্যাস্টন মার্টিন ফর্মুলা ওয়ানের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে রিয়েলমি আগামী প্রজন্মের জন্য অনবদ্য প্রযুক্তি অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করছে।
এই সহযোগিতার মাধ্যমে রিয়েলমি জিটি ৭ ড্রিম এডিশনের মতো একটি অসাধারণ কো-ব্র্যান্ডেড সিরিজ উন্মোচন করা হয়েছে। এই স্মার্টফোনটি কেবল রিয়েলমি’র জিটি সিরিজের ফ্ল্যাগশিপ পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতাই নয়; একইসাথে, এতে আইকনিক দুই পাখার ডিজাইন ও অ্যাস্টন মার্টিনের বিশেষ গ্রিন কালার রয়েছে। এ সহযোগিতার অংশ হিসেবে, দু’পক্ষ প্রতিবছর দুইটি মডেল একযোগে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে, যা এই অংশীদারিত্বকে আরও বেশি আকর্ষণীয় ও প্রত্যাশিত করে তুলেছে।
রিয়েলমি জিটি ৭ সিরিজের বৈশ্বিক উন্মোচন অনুষ্ঠান আজ ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে জিটি ৭ সিরিজ ও ড্রিম এডিশন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত সব তথ্য উন্মোচিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
তরুণদের প্রিয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড রিয়েলমি বাংলাদেশে তাদের বিশেষ ঈদ ক্যাম্পেইন ঘোষণা করেছে। ব্যবহারকারীদের মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়াতে প্রস্তুত ব্র্যান্ডটি। সীমিত সময়ের এ ক্যাম্পেইনটি কেবল বড় কিছু জেতার সুযোগই দিচ্ছে না, বরং প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর জন্যই নিশ্চিত করছে আকর্ষণীয় উপহার।
লটারির মাধ্যমে সৌভাগ্যবান বিজয়ীদের জন্য ৪টি গ্র্যান্ড প্রাইজ নিয়ে এসেছে রিয়েলমি। এতে প্রথম পুরস্কার বিজয়ী পাবেন ১,০০,০০০ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী পাবেন ৬০,০০০ টাকা। তৃতীয় পুরস্কারে রয়েছে নির্দিষ্ট রিয়েলমি পণ্যের ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় বাই ওয়ান গেট ওয়ান (বোগো) অফার এবং চতুর্থ পুরস্কার হিসেবে থাকছে রিয়েলমি টি২০০ লাইট এয়রবাডস।
এসব পুরস্কার ছাড়াও আরও কিছু নিশ্চিত উপহার নিয়ে এসেছে রিয়েলমি; যেন লটারি যারা জিতবেন না তারাও এ উদযাপনে অংশ নিতে পারেন। ক্রেতাদের মানসিক প্রশান্তি নিশ্চিত করতে রিয়েলমি সি৭৫ বা রিয়েলমি সি৭৫এক্স কেনার ক্ষেত্রে ২ বছরের বাড়তি ওয়ারেন্টি পাওয়া যাবে।
রিয়েলমি ১২ স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে ক্রেতারা পাবেন ২,০০০ টাকার ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক; ফলে, ২৭,৯৯৯ টাকার এই ডিভাইসটি পাওয়া যাবে মাত্র ২৫,৯৯৯ টাকায়।
