× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Aashiq of Coxs Bazar at the behest of MP Chhatra League leader
google_news print-icon

এমপি-ছাত্রলীগ নেতার ‘প্রশ্রয়ে’ কক্সবাজারের আশিক গ্যাং

এমপি-ছাত্রলীগ-নেতার-প্রশ্রয়ে-কক্সবাজারের-আশিক-গ্যাং
বাঁয়ের ছবিতে এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের সঙ্গে আশিক, পাশের ছবিতে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে জয়া (ডানে)। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
এলাকাবাসীর অভিযোগ, আশিকের চক্রটির আশ্রয়দাতা হিসেবে আছেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসেন। এ ছাড়া কক্সবাজার-সদর রামু আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের সঙ্গেও এই চক্রের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। তাদের প্রশ্রয়েই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে আশিকের বাহিনী।  

কক্সবাজারের এক নারীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ অভিযোগে তার স্বামীর করা মামলায় আসামি করা হয়েছে সাতজনকে। তাদের মধ্যে প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিকের বিরুদ্ধে এর আগেও ইয়াবা, ছিনতাইসহ নানা অপরাধের অভিযোগে ১৬টি মামলা রয়েছে।

কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল জোনের পাঁচ শতাধিক হোটেল থেকে প্রতিদিন চাঁদাবাজি করার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। হোটেল মালিকরা বলছেন, চাঁদা না দিলে জিম্মি ও মারধর করত আশিকের বাহিনী।

আওয়ামী লীগের এক সংসদ সদস্য এবং কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির প্রশ্রয়ে আশিক দিনে দিনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, আশিক মূলত ছিনতাইকারীচক্রের নেতা। তবে স্থানীয়রা বলছেন, কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ অপরাধচক্রের মূল নিয়ন্ত্রক তিনি। তার নেতৃত্বে রয়েছে অন্তত তিন ডজন অপরাধীর একটি চক্র।

এই চক্রের আশ্রয়দাতা হিসেবে আছেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসেন। এ ছাড়া কক্সবাজার-সদর রামু আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের সঙ্গেও এই চক্রের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।

এমপি-ছাত্রলীগ নেতার ‘প্রশ্রয়ে’ কক্সবাজারের আশিক গ্যাং
সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি আশিকুল ইসলাম (ডানে) ও ইসরাফিল হুদা জয়া

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা ছাত্রলীগের এক শীর্ষ নেতা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জেলায় নিজের আধিপত্য বিস্তারের জন্য সাদ্দাম একটি অপরাধীচক্রকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। মূলত মোবারক আলী নামে এক সন্ত্রাসীর মাধ্যমে এ চক্রটি পরিচালনা করেন সাদ্দাম।’

তিনি জানান, ২২ ডিসেম্বর রাতে এক নারী আশিকসহ তার চক্রের কয়েক সদস্যের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন। এর আগের দিন রাতেও জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দামের সঙ্গে দীর্ঘ আড্ডা দিতে দেখা গেছে আশিকদের। বাহারছড়া ল্যাবরেটরি স্কুলের পাশে ওই আড্ডায় আশিক, জয়া, রেশাদ, মোবারকসহ অপরাধীচক্রের অনেকেই ছিলেন। পরে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম সেন্ট মার্টিন চলে যান।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘ছাত্রলীগের বিভিন্ন কমিটিতে টাকার বিনিময়ে জামায়াত-ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের পদ দিয়েছেন সাদ্দাম। টেকনাফ ও চকরিয়ার মাতামুহুরী কমিটিতে এ ধরনের অনেকেই আছেন।’

জেলা ছাত্রলীগের শীর্ষস্থানীয় এক নেতা নিউজবাংলাকে বলেন, আশিক, জয়া, বিজয়, বাবু, রেশাদ, মোবারকরা ২০১৬ সালের দিকেও ছাত্রদল করতেন। আশিক ২০১৬ সালে কক্সবাজারের ৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। তবে পরে তিনি ছাত্রলীগে সক্রিয় হন। তার প্রভাব অনেক বেড়েছে বর্তমান জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দামের প্রশ্রয়ে।

