আগামী ১০ বছরের মধ্যে দেশে সম্পূর্ণ নতুন গাড়ি তৈরি হওয়ার আশার কথা শুনিয়েছেন দেশের অন্যতম বৃহৎ ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান নাভানা গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ওয়াহেদ আজিজুর রহমান।
তিনি বলেছেন, মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশের পথে যাত্রার পথে বাংলাদেশ অটোমোবাইল খাতের গুরুত্ব বাড়ছে। এই খাতে বড় পরিকল্পনার পাশাপাশি বড় বড় বিনিয়োগও আসছে। আগামী ১০ বছর বা ২০৩০ সালের মধ্যেই এই খাতে বড় পরিবর্তন আসবে। তখন দেশেই তৈরি হবে একেবারে সম্পূর্ণ নতুন গাড়ি।’
মঙ্গলবার নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ সুসংবাদ দিয়েছেন ওয়াহেদ আজিজুর রহমান। সেই সঙ্গে অটোমোবাইল খাতের সম্ভাবনা, নাভানার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন তিনি।
নাভানা গ্রুপের বেশ কয়েকটি কোম্পানি রয়েছে। অটোমোবাইল পণ্য, নির্মাণ ও রিয়েল এস্টেট ব্যবসা, বিদ্যুৎ খাত, টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের বৈচিত্র্যময় ব্যবসা রয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে গ্রুপের নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে যোগ দিয়েছেন ওয়াহেদ আজিজুর রহমান।
যুক্তরাজ্যের চার্টার্ড সার্টিফাইড অ্যাকাউন্ট (এসিসিএ) ওয়াহেদ নাভানার আগে এপেক্স হোসেন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন। এ ছাড়া কোটস, রেকিট বেনকিজার এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর মতো বহুজাতিক কোম্পানিতে কাজ করেছেন তিনি।
ওয়াহেদ আজিজুর রহমান বলেন, ‘১৯৬৩ সালে প্রয়াত জহিরুল ইসলাম টয়োটার সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন। সেটি ছিল একটি রিস্কি ও ভিশনারি সিদ্ধান্ত। উনার ভাইয়েরা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি করেছিলেন মিডল-ইস্টে।
‘অনেকেই ব্যবসায় ঢুকে কোর পয়েন্ট ভুলে যায়। নাভানার কোর পয়েন্ট অটোমাবাইল ইন্ডাস্ট্রি। অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি মানেই কিন্তু গাড়ি বানানো নয়। টয়োটা কিন্তু গাড়ি বানায় না, তারা অ্যাসেম্বল করে। তাদের অনেক সাপ্লায়ার রয়েছে। তারা একেকজন একেক পার্টস বানায়। একসঙ্গে প্রতি ৩০ সেকেন্ডে একটি গাড়ি তৈরি করছে তারা।
‘বাংলাদেশেও সেসব পার্টস বানাতে পারি আমরা। এখানে প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরির সুযোগ রয়েছে। এখানে লংটাইম ভিশন থাকতে হবে; বিনিয়োগ করতে হবে। সরকারও চাচ্ছে বাংলাদেশকে অটোমোবাইল হাব হিসাবে তৈরি করতে।’
বাংলাদেশে এখন ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ গাড়ি অবস্থায় চলে এসেছে। সরকারও উৎসাহ দিচ্ছে। সে জায়গায় নাভানার অবস্থান কোথায়- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘নাভানা আগে থেকেই বাংলাদেশে গাড়ির একটি অংশ তৈরি করছে। আফতাব অটোমাবাইলের মাধ্যমে হিনো বাস সিকেডি (যন্ত্রাংশ) এনে তৈরি করছি আমরা।
‘মার্কেট সাইজের দিক দিয়ে কিছু লিমিটেশন আছে। আমাদের দেশে প্রচুর রিকন্ডিশন গাড়ি বিক্রি হয়। যখন রিকন্ডিশন গাড়ি কমে গিয়ে ব্র্যান্ডের গাড়ির ব্যবহার বাড়বে, তখন দেশে গাড়ি তৈরি হবে। লোকালি ম্যানুফ্যাকচারিং হলে ট্যাক্স কমে আসবে, কম দামে গাড়ি দেয়া যাবে।
‘রিকন্ডিশনড গাড়ির সঙ্গে অনেক লোক জড়িত। তাই রাতারাতি এটা পরিবর্তন হবে না। তবে রিকন্ডিশনড গাড়ি লংটার্মে দেশের জন্য লাভজনক হয় না। গাড়িগুলো পুরোনো, পরিবেশগত দিক দিয়েও সমস্যা হয়।’
ওয়াহেদ আজিজুর রহমান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যেসব গাড়ি তৈরি হচ্ছে তা কিন্তু সিকেডি (সংযোজন)। এর সঙ্গে সঙ্গে মোটরসাইকেল বিজনেস লোকালাইজেশনে চলে আসছে। টায়ারসহ বেশ কটি অংশ দেশে তৈরি হচ্ছে। সেটা গাড়ির ক্ষেত্রে আরও কিছু সময় লাগবে।