রিয়েলমি ১৪ সিরিজ কেনার ক্ষেত্রে রিয়েলমি ব্র্যান্ডের আকর্ষণীয় টি-শার্ট পাবেন ক্রেতারা। পাশাপাশি, ক্যাম্পেইনে অংশ নেয়া সকল ক্রেতা বাংলালিংকের অংশীদারিত্বে বিশেষ অফার উপভোগ করার সুযোগ পাবেন।
কেবল সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিশ্চিত করাই নয়, একইসাথে, ব্যবহারকারীদের জন্য আকর্ষণীয় পুরস্কার ও সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা নিয়ে আসার ক্ষেত্রে রিয়েলমি’র ধারাবাহিক প্রচেষ্টার বহিঃপ্রকাশ এই ঈদ ক্যাম্পেইন। উৎসবের এ সময়ে প্রত্যেক ক্রেতাই যেন নিজেকে বিজয়ী মনে করেন, তা নিশ্চিত করতেই দুর্দান্ত সব পুরস্কার ও নিশ্চিত উপহার নিয়ে এসেছে ব্র্যান্ডটি।
ক্যাম্পেইন ও এতে কীভাবে অংশ নিবেন, তা আরও বিস্তারিত জানতে রিয়েলমি বাংলাদেশের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া পেইজ ও ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
তরুণদের পছন্দের টেক ব্র্যান্ড রিয়েলমি বাংলাদেশের বাজারে তাদের সর্বশেষ স্মার্টফোন রিয়েলমি সি৭১ নিয়ে এসেছে। নিরবচ্ছিন্ন ব্যাটারি পারফরম্যান্স চাইছেন এমন ব্যবহারকারীদের জন্য এই ডিভাইসটি ডিজাইন করা হয়েছে। রিয়েলমি’র নতুন এই ফোনে দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ, এআই-সক্ষম ফিচার ও প্রাণবন্ত ডিসপ্লেসহ আধুনিক ও স্টাইলিশ ডিজাইন ব্যবহার করা হয়েছে।
রিয়েলমি সি৭১-এ রয়েছে সুবিশাল ৬,৩০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সুবিধা, যা সারাদিন নিরবচ্ছিন্ন সক্ষমতা প্রদান করে। মাত্র ১ ঘণ্টার চার্জেই ব্যবহারকারীরা দুই দিনের জন্য ফোনটি নির্বিঘ্নে ব্যবহার করতে পারবেন, যা এখনকার ব্যস্ত জীবনযাপনের সাথে মানিয়ে যাবে। একইসাথে, এই ব্যাটারি ও চার্জিং দীর্ঘস্থায়ী ও কার্যকর সক্ষমতা নিশ্চিত করে ব্যবহারকারীকে নিশ্চিন্ত রাখতে সহায়তা করে।
রিয়েলমি সি৭১-এর নান্দনিক ও প্রাণবন্ত ডিজাইন তরুণ ব্যবহারকারীদের পছন্দের সঙ্গে মানানসই। এর ‘লাইট পালস’ নোটিফিকেশন ফিচারটি বিশেষ করে, মিটিং বা গুরুত্বপূর্ণ আলাপ চলাকালে কল বা মেসেজ আসার সময় নিঃশব্দে চোখে পড়বে। ফোনটির ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট ডিসপ্লের ক্ষেত্রে আরামদায়ক ও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক অনুভূতি নিশ্চিত করে। এই দামের অন্যান্য ফোনের ক্ষেত্রে এই রিফ্রেশ রেট সাধারণত দেখা যায় না; ফলে রিয়েলমি’র এই ফোনটি গেম খেলা, সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করা বা ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
