× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Omicron is on the rise in India with stricter restrictions
google_news print-icon

ভারতে বাড়ছে ওমিক্রন, কঠোর হচ্ছে বিধিনিষেধ

ভারতে-বাড়ছে-ওমিক্রন-কঠোর-হচ্ছে-বিধিনিষেধ
ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য, দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের ২১৩টি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে।

ভারতে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন সংক্রমণ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এ অবস্থায় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে সতর্ক করে প্রয়োজনে কঠোর বিধিনিষেধ প্রয়োগ করতে বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

রাতে কারফিউসহ সামাজিক জমায়েত নিষিদ্ধ করা এবং নিয়ন্ত্রিত এলাকা তৈরির পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ভারতের স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ রাজ্যগুলোর কাছে এক চিঠিতে বলেছেন যে করোনার ক্রমবর্ধমান কেস ঠেকাতে যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে রাতের কারফিউ, বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করা, বিয়ে এবং অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া, অফিস, শিল্পের মতো কর্মসূচিতে লোকের সংখ্যা হ্রাস করা এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্টের সংখ্যা কমানো।

রাজেশ ভূষণ বলেছেন, কোভিড পজিটিভ কেসের সব নতুন ক্লাস্টারের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত এলাকার তাৎক্ষণিক বিজ্ঞপ্তি জারি এবং বাফার জোন করা উচিত। পাশাপাশি বিদ্যমান নির্দেশিকা অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোর কঠোর সীমানা নিশ্চিত করা উচিত। রাজ্যগুলোকে ‘ওয়ার রুম’ সক্রিয় করা এবং করোনার ক্ষেত্রে ক্রমাগত নজরদারির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মতে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের ২১৩টি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রে ওমিক্রন ধরনের ১১টি নতুন সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়েছে। রাজ্যে মোট ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪। রাজধানী দিল্লিতে ওমিক্রন কেস বেড়ে ৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া তেলেঙ্গানায় ২০, কর্ণাটকে ১৯, রাজস্থানে ১৮, কেরালায় ১৫ ও গুজরাটে ১৪টি কেস নথিভুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯-এর ৬ হাজার ৩১৭টি নতুন কেস এবং ৩১৮ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। সব মিলে ভারতে সক্রিয় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৮ হাজার ১৯০ জন, যা ৫৭৫ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The body of journalist Biburjan is going to Siddheshwaris house

সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, মরদেহ যাচ্ছে সিদ্ধেশ্বরীর বাসায়

সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, মরদেহ যাচ্ছে সিদ্ধেশ্বরীর বাসায়

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এরপর সেটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভাই চিরঞ্জন সরকার তা তা গ্রহণ করেছেন।

এরপর ফ্রিজিং গাড়িতে করে এখন তার মরদেহটি ঢাকার বাসভবনে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১টার দিকে মুন্সীগঞ্জ থেকে গাড়িটি রওনা হয়।

সাংবাদিক চিররঞ্জন সরকার জানান, ফ্রিজার অ্যাম্বুলেন্সটি তার মরদেহ নিয়ে প্রথমে যাবে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাসভবনে। পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের শেষ শ্রদ্ধা শেষে তাকে নেওয়া হবে সবুজবাগের বরেদেশ্বরী কালী মন্দিরে। সেইখানেই হবে শেষকৃত্যের অনুষ্ঠান।

আজ মুন্সীগঞ্জের সাংবাদিকরা তাকে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান। এই সময় কান্নার ভেঙ্গে পড়েন অনেকে।

ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শেখ মো. এহসানুল ইসলাম বলেন, তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ফরেনসিক বিভাগের রিপোর্টের পর চূড়ান্তভাবে বলা যাবে।

বৃহস্পতিবার অফিসের উদ্দেশে বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। পরে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার চরবলাকি-সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে শুক্রবার দুপুরে তার মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। ৫ দশক ধরে সাংবাদিকতা করছিলেন তিনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The import of raw pepper in the port of Hilli has decreased prices