এমপি-ছাত্রলীগ নেতার ‘প্রশ্রয়ে’ কক্সবাজারের আশিক গ্যাং
সাদ্দামের নেতৃত্বে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের পর শোভাযাত্রায় আশিক, জয়া ও মোবারক

সাদ্দামের নেতৃত্বে গত বছরের নভেম্বরে জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে আশিকের কোনো পদ না থাকলেও নিজের ভিত্তি মজবুত করতে আশিকের চক্রটির প্রধান আশ্রয়দাতা হয়ে ওঠেন সাদ্দাম।

আশিকের চক্রটি পর্যটন এলাকা কলাতলীতে ইয়াবা ব্যবসা, ছিনতাই, অপহরণসহ সব ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলেও অভিযোগ করেছেন হোটেল-মোটেল জোনের ব্যবসায়ীরা।

তারা জানান, সাদ্দামের পরিচয় ব্যবহার করে আশিক প্রতিদিন বিভিন্ন হোটেল থেকে চার-পাঁচ হাজার টাকা করে চাঁদা তুলতেন। টাকা না দিলে হোটেলের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়ার বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আশিক কোনো যৌনকর্মীকে ‘পছন্দ’ হলেই তাকে নিয়ে যেতেন। বাধা দিলে অনেক সময় মারধরের ঘটনাও ঘটেছে।

এমপি-ছাত্রলীগ নেতার ‘প্রশ্রয়ে’ কক্সবাজারের আশিক গ্যাং
কক্সবাজারের এই হোটেলে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আশিকের বিরুদ্ধে

সীলবার বে নামের একটি হোটেলে গত ১৬ ডিসেম্বর চাঁদার জন্য যায় আশিকের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা। হোটেলটির ম্যানেজার নুরুজ্জামান চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে ছুরিকাঘাতে আহত করেন আশিক। পরে ড্রয়ার খুলে চাঁদার টাকাও নিয়ে যান।

ম্যানেজার নুরুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একটি পর্যটন শহরে সন্ধ্যার পরপরই অপরাধীচক্র মাঠে নেমে পড়ে চাঁদার জন্য। না দিলে আমার মতো হামলার শিকার হতে হয়। এটা এখানে ওপেন সিক্রেট। তারা বিভিন্ন নেতার নাম বলে চাঁদা চায়।’

আশিকের চক্রের সঙ্গে কক্সবাজার-সদর রামু আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের সখ্যের অভিযোগও পাওয়া গেছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদমর্যাদার এক নেতা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ মাসের শুরুতেই সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের সঙ্গে আশিক ও জয়াকে দেখা গেছে। ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দামের বাড়ি এমপি কমলের এলাকায়। এ কারণেই কমলের শেল্টারে আছেন সাদ্দাম। অপরাধীরাও তাদের পেছনে ছুটেছে।’

শহরের যে কোনো অনুষ্ঠানে এমপি কমলের সঙ্গে জয় ও আশিককে নিয়মিত দেখা যেত। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর গত কয়েক দিনে আশিক ও জয়ার সঙ্গে এমপি কমল ও ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দামের একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

আশিকের চক্রকে প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম সাদ্দাম। তার দাবি, এই চক্রের সদস্যদের তিনি ‘ঠিকমতো চেনেনই না’।

এমপি-ছাত্রলীগ নেতার ‘প্রশ্রয়ে’ কক্সবাজারের আশিক গ্যাং
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দামের সঙ্গে ধর্ষণ মামলার আসামি জয়ার (বাঁয়ে) ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে

একসঙ্গে তোলা ছবির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সাদ্দাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কোনো একটা অনুষ্ঠানে আমার সঙ্গে ছবি তুলেছিল, ওই ছবি এখন ভাইরাল করা হচ্ছে। একটা অনুষ্ঠানে কত মানুষই তো ছবি তুলতে পারে। আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপরাধীদের সঙ্গে জড়ানো হচ্ছে। বরং তাদের শাস্তির আওতায় আনতে আমি নিজে এই ঘটনার পর থেকে প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।’

২১ ডিসেম্বর আশিক, জয়, মোবারকের সঙ্গে আড্ডা দেয়ার বিষয়টিও অস্বীকার করেন সাদ্দাম। তিনি বলেন, ‘আমি চট্টগ্রামে ছিলাম, সেখান থেকে ফিরেছি ২১ তারিখ মধ্যরাতে, পরদিন আবার সেন্ট মার্টিন চলে গেছি। যারাই এ কথা বলেছে মিথ্যা বলেছে।’

সাদ্দামের নামে হোটেল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার নাম ভাঙিয়ে যদি কেউ চাঁদাবাজি করে, সে দায় তো আমি নিতে পারি না। এ ছাড়া আমি আরও আগেই সব হোটেল ব্যবসায়ীকে বলে রেখেছি, কেউ যদি চাঁদাবাজির চেষ্টা করে তারা যেন আমাকে জানান। তবে কখনও কোনো হোটেল ব্যবসায়ী আমাদের কাছে এমন কোনো অভিযোগ দেননি।’

ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগও অস্বীকার করেন সাদ্দাম। তিনি বলেন, ‘এসব ভিত্তিহীন, মনগড়া কথা। কেউ যদি প্রমাণ দিতে পারে তাহলে আমি পদত্যাগ করব।’

আশিকের চক্রকে প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগ নিয়ে বক্তব্য জানতে এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো সাড়া দেননি।

এমপি-ছাত্রলীগ নেতার ‘প্রশ্রয়ে’ কক্সবাজারের আশিক গ্যাং
ধর্ষণের অভিযোগ তোলা নারীর সঙ্গে জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের কাউন্টারে আশিক। ছবি: সিসিটিভি ফুটেজ থেকে নেয়া

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যারা ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত তাদের চিহ্নিত করা গেছে। তারা এখানে কাদের শেল্টারে থেকে অপরাধ কর্মকাণ্ড চালাত, সে ব্যাপারেও আমরা তথ্য পেয়েছি। এসব নিয়ে তদন্ত ও আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

১৬ মামলা মাথায় নিয়ে আশিক কী করে প্রকাশ্যে অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছিলেন- জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, ‘সে (আশিক) জেলে ছিল। সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে আবারও অপরাধে জড়িয়েছে। তার গ্যাংয়ের সদস্যদের বিষয়েও খোঁজ নেয়া হচ্ছে। তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।’

‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে এক নারীর স্বামী চারজনের নাম উল্লেখ ও তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন।

মামলায় নাম উল্লেখ করা চার আসামি হলেন কক্সবাজার শহরের মধ্যম বাহারছড়া এলাকার আশিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ শফি ওরফে ইসরাফিল হুদা জয় ওরফে জয়া, মেহেদী হাসান বাবু ও জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।

আরও পড়ুন:
কক্সবাজারে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: আদালতে নারীর জবানবন্দি
কক্সবাজারের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচার: আইনমন্ত্রী
কক্সবাজারে ‘ধর্ষণ’: যা জানাল পুলিশ
‘কক্সবাজারে ধর্ষণে অভিযুক্তরা নারীর পরিচিত’
কক্সবাজারে ‘ধর্ষণের’ ঘটনা প্রকাশ হলো যেভাবে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Snake panic in Feni after flood