রিয়েলমি সি৭১-এ এআই-সক্ষম একাধিক ফিচার রয়েছে, যা দৈনন্দিন কাজগুলো আরও সহজ ও সাবলীল করে। এর মধ্যে রয়েছে এআই নয়েজ রিডাকশন কল ২.০, যা কলের ব্যাকগ্রাউন্ডের নয়েজ কমায়। এআই ক্লিয়ার ফেস যা ক্যামেরা পারফরম্যান্সকে আরও সমৃদ্ধ করে। এআই ইমেজ ম্যাটিং, যা সহজেই ব্যাকগ্রাউন্ড এডিট করতে সহায়তা করে। এআই ইরেজার, যা ছবি থেকে অপ্রয়োজনীয় বিষয় অপসারণ করে। এছাড়াও, গুগল জেমিনি ও সার্কেল-টু-সার্চ ব্যবহারকারীদের জন্য এআই সার্চের সুবিধা নিশ্চিত করে। এসব ফিচার একত্রে স্মার্টফোন ব্যবহারে নতুন মাত্রা যোগ করে।
ফোনটিতে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের একটি এআই ক্যামেরা, যা ব্যবহারকারীদের নিখুঁত ও ঝকঝকে ছবি তুলতে সহায়তা করে। এই ডিভাইসে প্রাইমারি ক্যামেরার সাথে রয়েছে- একটি ফ্লিকার লেন্স, যেটি পারিপার্শ্বিক আলো থেকে ফ্লিকার ফ্রিকোয়েন্সি নির্ণয় করে এবং ছবি তোলার সময় ফ্লিকার নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া- রিয়ার প্যানেলে আছে ‘পালস লাইট’ অর্থ্যাৎ আলোর ভিন্ন একটি প্যানেল, যার মাধ্যমে ভাইব্রেশন কিংবা শব্দ ছাড়াই এক ধরনের নোটিফিকেশন পাবেন গ্রাহকরা।
পাশাপাশি, স্মৃতিময় মুহূর্ত ধারণ করার জন্য রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা। অ্যান্ড্রয়েড ১৫ ভিত্তিক রিয়েলমি’র ইউজার ইন্টারফেস ব্যবহারকারীদের জন্য অনবদ্য অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। এছাড়া, এর আইপি৬৪ রেটিংয়ের ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেজিজট্যান্স ও সনিকওয়েভ ওয়াটার ইজেকশন প্রযুক্তি ফোনটিকে যেকোনো পরিবেশের জন্য সহনীয় ও টেকসই করে তোলে।
রিয়েলমি সি৭১ দুটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে। ৪ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজের মূল্য মাত্র ১৪,৯৯৯ টাকা এবং ৬ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজের মূল্য মাত্র ১৫,৯৯৯ টাকা। স্মুথ মাল্টিটাস্কিং ও অনবদ্য পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে এতে ডায়নামিক মেমরি এক্সপানশন ব্যবহার করা হয়েছে, যা ২ টেরাবাইট পর্যন্ত বৃদ্ধি করে নেয়া সম্ভব।
শীর্ষ বৈশ্বিক প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘অপো’ আসন্ন ঈদুল আজহা’র আনন্দ বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য বিশেষ সব অফারের ঘোষণা দিয়েছে। এবং এই উৎসব উদযাপনের অংশ হিসেবে ব্র্যান্ডটি নতুন স্মার্টফোন অপো ‘এ৫এক্স’ (৪জিবি+৬৪জিবি) আকর্ষণীয় বাজার মূল্যে সারাদেশে প্রাপ্তির কথাও জানিয়েছে।
