এক দিন সূচক বাড়ার পর আবারও ধারাবাহিক পতনের বৃত্তে যাচ্ছে পুঁজিবাজার। গত ১১ কর্মদিবসে সূচক বেড়েছে মাত্র দুই দিন। আর সূচক কমেছে বাকি ৯ দিন।
সপ্তাহের প্রথম দুই দিনে ১৩০ পয়েন্ট সূচক পতনের পর মঙ্গলবার বেড়েছিল ২০ পয়েন্ট। এরপর আবার দুই দিন পড়ল সূচক।
বুধবার উত্থানের আলো নিভে গিয়ে সূচকের পতন হয় ২ পয়েন্ট। শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার পড়েছে আরও ৫১ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট।
ফলে চলতি সপ্তাহের পাঁচ দিনের লেনদেনে সূচক কমেছে ১৮৩ পয়েন্ট। বিপরীতে সূচক বেড়েছে মাত্র ২০ পয়েন্ট।
এ অবস্থা যে শুধু চলতি সপ্তাহের, তা নয়। এর আগের কয়েক সপ্তাহেও সূচক পতনের এ ধারা অব্যাহত ছিল।
অথচ পুঁজিবাজার নিয়ে চলতি সপ্তাহে আশান্বিত হওয়ার মতো দুটি ঘটনা ছিল। এর একটি হলো পুঁজিবাজারে নজরদারি বাড়াতে বিএসইসিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ছয় নির্দেশনা, অন্যদিকে পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির সংখ্যা বাড়াতে ডিএসইর পক্ষ থেকে দেশের খ্যাতনামা অর্ধশত কোম্পানির সঙ্গে বৈঠক।
আবার সুকুকের মাধ্যমে বেক্সিমকো লিমিটেড তাদের প্রত্যাশিত ৩ হাজার কোটি টাকা উত্তোলন শেষ করেছে। এখন সেটি লেনদেন শুরু হওয়ার অপেক্ষায়। সুকুক বন্ডের বেশির ভাগ কিনেছে ব্যাংক। ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা থেকে বন্ড বাইরে না থাকার কারণে তাদের শেয়ার বিক্রি করে এই বিনিয়োগে যেতে হয়েছে। ফলে বিক্রয়চাপ ছিল, যেটি এখন আর নেই।
বুধবার বেক্সিমকো লিমিটেডের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করার পর কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার ৮২টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ২৬১টির দর। লেনদেন হয়েছে ৮০১ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭৬৭ কোটি টাকা।
বস্ত্র খাতের ৭৭ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর হারিয়েছে। ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৯৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ আর প্রকৌশল খাতের ৭৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে।
বিপরীতে চাঙ্গা ছিল বিমা খাত। সাধারণ বিমা খাতের ৮৭ দশমিক ১৮ শতাংশ আর জীবন বিমা খাতের ৭৬ দশমিক ৯২ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার সূচক পতনের সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল বেক্সিমকো লিমিটেডের। কোম্পানিটির কারণে সূচক কমেছে ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এ ছাড়া টেলিকম খাতের রবির দর ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ দরপতনে সূচক কমেছে ৪ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।
ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, লিবরা ইনফিউশন, বিএটিবিসি, আইসিবি, ইউনিলিভার কনজ্যুমার, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, বিকন ফার্মা ও বিএসআরএম লিমিটেডের দরপতনেও সূচক কমেছে সবচেয়ে বেশি।
দর বৃদ্ধির ১০ কোম্পানি
বৃহস্পতিবার লেনদেনে সবচেয়ে বেশি শেয়ারদর বেড়েছে লোকসানি স্বল্প মূলধনি সাভার রিফ্যাক্টরিজের ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ। ৪২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা লেনদেনে ২০ হাজার ৬৯টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। শেয়ারদর ১৯৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২১৯ টাকা।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ঢাকা ডাইংয়ের দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। শেয়ারদর ১৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২১ টাকা। ২ কোটি ৯৮ লাখ টাকার ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪৭৬টি শেয়ার এদিন হাতবদল হয়েছে।
মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের দর বেড়েছে ৭ দশমিক ১৭ শতাংশ। ২ কোটি ৬৫ লাখ টাকার মোট ৯ লাখ ৮ হাজার ৯৩৬টি শেয়ার এদিন হাতবদল হয়েছে।
এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির দরও ৭ শতাংশের বেশি বেড়েছে। ৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকার ১০ লাখ ৫৫ হাজার ৮৭৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
এ ছাড়া এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ৬ দশমিক ৫০, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ৫ দশমিক ২৭, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ।
সোনারগাঁও ইন্স্যুরেন্স, শ্যামপুর সুগার, আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারদর বেড়েছে ৪ শতাংশের বেশি।
আরও আটটি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি। ২২টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ২ শতাংশের বেশি।
দরপতনের ১০ কোম্পানি
এই তালিকার শীর্ষে ছিল লোকসানি ব্রাদাস পিপি ওভেন কোম্পানি। কোম্পানিটির দর কমেছে ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ। ১ কোটি ৪২ লাখ টাকার মোট ১১ লাখ ৬৬ হাজার ১০২টি শেয়ার এদিন হাতবদল হয়েছে।
ইমাম বাটনের দর কমেছে ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ২৫ টাকা ৫০ পয়সা প্রতিটি শেয়ার হয়েছে ২৩ টাকা ৬০ পয়সা। ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা লেনদেনে ১০ হাজার ৭৪১টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা স্বল্প মূলধনি এপেক্স ফুটওয়্যারের দর কমেছে ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ। ১ কোটি ২১ লাখ টাকার ৪২ হাজার ৫১৫টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
প্রিমিয়ার লিজিংয়ের দর ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ। লিবরা ইনফিউশন ও রেকিড বেনজিনজারের ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ, বিচ হ্যাচারির দর ৬ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ কমেছে।
৫ শতাংশের বেশি শেয়ারদর বেড়েছে চারটি কোম্পানির। এর মধ্যে এমআই সিমেন্টের দর ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ, দেশ গার্মেন্টসের দর ৫ দশমিক ৬৬, মেঘনা পেটের দর ৫ দশমিক ৩১ এবং জিকিউ বলপেনের দর কমেছে ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ।
লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০ কোম্পানি
বৃহস্পতিবার লেনদেনে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল ফরচুন সুজ, যার ৫৪ কোটি ২০ লাখ টাকার ৫৫ লাখ ১৫ হাজার ৭৫৯টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
এর পরই ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড, যার ৪৪ কোটি ৬২ লাখ টাকার ২৯ লাখ ৭ হাজার ৯৭০টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
বিকন ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১৩ লাখ ৯৩ হাজার ১৩৬টি।
এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ২৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংক খাতের ওয়ান ব্যাংকের ২৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। ২ কোটি ২ লাখ ৫২ হাজার ৪০৫টি শেয়ার এদিন হাতবদল হয়েছে।
দর বৃদ্ধিতে সোনালী পেপারের শেয়ারপ্রতি যোগ হয়েছে ১২ টাকা ৮০ পয়সা। এতে ৮৪০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৫৩ টাকা ৫০ পয়সা। এদিন কোম্পানিটির ২২ কোটি ১২ লাখ টাকার ২ লাখ ৬১ হাজার ৩৬৮টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। সাইফ পাওয়ারটেকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ১০ লাখ টাকা। সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। জিএসপি ফাইন্যান্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
মন্তব্য