বন্যার পর ফেনীতে সাপ আতঙ্ক, গৃহবধূর মৃত্যু

বন্যার পর ফেনীতে সাপ আতঙ্ক, গৃহবধূর মৃত্যু

ফেনীতে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। এর সঙ্গে দেখা দিয়েছে নতুন এক আতঙ্ক। বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে মানুষের বাড়িঘরে আশ্রয় নিয়েছিল নানা প্রজাতির সাপ। এখন ঘরে ফিরলেও সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। এরই মধ্যে পরশুরামে বিষধর সাপের কামড়ে রোকেয়া আক্তার রিনা (৫০) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে ফেনীর পরশুরামের পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রিনা পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম শহীদের স্ত্রী। তার এক ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বন্যার পানি শুকিয়ে গেলে রান্না করার জন্য রান্নাঘরে গেলে সেখানে একটি অজ্ঞাত বিষধর সাপ রিনাকে কামড় দেয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এরপর ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্বামী শফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে রিনা রান্না ঘরে যায়। এ সময় রান্নাঘরের একটি গর্ত থেকে বিষধর একটি সাপ বের হয়ে তার পায়ে কামড় দেয়। তার চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কোনো চিকিৎসা না হওয়ায় ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার রেদোয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছিল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The creation of waterlogging at Benapole ports

পানি নিষ্কাশনের অভাবে  বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

ব্যাহত হচ্ছে বন্দরে খালাশ প্রক্রিয়া
পানি নিষ্কাশনের অভাবে  বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে বেনাপোল বন্দর এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর অভ্যন্তরের অনেক স্থানে হাটু পানি জমায় মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া। যানবাহন ও নিরাপত্তাকর্মীদের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বন্দরের ৯.১২.১৫.১৬ ও ১৮ নম্বর সেড থেকে লোড আনলোড বন্ধ হয়ে আছে।

ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বন্দরে হাটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। কয়েক বছর ধরে এ দূর্ভোগ হলেও নজর নাই বন্দর কর্তৃপক্ষের। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, রেলকর্তৃপক্ষ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাসনে বাধা গ্রুস্থ্য হচ্ছে।

তবে এসব শেড ও ওপেন ইয়ার্ড অধিকাংশই দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তৈরী হয়নি। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে পণ্যগারগুলো নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টিপাত বেশি হলে পানি নিষ্কাষনের অভাবে পণ্যগার ও ইয়াডে জলবদ্ধতা তৈরী হয়। এতে পানিতে ভিজে যেমন পণ্যের গুনগত মান নষ্ট হয় তেমনি চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে। তবে আজ সকাল থেকে সেচ যন্ত্র চালিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন জানান, বন্দরের জলবদ্ধতা প্রতি বছরে তৈরী হয়। বিশেষ করে রেল বিভাগ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় সমস্যার সন্মুখিন হতে হচ্ছে। বন্দরের পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে দ্রুত এ অবস্থা কাটিয়ে তুলতে পাশ্ববর্তী হাওড়ের সাথে বন্দরের ড্রেন তৈরীর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রেরক: রাশেদুর রহমান রাশু, বেনাপোল যশোর ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chakrias escaped accused Sajjad was detained in Coxs Bazar DB

চকরিয়ার সেই পালাতক আসামি সাজ্জাদ কক্সবাজারে ডিবির জালে আটক

চকরিয়ার সেই পালাতক আসামি সাজ্জাদ কক্সবাজারে ডিবির জালে আটক

কক্সবাজারের চকরিয়ায় গত রোববার (৬ জুলাই) মালুমঘাট বাজার থেকে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে এক যুবক পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া সে যুবক সাজ্জাদ হোসেন (২০) কে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ কলাতলীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত তিনটায় কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেল (ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্ট) অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ। রাত প্রায় তিনটায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়।

চকরিয়া থানা পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে আসামি সাজ্জাদ হোসেন কে আটক করতে সক্ষম হয় কক্সবাজার ডিবি পুলিশ।

এবিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, পলাতক আসামি সাজ্জাদ কে কক্সবাজার ডিবি পুলিশ আটক করেছে। প্রাথমিকভাবে সদর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চকরিয়া থানায় নিয়ে আসা হবে। তার বিরুদ্ধে একটি পুলিশ এসল্ট মামলা করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Panchagarh has fined Tk 2 lakh in a joint operation at night 

পঞ্চগড়ে রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে  ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বালু উত্তোলনকারীকে 

পঞ্চগড়ে রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে  ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বালু উত্তোলনকারীকে 