এবারের ঈদ আয়োজনে অপো-ভক্তদের বাড়তি প্রাপ্তি হিসেবে থাকছে- একটি ‘মেগা ঈদ লটারি’, যেখানে গ্রাহকরা জিতে নিতে পারেন পছন্দের গন্তব্যে তাদের স্বপ্নের ইন্টারন্যাশনাল ‘ড্রিম ট্রিপ’, অথবা অফিসিয়াল স্ট্রিমিং পার্টনার বঙ্গো’তে ১ মাসের ফ্রি সাবসক্রিপশন। এসব রোমাঞ্চকর থ্রিলিং রিওয়্যার্ডস ছাড়াও, কিছু নির্দিষ্ট স্মার্টফোন কিনে ক্রেতারা পাবেন নিশ্চিত উপহার- যেমন, ‘অপো এ৫ প্রো’ এর প্রতিটি স্মার্টফোনের সঙ্গে পাওয়া যাবে ১টি প্রিমিয়াম আমব্রেলা, ‘অপো রেনো১৩ এফ’ এর সঙ্গে স্টাইলিশ ট্রাভেল ব্যাগ, এবং নতুন উন্মোচিত হওয়া ‘অপো এ৫এক্স’ এর সঙ্গে বিশেষ অ্যাক্সেসরিজ গিফট বক্স। এই বিশেষ ঈদ অফারগুলোর লক্ষ্য অপো-ফ্যানদের ঈদ আনন্দে বাড়তি মাত্রা যোগ করা, যাতে তারা প্রিয়জনদের সাথে তৃপ্তি নিয়ে উৎসবটি উদযাপন করতে পারেন।
এই ক্যাম্পেইনটি ভোক্তাদের প্রতিটি মুহূর্ত রাঙিয়ে তুলতে ও স্মরণীয় করে রাখতে অপোর প্রতিশ্রুতিই পুর্নব্যক্ত করে। তাই নিজের ব্যবহারের জন্য অথবা কাছের কাউকে উপহার হিসেবে দেবার জন্য অপো ঈদ উপহার হিসেবে নিয়ে এসেছে ‘প্রয়োজন’,ও ‘উদ্ভাবন’ এর মিশেলে দারুণ এক অভিজ্ঞতা।
‘অপো এ৫এক্স (৪জিবি+৬৪জিবি)’ সাশ্রয়ী মূল্যে মাত্র ১৩,৯৯০ টাকায় আউটলেটগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে ২১মে থেকে। কাঙ্খিত এই স্মার্টফোন দেবে হাই-পারফরম্যান্স, অনমনীয় টেকসইতা। স্মার্টফোনটিতে আরো আছে আইপি৬৫-রেটেড পানি ও ধুলোবালি থেকে সুরক্ষা, মিলিটারি গ্রেডের ড্রপ প্রটেকশন, স্টাইলিশ-স্লিম ডিজাইন যা হতে পারে কর্মব্যস্ত মানুষের দারুণ সঙ্গী।
ফ্ল্যাগশিপ-লেভেল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সক্ষমতার এই মোবাইলে আরো আছে- এআই ইরেজার ২.০, এআই আনব্লার, এআই স্টুডিও ২.০ এবং এআই ক্লিয়ারিটি এনহেন্সার- যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা প্রেফেশনাল-গ্রেড এ ছবি এডিট করতে পারবেন। ডিভাইসটিতে আরো আছে ৩২ মেগাপিক্সেল এর রিয়ার ক্যামেরা, ৬.৬৭ ইঞ্চির ৯০ হার্টজ ডিসপ্লে এবং ৩০০% আল্ট্রা ভলিউম মোড। এসব ফিচার আউটডোর এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম যা, ‘এ৫এক্স’কে অল-রাউন্ড পারফরমার করে তুলেছে।
এ প্রসঙ্গে অপো বাংলাদেশ অথরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়ং বলেন, “এবারের ঈদুল আজহায় বাংলাদেশের গ্রাহক ও ভোক্তাদের অপো প্রযুক্তির চেয়ে বেশি কিছু অফার দিতে চায়; যা তাদের উৎসব উদযাপনে ও স্মৃতিগুলো স্মরণীয় করে রাখতে সাহায্য করবে। ঈদে আমাদের আকর্ষণীয় অফার ও সারাদেশে অপোর ‘এ৫এক্স’ এর প্রাপ্তিকে উপলক্ষ করে আমরা গ্রাহকদের আনন্দের ভাগিদার হতে চাই। তাই মেগা প্রাইজ, বিশেষ গিফট কিংবা টেকসই স্মার্টফোন, তা যাই হোক না কেন; অপো সবার ঈদ আনন্দ বহুগণ বাড়িয়ে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
‘অপো এ৫এক্স(৪জিবি+৬৪জিবি)’ পাওয়া যাবে অপোর সব আউটলেটে এবং স্বীকৃত খুচরা বিক্রেতাদের কাছে। বিস্তারিত তথ্য জানতে অপো বাংলাদেশের ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/OPPOBangladesh এবং অপো বাংলাদেশের ওয়েবসাইট www.oppo.com/bd ভিজিট করুন।
মন্তব্য