‘অটোমোবাইল খাতে ২০৩০ সালের মধ্যে একটি পরিবর্তন আসবে। দেশে সম্পূর্ণ নতুন গাড়ি তৈরি হবে। সরকারের পলিসিও পজিটিভ। ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে সাধারণত মাথাপিছু আয় সাড়ে তিন থেকে চার হাজার ডলারে গেলে গাড়ির কোম্পানিগুলো বেশি আগ্রহ দেখায়। আমরা এখন আড়াই হাজার ডলারে রয়েছি। সেদিক দিয়েও ১০ বছরের মধ্যে দেশে পুরো নতুন গাড়ি তৈরি হবে।’
নাভানা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের অটোমোবাইলের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ হিসেবে ব্যাটারি রয়েছে। কনস্ট্রাকশনের সঙ্গে জড়িত পাইপ ম্যানুফ্যাকচারিং রয়েছে। হাউজহোল্ডের সঙ্গে জড়িত এনার্জি ব্যবসায় রয়েছে। নাভানা মোটামুটি কোর বিজনেসেই আছে।’
দেশের সার্বিক ব্যবসা নিয়ে নাভানার সিইও বলেন, ‘ব্যবসায় টিকে থাকতে হলে মানবসম্পদের সঙ্গে সঙ্গে টেকনোলজি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুর্ভাগ্যজনক হলো দেশে শতকোটি টাকার বিজনেস প্ল্যান হয়, কিন্তু আইটি খাতে এক কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে না। তবে বর্তমান জেনারেশন এটার গুরুত্ব ধরতে পারছে। এখন পেপারলেস অফিসের দিকে যাচ্ছে। এ জন্য মানুষকে রিট্রেইন করতে হবে। নাভানার সঙ্গে যারা কাজ করছে, তাদের অবশ্যই রিট্রেইন করে রাখার চেষ্টা করব। কারণ ভবিষ্যতের উন্নত বিশ্বে থাকবে নলেজ বেইজড ইকোনমি।’
বহুজাতিক ও দেশীয় কোম্পানির মধ্যে তুলনা করতে গিয়ে আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কাজ করেছি। তারা শত বছরের পুরোনো। পৃথিবীব্যাপী তাদের ব্যাপ্তি। কিন্তু আমাদের কোম্পানিগুলো ৫০ থেকে ৬০ বছরের পুরোনো। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো অবশ্যই প্রফিট করে। একই সঙ্গে তারা চেষ্টা করে একটি মেরিট কালচার তৈরি করতে।
‘মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি বেস্ট মানবসম্পদ, বেস্ট টেকনোলজি এবং বেস্ট বিজনেস প্রসেসে নজর দেয়। দেশি কোম্পানিগুলোতে এখনো তা সেভাবে হয়নি। অর্গানাইজেশন দাঁড় করান প্রফেশনালরা। আমাদের দেশে সে রকম প্রফেশনাল এখনো তৈরি হয়নি। তবে আস্তে আস্তে দেশি কোম্পানিগুলোও আমাদের মতো প্রফেশনাল নিয়ে আসছে। সে অর্থে আমরা চেঞ্জ মেকার।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের অনেক গ্রুপ অব কোম্পানি আছে। গ্রুপের একটি-দুটি ভালো ব্যবসা করছে। তা দিয়ে নিজেদের অনেক ছোট ছোট কোম্পানি টানছে। এতে যে কোম্পানি ভালো ব্যবসা করছিল, সেটাতে রি-ইনভেস্ট না করে অ্যাটেনশন ডাইভার্ট হচ্ছে, রিসোর্স ডাইভার্ট হচ্ছে। এটা ঠিক নয়।’
শিল্প খাতের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে সিইও বলেন, ‘আমাদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়াতে হবে। দেশের গার্মেন্ট খাতে এভারেজ প্রোডাকটিভিটি ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ, সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ। অথচ ভিয়েতনাম ও চায়নায় তা ৮০ শতাংশ। এটা নির্ভর করে কিভাবে বিজনেস অপারেশন হচ্ছে। এ দেশের মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোই ৮০ শতাংশের মতো প্রোডাক্টিভিটি দেয়।’
ব্যবসার ক্ষেত্রে নাভানা এখন কোন অবস্থানে রয়েছে- এ প্রশ্নের উত্তরে ওয়াহেদ আজিজুর রহমান বলেন, ‘২০১৮ সালের দিকে নাভানার বোর্ড সদস্যারা বুঝতে পারেন যে কোথাও একটু সমস্যা হচ্ছে। আমরা লোন নিচ্ছি, গ্রো করছি। কিন্তু একটি বিজনেসে প্রথম দিন থেকেই তো বিক্রি শুরু হয় না। ফলে টার্গেট পূরণে সময় লাগছিল। এতে ক্যাশ ফ্লোতে চাপ পড়ছিল।
নাভানার কোনো রপ্তানি নেই। লকডাউনেরর সময় ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ ছিল। কিন্তু কোনো কর্মী ছাড়িনি। ফলে ক্যাশে আরও চাপ পড়ে। বিভিন্ন ধাপে কিছু কিছু পরিকল্পনার মাধ্যমে তা উত্তরণ করা হচ্ছে। আমরা ফিন্যানশিয়াল পুনর্গঠনের কাজ করছি। জিরো কুপন বন্ড, পার্পিচুয়াল বন্ড আনাসহ কিছু কোম্পানিকে স্টক মার্কেটে লিস্টেড করে বিনিয়োগ টানব। পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় আমাদের বিক্রি আগের পর্যায়ের কাছাকাছি চলে এসেছে।’