হিলি বন্দরে কাঁচা মরিচ আমদানি বেড়েছে, কমেছে দাম

হিলি বন্দরে কাঁচা মরিচ আমদানি বেড়েছে, কমেছে দাম

টানা বৃষ্টি ও বন্যার কারণে উৎপাদন কম হওয়ায় ভারত থেকে কাঁচা মরিচের আমদানি বেড়েছে। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে মরিচ আমদানির করায় বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। এতে গত দুইদিনে পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচে দাম কমেছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

আজ শনিবার হিলি স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মো. সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী জানান, গত কয়েক দিনে এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ট্রাক কাঁচা মরিচ ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। আজ দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত ১৫ ট্রাক কাঁচা মরিচ দেশে প্রবেশ করেছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত আরও কয়েক ট্রাক এই বন্দর দিয়ে দেশে ঢুকবে।

হিলি বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ বিভাগের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী জানান, দেশে হঠাৎ করে দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকারি সিদ্ধান্তে কাঁচা মরিচ আমদানি করা হচ্ছে। এতে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

তিনি বলেন, শুক্রবার এক দিনে রেকর্ড পরিমাণ ২৯টি ট্রাকে ২৩৯ টন কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল থেকে আমদানিকৃত কাঁচা মরিচের বেশ কয়েকটি ট্রাক দেশে প্রবেশ করেছে।

আমদানিকারকরা বলছেন, টানা বৃষ্টি আর বন্যার কারণে কৃষকের মরিচের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে মরিচের সঙ্কট দেখা দেয়। তাই চাহিদা অনুযায়ী ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করা হচ্ছে।

হিলি বন্দর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত সপ্তাহেও মরিচের কেজি পাইকারি বাজারে ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা। এসব মরিচ ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বগুড়া, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন সরবরাহ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, আমদানিকারকরা ভারত থেকে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ কিনেছেন ৭০ থেকে ৮০ রুপিতে। যা দেশে ৯৭ থেকে ১০৮ টাকা। এর উপর কেজি প্রতি শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে ৩৭ টাকা। শুল্ক কমানো গেলে আমদানি ব্যয়ও কমে আসবে। তখন বাজারেও দাম কমবে। ক্রেতারা কম মূল্যে কাঁচা মরিচ কিনতে পারবে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।

হিলি কাস্টমসের সহকারী কমিশনার এএসএম আকরম হোসেন সম্রাট জানায়, গত এক সপ্তাহের এই বন্দর দিয়ে ৭২ ট্রাকে কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে ৬১৮ টন। শনিবার সকাল থেকেই কাঁচা মরিচের ট্রাক দেশে প্রবেশ করেছেন। কাস্টমস বিভাগ তাৎক্ষণিক ট্রাকগুলো খালাসের ব্যবস্থা করছে। এতে প্রতিদিনের আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ দ্রুত দেশের বিভিন্ন জেলায় চলে যাচ্ছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
If people want we will form the government Dr Taher

যদি জনগণ চায় তবে আমরাই সরকার গঠন করব: ডা. তাহের

যদি জনগণ চায় তবে আমরাই সরকার গঠন করব: ডা. তাহের

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, সাধারণ মানুষ ইসলামকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। আমি নির্বাচনের ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস। যদি জনগণ চায় তবে আমরাই সরকার গঠন করব।

তিনি বলেছেন, ইসলামী সমমনাদের এক মঞ্চে আনার বিষয়ে সবাই একমত। বড় বড় রাজনৈতিক নেতারা অনেক সময় পিআর বুঝেন না, কিন্তু সাধারণ মানুষ বিষয়টি ভালোভাবেই বোঝে। কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়ন ও বিমানবন্দর চালুর বিষয়ে ইতোমধ্যে অগ্রগতি হয়েছে। শিগগিরই সুখবর আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দিনব্যাপী কুমিল্লা ফানটাউনে জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা মহানগরীর ‘নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশ’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. তাহের বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি চালুর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত রয়েছে।

