এক দিনের ব্যবধানে আবারও সূচকের পতন দেখল বিনিয়োগকারীরা। সূচকের ২ পয়েন্ট পতন হলেও লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। বুধবারসহ ১০ কর্মদিবসে সূচক বেড়েছে মাত্র দুদিন। বাকি আট দিনই কমেছে।
লেনদেনে এগিয়ে ছিল সাধারণ বিমা, তথ্যপ্রযুক্তি ও আর্থিক খাতের শেয়ার। দর বৃদ্ধিতে ১৪২টি কোম্পানি থাকলেও দর পতনে ছিল ১৮৬টি।
৭৬৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৫২ কোটি টাকা।
গত এক মাসের লেনদেনে বিনিয়োগকারীদের আস্থার জায়গায় অনেকটাই ফারাক দেখা যাচ্ছে। দাম বাড়লেই শেয়ার বিক্রি করা বা সামান্য লাভে শেয়ার বিক্রি করে সে কোম্পানি থেকে বের হয়ে আসার প্রবণতা দেখা গেছে। এতে সূচক স্থিতিশীল হচ্ছে না।
অনেকে বলছেন, ডিসেম্বরের এই সময়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বেশির ভাগ কোম্পানিকে বছর শেষের হিসাব করতে হয়। ডিসেম্বর ক্লোজিংয়ে অনেক কোম্পানি তাদের সারা বছরের হিসাব সম্পূর্ণ করে থাকে। বড় বিনিয়োগকারীরা এ সময়টায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ না করে বরং লাভে থাকা শেয়ার বিক্রি করে লাভ-লোকসানের হিসাব করে থাকে।
এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেছেন, ‘সূচক কমছে, এটা সত্য। লেনদেনও আগের পর্যায়ে নেই। এতে কিছুটা আস্থাহীনতা দেখা যাচ্ছে, ডিসেম্বর ক্লোজিংয়ে যে কোম্পানিগুলো আছে, তার মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো, যারা বড় বিনিয়োগ করে থাকে তারা পুঁজিবাজারে অনেকটা নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে। ফলে কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ না হওয়ায় সূচক ও লেনদেনে মন্দাবস্থা দেখা যাচ্ছে।’
বুধবার লেনদেন ব্যাংক খাতের মাত্র পাঁচটি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। দর অপরিবর্তিত ছিল পাঁচটি কোম্পানির। ২২টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে।
নন-ব্যাংক আর্থিক খাতের সাতটি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। ১০টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালালি খাতের ১৪টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। বিপরীতে সাতটি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
বিমা খাতের ৪৫টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। কমেছে মাত্র ছয়টি কোম্পানির।
লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০ কোম্পানি
বুধবার লেনদেনে এগিয়ে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। এদিন কোম্পানিটির ৯১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। হাতবদল হয়েছে ৫৮ লাখ ৫৩ হাজার ৭টি শেয়ার। ১৫৫ টাকা ২০ পয়সা দরের শেয়ার দর দশমিক ৬৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৫৬ টাকা ২০ পয়সা।
দ্বিতীয় স্থানে ছিল সোনালী পেপার, যার ৪৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকার ৫ লাখ ২৬ হাজার ১০৩টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। এ ছাড়া, জিএসপি ফিন্যান্সের শেয়ার দর ২.২১ শতাংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৮৮ লাখ ৪৪ হাজার ৫২৬টি।
সপ্তাহের সোমবার দর বৃদ্ধির পর আবারও টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পতন হয়েছে ব্যাংক খাতের ওয়ান ব্যাংকের। এদিন ব্যাংকটির ২.১৩ শতাংশ দর পতন হয়েছে। ২৪ কোটি ৬ লাখ টাকার মোট ১ কোটি ৭২ লাখ ৬৯ হাজার ৪৩৮টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
ফরচুন সুজের দর বৃদ্ধির মাধ্যমে শেয়ার প্রতি যোগ হয়েছে ২ টাকা। এদিন কোম্পানিটির ১৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকার ১৭ লাখ ৩ হাজার ৪৬৯টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৮.৭ শতাংশ। এদিন কোম্পানিটির ১৫ কোটি ৮৪ লাখ কটাকার ১৪ লাখ ৯৩ হাজার ৪২৯টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ১০ লাখ টাকার। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৮ রাখ ৯৪ হাজার ৪৩৭টি।
সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৮১ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১২ লাখ ৯২ হাজার ৪৫২টি।
এছাড়া ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, আইএফআইসি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, এএমসিএল (প্রাণ), এনআরবিসি ব্যাংকের লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি টাকার বেশি।
দর বৃদ্ধিতে ১০ কোম্পানি
এদিন সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পেয়েছে বিবিধ খাতের সাভার রিফেক্টরিসের। দিনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ দর বৃদ্ধি পাওয়া এই কোম্পানির শেয়ার দর ১৮১ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৯৯ টাকা ১০ পয়সা।
স্টাইল ক্রাফটের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯৩ শতাংশ। ১২৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে শেয়ার দর বেড়ে হয়েছে ১৩৬ টাকা ১০ পয়সা। ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা লেনদেনে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৪৪টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৮.৭০ শতাংশ। বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৮.৫৬ শতাংশ। এ ছাড়া, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৭.৩৩ শতাংশ। অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৬.৬৪ শতাংশ।
সোনালী পেপারের ৬.২৪ শতাংশ শেয়ার দর বৃদ্ধির ফলে ৭৯১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৪০ টাকা ৭০ পয়সা।
তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের শেয়ার দর বেড়েছে ৬.২২ শতাংশ। ১৬২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে শেয়ার দর বেড়ে হয়েছে ১৭২ টাকা ৪০ পয়সা।
সুহিৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার দর বেড়েছে ৫.৬১ শতাংশ এবং জনতা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৫.৩৪ শতাংশ।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
বুধবার সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড রিরোলিং কোম্পানি ৬.৪২ শতাংশ। শেয়ার দর ২২১ টাকা থেকে কমে হয়েছে ২০৬ টাকা ৮০ পয়সা।
জিবাংলা সুগার মিলের শেয়ার দর কমেছে ৬.০১ শতাংশ। ন্যাশনাল টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে ৫.৮৮ শতাংশ। এতে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৬৭৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৬৩৬ টাকা ৫০ পয়সা।
রেনউইক যজ্ঞেশ্বর কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে ৫.৬৫ শতাংশ। ৭১ লাখ টাকার ৫ হাজার ৯৫১টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
লিব্রা ইনফিউশনের শেয়ার দর কমেছে ৫.৩৫ শতাংশ। জিমিনি সী ফুডের শেয়ার দর কমেছে ৪.৩৭ শতাংশ।
রহিমা ফুডের ৩৬১ টাকা ৮০ পয়সা দরের ৪.২০ শতাংশ কমে হয়েছে ৩৪৬ টাকা ৬০ পয়সা।
এ ছাড়া, এদিন দর পতনের তালিকায় ছিল ফার্মা এইড, যার দর কমেছে ৪.০৮ শতাংশ। হামিদ ফেব্রিক্সের দর কমেছে ৩.৯৩ শতাংশ। আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের দর কমেছে ৩.৮৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য