ওয়াহেদ আজিজুর রহমান বলেন, ‘রিয়েল এস্টেট কোম্পানিও রয়েছে নাভানার। অন্য সব কোম্পানির মতোই নাভানাও এখন উচ্চ মধ্যবিত্ত ও উচ্চ বিত্তের জন্য ফ্ল্যাট বানায়।’
ভবিষ্যতে নিম্ন বিত্তদের জন্য কাজ করার ইচ্ছার কথা জানিয়ে ওয়াহেদ বলেন, ‘আমরা কিছু ফ্ল্যাট মধ্যবিত্তের জন্য বানাচ্ছি। দেশে ৬০ লাখ ফ্ল্যাট প্রয়োজন। কিন্তু সব কোম্পানি মিলে ১৭ হাজার তৈরি করতে পারছে। আমার স্বপ্ন হচ্ছে, আমি নিম্নবিত্তের জন্য ফ্ল্যাট বানাব। একজন গার্মেন্ট কর্মীও যেন ফ্ল্যাট পায়। সে যেন ১৫ বছর ভাড়া শোধ করে ফ্ল্যাটের মালিক হতে পারে। তাদের ছেলেমেয়েরা ভালো পরিচ্ছন্ন জায়গায় থাকবে, ভালো জায়গায় লেখাপড়া করবে। এটা হলে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে।’
বিশ্ব কর্মসংস্থানের দিক দিয়ে আমরা এখনো ছোট ছোট কাজ করছি। বড় পজিশনের জবের পরিমাণ খুবই কম। এটা কেন হচ্ছে? এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘প্রতিযোগী দেশগুলোতে দেশেই গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর তারা প্রতিনিয়ত নিজেদের ডেভেলপমেন্টের কাজ করে। মার্কেটিংয়ে আন্তর্জাতিক কোর্সগুলো করে, ফাইন্যান্সের ক্ষেত্রে এসিসিএসহ অন্যান্য কোর্স করে। কিন্তু আমাদের দেশে গ্র্যাজুয়েশনের পর মনে করে পড়াশোনা শেষ। কাজে ঢুকে গেলাম। আবার অনেকে মনে করেন আমি যা শিখেছি তা নিয়েই থাকব।
‘অন্যদিকে ভাষাগত একটু বাধা রয়েছে। এর জন্য অক্সফোর্ডের ইংরেজিই বলা লাগবে, এমন নয়। কিন্তু কিছু প্রেজেন্টেশন করার মতো ইংরেজি জানতে হবে। একটু চেষ্টা করলেই তা থেকে উত্তোরণ সম্ভব। আমাদের দেশের প্রায় ১০ লাখ লোক এমন চাকরি করছে বাইরের দেশ থেকে এসে।’
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে গত ০২ জুন, সোমবার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতি।
জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ গোলাম মরতুজা, মোঃ ফয়েজ আলম ও মোঃ আশরাফুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সভাপতি সাইফুল আবেদিন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভা সঞ্চালনায় ছিলেন কার্যকরী সভাপতি শাহ জাহান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি এস. এফ. এম. মুনির হোসেন, সহসভাপতি মজিবুর রাহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ছানোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কেনায় আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। আবার ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার সময় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। ট্রেড লাইসেন্স নিতেও রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দাখিলের বাধ্যবাধকতায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্রের বাধ্যবাধকতায় এসব পরিবর্তন আনা হয়েছে। এত দিন ৪৬টি সেবায় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখানোর বাধ্যবাধকতা ছিল।
এখন ১১ ধরনের সেবা নিতে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। শুধু কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীদের (টিআইএন) সিস্টেম জেনারেটেড প্রত্যয়নপত্র দাখিল করলেই হবে। ওই ১১টি সেবা হলো সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা এলাকায় নতুন ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণে; সমবায় সমিতির নিবন্ধন প্রাপ্তিতে; সাধারণ বিমার তালিকাভুক্ত সার্ভেয়ারের নতুন লাইসেন্স গ্রহণে; ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ ও নবায়নে; চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, চার্টার্ড সেক্রেটারি, আইনজীবী ও কর আইনজীবী, অ্যাকচুয়ারি, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার হিসেবে কোনো স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার সদস্যপদ গ্রহণে; পাঁচ লাখ টাকার অধিক পোস্ট অফিস সঞ্চয়ী হিসাব খোলায়; এমপিওভুক্তির মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে দশম গ্রেড বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মচারীর কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের ক্ষেত্রে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা মোবাইল ব্যাংকিং বা ইলেকট্রনিক উপায়ে টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে এবং মোবাইল ফোনের হিসাব রিচার্জের মাধ্যমে কমিশন, ফি বা অন্য কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্ট্যাম্প, কোর্ট ও কার্টিজ পেপারের ভেন্ডর বা দলিল লেখক হিসেবে লাইসেন্স নিবন্ধন ও তালিকাভুক্তিতে; ত্রি-চক্র মোটরযানের নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়নে; ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে লাইসেন্সিং অথরিটির কাছ থেকে লাইসেন্স গ্রহণে।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আজ সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ টেলিভিশনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও দেশের ইতিহাসে ৫৪তম বাজেট।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার সময় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মোট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করছি, যা জিডিপির ১২.৭ শতাংশ। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।
তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই যে, ২০১৫ সালের পর এখন পর্যন্ত বেতন কাঠামো প্রণীত না হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবারের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি।
ঘরে বসে যেসব ক্রেতারা কেনাকাটা করতে চান, তাদের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে কেনাকাটা আগামী অর্থবছর থেকে খানিকটা ব্যয়বহুল হতে পারে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ই-প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় থেকে কমিশনের ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করতে চাইছে। সেক্ষেত্রে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পণ্যের দাম বেশি হতে পারে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই ভ্যাটের হার ছিল ৫ শতাংশ।
জুলাই অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে ভিন্ন বাস্তবতায় এবার সংসদের বাইরে ভিন্ন আঙ্গিকে পেশ হলো বাজেট। এবার সংসদ না থাকায় সংসদের আলোচনা বা বিতর্কের কোনো সুযোগ থাকছে না। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বাজেট উপস্থাপন করার পর ৩০ জুন তা রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে কার্যকর করা হবে।
তবে অতীতের রেওয়াজ মেনে বাজেট ঘোষণার পরদিন সংবাদ সম্মেলনে এসে বাজেট নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া পুরো জুন মাসজুড়ে অংশীজনদের মতামত নেওয়ার কথাও তিনি বলেছেন।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে সরকারের ধারাবাহিক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করায় এবং সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পাওয়ায় মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নেমে আসবে।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় এ কথা বলেন। তার এ বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসে আমাদের সরকার যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে তখন আমাদের সামনে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরে মানুষকে স্বস্তি দেয়া।
তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে আমরা ধারাবাহিকভাবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করেছি। এর ফলে নীতি সুদের হার ১৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে এখন ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মুদ্রানীতির আওতায় গৃহীত কার্যক্রমকে সহায়তা করতে সংকোচনমূলক রাজস্বনীতি অনুসরণ করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে আনায় সার্বিকভাবে সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠতে শুরু করেছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের ১০.৮৯ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশে নেমে এসেছে। আশার কথা হলো এবারের রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্মরণকালের মধ্যে সবচাইতে স্থিতিশীল ছিল। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এই জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের কোঠায় নেমে আসবে। মূল্যস্ফীতির সাথে এ লড়াইয়ের ফলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে।’
মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকা জরুরি উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল থাকা অত্যাবশ্যক। প্রবাস আয়ের প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক হওয়ায় এবং রপ্তানি স্থিতিশীল থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এপ্রিল মাসে বৃদ্ধি পেয়ে ২৭.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সে কারণে আমরা বিগত ১৪ মে তারিখে বাজারভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় হার চালু করেছি।
১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী আর্থিক অস্থিরতা সামাল দিতে গঠিত হয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ। এর মূল লক্ষ্য ছিল বৈশ্বিক মুদ্রানীতি সমন্বয় সাধন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে উৎসাহ দেওয়া এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করা। বহু দেশ সংকটে পড়ে এই সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছে- কেউ সাময়িকভাবে রক্ষা পেয়েছে, কেউ আবার দীর্ঘমেয়াদি ঋণনির্ভরতার ফাঁদে পড়ে গেছে।
আজ, যখন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ভারসাম্য ক্রমশ পশ্চিমকেন্দ্রীকতা থেকে সরে পূর্ব ও দক্ষিণে ছড়িয়ে পড়ছে, তখন আইএমএফ তার প্রাসঙ্গিকতা ও নৈতিক অবস্থান নিয়ে এক নতুন প্রশ্নের সম্মুখীন।
ঋণ সহায়তা, নাকি ঋণের ফাঁদ?
আইএমএফ সাধারণত এমন শর্তে ঋণ দেয়, যার মধ্যে থাকে কঠোর ব্যয়সংযম, ভর্তুকি হ্রাস, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বাজারমুখী সংস্কার; কিন্তু এই শর্তগুলো অনেক সময় জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। স্থানীয় শিল্প ধসে পড়ে, বৈষম্য বেড়ে যায় এবং সাধারণ মানুষের জীবন আরও কঠিন হয়ে ওঠে। আর্জেন্টিনার অভিজ্ঞতা এর এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। ২০১৮ সালে আইএমএফ ইতিহাসের বৃহত্তম ঋণ প্যাকেজ ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করে। ফল ছিল বিপরীত- মুদ্রাস্ফীতি ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়, দারিদ্র্য আরও বেড়ে যায় এবং দেশটি আবার মন্দার মুখে পড়ে।
এই অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে শুধু অর্থনৈতিক সমীকরণ দিয়ে কোনো দেশের সামাজিক বাস্তবতা নির্ধারণ চলে না।
আইএমএফের নীতিনির্ধারণ কাঠামো এখনো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী শক্তির ভারসাম্যের প্রতিচ্ছবি। উন্নত দেশগুলো (বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন) সংগঠনের ভোটের অধিকাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর অংশগ্রহণ প্রায় অনুপস্থিত। এই গণতান্ত্রিক ঘাটতি আজ দক্ষিণের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে গভীর অসন্তোষ ও অবিশ্বাসের জন্ম দিচ্ছে।
বিকল্প প্রতিষ্ঠানের উত্থান