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, প্রয়োজনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলে হ্যাঁ/না ভোটের মতো পদ্ধতিও গ্রহণ করা হতে পারে।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন- কুমিল্লা মহানগরীর আমির ও কুমিল্লা ৬ সংসদীয় আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী কাজী দ্বীন মোহাম্মদ।

কুমিল্লা মহানগরীর দুরবস্থার প্রসঙ্গ টেনে ড. তাহের বলেন, আমি কান্দিরপাড় থেকে ডুলিপাড়া ফানটাউনে আসতে ৪৫ মিনিট সময় নিয়েছি। যেখানে স্বাভাবিক সময়ে ৫ মিনিটের বেশি লাগার কথা নয়।

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেন, নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি চালুর বিষয়ে জামায়াত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী। প্রয়োজনে বিকল্প ফরম্যাটেও কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, কোনো দল যদি মনে করে আগামী নির্বাচনে নিশ্চিত জয়ী হবে তাহলে বোঝা যায় জেতার জন্য তারা কোনো একটা মেকানিজম করছে। একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশকে সংকট থেকে বের করে আনতে পারবে। জনগণ যাকে চাইবে তারাই জয়ী হবে।

মহানগরীর সেক্রেটারি মাওলানা মাহবুবুর রহমান এবং সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- মহানগরীর নায়েবে আমির অধ্যাপক এ কে এম এমদাদুল হক মামুন, যুব বিভাগের সভাপতি কাজী নজির আহমেদ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগর সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন মোল্লা, মোতাহার আলী দিলাল, ভিপি মুজিবুর রহমান, কুসিক ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন, অধ্যাপক এ জি এস শহিদুল্লাহ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সবুজ প্রমুখ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
New minus to formula enables the country to enable the country Mirza Abbas

দেশকে বিরাজনীতিকরণে নতুন ‘মাইনাস-টু ফর্মুলা’ সক্রিয়: মির্জা আব্বাস

দেশকে বিরাজনীতিকরণে নতুন ‘মাইনাস-টু ফর্মুলা’ সক্রিয়: মির্জা আব্বাস

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের পলায়নের পর বিএনপিকেও রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে রাজনীতি শূন্য করতে দেশি-বিদেশি মহলের প্ররোচনায় আবারও একটি নতুন ‘মাইনাস-টু ফর্মুলা’ সক্রিয় হয়েছে।

এক সাক্ষাৎকারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে আব্বাস বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, খাগড়াছড়ির সাজেক ও নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালকে কেন্দ্র করে ‘অশুভ উদ্দেশ্য’ সাধনে সচেষ্ট মহলগুলো দেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে একটি গুরুতর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল বিভিন্ন অজুহাতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার মাধ্যমে এমন চক্রান্তকারীদের ফাঁদে পা দিচ্ছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস ঘোষিত ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন না হলে দেশকে বড় ধরনের খেসারত দিতে হবে বলেও সতর্ক করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।

আব্বাস বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন নতুন এক মাইনাস-টু ফর্মুলা চালু হয়েছে, যা ১/১১ সময়কার মাইনাস-টু ফর্মুলার মতোই। আগেরবার সেটি এসেছিল সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে। আর এবার দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা ভিন্ন আকারে একই চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।’

তিনি বলেন, এসব অপচেষ্টার অংশ হিসেবে একটি গোষ্ঠী সমন্বিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা ও রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে বিএনপিকে ‘খারাপ’ বা ‘অবিশ্বস্ত’ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে।

তিনি অভিযোগ করেন, এখনো প্রশাসনের ভেতরের আওয়ামীপন্থি ব্যক্তি এবং রাজনৈতিক ও আদর্শিক গোষ্ঠীর একাংশ বিএনপিকে দুর্বল করতে সক্রিয় রয়েছে। ‘তারা মনে করছে, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা দেশের বাইরে থাকা অবস্থায় বিএনপিকে সরিয়ে দিতে পারলেই দেশের শাসন ক্ষমতা তাদের হাতে চলে যাবে।’