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে যৌথবাহিনীর অভিযানে একজনকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ধুলাঝাড়ি বাজারের করতোয়া নদীসংলগ্ন এলাকায় অভিযানটি চালানো হয়।

দেবীগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর জুবায়ের হোসেন সিয়ামের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত দুইটি ট্রাক্টরসহ চালক রাজু ইসলাম ও শান্ত আহমেদকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

আদালতের রায়ে রাজু ইসলামকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ধারা লঙ্ঘন করায় দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। তবে রাজু ইসলাম অর্থদণ্ডের অর্থ পরিশোধ করায় ট্রাক্টর দুটি ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় প্রশাসন জানায়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন রোধে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two maternity deaths at the same clinic in Kushtia Attack on the home of the clinic owner

কুষ্টিয়ায় একই ক্লিনিকে এক মাসে দুই প্রসূতির মৃত্যু: ক্লিনিক মালিকের বাড়িতে হামলা

কুষ্টিয়ায় একই ক্লিনিকে এক মাসে দুই প্রসূতির মৃত্যু: ক্লিনিক মালিকের বাড়িতে হামলা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় মাত্র এক মাসের ব্যবধানে একই ক্লিনিকে সিজারিয়ান ডেলিভারির সময় দুই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ সোমবার (৭ জুলাই) রাতে মুন্নি খাতুন (২৫) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী সিজারিয়ান অপারেশনের সময় মারা যান। এর আগে ৮ জুন ওই ক্লিনিকেই আখি খাতুন (২২) নামের আরেক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। পরপর এমন দু’টি মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্লিনিক মালিকের ছেলে মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেস্টা করছে বলে জানাগেছে।

সোমবার রাতে মুন্নির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ক্লিনিক মালিক আবুল হোসেনের ব্রাকপাড়া এলাকার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। পরে তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিহত মুন্নি খাতুন উপজেলার তারাগুনিয়া ব্রাকপাড়া এলাকার মঞ্জু হোসেনের মেয়ে। আর নিহত আখি খাতুন পূর্ব কবিরাজপাড়া গ্রামের ইমনের স্ত্রী।

মুন্নির পরিবারের সদস্যরা জানান, গর্ভাবস্থায় জটিলতা দেখা দিলে সোমবার তাকে উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে নেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা ঝুঁকির কথা বলে কুষ্টিয়া বা রাজশাহীতে রেফার করার পরামর্শ দেন। সন্ধ্যায় তাকে তারাগুনিয়া থানার মোড় বাজারের আবুল হোসেনের মালিকানাধীন তারাগুনিয়া ক্লিনিক নামের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তৃপক্ষ সিজারিয়ানে সম্মত হয়। কিন্তু রাত ৯টার দিকে অপারেশনের সময়ই মুন্নির মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে তারাগুনিয়া ক্লিনিকের মালিক আবুল হোসেন বলেন, “রোগী কীভাবে মারা গেছে সেটা ডাক্তাররাই ভালো বলতে পারবেন। আমি নিজে অপারেশনে ছিলাম না, তাই কিছু জানি না। টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”

অপারেশনকারী চিকিৎসক ডা. সফর আলী বলেন, “রোগীকে ওটিতে আনার আগে অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক ওষুধ প্রয়োগ করেন। আমরা ওটিতে ঢুকেই দেখি রোগী স্ট্রোক করেছে। এরপর দ্রুত নবজাতকের প্রাণ রক্ষায় সিজারিয়ান সম্পন্ন করি।”

এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, “একই প্রতিষ্ঠানে পরপর দুই প্রসূতির মৃত্যু অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি। আজই ক্লিনিকটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, “গতকাল রাতে তারাগুনিয়া এলাকার একটি ক্লিনিকে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় ক্লিনিক এলাকায় উত্তেজনা ও হট্টগোলের আশঙ্কায় আমি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পাঠাই। পরে জানতে পারি, নিহত নারীর এলাকা থেকে কিছু লোকজন ক্লিনিক মালিকের বাড়িতে হামলা চালায়। আমরা দ্রুত সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। শুনেছি দুই পক্ষ নিজেদের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করে নিয়েছে।”

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল হাই সিদ্দিকী বলেন, এক মাসের মধ্যে দুইজন রোগীর মৃত্যু অত্যান্ত দুঃখজনক। ঘটনায় কর্তৃপক্ষকে বলবো তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।

একই ক্লিনিকে এক মাসের ব্যবধানে দুই প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The allegation of BNP leader Hafiz Ibrahim to the home adviser is false and fabricated

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে বিএনপি নেতা হাফিজ ইব্রাহিমের নামে অভিযোগটি মিথ্যা ও বানোয়াট

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে বিএনপি নেতা হাফিজ ইব্রাহিমের নামে অভিযোগটি মিথ্যা ও বানোয়াট

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখানের) সাবেক সংসদ সদস্য মো: হাফিজ ইব্রাহিমের নামে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে সেলিম নামে এক ব্যক্তির দেওয়া অভিযোগটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করা হয়েছে।

রোববার বিকেলে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকায় শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের আয়োজনে বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে গণমাধ্যমকর্মীদের দেয়া স্বাক্ষাতকারে এ দাবি করেন হাফিজ ইব্রাহিম।

এর আগে দৈনিক ইত্তেফাক, সমকাল, যায়যায়দিন সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকার ডিজিটাল প্লাট ফরমে একটি সংবাদে দেখা যায়, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে হাফিজ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ তুলে সেলিম নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকর্মীদের হাফিজ ইব্রাহিম বলেন, সংবাদটি ডিজিটাল প্লাট ফরমে প্রকাশ হওয়ার পর আমার নজরে আসে। আমি মনোযোগ দিয়ে তার অভিযোগ শুনি। যে ব্যক্তি আমার নামে জমি দখলের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি আমার নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা না। আমি খবর নিয়ে জেনেছি, তিনি ভোলা-১ সদর আসনের বাসিন্দা ভোলা সদর আসনের সাবেক এমপি ও মন্ত্রী মরহুম মোশারেফ হোসেন শাহজাহানের বাড়ির পাশে তার বাড়ি। আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সেলিম নামে ওই ব্যক্তির সাথে তার আপন ভাতিজি জামাইয়ের দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে তার ভাতিজি জামাই তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে থাকতে পারে এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। এমনকি ওই বিষয়ে ভোলা সদর থানায় মামলা রয়েছে।

হাফিজ ইব্রাহিম আরও বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। পতিত সরকারের পলাতক একটি কুচক্রী মহল বিএনপির নামে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে ও দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা এই ঘটনার পেছনে যে আসল সত্য রয়েছে তা উদঘাটন করুন।

মন্তব্য

রাজশাহীতে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

রাজশাহীতে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

জুলাই-আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজশাহী মহানগরীর একটি থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৫।

রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর টিকাপাড়া এলাকার একটি বালুর স্তূপের আনুমানিক ২ ফুট গভীর থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।

সোমবার সকালে র‌্যাব-৫ এর মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

অভিযানে একটি ৭.৬২ মি.মি. বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন এবং এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫; সিপিএসসি’র একটি আভিযানিক দল জানতে পারে, ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন লুট হওয়া অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ম্যাগাজিন ও গুলি দুষ্কৃতকারীরা বোয়ালিয়া থানাধীন টিকাপাড়া এলাকায় লুকিয়ে রেখেছে। পরে নিরপেক্ষ সাক্ষীদের উপস্থিতিতে অভিযান চালিয়ে বালুর স্তূপের ভেতর থেকে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করে র‌্যাবের গোয়েন্দা দল।

এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাসস’কে জানান, এটি পুলিশের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র। তবে কোন থানার অস্ত্র সেটি নিশ্চিত করা যায়নি। কারণ পিস্তলের গায়ে বাট নম্বর ঘষা-মাজার চিহ্ন স্পষ্ট। উদ্ধারকৃত বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি বোয়ালিয়া থানায় জিডির পর হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে