এক দিন সূচক বাড়ার পর আবারও ধারাবাহিক পতনের বৃত্তে যাচ্ছে পুঁজিবাজার। গত ১১ কর্মদিবসে সূচক বেড়েছে মাত্র দুই দিন। আর সূচক কমেছে বাকি ৯ দিন।
সপ্তাহের প্রথম দুই দিনে ১৩০ পয়েন্ট সূচক পতনের পর মঙ্গলবার বেড়েছিল ২০ পয়েন্ট। এরপর আবার দুই দিন পড়ল সূচক।
বুধবার উত্থানের আলো নিভে গিয়ে সূচকের পতন হয় ২ পয়েন্ট। শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার পড়েছে আরও ৫১ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট।
ফলে চলতি সপ্তাহের পাঁচ দিনের লেনদেনে সূচক কমেছে ১৮৩ পয়েন্ট। বিপরীতে সূচক বেড়েছে মাত্র ২০ পয়েন্ট।
এ অবস্থা যে শুধু চলতি সপ্তাহের, তা নয়। এর আগের কয়েক সপ্তাহেও সূচক পতনের এ ধারা অব্যাহত ছিল।
অথচ পুঁজিবাজার নিয়ে চলতি সপ্তাহে আশান্বিত হওয়ার মতো দুটি ঘটনা ছিল। এর একটি হলো পুঁজিবাজারে নজরদারি বাড়াতে বিএসইসিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ছয় নির্দেশনা, অন্যদিকে পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির সংখ্যা বাড়াতে ডিএসইর পক্ষ থেকে দেশের খ্যাতনামা অর্ধশত কোম্পানির সঙ্গে বৈঠক।
আবার সুকুকের মাধ্যমে বেক্সিমকো লিমিটেড তাদের প্রত্যাশিত ৩ হাজার কোটি টাকা উত্তোলন শেষ করেছে। এখন সেটি লেনদেন শুরু হওয়ার অপেক্ষায়। সুকুক বন্ডের বেশির ভাগ কিনেছে ব্যাংক। ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা থেকে বন্ড বাইরে না থাকার কারণে তাদের শেয়ার বিক্রি করে এই বিনিয়োগে যেতে হয়েছে। ফলে বিক্রয়চাপ ছিল, যেটি এখন আর নেই।
বুধবার বেক্সিমকো লিমিটেডের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করার পর কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার ৮২টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ২৬১টির দর। লেনদেন হয়েছে ৮০১ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭৬৭ কোটি টাকা।
বস্ত্র খাতের ৭৭ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর হারিয়েছে। ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৯৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ আর প্রকৌশল খাতের ৭৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে।
বিপরীতে চাঙ্গা ছিল বিমা খাত। সাধারণ বিমা খাতের ৮৭ দশমিক ১৮ শতাংশ আর জীবন বিমা খাতের ৭৬ দশমিক ৯২ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার সূচক পতনের সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল বেক্সিমকো লিমিটেডের। কোম্পানিটির কারণে সূচক কমেছে ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এ ছাড়া টেলিকম খাতের রবির দর ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ দরপতনে সূচক কমেছে ৪ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।
ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, লিবরা ইনফিউশন, বিএটিবিসি, আইসিবি, ইউনিলিভার কনজ্যুমার, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, বিকন ফার্মা ও বিএসআরএম লিমিটেডের দরপতনেও সূচক কমেছে সবচেয়ে বেশি।
দর বৃদ্ধির ১০ কোম্পানি
বৃহস্পতিবার লেনদেনে সবচেয়ে বেশি শেয়ারদর বেড়েছে লোকসানি স্বল্প মূলধনি সাভার রিফ্যাক্টরিজের ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ। ৪২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা লেনদেনে ২০ হাজার ৬৯টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। শেয়ারদর ১৯৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২১৯ টাকা।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ঢাকা ডাইংয়ের দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। শেয়ারদর ১৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২১ টাকা। ২ কোটি ৯৮ লাখ টাকার ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪৭৬টি শেয়ার এদিন হাতবদল হয়েছে।
মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের দর বেড়েছে ৭ দশমিক ১৭ শতাংশ। ২ কোটি ৬৫ লাখ টাকার মোট ৯ লাখ ৮ হাজার ৯৩৬টি শেয়ার এদিন হাতবদল হয়েছে।
এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির দরও ৭ শতাংশের বেশি বেড়েছে। ৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকার ১০ লাখ ৫৫ হাজার ৮৭৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
এ ছাড়া এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ৬ দশমিক ৫০, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ৫ দশমিক ২৭, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ।
সোনারগাঁও ইন্স্যুরেন্স, শ্যামপুর সুগার, আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারদর বেড়েছে ৪ শতাংশের বেশি।
আরও আটটি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি। ২২টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ২ শতাংশের বেশি।
দরপতনের ১০ কোম্পানি
এই তালিকার শীর্ষে ছিল লোকসানি ব্রাদাস পিপি ওভেন কোম্পানি। কোম্পানিটির দর কমেছে ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ। ১ কোটি ৪২ লাখ টাকার মোট ১১ লাখ ৬৬ হাজার ১০২টি শেয়ার এদিন হাতবদল হয়েছে।
ইমাম বাটনের দর কমেছে ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ২৫ টাকা ৫০ পয়সা প্রতিটি শেয়ার হয়েছে ২৩ টাকা ৬০ পয়সা। ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা লেনদেনে ১০ হাজার ৭৪১টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা স্বল্প মূলধনি এপেক্স ফুটওয়্যারের দর কমেছে ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ। ১ কোটি ২১ লাখ টাকার ৪২ হাজার ৫১৫টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
প্রিমিয়ার লিজিংয়ের দর ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ। লিবরা ইনফিউশন ও রেকিড বেনজিনজারের ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ, বিচ হ্যাচারির দর ৬ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ কমেছে।
৫ শতাংশের বেশি শেয়ারদর বেড়েছে চারটি কোম্পানির। এর মধ্যে এমআই সিমেন্টের দর ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ, দেশ গার্মেন্টসের দর ৫ দশমিক ৬৬, মেঘনা পেটের দর ৫ দশমিক ৩১ এবং জিকিউ বলপেনের দর কমেছে ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ।
লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০ কোম্পানি
বৃহস্পতিবার লেনদেনে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল ফরচুন সুজ, যার ৫৪ কোটি ২০ লাখ টাকার ৫৫ লাখ ১৫ হাজার ৭৫৯টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
এর পরই ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড, যার ৪৪ কোটি ৬২ লাখ টাকার ২৯ লাখ ৭ হাজার ৯৭০টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
বিকন ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১৩ লাখ ৯৩ হাজার ১৩৬টি।
এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ২৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংক খাতের ওয়ান ব্যাংকের ২৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। ২ কোটি ২ লাখ ৫২ হাজার ৪০৫টি শেয়ার এদিন হাতবদল হয়েছে।
দর বৃদ্ধিতে সোনালী পেপারের শেয়ারপ্রতি যোগ হয়েছে ১২ টাকা ৮০ পয়সা। এতে ৮৪০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৫৩ টাকা ৫০ পয়সা। এদিন কোম্পানিটির ২২ কোটি ১২ লাখ টাকার ২ লাখ ৬১ হাজার ৩৬৮টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। সাইফ পাওয়ারটেকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ১০ লাখ টাকা। সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। জিএসপি ফাইন্যান্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য