আব্বাস বলেন, ‘যারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রাখতে চায়, তারাই নিজেদের স্বার্থে নতুন করে মাইনাস-টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। ১/১১–তে এটি এক রূপে এসেছিল, তখন একটি সেনাসমর্থিত সরকার ছিল। এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে থাকায় ভিন্ন ধরনের ‘মাইনাস-বিএনপি ফর্মুলা’ চালানো হচ্ছে।

কারা এর পেছনে রয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে আব্বাস বলেন, ‘শয়তান নানা ছদ্মবেশে আসে। একই দেশি-বিদেশি মাস্টারমাইন্ডরা নতুনভাবে মাইনাস-টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।’

তার মতে, এই প্রচেষ্ঠার উদ্দেশ্য একমাত্র বিএনপিকে দুর্বল বা সরিয়ে দিয়ে দেশের রাজনীতি নিজেদের স্বার্থে নিয়ন্ত্রণ করা। এই পরিকল্পনায় পিছনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা সক্রিয়।

আব্বাস দাবি করেন, অনেক আওয়ামী লীগ সমর্থক আমলা আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে, কারণ তারা মনে করছে বিএনপিকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিলে তাদের ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল হবে। ‘প্রতিশোধপরায়ণ মনোভাব থেকে তারা বিএনপিকে বাদ দিতে চায়।’

তিনি বলেন, এমনকি কিছু রাজনৈতিক দলও এই সুরে সুর মিলিয়ে বলছে, বিএনপি এখন সেই একই পথে এগোচ্ছে, যা একসময় আওয়ামী লীগ অনুসরণ করেছিল।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ইসলামী দলসহ কয়েকটি রাজনৈতিক শক্তি নানা ইস্যু উত্থাপন করছে, যাতে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পথ রুদ্ধ হয়।

‘একটি দল তো বলছে, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত নির্বাচন হতে দেবে না। তারা ফ্যাসিবাদীদের মতো আচরণ করছে’ যোগ করেন আব্বাস।

এই পরিস্থিতিতে আব্বাস দেশের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ‘আমরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছি, নিজ দেশের মাটি অন্যদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য নয়।’ তার মতে, নতুন মাইনাস-টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের চেষ্টা এবং সেন্ট মার্টিন, সাজেক ও নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল নিয়ে বিদেশিদের সঙ্গে আলোচনাও আসলে একই সূত্রে গাঁথা, ভিন্ন কোনো বিষয় নয়।

বিএনপির এই নেতা মনে করেন, আগামী নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং হবে। বিএনপির বিপুল জনপ্রিয়তা থাকায় কিছু মহল প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। ‘কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, জনগণ বিএনপিকে ভালোবাসে, মিথ্যা প্রচারণায় কেউ দলের জনপ্রিয়তা ক্ষুণ্ন করতে পারবে না,’ বলেন তিনি।

মির্জা আব্বাস বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রশাসন থেকে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠদের সরাতে হবে। ‘অন্যথায়, সুষ্ঠু নির্বাচন করা কঠিন হবে।’ বিএনপি সাংগঠনিকভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত এবং ফেব্রুয়ারিতে ভোটের প্রত্যাশায় রয়েছে বলে জানান তিনি।

সম্ভাব্য জোট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আব্বাসের ধারণা, কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে, যা সফল হলে দেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের ফেব্রুয়ারিতে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণার প্রতি আস্থা প্রকাশ করে আব্বাস বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করতে চাই, নির্বাচন সঠিক সময়েই হবে।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না—এ বিষয়ে আব্বাস বলেন, এটি তার ইচ্ছা ও শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করছে। এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ‘খালেদা জিয়া নিজেও এ বিষয়ে কিছু বলেননি।’

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে খালেদা জিয়ার কোনো ভূমিকা থাকবে কি না—এমন প্রশ্নে আব্বাস বলেন, সময়ই এই প্রশ্নের উত্তর দেবে।