এই প্রেক্ষাপটে বিকল্প আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন- নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (NDB), এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (AIIB) এবং ল্যাটিন আমেরিকান রিজার্ভ ফান্ড (FLAR) নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে। (NDB) এর সহায়তা তুলনামূলকভাবে শর্তমুক্ত এবং অংশগ্রহণমূলক। এখানে প্রতিটি দেশের ভোটের ও প্রতিনিধিত্বের সমান সুযোগ আছে, যা উন্নয়নশীল দেশগুলো আরও আগ্রহী করে তুলেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো এখন শুধু আর্থিক বিকল্প নয়- এরা এক নতুন উন্নয়ন দর্শনের বাহক। সেই দর্শনে উন্নয়ন নির্ধারিত হয় স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনকে কেন্দ্র করে, বাইরের চাপ বা রূঢ় শর্ত নয়।
বিশ্ব আজ বহুমেরু। অর্থনৈতিক শক্তি ছড়িয়ে পড়ছে নানা অঞ্চলে। এই বাস্তবতায় টিকে থাকতে হলে আইএমএফকে নিজস্ব কাঠামো ও দর্শনে রূপান্তর আনতে হবে। প্রয়োজন গভর্ন্যান্সের সংস্কার, নীতিনির্ধারণে সমান অংশগ্রহণ, এবং সর্বোপরি সহানুভূতিশীল ঋণ নীতিমালা।
আইএমএফ যদি সত্যিই বৈশ্বিক আর্থিক স্থিতিশীলতার অভিভাবক হতে চায়, তাহলে তাকে হতে হবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক, এবং আঞ্চলিক বাস্তবতাসম্মত এটি শুধু আইএমএফের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রশ্ন নয়; এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার ও সার্বিক উন্নয়নের প্রশ্ন।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, করখেলাপি ও পাচার হওয়া অর্থ জব্দ কর তা বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার পরমর্শ দিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ সময়ে এবারের বাজেট গতানুগতিক হতে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (৩১ মে) রাজধানীর এফডিসিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, করখেলাপি ও পাচারকৃত অর্থ জব্দের মাধ্যমে বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করলে তা হতে পারে এবারের বাজেটের একটি অভিনব উৎস।’
‘গত সরকারের রেখে যাওয়া বিদেশি ঋণের চাপ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। এই সরকারের এই সময়ে অন্যতম সাফল্য ৫০০ কোটি (৫ বিলিয়ন) ডলার পরিশোধ করে বিদেশি ঋণের চাপ কমিয়ে আনা,’ যোগ করেন তিনি।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই ঋণ বিলিয়ন ডলার করে বছর বছর বাড়ছিল। সামগ্রিকভাবে এই সরকারের সাফল্যের জায়গাটা হলো বহির্খাত, রেমিট্যান্স, রপ্তানি, দায়-দেনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, মজুদ বাড়ানো ও টাকার মূল্যমান স্থিতিশীল রাখা।’
তবে আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট গতানুগতিক হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, ‘খেলাপি ঋণ আদায়, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত এবং করের আওতা বাড়ানোর মতো নতুন কোনো কিছু না থাকায় এবারের বাজেটে কোনো চমক থাকছে না।’
‘যে প্রকল্পগুলো সরকারের কাছে আছে, তা অতিমূল্যায়িত ও তার ৪০ শতাংশ ব্যয়ই ভুয়া। আগের যে প্রকল্পগুলো থেকে রক্তক্ষরণ হতো, সেগুলো অব্যাহত আছে,’ বলেন তিনি।
সিপিডির এই সম্মানীয় ফেলো বলেন, ‘রাজস্ব ব্যয় সঠিকভাবে না করলে করদাতাদের উৎসাহ থাকে না। আমাদের কর কাঠামো বৈষম্যনির্ভর। আমাদের বৈদেশিক খাতে কিছুটা স্থিতিশীলতা অর্জিত হলেও ব্যক্তি খাতে স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগ এখনো আশানুরূপ অর্জিত হয়নি।’
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি নামের একটি বিতর্ক সংগঠন এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
‘রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করা আসন্ন বাজেটের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত’ শীর্ষক ছায়া সংসদে ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজকে পরাজিত করে ঢাকার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।
মন্তব্য