ইসলামী দলগুলোর জোট গঠনের চেষ্টা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিএনপি এতে চিন্তিত নয়। ‘বাংলাদেশের জনগণ উদারপন্থি মুসলিম, তারা সাম্প্রদায়িকতাকে নয়, গণতান্ত্রিক ও মধ্যপন্থি দলকেই পছন্দ করে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The refrigerator compressor exploded from the electric shortskit in Narayanganj

নারায়ণগঞ্জে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৯

নারায়ণগঞ্জে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৯

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি বাসায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণে একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ হয়েছেন।

শনিবার (২৩ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৩টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে দগ্ধদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।

দগ্ধরা হলেন, আসমা বেগম (৩৫), তানজিল ইসলাম (৪০), তিশা (১৭), আরাফাত (১৫), হাসান (৩৫), মুনতাহা (১১), জান্নাত (৪), ইমাম উদ্দিন (১ মাস) ও সালমা বেগম (৩২)।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক সার্জন ডা. সুলতান মাহমুদ শিকদার জানান, শিশুসহ দগ্ধ ৯ জন আমাদের এখানে এসেছে। তাদের মধ্যে, হাসানের শরীরের ৪৪ শতাংশ, জান্নাতের ৪০ শতাংশ, মুনতাহার ৩৭ শতাংশ, সালমার ৪৮ শতাংশ, শিশু ইমামের ৩০ শতাংশ, আরাফাতের ১৫ শতাংশ, তিশার ৫৩ শতাংশ ও আসমার ৪৮ শতাংশ দগ্ধ হয়। তাদের সবার অবস্থায়ই আশঙ্কাজনক। তাদের মধ্যে শুধু তানজিল ইসলামকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে আসা রাকিবুল ইসলাম জানান, দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে হঠাৎ গ্যাস পাইপলাইন থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ হয় ৯ জন। পরে তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসলে ভর্তি দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আসমা বেগমের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানা চকগদ্দর গ্রামে। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার হিরাঝিল এলাকায় থাকতেন তারা। আসমা বেগম, তানজিল ইসলাম, তিশা, আরাফাত হলেন একই পরিবারের সদস্য। মোহাম্মদ হাসান তার স্ত্রী সালমা বেগম, মুনতাহা, জান্নাত ও ইমাম উদ্দিন, তারা সবাই একই পরিবারের। তাদের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার জৌদা গ্রামে। তারাই সবাই একই সঙ্গে থাকতেন। আসমা বেগম একজন পোশাক শ্রমিক ও হাসান দিনমজুরের কাজ করেন।

এ বিষয়ে আদমজী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. মিরন মিয়া বলেন , প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ফ্রিজে সরাসরি বৈদ্যুতিক লাইন দেওয়া ছিল। বৈদ্যুতিক লাইনের শর্ট-সার্কিট থেকে প্রথমে আগুন ধরে যায়, সেই আগুন থেকে ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণ হয়। এতে পরিবারের সদস্যরা দগ্ধ হন। আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার আগেই স্থানীয়রা দগ্ধদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যান।”

তিনি আরও বলেন , “আমরা আশপাশে কিংবা ঘরের ভেতরে অন্য কোনো ধরনের গ্যাসের আলামত পাইনি। সবকিছুই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ফ্রিজের কম্প্রেসার থেকেই বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছিল।”

মন্তব্য

বাংলাদেশ
If the law changes will be selected in PR method CEC

আইন পরিবর্তন হলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে: সিইসি

আইন পরিবর্তন হলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আনুপাতিক পদ্ধতি বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সংবিধানে নেই। সংবিধানের বাইরে আমরা যেতে পারি না। যদি আইন পরিবর্তন হয় তাহলে এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে।

শনিবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাজশাহী আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আগে তিনি এসব কথা বলেন।

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচন হবে কি হবে না, এ নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের ভেতর আমরা যেতে চাই না। প্রধান উপদেষ্টার কথা অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যেতে চাই।’

‘প্রধান উপদেষ্টার চিঠি পাওয়ার পর থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রমজানের আগে যাতে নির্বাচন হয় তার জোর প্রস্তুতি চলছে।’

কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এ বিতর্ক নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আনুপাতিক পদ্ধতি বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সংবিধানে নেই। সংবিধানের বাইরে আমরা যেতে পারি না। এটা নিয়ে তর্ক বিতর্ক চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। আমি এর মধ্যে ঢুকতে চাই না। যদি আইন পরিবর্তন হয় তাহলে হবে।’

তিনি বলেন, ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স নয়, সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমরা কাজ করছি। সেনাবাহিনী যাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত হয় সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। জেলা প্রশাসক বা পুলিশ সুপার যারা এর আগে নির্বাচনের দায়িত্বে ছিল, তাদের পদায়নের চিন্তা নেই।’

বিগত সরকার আমলে দায়িত্ব পালন করা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের অধীনে ৫৭০০ কর্মকর্তা রয়েছে। তারা আগেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এদের কোথায় পাঠাব? তবে যারা স্বপ্রণোদিত হয়ে বিগত নির্বাচনে অনিয়ম করেছিল, সেইসব নির্বাচন কর্মকর্তাদের রাখা হবে না’

সরকারের কোনো চাপ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই সরকার নির্বাচন নিয়ে আমাকে এখন পর্যন্ত কোনো চাপ দেয়নি। যদি চাপ দেয়, আমি পদত্যাগ করব, চেয়ারে থাকব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এই মুহূর্তে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নেই। তাদের বিচার চলছে। বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। দেখা যাক বিচারে কী হয়।’

সিইসি বলেন, ‘ভোট আসতে আসতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রমজানের আগে যাতে নির্বাচন হয় তার জোর প্রস্তুতি চলছে। যারা বাক্স দখল করার স্বপ্নে বিভোর, তাদের স্বপ্নভঙ্গ হবে।’

‘যারা অস্ত্রবাজি করে ভোটে জিততে চাইবেন তাদের জন্য দুঃসংবাদ। ভোটকেন্দ্র দখলের ইতিহাস ভুলে যান। আমরা কঠোর অবস্থানে থাকব। ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টা করলে পুরো কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা হবে।’

পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সভায় রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচন বিষয়ে নানা দিকনির্দেশনা দেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Kushtia Daulatpur border BGB campaign Two youths with drugs detained

কুষ্টিয়া দৌলতপুর সীমান্তে বিজিবির অভিযান: মাদকসহ দুই যুবক আটক

কুষ্টিয়া দৌলতপুর সীমান্তে বিজিবির অভিযান: মাদকসহ দুই যুবক আটক

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তের মহিষকুন্ডি মুন্সিপাড়া এলাকায় পদ্মানদীতে কার্গো ট্রলারে স্থানীয় যুবকদের পিকনিক চলাকালে অভিযান চালিয়ে মাদকসহ দুই যুবককে আটক করেছে বিজিবি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়।

আটকরা হলেন— রাব্বী হোসেন (২০), মহিষকুন্ডি পাকুড়িয়া গ্রামের হানিফ হোসেনের ছেলে এবং অনিক হোসেন (১৮), ডাকপাড়া গ্রামের মৃত ইমদাদুল হকের ছেলে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হাই সিদ্দিকী রায় প্রদান করেন। এতে রাব্বী হোসেনকে ২ মাসের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, আর অনিক হোসেনকে ৭ দিনের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে আশ্রায়ন বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার পদ্মানদীতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ওই কার্গো ট্রলার থেকে ৩ বোতল মদ, ৩৪৩ গ্রাম গাঁজা এবং ২ প্যাকেট পাতার বিড়ি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫ হাজার ৮১০ টাকা।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবির সহকারী পরিচালক জাকিরুল ইসলাম জানান, আটক দুই যুবককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল জরিমানা প্রদান করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে